তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৯
ফারহানা নিঝুম
তাশফিনের লাগামহীন কথায় হাঁসফাঁস করছে ফারাহ। এগুলো থেকে বাঁচতে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আরিয়ান আর স্নেহার ওখানে গিয়ে দাঁড়ালো।
স্নেহা ফারাহ কে দেখে বাচ্চা সুলভ উচ্ছাস নিয়ে বলল।
“ফারু আয় আয় চল দু’জনে ছবি তুলি।”
আরিয়ান একই সুরে বলল।
“হ্যা ছোট ভাবি জি চলে এসো ছবি তোলা যাক।”
ফারাহ আর অমত করলো না,স্নেহার পাশে দাঁড়িয়ে গেল। দু’জনের অনেক গুলো ছবি তুলে দিয়েছে আরিয়ান।
“চলো ম্যাডাম আমরা কিছু ছবি তুলি।”
তাশফিনের ছবি তোলার কথা শুনে লজ্জায় মিইয়ে গেল ফারাহ, স্নেহা ঠোঁট টিপে হাসলো। আরিয়ান কে ইশারা করে সরে গেল।তাশফিন নিজের ফোন বের করে। মধ্যবর্তী দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়ে বুকে টেনে নিল ফারাহ কে। ফাঁকা ঢোক গিলে ফারাহ।
“সুখ তোমার মনে হয় না আমাদের কিছু পার্সোনাল পিকচার থাকা প্রয়োজন?”
কথার সারমর্ম বুঝতে পারলো না ফারাহ,তার প্রশ্নবিদ্ধ চেহারা দেখেই সবটা আন্দাজ করতে পেরেছে তাশফিন।তাকে আশ্চর্যের চরমতম পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে বক্ষে ভাঁজে ঠোঁট ছুঁইয়ে ওইভাবেই অনেক গুলো ছবি ক্লিক করলো সে।তাতেই ধাতস্থ হয়নি তাশফিন, মারাত্মক বাড়বাড়ন্ত হয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে ক্লিক করলো ফোনের স্ক্রিনে।আর নিতে না পেরে জ্ঞান হারালো ফারাহ।তার তুলতুলে চিকন চাকন শরীর টা আঁকড়ে ধরে তাশফিন।হেসে কুটিকুটি অবস্থা তার। বউ তার স্বামীর রোমান্স দেখে জ্ঞান হারিয়েছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফুরফুরে মেজাজে রুমে গেল স্নেহা। সে কল্পনা করেনি আরিয়ানের মতো একজন কে পাবে যে কি-না তাকে এতটা ভালোবাসে। ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে স্নেহা। পিছন থেকে প্রিয় পুরুষ কানের পিঠে গুঁজে দিলো একটা লাল গোলাপ।
“ভালোবাসি।”
একটি বাক্য যথেষ্ট ছিলো স্নেহা কে অনুভব করানোর জন্য। দু’হাতে পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেছে আরিয়ান। স্নেহা মৃদু হেসে বলল।
“আপনি জানেন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল আর সঠিক কাজ কি কি?”
আরিয়ান কাঁধে থুতনি রাখলো , জিজ্ঞাসু চোখে তাকায় তার মুখ পানে।
“কি?”
স্নেহা মৃদু হেসে বলল।
“সবচেয়ে বড় ভুল সৌহার্দ্য কে ভালোবাসা।”
জড়িয়ে ধরা হাতটা ঢিলে হয়ে আসছে আরিয়ান। ছেড়ে দেওয়ার পূর্বে স্নেহা সেই হাতের উপর হাত রেখে চেপে ধরে বলল।
“আর সবচেয়ে বড় সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে আপনাকে বিয়ে করা। নয়তো এত ভালোবাসা কোথায় পেতাম আমি?”
আরিয়ান খানিকটা চমকে উঠে , স্নেহা পিছু ফিরে গলা জড়িয়ে ধরে আরিয়ানের।
“আমি আপনাকে ভালোবাসি আরিয়ান। হয়ত তীক্ষ্ণ অতীত জীবন থেকে মুছতে পারব না। কিন্তু ভুলে যেতে চাই, শুধু আপনার হয়ে থাকতে চাই।”
আরিয়ান গ্রীবা ঝুঁকিয়ে চুম্বন এঁকে দিলো মেয়েটার আদলে। অতঃপর আঁকড়ে ধরে তার নরম ওষ্ঠো যোগল। বেসামাল হয় মূহুর্তে। স্নেহা অসাড় হয়ে এসে ভার ছেড়ে দিলো নিজের। দু’হাতে তাকে আগলে নিল আরিয়ান। তাকে অনুভব করায় তার ভালোবাসা। উন্মাদ হয়ে উঠে প্রণয়ের অনুভূতিতে।
“ভাই র’ক্ত বের হচ্ছে তোর?”
“আবে ইয়ার ব্যান্ডেজ করা প্রয়োজন।”
আরিয়ান এবং নিহাল দুজনেই চিন্তিত কন্ঠে বললো।
হাত কে টে গিয়েছে তাশফিনের। অবস্থা ভীষণ খারাপ!
কিছুক্ষণ আগেই ওরা রিসোর্ট থেকে কিছুটা দূরে এসেছে
রাঙামাটি আসার একটা যথার্থ কারণ রয়েছে। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাশফিন শেখ কে টার্গেট করেছে কেউ একজন।তবে সে অন্য কেউ নয়, সাইফুল যাদের সাথে কাজ করতো তারাই।মূলত তাকে ধরতেই এখানে আসা তাদের। কিছুক্ষণ আগেই একটা বড়সড় ঝামেলা হয়েছে বলতে গেলে। অসাবধানতায় হাতে খানিকটা লেগে গেছে তাশফিনের।
“ডোন্ট ওয়ারি,অ্যাম অল রাইট।”
দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আরিয়ান।নিহাল বিরক্ত হয়ে বলল।
“ব্রো কতটা কেটেছে আগে সেটা দেখ!”
“দেখার সময় নেই, রিসোর্টে ফিরতে হবে।”
কারো কথাই কানে নিলো না তাশফিন। রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
বিছানার একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে ফারাহ,তাশফিন নেই। আশেপাশে সন্ধানি দৃষ্টি বুলিয়ে খুঁজে চলেছে তাকে। না কোথাও নেই। শেষমেষ ওয়াশ রুমেও গিয়ে দেখেছে। কোথাও না পেয়ে কিঞ্চিৎ অবাক হলো সে।তাশফিন নেই, কিন্তু কোথায় গেছে তাকে বলেও যায়নি।
বাহিরের আবহওয়া খুব একটা ভালো নয়। একটু পর পর আকাশ কেমন গুড়ুম গুড়ুম শব্দ তুলছে। শুকনো ঢোক গিললো ফারাহ। কোথায় গেছে তার অবাধ্য পুরুষ টা?
গ্রীবা দেশে তরল কিছু অনুভব করতেই আঁতকে উঠে ফারাহ, পেছন ফেরার বৃথা চেষ্টা করলো সে।
“ডোন্ট মুভ,আই’ম ইন দ্য মুড রাইট নাউ।”
নড়ার সাহস পেলো না ফারাহ। কন্ঠনালি কাঁপছে তার। বলিষ্ঠ হাতটি ধীরে ধীরে কোমড়ের দিকে উঠে আসছে তার। তাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে উদরের দিকে।
“ইওর বডি স্মেলস লাইক অ্যালকোহল। আই’ম গোইং ক্রেজি ফর ইউ।”
হাতের স্পর্শ গভীর হতেই পিছন ফিরে ঘুরে দাঁড়ালো ফারাহ। ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে যায় তাশফিন।উদরে তরল পদার্থ অনুভব করতেই পিটপিট চোখ করে তাকালো সেখানটায়। হাত থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে র’ক্ত পড়ছে। বুকের ভেতর টা ধড়াস করে উঠলো ফারাহর।
“এটা? আপনার হাত কে টে গিয়েছে। ব্যান্ডেজ লাগবে। আমি.. আমি এখুনি নিয়ে আসছি।”
অস্থির হয়ে উঠেছে ফারাহ,অধর বাঁকিয়ে হাসলো তাশফিন। ফারাহ ত্রস্ত পায়ে এগুতে নিলে শূন্যে তুলে নিলো তাকে তাশফিন। ভয়ে ভীত নয়নে তাকালো ফারাহ।
“কি করছেন?হাতে লেগে যাবে তো!আরে নামান।”
“বেইব আজ যদি র’ক্ত দিয়ে ছুঁয়ে দেই ,তুমি কি রেখে যাবে?”
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফারাহ, প্রত্যুত্তরে কি বলা যায় খুঁজে পাচ্ছে না সে।
“টেল মি, সুখো, উইল ইউ বি ম্যাড?”
গোলাপী ওষ্ঠো জোড়া কাঁপছে নিদারুণ ভঙিতে। অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলো না তাশফিন।হাত বুলিয়ে সর্বাঙ্গে তার র’ক্তে রঞ্জিত করে তুলে কন্যা কে। প্রতিটি স্পর্শে মুচড়ে যায় ফারাহ। কেঁপে উঠে ক্ষণে ক্ষণে সে।এক পলকে তার সহিতে মিশিয়ে একাকার হয়ে উঠে দুজনেই।
তাশফিনের রঞ্জিত রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলেছে ফারাহ, পিটপিট চোখ করে তাকালো সে। পরক্ষণেই চোখ বুঁজে আসে তার, ঠোঁটের ভাঁজে ঠোঁট গুঁজে রাখে। লম্বা একটি রজনী। নির্ঘুম, কাঁপনে , স্পর্শে।
হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেছে মনে হচ্ছে ফারাহ। বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চাচ্ছে না তার।উঠতে গিয়ে বুঝতে পারলো দুটো বলিষ্ঠ হাতের বাঁধনে আটকা পড়েছে সে। হাতের কথা মাথায় আসতেই ভ্রুদ্বয় কুঞ্চিত করে তাকালো। সফেদ রঙা ব্যান্ডেজ করা রয়েছে। ফারাহ মধ্য রাতেই জোরপূর্বক ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। একত্রে দু’জনে শাওয়ার নিয়ে হাত টা ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে ফারাহ। হাতটি কাছে এনে পরপর চুমু খেলো ফারাহ, বুকের বাঁ পাশে চেপে ধরলো সে।তার অবাধ্য লেফটেন্যান্টের কিছু হলে ফারাহ যে শেষ হয়ে যাবে।
“দিস ইজ নট ফেয়্যার সুখ, আমি আবার অবাধ্য হবো কিন্তু!”
ঘুম জড়ানো কন্ঠস্বর শুনে ঘাবড়ে গেল ফারাহ।পাশ ফিরে তাকালো সে। চোখ বন্ধ করেই শুয়ে আছে লোকটা।
“জেগে আছেন?”
“এভাবে চুমু খেলে কি আর ঘুমানো যায়!”
লজ্জায় নাকের ডগায় সুড়সুড়ি লাগছে ফারাহর।
“হাতটাই তো দেখছিলাম। আপনি তো সবসময় চু..
কথা গুলো আর বললো না ফারাহ, লজ্জার মাথা খেয়ে কি সব বলে দিচ্ছে! ঠোঁট কা’ম’ড়ে হাসলো তাশফিন। তুলতুলে গালে নাক ঘষে লম্বা নিঃশ্বাস টেনে বললো।
“কোথায় কোথায় চুমু খাই আমি?”
“ছিহ্ অস’ভ্য কথা বার্তা।”
“আই অ্যাম দ্যাট আনসিভিলাইজড লেফটেন্যান্ট অফ ইয়োর্স।”
“লাগবে আমার আপনাকে।”
“ভেবে বলছো তো মিসেস শেখ?”
নাক মুখ কুঁচকে নিল ফারাহ,রাগ মিশ্রিত কন্ঠে বলল।
“ভাবাভাবির কি আছে? আমার চাই না আপনাকে!”
“ঠিক আছে, তবে আমি না হয় অন্য কাউকে..
“কি বললেন আপনি? আপনি অন্য কাউকে কি? হ্যাঁ এই লেফটেন্যান্ট সাহেব বলুন বলুন!”
তাশফিন হেসে ফেলল, দু’হাতে জড়িয়ে ধরে ফারাহ কে। ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলে।
“অন্য কাউকে নয়, তোমাকে চাই।”
আজ গুনে গুনে ঠিক তিনদিন হয়েছে তারা রাঙামাটি ঘুরতে এসেছে। ফারাহ কে নিয়ে নিজের মতো করে সময় কাটিয়েছে তাশফিন।আরো কয়েকটা দিন থেকে ফিরে যাবে তারা বাড়িতে। হাতের অবস্থা মোটামুটি যথেষ্ট ভালো, ফারাহ মনে করে ঠিক দু বেলা হাতের ব্যান্ডেজ বদলে পরিষ্কার করে আবার ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
বাচ্চা বউ টা চোখের পলকে বড় হয়ে গেছে। ভীষণ যত্ন নিয়েছে তার। রাতের দিকটায় মুখ বুজে সব স’হ্য করে নেয়।তাশফিনের ভালোবাসা মেশানো আদর, যন্ত্রনা গুলো চুপচাপ মেনে নিয়েছে।
দূর থেকেও ভালোবাসা যায় এটা এখনো মেনে চলেছে নিহাল, নূপুরের সঙ্গে তার এখন বন্ধু সুলভ সম্পর্ক।মাহির নিহাল কে ছাড়া কিছুই বুঝে না। মাঝে মধ্যে এখন পৃথার কবরে গিয়ে খানিক্ষণ বসে সময় কাটায় নিহাল। শান্তি লাগে তার।
তাশফিন চেয়েছিল নূপুর আর তার বিয়ের কথাটা, কিন্তু নিহাল মানা করে দিয়েছে।সে এসব নূপুর কে পাওয়ার জন্য করছে না,সে কোনো মতেই চায় না তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হোক।সে যে রকম আড়ালে ভালোবেসে এসেছে সেই ভাবেই ভালোবেসে যাবে আজীবন।
❝’এক তরফা ভালোবাসা খুব সুন্দর, এগুলো এই তরফা প্রেমিক, প্রেমিকা গুলো কখনো কোনো কিছুর প্রত্যাশা করে না।তারা ভালোবেসে যায় নিঃস্বার্থ ভাবে।’❞
___ তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া আরো পড়তে চাইলে বইটি অর্ডার করতে পারবেন, মাত্র ৪০০ টাকা।
ব্যালকনিতে কফি কাপ হাতে বসে আছে তাশফিন। ফারাহ চুপচাপ এসে পাশে দাঁড়ালো তার। কাঁধে হাত রাখতেই হাত টেনে নিয়ে এলো নিজের সামনে।
“মিসেস শেখ হঠাৎ শান্ত হয়ে আছেন ব্যাপার কি?”
কোমড় টেনে কোলে বসিয়ে নিলো ফারাহ কে। হাতটি স্পর্শ করছে উদরে।
“মিসেস শেখ আপনার কি মনে হয় আমাদের এখন একজন সুখপাখি থাকা প্রয়োজন?”
ঘাড় ফিরিয়ে তাশফিনের দিকে তাকালো ফারাহ, বিস্মিত নয়নে তাকাতে দেখে ফিচলে হাসে তাশফিন।
“কি মিসেস শেখ বলছি কি প্রসেসিং শুরু করব নাকি সুখপাখি আনার?”
লজ্জায় মিইয়ে গেল, ফারাহ বদ লোকটা সবসময় অ’শ্লীল কথা বলে!
“উফ্ মিসেস শেখ এমন করলে তো ফিলিংস আসে, লাগবে লাগবে কাছে লাগবে।”
ফারাহ চকিতে কোল থেকে উঠে গেলো, কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্য।পরক্ষণেই নিজেকে শূন্যে অনুভব করে।
“পালিয়ে লাভ নেই সুখ, আপনার জায়গা আমার বুকে। এখানেই আসতে হবে।”
প্রচন্ড পেটে ব্যথা করছে ফারাহর। সকালে এসে দেখে গিয়েছেন রুবেনা শেখ।বিকেলের দিকে তাকে নিয়ে ডক্টরের কাছে গিয়ে এসেছে উনি।
মনের মধ্যে খুঁতখুঁতে করছে কিছু একটা। প্রেগন্যান্সি কিট হাতে ওয়াশ রুমে গেলো ফারাহ,হাত দুটো কাঁপছে থরথর করে।কি হবে ভাবতে পারছে না!
ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এলো ফারাহ, ভয় হচ্ছে তার। টকটকে লাল দু’টো দাগ দেখে বুকের ভেতর ধড়াস করে উঠল তার। নিঃশ্বাস ভারী হচ্ছে খুব! কন্ঠনালি কাঁপছে নিদারুণ ভঙিতে।
সদ্য ঘুম থেকে উঠেছে তাশফিন, পিটপিট চোখ করে তাকাচ্ছে আশেপাশে!উঠে বসার চেষ্টা করতেই কিছু একটা ঝড়ের বেগে এসে বুকে ভারী খেলো তার।’উফ ‘ শব্দে কঁকিয়ে উঠলো তাশফিন, বোঝার চেষ্টা করলো কিছু একটা।মুখের উপর এসে পড়া চুল গুলো সরিয়ে দেখলো স্নিগ্ধ মুখশ্রী। পিটপিট করে তাকাচ্ছে তার দিকে।
“কি হয়েছে মিসেস শেখ?”
“আই লাভ ইউ লেফটেন্যান্ট সাহেব।”
এই প্রথম বার ভালোবাসার কথাটি মুখে উচ্চারণ করেছে তার আদরের সুখ।অধর প্রশস্ত করে হাসে তাশফিন।
“আই লাভ ইউ টু সুখ।আই লাভ ইউ ইনফিনিটি..
ছলছল চোখে তাকায় ফারাহ, ওষ্ঠো জোড়া তখনো কাঁপছে তার।
“জান কি হয়েছে বলো আমাকে?”
বা হাতটি বিচরণ করছে তার বক্ষ ভাঁজে। ওষ্ঠো ছুঁয়ে চলেছে বারংবার। নিজেকে কন্ট্রোল করা বরাবরই মুশকিল তাশফিনের জন্য।
ডান হাতটি বের করে হাতে থাকা কিট টা এগিয়ে দিলো ফারাহ।চট করে তা টেনে নিলো তাশফিন। স্পষ্ট ঝলঝল করছে দুটো দাগ। ক্ষণিকের জন্য থমকে যায় তাশফিন। শুকনো ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে নিলো আলতো করে।চোখ দুটো তখনো স্থির হয়ে আছে দাগের দিকে।
“আ.. আপনি বাবা হচ্ছেন।”
দৃষ্টি সরিয়ে ফারাহর আদল পানে চাইলো সে,থমকে থাকা মুখাবয়ব একটুখানি বিস্ময় নিয়ে শুধোয়।
“অ্যাম আই গোইং টু বি এ ফাদার?”
“ইয়েস।”
নিজের ভেতরের উত্তেজনা টুকু ভেতরেই চাপা রেখে দুহাতে জাপটে ধরে ফারাহ কে।
“আই লাভ ইউ বে!আই লাভ ইউ সো মাচ।”
“আমিও ভালোবাসি খুবব।”
নিজেকে ধরে রাখাটা বড্ড কঠিন হয়ে উঠেছে তাশফিনের নিকটে। আকস্মিক বিছানায় শুয়ে দিয়ে উপরে চলে এলো। চমকে উঠে ফারাহ।
তরঙ্গে তোমার ছোঁয়া পর্ব ৫৮
“ক..কি করছেন এটা?”
“এই মাত্র না সঙ্গ চেয়েছিলে!”
“না না এখন কিছু না!”
“সরি সুখ,বাবা হচ্ছি একটু তো আদর করতেই হবে।”