তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৭

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৭
তাবাস্সুম খাতুন

সিমি ঘুমিয়ে পড়তেই নিশান সিমির কপালে গভীর চুম্বন করলো। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। তারপর উঠে গেলো।সিমি সুন্দর করে বেডে শুয়ে গায়ে ব্লাঙ্কেট জড়িয়ে দিলো। নিশান কাভার্ড থেকে সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট বাহির করলো। ওয়াশরুম এ ঢুকে গেলো। লম্বা একটা সাওয়ার নিয়ে একেবারে রেডি হয়ে বেড়িয়ে আসলো, চুলগুলো ডেসিং টেবিলের আয়নাতে দেখে ঠিক করে নিলো। বেডের এক পাশ থেকে নিজর ফোন টা তুলে জিহানের নাম্বারে কল দিলো। দুই তিনবার রিং হতেই রিসিভ হলো জিহান উদিগ্ন কণ্ঠে প্রশ্ন করলো,,,

“নিশান কোথায় তুই? সিমি কই? ওকে আবারো ঐরকম কিছু করিস নি তো?”
জিহানের এত কথার পেক্ষাতে নিশান সামান্য জবাব দিলো,,
“ইমিডিয়েটলি খেলার গোডাউন এ আয় ফার্স্ট।”
বলেই জিহান কে কিছু বলতে না দিয়েই নিশান কল কেটে দিলো।নিশান বেড়িয়ে গেলো তার গেস্ট হাউজ থেকে। সোজা নিজের গাড়িতে বসে অজানা গন্তব্যর দিকে পারি জমালো। এইদিকে জিহান ভ্রু কুঁচকে বিড়বিড় করলো,,
“এই সাইকোর আবার কি হলো? দুনিয়াই এত মানুষ থাকতে এই সাইকোর পিছনে ঘোরে কেন ভাই? জীবন টা আমার তেজপাতা হয়ে গেলো শালার কপাল করে একটা ভাই + বন্ধু পেয়েছি নিজেকেই ধিক্কার জানাই।”
জিহান ওয়াশরুম এ ঢুকে ফ্রেশ হয়ে আসলো চুল গুলো ঠিক করে সেও বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো চলে গেলো নিশানের বলা ঠিকানা তে।আধা ঘন্টার ভিতরে জিহান ও সেখানে পৌঁছালো। নিশানের গাড়ি দেখলো ডিক্কির উপরে শুয়ে সিগারেট টানছে সে। জিহান গাড়ি থেকে নেমে নিশানের কাছে গিয়ে বললো,,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“নিশান সিমি কই? ও ঠিক আছে তো?”
নিশান এর কর্কশ জবাব,,
“আমার বউ এর খোঁজ নিয়ে তোর কি হবে?”
জিহান এই কথা না বলে বললো,,
“এইখানে ডাকছিস কেন?”
নিশান গাড়ি থেকে নেমে সিগারেট টা ফেলে দিয়ে বললো,,
“খেলা করতে আসছি।”
জিহান — “তোকে আমি পাবনায় ভর্তি করতে যাবো সমস্যা কি তোর? কত মানুষের জান নিবি তুই? একটু আগেও নাকি দুটো ছেলের কলিজা ছিঁড়ে আনছিস? কি হয়েছে কি তোর? কই ইতালি থাকতে তো এমন করতিস না।”
নিশান জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“যাদের জান নেই ওরা ভালো না, ওদের সবথেকে বড়ো অপরাধ আমার ইশুর দিকে তাকানো ইশু কে ছুঁতে চাওয়া।”
জিহান — “এইখানে আসছিস কি করতে?”
নিশান — “খেলা করতে।”

বলে এগিয়ে গেলো নিশানের সাথে সাথে জিহান ও গেলো জিহান বললো,,,
“তোর খেলা তো এমনি একটু অর্ধেক না, একটু আগেই দুটো কে নির্মম ভাবে খুন করেছিস এখন এইখানে কার সাথে রক্তের খেলা করতে আসছিস?”
নিশান উত্তর না দিয়ে শুধু বাঁকা হাসলো। তারা হেঁটে গেলো জঙ্গলের ভিতরে। একটু হেঁটে যেতে নিশান বসলো হাঁটু গেড়ে সেখানে মাটির উপরে হাতড়িয়ে একটা সুইচ খুঁজলো পেয়ে গেলো সেখানে চাপ দিতেই মাটির নিচে যেন ফাঁকা হয়ে গেলো। নিচে যাওয়ার জন্য রাস্তা দেখা গেলো। নিশান ঢুকলো নিশানের সাথে জিহান ও ঢুকলো। তারা ঢুকতে আবারো সেই দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। তারা হেঁটে নিচে নামলো। নিচে নামতেই দেখা মিললো বড়ো বারান্দা। বাম পাশে একটা রুম। আর ডান পাশে বড়ো খাঁচা সেখানে আছে হিংস্র শেয়াল। বারান্দায় প্রায় দশ পনেরোটা কালো পোশাক পরিহিতা বডিগার্ড দাঁড়িয়ে আছে বন্ধুক হাতে নিয়ে। নিশান কে আসতে দেখে শেয়াল গুলো হুহংকার ছাড়তে লাগলো। নিশান শেয়াল দের কাছে গিয়ে বললো,,,

“তোদের আহার দেওয়ার জন্যই আমি এসেছি।”
বলে বাম পাশে থাকা রুমের দিকে এগিয়ে গেলো। জিহান ও গেলো তার পিছু। দরজা খুলে প্রবেশ করলো নিশান সাথে জিহান ও। এই রুমে একমাত্র জিহানই প্রবেশ করতে পারবে তাছাড়া আর কেউ না। কেউ যদি ভুল বসত করে ফেলে নিশান তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করবে সেই ভয়ে কেউ ঢোকে না। রুমে ঢুকতেই জিহানের নাকে বিচ্ছিরি গন্ধ ভেসে আসলো উটকো রক্তের গন্ধ গা গুলিয়ে আশার মতো।হলদেতে আলো রুমের ভিতরে। চারিদিকে রক্ত আর রক্ত। দেয়ালের বাম পাশে সব ধরণের অস্ত্র সাজানো আছে। ডান পাশে আছে বিভিন্ন ধরণের ক্রিমিনাল ওষুধ এসিড। জিহানের চোখ গেলো সামনে একটা লোকের দিকে যাকে বেঁধে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে অজ্ঞান হয়ে আছে। জিহান লোকটা কে দেখেই চিনতে পারলো নিশান কে বললো,,,

“তুই ডাক্তার কে কেন এনেছিস? ও তোর কি করলো?”
নিশান কিছু না বলে ডাক্তারের কাছে গেলো পাশে থাকা এক বালতি পানি ডাক্তার এর গায়ে ঢেলে দিলো। ডাক্তার হকচকিয়ে উঠলো জ্ঞান ফিরলো। নিভু নিভু চোখে তাকালো। দুই তিনবার চোখ বুজে ভালো ভাবে তাকালো সামনে নিশান কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলো,,,
“আমি এইখানে কেন? আমাকে এইখানে কেন এনেছো?”
নিশান — “খেলা করতে।”

ডাক্তার — “খেলা করার জন্য এই রুম আমার বমি আসছে তুমি কে? এইখানে কেন এনেছো আমাকে?”
নিশান বাঁকা হেসে বললো,,,
“ডাক্তার এইটাই তো সবথেকে সুন্দর জায়গা এই রুমের গন্ধ নেওয়ার অনুমতি একটা পাখির ও নেই সেখানে তুই কত ভাগ্যবান ভেবে দেখেছিস?”
ডাক্তার — “তুই কে রে এইভাবে এনেছিস কেন আমাকে? আমাকে চিনিস আমার বন্ধু কিন্তূ বড়ো সিআইডি অফিসার একবার কল দিলে পুরো গ্যাং নিয়ে তোকে হাজতে পুড়তে আসবে।”
নিশান — “তোর বন্ধু সিআইডি but তুই তো না।”
ডাক্তার — “সিআইডি না তো কি হয়েছে? আমি ডাক্তার মানুষ কে নতুন জীবন ডান করি।”
নিশান ঘাড় এইপাশ ওইপাস করে বললো,,,,

“জীবন দেই আল্লাহ, জীবন নেই ও আল্লাহ তবে উসিলা হিসাবে দুইজন থাকে। এক তুই ডাক্তার জীবন আল্লাহ দেই তুই হাল্কা সাহায্য করিস। আর মৃত্যু যেইটা আল্লাহ দেই আমি কাজ করি।”
ডাক্তার — “তার মানে তুমি খুন কর। সে যা কর তাতে আমার কিছু যাই আসে না আমাকে ছেড়ে দাও।”
নিশান — “এত দ্রুত কিভাবে ছেড়ে যাবো? একটু যত্ন করতে হবে তো?”
ডাক্তার — “লাগবে না কিছু ছাড়ো।”
শান্ত থাকা নিশান যেন হিংস্র হয়ে উঠলো ডাক্তারের চুল জোরে চেপে ধরে চিৎকার করে বললো,,,
“হারামির বাচ্চা হাসপাতালে এত এত মহিলা ডাক্তার থাকতে তুই কেন আমার ইশুর দিকে হাত বাড়িয়েছিস? বল কুত্তার বাচ্চা বল?”
ডাক্তারের চুল ধরায় তার ভীষণ ব্যাথা লাগছে ইশু কে চিনতে না পারাই ডাক্তার বললো,,
“ইশু কে?”
ইশু কথা ডাক্তার এর মুখ থেকে শুনতেই গাল চেপে ধরলো সর্ব শক্তি দিয়ে হয়তো গালের হাড় ভেঙে গেসে। নিশান দাঁতে দাত চেপে বললো,,,

“তোর ওই Fuck মুখে আমার ইশুর নাম উচ্চারণ করবি না রাস্কেল।”
বলে তাকে ছেড়ে দিয়ে টেবিলের কাছে গেলো সেই জায়গা থেকে একটা ছুরি আর লঙ্কা গুঁড়ো আনলো। ডাক্তার এর ডান হাত নিয়ে ফটফট করে সবগুলো আঙ্গুল কেটে দিলো। আর্তচিৎকার দিয়ে উঠলো ডাক্তার। ওর আওয়াজ এই রুমে বারবার বাজছে নিশান সেই সাথে ওই কাঁটা আঙুলে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিলো। ডাক্তার এর যেন জান বেড়িয়ে এসেছে গলা ফেঁটে যাচ্ছে তার চিৎকার করাই। জিহান শুধু তাকিয়ে দেখছে আর নিশান যেন এইসব করে শান্তি পাচ্ছে।ডাক্তার এইদিকে এখনো চিৎকার করে যাচ্ছে। এর মধ্যে নিশান বড়ো একটা পাত্রের মধ্যে পুরো নাইট্রিক এসিড দিয়ে ভর্তি করলো। আবারো সেই ডাক্তার এর কাছে গেলো। ডাক্তার কে বললো,,,
“কি ব্যাপার ডাক্তার এত চিৎকার করোস কেন? কানে তালা লেগে যাই।”
ডাক্তারের কথা বলার শক্তিই নেই। নিশানের হাতে একটা বোতল আছে। সেইটার মুখ খুললো সাথে সাথে পুরো রুমে বিচ্ছিরি গন্ধ ভেসে গেলো। জিহানের নিজেরও বমি উঠে আসছে সে দ্রুত নাক চেপে ধরলো ডাক্তার এর নাকে গন্ধ আসছে কিন্তূ সে কি করবে। নিশান বলে উঠলো,,,

“আমার ইশু কে ছুঁয়েছিস তাই হাত কেটে দিলাম। আমার এই টর্চার সেলে আসলে কেউ প্রান হাতে বেরোতে পারে না তোর জন্য ও মৃত্যু অপেক্ষা করছে তার আগে এই রক্ত তা খাবি। যেইটা শুকরের রক্ত আজ দশ মাস ধরে রেখে দিয়েছি তোদের মতো জানোয়ার দের খাওয়াবো বলে।”
এই বলেই নিশান ডাক্তারের মুখে বোতল ঢুকিয়ে দিলো। গলা দিয়ে নামতেই ডাক্তার বমি করে দিলো কিন্তূ নিশান ঐভাবেই এখনো খাইয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ শেষ করে তবে ফেলে দিলো। ডাক্তার বমি করছে এখনো। নিশান এইবার ওর হাতে পায়ের দড়ি খুলে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে পাত্র ভর্তি নাইট্রিক এসিডে ফেলে দিলো। ডাক্তার ছটফট করতে লাগলো দেখতে দেখতে সারা দেহ ঝলসে গেলো একদম। মরে গেছে। নিশান বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে ওর সাথে জিহান ও বেড়িয়ে গেলো। তারা একদম এই জায়গা ছেড়ে দিলো বাইরে বেড়িয়ে আসলো। জিহান নিশান কে বললো,,,

“নিষ্ঠুর হত্যা।”
নিশান কিছু বললো না। গাড়ির কাছে এসে জিহান কে বললো,,,
“বাড়ি যা আমি গেস্ট হাউজ এ যাচ্ছি।”
নিশান যেই ঢুকবে অমনি জিহান বলে উঠলো,,,
“আমাদের আবারো ইতালি যেতে হবে।”
নিশান ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো,,
“কি জন্য?”
জিহান — “বিজনেস নিয়ে।”
নিশান — “সবকিছু দেশে ট্রান্সফার করেই তো এসেছি তাহলে ঐখানে কি করতে যাবো?”
জিহান শান্ত কণ্ঠে জবাব দিলো,,,
“সবকিছু শেষ করলেই শেষ হয়ে যাই না। কিছু কিছু জিনিষ থেকে যাই।”
নিশান নিজের রাগ সংবরণ করে বললো,,,
“কবে যেতে হবে?”

জিহান — “দুপুর একটাই ফ্লাইট।”
নিশান জিহানের কলার চেপে ধরে দাঁতে দাত চেপে বললো,,
“শালা আর কই ঘন্টা পরে ফ্লাইট আর তুই আমাকে এখন বলছিস?”
জিহান — “আমি তো নিজেই একটু আগে খবর পেয়েছি আর পেয়েই ইমার্জেন্সি টিকিট নিয়েছি।”
নিশান জিহানের কলার ছেড়ে দিয়ে বিরক্তি নিয়ে বললো,,,
“ভাবছিলাম বউ নিয়ে দুই দিন নিরুদ্দেশ থাকবো কিন্তূ শালা হতে দিলো না।”
জিহান ভাব নিয়ে বললো,,

“আমি যে তোর শালা এইটা আমি জানি। তাই বারবার মনে করাতে হবে না।”
নিশান জিহানের দিকে এক পলক তাকিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ি ঘুরালো গেস্ট হাউস এর দিকে। নিশান কে যেতে দেখে জিহান ও নিজের গাড়িতে উঠে বসলো। নিশানের গাড়ি য্খন তার গেস্ট হাউস এ থামলো তখন ফজরের আজান দিচ্ছে। সিমির ঘুম ভেঙে গেসিলো সে বেলকুনিতে বসে ছিলো। নিশানের গাড়ি দেখে দ্রুত রুমে গিয়ে আবারো বেডে শুয়ে পড়লো ব্লাঙ্কেট জড়িয়ে। নিশান হন্তডন্ত পায়ে রুমে ঢুকলো। এসেই দেখলো সিমি এখনো ঘুমিয়ে আছে। নিশান সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। এইদিকে সিমি মনে মনে বললো,,,
“বডি আলা মানুষদের কি চৌদ্দ বার গোসল করা লাগে?”

সিমি উঠলো না ঐভাবেই শুয়ে রইলো নিশান দশ মিনিটের মধ্যে ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসলো সাওয়ার নিয়ে। পরনে তার শুধু একটা টাওয়াল চুল থেকে টুপটাপ পানি পড়ছে। সে এসে বেডে বসলো সিমির দিকে তাকালো ঘুমিয়ে আছে। নিশান সিমির ডান হাত নিজের হাতের মধ্যে জড়িয়ে ধরলো চুমু দিলো হাতে। কেঁপে উঠলো সিমি নিশান সিমির মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“দেখো মেয়ে, আমি চলে যাচ্ছি বলে এইটা না যে তোর দশটা পাখা গজাবে। আমি যেইখানেই থাকি না কেন আমার নজর সবসময় তোর উপরে নিবদ্ধ। যদি দেখছি কোন ছেলের সাথে কথা বলতে কোন ছেলের দিকে তাকাতে সেই ছেলেকে তো জানে মারবই সাথে তোকেও বুজিয়ে দেবো কত ধানে কত চাল হয়।”
নিশানের কথা শুনে সিমির ভয় লাগছে মনে হয় ঘুমানোর নাটক হবে না কিন্তূ তাও থাকতে হবে মনে মনে বললো,,,
“বিদেশি কুত্তা যাচ্ছে কোথায়?”
নিশান এইবার শান্ত কণ্ঠে বললো,,,

“কাজের খাতিরে আমি ইতালি যাচ্ছি, তবে আমার নজর তোর উপরে রেখেই যাচ্ছি আপাতত কবে আসবো জানিনা। তবে দ্রুত আসবো। আমি চাই আমি না থাকলেও যেন তুই আমাকে মনে রাখিস আমার দেওয়া আঘাত এর কথা ভেবে আমার জন্য কান্না করিস। আমি চলে গেলাম ভালো থাকিস।”
বলে সিমির কপালে চুমু দিয়ে নিশান রেডি হয়ে নিলো। নিশান জানে সিমি ঘুমানোর নাটক করছে তাই তো এত গুলো কথা বললো। নিশান একেবারে রেডি হয়ে বেড়িয়ে গেলো গেস্ট হাউজ থেকে। অফিসের কিছু কাজ আছে সেইটাই কমপ্লিট করে ওই জায়গা থেকে এয়ারপোর্ট এ চলে যাবে। এর মধ্যে তিহান কে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছে যেন সিমি কে নিয়ে যাই। এইদিকে নিশান চলে যেতে সিমি উঠলো বুকে হাত দিয়ে দুই তিনবার নিশ্বাস নিচ্ছে নিজের উপরে গর্ব হচ্ছে বিদেশি কুত্তা কে ধোঁকা দিতে পেরে। সিমি বললো,,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৬

“আচ্ছা বিদেশি কুত্তা তুই যেইখানে খুশি সেখানে যা, আমার কিছু আসে যাই না। কিন্তূ আমার উপরে নজর রাখতে কে বলেছে তোকে? আল্লাহ ওই যেন আর বাড়ি না আসে আমি শান্তিতে থাকতে পারবো শালা বিদেশি কুত্তা হারামি আমার সারাজীবন মনে থাকবে ওই এনাকোন্ডা আমাকে জ্যান্ত কবর দিতে চেয়েছে।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৮

1 COMMENT

Comments are closed.