তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২৪

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২৪
তাবাস্সুম খাতুন

জিহান নিজের রুমে বসে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলো। সেই সময় মেহেরিমা তার রুমে ঢুকলো। মেহেরিমা গিয়ে জিহানের পাশে বসলো। জিহান বললো,,,
“কিছু লাগবে?”
মেহেরিমা ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“কিছু লাগা ছাড়া কি আমি আমার ছেলের রুমে আসতে পারবোনা?”
জিহান — “হ্যা আসতে পারবে তবে কোনোদিন আসো নি হুট্ করে আসলে তাই জিজ্ঞাসা করলাম।”
মেহেরিমা একটু কেশে বললো,,,

“তুই বিয়ে করবি না?”
জিহান কাজ করতে করতে বললো,,,
“সময় হলে অবশ্যই করবো।”
মেহেরিমা সিরিয়াস হয়ে বললো,,,
“তো সময় টা কবে হবে শুনি? বয়স তো কম হলো না?”
জিহান স্বাভাবিক ভাবেই বললো,,,
“মাত্র ২৯ বছর বয়স।”
মেহেরিমা — “২৯ বছর তোর কাছে মাত্র লাগছে?”
জিহান — “হ্যা অবশ্যই।”
মেহেরিমা এইবার রাগানিত্ব কণ্ঠে বললো,,,
“অবশ্যই না ছায় বুড়ো হয়ে যাচ্ছিস তুই দিন দিন। মেয়ে খুঁজে পাবো না তোর জন্য আমি।”
জিহান একই ভাবে কাজ করতে করতে বললো,,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোমাকে মেয়ে খুঁজতে হবে না।”
মেহেরিমা — “খুঁজবো না মানে আমি মা আমার দায়িত্ব একটা লক্ষী মেয়ে খুঁজে তোর সাথে বিয়ে দেওয়া।”
জিহান একটু বিরক্তি কণ্ঠে বললো,,,
“উফফ মা তুমি যাও তো।”
মেহেরিমা নড়লো না বরং বললো,,,
“যাবো মানে আমি একটা সুন্দর মেয়ে পেয়েছি ওর সাথে তোর বিয়ে দেবো। খুব সুন্দর দেখতে একদম তোর সাথে দারুন মানাবে।”
জিহানের যেন রাগ হচ্ছে ও গম্ভীর মুখে বললো,,,
“তুমি যাবে এই জায়গা থেকে?”
মেহেরিমা — “তুই চিনিস ওকে নাম টা শোন।”
জিহান এইবার জোরেই বললো,,,
“করবো না আমি বিয়ে তুমি চলে যাও।”
মেহেরিমা উঠে দাঁড়িয়ে বললো,,,

“আরো বুড়ো হবি তবে মেয়ে পাবি না যদি আমাকে পছন্দ করা মেয়ের সাথে বিয়ে না করিস থাক তুই।”
বলেই মেহেরিমা বেড়িয়ে গেলো। তখনি দেখা হলো সিমির সাথে। মেহেরিমা সিমি কে ফিসফিস করে বললো,,,
“কিরে সিমি জিহান বিয়েই করতে চাই না কিভাবে কি হবে?”
সিমি আশ্বাস দিয়ে বললো,,,
“একদম চিন্তা কর না বিয়ে হবেই তাও ওদের সম্মতি তেই।”
মেহেরিমা সিমির মাথায় হাত বুলিয়ে নিচে চলে গেলো। সিমি এইবার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে নক করে বললো,,,
“ভাইয়া আসবো।”
জিহান দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে সিমি বললো,,,
“হুম।”

সিমি ভিতরে ঢুকলো জিহান বসতে বললো সিমি বসলো। সিমি কিছু বলতে যাচ্ছে কিন্তূ বলতে পারছেনা অসস্তি লাগছে। যেইটা জিহান খেয়াল করলো বললো,,,
“কিছু বলবি?”
সিমি জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,,,
“ইয়ে মানে কিভাবে শুরু করবো বুজতে পারছিনা।”
জিহান সিমি কে সাহস জুগিয়ে বললো,,,
“যেইভাবে বলতে চাস সেইভাবেই শুরু কর।”
সিমি এইবার একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে বললো,,,
“আমি জানিনা ভাইয়া তুমি কেন সামু কে হুট্ করে বিয়ে করতে চাও? তবে ওর বিষয়ে জানা উচিত ওর অতীত সম্পর্কে তোমার জানা উচিত। যেন পরবর্তী তে এইসব শুনে তাকে ছেড়ে চলে না যাও।”
জিহান ল্যাপটপ রেখে সিমির দিকে তাকিয়ে বললো,,,

“কি অতীত?”
সিমি বলা ধরলো,,,
“দুনিয়াতে ওর রক্তের বলতে কেউ নেই। না আছে বাপ মা আর না আছে ভাই বোন। আমরাই ওর সব। আমার আব্বু কে আব্বু মানে আমার মাকে মা মানে। তোমরা জানো না এইসব। তবে সত্যি কথা বলতে সামু একজন ধর্ষিতা।”
সিমির গলা কাঁপছে কথা বলতে। তাও থামলো না। বলতে লাগলো,,,

“ধর্ষিতা শব্দ টা শুনে নিশ্চই সামু কে খারাপ ভাবছো। ভাবো সমস্যা নেই তবে সত্যি যদি তুমি ওকে চাও ওর অতীত সম্পর্কে শোনো। ওর বাড়ি সেই চট্টগ্রামে। এই খান থেকে দশ বছর আগেরই কথা যেইসময় নিশান ভাই বাংলাদেশ থেকে চলে গেছিলো। সামুরা দুই ভাই বোন। ওর একটা ছোট ভাই ছিলো দুই বছরের। ওরা একদিন ফ্যামিলি শুধু ঘুরতে যাই। ঢাকার দিকে। ওর আব্বু ছিলো সিআইডি অফিসার। যার দরুন অনেক শত্রু ছিলো। ওদের গাড়িটা তে বোম ফিট করে দেই। সামুর বমি হচ্ছিলো তাই সে বাইরে ছিলো সাথে তার আম্মু ছিলো। ওর ভাই কান্না করাই ওর আম্মু ভিতরে যাই সামুর কাছে পানি দিয়ে আসে ও মুখ ধুতে বসতেই হুট্ করে জোরে শব্দ হলো। সামু ছিটকে পড়লো একটু দূরে। সে তাকিয়ে দেখছে তার বাবা মা ভাই আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। অনেক কান্না করছে কিন্তূ পাই নি কাউকে সাহায্য হিসাবে। ”
থামলো সিমি কান্না রা দলা পাকিয়ে আসছে। জিহান মনোযোগ সহকারে শুনছে সবকিছু। সিমি নিজেকে সামলিয়ে আবারো বলা শুরু করলো,,,

“ওইদিকে যারা বোম ফিট করেছিল তারা ভাবছিলো পরিবারের সবাই মারা গেছে তাই আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসছে। কিন্তূ তাদের ভুল ধারণা সামু বেঁচে আছে কান্না করছে। মাত্র নয় বছর বয়সী সামু তখন। ঐখানে দুইটা ছেলে ছিলো। ওদের মধ্যে বারে ওই ছোট্ট শিশুর প্রতি তাঁদের ললসা হয়। দৈহিক চাহিদা বারে হামলিয়ে পরে সেই ছোট্ট বাচ্চার উপরে নিয়ে যাই ঝোপের আড়ালে। হিংস্র পশুর মতো ঝাঁপিয়ে পরে সেই দুই নরপশু নিজের তৃস্না মিটিয়ে ছেড়ে দেই। এমন অবস্থা করে বেঁচে থাকার চান্স নেই। ওরা ভাবে হয়তো মরে যাবে তাই ঐভাবে ফেলে চলে যাই।”
সিমি থামলো কান্না করছে ও বলতে পারছেনা আর কিছু জিহানের চোখেও পানি টলমল করছে। পুরুষ জাতি হিসাবে নিজেকে নিজেরই ঘৃণা হচ্ছে। সিমি আবারো বললো,,,

“সেইদিন আমি আর আব্বু সাথে জারা আমরা তিনজন মিলে ঘুরতে এসেছিলাম। ওইখানে পাহাড় মতো ছিলো ঐখানে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি আর জারা অনেক আনন্দ করছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমরা সেই জায়গায় গেলাম যেইখানে অনেক মানুষ ভীর করে আছে একটা জ্বলন্ত গাড়ি দেখা গেলো। আমি আর জারা ভয় পেয়ে গেলাম দূরে ঝোপের পাশে দাঁড়ালাম আব্বু কি হয়েছে সেইটাই জানতে ঐদিকে গেলো। আমি আর জারা য্খন ঐখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন শুনতে পেলাম একটা বাচ্চা মেয়ের গুঙানীর শব্দ। আমরা আরো ভয় পেলাম তাও সাহস করে ঝোপের আড়ালে দেখলাম। সেখানে দেখি একটা মেয়ে পরে আছে। গায়ের জামা কাপড় ছেড়া। রক্ত লেগে আছে। মুখের গলার কি অবস্থা।আমরা ভয় পেয়ে গেলাম দৌড়ে আব্বুর কাছে গেলাম আব্বু কে দেখে আনলাম আব্বু কে সব বললে আব্বু দেখে চুরি করে ওকে কোলে নিয়ে আমাদের গাড়িতে ফিরে আসে আমরা সেই জায়গা থেকে সোজা হাসপাতালে যাই। চিকিৎসা শুরু হয় ওর। টানা দুই মাস তার চিকিৎসা চলার পরে সে সুস্থ হয়। তবে ভয়ে ভয়ে থাকতো।আস্তে আস্তে একটু কমফোর্টেবলে ফিল করলো। তারপর সে আমাদের সবকিছু খুলে বললো। তখন থেকে আব্বু সামু নিজের মেয়ে বলেই পরিচয় দেই।”

সিমি থামলো টি টেবিলে থাকা পানি নিয়ে এক গ্লাস পানি খেলো। উড়না দিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো। জিহানের চোখ থেকেও পানি গড়িয়ে পড়লো। জিহান মুছে নিলো। সিমি এইবার জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“ডিসিশন তোমার। এখন তুমি সামু কে বিয়ে করবে নাকি করবে না। ও একজন ধর্ষিতা এইটা জেনেও যদি বিয়ে কর তবে আমার পক্ষ থেকে একটাই কথা। সামু খুব ভালো মেয়ে তোমাকে কখনো ঠকাবে না। তবে তোমাকেও কথা দিতে হবে ভাইয়া। আমার বোন টাকে কোনোদিন ঠকাবে না। সিদ্ধান্ত তোমার। আমি এখন যাচ্ছি।”

বলে সিমি রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।সিমি রুম থেকে যেতেই জিহান চোখ বন্ধ করে নিলো। সামিয়ার অতীত শুনে বুকের ভিতরে কেমন কষ্ট হতে লাগলো। নিজেকে পুরুষ হিসাবে ঘৃণা হতে লাগলো। ভালো লাগছে না কিছু। সে ওয়াশরুম এ ঢুকে গেলো লম্বা সাওয়ার নেবে যদি একটু ভালো লাগে।এইদিকে সিমি রুম থেকে বেড়িয়ে নিজের রুমে ঢুকে বেডে শুয়ে কান্না করতে লাগলো। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। এক এক সময় সামিয়ার মুখের দিকে তাকাতেই বুক টা হাহাকার করে। খুব কষ্ট হয়। জিহান ভালো ছেলে তবে তার জানা উচিত যাকে নিজের অর্ধাঙ্গিনী বানাবে তার ভালো মন্দ সবকিছু জানুক জেনে তবেই ভালোবাসুক। তাইতো সিমি সবকিছু বলে দিলো। নিশান মাত্র বাসায় ফিরলো সময় এখন রাত নয়টা বেজে পঁচিশ মিনিট। রুমে ঢুকতেই শুনতে পেলো সিমির কান্নার আওয়াজ। নিশান দ্রুত রুমে ঢুকে বেডে গেলো সিমি কে উবুড় হয়ে কান্না করতে দেখে ওকে উঠালো নিজের মুখোমুখি বসালো। চোখ দুটো ফুলে উঠেছে। নাক লাল হয়েগেছে। কান্না করতে পারচ্ছেনা ফুফাচ্ছে। নিশানের বুকের ভিতরে যেন কেউ হাতুড়ি পেটাত্তে লাগলো। নিশান উত্তেজিত কণ্ঠে বললো,,,

“কি হয়েছে তোর? এইভাবে কান্না করছিস কেন?”
সিমি কিছু বলছে না চুপ করে কান্না করছে। নিশান এইবার একটু জোরেই বললো,,,
“সমস্যা কি বল কান্না করছিস কেন? কেউ কিছু বলেছে তোকে?”
সিমি মাথা এইপাসে ঐপাশে নাড়ালো মানে না তাকে কেউ কিছু বলে নি। নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,
“তাহলে কান্না করছিস কেন?”
সিমি তাও চুপ রইলো নিশানের এইবার রাগ হচ্ছে মেয়ে জাত এত তেড়া কেন? একটা কথার জবাব কি সোজা ভাবে দেওয়া যাই না? নিশান ধমক দিয়ে বললো,,,
“তোর মেয়ে জাতি এমন কেন? তেড়া তেড়া ভাব সবসময়। সোজা ভাবে বলতে পারিস না নাকি?”
নিশানের ধমক শুনে সিমি কান্না করতে করতেই বললো,,,

“স্বামীর বাম পাঁজরের হাড় দিয়েই তাদের অর্ধাঙ্গিনী দের তৈরী করা হয়। তাই আমাকে তেড়া বলার আগে দশবার ভাবুন আপনার হাড়ের কোয়ালিটি কত ভালো?”
নিশানের রাগের মাত্রা বাড়ছে সে বললো,,,
“লেকচার না দিয়ে উত্তর দে। কান্না করছিস কেন?”
সিমি এইবার সব কথা খুলে বললো। যেইটা শুনে নিশানের আরো রাগ হচ্ছে। সে এইবার সিমি কে নিজের কোলে নিয়ে বসালো। সিমির ঘাড় থেকে চুল গুলো সরিয়ে সেখানে একটা গভীর চুমু দিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে হাঁস্কি টোনে বললো,,,

“দ্বিতীয়বার যেন তোকে আমি কাঁদতে না দেখি। তুই কান্না করবি তবে দুটো কারণে। আমার দেওয়া শাস্তি তে যেই আঘাত পাবি। আর দ্বিতীয় আমার থেকে পাওয়া আমার হিংস্রতার উন্মাদ ভালোবাসার আঘাত যা তোকে জখম করবে।এই দুই বিষয় ছাড়া তুই একদম কান্না করবি না।ইশু আজকেই লাস্ট তুই শুধু আমার জন্যই কান্না করবি। আমার দেওয়া অত্যাচার আর আমার দেওয়া হিংস্রতার ভালোবাসা। বুজেছিস তুই আমাকে কথা?”
সিমি মাথা নাড়লো। নিশান বললো,,,
“খেয়েছিস?”

সিমি মাথা দুইপাশে নাড়লো। নিশান সিমি কে কোল তথেকে নামিয়ে বললো,,,
“ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার আনছি।”
সিমি মাথা নাড়িয়ে ওয়াশরুম এ ঢোকে। নিশান নিচ থেকে প্লেটে করে সিমির জন্য পর্যাপ্ত খাবার আনে। এর মধ্যে সিমি ফ্রেশ হয়ে চলে আসে। সিমি কে সোফায় বসিয়ে প্লেট সামনে রেখে বললো,,,
“আমি এসে যেন দেখি সব খাবার শেষ হয়ে গেছে, শেষ না হলে তোর কপালে দুঃখ আছে ইশু।”
বলে নিশান ওয়াশরুম এ ঢুকে পড়লো। এইদিকে সিমি নিশান কে রেখে খেতে পারছেনা। কিভাবে খাবে তাকে রেখে। তাই চুপ করে বসে রইলো। দশ মিনিটের ভিতরেই নিশান বেড়িয়ে এলো দেখলো সিমি এখনো খাই নি। নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,

“খাস নি কেন এখনো?”
সিমি মাথা নিচু করেই বললো,,,
“আপনি খেয়েছেন?”
নিশান সিমির কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,,,
“না।”
সিমি নিশানের দিকে তাকাতেই দেখে শুধু একটা টাওয়াল জড়ানো সিমি দ্রুত চোখ নামিয়ে বিড়বিড় করে বললো,,,
“এই বেডার এত জামা থাকতে ফকিরের মতো সবসময় খালি গায়ে বেড়াই কেন? ছি ছি লজ্জাকর পরিস্থিতি।”
নিশান ধমক দিয়ে বললো,,,,

“মার খাবি আমাকে হাতে এখন? খাস নি কেন বলেছিলাম না সব শেষ করতে?”
সিমি — “আপনি খান নি এখনো তাই আমিও খাই নি।”
সিমি মনে করলো নিশান আবারো ধমক দেবে কিন্তূ না। উল্টে নিশান বললো,,,
“তাহলে খাইয়ে দে আমাকে!”
সিমি একবার প্লেটের দিকে তো একবার নিশানের দিকে তাকালো নিশান এইবার ধমক দিয়ে বললো,,,
“কি হলো কানে কথা যাই না খাইয়ে দে।”
সিমি প্লেট হাতে নিয়ে লোকমা বানাতে বানাতে বীরবড়ি করলো,,,
“আমাকে কি একটু শকড হয়েও থাকতে দিবি না বেডা। শুধু ধমক আর ধমক।”
এক লোকমা নিশানের মুখে দিলো সিমির কেমন যেন একটা অনুভূতি হলো। লজ্জা লাগছে। নিশান বললো,,,
“খা এইবার।”

সিমি কোন কথা না বলে নিজেও খেলো। খাওয়া শেষ হতে সিমি হাত ধুয়ে প্লেট রেখে দিলো। নিশান একটা শর্ট প্যান্ট পরে নিলো। সিমি বললো,,,
“আপনি জামা পড়বেন না?”
নিশান — “না।”
সিমি চোখ বড়ো বড়ো করে বললো,,,
“কেন আপনার লজ্জা লাগছে না?”
নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“কিসের লজ্জা?”
সিমি — “এইযে আমি আছি?”
নিশান স্বাভাবিক ভাবেই বললো,,,
“হ্যা তো কি হয়েছে?”

সিমি — “কি হয়েছে মানে? আমার সামনে বুজি আপনার লজ্জা লাগবে না?”
নিশান — “লজ্জা লাগবে কেন? তুই চাইলে সবকিছুই খুলে দিতে পারি।”
সিমি তওবা করতে করতে বললো,,,
“আস্তাগফিরুল্লাহ নাউযুবিল্লাহ মুখের লাগাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে একটু লজ্জা রাখেন।”
নিশান বেডে গিয়ে বসে বললো,,,
“লজ্জা নারীর ভূষণ। পুরুষ দের নয়। পুরুষ রা যদি লজ্জা করে তবে জীবনে কখনো বাপ ডাক কেউ শুনতে পাবে না।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২৩

সিমি কিছু বললো না বেশি কথা বললে আবারো লজ্জা জনক কথা বলবে তাই চুপ রইলো। নিশান সিমি কে বেডে ডাকলো। সিমি গেলো। বেডে শুয়ে পড়লো। নিশান লাইট অফ করে দিলো। সিমি কে নিজের বুকের উপরে মাথা রেখে ঘুমাতে বললো। সিমি চুপচাপ বিড়াল ছানার মতো নিশানের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২৫