তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৫

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৫
তাবাস্সুম খাতুন

রাত আট টা বাজে। এইদিকে জিহান এখনো সামিয়ার উদরে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে আছে। সামিয়ার পা সহ মাজা অবাস হয়ে আসছে। একবার ভাবছে ডাকবে কিন্তু এত গভীর ঘুম দেখে ডাকতে ইচ্ছে করছে না। সামিয়া সেই থেকে নিজের ফোন স্ক্রল করছিলো। এখন ফোন রেখে জিহানের দিকে তাকালো। জিহানের মুখের এক পাশ দেখা যাচ্ছে আরেকপাশ উদরে গুঁজে রাখছে। সামিয়া গালে হাত দিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো জিহানের দিকে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। এক হাত উঁচিয়ে জিহানের সিল্কি চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে তখানিক নামিয়ে নিলো। এইদিকে জিহান সোজা হয়ে আবারো শুয়ে রইলো গভীর ঘুমে। সামিয়া ভয় পেয়ে গেছিলো সে ভাবছে হয়তো জিহান ঘুমানোর নাটক করছে এইভাবে দেখায় আর হাত দেওয়ার জন্য উঠে পড়ছে। কিন্তু য্খন দেখলো এখনো ঘুমিয়ে আছে তখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। সামিয়া জিহানের দিকে এক পলক তাকিয়ে ঐভাবেই শুয়ে পড়লো। চোখ দুটো বন্ধ করতেই জিহান বলে উঠলো,,,

“ম্যাডাম পা লম্বা করে ঘুমান।”
জিহানের কথা শুনে সামিয়া লাফ দিয়ে উঠে বললো,,,
“আপনি ঘুমান নি?”
জিহান হেসে বললো,,,
“ঘুমালে তো আর এত সুন্দর জিনিস দেখতে পেতাম না। যাক আজকে অন্তত বউ আমার রূপ দেখে ছে।”
সামিয়ার মন চাচ্ছে নিজের মাথায় নিজেই একটা ইট দিয়ে বাড়ি মারতে। ছিঃ কি করছিলো সে। এখন লজ্জায় জিহানের সামনে বসতেও পারচ্ছেনা। তাই সে নেমে হাঁটতে গেলেই আবারো বলে পড়লো হাঁটার শক্তি আর নেই। জিহান সামিয়ার হাত টেনে ধরে বেডে ফেললো নিজেও শুয়ে পড়লো, সামিয়া কে বুকের মাঝে নিয়ে বললো,,,
“চুপচাপ ঘুমাও, খুব সুন্দর ঘুম হবে, তবে কোন কথা ব্যাতিত।”
জিহানের কথা শুনে সামিয়া একটু নড়তে গিয়েও থেমে গেলো। তার সারা দেহ কেঁপে উঠছে। কেমন যেন আলাদা আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষনে ক্ষনে লজ্জা লজ্জা ভাব। সামিয়া আর বেশি চিন্তা করলো না। চুপচাপ শুয়ে রইলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অন্ধকার রুম বেলকুনির ফ্লোরে এক লম্বা করে আরেক পা গুটিয়ে দেওয়াল এ হেলাম দিয়ে বসে আছে নীল। চোখ দুটো লাল টুকটুক করছে। হাতে আছে সিগারেট, যেইখানে বসে আছে সেইখানে অন্তত্য পনেরো টা সিগারেট টান দিয়ে ফেলা আছে। নীল সিগারেট এ টান দিয়ে দূর ওই তিমিরে ঢাকা আকাশের দিকে তাকালো। আজ আকাশে চাঁদ তারা গুলো মেঘের আড়ালে ঢেকে আছে। নীল কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো হুট্ করে গানের কয়েক লাইন গেয়ে উঠলো,,,,
“বোঝাবো কি করে তোকে কত আমি চাই,,
তোর কথা মনে এলে নিজেকে হারাই।
তোকেই মাথায় করে বেঁচে আছি তাই আমি …
তোকেই মাথায় করে বেঁচে আছি তাই..”

গানের লাইন শেষ হতেই নিজের কান্না আর আটকাতে পারলো না বাচ্চাদের মতো হাউমাও করে কান্না করে দিলো। ছেলেদের নাকি কান্না করতে নেই। তবে নীল তো আর পারছেনা নিজেকে আটকিয়ে রাখতে তাই তো সে কান্না করছে। নীল নিজের ফোন বাহির করলো সিমির ছবির সাথে যেন কথা বলতে লাগলো,,,
“কেন শ্যামা কেন তুমি আমার হলে না?আমি অনেক আশা নিয়ে এই দেশে পা রাখছিলাম, শুধু মাত্র তোমাকে আমার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এইখানে এসে দেখলাম তুমি মানুষটা অন্যের নামে কবুল বলে ভালোবেসে ফেলছো। শ্যামা আমার শ্যামা দুনিয়ার নিয়ম ভেঙে কি আমরা এক হতে পারি না? আমি কিভাবে থাকবো তোমাকে ছাড়া? আমাকে শিখিয়ে দাও তুমিহীনা কিভাবে বাঁচবো আমি? বাজে ভাবে আসক্তি তো আমি তোমার প্রতি, বাঁচিয়ে রাখার solution দিয়ে যাও শ্যামা…!”

নীল যেন আর কথা বলতে পারছেনা বুকের ভিতরে যন্ত্রনা হচ্ছে প্রচুর। তার শ্যামা পাখির সুখের জন্যই তাকে তার ভালোবাসার মানুষের কাছেই সে রেখে আসছে, কিন্তু রেখে এসে তো নিজেও ঠিক নেই। কালকে তার ফ্লাইট আর আসবে না দেবে না এই বাংলাদেশের মাটিতে পা নীল আবারো বলতে লাগলো,,

“য্খন তোমার সাথে আমার ফ্রেন্ড শিপ হয়েছিল তখন আমি এইসব ভালোলাগা ভালোবাসা বুজতাম। কিন্তু য্খন আমাকে নিয়ে চলে গেলো তোমাকে পেতাম না দেখতে জানো শ্যামা আমার কতটা কষ্ট হতো? নিজেকে সামলাতে পারতাম না ঘরের বন্ধী করে রাখতে হতো আমাকে, পাগলের মতো আচরণ করতাম। শুধু তোমাকে একটা বার দেখার জন্য। আব্বু আম্মু সয্য করতে না পেরে ওই জায়গা থেকে লোক ঠিক করে তোমার ছবি তুলে আমাকে পাঠাতো। আমি তখন একটু ভালো ব্যাবহার করতাম। ধীরে ধীরে আমি বড়ো হতে থাকি। সাথে তোমাকে ঘিরে আমার উন্মাদনা গুলো। আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ হয়ে আছো তুমি! ”
থামলো সে আকাশের পানে তাকিয়ে বড়ো একটা নিশ্বাস নিলো, চোখ নামিয়ে আবারো ফোনের স্কিন এ জ্বলজ্বল করতে থাকা সিমির মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,

“সত্যিই তুমি আমার বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ, তুমি হলে অক্সিজেন। আমি চাইলেই আমার অক্সিজেন কে ছিনিয়ে আনতে পারি এই ক্ষমতা আমার আছে। তবে ওই যে আমার অক্সিজেন তো বেঁচে আছে অন্যের মুখের হাসি নিয়ে, এখন সেই অক্সিজেন কেড়ে এনে কার্বন ডাইঅক্সাইড এ পরিণত করতে চাই না আমি। থাকো তুমি তোমার অক্সিজেন এর কাছে। আমি দূর থেকেই আমার অক্সিজেন কে দেখে শান্তি পাবো বেঁচে থাকবো ক্ষীণ সময় পযন্ত।”
নীল চোখ দুটো বন্ধ করে নিলো ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। এতটা হতো না আজকে সিমির সাথে কথা বলার পর থেকে এমন হচ্ছে। সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো মাথার মধ্যে চক্কর দিচ্ছে সাথে প্রচুর যন্ত্রনা করছে আস্তে আস্তে ওয়াশরুমের ভিতরে ঢুকলো একটু লম্বা সাওয়ার নেওয়ার জন্য। মন সহ মাথা যেন হাল্কা হয়।

রাত দশটা বাজে বাড়ির প্রতিটা ছোট বড়ো সদস্য ডাইনিং টেবিলে বসে রাতের ডিনার করছে। সেলিনা, রোজিনা আর কিয়া তাঁদের সার্ভ করে দিচ্ছে। সবাই আছে কিন্তু একজন নেই! তাজউদ্দিন স্বাভাবিক ভাবে সিমি কে জিজ্ঞাসা করলো,,
“সিমি মামুনি নিশান কোথায়? ও কি রুমে নাকি?”
সিমি খাবার মুখে নিয়ে চিবিয়ে পানি খেয়ে বললো,,,
“কোন বিজনেস ট্রিপ এ যাবে বলছিলো, সেখানে গেছে।”
তাজউদ্দিন ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“কোথায় সেইটা?”
সিমি — “আমি তো জানিনা।”
তাজউদ্দিন এইবার জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“জিহান তুই কিছু জানিস? দুইজনের তো একই বিজনেস সম্পর্কে আছিস।”
জিহান মাথা দুইপাশে নাড়িয়ে বললো,,
“না বড়ো মামা ওর সাথে আমার কথা হয় নি। সেই দুপুর থেকেই আমি একটু পরে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানিয়ে দেবো।”

তারপর আর করুন কোন কথা বললো না। চুপচাপ খেয়ে সবাই উঠে গেলো জিহান সামিয়ার হাত ধরে টেনে রুমের মধ্যে নিয়ে গেলো সিমি জারা আর রাত্রির সাথে উপরে উঠছে জারা বললো,,,,
“ভাবি তোর মুখটা আজ এত শুকনো শুকনো লাগছে কেন?”
সিমি শুকনো মুখে মলিন হেসে বললো,,,
“শুকনো না রে ঘুমিয়ে ছিলাম অনেক ক্ষণ ধরে তাই মুখের এই অবস্থা, দেখছিস না চোখ ও ফুলছে।”
জারা আর কিছু বললো না একে অপরকে বিদায় জানিয়ে যে যার রুমে ঢুকলো। সিমি নিশানের রুমে ঢুকলো দরজা লক করে লাইট অফ করে দিলো বেডের কাছে গিয়ে উঠে বসলো ল্যাম্প জ্বালানো আছে যেইখান থেকে হলদেতে আলো আসছে। সিমি নিজের ব্যাগ থেকে নিশানের সেই দুই ছবি বাহির করলো দেখলো দেখতে গিয়ে আবারো কান্না করে দিলো। বালিশে মাথা রেখো শুয়ে পড়লো ছবি দুটো টি টেবিলের পরে রেখে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কান্না করতে লাগলো নিজের মন কে বুজাতে পারচ্ছেনা সে যে নিশান কে ভালোবাসতো সেই নিশান এই নিশান না, এইটাই যেন বেশি কস্টকর। এইভাবে কান্না করতে করতে কখন ঘুমের দেশে পারি জমালো।
,,
জিহান সামিয়া কে রুমে আনতে সামিয়া বললো,,,
“সবসময় হাত ধরে সবার সামনে টানাটানি করেন কেন?”
জিহান — “তুমি আমার বউ শুধু টানাটানি কেন সবার সামনে ঢলাঢলী ও করতে পারবো আমি।”
সামিয়া ছিঃ বলে উঠলো। যা দেখে জিহান সামিয়ার কোমর শক্ত করে চেপে ধরে সামিয়া কে নিজের কাছাকাছি আনলো। সামিয়া কেঁপে উঠলো চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নিলো জিহান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,
“এত কাঁপাকাঁপি করছো কেন? সাথে চোখ বন্ধ কেন? আমি তো কিছুই করি নি? এর মানে তুমি কি dirty কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছ আমাকে!”
সামিয়া দ্রুত চোখ খুললো জিহানের বুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেডের একপাশে গিয়ে শুয়ে পরে বিড়বিড় করে বললো,,,

“অসভ্য পোলা।”
জিহান বললো,,,
“কিছু বললে আমাকে?”
সামিয়া কোন উত্তর দিলো না। জিহান আর বেশি ঘটলো না নিজের ল্যাপটপ নিয়ে বেডে বসে অফিসের টুকটাক কাজ করতে লাগলো।

রাত একটা বাজে। চৌধুরী ম্যানশনে এখন সবাই গভীর ঘুমে অচ্ছন্ন হয়ে আছে। এমন সময় নিচ্ দিয়ে মই বেয়ে দুই তলা রুমের বালকুনিতে এসে থামলো। রুম টা নিশানের, এইভাবে উপরে আশা ব্যাক্তিটি বেকুনির কাঁচ খুললো! খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে ঢুকে কাঁচ আবারো লাগিয়ে দিলো। ব্যাক্তিটা একটা চেয়ার টেনে বসলো গভীর ভাবে ঘুমিয়ে থাকা সিমির মুখের কাছে। ব্যাক্তিটা কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো সিমির মুখের দিকে হাত বাড়িয়ে সিমির একটা হাত ধরতে গেলেই আবারো ছেড়ে দিলো, সে ধরতে চাই না সে তো পাপে পরিপূর্ণ। হ্যা এই পাপে পরিপূর্ণ আর কেউ নয় তানভীর চৌধুরী নিশান। নিশান সিমির ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,,

“তোকে রেখে চলে গিয়ে থাকার মতো শক্তি আমার নেই ইশু, তোকে ছাড়া থাকার কথা বললেই আমার বুক কেঁপে ওঠে। তবে তুই চিন্তা নিস্ না আমি হাজারো পাগলামি করবো তোর জন্য তবে তোকে স্পর্শ আমি করবো না, এই রাতের আঁধারে চুরি করে এসে তোকে এক পলক দেখে যাবো তবুও দিনের আলোয় তোর সামনে আমি আসবো না। আমি যে থাকতে পারিনা তোকে ছাড়া তুই আমার আসক্তি এমন আসক্তি যেই আসক্তির তুলনা হয় না।”
থামলো নিশান সম্পূর্ণ কথা বলার সময় তার দৃষ্টি ছিলো সিমির উপরে se ঐভাবেই আবারো বলা ধরলো,,,
“তুই বলেছিলিস ভালোবাসিস, কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসা এই শব্দটার কোনো অস্তিত্ব বিদ্যামান নেই। যা আছে, তা হলো আসক্তি।আমি তোকে কখনো ভালোবাসিনি,ইশু। আর না, কখনো বাসবো। তুই আমার এক অন্যরকম আসক্তি যে আসক্তি এলকোহলের থেকেও তীব্র
এলকোহলে ডুব দিলে উঠে আসা যায়,কিন্তু ইশু তোর মাঝে ডুব দিলে, আমার সেই জায়গা থেকে উঠে আসার ক্ষমতা নেই।তোর মাঝে
এলকোহলের থেকেও তীব্র এক নেশা আছে।তাই তো, তোর মাঝে বুঁদ হয়ে থাকতে মন চায় সারাক্ষণ। শেষ কথা,আমার নিঃশ্বাস যতদিন চলবে,তুই আমার আমার এই আসক্তি হয়েই থাকতে হবে তোকে।”

বলে ঐভাবেই তাকিয়ে রইলো সিমির মুখের দিকে। তার গলা শুকিয়ে গেছে পানি খাওয়ার জন্য টেবিল থেকে জগ নিতে গিয়ে দেখে দুটো ছবি অবহেলায় ফেলে রাখা আছে। নিশান ছবি দুইটা হাতে নিলো ছবিটাতে সে আরেকটা মেয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আছে। নিশান ছবি দুইটা ভালো ভাবে খুঁটিয়ে দেখলো। ছবি দেখার পরে সিমির মুখের দিকে তাকালো সে সিমির মাথার কাছে রাখা ফোন টা নিলো। সবকিছু চেক করলো কেউ কোন মেসেজ দিসে কিনা। হোয়াটস্যাপ থেকে একটা মেসেজ দেখে সে দ্রুত মেসেজ সহ ফোন নাম্বার নিজের ফোনে নিয়ে নিলো। তারপর সিমির ফোন আবারো আগের জায়গায় রেখে দিলো। ছবিটা নিজের কাছেই রাখলো নিশান সিমির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো,,,

“Just wait and watch আমি যেইভাবে তরপাচ্ছি এইবার তুই তরপাবি আমাকে এক পলক দেখার জন্য। অপেক্ষা কর আজকে আসলাম কাল রাতে আবারো আসবে তোকে এইভাবে চুরি করে দেখতে।”
বলে নিশান উঠে দাঁড়ালো যেইভাবে আসছিলো ঠিক সেইভাবেই নিচে নেমে গেলো। সে নিচে এসে নিজের গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে লাগলো সাথে কাউকে ফোন দিতে লাগলো। ফোন রিসিভ হতেই নিশান বললো,,,
“কিছু জিনিষ দিচ্ছি সত্য মিথ্যা যাচাই কর।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৪

বলে কল কেটে ছবি গুলো সেন্ড করলো সাথে ফোন নাম্বার আর মেসেজ টা। সবকিছু করার পরে ফোন টা রেখে দিলো গাড়ি চালাতে চালাতে বললো,,,
“খুব দ্রুতই প্রমান স্বরূপ আমি দেখিয়ে দেবো, সাথে কুকর্মের শাস্তি ও ভোগ করাবো।”
বলে বাঁকা হাসলো। নিজ গন্তব্যেr দিকে গাড়ি রওনা দিতে লাগলো।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here