তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৯
তাবাস্সুম খাতুন
জিহান সামিয়াকে তখন তুলে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে আসে। ফ্ল্যাট টা নয় তলা, পাঁচ নাম্বার ফ্ল্যাটের পুরোটা জিহান নিজের টাকায় কিনছে ভবিষ্যত বউ – বাচ্চা এইখানে থাকবে এইজন্য। জিহান ফ্ল্যাটের সামনে আসতে সামিয়া কে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবারো পাঁজা কোলে তুলে ভিতরে ঢুকলো লিফ্ট এর কাছে গিয়ে দুই মিনিট দাঁড়াতেই লিফ্ট এর দরজা খুললো জিহান ভিতরে প্রবেশ করে পাঁচ নাম্বারে দিলো। এইদিকে সামিয়া লাফালাফি করছে ছেড়ে দিতে বলছে কিন্তু জিহান সামিয়া কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। পাঁচ তলায় আসতেই লিফ্ট এর দরজা খুললো জিহান বেড়িয়ে আসলো ফ্ল্যাটের দরজা খুললো এক হাত দিয়ে। ভিতরে ঢুকে দরজা আবারো লক করে দিলো, বেডরুমে চলে গেলো বেডরুমে ঢুকে সামিয়া কে বেডে ফেলে দিয়ে দরজা লক করে দিলো সামিয়া বলে উঠলো,,,
“সমস্যা কি আপনার কোথায় নিয়ে এসেছেন আমাকে?”
জিহান গায়ে থাকা ব্লাজার খুলে ফেলে দিলো শার্টএর বোতাম একটা একটা করে খুলতে খুলতে সামিয়ার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো, সামিয়া বেডে হাত রেখে পিছাতে পিছাতে বললো,,,
“আপনি এইভাবে এগিয়ে আসছেন কেন?”
জিহান শেষ বোতাম খুলে জামা টা গা থেকে টেনে খুলে ফেলে দিলো, উন্মুক্ত হলো জিহানের লোমহীন বুক ধবধবে পরিষ্কার গায়ের রঙ। দুই পেশিয়ালা বাহু জিহান ঘাড় এইপাসে ঐপাশে কাত করে বেডে গেলো সামিয়ার কাছাকাছি এসে বলল,,,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ভালোবাসা কাকে বলে? এইগুলো শেখাবো এখন তোমায়।”
বলে সামিয়াকে এক টানে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো, সামিয়া কেঁপে উঠলো সামিয়া কে কিছু বুজতে না দিয়ে তার নরম ঠোঁট জোড়াতে নিজের শুষ্ক ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো জিহান। সামিয়া চোখ বড়ো করে তাকানো জিহানের দিকে, জিহান সামিয়ার রেসপন্স না পেয়ে কামড় দিতে লাগলো। এইদিকে সামিয়ার দম বন্ধ হয়ে আসলো জিহান কে সরাতে চাইলো অনেকবার কিন্তু ফলাফল প্রতিবার ব্যার্থ। জিহান শক্ত করে সামিয়া কে জড়িয়ে ধরে আছে সামিয়া চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নিলো। জিহান সামিয়াকে ছাড়লো না টানা পাঁচ মিনিট গভীর চুম্বনের পরে জিহান সামিয়াকে ছেড়ে দিলো। জিহান সামিয়ার কপালে কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো দুইজনে। জিহান সামিয়ার আঁচল ধরে টান দিতে গেলেই সামিয়া আঁতকে উঠে বললো,,,
“কি.. কি.. করছেন?”
জিহান শাড়ির আঁচল টান দিয়ে বললো,,,
“ঠোঁট মুছবো।”
সামিয়া আর কোন কথা বললো না জিহান শাড়ির আঁচল টেনে ঠোঁট মুছে বললো,,,
“তুমি কি ভেবেছিলে? আমি কি করবো?”
সামিয়া মাথা নুয়ে বললো,,
“ইয়ে মানে কিছু না।”
জিহান দুষ্টামি ভঙ্গিতে বললো,,,
“ইয়ে মানে তুমি খারাপ কিছু মনে করেছো?”
সামিয়া চোখ বন্ধ করে বললো,,,
“উহুম কিছু না, আসলে..!”
আসলে কথা শুনে জিহান অবাক হয়ে বললো,,,
“আসলে আসলে বলছো? তার মানে তুমি ১৮+ চিন্তা – ভাবনা করেছিলে?”
জিহানের কথা শুনে সামিয়া জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“আস্তাগফিরুল্লাহ নাউযুবিল্লাহ কি বলেন এইসব ওয়াক থু।”
জিহান নিজের হাসি আটকিয়ে বললো,,,
“ওয়াক থু কেন করছো? এইগুলো তো স্বাভাবিক।”
সামিয়া অবাক হয়ে পপ্রশ্ন করলো,,,
“কোনটা স্বাভাবিক?”
জিহান — “এইযে ১৮+ বয়স হয়ে গেলেই চিন্তা – ভাবনা উল্টে যাই বলতে বিয়ের বয়স হয় মেয়েদের।”
সামিয়া চোখ ছোট ছোট করে বললো,,,
“তার মানে ১৮ + চিন্তাভাবনা এইগুলো।”
জিহান মাথা নাড়তেই সামিয়া বললো,,,
“কিন্তু আমি তো এইটা প্রথম শুনলাম!”
জিহান — “তুমি কি জানো?”
সামিয়া জিহানের দিকে তাকিয়ে বলতে গিয়েও কথা গিলে ফেলে বললো,,,
“অসভ্য বেয়াদব আমার মুখ দিয়ে কি বাহির করাচ্ছিলো ছি ছি।”
সামিয়ার কথা শুনে জিহান সামিয়ার দিকে একটু ঝুঁকে পড়লো সামিয়া পিছনে হেলে পড়লো জিহানের গরম নিশ্বাস পড়লো সামিয়ার মুখে জিহান হাঁস্কি টোনে বললো,,,
“কথা বুজে শুয়নে বয়লেন ম্যাডাম, নয়তো বাকি কাজ আপনার অনুমতি ব্যাতিত কমপ্লিট করে ফেলবো।”
বলে উঠ পড়লো ওয়াশরুমের দিকে যেতে যেতে বললো,,,
“রুম থেকে বেড়িয়ে দেখ বাম পাশে কিচেন আছে, প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে, রান্না কর ক্ষুদা লাগছে আমার দ্রুত।”
বলে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। সামিয়া জিহানের যাওয়ার মানে তাকিয়ে বিড়বিড় করলো,,,
“বালের জামাই, উগান্ডায় গিয়ে মর শালা জবেদার ভাতার।”
বলে উঠে দাঁড়ালো নিজের শাড়ি ঠিক করে কিচেন এ গেলো ফ্রিজ খুলে দেখলো সেখানে মাছ মাংস আছে। সামিয়া মাংস বাহির করলো পানিতে ভিজিয়ে রাখলো পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা কাটাকাটি করতে লাগলো। সে দুটো রেসিপি রান্না করতে পারে মাংস রান্না আর ভুনা খিচুড়ি, সাথে ভাত আর ডিম ভাজি। সামিয়া এখন ভুনা খিচুড়ি রান্না করবে। সবকিছু কাটাকাটি করে গুছিয়ে রান্না করতে লাগলো। টত্রিশ মিনিটের মাথায় জিহান রুম থেকে বেড়িয়ে সামিয়ার কাছে এসে বললো,,,
“সাওয়ার নিয়ে আসো।”
সামিয়া মাথা নিচু করে বললো,,,
“পোশাক আনিনি।”
জিহান — “আমার শার্ট পড়।”
সামিয়া জিহানের কথা শুনে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো, কিৎক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরে বলে উঠলো,,,
“রান্না করছি আমি।”
জিহান — “আমি দেখছি তুমি যাও।”
সামিয়া আর প্রশ্ন বা উত্তর করলো না সোজা রুমের ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো এইদিকে খিচুড়ি হয়ে যাওয়ার পথে জিহান দেখতে লাগলো। দশ মিনিট পরে সামিয়া ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসলো। সে একটা টাওয়াল পরে বাইরে আসছে সোজা আলমারির কাছে গিয়ে জিহানের শার্ট দেখতে লাগলো, অনেক খুঁজে একটা কালো শার্ট পেলো। ঐটা পরে নিলো দ্রুত চুলগুলো শুকিয়ে দুই ভাগ করে সামনে এনে রাখলো এইদিকে শার্ট তার হাঁটু ছুঁই ছুঁই সামিয়া টেনে টেনে আরো লম্বা করতে লাগলো। ওর ঐরকম করার মধ্যে জিহান ভিতরে প্রবেশ করেছে সামিয়াকে খাওয়ার কথা বলতে। সে ভিতরে ঢুকে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে ঢোক গিললো দুই তিনবার।দরজা খুলার আওয়াজ পেতে সামিয়া তাকালো দেখলো জিহান দাঁড়িয়ে আছে নিজেকে যেন আরো গুটিয়ে নিতে চাইলো। জিহান ধীর পায়ে সামিয়ার কাছে আসলো সামিয়ার কোমরে হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো,,,
“আমাকে মেরে ফেলতে চাও মেয়ে?”
সামিয়া জিহানের চোখের দিকে দুই সেকেন্ড তাকিয়েই চোখ নামিয়ে বললো,,,
“আমার পোশাক নেই এইগুলো পড়তে কেমন লাগছে।”
জিহান সামিয়ার মুখে আশা ছোট ছোট চুলগুলো কানে গুঁজে দিয়ে বললো,,
“একটু পরে দিয়ে যাবে, এখন খাবে চলো।”
এই বলে সামিয়া কে পাঁজা কোলে নিলো সামিয়া অবাক হয়ে বললো,,,
“কোলে তুললেন কেন? আমাকে নামিয়ে দেন আমি একা যেতে পারবো।”
জিহান হাঁস্কি টোনে বললো,,,
তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৩৮
“Relax don’t distrub me, i can’t control my self..!”
সামিয়া চুপ হয়ে গেলো জিহান সামিয়া কে কোলে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসিয়ে দিলো। দুইজনে আর কোন কথা না বলে খাবার খেয়ে নিলো।
একটু পরেই সামিয়ার জামা আসতে সে দ্রুত একটা থ্রিপিস পরে নিলো।জিহান আর সামিয়ার সাথে কথা বললো না নিজের কাজ করতে লাগলো আর সামিয়া ফ্ল্যাট টা ঘুরে দেখতে লাগলো।
