তুমি আছো মনের গহীনে পর্ব ৪২

তুমি আছো মনের গহীনে পর্ব ৪২
Jannatul ferdosi rimi

‘অভ্র আহমেদ এখন নিজের প্রাক্তনের জন্যেও বাইরে দাঁড়িয়ে আছে?যাকে একসময় শুধুমাত্র ব্যবহারের বস্তু মনে করে শুধু ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো।’ অভ্র প্রায় দুইঘন্টা যাবত বাইরে দাড়িয়ে ছিলো, মায়রার তাচ্ছিল্যের সুরে কথাগুলো শুনে,পিছনে তাকিয়ে দেখলো মায়রা দাঁড়িয়ে আছে। আজ মায়রারও পরীক্ষা ছিলো,তাই সে ভার্সিটিতে না চাইতেও আসে। এসেই দেখে মেহেভীনের কেন্দ্রের বাইরে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। অভ্রকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মায়রার বুঝতে বাকি রইলো না অভ্র মেহেভীনের জন্যেই দাড়িয়ে আছে। অভ্র মায়রাকে গুরুত্ব না দিয়ে দাড়িয়েই রইলো। মায়রা আশাহত হলো। অভ্রের সামনে দাঁড়িয়ে,ভারাক্রান্ত হয়ে বললো,

‘ অভ্র তুমি এমন করছো? আমি তো তোমার স্ত্রী অভ্র।
আমাকে এইভাবে এভোয়েড করছো কেন? তাও কিনা সেই মেহেভীনের জন্যে যাকে একসময় তুমি শুধু নিজের ব্যবহারের বস্তু মনে করতে। ‘
অভ্র মায়রার বাহু শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
‘ হ্যা করতাম তো? আমিও মানুষ। আমার দ্বারাও ভুল হয়েছিলো, ভুল বললে ভুল হবে। আমি বিরাট বড় অন্যায় করেছিলাম মেহেভীনের সাথে। আমার চোখে তখন অন্যায়ের রঙ্গিন চশমা ছিলো, তাই দেখতে পাইনি আমি আমার মেহুর আর্তনাদ। কিন্তু আমি এখন আমার ভুল ঠিক করে নিবো। ‘
‘ আজও তুমি ভুল করছো অভ্র। আমার আর্তনাদ ও আজ তুমি দেখতে পারছো না অভ্র। যার ফলাফল ভবিষ্যৎ এ অনেক খারাপ হবে অভ্র। ‘
মায়রা কথাটি ভূলেই ছুটে ভার্সিটি থেকেই বেড়িয়ে গেলো। অভ্র সেদিকে পাত্তা দিলো না।অভ্রের এখন ভাবনা শুধু মেহেভীনকে ঘিড়েই। অনেক্ষন হলো সবাই বেড়িয়ে গেলো, অথচ মেহেভীন বেড়োচ্ছে না কেন?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

হোলে মেহেভীনের মুখ কেউ পিছন থেকে চেপে ধরে, মেহেভীন মোচরা মোচরি শুরু করলো, পিছনে থাকা ব্যক্তিটি মেহেভীনের নাকের কাছে কিছু একটা স্প্রে করে, যার ফলে মেহেভীনের শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে। শরীরটা কেমন করে যেন দূর্বল হয়ে যেতে থাকে। মেহেভীনের চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়,শুধুমাত্র অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আগে, সে দেখতে পায় আশিক কুৎসিত হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মেহেভীন ঢলে নীচে পড়ে যায়। আশিক আরেকদফা হেসে তার লোকদের ইশরা করে, মেহেভীনকে পিছনের দিক দিয়ে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।

তাহসান ও রুশা মিটিং এর মাঝে বার বার খেয়াল করছে, আরহামের আজকে মিটিং এর মাঝে তেমন একটা খেয়াল নেই। সে শুধু বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। আরহামের কান্ডে তাহসান ও রুশা কিছুটা অবাক হয়ে বটে। আরহামের মনটা সকাল থেকেই খচখচ করছে, মনে হচ্ছে কিছু একটা হবে, যা ভালো হবে না। আরহামের ইচ্ছে করছে, এখুনি মেহেভীনের কাছে ছুটে চলে যেতে। তাহসান আরহামের কাছে গিয়ে বলে, ‘ আরহাম! তুই ঠিক আছিস তো? মানে তোকে অনেক অস্হির দেখাচ্ছে। ‘
আরহাম তাহসানের প্রশ্নের জবাবে শুকনো মুখে বললো,
‘ সকাল থেকে আমার মনটা বার বার কেমন যেন কুই গাইছে।মনে হচ্ছে কিচ্ছু ভালো হবেনা। আমিও জানিনা কেন হচ্ছে। আমার মাথা টা পুরো হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। শুধু মনে হচ্ছে মেহেভীন ঠিক নেই। ‘

আরহামের কথায় রুশা এগিয়ে এসে বললো ঠান্ডা গলায় বললো, ‘ আপনি শুধু শুধু চিন্তা করছেন স্যার। আসলে আপনি আপনার ওয়াইফকে একটু বেশিই ভালোবাসেন, তাই আপনার এতো চিন্তা। ‘
রুশা এখন তাহসানের সাহায্যে কিছুটা নরমাল হয়েছে। তাহসান ও রুশার কথায় সায় দিয়ে বলে,
‘আমারোও তাই মনে হয় আরহাম। তুই বরং ভাবিকে একটা ফোন করে নে। ‘
আরহাম ভাবলো মেহেভীনের তো এখন পরীক্ষা শেষ হয়েই গিয়েছে। এখন তো ফোন ধরলে, মেহেভীন রিসিভ করতেই পারে। আরহাম মেহেভীনের নাম্বারে ফোন দিলো,কিন্তু মেহেভীনের নাম্বার বন্ধ! আরহাম
থমকালো। মেহেভীন আর যাই হোক কখনো তো নিজের নাম্বার বন্ধ রাখেনা। আরহামের মনে খারাপ চিন্তা এসে ভর করলো। মেহেভীনের কোন বিপদ হলে না তো? কথাটি মাথায় আসতেই, আরহাম দ্রুত মিটিং ছেড়ে বেড়িয়ে গেলো ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।

মায়রার বাবা ড্রইং রুমে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। তখনি মায়রা বাড়িতে প্রবেশ করে, ছুটে নিজের রুমে চলে যায়। মেয়েকে এইভাবে কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে যেতে দেখে,মায়রার বাবা মেয়ের পিছন পিছন রুমে যায়। রুমেই ঢুকেই সে দেখতে পায় তার আদুরের মেয়ে মাটিরে হাটু গেড়ে বসে কাঁদছে। আদরের মেয়ের কান্না যেন মায়রার বাবার কলিজা ভেদ করে,বুকে গিয়ে তীরের মতো বিধছে।
মায়রার বাবা মেয়ের পাশে বসতেই, মায়রা তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে ভেজা গলায় বলে,
‘ বাবা! ওবাবা। দেখো না আজ অভ্র আমাকে ভালোবাসে না। ও শুধু মেহেভীনকে ভালোবাসে। আমি নাকি ওর জন্যে ভুল। ও এই কীভাবে বলতে পারলো বাবা? বলো না। আমি যে সত্যি পারছি না বাবা। ‘
মায়রার বাবা নিজের মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে আদুরে কন্ঠে বললেন,

‘ ডোন্ট ক্রাই মাই প্রিন্সেস! জাস্ট স্পট ইট। তোমার বাবা আছেনা? সে সবকিছু ঠিক করে দিবে। শুধু একটু অপেক্ষা করো। তোমার পথের কাটাকে সে একেবারে উপড়ে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্হা করেছে।’
মায়রার বাবার এই কথাটি গিয়ে,মায়রার কানে লাগে। মায়রা তার বাবার দিকে অবাক পানে তাকিয়ে বলে,
‘ কি বললে বাবা? কি ব্যবস্হা করেছো তুমি? ‘
মায়রার বাবা কথা ঘুড়িয়ে বললেন,
‘ তেমন কিছু না। তোমাকে সেসব নিয়ে ভাবতে হবেনা। তুমি বসো। আমি একটু আসছি। ‘
মায়রার বাবা বেড়িয়ে যান দ্রুত মায়রার ঘর থেকে।

মেহেভীন এখনো বেড়োচ্ছে না দেখে,অভ্র আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না। সে ঠিক করেছে যে, সে এখুনি মেহেভীনের হোলে যাবে। অভ্র আর না দাঁড়িয়ে হোলের দিকে ঢুকলো। হোলে ঢুকেই সে দেখতে পেলো মেহেভীনের বইখাতা পড়ে আছে,কিন্তু মেহেভীন কোথাও নেই। অভ্র জোড়ে চিৎকার করে, ভার্সিটির সব টিচারকে এবং সব কর্মচারীকে ডেকে উঠে। অভ্রের চিৎকারে সবাই জোড় হয়। অভ্র চিৎকার করে বলে,
‘ এইসব কি? মেহেভীন কোথায়? কেউ আমায় বলবে? ‘
অভ্রের কথা শুনে, কেউ কিছু বলতে পারলো। তাদের ধারণা মতে, মেহেভীন তো হোলেই ছিলো, কিন্তু কোথায় গেলো? ততক্ষনে আরহাম ও চলে আসে।
মেহেভীনের বই খাতা পড়ে থাকতে দেখে সে স্তব্ধ হয়ে যায়। মেঝেতে কোন কিছু হিচড়ে টিনে নিয়ে যাওয়া চিহ্ন পাওয়ায় আরহামের বুঝতে বাকি রইলো না মেহেভীনকে কেউ অপহরণ করেছে। আরহাম যা ভয় পেয়েছিলো সেইটাই হলো মেহেভীন বিপদে আছে।
আরহামের হাত-পা থরথর করে কাঁপতে থাকে। আরহাম চিৎকার করে ‘মেহেভীন ‘ বলে ডেকে উঠে। আরহামের চিৎকারে পুরো ভার্সিটির হোল যেন কেঁপে উঠে।

মেহেভীন চোখ খুলতেই সে নিজের হাত-পা বাঁধা অবস্হায় পায়। মেহেভীনকে কেউ অন্ধকার রুমের মাঝে আটকে রেখেছে। মেহেভীনের অনেক কষ্ট হচ্ছে। দম বন্ধ লাগছে সবকিছু। মনে হচ্ছে এখুনি মুখটা না খুলে দিলে,মেহেভীন মরেই যাবে। মেহেভীন কোনরকম বসে, মুখ খুলতে নিলে ব্যার্থ হয় সে। তখনি সে শুনতে পায়, আশিকের কন্ঠস্বর। আশিক বাইরে দাঁড়িয়ে বলছে,
‘ আপনি কোন চিন্তা করবেন না স্যার। আপনার কথামতো সব হয়ে যাবে। শুধুমাত্র টাকাটা। ‘
ফোনের অপাশ থেকে মায়রার বাবা রুক শাহেদ গম্ভীর সুরে বললেন,
‘ সব হয়ে যাবে। তুমি শুধু তোমাট কাজটি করো ভালো মতো। ‘

আশিক ফোনটা কেটে দিয়ে, মেহেভীনকে যে রুমে বন্ধ করে রেখেছে সে রুমে যায়। আশিককে দেখে ভয়ে মেহেভীনের গলা শুকিয়ে যায়। আশিক শয়তানী হাঁসি দিয়ে, মেহেভীনের পাশে বসে। তার হাত দিয়ে মেহেভীনকে ছুঁতে চাইলে,মেহেভীন দূরে চলে আসে। তা দেখে আশিক আরেকদফা বিদঘুটে হেসে আশিক বলে,
‘ বাহ মেহুরানী বাহ। আমি ছুলেই দোষ? আর অভ্রের সাথে শুয়ে যে পেট বাঁধাই করে ফেললি তার বেলায় কিছু না তাইনা? আমার সাথে সেদিন রাত কাটালে কি এমন হতো তোর? অভ্রের থেকে বেশি দিতে পারি আমি সত্যি। ‘
আশিক নামক ঘৃণিত লোকের কাছে মেহেভীন এমন কুৎসিত বানী শুনে ঘৃণায় মুখ ছিটকায়। আশিক এইবার রাগ দেখিয়ে, মেহেভীনের মুখ শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
‘ সেদিন তো খুব আমাকে অভ্রকে দিয়ে মার খায়িয়েছিলে। আজ দেখ ভাগ্যের পরিহাসে সেই আমাকেই তোর বাচ্ছা নষ্ট করার কাজের দায়িত্ব এসে পড়লো। তাও এই দায়িত্ব কে দিয়েছিস জানিস? তোর প্রাক্তনের শ্বশুড় মশাই। মেয়ের দুঃখ তিনি আর দেখতে পারছেন না। তাই তো তার মেয়ের পথের কাটা তোর বাচ্ছাটাকে নষ্ট করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে।

যদিও এইসব কাজ আমি আমার নিজের লোকদের দিয়ে করায়, কিন্তু তোরটা আমি নিজে করবো। একটা সুন্দর রাত ও কাটাবো তোর সাথে। অনেক হিসাব বাকি আছে তোর সাথে।
আশিকের কথা শুনে মেহেভীন থরথর করে কাঁপতে থাকলো। তার বাচ্ছাকে মেরে ফেলার জন্যে মায়রার বাবা আশিককে ভাড়া দিয়েছে। সে কি করবে এখন? কি করে বাঁচাবে তার কলিজার টুকরো, তার সন্তানকে।

আরহামকে নিয়ে আরিয়ান পুলিশ স্ট্যাশনে এসেছে।
পুলিশ সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২৪ ঘন্টার আগে তারা কোন জিডি নিতে পারবে না। আরহামের মেজাজ বিঘড়ে যায়। মেহেভীনের যদি ২৪ ঘন্টার মাঝে কিছু হয়ে যায় তখন? আরহাম গর্জন দিয়ে বলে,
‘ ২৪ ঘন্টা মানে? আমার মেহুর যদি কিছু হয়ে যায় তখন কি হবে? তখন আমারা কি করবো? ‘
পুলিশ অফিসার এইবার উঠে দাড়িয়ে বলে গলায় দৃঢ়তা নিয়ে বলে,
‘দেখুন এইটা পুলিশ স্ট্যাশন। এখানে একদম চিৎকার চেচামেচি করবেন না। ‘
‘ ওকেহ! ভালোই ভালোই কথা শুনবেন না আপ্নারা। এইবার আপনারা দেখবেন এই আরহাম হাসান তালুকদার এর পাওয়ার। ‘

আরহাম এইবার কাউকে ফোন করে কিছু বলে।সঙ্গে সঙ্গে অফিসারের নাম্বার নাম্বার বেজে। সে রিসিভ করে দেখে ওসির ফোন। তিনি জানিয়েছেন আরহাম হাসান তালুকদার এর ক্যাস টা ২-৩ ঘন্টার মধ্যেই সমাধান করতে হবে। উপর মহল থেকে অনেক প্রেশার আসছে। পুলিশ অফিসার ফোনটা কেটে,নিচু স্বরে বলে,
‘ আপনারা একটু অপেক্ষা করুন মিঃ হাসান। আমরা
এখুনি ব্যবস্হা নিচ্ছি। ‘
কথাটি বলেই, পুলিশ অফিসার তার ফোর্সকে ডেকে পাঠায়। আরহামের শুধু পাইচারি করছে। কখন সে তার মেহুর কাছে পৌছাবে সেই সময়ের অপেক্ষায় আছে। বুকটা ধরফর করছে,যদি তার প্রেয়সীর কিছু হয়ে যায় তখন? আরিয়ান তার ভাইকে সামলানোর
চেষ্টা করে,কিন্তু আরহাম কিছুতেই স্হীর হয়ে থাকতে পারছে না।

‘ ভাই তুই একটু শান্ত হো। ‘
আরিয়ানের কথায়, আরহাম অসহায় ভঙ্গিতে বলে,
‘ কীভাবে থাকবো? এমনিতেই মেহেভীনের যা অবস্হা তাতে মেহেভীন এবং বাচ্ছার দুজনেরই জীবনের ঝু্কি রয়েছে। তার মধ্যে কেউ মেহেভীনকে অপহরণ করেছে। মেহেভীন কি অবস্হায় আছে, সেইটাও জানি না। আমার মেহেভীনের যদি যখন কিছু হয়ে যাবে তখন কি হবে আরিয়ান?’
আরিয়ানও বুঝতে পারছে না সামনে কি হবে।

এদিকে অভ্র ভার্সিটি থেকে বেড়িয়েই, মায়রার বাসায়
চলে যায়। সে যতটু্ুকু জানে এই কাজ মায়রা ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। সে ভেবে নিয়েছে সে আজ মায়রাকে ছাড়বে না। তার মেহুর গাঁয়ে একটু আচ লাগলে সে মায়রাকে শেষ করে ফেলবে। অভ্র মায়রার বাড়িতে গিয়ে, গর্জে উঠে মায়রার নাম ধরে ডাকে। অভ্রের চিৎকারে মায়রা তার রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।

তুমি আছো মনের গহীনে পর্ব ৪১

এদিকে,
আশিক তার শার্ট গা থেকে খুলে,মেহেভীনের দিকে এক পা করে এগোচ্ছে। মেহেভীনের মুখ বেধে থাকায়,মেহেভীন চাইলেও চিৎকার করতে পারছে না। গলাটা শুকিয়ে আসছে তার। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে, যদি এই মানুষরুপী আশিকের থেকে নিজেকে এবং তার সন্তানকে বাঁচানো যায়। কিন্তু আদোও কি শেষ রক্ষা হবে? তার আর্তনাদ কি আদোও দেয়াল ভেদ করে বাইরে পৌঁছাবে? নাকি মেহেভীনের আর্তনাদ শুধু চার দেয়ালের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে। আশিক মেহেভীনের কাছে এসে বলে, ‘ আজ কী করে বাঁচবে তুমি মেহুরানী? আজকে তো তোমাকে আমার শিকার হতেই হবে। ‘মেহেভীনের চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।

তুমি আছো মনের গহীনে পর্ব ৪৩