তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ১৩

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ১৩
ভূমিকা তালুকদার

দেখতে দেখতে দিনগুলো চোখের পলকে কেটে গেলো। সময় তো কারো জন্যই অপেক্ষা করে না,এক দিন, দুই দিন, সপ্তাহ, তারপর মাস,ঠিক যেন হাওয়ার মতো উড়ে গেলো। কে জানে কীভাবে যে দু’মাস পেরিয়ে গেলো! অথচ এই দু মাসেই বদলে গেছে অনেক কিছু।এই তো সেদিনকার কথা লিয়ানা বিয়ে করতে চায় না কথাটা বলতে যখন তার বড় আব্বুর কাছে গিয়েছিলো, কতটা ভয় মিশে ছিল লিয়ানার কণ্ঠে,

বড় আব্বু, আমি এখনই বিয়ে করতে চাই না।
কিন্তু সোলেমান খান তখন শুধু নীরবে তার মাথায় হাত রেখে মৃদু গলায় বলেছিলেন,
আমি যা করছি, শুধু তোমার ভালোর জন্যই করছি মা। তোমাকে আমি ভালোবাসি, কখনো খারাপ চাইতে পারি বলো? তোমার হাসিই আমায় শান্তি দিবে।ইশান খুবই ভালো ছেলে।যদি ভালো থাকতে না পারো চলে আসবে তোমার জন্যে খান বাড়ির দরজা চিরতরে খোলাই থাকবে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সেই মুহূর্তে যেনো কোনো শব্দ খুঁজে পায়নি লিয়ানা। পারেনি লোকটার মুখের উপর কিছু বলতে, কী-ই বা বলত সে? আমি চাই না ইশান কে বিয়ে করতে? কিন্তু কেন চাই না?ইশান ছেলেটা কি দেখতে খারাপ? না, মোটেও না।বরং ওর ব্যক্তিত্বেই যেন আলাদা এক আলো। সমৃদ্ধ পরিবার, শিক্ষিত পরিবেশ, আর তার থেকেও বড়ো কথা,দেশ জুড়ে তার নামডাক। হাজারো তরুণ তরুণীর কাছে ইশান এক স্বপ্ন, এক আইডল। গানের মঞ্চ থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড,সবখানেই তার ছবি। এক নজর দেখলেই বোঝা যায়, এই মানুষটিকে আল্লাহ আলাদা করে গড়েছেন।তাহলে সে কি বলতো কেন করতে চায় না বিয়ে?সোলেমান খানের ছেলে জায়ান এর জন্যে?

লিয়ানা কি করে তার পারিবারের কাছে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতে কথা বলতো।জায়ান কি একবারও লিয়ানাকে বলেছে যে তিনি লিয়ানাকে ভালোভাসে পছন্দ করে বা বিয়ে করতে চায় এমন কিছু?বরং সেদিন তিনি নিজেই বলেছিলেন যে ভালোবাসেন না!বেপারটা কি এক তরফা হয়ে গিয়েছিলো? সেখানে আসলে ভালোবাসা নামে কিছুই ছিলো না,না ছিলো ভালোলাগা।হয়তবা সাময়িক সময়ের মোহ বা আকর্ষণ, শুধু লিয়ানা কেন যেকোনো নারীরই জায়ান খানের উপর দূর্বল হয়ে পরতে বাধ্য।লোকটা ছিলোই এতোটাই
সুদর্শন,শারীরিক গঠনে একদমই পারফেক্ট।তাইতো মার খেয়ে খেয়েও ভালো লাগা তৈরি হয়েছিলো।যাক লিয়ানা আর এসব মনে রাখতে চায় না।সে চাইলেও এ বাড়ি ছেরে পালিয়ে যেতে পারবে না কোথায় বা যাবে কে আছে তার?কার কাছে যাবে মেয়েটা।

পড়াশোনায় সেভাবে মন না বসলেও এক্সামের প্যারায় কিছুটা জোর করেই আল্লাহ আল্লাহ করে বোর্ড এক্সাম শেষ করলো।তবে এ দুমাসে প্রায় দুশোটা কল করে ফেলেছে জায়ানের ফোনে,শুধু জানতে এভাবে হুট করে এসে হুট করে চলে কেন গেলো? শুধু শুধু কি লিয়ানা আর তাকে আর্কিওপটেরিক্স বলে নাকি।পুরাই,ডাইনোসরের বংশধর, না ধুর! এই লোকের বংশে সে তো লিয়ানা নিজেও, না না লিয়ানা ডাইনোসর না খান বাড়ির কেউই না জায়ান খানই ডাইনোসর।

আরেক হাতির বাচ্চার কথা কি বা বলবো ইশান,এই পুরুষ কি দেখে তার প্রেমে দেওয়ানা হলো, বিয়ে করতে চায় ভালো কথা,প্রত্যেক দিন কল কেন করতে হবে সে কি জানেনা লিয়ানার যে ভালো লাগেনা।রোজ রোজ একি কথা নীলাঞ্জনা খেয়েছেো,কি করছো,ঘুমিয়ে পড়েছো? নিজের যত্ন নেও আরও কতো কি,এইসব বলে বলে লিয়ানার কানের বারোটা বাজিয়ে দিলো এ দুমাসে।এতো বেশি যত্ন ভালোবাসা যে তার সহ্য হয়না কি করে বুঝাবে সে?এসব ভাবতে ভাবতে,

লিয়ানা রুমের বেলকনিতে বসে নিজের ডাইরিতে এসব লিখছিলো,তার জীবন যে তাকে কিভাবে চক্রাকারে ঘুরিয়ে চলছে তা নিয়ে যদি একটা বাংলা সিনেমা হতো তাহলে সাকিব খানের মুভিও ফেল করতো।আবার কিসের কি সাইয়ারা মুভি দেখে লোকজন কেঁদে ভাসিয়ে দিচ্ছে,তারা একবার তার জীবনের কাহিনী এসে দেখে যাক বেদনা কাকে বলে হারে হারে টের পাবে।এইসব লিখতে লিখতে একটা ইয়া বড়ো দীর্ঘশাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো।
তখনই নিচ থেকে রুকসানা খানের কণ্ঠধ্বনি কানে এলো,
লিয়ানা, নিচে আয়।
ডায়েরিটা আস্তে করে টেবিলে রেখে দরজা খুলে বেরিয়ে এলো লিয়ানা। ধাপে ধাপে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেই চোখ থেমে গেল,ডাইনিং স্পেসের সোফার ওপর আরামে বসে আছে ইশান। দুই পা তুলে একটার ওপর একটা রেখেছে, হাতে ফোন, ঠোঁটে হালকা বাঁকা হাসি।
লিয়ানা সোজা সেখানেই গেলো।
ইশান চোখ তুলে তাকালো,
হাই, নীলাঞ্জনা।
লিয়ানা ভ্রু কুঁচকে বলল,
কি?

ইশান ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো, তার কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস আর অদ্ভুত একরকম মালিকানার ছোঁয়া,
বিয়ের তো আর মাত্র দুই দিন বাকি। সব আয়োজন শেষ, শুধু আমাদের
দু জনের বিয়ের ড্রেস বাকি। ভাবলাম আজকেই তোমাকে নিয়ে যাই বসুন্ধরায়।
লিয়ানার ঠোঁটে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ ভেসে উঠল,
তাই নাকি? বিয়েটা নিয়ে আপনার মাথাব্যথা আমার চেয়ে বেশি । দয়া করে আপনি যান। আমি পারবো না। চাইলে অনলাইনে অর্ডার করে আনুন।
ইশানের চোখে সেই মুহূর্তে ঝিলিক খেলো। কণ্ঠস্বর ঠাণ্ডা অথচ হুমকিময়,
আমি বলেছি তুমি যাবে মানে তুমি যাবে। আর যদি না যাও, তাহলে এখনই এই বাড়ির সবাইকে ডেকে বলবো,হবু বউ তার হবু স্বামীর সঙ্গে বেয়াদবি করছে। সেটা তুমি চাইবে?
কথাগুলো যেন ছুরির মতো বিঁধলো লিয়ানার কানে। কান গরম হয়ে গেল, রক্তে আগুন বইছে। দাঁত চেপে, চোখে বিদ্রূপের আগুন নিয়ে সে শুধু বলল,

থাক! এতটা উপকারের দরকার নেই।
গাড়িতে গিয়ে বসুন। আমি আসছি।Go now!
শেষ শব্দটা যেন শীতল বাতাসে বজ্রপাতের মতো কেঁপে উঠলো।তারপর লিয়ানা রেডি হয়ে ইশানের সাথে চলে যায় বসুন্ধরায়।পুরো শপিং এ লিয়ানা নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিলো ঘাপটি মেরে,তার তো এসবে মন নেই,এক কথায় জোর করেই এসেছে। তবে ইশান আর লিয়ানাকে জোরাজুরি করলোনা, সব কিছু লিয়ানাকে পাশে নিয়ে কিনাকাটা করে চলছে।সব শেষে দুজনেই বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। ইশান ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসে, চোখে সেই অনুভূতি দেখেই বোঝা যায় ছেলেটা সত্যিই লিয়ানাকে নিজের মনের কাছ থেকে চায়। গাড়ি ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে ছুটে চলে, লিয়ানা জানালার কাঁচে তাকিয়ে থাকে গাড়ি বাড়ির গেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে লিয়ানা ভিতরে প্রবেশ করে, আর ইশান বাইরে থেকে ধীরে ধীরে গাড়ি নিয়ে দূরে সরে যায়,শুধু দৃষ্টিতে বিদায় জানিয়ে।

সন্ধ্যার পর খান বাড়ি যেনো একেবারে অন্য চেহারা নিয়েছে। প্রবেশমুখ থেকে গেইট পর্যন্ত টানা রঙিন ফেয়ারি লাইট, গেটের উপর বড়ো বড়ো ফুলের তোড়া, বাতাসে রজনীগন্ধার গন্ধ। ড্রয়িংরুম থেকে ভেসে আসছে হাসি–আড্ডা–শোরগোল প্রায় সব অতিথিরাই চলে এসেছে একদিন আগেই, কাজের লোকেরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে। রান্নাঘরে হাঁড়ি চাপানো ধোঁয়া আর সুগন্ধ মিলেমিশে উৎসবের ঘন গন্ধ তৈরি করছে। চারদিক এতো আলো,ঝলমলে, এত প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা,যেনো গোটা বাড়ি শ্বাস নিচ্ছে এক আনন্দের তালে।

কিন্তু সেই ভিড়ের মাঝেই লিয়ানা দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দ, হঠাৎ একদম বেমানান যেনো। অকারণে ঠোঁটের কোনায় বাঁকা এক টুকরো হাসি ফুটে উঠল, তেতো আর ক্লান্তির হাসি। মনে হলো নিজের সাথেই বিদ্রূপ করছে,জীবন কেমন করে এমন মোড় দিলো? কালের পরের দিনই বিয়ে, অথচ মনে কোনো রঙ তামাশা নেই, কোনো আগুন নেই.এখন থেকে মাত্র দুই বছর আগেও সে স্বপ্ন দেখতো, কেমন হবে তার বিয়ে,আলোর ঝলকানি, মিউজিক, নাচে,গানে ভরপুর এক উন্মাদনা,নিজের বিয়েতে নিজেই নাচবে। বন্ধুদের সাথে কতো পরিকল্পনা করত কে কোন গানে নাচবে, কোন সাজপোশাকে কেমন লাগবে! অথচ এখন, যখন সত্যিই তার নিজের বিয়ের ঘন্টা বাজতে চলেছে, তখন বুকের ভেতর কোনো ঢেউই জাগছে না। মনে হচ্ছে,জীবন যেন কোথাও গোপনে তাকে ঠকিয়েছে।ফেয়ারি লাইটে আলোর দিকে তাকিয়ে লিয়ানা ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ল, চোখ নামিয়ে নিলো। বাইরে উৎসবের রঙিন আলো,আর ভেতরে তার মন অন্ধকার।ঠিক তখনি সদর দরজা দিয়ে ডুকলো মেরিন,রিমা।কাছের বান্ধুবি বলে কথা তাদের ছাড়া বিয়ে হয় নাকি।দুজনেই লিয়ানার সেই ছোট্ট বেলাকার বান্ধুবি। বান্ধুবিদের দেখে লিয়ানার মুখে হাসি ফুটলো একটু, তারা এসেই লিয়ানাকে জাপটে জড়িয়ে ধরলো।তারপর তিনজনই মিলে লিয়ানার রুমের দিকে হাঁটা দিলো।

মেরিনঃ
কিরে,তুই না বলেছিলি তোর নিজের ইচ্ছায় তুই বিয়েতে রাজি
হয়েছিস,তাহলে মুখটাকে এভাবে বাংলার পাঁচের মতো কেন করে রেখেছিস?নিজের মনের উপর কেউ এভাবে পাথর চাপা দিতে পারে তা তোকে না দেখলে সত্যি জানতাম না।
রিমা :
আমারতো ভাবতেই অবাক লাগছে, এই কি সেই লিয়ানা আমাদের?এই মেয়ে এমন হলো কিভাবে।মুখের উপর কথা বলে দেওয়া মেয়ে কিনা শেষমেশ নিজের মুখ মন দুইটাতেই তালা মেরে দিয়েছে।তবে এইসব কথা এখন আর বলে লাভ নেই, লিয়ানারে যাই হোক ভালো জামাই তো পেতে জাচ্ছিস,মন্দ কি?কত মেয়ে তাকে নিয়ে সপ্ন দেখে। তোর জন্যে বেচারা মেয়েগুলোর হৃদয় ব্রোক হবে বল।
মেরিন রিমার দিকে তাকিয়ে,
তোর নিজেই তো ক্রাশ!
রিমা:ছিলো এখন তো দুলাভাই হতে যাচ্ছে।

তাদের দু বান্ধুবির নানা বেপারে কথা চলেই যাচ্ছে,এটা,ওটা নিয়ে,তারপর কেউ বিয়ের আয়োজন নিয়ে, কেউ কতো শাড়ি, গহনা সাজছে তা নিয়ে। অথচ লিয়ানা যেন অন্য জগতে,তাদের কোনো কথার প্রতিই বিন্দুমাত্র মনোযোগ দিলো না। বিছানায় উঠে বসে রইলো, চোখ দুটো ফাঁকা যেন
কোনো এক অদৃশ্য ভাবনার ঘোরে বন্দি।হঠাৎ করেই যেন ভেতরে কোনো ঝড় বয়ে গেল, এক টানেই উঠে দাঁড়ালো লিয়ানা। পা টেনে গিয়ে বসলো নিজের ড্রেসিং টেবিলের সামনে।কিছুক্ষণ পরেই চোখ আটকে গেলো গলার সেই পেনডেন্ট এর দিকে,সেই লাল পাথরের হৃদয় আকৃতির পেনডেন্ট,যেটা ঐ যে সেদিন রাতে জায়ান তাকে নিজ হাতে পড়িয়ে দিয়েছিলো। আলোতে হালকা লাল আভা ঝিলিক মারতেই যেন বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো তার।
চোখ নামিয়ে মৃদু কণ্ঠে দুই বান্ধবীর দিকে ঘুরে বলল
এটা দেখছিস? লাল পাথরের এই হৃদয় আকৃতির পেনডেন্টটা।

দু’জনই বেশ হা হয়ে গেলো, অদ্ভুত সুন্দর লকেটটা, একদম লাল পাথরের,দেখেই মনে হচ্ছে বেশ দামি,বিদেশি।
এইটা আমায় জায়ান ভাইয়া দিয়েছিলো।তাও কিনা নিজের হাতে পড়িয়েও, দিয়েছিলেন, অথচ আমি কত বোকা সেদিন কি না কি ভেবে নিয়েছিলাম।ভাববো নাই বা কেনো বলতো একটা কাপল পেনডেন্ট যে।জানিস এইটার সাথে আরেকটা চকচকে তলোয়ারের মতো লকেট ছিলো, যেটা ওনি পড়েছিলে।
এখন তোরাই বল এমন করে কাছে এসে মায়া লাগিয়ে কেন দূরে সরে যেতে হলো??
বাই দা ওয়ে এখন টিপ্স দে তো কিভাবে খুলে ফেলা যায় এইটা।ধ্যাঁততত!

মেরিন:
পারবি না এটা লক করা, আর এটার চাবি ঔই জায়ান খানের গলায়। মানে ওনার গলারটা ছাড়া এটা খুলবেনা।এটার ব্যাপারে নেটে অনেক দেখেছি,কাপলদের জন্যে বিশেষ করে তৈরি করা।তবে জায়ান ভাই দেখি আরও এক ধাপ এগিয়ে উনিতো এইটা লক সিস্টেম করেই তৈরি করে আনিয়েছেন।
রিমা:Unbelievable!

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ১২

লিয়ানার চোখজোড়া ততক্ষণে ঝাপসা হয়ে এসেছে বুকের ভেতরএ কেমন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে।মুহূর্তেই বুকের ভেতর থেকে এক অদ্ভুত কষ্টের ঢেউ উঠে এলো। মনে হচ্ছিলো, এই ছোট্ট পাথরটার ভেতর বন্দি আছে অসংখ্য না বলা কথা, অসংখ্য দৃষ্টি আর এমন এক বন্ধন, যেটা থেকে পালাতে চাইলেও তা সম্ভব হবে না!মেরিন আলতোভাবে লিয়ানার হাতটা স্পর্শ করল, আরেকজন রিমা শুধু চোখ মেলে তাকিয়ে আছে।যারা ছোটবেলা থেকেই লিয়ানার প্রতিটি কথা শুনেছে, প্রতিটি গোপন ভাব বোঝেছে। আজ তাদের হাতে অদৃশ্য সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই নেই।এক মুহূর্তে লিয়ানা হালকা হেসে দিয়ে বলল,
তবে কি এই শেষ স্মৃতিটুকু সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে আমাকে??

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ১৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here