তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২১

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২১
ভূমিকা তালুকদার

জীবনে প্রথম যে দিন চুমু খেয়েছিলাম, সেদিন মাতাল ছিলাম আমি। নতুন নতুন খাওয়া শুরু করেছিলাম তো, মাথায় কোনো সেন্স ছিলো না,উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম। অথচ আজ দেখ, তুই-ই উল্টো নেশায় ডুবে আছিস, উন্মাদ হয়ে আমার বুকে ঝড় নামাচ্ছিস।
লিয়ানা একের পর এক চুমুতে জায়ানের বুক ভিজিয়ে দিচ্ছে। জায়ান শুধু চোখ বন্ধ করে তা ফিল করছিলো। হঠাৎ যখন লিয়ানার ঠোঁট বুক থেকে নামতে নামতে নিচে নামছে, তখনই জায়ান পেছন থেকে তার চুল শক্ত করে তার হাতের মুঠোয় চেপে ধরে।হাতের ফুলা ফুলা রগ টান টান

❝আহহ।❞
ব্যথার হালকা সুরে শব্দ বেরিয়ে আসে লিয়ানার ঠোঁট থেকে।
অর্ধভোজা চোখে জায়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে ওঠে,
❝কি করছেন আপনি, ব্যথা পাচ্ছি তো,মরে যাবো।❞
জায়ান এবার আরেক হাতের দুই আঙুলে লিয়ানার থুতনি ধরে মুখটা আরও কাছে আনে। গরম নিঃশ্বাস মিশে যায় ওদের মাঝে, আর গলা নামিয়ে ধীরে বলে ওঠে,
❝মরবে না, মরবে না রাধে।
মন্ত্র ভালো জানি।
দু-একখানা ঝাড়া দিয়ে।
বিষ করিবো পানি।❞

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জায়ান লিয়ানার চুলের মুঠি ছেড়ে দেয়। তারপর দুই হাত বাড়িয়ে আলতো করে তার গাল দুটো ধরে। চোখে চোখ রেখে গভীর কণ্ঠে বলে ওঠে—
এই আমার হৃদয় পুড়ানো মানবী,তাকা আমার দিকে, আমার চোখের দিকে তাকা। এত তাড়াতাড়ি আমার প্রতি ভালোলাগা, ফিলিংস কীভাবে এলো তোর? নাকি অন্যসব নারীদের মতো আমার হটনেস্,ফিগারের আর এই আগুন চোখের দেওয়ানা হয়েছিস? বল!
কিছুক্ষণের নীরবতা। তারপরে আবার নিচু গলায় জায়ান বলে,
❝ভালোবাসা??,এ-সব ফা*কিং লাভ টাভ আমি মানিনা। না তোর ভালোবাসার আমার দরকার আছে। ভালোবাসা কী,তার প্রকৃত অর্থ জানা নেই, জানতে চাইও না। আমি শুধু একটা জিনিস জানি।❞

❝I am just addicted on you,only you ❞
ড্রাগের নেশা ঠিক যেমন হয়, তার থেকেও ভয়ঙ্কর নেশা তুই আমার। এই নেশাই আমায় পাগল বানিয়েছে প্রতিটা মুহূর্তে। আর আমি জানি, এই নেশা আমি ইহকালেও ছাড়তে পারবো না।
❝never,ever.❞
এবার জায়ান আলতো করে আঙুল ছুঁয়ে দেয় লিয়ানার নীচের ঠোঁটে। লিয়ানা কেঁপে ওঠে।শুধু ডাগর ডাগর ব্রাউন মনির চোখ জোড়া মিলিয়ে রাখে জায়ানের ডার্ক ব্লেক মনির চোখ জোড়ার পানে।
অনেক হয়েছে তোর তিরিং বিরিং, আমার মুড চলে এসেছে, ধরলে ছাড়বো না ।পরে তুই এই মাতাল শরীর নিয়ে আমায় সামলাতে পারবি না।ইউ,নো বেবিগার্ল, বাসর করার জন্যে,আই নিড আ ডার্ক প্লেইস্,এইসব লুতুপুতু ছোঁয়া ছুয়ি তে আমার একদমি পোষাবে না।সফট্ রোমাঞ্চ ভেরি ভেরি বরিং। আমার আবার সব কিছু একটু বেশি বেশি লাগে।

জায়ান ধীরে ধীরে নিজের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে এয়ারপিসটা বের করে কানে দিয়ে কনেক্ট করে মিসেস হানের কাছে কল দিলো।
❝এক গ্লাস লেমন ওয়াটার নিয়ে আসুন, ওইথ কোল্ড ওয়াটার এন্ড স্লিপিং পিল।❞
মিসেস হান প্রথমে একটু অবাক হলেন হঠাৎ এসব কেন?? তবে জায়ানের নির্দেশ যেহেতু তিনি আর কিছু না ভেবে শুধু একটি গ্লাস লেবুর সরবত বানিয়ে সার্ভিস ট্রলি করে নিয়ে দরজার পাশে এসে রেখে চলে যান
জায়ান ধীরে ধীরে লিয়ানাকে কোলে থেকে নামিয়ে, এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলে গ্লাসটি হাতে নিয়ে তার কাছে আসে। তবে ততক্ষণে লিয়ানার অবস্থা তেমন সুবিধাজনক ছিলোনা।জায়ানও ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে লিয়ানার আচরণ থেকে যে সে একটু খায় নি তিব্র মাত্রায় খেয়ে ফেলেছে।যা কোনো সাধারণ অ্যালকোহল ছিলো না।ফ্রান্সে সবচেয়ে ফেমাস আর স্ট্রং মদ অ্যাবসিন্থ যাকে বলা হয় La Fée Verte Green Fairy বা সবুজ পরী।যাতে অ্যালকোহল কন্টেন্ট অনেক বেশি পরিমানে থাকে ৭০%–৮০%।

একটু বেশি খেলেই মাথা ঘুরে যায়, ব্ল্যাকআউট, হ্যালুসিনেশন পর্যন্ত হতে পারে।
জায়ান লিয়ানাকে লেমন ওয়াটার খাওয়াতে সামনে এগোয় তবে লিয়ানা বেড এর চাদর শক্ত করে ধরে পিছাতে থাকে,জায়ান কিছুক্ষণ যাবত শান্ত সুরে লিয়ানকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে,তবে কোনো লাভ না হওয়ায় জায়ানের মাথা গরম হয়ে উঠে কিছুটা জোরপূর্বক লিয়ানার মুখ শক্ত করে চেপে ধরে আঙুল দিয়ে তার নাকের নিঃশ্বাস বন্ধ করে পুরো গ্লাস খাইয়ে দেয় এক ঢুকে সাথে শ্লিপিং পিল যেনো নেশার ঘুর কমে একটু।লিয়ানা তখন চট করে জায়ানের গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নেয়। মুখ দিয়ে স্পষ্ট আওয়াজ না বেরোলেও ফিসফিস করে,
আ,,আপনি, আমায় কি খাইয়ে দিলেন, ছেহ, কত বাজে খেতে, আপনি কি যেনো এতোক্ষণ বলছিলেন,কি করবেন, চলুন করি, হিহিহি।

বা*লললল করবো।
বাল কীভাবে করে? আপনি কি বিয়ে করেছেন? আমি তো ভেবেছিলাম আপনার বউ আছে, আমার তো তখন হার্ট ব্রোকেন হয়েছিলো।
বউ ছিলো মানে কী,আমারতো বউ আছেই!কিন্তুু আমি এখনো একদম পিওর ভা*র্জিন, চাইলে চেক করে দেখতে পারিস,নো প্রবলেম।
এহহহহ,বউ থাকলে ভা*র্জিন কীভাবে?আপনার বউ কি সুন্দর না নাকি?
হ্যাঁ, সু,,,,সুন্দর বটে তবে আস্ত একটা মাথা মোটা।তবে অনেক সফট্,
কই দেখি তো!
ঠিক তখনি জায়ান নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে আনলো। স্ক্রিনে এক ঝলক আলো জ্বলে উঠলো। আঙুলে আলতো ছোঁয়ায় লক খুলে গেলো। তারপর সে ফোনটা লিয়ানার মুখের সামনে ধরে দিলো স্ক্রিনের
ওয়ালপেপারে ছিল একটা ছবি, গোলাপি রঙের থ্রি-পিস পড়া এক মেয়ে, গালে হাত ঠেকিয়ে বসে আছে। আর সে মেয়েটি আর কেউ নয়,লিয়ানাই।

সুন্দর না একটুনি ও।আমার থেকে বেশি সুন্দর বলুন।মিলিয়ে দেখেন তো।
কথাটা বলেই লিয়ানা নিজের চোখ জোড়া বন্ধ করে জায়ানের মুখের আরও কাছে নিয়ে আসে।
জায়ান কিছুক্ষন লিয়ানার দিকেই তাকিয়ে থাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে দেখে নেয়, তারপর ঠোঁট কামড়িয়ে বলে-
ওহহহো, লোকিং সো হট।so yummy…
তারপরই লিয়ানার কাধ জোরা শক্ত করে চেপে ধরে তাকে ঘুরিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে লিয়ানার ঠাস্ করে জায়ানের বুকে এসে পড়ে।জায়ানের শক্ত বাহুর থেকে ছাড়া পেতে কিছুক্ষণ ছটপট করতে থাকে,লিয়ানা,জায়ানেরও ছাড়ার কোনো নাম গন্ধ নেই।তবে স্লিপিং পিল এর কারণে লিয়ানা জায়ানপর বুকের উপরই ঘুমিয়ে পড়ে।

রাতের শেষ প্রহর। গভীর অন্ধকারে চারপাশ সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। শুধু নিঃশ্বাসের ভাড়ি আওয়াজ। পুরনো গাড়ির গ্যারেজ। সম্ভবত বন্ধ পড়ে থাকা হবে। পিলারের পাশে ঝুলে থাকা পাইপ দিয়ে টপ টপ জল গড়িয়ে পড়ার শব্দ শোনা যায়।দরজার পাশে এক ছায়া মূর্তি দৃশ্যমান হয়, লম্বা দেহ ডেনিম জ্যাকেট পরা মুখে কালো মাক্স লাগানো। যার এক হাতে দাঁড়ালো ছুরি, ছুরির গা চাঁদের আলোয় চক চক করছে। যার উপরপ রক্ত জমাট বেঁধে আছে। পুরনো রক্ত হবে। আরেক হাত একটা আধমরা লোকের চুলের মুঠি ধরে আছে। টেনে হিছরে ভিতরে ঢুকাচ্ছে লোকটা অর্ধ ন*গ্ন অবস্থায় মুখ থেকে ফিসফস গোঙানির শব্দ বের হচ্ছে অনবরত।পুরো শরীরে গভীর ক্ষত চিহ্ন। চাবুকের আঘাত হবে। লোকটার পুরো শরীর কাঁপছে র*ক্ত মিশ্রিত লা*লা মুখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে। এভাবে টেনে হিছরে আনার কারণে ক্ষত চিহ্ন গুলো আরো তীব্র হয়ে উঠছে। কালো মাস্ক ম্যান এবার লোকটাকে চেয়ারে বসিয়ে তার চুলের মুঠী শক্ত করে ধরে চিৎকারে করে উঠে।

❝জানো*য়ারের বাচ্চা এ দুনিয়াতে থাকার কোনো অধিকার নেই তোর।❞
চিৎকারে পুরো গ্যারেজের দেয়ালে প্রতিধবনি হলো।
পরমুহূর্তেই সে লোকটার গলায় মাঝ বরাবর ছুরি ঢুকিয়ে দেয় ছুড়ির আঘাতে লোকটার তাজা র*ক্ত ছিটকে এসে মাস্ক ম্যানের মুখে পরে।তবে রক্তের ছোঁয়া পেতেই সে তীব্র হাসিতে ফেটে পরে তারপরই ছুরিটা টেনে খুলে আবার বসিয়ে দেয় লোকটার বুকের মাঝবরাবর। এমন করে করে যেনো খুব আনন্দ পাচ্ছিল সে।সাইকোগিরির মাত্রা এবার আরও বেড়ে গেলো এবার সে পকেট থেকে একটা দাঁড়ালো চাকু বের করে লোকটার হাত টেনে এনে আঙ্গুলগুলো কাটতে শুরু করে।

❝এ হাত দিয়ে নোংরা কাজগুলো করতি তাই না?❞
এবার মাস্ক ম্যান নিজের গলায় লেগে থাকা রক্ত হাত দিয়ে মুছে সজরে লোকটাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় জোরে। লোকটা ততক্ষণে ছটফট করতে করতে মারা গিয়েছে । কিন্তু ব্লেক মাস্ক ম্যান তখনও শান্তি পেলো না তার মধ্যে সাইকো সত্তা আড়ও তীব্র হলো সে এবার লোকটার কাছে গিয়ে এক পা হাটু গেড়ে বসে ঘাড়টা এপাশ উপাশ করলো। হাতের চাকুটা দিয়ে লোকটার বুক বরাবর লম্বা দাগ কাটে,ধারালো চাকুর আঘাতে চা*মরা কেটে দু ভাগ হয়ে যায়, তারপর লোকটার হৃদপিণ্ড টেনে ছিড়ে বের করে হাতে নিয়ে নেয়। এবারও থামলো না লোকটার মৃত দেহটা ন*গ্ন করে যৌ*নাঙ্গ টাই কেটে দিলো। তারপর একটা লাইটার বের করে পাশে পড়ে থাকা লোহার শিক গরম করে লোকটার কপালে বড় বড় করে লিখে দিলো-
❝Rapist❞

ফ্রান্সের সকাল। জানালার বাইরে সূর্যের সোনালি আলো ভেসে আসছে। সাদা পর্দার ফাঁক দিয়ে হাওয়ার দোলায় আলোর রেখাগুলো স্যাডো এমপায়ার এর ভেতর ডুকে পড়েছে। ডাইনিং স্পেসে হালকা কফির ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে। জায়ান সোফায় হেলান দিয়ে বসে, হাতে ধরা কফির কাপ, আর সামনে রাখা ল্যাপটপে মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা দেখছে। চোখদুটি একেবারে স্থির, ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরা। হঠাৎ করেই তার দৃষ্টি বদলে যায়। চোখদুটি অস্বাভাবিকভাবে কঠিন হয়ে উঠে, চোয়াল শক্ত । পরের মুহূর্তেই সে ঝটকা দিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে দেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে।
এক সেকেন্ডের নীরবতা। আর সেই নীরবতা ভেঙে বজ্রপাতের মতো গর্জন—

❝এলেনা কোথায়?! আমি বলছি, এলেনা কোথায়?!❞
আগুন ঝরানো চোখে চারপাশ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে খুঁজছে। তার কণ্ঠের প্রতিধ্বনি প্যালেস কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
এলেক্স, ভয় পেয়ে বুক চেপে পিছিয়ে গেল। কণ্ঠটা যেন গলা দিয়ে বেরোচ্ছে না। কাঁপা কণ্ঠে হঠাৎ বলে উঠল—
❝W,what happened, bruh? ভয় পেয়ে গেলাম তো❞
জায়ান এক পা সামনে এগিয়ে এল, বুকের ভেতর থেকে আগুন ছুটছে যেনো। আবার গর্জে উঠল,
❝ i said, where is Elena?!❞
এলেক্স নিজের বুকের ওপর হালকা থুথু মেরে মাথা নাড়তে লাগলো, চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে জায়ানের দিকে। জানালার বাইরে আলো থাকলেও ঘরের ভেতর যেন হঠাৎ এক অন্ধকার ঝড় নেমে এসেছে।উপরের দিক থেকে তাড়াহুড়ো করে পায়ের শব্দ শোনা গেলো। সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে এলেনা। মুখে
কি হয়েছে? এভাবে চিৎকার করছিস কেন?—কপালে ভাঁজ ফেলে দাঁড়াল সে, আমার সাথে কি একটুখানি শান্ত স্বরে কথা বলা যায় না?

এলেনাকে দেখেই জায়ানের চোখে আগুন জ্বলে উঠলো। তার হাতে ধরা কফির কাপটা ছুরে মারলো এলেনার দিকে। মুহূর্তেই কাপটা গিয়ে আছড়ে পড়লো এলেনার কপালে। তীক্ষ্ণ ভাঙা কাঁচে যেনো দগদগে দাগ কেটে দিলো।
আআআহহ! চিৎকার করে উঠল এলেনা। কপাল দুহাত দিয়ে চেপে ধরে এক হাঁটুতে বসে পড়লো।
জায়ান তখন দাঁত খিঁচে গোঙাচ্ছে, বুক ধড়ফড় করছে।বড় বড় পা ফেলে এগোচ্ছে তার দিকে।
ঠিক তখনই পেছন থেকে জায়ানকে ধরে ফেলে এলেক্স। শক্ত করে ধরে ফেললো।
শান্ত হ জয়ান!কি হয়েছে বলবি তো? এই রাগ, এই ক্ষোভ,কিসের জন্য?
জায়ান ঝাঁকাতে লাগলো শরীর, কিন্তু এলেক্স আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তবুও চোখদুটো আগুনের মতো জ্বলছে, মুখ থেকে গর্জন ভেসে আসছে—

ছাড় আমাকে! না হলে এই শেইমলেস ওইমেনের সাথে তোর কবরও খুঁড়ে ফেলব আমি।ছাড় আমায়!!চোখে শিরা ফেটে বেরোনো রক্তিম দৃষ্টি।
কতো বড়ো সাহস তোর! আমার বৌকে মদ খাইয়ে দিস?কি ভাবলি আমি বুঝব না?!
কী ভেবেছিলি?! How bitch are you,শেইমলেস।অসভ্য, জঘন্য ওইমেন!
এলেনা তখনো কপাল চেপে ধরেছে, রক্ত ঝরছে, কিন্তু বাকরুদ্ধ।
জায়ানের বুক ওঠানামা করছে রাগে।

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২০

আমি আগেই বুঝেছিলাম, আমার বউ এসব নিজের ইচ্ছায় কোনোদিনও খাবে না। তুই ওকে জোর করে খাইয়েছিস।
আমি জানি না,কিছু,তুই আমার বউয়ের পা ধরে ক্ষমা চাইবি।
পায়ে ধরতে বলেছি মানে পা ধরবি!
❝ইয়েস!পা ধরে বলবি। ভাবি আই এম সরি।❞

তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here