তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২৭
ভূমিকা তালুকদার
সকালটা আজ পাহাড়ি অঞ্চল আল্পসের মোহনীয় সৌন্দর্যে মোড়ানো। পাহাড়ের গায়ে তখনো ভেজা কুয়াশা লেগে আছে, সূর্যের আলো হিমেল শীতলতাকে কেবল ছুঁয়ে যেতে শুরু করেছে। বিশাল পাইনগাছের সারির মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা সরু রাস্তা নেমে গেছে অনেক দূর অবধি।সেই আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় গর্জন তুলে ছুটে চলেছে এক কালো রঙের ল্যাম্বোরগিনি। কাঁচে ভেজা কুয়াশার ঝাপসা আভা, গাড়ির শব্দ ড্রাইভিং সিটে বসা জায়ান চোখে কালো রঙের সানগ্লাস, ঠোঁটে এক বাঁকা হাসি।
তার হাত দৃঢ়ভাবে স্টিয়ারিং চেপে রেখেছে, মাঝে মাঝে স্টিয়ারিং ঘুরিয়েই চোখের কোণে পাশের সিটে ঘুমিয়ে থাকা লিয়ানার দিকে তাকাচ্ছে।
গভীর ঘুমে তলিয়ে থাকা লিয়ানা,তার মাথা একপাশে হেলে আছে,কোমর অব্ধি চুলগুলো খোলা, ঠোঁটে শান্ত এক নির্দোষতা। অথচ তার শরীর এখনো জানে, রাতটা কতটা উন্মাদনার মতো ছিলো। রাতের শেষ প্রহরে জায়ানের দখল থেকে মুক্তি পেয়েছিলো সেটাও প্রায় অচেতন হয়ে পড়ার পর।তবে জায়ানের দিক থেকে দেখলে মনে হয় যেনো কিছুই ঘটেনি। তার চোখে-মুখে নেই কোনো চাপ, এমনকি রাতের তীব্র মুহূর্তের কোনো ছায়াও নেই। যেন পুরো ঘটনাটা কেবল এক রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার ছিলো। চারপাশের দৃশ্য যেমন অনন্ত নির্লিপ্ত, তেমনি জায়ানের ভেতরেও অদ্ভুত এক নিরাবেগতা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
গাড়ি ছুটে চলে, পাহাড়ি বাতাস জানলার ফাঁক গলে ভেতরে ঢুকে গিয়ে লিয়ানার চুল উড়িয়ে দেয়। জায়ান এক ঝলক তাকায়, ঠোঁটে বাঁকা হাসি টেনে আবার রাস্তার দিকে মন ফেরায়।কালো ল্যাম্বরগিনিটা পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় বজ্রের মতো ছুটে এসে হঠাৎ এক ঝটকায় ব্রেক কষলো। টায়ারের ঘর্ষণে পাথরের পথে একধরনের কড়া শব্দ উঠলো,ঘন কুয়াশার ভেতর দিয়ে কালো গাড়িটা এগিয়ে এসে থামলো বিশাল এক ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে। গাড়ির হেডলাইটের আলো যখন সামনের দিকটা স্পষ্ট করলো, তখনই চোখে পড়লো সেই মহলসদৃশ বাড়ির গায়ে খোদাই করা অক্ষরগুলো”PALACE OF LIYARZ”। অক্ষরগুলোর কালো পাথরের ওপর সোনালি ছায়া ফেলছে, যেনো অন্ধকারের বুক চিরে ওগুলোই একমাত্র আলো জ্বালানো চিহ্ন।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, না আছে কোনো পাহাড়াদার আর না কোনো প্রহরী । গাড়ির হেডলাইট বন্ধ হতেই নিস্তব্ধতার ভেতর দিয়ে শুধু ঘোড়াদের শ্বাস-প্রশ্বাস আর কুয়াশার কাঁপন শোনা যাচ্ছিলো। লিয়ানা তখনও আধো ঘুমে, জানালার কাঁচে তার নিঃশ্বাস জমে ধোঁয়াটে কুয়াশার মতো চিহ্ন এঁকে রেখেছে।শীত তখনো শুরু হয়নি,তবে পাহাড়ি অঞ্চল বলে কুয়াশা ঘেরা।সম্পুর্ন জন মানবহীন।
জায়ান ধীরে ধীরে সানগ্লাস খুলে সামনে তাকালো। ঠোঁটে ভেসে উঠল হালকা, শীতল হাসি। “Welcome home”নিজেকেই ফিসফিস করে বলল, যেন এ বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে তার কোনো অদৃশ্য চুক্তি বহু আগেই বাঁধা আছে।গাড়ি থেকে নেমেই গাড়ির পাশে পীঠ ঠেকিয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় জায়ান। চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে ফেলে দেয়।অতীত এর কিছু কথা মনে পড়ে বাঁকা হাসি টানে, সিগারেট ধরিয়ে ধীরে ধীরে মাথাটা কাত করে বিড়বিড়ায়,
এই প্যালেসের প্রতিটা দরজা, প্রতিটা জানালা
শুধুই তোর দেহের জন্য গড়া।তুই যখন হাসবি, তখন দেয়াল কেঁপে উঠবে,তুই যখন কাঁদবি, তখন ছাদ থেকে ঝরবে রক্ত।আমি চাই না অন্য কেউ তোকে ছুঁক,তোকে দেখুক।এই অট্টালিকা আমার স্পর্শের রাজ্যযেখানে শুধু আমি, শুধু আমার হাত,তোর শরীরের প্রতিটা কোণে লিখবো আমার নাম।প্রতিটা রাত তোর দেহে আগুন ধরাবো আমি।তুই পালাতে চাইবি,কিন্তু তোর নিজের শরীরই তোকে টেনে আনবে আমার কাছে।
সবই কেবল ভ্রম মনে হবে।আসল সত্যে তুই।
এই বাড়ির প্রতিটা কক্ষ হবে একেকটা নেশার ঘর।যেখানে আমি বারবার মাতাল হব তোর স্পর্শে।
এই প্যালেসের সামনে দাঁড়িয়ে শপথ করছি,
যদি তুই আমায় ছাড়া অন্য কারও দিকে তাকাস,
এর কাঁচ ভেঙে তোর রক্তে ভিজে যাবে।
তুই শুধু আমার,
তুই যদি বলিস তুই আমার নোস,
তাহলে এই বাড়ি ভেঙে আমি তোকে কবরে শুইয়ে দেব।কিন্তু সেখানেও,আমি প্রতিরাতে কবর খুঁড়ে এসে তোকে ছুঁবো।
কথাগুলো দাঁতে দাঁত পিষে বলে।মুহুর্তেই সোজা হয়ে দাঁড়ায়, চুলগুলো পিছনে ব্রাশ করে শার্ট টেনে একদম জেন্টেলম্যান হয়ে যায়। নিজের হাতে জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে দেয় জায়ান।তারপর দীর্ঘ একটা শ্বাস টানে। গাড়ির দিকে মাথা নত করে ঝুঁকে,
এই যে ম্যাডাম,শুনছেন? এবার উঠুন, নাকি আমার কোলে উঠে যাবেন? আমি চাই আপনি নিজেই পদচারণা করে ঢুকুন। আপনার এই তো সব।
লিয়ানার কানেও আদৌও কোনো কথা পৌঁছায় না।আর না, শরীর একটুও নড়ে । জায়ান গাড়ির ডোর খুলে, লিয়ানার সিটবেল্ট খুলে দেয়।
গাড়ির ভেতরে হাত বাড়িয়ে একটা ওয়াটার বোটল থেকে পানি ছিটকে মারে লিয়ানার মুখে। পানির স্পর্শ পেতেই শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে, নিভো নিভো চোখে বলে,
কে আপনি?
তোর জম্।উঠ,তারাতারি!
জায়ানের কণ্ঠধ্বনি কানে বাজতেই, চোখ মেলে তাকায় লিয়ানা। সঙ্গে সঙ্গে কোমড়ে হাত রেখে, উফ্, বলে চিৎকার করে উঠে।লিয়ানাকে এভাবে চিৎকার করতে দেখে জায়ান বলে,
বেশি ব্যথা করছে জান?
লিয়ানা তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ে।কাঁদো কাঁদো হয়ে, রাগ ফুঁসিয়ে জায়ানের বুকে জোরে জোরে কিল ঘুষি মারতে থাকে।
অসভ্য লোক! মরে যাবো আমি।
প্লিজ, স্টপ! ডোন্ট ক্রাই, বেবি।
হাঁটতেও পারছি না আমি! আই উইল কিল ইউ!
জায়ান লিয়ানার দু’হাত ধরে তাকে থামায়।
লিসেন্ট! বিলিভ মি,আই কা’ন্ট কন্ট্রোল মাই সেলফ্! নিজের মধ্যে ছিলাম না।আই নো ইট’স্ ইউর ফাস্ট টাইম, বাট আমার একটু জেন্টেল হওয়াটা উচিত ছিলো।
জায়ান আলতো করে লিয়ানার গাল স্পর্শ করে
ইট’স নরমাল। কাম ডাউন।
লিয়ানা জায়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আশেপাশে তাকাতে থাকে।চোখ মুখ এক প্রকার কুচকে বলে,
এইটা আবার কোন জায়গা?
জায়ান লিয়ানাকে পেছন থেকে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে।জায়ানের হাত দুটো স্পর্শ কেমন উষ্ণ, গরম তাপ ঝরে পড়তেই লিয়ানা কেঁপে উঠে। জায়ান লিয়ানার ঘারে চুমু খায়।মাথা নুইয়ে লিয়ানার কানে কাছে মুখ নেয়,,,,
ইট’স ইউ’র ওয়েডিং গিফট! কয়েক বছর এর পুরোনো হলেও ট্রাস্ট মি, আমি ছাড়া এখানে আর কেউ প্রবেশ করে নি! আর আজকে তুই হবি,এই প্যালেসে প্রবেশ করা সেকেন্ড পারসোন। Welcome,sweetheart।
লিয়ানা বিস্মিমিত হয়ে শুকনো একটা ঢুক গিলে নেয়।
আ.. আপনি কি আবার নেশা করেছেন?
কই নাতো, বাট হু আই?? কোনো মদ খেয়ে নেশা ধরে না আমার। কিন্তু তোর কাছে আসলেই কেমন নেশা নেশা লাগে।
তাহলে!
Shut up! ভিতরে চল।
জায়ান লিয়ানার হাত ধরে নেয়,তারওর গেইট পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। লিয়ানার হা করে তাকায়ে থাকে কালো রঙের বিশাল ডুপ্লেক্স বাড়ির দিকে। কালো রঙ তার প্রিয়, তবে বাড়ির কালার কেউ এমন ডার্ক ব্লেক কেউ করে নাকি।আজব ব্যাপার স্যাপার। সামনে সুবিশাল গার্ডেন। বাগানে রাখা এক ধুসর রঙের গাড়ি Ferarri SF90। লিয়ানার দৃষ্টিটা জায়ানের দিকে একবার যায়, পুনরায় গাড়ির দিকে ফিরে আসে। দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ভাবে,
এই গাড়ি! এই গাড়ি তো আমার ফোনের ওয়ালপেপার-এর ! কাকতালীয় হবে। উনি কি করে আমার ফোনের হোমস্ক্রিনের ওয়ালপেপারই বা দেখবেন,কবেই বা দেখেছেন।এখানেও তো ফোন আনি নি।যাই হউক। ইট’স মাই ফেভারিট কার। উফ! হেব্বি জোস।
বিড়বিড় করতে করতে বাগানের বিপরীত পাশে তাকাতেই লিয়ানার চোখ জোড়া বড় বড় করে দেখতে থাকে, দু’টা ঘোড়া। একটা একদম কালো, আর একটায় ধব ধবে সাদা। এত সুন্দর দেখে মনে হচ্ছে কাপল।লুয়ানার মনটাই ভালো হয়ে গেলো নিমিষেই। একটু আদরে ছুঁয়ে দিতে মন চাইলো ঘোড়া দুটোকে। কিন্তু না, এখন সে জায়ানের হাতের কবলে। পরে এসে না হয় পরিচিতো হওয়া যাবে এদের সাথে।
সদর দরজার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে লিয়ানা বলে উঠে,
এক মিনিট,আমরা কি আর প্যারিসে থাকবো না?
নো।
কীহহহহহ! এখানে থাকবো? শুনুন……
জায়ান লিয়ানার হাত ছেড়ে দেয়, দরজায় পাসওয়ার্ড প্রেস করতেই সঙ্গে সঙ্গেই দরজা খুলে যায়। জায়ান গাড়ির চাবি আঙুল দিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে, সামনে হাঁটা দেয়, লিয়ানাও জায়ানের পেছন পেছন যেতে থাকে।
আপনি আমার কথা তো শুনবেন নাকি!
কোনো কথা শুনতে চাচ্ছি না! নট অ্যা সিন্ গেল ওয়ার্ড। তুই কি বলতে চাইছিস আই নো। রাগ উঠাস না আমার।ভালোয় ভালোয় বলছি আপাতত চুপ থাকাটাই তোর জন্যে মঙ্গল।
জায়ান বড় বড় পা ফেলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকে।লিয়ানাও হাঁটে জায়ান এর পিছু পিছু। জায়ান বেডরুমে প্রবেশ করার আগেই লিয়ানা এক হাতে হালকা ধাক্কা দিয়ে জায়ানকে সরিয়ে দেয়।
দেখি সরুন সরুন।আমি আগে যাবো।
বেডরুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে লিয়ানা লক্ষ্য করলো, পুরো রুম জায়ান কালো রঙে সাজিয়েছে,দেয়াল, আসবাবপত্র, সবকিছু যেনো গভীর রহস্যময়তা আর আধা অন্ধকারে ঢাকা।
লিয়ানা কোমড়ে দু’হাত ধরে জায়ানের দিকে তাকালো। তার চোখে কৌতূহল ফুটে উঠেছে
আপনার কি কালার ফোবিয়া আছে? রঙিন জিনিস পছন্দ করেন না?
জায়ান কোনো প্রতিউত্তুর না দিয়ে শাওয়ার এর জন্যে বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।জায়ান বাথরুমের দরজা অর্ধখোলা রেখে হাত বাহির করে।
টাওয়েল টা দে।
লিয়ানা বেলকনি থেকে টাওয়েলটা হাতে নিয়ে বাথরুমের কাছে এগিয়ে যায় এবং জায়ানের হাতে টাওয়েল দিতে যাবে তখনি জায়ান টাওয়েল সমেত লিয়ানাকে টেনে বাথরুমের ভেতরে নিয়ে যায়।
আরে আরে,কি করছেন, কি!
শাওয়ার নিবো।
তো নিন না।আৃায় কেন ডুকালেন।আপনি আগে শাওয়ার নিন, তারপর আমি নিবো।
জায়ান লিয়ানার শার্টের বোতমের ফাকে হাত ডুকিয়ে দেয়।লিয়ানার পেট এ হাত রেখে।বাথরুমের দেওয়ালে ঠেলে দেয়।দু’হাতে গ্রাস করে লিয়ানার নাকের সাথে নাক ঘষে বলে,
নো ডিয়ার। একসাথে করবো।
অসভ্য! অসভ্য! অসভ্য!
তুই ই তো বানিয়েছিস! এবার সামলা।
কি আজব সরে যান! আমাকে যেতে দিন।-লিয়ানা তর্ক করতে থাকে।
ভুলে গিয়েছিস, একসাথে ফরজ গোসলের অফার কিন্তু বিয়ের আগেই দিয়েছিলাম। এখন বিয়ের পর তা হাত ছাড়া করি কি করে বল?
জায়ান এক হাতে নিজের শার্ট খুলে টাওয়েলের পাশে রেখে দেয়।
আচ্ছা, আপনার কি বিন্দু পরিমাণ লজ্জা নেই? লজ্জা লাগে না?
না! তোর লেগেছিলো কাল রাতে?
উফ্ফ!-লিয়ানা কান চেপে ধরে ফেলে।
জায়ান লিয়ানার ফোলা ফোলা ঠোঁটের মধ্যে আঙুল রেখে চুপ করিয়ে দেয়।সুইচ ক্লিক করতেই ঝর্ণারর পানি তাদের শরীর বেয়ে পড়তে থাকে
জায়ান মাথা নিচু করে লিয়ানাকে দেখতে থাকে।জায়ানের চুল থেকে মুখ বেয়ে পড়া পানি লিয়ানার মুখ স্পর্শ করতেই লিয়ানার হালকা কেঁপে কেঁপে উঠে। জায়ান লিয়ানার ভেজা শরীর এর দিকে চোখ বুলায়। শার্ট পানিতে ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে লেগে দেহখান ভাসমান করে দিয়েছে।লিয়ানার গলা অচেতনভাবে কম্পিত হয়, চোখ বন্ধ করে সে অনুভব করে জায়ানের কাছ থেকে আসা উষ্ণতা।জায়ান ততক্ষণে লিয়ানার বক্ষে কামড়াতে থাকে।ব্যাথায় কুকড়ে উঠে লিয়ানা।হাতে ঠেলেও সরাতে পারে না জায়ানকে। লিয়ানার শার্ট এর বোতম একটু একটু করে নিচ থেকে খুলা শুরু করেই জায়ান তার উদরে মুখ ডুবিয়ে দেয়।লিয়ানা জায়ানের চুল খামছে ধরে ফেলে।
জায়ানের ঠোঁট জোড়া লিয়ানার সর্বাঙ্গে বিচলন করতে থাকে।জায়ানের হাত ধীরে ধীরে লিয়ানার কোমর ঘাড় স্পর্শ করে, যেন প্রতিটি স্পর্শে হৃদয়ের ঢেউ জাগে। লিয়ানা নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেছে না।চুপচাপ, কিন্তু ভেতরে অদ্ভুত উত্তে*জনায় সে কাঁপতে থাকে।পানি পড়তে থাকে—মাথার চুল, মুখ, গলার রেখায়। জায়ান হাত উপরে তুলে, লিয়ানার কানের কাছের পানির ফোঁটা স্পর্শ করে চুমু একে দেয়।তারপর ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দেয়।জায়ানের প্রত্যেকটা কামড়ে লিয়ানার দেয়ে আগুন জলে উঠে।জায়ানের দাঁতেরাঘাত লিয়ানার গলায় তিব্র ব্যথা অনুভব করে ।চোখ বেয়ে দু ফোটা জল গরিয়ে পড়ে ফ্লোরে।মুখ দিয়ে যে আস্তে শব্দটা উচ্চারণ করবে তাও বের হয়না।জায়ান উন্মাদের মতো লিয়ানার মাঝে ডুবে থাকে।বেশ কয়েক মিনিট পর হুস ফিরে আসলে সাথে সাথে সরে যায়।হাতের উল্টো পিঠে ঠোঁট মুছে নিয়ে শার্ট আনতে পিছনে ফিরতেই,লিয়ানার চোখ পরে জায়ানের পিঠের আংশে।বড় বড় আচড়,নোখের।
জায়ান নিজের শার্টটা লিয়ানার গায়ে জড়িয়ে দিতে দিতে বলে।
এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন??
আপনার পিঠে নোখের বড় বড় আচড়!
দেখ কি করেছিস,বাট আমি কোনো অভিযোগ করেছিলাম??
লিয়ানা মুখটা চুপসে যায়।জায়ান লিয়ানার হাত ধরে তার বড়বড় নখ এর দিকে ইশারা করে।
আই লাইক ইট।মাঝে মাঝে চুলকে দিতেও কাজে লাগবে।
এ্যাাাাাাাাাাা।
লিয়ানা চোখ মুখ খিচে দাড়িয়ে থাকে। জায়ান টাওয়েল দিয়ে লিয়ানার ভেজা চুল মুছে দেয়।
চল!- বলেই জায়ান লিয়ানাকে কোলে তুলে রুমের দিকে পা বাড়ায়।লিয়ানাকে বেডে শুইয়ে দিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে নিজের ভেজা চুল মুছতে থাকে।আর আয়নায় লিয়ানার প্রতিবিম্ব দেখে দেখে বাঁকা হাসে।লিয়ানা চোখ পিট পিট করে জায়ানকেই দেখতে থাকে।লজ্জা কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না।
তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ২৬
ঠিক তখনি জায়ানের ফোনে মেসেজ নোটিফিকেশনের এর শব্দ ভেসে আসে।লিয়ানা হাত বাড়িয়ে বালিশের কাছ থেকে ফোন হাতে নিতেই,জায়ান এসে লিয়ানার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়।
জায়ান ফোন অন করতেই দেখে, মার্কোর মেসেজ।
জায়ান।কাম টু দ্যা বার টু’নাইট।ইট্’স আর্জেন্ট
