তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ৩৯
ভূমিকা তালুকদার
লিয়ানা সেই কখন থেকে ডাইনিং স্পেস এর অ্যালকোহল রাখা কাভার্ডে হাত রেখে শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে শক্ত করে তা ধরে রেখেছে।তার আরেক হাত জায়ান এর কব্জায়।জায়ান দাঁত দাঁত পিষে লিয়ানাকে টানতে থাকে।লিয়ানাও নাছোড়বান্দা কোনো ভাবেই কাভার্ড থেকে হাত সরালো না।মূহুর্তেই জায়ান হেঁচকা টান দিতেই লিয়ানা মার্বেল ফ্লোরে ধপা’স্ করে পড়ে যায়।কোমড়ে ব্যথা পেতেই ফ্লোরে বসে বাচ্চাদের মতো কেঁদে উঠে। লিয়ানার চোখে বিন্দু পরিমাণও জল না দেখতে পেয়ে জায়ান ভ্রু কুঁচকিয়ে বলে,
“আমি এক থেকে দুই পর্যন্ত গুনবো এর মধ্যে যদি তুই ওঠে না দাঁড়াস কোলে করে নিয়ে এমন রোমান্স থেরাপি দিবো এক সপ্তাহ বেড থেকে উঠে দাঁড়াতে পারবি না।”
“বায়োলজি প্র্যাক্টিকাল এসব আমার কাছে দুধভাত। এসবের ভয় দেখাতে আসবেন না মোটেও।”
“ওহহ রিয়েলি!ধরা ছুঁয়ার আগেই তো কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিস।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জায়ান পকেট থেকে ফোনটা বের করে লিয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে। ফোনের স্ক্রিন অন করে লিয়ানার মুখের সামনে ধরতেই লিয়ানার চক্ষু চরক গাছ।হাইয়ার ম্যাথে পাশ করতে পেরে খুশিতে ডিজে মিউজিক বাজিয়ে নাচতে মন চাইছে। খুশির ঠেলায় হুট করে জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরে ফেলে। ফ্লোরে পড়ে থাকা সাদা গোলাপের তোড়াটা হাতে নিয়ে ফুলের ঘ্রাণ শুকতে থাকে।রিটেনে কোনোমতে বাইশ আর এমসিকিউ তে এগারো পেয়ে কেউ এভাবে খুশি হতে পারে তা লিয়ানাকে না দেখলে জানতোই না জায়ান।জায়ান নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে লিয়ানাকে শীতল কন্ঠে বলে উঠে,
“এক্সাম খারাপ হলে কি বলেছিলাম মনে আছে তো।গাছের সাথে উল্টো করে ঝুলিয়ে একশোটা চুমু খাবো।আ’র ইউ রেডি বেবি গার্ল।”
জায়ানের আচমকা এহন কথায় লিয়ানা চোখ গোল করে একটা শুকনো ঢুক গিলে নেয়।কি খাতারনাক কথা বলে এই লোক।লিয়ানা দাঁত কটমট করে বলে,
“আজব তো।এমন কোনো ডিল হয়নি।ফেইল করলে এমন করবেন তা বলেছিলেন।”
জায়ান ঠোঁট কামড়িয়ে লিয়ানার গলার লকেটে আঙুল ঠেকিয়ে নিজের কাছে টেনে আনে।লিয়ানার গোলাপি অঁধরে আঙুল ছুঁয়ে বলে,
“এতো কথা কেন বলিস।তুই কি বুঝতে পারছিস না আমার আদর করতে মন চাইছে তোকে।তুই কাছে এলে এতো কন্ট্রোলে’স হয়ে পড়ি কেন?রেজাল্ট ডা’জেন্ট মেটার ফর মি।
জায়ানের এমন শান্ত দৃষ্টি লিয়ানা কতোদিন ধরে দেখেনি। লোকটাতো কথা কথা শুধু রেগে যায়।আজ এতো মায়াভরা দৃষ্টিতে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মনটা ব্যকুল হয়ে উঠছে তার।যতই মুখে দানব দানব করুক না কেনো তার সামনে থাকা পুরুষটা কিন্তুু হেব্বি হ্যান্ডসাম।চুলগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে আছে তাও দেখতে বেশ্ পরিপাটি লাগে।লিয়ানার হৃদস্পন্দন টা হঠাৎ জোরে জোরে বিট করতে থাকে লাফিয়ে বেরিয়ে আসার আগেই দু হাত দিয়ে জায়ানের চোখজোড়া ধরে ফেলে।আমতা আমতা করে লজ্জামাখা সুরে বলে,
“এ..এভাবে তাকাবেন না মরে যাই।”
জায়ান টুপ করে লিয়ানার ঠোঁটে চুমু খেয়ে নেয়।লিয়ানা কেঁশে উঠে সরু চোখে তাকিয়ে বলে,
” বেহায়া লোক”
“ইয়েস ইউ আর মাই হায়া,এন্ড আই অ্যাম ইউর বেহায়া।”
লিয়ানা হঠাৎ জায়ানকে ছেড়ে দিয়ে কেমন অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে।জায়ান লিয়ানার হাত স্পর্শ করতেই লিয়ানার হুঁশ ফিরে আসে।কপালে গুড়ি গুড়ি ঘাম জমে উঠেছে। লিয়ানাকে হঠাৎ চুপ মেরে যেতে জায়ান লিয়ানার গাল চেপে ধরে বলে,
“হু’য়াট হেপেন্ড??আমার দিকে তাকা”
“ক…কিছু না তো”
জায়ান নাক ফুলিয়ে সামনে অগ্রসর হয়ে লিয়ানার গাল আরও জোরে শক্ত করে চেপে ধরে ফেলে।
“চুপ থেকে রাগাস না আমায়।”
“না মানে হা’ইয়ার ম্যাথে প্লাস আসলে তো আমি এ প্লাস পেতাম তাই না।কথা সেটা না কথা হলো হঠাৎ করে কলেজের ম্যাথ টিচার এর কথা মনে পড়ে গেলো!”
জায়ান চোয়াল শক্ত করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
আপনি শুনলে অবাক হবেন স্যার না হঠাৎ করে কোথায় যেনো গায়ের হয়ে যায়।অদ্ভুত না!
কলেজের কেউ বুঝে উঠতে পারেনি হঠাৎ করে কলেজের একজন প্রফেসর গায়েব কি করে হতে পারে।লিয়ানা ম্যাথে বরাবরই দূর্বল ছিলো।নতুন নতুন কলেজে ভর্তি হওয়ার পড়।কলেজের প্রফেসরের কাছেই টিউশনিতে দিয়ে দেয় লিয়ানাকে তার বাবা ফাহিম খান।মেয়ের সুবিধার জন্যে তিনি স্যারকে বাড়িতে এসে পড়াতে বলেছিলেন।প্রফেসরও লিয়ানাকে বাড়িতে এসেই পড়িয়ে যেতেন।ভালো পড়াতেন।কিন্তুু ফাস্ট ইয়ার এ আশ্চর্যজনক ভাবে প্রফেসর হেলাল কলেজে আসা বন্ধ করে দেন।আর না লিয়ানাকে পড়াতে আসতেন।ওনার পরিবারও ওনার কোনো খোঁজ পায়নি আর। লিয়ানা শুনেছিলো থানায় মি’শিং ডায়েরি করেও কোনো লাভ হয়নি।আজ প্রায় দের বছরের কাছাকাছি ঐ স্যারের কোনো খোঁজ নেই।লিয়ানা তারপর আর কোনো শিক্ষক এর কাছে ম্যাথ পড়ে নি। স্যারের পড়াই বুঝতো শুধু, না পড়েই এক্সাম দেয়ার কারনে গ্রেড পয়েন্ট কম পেতে হলো।হেলাল স্যার তার কাছে লাইফের বেস্ট টিচার ছিলো।উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করে যেনো স্যার যেখানেই থাকে সুস্থ্যে থাকেন।
জায়ান লিয়ানার চুল পিছন দিকে মুঠ করে দরে নিজের দিকে টেনে আনে।চোখজোড়া ততক্ষণে রক্তিমবর্ণ ধারণ করেছে।রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে বলে,
“তোর তো দেখি নিজের স্যারের প্রতিও কতো দরদ।দুনিয়ায় সবার প্রতি দেখি তোর দরদ এর শেষ নাই।এমন দরদ তো আমার জন্যে দেখলাম না।”
লিয়ানা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে উফফ শব্দ করে উঠে।লিয়ানা সত্যিই বুঝে উঠতে পারে না জায়ানের হৃদয়ে এতো কিসের ক্ষোভ জমা।সে কি এমন বলে ফেললো।এইটুকুতেও রাগ দেখাতে হবে।আর প্রফেসর এর কথা বলাতে এতো চটে গেছেনই বা কেনো।অবশ্য এনারতো রাগ করার জন্য কোনো কারণো দরকার হয়না।এমন বুনো ষাঁড়ের মতো জায়ানকে ক্ষ্যপ্তে দেখে লিয়ানার কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠেছে। না জানি এখন আবার না কোনো রণক্ষেত্র বাঁধিয়ে বসে।একটু ও বিশ্বাস নেই লিয়ানার।লিয়ানা জায়ানের গ্রিবা থেকে বের হতে ছটফট করতে থাকে।জায়ান উল্টো লিয়ানার ঘাড় স্পর্শ করে ঠোঁট ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।উন্মাদনায় মত্ত হয়ে লিয়ানার অঁধর শক্ত করে চেপে ধরে থাকে।যেনো নিজের ভিতরের দাবানল কমানোর এটাই একটা মক্ষম উপায়।জায়ানের হিংস্রতা তিব্র হতেই লিয়ানা সহ্য করতে না পেড়ে জায়ানের গাল ধরে মুখ সরিয়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।জায়ান ধরতে নিলেই লিয়ানা তড়িঘড়ি করে ওঠে হনহনিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়।জায়ান শুধু ঘাড় ঘুড়িয়ে একবার এপাশ ওপাশ হেলিয়ে নিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা সাদা গোলাপের তোড়াটার দিকে লালিমা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটা পৈশাচিক হাসির রেখা টেনে,বলে,
কু’ত্তারবাচ্চা,জানো’য়ারের বাচ্চা,শালী ছলনাময়ী, ফা’ক ইউ এন্ড আই উইল কিল ইউ।তোর ঘাড় তেড়ামিগুলো যাস্ট টু মা’চ পেইনে’বল।ড্যাময়েট।
জায়ান গোলাপগুলো হাত দিয়ে তুলে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে।কাঁটাযুক্ত গোলাপের তোড়ার ফুলগুলো টেনে টেনে ছিড়ে ফ্লোরে ফেলতে থাকে,কাঁটা বিঁধে জায়ানের হাত দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে সাদা পাপড়ি গুলো লাল হয়ে ভিজে উঠেছে। সবগুলো পাপড়ি টুকরো টুকরো করে শান্ত হয়ে পাঁ দিয়ে পিষে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকে।পাশের চেয়ার টা লাথি মেরে উল্টিয়ে হনহনিয়ে উপরে বেড রুমে না গিয়ে উল্টো পথে করিডর দিয়ে শেষের লাইব্রেরি রুমে ডুকে ডোর লক করে দেয়।
নাদিয়া রাতের পড়া নাইটি পড়েই সিঁড়ি বেয়ে পুরো এম্পায়ার চিল্লাতে চিল্লাতে নামতে থাকে।একে পুরো শরীর ব্যথায় জর্জরিত হয়েআছে,মাইগ্রেনের প্রব্লেমে যেনো মাথাটা ফেঁটে যাবে।নিচে ডাইনিং স্পেসে এসেই হাতের কাছে যা পাচ্ছে,সব মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলতে থাকে,কাঁচ ভাঙ্গার শব্দে পুরো প্যালেস কেঁপে উঠছে।মিসেস হান রান্নার রুম থেকে শব্দ পেয়ে ছুটে আসে এসেও নাদিয়াকে শান্ত করতে পারেন না।মিসেস হানের রুমে মেরিন জানালার পাশে বসে ছিলো।এতো বিকট্ শব্দ শুনে দরজার কাছে উঁকি দিতেই চোখের সামনে যা দেখতে পায়।দেখে তার গা খানা শিউরে ওঠে ভয়ে।মুখে হাত দিয়ে ভয়ে ভিতরে ডুকে পড়ে।এ বাড়ির মানুষগুলো এতো আজব কেন বুঝে উঠতে পারলো না মেরিন।নাদিয়া হাতের বন্দুক দিয়ে উপরে ঝারবাতিতে ফায়ার করে দিয়েই।পুরো ঝারবাতি ফ্লোরে পড়ে অংশবিশেষ গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওদিক পড়তে থাকে।কাঁচের টুকরো উড়ে এসে নাদিয়ার ঘাড়ের পাশ দিয়ে ছুঁয়ে যেতেই গলার সাইড কে’টে যায়।সেদিকে মন না দিয়ে নাদিয়া চিৎকার করতে থাকে।
আমার বাড়িতে ঢুকে, আমার বেড রুমে প্রবেশ করার সাহস হয় কি করে,হয় কু’ত্তারবাচ্চার,আমাকে স্পর্শ করার। যেই হাত দিয়ে আমাকে ছুঁয়েছে,ঐ হাতগুলো কেটে রাস্তার কুকুর দের খায়াবো আমি।এতো হাইসিকিউরিটির মধ্যে কেউ কি করে প্রবেশ করতে পারে।সবগুলোর চাকরি যদি আমি না খাই আমিও নাদিয়া না।সবগুলোকে বের করে দিবো।”
“কার হাত কেটে কুকুরকে খাওয়ানোর প্লেন করছিস নাদিয়া।”-এলেক্স হাই তুলতে তুলতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে থাকে।পুরো ডাইনিং এর এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে থ মেরে সেদিকেই দাঁড়িয়ে পড়ে।
নাদিয়া এলেক্সের দিকে তাকিয়ে আবার চিৎকার করে উঠে,
“ঐ মাক্স ম্যানকে।ফা’কিং অ্যা’সহোল।আমার বেড রুম অব্দি চলে এসেছে,আমায় টাচ্ করেছে।আর কি কি করেছে কিছু মনে নেই।মুখটাও দেখতে পাইনি।আমি ড্যাম শিউর ওটা ওই সাইকোটাই ছিলো।রাতে আমার কি হয়েছিলো ওহহ গড।”
নাদিয়ার কথা শুনতেই এলেক্স কেঁশে উঠে। হাসবে না কাঁদবে বুঝে উঠতে না পেরেও পেট চেপে হু হু করে হেসে উঠে। সিঁড়ি থেকে নেমেই নাদিয়ার কপালে হাত রাখে টেম্পারেচার চেক্ করে।মানে মাথা কি ঠিক আছে নাদিয়ার। কি-সব বলছে, নাদিয়া এলেক্সর হাত সরিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে বলে,
“কি সমস্যা তোর।পেটে কি কৃ’মি উদয় হ’য়েছে নাকি।আমি হাসার মতো কি বলেছি?”
“আর ইউ মে’ড নাদিয়া।কি যা তা বলছিস।রাতে কি বেশি নেশা করে ফেলেছিলি নাকি।যার হাত কেটে কুকুরকে খাওয়ার কথা বললি ঐই মন্সটার তোর হাত কেটে খেয়ে নিতে পারবে।ই’উ,তুই কি বুঝাতে চাইছিস সাইকোটা তোর সাথে রোমান্স করতে তোর রুমে এসেছে।এটা আমরা আমি বিলিভ করবো? ”
এলেক্স আরও উচ্চ শব্দে হেসে উঠে -“এর থেকে তো কেউ যদি এসে বলে যে সে কাটা চামচ দিয়ে পানি খায়।আমি তাও বিশ্বাস করে নিবো।হাহা হা।”
“সাট আপ বিচ্,আমি হসপিটাল থেকে এসে ড্রিংস্ করবো! “-নাদিয়া কিছুটা শান্ত হয়ে চেয়ারে ধ’পাস্ করে বসে পড়ে। এলোমেলো চুলগুলো পিছন দিকে খোপা করে নিয়ে বলে,
“আ’ম সিরিয়াস এলেক্স,ফান করছি না।প্যালেসের চারদিকের প্রত্যেকটা সি সি ক্যামেরা একটু চেক্ দিবি।আফসোস যদি আমার রুমে একটা থাকতো।একটু দেখ না।”
“দেখে নিয়েছি আমি।কেউ আসেনি।”-গার্ডেন থেকে প্যালেসের ভিতরে প্রবেশ করে মার্কো।নাদিয়া এলেক্স ঘাড় ঘুড়িয়ে মার্কোকে দেখতে পায়। মার্কো একটা টি-শার্ট আর ফর্মাল প্যান্ট পড়ে পকেটে হাত রেখে ডাইনিং টেবিলের কাছে এসে গম্ভির কন্ঠে বলে,
“আমি তো কাউকেই কাল রাতে প্রবেশ করতে দেখি নি।”- মার্কো পকেট থেকে একটা রোমাল বপর করে নাদিয়ার গলার র’ক্ত মুছে দিয়ে চেপে ধরে রাখে।নাদিয়া আর কিছু বলে না।এদেরকে কিছু বলেও লাভ হবে না ভেবে শান্ত হয়ে বসে থাকে।মার্কোর দিকে তাকাতেই মার্কো কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে বলে,
পেইন কিলার খেয়ে নিস শরীর বেশি ব্যথা করলে।হসপিটাল অনেকদিন ছিলি তাই হয়তো।-তারপর মার্কো নাদিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে উপরে উঠতে থাকে।মুহূর্তে নাদিয়ার ফোনে কারোর কল ভেসে উঠে।রেহমান পাষার নাম্বার দেখতে পেয়ে নাদিয়া কল রেখে কাট করে দেয়।হঠাৎ একটা ফুলদানি ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে সকলে মিসেস হানের হানের রুমে দিকে তাকাতেই দেখে মেরিন এর হাত লেগে তা মেঝেতে পড়ে গিয়েছে।মেরিন ভয়ে রুমের দিকে যেতে নিলে নাদিয়া ডেকে উঠে,
“কে কে ওখানে।কাম হেয়ার।আই সে’ড কাম”
মিসেস হান এলেক্স চোখাচুখি করে একে অপরের সাথে।এই মেয়েটাকে কে বলেছে দরজার কাছে এসে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা শুনতে।এলেক্স তো আজকেই তাকে এখান থেকে নিয়ে যেতো।নিজেও ধরা খেলো এলেক্সকেও খাওয়ালো।মনে মনে এই মাথা মোটা মেয়েকে গালমন্দ দিতে থাকলো এলেক্স।এদিকে মেরিন শুকনো ঢুক গিলে সামনে এগিয়ে আসে।ভয়ে হাত কচলাতে থাকে।নাদিয়া মিসেস হানের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কে এই মেয়ে।এখানে এলো কি করে।”
মিসেস হান কোনো জবাব না দিয়ে এলেক্সের দিকে তাকাতেই এলেক্স গলা খাঁকড়িয়ে কিছু না ভেবেই বলে দেয়।
“সি ই’জ অ্যা নিউ মেই’ড,মিসেস হানের তো বয়স হয়েছে তাই ভাবলাম আরেকটা সার্ভেন্টের দরকার। ”
নাদিয়া তেমন একটা গুরুত্ব দিলো না।
“সব কাজ বুঝে নিয়েছো তো।নিয়ম কানুন জেনে নিও মিসেস হান থেকে”
এলেক্স মাথা নাড়িয়ে মেরিনকে হ্যাঁ বলতে বললো।আপাতত এটা ছাড়া আর উপায় নেই।মেরিনের খারাপ লাগলো।তাও অসহায় দৃষ্টি ফেলে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
রাত প্রায় নয়টা বেজে দশ মিনিট।রাতের আল্পস যেন এক নিঃশব্দ স্বপ্নের রাজ্য। চারপাশে গভীর নীল অন্ধকার, দূরের পর্বতশিখরগুলোতে বরফের সাদা চাদর চাঁদের আলোয় ঝিকমিক করছে। মনে হয় যেন কেউ নীল ক্যানভাসে সোনালি তুলি টেনে রেখেছে ঠান্ডা আলোয়।হাওয়াটা কাঁপছে, কিন্তু তাতে কোনো ভয় নেই শুধু এক মৃদু নিঃশ্বাসের শব্দ, যা পাহাড়ের বুক ছুঁয়ে নিচে নেমে আসে উপত্যকার দিকে। বাতাসে পাইনগাছের গন্ধ, সেই গন্ধে একা পাহাড়ি রাতের ভিজে ছোঁয়া মিশে আছে।প্যালেস অফ লিয়ার্জ এ জায়ানের বেড রুমে চাঁদে আলোতে এক সুন্দরী কোমল দেহে শাড়ির কুঁচি ঠিক করে নিচ্ছে। বারবার খুলে যাচ্ছে আবার পড়ছে।
লিয়ানা শাড়ি পড়তে পারে না।ছোটো আম্মু পড়িয়ে দিতো তাও কেন জেনো মন চাইলো আজ পড়তে।স্নিগ্ধ মুখখানা লজ্জায় লাল হয়ে আছে।শাওয়ার নিয়ে শরীর টাওয়াল দিয়ে ভালোভাবে মুছে নি আর না হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে নিয়েছে।ভেজা শরীরে শাড়ির কুঁচি ভাজ করতে মগ্ন। জায়ান সারাদিনেও একবারের জন্যেও লিয়ানার কাছে আসে নি।খাবার ও খায় নি।লিয়ানা হাসলো।সারাদিন আসে নি ঠিক আছে।রাতে তো বেড রুমে আসবে ঘুমোতে, আর রুমে প্রবেশ করে নিজের বউকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখে কেমন ফিলিংস হয় সেটা লিয়ানাও আজ পরক করে দেখেই ছাড়বে।কিন্তুু শাড়ি তো পড়তেই পারছে না।হঠাৎ ডোর খোলার শব্দে লিয়ানা ঠোঁট বাঁকিয়ে হেঁসে উঠে। জায়ান রুমে প্রবেশ করতেই তার চোখজোড়া বেডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লিয়ানার দিকে যায়।জায়ান দৃষ্টি সরিয়ে নিজেকে সংযত করার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে বেডে গিয়ে শুয়ে পড়তে নিলেও আবার লিয়ানার দিকে দৃষ্টি ফিরায়।একটা কালো সিল্কের মিহি পাতলা শাড়ি পড়েছে।হাতে কাছের চুড়ি গুলো ঝনঝন শব্দে জায়ানের কানে বেজে ওঠছে।লিয়ানা জায়ানকে জালাতে গলা খাঁকড়ানি দিয়ে বলে উঠে,
“এই যে মহোদয়। শুনছেন।দাঁড়িয়ে না থেকে একটু হেল্প করলেও তো পারেন।আজব।”
জায়ান দু -কদম এগিয়ে গিয়েই পিছন থেকে লিয়ানার শাড়ির ভাজে হাত দিয়ে পেট স্পর্শ করে ধরে।কোমড়ে ঠান্ডা হাতের তালুর স্পর্শে লিয়ানার নিঃশ্বাস থেমে যাওয়ার উপক্রম। জায়ান লিয়ানার ঘাড়ে ওষ্ঠ ঠেঁকিয়ে নেশালো কন্ঠে ব’লে উঠে,
“আমি শাড়ি সুক্ষ্ম হাতে শাড়ি খুলে দিতে পারবো বেবি।পড়াতে নয়।পড়ে কি হবে তা খুলায় মগ্ন হবো যে।মনে আগুন ধরানোর জন্যে ভালোই ফাঁদ পেতেছিস দেখছি,ব্লাডি স্টুপিড।”
লিয়ানা জায়ানের দিকে ফিরেই গলা জড়িয়ে ধরে নিলো।জায়ানের শার্টের কলার টেনে নিজের দিকে টেনে আনে।শরীরের বহমান স্রোতো নদীর উত্তাল ঢেউ গুলো জায়ানের নজরে পড়তে না দিয়ে জায়ানের শার্টের উপরের দুটো বোতাম খুলে সুঠামদেহের ব’ক্ষভাজে আলতো করে চুমু খেয়ে নেয়।লিয়ানার ভেজা চুল থেকে ক্রমাগত পানি টুপটুপ করে পরে ললাটে এসে গড়িয়ে নিচে পড়ছে।এমন মোহনীয় সৌন্দর্যের উন্মাদ প্রায় জায়ান নিজের বুকের উপর থেকে লিয়ানার মুখশ্রি তুলে গরম নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে,
“মুরগি আজ নিজের ইচ্ছায় শিয়ালের শিকারী হতে চাইছে।”
লিয়ানা ঠোঁট কাঁমড়িয়ে জায়ানের বুক উ’ন্মুক্ত করে দিয়ে বাঁকা হেসে বলে,
“শিয়াল যদি এতো হ’ট,ড্যাশিং হয় তার মুরগি হতে আমি একশোবার রাজি।”
“সূর্য কি আজ পশ্চিমে উঠলো নাকি”
“উহু।সূর্য সঠিকভাবে উঠেছিলো।”
জায়ান আরও শক্ত করে লিয়ানার কোমড় জড়িয়ে ধরে সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে নেয়।উত্তে’জিত হয়ে লিয়ানার শাড়ির আঁচল সরাতে যাবে তার আগেই লিয়ানা নাচতে শুরু করে,হ’ট ডান্স, বোল্ড সং গেয়ে গেয়ে,
Mm Rukna nehi mujhko,
Zidh pe aa gayi hoon main,
Is qadaar dewaana,
Pan chadha….
জায়ানও উন্মাদনায় মত্ত হয়ে লিয়ানার হাত ধরে তাকে ঘুরাতে ঘুরাতে সুর তুলে নেশালো সুরে বলে,
Dekho na yahan aake,
Mera haal kesa hein,
Tootke abhi tak na judhaa,
Abh sambalnaa nehi hein,
Jo bhi hein woo sahi hein,
Aooo na!
জায়ান লিয়ানাকে কোলে তোলে বেডে শুইয়ে দিতে ঘাড়ে ওষ্ঠ ঠেকিয়ে নিচে নামাতেই।লিয়ানা বড় বড় শ্বাস টেনে জায়ানের গলার চেইন এ কামুড় বসিয়ে এক ধাক্কায় বেডে সুইয়ে হাত দিয়ে চুল গুলে খোঁপা করে। দুষ্টু হেঁসে জায়ানের কপালে চুমু খেয়ে আরও উত্তে’জিত করে বেড থেকে নেমেই এক দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে ডোর লক করে দেয়।ঠেক যা ভেবে রেখেছিলো তাই করলো।লিয়ানা এটাই চাইলো জায়ানকে বিভর বানিয়ে একটু উত্তে’জনামূলক শাস্তি দিতে।এবার ভিতরে একটু ছটফট করুন।কেমন লাগে কি করতে পারে লিয়ানাও দেখে ছাড়বে।জায়ান ভারি নিঃশ্বাস ফেলে, ডোর এ এসে একবার ধাক্কা দেয়।রাগ হলেও তা চেপে গিয়ে মাতাল সুরে বলে,
“দরজা খোলে আমার কাছে আয় জান।আদরি তো করবো।খেয়ে ফেলবো নাকি।খোল বলছি।”
লিয়ানা কোনো প্রতিউত্তর না করে মিটমিটিয়ে হাসতে থাকলো।পাগল্প্রায় জায়ান নিজের চুল খামছে ধরে তেজি কন্ঠে এবার চিৎকার করে উঠে,
“শালী বান্দি।তুই কি দরজাটা খুলবি নাকি আমি দরজা ভেঙ্গে তারপর খাট ভাঙ্গার ব্যবস্থা করবো।”
কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জায়ান দরজাটাই ভেঙ্ দিলো।জায়ানের এহন কান্ডে লিয়ানা এবার সত্যি সত্যি ভয় পেলো।তুই গেলি রে লিয়ানা পালা।সিংহ খাঁচা মুক্ত হয়ে গেলো।দাঁত দিয়ে নোখ কামড়িয়ে লিয়ানা শাড়ি কোনোমতে সামলিয়ে দৌড় লাগাতে যাবে কিন্তুু পিছনে ফিরে দেখে জায়ান নাই জায়ান লিয়ানার কাছে না এসে টাওয়াল গলায় ঝুঁলিয়ে অ্যালকোহল এর বোতল নিয়ে ছাঁদে দিকে পাঁ বাড়াচ্ছে। লিয়ানা মুখ ভচকিয়ে গেলো।পাগলটাগল হয়ে গেলো নাকি এই লোক।লিয়ানা শাড়ির আঁচল ঠিকঠাক করে নিয়ে সটাং হয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো।মিশন কি ফেইল হয়ে গেলো নাকি।
অনেকটা সময় পার হ’য়ে যাওয়ার পরও জায়ান আসছে না দেখে লিয়ানাও গুটি গুটি পায়ে উপরে ছাঁদের রফ’টপের দিকে পাঁ বাড়ায়।উপরে উঠতেই দরজাটা নিজ থেকে খুলে খেলো।বিলাসবহুল প্যালেসের ছাঁদ প্যালেসের ভিতর থেকেও আরও বিলাসবহুল ভাবে সাজানো। লিয়ানা এ প্রথম এখানে এলো।চারপাশে চোখ ভোলানো সুন্দর। রাতের বেলা পুরো ছাঁদ রঙিন লাইটে মোড়ানো।ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগতেই লিয়ানা কেঁপে উঠলো।পাতলা শাড়ি পড়েই ছাঁদ ঘুরে দেখতে গিয়ে দেখে একটা সুইমিংপুল।পুলের চকচক কাচের মতো সচ্ছ নীল পানিতে নেমে আছে জায়ান।এক হাতে ড্রিংস্ এর গ্লাস, গ্লাসে চুমুক বসাচ্ছে।লোকটা যে রাগে গজগজ করতে করতে অ্যালকোহল গিলছে লিয়ানার আর বুঝতে বাকি রইলো না।এতো ঠান্ডার মধ্যে কিভাবে নেমে আছে পুলের পানিতে এই লোক তা জানা নেই তার।শীত লাগে না নাকি।
লিয়ানা ডং করতে করতে পুলের ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে জায়ানকে দেখতে থাকে।উফস্ পরিবেশটাকে হ’ট বানিয়ে দিলো অসভ্য লোকটা।জায়ান একবারের জন্যেও লিয়ানার দিকে তাকালো না।শুধু অ্যলকোহল গিলতে থাকে।লিয়ানা জায়ানের সামনে গিয়ে পানি ছুঁড়ে মারে, মুখে পানির স্পর্শ পেতে জায়ান লিয়ানার হাত ধরে ফেলে। লিয়ানা বড় বড় চোখ করে পিছনে সরে যেতেই জায়ান লিয়ানাকে হেঁচকা টানে পুলে ফেলে কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। লিয়ানা ঠান্ডা পানিতে কাঁপতে থাকে। পুরো শাড়ি ভিজে একাকার হয়ে শরীরের সাথে লেগে আছে। জায়ান লিয়ানার কানের ল’তিতে কামুড় বসাতেই লিয়ানা নিস্তেজ হয়ে পড়ে,
ছে..ছেড়ে দিন!রুমে চলুন,প্লিজ।
জায়ান হিংস্র পশুর ন্যায় লিয়ানার গাল চেপে ধরে রক্তিম দৃষ্টি ফেলে লিয়ানার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
“ছলনা কেন করলি, আমার সাথে।হুআই সুইটহার্ট। আদরই তো দিতাম।কেন কষ্ট দিলি বল।আমার শরীরটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। ছলনাময়ী নারী”
জায়ান উ’ন্মাদ এর মতো লিয়ানার ঘাড়ে ললাটে ওষ্ঠ ঠেঁকাতে থাকে।জায়ানের হিংস্র কা’মুড়ের আঘাত লিয়ানার পুরো শরীর জ্বালিয়ে দিতে থাকে,জায়ান লিয়ানার ললাট থেকেচুল সরিয়ে নিয়ে,
“তোর দেহে আমার দেয়া ক্ষত চিহ্ন গুলো দেখলে শান্তি লাগে।এগুলো আরও পাগল বানিয়ে দেয় আমায় ড্যা’মেইট”
এক অদ্ভুত উন্মাদনা লিয়ানাকে অসহ্য যন্ত্রণার সাথে গ্রাস করে নেয়।খাঁচা বন্দী পাখির ন্যায়,ছটফট করতে থাকে।জায়ান লিয়ানার পেট খামচে ধরে, লিয়ানাকে পুলের ভিতরে চুবিয়ে দেয়।জায়ানও পুলের নিচে গিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হতেই লিয়ানা উপরে উঠে হাঁপাতে থাকে কাতর কন্ঠে ব’লে,
“কেন করছেন এমন”
“কষ্ট হচ্ছে সুইটহার্ট। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে বল আমি মুখ দিয়ে সিপিআর দিয়ে দিচ্ছি”
লিয়ানা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে,
“ছেড়ে দিন না।আর পারছিনা….”
বাক্যে শেষ করার আগেই জায়ান লিয়ানার অধর চেপে ধরে। ব্যথায় কুঁকড়িয়ে উঠে লিয়ানা। জায়ানের চুল খামছে ধরে রাখে।জায়ানের দাঁতে আঘাতে লিয়ানার ঠোঁট লাল হয়ে ফুলে উঠে দু ফুটা র’ক্ত গড়িয়ে পড়ে তা থেকে।জায়ান আরও উন্মাদ হয়ে লিয়ানার টান দিয়ে লিয়ানার শাড়ির আঁচল খুলে ফেলে। বক্ষে মুখ ডুবাতে ডুবাতে বলে,
“উইল ইউ বি মাই সিক্স অ্যান্ড আই উইল বি ইউর নাইন।”
জায়ান লিয়ানার শরীরে পুরো অ্যলকোহল ঢেলে দেয়।তারপর কোলে তুলে সুইমিংপুলর পাশে শুইয়ে দেয়। জায়ান লিয়ানার উদরে চুমু খেতেই লিয়ানার শরীর কেঁপে উঠলো।
“বেবি ক্যান আই টাচ্ ইউর প্রিন্সেস পার্ট অফ বডি।”
তোকে ছুয়েছি আঁধারে পর্ব ৩৮
জায়ান লিয়ানার পুরো শাড়ি খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। পুরো শরীরে চুমুর বর্ষন ফেলতে ফেলতে জায়ান মগ্ন হয় লিয়ানাতে।পুরো তিমিরে ঢাকা একটা কুয়াশাচ্ছন্ন রাত তিব্র মোহের সাক্ষী হয়ে থাকে।রাতের শেষ প্রহরে জায়ানের কাছ থেকে ছাড়া পায় লিয়ানা।পুরো শরীর ঠান্ডায় জমে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে।জায়ান লিয়ানার বুকের উপর মাথা রেখে ফিসফিসিয়ে বলে,
“আর ইউ সেটিস’ফাইড সুইটহার্ট ”
 
