তোমাতেই আসক্ত পর্ব ২৫
তানিশা সুলতানা
চিন্তিত আতিয়া বেগম পায়চারি করে চলেছে অনবরত। অহনা কয়েকবার শান্ত হতে বলেছে তবে আতিয়ার মন মানছে না। এই শীতের মৌসুমেও তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের দেখা মিলেছে। জোরে জোরে শ্বাস টানছে। যেনো নিঃশ্বাস আটকে আসছে। কোলে থাকা ছোট্ট হিমু নানুর মুখ পানে তাকিয়ে আছে গোল গোল নয়ন মেলে। ছোট হাত খানা মুখে পুরে চুষছে এবং নানুকে দেখছে। যেনো জানতে চাচ্ছে “তোমার এই চিন্তার কারণ কি নানু?”
আতিয়া বেগম এর কানে ফোন। কল বেজে চলেছে কিন্তু রিসিভ হচ্ছে না। ইতোমধ্যে পঞ্চাশ বার কল করেছে। প্রতিবারই বাজতে বাজতে কেটে যায়। আদ্রিতা তো এমন উদাসীন মেয়ে নয়। মাকে না বলে কোথাও যায় না। তাহলে আজকে কি হলো?
কোনো বিপদে পড়লো কি? নতুন দেশ কিছুই চেনে না।
অহনার স্বামী এবং দেবর বেরিয়ে গিয়েছে আদ্রিতাকে খুঁজতে। তাদেরও কল করেছে কয়েকবার। কিন্তু হতাশা জনক বাক্য শুনেছে তাদের থেকেও। আতিয়া বেগম অবশেষে কল করে সিয়াম এর নাম্বারে। যদি ছেলেটা কিছু জেনে থাকে।
“হ্যালো আন্টি বলুন
আতিয়া বেগম তারাহুরো করে বলে
” আদ্রিতাকে পাচ্ছি না।
“আন্টি রিলাক্স। আদ্রিতা আমাদের সাথে রয়েছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আতিয়া বেগম। এতোক্ষণে কলিজা ঠান্ডা হলো। কয়েকবার “আলহামদুলিল্লাহ” আওড়ায়। আজকের এই ঘটনায় আতিয়া বেগম একটা বিষয় বুঝতে পেরেছে “আদ্রিতার তার প্রাণ” ছেলেমেয়ে ছাড়া এতোগুলো বছর কাটাতে পেরেছে সে তবে আতিয়াকে ছাড়া পাঁচটা মিনিটও থাকতে পারবে না।
সোফায় বসে পড়ে আতিয়া। হিমুকে শুয়িয়ে দিয়ে হাতের উল্টো পিঠে মুছে নেয় চোখের পানি।
“আমি আজকে ফিরতে পারবো না। আদ্রিতাকে এখানে দিয়ে যেয়ো আমার কাছে। একা ছেড়ো না।
” না না আন্টি
আজকে আমাদের সাথেই থাকবে ও। বারবিকিউ পার্টি আছে।
কালকে দিয়ে আসবো।
“ঠিক আছে। দেখে রেখো। বড্ড চঞ্চল সে।
কল কেটে দেয় সিয়াম। ফোন খানা অনাদরে ফেলে রাখে টেবিলে। গালে হাত দিয়ে ফোঁস করে শ্বাস টানে। মনের মধ্যে এক খানা কবিতা আকুপাকু করছে। কিন্তু মুড খারাপ বলে মন থেকে বের করছে না। জীবনটা বড়ই বেদনার।
সেই মেয়েটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে আয়ানকে। একটু আগেই আয়ানের ফোন খানা চেক করেছে সিয়াম। মেসেঞ্জারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পেয়েছে মেয়েটার মেসেজ। এতো এতো মেসেজ দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে আয়ান এর মেসেজ বক্স। আয়ান অবশ্য রিপ্লাই করে না। নারী জাতী বড়ই ভয়ংকর। সাহায্যের হাত বাড়ি ঘন্টা বাজিয়ে দিলো সিয়াম এর মনে আর মেসেঞ্জারে স্মরণ করে আয়ানকে?
বড়ই দুঃখজনক বিষয়।
আয়ান আয়েশ করে কফির মগে চুমুক দিচ্ছে। যেনো এই মুহুর্তে কফি খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার। আহাদ ফেসবুকে স্টাটাস দিচ্ছে “আমি সিঙ্গেল। কানা গুঁজো প্রতিবন্ধী খোঁড়া কোনো মেয়ে সিঙ্গেল আছো? থাকলে নক দিও। সুখ দুঃখের আলাপ করবো”
ইভান সেই পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দিয়ে কমেন্ট করেছে
“আছে ভাই আছে
বাংলাদেশের ক্রিম আপা, সুমাইয়া রুমু, রানু মন্ডল, মিস চকলেট সহ আরও কিছু টিকটক প্রতিবন্ধী সিঙ্গেল আছে”
তখনই আদ্রিতা বেরিয়ে আসে আবরারের কেবিন থেকে। হাঁটার গতি বলে দিচ্ছে ভীষণ রেগে আছে সে। যেনো এখুনি বম ফাঁটাবে।
সিয়াম নরেচরে সোজা হয়ে বসে। আহাদ এবং ইভান ফোন রেখে মনোযোগ দিয়ে তাকায় আদ্রিতার পানে। ভয়ংকর এক সিনেমা শুরু হয়ে এখনই।
“আমি আর এখানে থাকবো না। দিয়ে আসুন মায়ের কাছে। আবরার তাসনিন লোকটা প্রচুর খারাপ। চরিত্রহীন৷ এই লোকের আশেপাশে থাকাও পাপ।
রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলে আদ্রিতা।
সিয়াম শুকনো কাশি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। গম্ভীর মুখে এগিয়ে আসে আদ্রিতার দিকে। এবং বলে
” গাছে ফুল গরুর কান
আবরার ভাই চরিত্রবান
মিথ্যে কথা মানবো না
প্রমাণ না দিলে বিশ্বাস করবো না।
ফুলের গাছে কাঁটা থাকে
চাঁদেী গায়ে কলঙ্ক
আমার ভাই আবরার
থাকে না উলঙ্গ
তাহলে কি করে হলো সে
চরিত্রহীন?
আয়ান কফির মগে শেষ চুমুক দিয়ে বলে
“সহমত সহমত। সবাই তালি দে
আহাদ সিয়াম এর পিঠ চাপকে বলে
” বাহহহ ভাই বাহ
জীবনে প্রথমবার তোর কবিতা আমার নাড়িভুড়ি ছুঁয়ে দিলে৷
আদ্রিতা দাঁতে দাঁত চেপে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেয়। কেউ নেই তার। আমান, আহাদ, সিয়াম ইভান সবাই আবরারের পার্টিতে। আদ্রিতা একা।
মনে পড়ে আবরারের কেবিনের সেই দৃশ্য।
আদ্রিতা যখন আবরারকে বলেছিলো
” আপনি?
আবরার আদ্রিতার ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে ফিসফিস করে বললো
“আজকের রাতটা আমায় দাও। ট্রাস্ট মি নেক্সট টাইম পরপুরুষের নাম উচ্চরণ করতেও গলা কাঁপবে।
আবরারের দৃষ্টি ছিলো ভয়ংকর। যেনো এখুনি টুপ করে গিলে খেয়ে ফেলবে তাকে।
আদ্রিতা সুযোগ বুঝে এক দৌড়ে বেরিয়ে আসে কেবিন থেকে।
“আপনারা বিশ্বাস কেনো করছেন না আমার কথা?
উনি খালি অশ্লীল কথ
বলতে বলতে থেমে যায় আদ্রিতা। গিলে ফেলে কথা। মাথা নিচু করে বিরবির করে বকা দিতে থাকে আবরারসহ সবাইকে।
ইভান বলে
“আদু বলো। থেমে গেলে কেনো?
আদু নাম শুনে আদ্রিতার রাগ তিনগুণ বেড়ে যায়। আশেপাশে তাকিয়ে কিছু খুঁজতে থাকে। টি-টেবিলে পেয়ে যায় সিয়াম এর ফোন। সেটা তুলে ছুঁড়ে মারে ইভান এর পানে। সিয়াম বুকে হাত দিয়ে বসে পড়ে। কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে
” আমার ফোন??????
ইভার ফোন খানা ক্যাচ ধরে ফেলে।
” আপনার মাথা
থাকবোই না আমি এখানে। এখুনি চলে যাবো। আপনাদের সাথেও কথা বলবো না কখনো।
বলতে বলতে পেছন ঘুরে চলে যেতে থাকে। কিছুতেই এখানে আর থাকবে না। বাড়ির রাস্তা না চিনলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে তবুও এখানে থাকবে না। এখানকার কেউ ভালো না। সবাই পাগল।
বকবক করতে করতে আনমনে হাঁটছে আদ্রিতা। দোতালা ছাড়িতে নিচ তলার করিডোরে চলে আসে। হঠাৎ করে কারো সঙ্গে ধাক্কা খায়। লোকটি ঝোঁক সামলাতে না পেরে পড়ে যায় ফ্লোরে। আদ্রিতা তার ওপরে গিয়ে পড়ে।
লোকটি মৃদু স্বরে “আহহহ” বলে ওঠে। কোমরে বেশ চোট পেয়েছে বোধহয়।
আদ্রিতা তারাহুরো করে তার ওপর থেকে উঠে পড়ে।
তারাহুরো করে বলে
“স্যরি স্যরি স্যরি
আমি খেয়াল করি নি। ব্যাথা পেয়েছেন আপনি?
লোকটা এবার চোখ তুলে তাকায় আদ্রিতার পানে। প্রথমেই নজর পড়ে গোলাপি অধরে। পরপরই শরীরের প্রতিটা ভাজে নজর বুলিয়ে নেয়। সাদা রংয়ের টপস খানা ফর্সা শরীরে দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে। এ টি তাসিন এর অফিসে হট বিউটিফুল বাঙ্গালী মেয়ে? ইন্টারেস্টিং বিষয়৷
লোকটা বাঁকা হাসে। হাঁটু মুরে বসে পড়ে আয়েশ করে। দুই হাত ওপরে তুলে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুধায়
“বাঙালি?
আদ্রিতা মাথা নিচু করে “হুমম” বলে।
লোকটা আবারও হাসে। নিজের হাত এগিয়ে দেয় আদ্রিতার পানে। ইনোসেন্ট ভঙ্গিমায় বলে
“ব্যাথা পেয়েছি। একটু হেল্প করুন উঠতে।
আদ্রিতা নিজের নরম তুলতুলে হাত খানা এগিয়ে দিয়ে লোকটার হাত ধরে মুঠো করে। এবং টেনে দাঁড় করায় তাকে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরে আচমকা লোকটা আদ্রিতার কোমরে হাত রাখে এবং সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেয়। আদ্রিতা চমকে কয়েকপা পিছিয়ে যায়। কপালে ভাজ ফেলে তাকায় লোকটার মুখ পানে।
” স্যরি হ্যাঁ
ব্যালেন্স রাখতে পারি নি। এক্সটেমলি স্যরি
আদ্রি কিছু বলবে তার আগেই লোকটার চোয়াল বরাবর কেউ ঘুষি মারে। ছিটকে কয়েক হাত দূরে পরে যায় সে। ভয়ার্তক আদ্রিতা দু পা পিছিয়ে যায়। মৃদু স্বরে চিৎকার করে ওঠে। আবরারের মোটেও আদ্রিতার পানে তাকানোর সময় নেই। সে আহত লোকটাকে টেনে তুলে পূণরায় মারতে থাকে।
”
লোকটা নিজেকে বাঁচানোর জন্য বারংবার বলতে থাকে
“তাসিন কি করেছি আমি? মারছো কেনো?
তবে আবরার জবাব দেয় না।
ইতোমধ্যেই সিয়াম আয়ান আহান ইভান চলে এসেছে করিডরে।
কর্ম কর্তারাও নিজ নিজ আসন হতে একটু উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে তবে এগিয়ে আসার সাহস নেই।
আদ্রিতা সিয়াম এর হাত ধরে কাঁপাকাঁপা স্বরে বলে
” ও…..নাকে মা….রছে কেনো ভাইয়া?
ছেড়ে দিতে বলুন।
সিয়াম আদ্রিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়
“আমি কিছু বলতে গেলে আমাকেও বিদম পেটাবে। চুপচাপ দেখে যাও৷
দীর্ঘক্ষণ মারার পরে থেমে যায় আবরার। মারতে মারতে হাঁপিয়ে গিয়েছে সে। জোরে জোরে শ্বাস টানছে। সাদা রংয়ের শার্ট খানা ঘামে ভিজে জবুথবু হয়ে গিয়েছে।
সাদা ফ্লোর লাল রং ধারণ করেছে। লোকটার নাক মুখ ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে।
নিভু নিভু আঁখি মেলে তাকানোর চেষ্টা করে লোকটা। আহত হাত তুলে ইশারায় বোঝায়
” তোকে দেখে নিবো তাসিন”
আবরার পূণরায় লাথি মারে লোকটার পেটে।
” সিয়াম একে ছুড়ে ফেলে আয় নর্দমায়।
গম্ভীর স্বরে বাক্য গুলো আওড়িয়ে আদ্রিতার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আদ্রি শুকনো ঢোক গিলে রিনরিনিয়ে বলে
“আমি কিছু করি নি। চিনি না একে।
আবরারের কানে বোধহয় সেই কথা ঢুকলো না। সে মুঠো করে ধরে আদ্রিতার হাত খানা। এবং টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে।
আদ্রিতা অসহায় নয়নে তাকায় সিয়ামের পানে।
গাড়িতে একটা বাক্যও ব্যয় করে না আদ্রিতা। চুপচাপ বসে থাকে কাচুমাচু হয়ে। আবরারকে বড্ড ভয় করছে তার। একটা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনো আরেকটা মানুষ এভাবে মারতে পারে? এই মানুষটি পাষাণ নির্দয়। যখন তখন আদ্রিতাকেও মেরে দিতে পারে। ভাবতেই গা শিউরে ওঠে আদ্রিতার। এখনই মরতে চায় না ও। এখনো বিয়ে করা হয় নি, বাচ্চা হয় নি, জীবনকে উপভোগ করা হয় নি। অনেকদিন বাঁচতে চায় ও।
” আমাকে মরবেন না। আমি কিচ্ছু করি নি।
অফিস থেকে বাড়ির দুরত্ব বেশি নয়। আধ ঘন্টার পথ। তবে দশ মিনিটেই পৌঁছে যায় আবরার। অতিরিক্ত স্পিডে ড্রাইভ করেছে।
আজকে আর গাড়ি পার্কিং-এ রাখে না। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়ে এবং আদ্রিতার পাশের দরজা খুলে তাকেও টেনে নামায়। পূণরায় টানতে টানতে নিয়ে যায় বাড়িতে।
এই বাড়ির দরজা তিনটে সিস্টেম এ খোলা যায়। এক পাসওয়ার্ড দিয়ে দুই ফিঙ্গার পিন দিয়ে আর তিন কার্ড দেখিয়ে।
আবরার বুড়ো আঙুলের ছোঁয়া দিয়ে দরজা খুলে।
ভেতরে প্রবেশ করতেই এ্যানি দৌড়ে এসে আদ্রিতার পা জড়িয়ে ধরে। দীর্ঘক্ষণ একা বাড়িতে থাকতে থাকতে বোর হয়ে গিয়েছে সে। ভয়ও পেয়েছে নিশ্চয়। আদ্রিতা নিচু হয়ে এ্যানিকে কোলে নিতে চায় তবে পারে না কেনোনা আবরার পূণরায় তাকে টানতে টানতে কক্ষের দিকে নিতে থাকে।
“টানছেন কেনো? বাড়িতে এসে গিয়েছি তো।
জবাব দেয় না আবরার। সোজা নিজ কক্ষে নিয়ে তবেই হাত ছাড়ে। এতোক্ষণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আদ্রিতা। ক্লান্ত ভঙ্গিমায় বিছানায় বসে।
আবরার দরজা বন্ধ করে নিজের পরনের শার্ট খুলে ফেলে। ড্রেসিং টেবিলের ওপর থেকে আয়রন মেশিন এর সুইচ অন করে একটু অপেক্ষা করে। গরম হয়ে গেলেই আয়রণ মেশিন খানা চেপে ধরে আদ্রিতার ডান হাতের তালুকে।
চিৎকার করে ওঠে আদ্রিতা। হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। ছাড়া পাওয়ার তাড়নায় ছটফট করতে থাকে অনবরত। হাত খানা জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
আবরার আদ্রিতার মুখ পানে তাকিয়ে আছে। ছটফটানি দেখতে বেশ ভালো লাগছে।
বিরবির করে বলে
” যে হাত আবরার তাসনিন ব্যতিত অন্য পুরুষদের পানে এগোয় সেই হাত সুস্থ থাকতে পারে না।
খানিকক্ষণ পরে সরে যায় আবরার। আদ্রিতার হাত খানা টকটকে লাল হয়ে গিয়েছে। ধোঁয়া বেরুচ্ছে। ফু দিয়ে হাতের জ্বালা কমানোর চেষ্টা করতে থাকে আদ্রিতা।
আবরার আয়রন মেশিন নিজের পায়ের ওপর ফেলে দেয় পরপর কয়েকটা লাথি মেরে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলে।
আদ্রিতা এক হাতে মুখ ঢেকে উচ্চস্বরে কেঁদে ওঠে। ভাঙা ভাঙা স্বরে বলে
“কেনো করছেন এমন?
তোমাতেই আসক্ত পর্ব ২৪
কি করেছি আমি?
আবরার চোয়াল শক্ত করে চেপে ধরে আদ্রিতার গাল। মুখের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে
“পাগল করে দিয়েছিস আমায়।