তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ২
নওরিন মুনতাহা হিয়া
বিমানের এয়ারস্টের কথা শুনে বই পড়া ব্যক্তিটা বিরক্ত হয়, নাক মুখ কুঁচকে তাকায় সামনের দিকে। ব্লু হোয়াট সংমিশ্রণের ডোরাকাটা শার্টটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে মানুষটার সাথে। বাম হাতে তার ব্রান্ডেড ঘড়ি আর অন্য হাতে একটা দামী আংটি রয়েছে। মুখের আদল কোনো হিরোর থেকে কম নয়। ফর্সা ত্বক আর নাক টা বেশি উঁচু। মুখের চারপাশে চাপ দাঁড়ির ছাপ, খুব ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে। এতো সময় ধরে যার রূপ আর সৌন্দর্যর প্রশংসা করা হয়েছে, তার নাম ডক্টর আদ্রিয়ান রোদোয়ান। বর্তমানে যিনি আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশে তার বাড়িতে ফিরেছেন।
বই পড়া বন্ধ করে আদ্রিয়ান তার সিটের, আশেপাশে তাকায়। বিমানে এখন সে ছাড়া, অন্য কোনো যাএী উপস্থিত নাই। এয়ারহস্টারের ডাকার কারণ, সে এখন বুঝতে পারে। আদ্র বিমানের জানালা দিয়ে বাহিরে তাকায়, আজ সাত সাত বছর পর সে বাংলাদেশে ফিরেছে। তার মাতৃভূমিকে আবার স্বচোখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আমেরিকায় যতই সে পড়াশোনা বা কেরিয়ার গড়ার জন্য যাক না কেনো, তার মন সবসময় তার দেশেই পড়ে ছিল। আদ্রিয়ান তার হাতে থাকা বই, ব্যাগে ভরে নেয়। এরপর সিট থেকে উঠে দাঁড়ায়, সামনে থাকা এয়ারহস্ট মহিলাকে কৃতজ্ঞতার সহিত বলে _
“- সরি বই পড়ার প্রতি মনোযোগ ছিল যে, আপনার কথা শুনতে পায় নি। বাই দ্যা ওয়ে ধন্যবাদ আপনাকে
আদ্রিয়ান কথাটা বিনয়ের সহিত বলে, যা শুনে এয়ারহস্ট বলে _
_ “- ইট’স অল রাইট স্যার __.
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
আদ্রিয়ান আর কথা বাড়ায় না, সে তার ব্যাগপএ নিয়ে বিমান থেকে নেমে পড়ে। বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার সাথে সাথে, তার মন জুড়িয়ে যায়। আমেরিকায় থাকতে অনেক মিস করেছে, সে তার দেশকে। আদ্রিয়ান শান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে, এরপর বড়ো বড়ো পা ফেলে এগিয়ে যায় বিমানবন্দরের দিকে। বিমানবন্দর থেকে আদ্রকে রিসিভ করার জন্য, তালুকদার বাড়ি থেকে রুহুল আমিন আর সন্তান জুনাইদ। জামান সাহেব মেঘকে নিয়ে ময়মনসিংহে গিয়েছেন, যার কারণে ওনি আসতে পারেন নি। জুনাইদ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে, বিমানবন্দরের গেইটের দিকে তাকিয়ে আছে। মূলত সে আদ্রকে দেখার চেষ্টা করছে, কখন আদ্র আসবে আর সে তার কাছে যাবে।
রুহুল আমিনের দুই সন্তান জুনাইদ আর জেবা। জেবা তালুকদার বাড়ির বড় মেয়ে, তিনবছর আগে তার বিয়ে হয়ে গেছে। জেবা এখন তার স্বামী আর সন্তান নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছে, আর জুনাইদ তার ছোট। ওর বয়স বারো বছর, তালুকদার বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য। আর সকলের ভীষণ আদরের। বিমানবন্দরের গেইটে আদ্রিয়ানকে দেখে, জুনাইদ খুশিতে চিৎকার দিয়ে উঠে বলে
“- আব্বু আদ্র ভাইয়া এসে পড়েছে, ওই দেখ আদ্র ভাইয়া __.
জুনাইদের চিৎকার শুনে রুহুল আমিন, বিমানবন্দরের গেইটের দিকে তাকায়। সত্যি আদ্রিয়ান এসেছে? যদিও সাত বছর আগের মানুষটা, আর এখনকার মানুষটার মধ্যে বিশাল তফাত রয়েছে। আদ্রিয়ান এখন পঁচিশ বছর বয়সের যুবক, তার বডি আর ফিটনেস আগের তুলনায় অনেক বেটার হয়েছে। চোখে তার কালো ফ্রেমের, সাদা চশমা। চেহারায় ডক্টর ডক্টর ভাব চলে এসেছে তার। রুহুল আমিন আর জুনাইদ এগিয়ে যায় আদ্রিয়ানের কাছে। আদ্রিয়ান গেইট দিয়ে ঢুকার সময়, দূরে বসে থাকা রুহুল আমিনকে দেখতে পায়। আদ্রিয়ান ও তার চাচার কাছে এগিয়ে যায়। তবে রুহুল আমিনের আগে জুনাইদ আদ্রিয়ানের কাছে পৌছাতে সক্ষম হয়, ও গিয়েই আদ্রর কোমড় জড়িয়ে ধরে আর বাচ্চাসুলভ কণ্ঠে বলে ___
“- আদ্র ভাইয়া তুমি এসে পড়েছ, তবে এতো দেরি করলে কেনো? গত এক ঘণ্টা যাবত তোমার জন্য অপেক্ষা করছি.
আদ্রিয়ান জুনাইদের কথা শুনে হাসে, এরপর ওর মাথায় হাত দিয়ে বলে __
সরি জুনাইদ, তোমাকে এতোখন অপেক্ষা করিয়েছি বলে। বিমান বাংলাদেশে আসতে দেরি করেছে, যার জন্য লেইট হয়ে গেছে __.
আদ্রিয়ানের কথা শেষ হতেই জুনাইদা প্রশ্ন করে উঠে __
“- আদ্র ভাইয়া আমেরিকা থেকে কি তুমি আমার জন্য চকলেট আর খেলনা নিয়ে এসেছ? আমার কিন্তু অনেক খেলনা চাই?
আদ্রিয়ান সম্মতি জানিয়ে বলে __
“- হুম অবশ্যই নিয়ে এসেছি। বাড়ি যায়, এরপর সব দিব __.
আদ্রিয়ান জুনাইদের সাথে কথা বলা শেষ করে, রুহুল আমিনের সাথে টুকটাক কথা বলে। আদ্রিয়ান আশেপাশে তাকায়, তাদের সাথে জামান সাহেবকে না দেখে বলে ___
“- আব্বু আসে নি তোমাদের সাথে? __.
জামান সাহেবের ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা, রুহুল আমিন বলে না। রুহুল আমিন বলে __
“- ব্যবসার জরুরি প্রয়োজনে, তোমার আব্বুকে দূরে যেতে হয়েছে। তবে আজকের মধ্যেই ভাইজান বাড়ি ফিরে আসবে, রাতে তোমার সাথে অবশ্যই দেখা করবেন _.
“- ওকে “__.
আদ্রিয়ান আর কথা বাড়ায় না, রুহুল আমিন আর জুনাইদের সাথে গাড়িতে উঠে বসে। আর অন্যদিকে মেঘ আর জামান সাহেব গাড়ি করে ময়মনসিংহ যাচ্ছে, রাস্তায় প্রায় শেষের দিকে। পাঁচ মিনিট পর তারা বাসায় পৌঁছে যাবে। মেঘ গাড়ির মধ্যে বসে আছে, তার পাশে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি ড্রাইভ করছে জামান সাহেব। বাড়িতে এতো ড্রাইভার থাকার পর ও, জামান সাহেব নিজে ড্রাইভ করে মেঘকে ময়মনসিংহ পৌঁছে দেয়। মেঘ জামান সাহেবের দিকে তাকায়, জামান সাহেব বেশ শান্ত হয়ে ড্রাইভ করে যাচ্ছে। তবে মেঘ যানে তার বড় আব্বুর মনে আজ কতো কষ্ট, এই গম্ভীর চেহারার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কোমল হৃদয়ের অধিকারী মানুষটাকে মেঘ চিনে।
ছোটবেলা বাবার মৃত্যুর পর থেকে, তার বড় আব্বু তাকে বাবার ভালোবাসা দিয়েছে। স্নেহ, মমতা, আর যত্ন দিয়ে আগলে রেখেছে। সৃষ্টি আর মেঘ এই দুইজন মানুষ, জামান সাহেবের কাছে কখন আলাদা ছিল না দুইজনই তার মেয়ে। বরং সৃষ্টির চেয়ে মেঘকে ওনি বেশি আগলে রেখেছেন, বন্ধুর মেয়ে বলে না নিজের মেয়ে বলে। আদ্রিয়ানের সাথে বিয়ে দিয়ে মেঘের জীবন ওনি নষ্ট করেছেন, এই অপরাধ বোধ তার মধ্যে সবসময় কাজ করে। মেঘকে সমাজের সকলে ডিভোর্সী নারী হিসাবে যানবে আজ থেকে, মেঘের গায়ে কলঙ্ক লেগে গেল। যার জন্য দায়ী জামান সাহেব, বাবা হয়ে মেঘের জীবন ধ্বংস করে দিলেন ওনি।
মেঘ তার বড় আব্বুর মুখের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে, সে যানে তার জামান সাহেব কখন চাই নি। তার আর আদ্রিয়ানের ডিভোর্স হক। মেঘকে ওনি সবসময় তার ঘরের মেয়ে করতে রাখতে চেয়ে ছিলেন। তালুকদার বংশের বড় বউয়ের পরিচয় যেনো মেঘ পায়, তার সপ্ন দেখে ছিলেন। কিন্তু সব শেষ করে দিল আদ্রিয়ান, মেঘ আর তার ডিভোর্সের কথা বলে। তালুকদার বাড়িতে আজ থেকে মেঘ থাকবে না, কথাটা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে জামান সাহেবের। আজ তার মেয়ে সারাজীবনের জন্য, তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মেঘ মনে মনে বলে __
“- সরি বড় আব্বু তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি আমি। কিন্তু যা সত্যি তা মেনে নিতে হবে, এই বাড়িটা আমার বরং আদ্রিয়ানের। আমাকে ঘৃণা করে, একজন মানুষ কেনো তার মা বাবার থেকে দূরে থাকবে? বড় আম্মুই আর কত তার ছেলেকে দেখার জন্য চোখর জল ফেলবে। সব দোষ আর ঘৃণার কারণ, যেহেতু আমি। তাই আমি না হয় দূরে চলে গেলাম। যে বিয়েটা কখনো মানে নি, তার সামনে বউয়ের অধিকার নিয়ে নাই দাঁড়ালাম। মুক্তি দিলাম তাকে, সকল বন্ধন থেকে। ভালো থাকুক, নয় হয় অন্য কারো হয়ে __.
প্রায় পাঁচ মিনিট পর বাসার সামনে গাড়ি এসে থামে। মেঘ গাড়ি থেকে নেমে যায়, সাথে জামান সাহেব ও নামেন৷ জামান সাহেব এগিয়ে আসে, মেঘের কাছে। তার হাতে রয়েছে কিছু কাগজপত্র, ওনি মেঘের কাগজ এগিয়ে দেন আর বলে __
“- এই নাও মেঘ, এই বাড়ির দলিল। আজ থেকে এই বাড়ির মালিক তুমি। বাড়িটা পাঁচ তালা, সবার উপরের তালায় থাকবে তুমি। অন্য সব তালা ভাড়া দেওয়া হয়েছে, যার থেকে মাসে মাসে টাকা আসবে। আর তোমার বাবার যা জমির ছিল, তা কিছু ভাড়া দিয়েছি। আর কিছু বিক্রি করে ব্যাংকে তোমার নামে রেখেছি, এখানে সকল কাগজপএ রয়েছে।
মেঘ কাগজপএ হাতে নিয়ে চেক করে দেখে, সত্যি এইটা দলিল। জামান সাহেবের কথা মেঘ সম্পূর্ণ শুনে, মেঘ বলে –
– বড় আব্বু এই বাড়ি আমার নামে কিনার কি দরকার ছিল? আর ব্যাংকের টাক দিয়ে কি করব আমি? পড়াশোনা বাবদ বেশি খরচ হয় না আমার?
জামান সাহেব মেঘের মাথায় রাত রাখে, আর যত্ন সহকারে হাত বুলিয়ে দেয়। জামান সাহেব বলে _
“- মেঘ তোমার বাবার সম্পত্তির উপর তোমার অধিকার রয়েছে, এখন তুমি বড়ো হয়েছ সকল টাকার হিসাব রাখার বয়স হয়েছে তোমার। আর মেডিক্যালে পড়াশোনা করার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন পড়ে ___.
জামান সাহেবের কথায় মেঘ সম্মতি দেয়, এরপর মেঘ জামান সাহেবের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। যতখন মেঘকে দেখা যায়, ওনি ততক্ষণ অবধি মেঘের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এরপর দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে, গাড়ি নিয়ে আবার বাসার দিকে চলে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর আদ্রিয়ান তালুকদার বাড়িতে এসে পৌঁছায়। প্রথমে গাড়ি থেকে নামে রুহুল আমিন আর জুনাইদ, আর সবার শেষে গাড়ির দরজা খুলে বের হয় আদ্রিয়ান। আজ সাত বছর পর সে, আবার তালুকদার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তালুকদার বাড়ির সাজসজ্জা আর আভিজাত্য, এখন ঠিক আগের মতই আছে।
তালুকদার বাড়িে ভিতরে প্রবেশ করে আদ্রিয়ান, তার সাথে রয়েছে রুহুল আমিন আর জুনাইদ। গাড়ির শব্দ শুনে সৃষ্টি, শার্লিন বেগমকে ডাক দেয়। শার্লিন বেগম এখন রান্না ঘরে রান্না করছিলেন, টেবিলে প্রায় বিশ প্রকারের খাবারের আইটেম সাজানো রয়েছে। তবুও শার্লিন বেগম আরো রান্না করছেন, সৃষ্টির মুখে আদ্রিয়ান ফিরে আসার কথা শুনে। তাড়াহুড়ো করে রান্না ঘর থেকে ড্রয়িং রুমে ছুটে আসেন, শার্লিন বেগম বাড়ির সদর দরজার কাছে এগিয়ে যান।
তালুকদার বাড়ির সদর দরজায়, আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে রয়েছে। শার্লিন বেগম আদ্রিয়ানকে দেখে, তার কাছে ছুটে যায়। আদ্রিয়ান ও তার মাকে দেখে ভীষণ খুশি হয়, আজ প্রায় সাতবছর পর তার মাকে দেখছে। আদ্রিয়ান গিয়ে জড়িয়ে ধরে শার্লিন বেগমকে, শার্লিন বেগম আদ্রর কপাল চুমো খায়। তার মাথা, গাল, সব জায়গায় হাত বুলিয়ে দেয়। শার্লিন বেগম বলে ___ __
“- এই সাতবছরে কি একবার মায়ের কথা মনে পড়ে নি তোর আদু? জানিস তোকে একবার দেখার জন্য কত ছটফট করেছি আমি? মা হয়ে সন্তানকে সাতবছর ধরে না দেখার কি কষ্ট তুই যানিস?
আদ্রিয়ার তার মায়ের কথা শুনে হাসে, এরপর বলে _
“- আম্মু তুমি এখন আমাকে আদু বলে ডাকবে? বিদেশ থেকে পিএইচডি করে এসে, যদি সপ্তম শ্রেণিতে ফেইল করা একজনের সাথে তুলনা তখন কেমন লাগে?
আদ্রিয়ান সাতবছর বাড়ি না ফিরার কথা কিছু বলে না, কারণ সে এই খুশির সময় ওই ঘটনা মনে করতে চাই না। শার্লিন বেগম আর আদ্রিয়ানকে কিছু বলে না, সৃষ্টি ছুটে যায় তার ভাইয়ের কাছে। সৃষ্টি বলে __
“- ভাইয়া আই মিস ইউ _.
“- আই মিস ইউ টু, আমার ছোট বোন __.
সৃষ্টির সাথে আরো কিছু সময় কথা বলে আদ্রিয়ান, এরপর সকলের থেকে বিদায় নিয়ে সে ফ্রেশ হতে তার রুমে যায়। আদ্রিয়ান তার রুমে প্রবেশ করে, রুমটা তার আগের মতো রয়েছে। সবকিছু পরিপাটি করে সাজানো, খুর যত্ন করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে সব। আদ্রিয়ান তার ব্যাগপএ রেখে, ওয়াশরুমে চলে যায়। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হয়, তার ব্যাগের সকল জামাকাপড় আলমারিতে রাখতে যায়।
আলমারিতে জামাকাপড় রাখা শেষ করে, যখন আলমারি বন্ধ করতে যাবে। তখনই একটা ছবি এসে তার পায়ের কাছে পড়ে, এইটা মেঘের ছবি। যদিও আদ্রিয়ানের রুম থেকে মেঘের সমস্ত ছবি, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়তো আলমারির কোণায় একটা মেঘের ছবি থেকে গেছে। আদ্রিয়ান একটু ঝুঁকে, তার পায়ে পড়ে থাকা ছবি উঠায় । ছবিটা উল্টো দিকে ঘুরে ছিল, আদ্রিয়ান যখন ছবিটা ঘুরিয়ে দেখে। তখনই সে অবাক হয়ে যায়।
তোমার নামে নীলচে তারা পর্ব ১
অন্যদিকে সৃষ্টি আদ্রিয়ানের রুমে আসে, তাকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দিতে। আদ্রিয়ানের রুমে এসে, যখন ডাকতে যাবে। তখনই তার হাতে, মেঘের ছবি দেখতে পায়। সৃষ্টি ভয় পেয়ে যায়, আদ্রিয়ান ছবিটা দেখছে। আদ্রিয়ান সামনে তাকিয়ে দেখে, সৃষ্টি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আদ্রিয়ান গম্ভীর কণ্ঠে বলে –
“- সৃষ্টি এই ছবি কার? কোথাও এইটা