তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪২
নওরিন মুনতাহা হিয়া
আজ মঙ্গলবার অরণ্য বাড়ি ফিরবে। সকাল থেকে রেহানা বেগম রান্না করা শুরু করে দেন। শুধু অরণ্য না চৌধুরী বাড়ির প্রতৈক সদস্য আজ তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবে। কাল রাতে অরণ্যর সুস্থতার খবর সকলকে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে রেহানা বেগম আর সায়মা দেখা করতে যেতে চেয়ে ছিলো। কিন্তু ডক্টর বলেছে যে অরণ্য এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, সে কাল সকালে বাড়ি ফিরতে পারবে। যার কারণে রেহানা বেগম আর সায়মা আর হাসপাতালে যায় নাই। সায়মা বাড়ির সব জিনিসপত্র সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছে।
প্রায় বারোটার দিকে অরণ্যর গাড়ি তার বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। হাসপাতালে প্রায় দুইবছর অরণ্য এডমিট থেকেছে, সেখানে কিছু কাগজপএ আর অন্য সব কাজ শেষ করে আসতে সময় লাগে। গাড়িতে এখন ইনায়া আর অরণ্য অবস্থান করছে, ইনায়া এতোখন অরণ্যর হাত শক্ত করে ধরে বসে থাকে। যেনো হাত ছেড়ে দিলে অরণ্য পালিয়ে যাবে, অবশ্য এতো অরণ্য খুশিই হয়। কোমায় থেকে ফিরে এসে তার বউ এতেন যত্ন করছে, আদর করছে, ভালোবাসা দিচ্ছে যা অরণ্যর কাছে সপ্নের মতো। যদি অরণ্য আগে যানত যে ইনায়া তাকে এতো ভালোবাসবে, তবে অনেক আগেই এক্সিডেন্ট করিয়ে হাসপাতালে এডমিট হতো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
গাড়ি বাড়ির সামনে এসে পৌঁছায় ইনায়া গাড়ি থেকে নেমে যায়। এরপর অরণ্যর কাছে গিয়ে ওকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে সাহায্য করে। দুইজনে একসাথে বাড়ির ভিতরে চলে যায়, আজ কতদিন পর আবার সে আবার তার বাড়িতে ফিরে এসেছে। রেহানা বেগম আর সায়মা এগিয়ে আসে অরণ্যর কাছে, রেহানা বেগম অরণ্যর মাথায় হাত রেখে বলে
“- তোমাকে অনেক মিস করেছি আমরা অরণ্য। নামাজ পড়ে কতো কান্না করেছি তোমার সুস্থতার জন্য। যাও এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো, তোমার জন্য নিজ হাতে খাবার রান্না করেছি আমি “।
মাথায় রেহানা বেগমের হাতের আলতো ছোঁয়া পেয়ে অরণ্য চোখ বন্ধ করে নেয়। আজ প্রায় দশ বছর পর তার মা তার মাথায় হাত রেখেছে, মায়ের এমন রূপ এতোদিন পর সে দেখছে। মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য, তার কণ্ঠে নিজের নাম শুনার জন্য, একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অরণ্য কতো ছটফট করেছে। মায়ের ভালোবাসা পাওয়া অরণ্যর কাছে একটা সপ্ন ছিলো, যা আজ পূর্ণতা পেয়েছে। অরণ্য এগিয়ে গিয়ে রেহানা বেগমকে জড়িয়ে ধরে, এরপর বলে –
“- সত্যি আম্মু তুমি আমাকে মাফ করে দিয়েছ? আমার সুস্থতার জন্য কান্না করেছ? আমি বাড়ি ফিরব বলে তুমি নিজ হাতে রান্না করেছ? বিশ্বাস হচ্ছে না আমার?
রেহানা বেগম আজ এতো বছর পর আবার তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে নেয়। তাদের কথা বলার মধ্যে সায়মা ও ছুটে আসে, সে তার মা ভাইকে জড়িয়ে ধরে। আজ প্রথমবার দুই সন্তানকে এতো কাছ থেকে একসাথে আগলে রেখেছে, তাদের পরিবার সম্পূর্ণ হয়েছে। বাড়ির সদর দরজায় ইনায়া দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার মনের জন্য সুখের অনুভব হয়। আবার সে তার শশুড় বাড়ির প্রতৈক সদস্যকে একসাথে দেখেছে, বিয়ের পর আজ প্রথমবার।
পরিবারের সাথে সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়ে অরণ্য আর ইনায়া রুমে চলে যায়। অরণ্যর শরীর এখন সুস্থ, কিন্তু ডক্টর বলেছে তাকে রেস্ট নিতে। নিয়মিত ঔষধ কন্টিনিউ করতে, রেহানা বেগম আবার রান্না ঘরে যায়। আজ তার সংসার পূর্ণ হয়েছে, তার চোখে পানির বিন্দু জমা হয় এই কান্না কষ্টের না সুখের। দুইজন সন্তান আজ রেহানা বেগমর খুশি, নিজেদের সংসার নিয়ে এর থেকে বেশি একজন মায়ের আর কি চাওয়া রয়েছে। রুমে প্রবেশ করে অরণ্য, দুইবছর আগের রেখে যাওয়া রুম আর আজকে থাকা রুমের মধ্যে বিন্দু মাএ পার্থক্য নেই। প্রতিটা জিনিস একই রকম করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
অরণ্যর সাথে রুমে প্রবেশ করে ইনায়া। অরণ্যকে তিক্ষ চোখে রুম পর্যবেক্ষণ করতে দেখে বলে –
“- কি মিস্টার অরণ্য রাজ চৌধুরী? ঘরের সব জিনিসপত্র সুন্দর করে সাজানো আছে তো? দুইটা বছর অনেক যত্ন করে রুমটা আগলে রেখেছি।
ইনায়ার কথা শুনে অরণ্য হাল্কা টান দিয়ে ওকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। এরপর দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে –
“- ম্যাডাম শুধু কি ঘরের যত্ন করলে হবে? বরের বুঝি যত্ন করতে হবে না? চলুন না ইনায়া একটু রোমান্স করি?
অরণ্যর কথা শুনে ইনায়া তাকে মৃ্দ্যু ধাক্কা দিয়ে, দূরে সরিয়ে বলে –
“- হাসপাতাল থেকে এসেছেন আগে গোসল করেন ফ্রেশ হন। রান্না ঘরে যেতে হবে আমার, অনেক কাজ রয়েছে “।
ইনায়ার কথা শুনে অরণ্য অভিমান করে দূরে সরে যায়, অতীতে থাকুক বা বর্তমানে সবসময় তার বউ দূরে থাকতে চাই তার থেকে। এতোদিন পর জামাই কোমায় থেকে ফিরেছে, কোথায় জামাইকে দেখে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ভালোবাসবে রোমান্স করবে। সেটা না শুধু সারাক্ষণ পালায় পালায় করে, বাজার থেকে একটা রশি কিনে নিয়ে আসতে হবে। বউকে শক্ত করে রশি দিয়ে বেঁধে তারপর বাসর করবে, রোমান্সের সময় নো তিড়িং বিরিং।
বিছানায় বসে থাকে অরণ্য, তার ভাবনার মাঝে ইনায়া চলে যায় ওয়াশরুমে। অরণ্যর অভিমান হয়েছে সেটা ইনায়া যানে, কিন্তু এখন যদি অরণ্যর সাথে রাগ ভাঙ্গাতে যায়। তাহলে সে আর রান্না ঘরে যেতে পারবে না, রেহানা বেগম একা রান্না করছেন আর আজ চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্য আসবে। কতো কাজ রয়েছে। রেহানা বেগম একা সব সামলে নিতে পারবে, যদি ইনায়া রান্না ঘরে না যায় তবুও কিছু বলবে না। ইনায়ার শাশুড়ীর ভাগ্য সবসময় ভালো, অরুণা বেগম যখন তার শাশুড়ী ছিলো তখন সবসময় তাকে মেয়ের মতো করে আগলে রেখেছে।
রেহানা বেগম ও তার বিপরীত নয়, ওনি ও ইনায়া আর সায়মাকে সমান চোখে দেখেন। নিজের মেয়ের মতো করে ভালোবাসেন। তবুও ইনায়া এই বাড়ির বউ তার একটা দায়িত্ব রয়েছে যা সে সবসময় পালন করে। অরণ্য যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এডমিট ছিলো, তখন ইনায়ার অফিস সামলাতে হয়েছে। যার কারণে সে বাড়ির কাজে সময় বেশি দিতে পারত না, তবে রাতে অফিস থেকে ফিরে ডিনার সেই তৈরি করত। বন্ধেন দিন বাড়ির যাবতীয় কাজ আর রান্না ইনায়া করে। রেহানা বেগম তাকে নিষেধ করেছে, তবুও ইনায়া করে।
বিছানায় বসে রয়েছে অরণ্য, এমন সময় তার রুমে আয়ান প্রবেশ করে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরার সময় আয়ান ঘুমিয়ে ছিলো, যার কারণে তার সাথে দেখা হয় না। এতো ঘটনার মধ্যে সায়মার যে গর্ভবতী ছিলো, সেটা অরণ্য ভুলে গেছে। আয়ান ছোট ছোট পা ফেলে রুমে আসে, বিছানায় অন্য একজন পুরুষকে শুয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়। তার জন্মের পর অরণ্যকে সে কখনো দেখে নাই, যার কারণে সে তাকে চিনতে পারে না। আয়ান বলে –
“- মাম্মা মাম্মা কোথায় তুমি?
হঠাৎ কোনো বাচ্চার মুখে মাম্মা ডাক শুনে অরণ্য ভ্রু কুঁচকে সেইদিকে তাকিয়ে দেখে। দরজার কাছে এক বাচ্চা ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আয়ান রুমের চারপাশে ইনায়াকে খুঁজার চেষ্টা করছে। অরণ্য বাচ্চাকে হাতের ইশারায় ডাক দেয়, আয়ান অরণ্যর কাছে যায়। অরণ্য বলে –
“- এই বাবু তুমি কে? কাকে মাম্মা বলে ডাকছ?
অরণ্য মনে করে কোনো কাজের লোকের ছেলে হবে হয়তো, আয়ান বলে –
“- আমি বাবু নয় আমি আয়ান। মাম্মা কোথায়? তুমি আমার মাম্মা রুমে কি করছ?
“- ওকে আয়ান এইটা তোমার মাম্মা রুম নয়। তোমার মাম্মা হয়তো অন্য রুমে রয়েছে? সেখানে যাও “।
আয়ান জেদ দেখিয়ে বলে –
“- না এইটা আমার মাম্মা রুম। তুমি পঁচা আঙ্কেল আমার মাম্মার রুম থেকে যাও। মাম্মা কোথায় তুমি?
আয়ান আশেপাশে ইনায়াকে না দেখে কান্না করে দেয়। অরণ্য বাচ্চার কান্না করা দেখে বলতে থাকে –
“- আরে বাবু তোমার মাম্মা কে? আচ্ছা তোমার মাম্মার নাম কি?
“- ইনায়া “।
আয়ানের মুখে ইনায়ার নাম শুনে অরণ্য অবাক। বাচ্চা ছেলেটা ইনায়াকে মাম্মা বলে ডাকছে কেনো? দুইবছর আগে ইনায়ার বাচ্চা পেটে ছিলো না, আর থাকবে কি করে তাদের তো বাসর হয় নাই। যা বউ তার কাছে আসলে দূরে সরে যায়, কোথাও ইনায়ার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় নাই তো? না না বিয়ে হয়ে গেলে নিশ্চয়ই অরণ্যর জন্য হাসপাতালে ছুটে যেত না? আয়ান এমন চুপচাপ থাকতে দেখে অরণ্যকে বলে –
“- কি হয়েছে মামা তুমি এমন চুপ করে আছো কেনো? বলো না মাম্মা কোথায়?
আয়ানের কথা শুনে এখন নিজের উপর কষ্ট লাগছে অরণ্যর। তার সপ্ন ছিলো তার দশটা বাচ্চা হবে, আর সব বাচ্চা ইভাকে মামা বলো ডাকবে। কিন্তু এখন তার বউয়েন বাচ্চা তাকেই মামা বলে ডাকছে, এইজন্য মানুষ বলে অন্যজনকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করলে। উল্টো নিজেকেই বিপদে পড়তে হয়। অরণ্য বলে –
‘- এই বাচ্চা তুমি আমার বউকে মাম্মা বলে ডাকবে না। ইনায়া শুধু আমার বাচ্চার মাম্মা হবে “।
আয়ান অরণ্যর ধমক শুনে কান্না করে দেয়। ওয়াশরুম থেকে আয়ানের কান্নার আওয়াজ শুনে ইনায়া বের হয়ে আসে। ওয়াশরুমের দরজা খুলে ইনায়াকে বের হয়ে আসতে দেখে, আয়ান তার কাছে যায় ছুটে যায়। ইনায়া আয়ানকে কোলে তুলে নেয় আর বলে –
“- কি হয়েছে আয়ান বাবা? কান্না করছ কেনো? কে বকা দিয়েছে তোমাকে? কার এতো সাহস আমার আয়ান বাবুকে বকা দেয়?
ইনায়ার কথা শুনে অরণ্যর মনে হয় হার্ড এট্যার্ক করবে। বউ তার বেইমান নারী। আয়ান কান্না করা দুইচোখে অভিমানী স্বরে অরণ্যর দিকে আঙুল দেখিয়ে বলে –
‘- মাম্মা ওই পঁচা মামা আমাকে বকা দিয়েছে । বলে তুমি না কি আমার মাম্মা নও, আর আমাকে অনেক জােরে ধমক দিয়েছে “।
আয়ানকে অরণ্য বকা দিয়েছে? কথাটা ভেবেই ইনায়া অরণ্যর দিকে তাকিয়ে বলে –
“- অরণ্য আপনি আয়ানকে বকা দিয়েছেন কেনো? জন্মের পর প্রথমবার ভাগনাকে দেখলেন, আর ওকে বকা দিলেন “। মামা হয়ে এমন ধমক কেনো দিয়েছেন?
ইনায়ার কড়া কণ্ঠ সম্পূর্ণ শুনে নাই অরণ্য। শুধু মামা শব্দটা শুনেছে মামা মানে অরণ্য বলে –
“- মামা মানে?
“- কি মামা মানে? সায়মার ছেলে কি আপনাকে মামা বলে ডাকবে না?
সায়মার কথা শুনে অরণ্যর মনে পড়ে যায় কোমায় যাওয়ার আগে সায়মা গর্ভবতী ছিলো। আর সে কোমায় থেকেছে দুইবছর, এখন অরণ্য সবটা বুঝতে পারে। আয়ান হয়তো ইনায়াকে আদর করে মাম্মা বলে ডাকে, ইনায়া আয়ানকে কোলে নিয়ে আসে অরণ্যর কাছে এরপর ওর কোলে দিয়ে বলে –
“- আয়ান ওনি তোমার মামা হয়। আর এখন মামা আর আয়ানকে বকা দিবে না। খুব আদর করবে “।
অরণ্য আয়ানকে কোলে নেয়, ওর চেহারা ভালো করে দেখে সত্যি ওর সায়মার ছেলে। ছোটবেলা সায়মার মুখ অনেকটা আয়ানের মতো ছিলো, অরণ্য বলে –
“- সরি আয়ান বাবু মামা তোমাকে বকা দিয়েছে। কিন্তু মামা এখন আর তোমাকে বকা দিবে না, অনেক আদর করবে। চকলেট দিবে, ঘুরতে নিয়ে যাবে?
“- সত্যি মামা?
“- হুম সত্যি?
আয়ান আর অরণ্য একসাথে সময় কাটায়, অন্যদিকে অরণ্যর গাড়ির এক্সিডেন্ট যে লোক করিয়েছে আজ সে জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়েছে। তার নাম জামিল, জামিল থানা থেকে বের হয়ে ফোন করে অপরিচিত নাম্বারে বলে –
“- আমি থানা থেকে বের হয়ে গেছি? আজ দুইবছর পর?
অপরিচিত লোকটা বলে –
“- হুম। তবে তুমি অরণ্যর এক্সিডেন্ট করিয়ে কোনো উপকার করো নাই আমার? অরণ্য কোমায় যাওয়ার পর ইনায়া আমার সমস্ত পরিকল্পনা নষ্ট করে দিয়েছে? এসএস কোম্পানির সকল টাকা আমার একাউন্টে আসার আগেই ইনায়া সকল শেয়ার হুলডারের সাথে কথা বলে তা বন্ধ করে দিয়েছে? একবার ট্রাক দিয়ে গাড়িটা চাপা দেওয়ার আগে আমাকে জানাবে তো?
জামিল অবাক হয়ে বলে –
“- ম্যাম কি বলছেন আপনি? অরণ্য রাজ চৌধুরীর এক্সিডেন্ট আমার গাড়ি দিয়ে হয় নাই? আমি ট্রাক নিয়ে পৌঁছানোর আগেই অন্য এক ট্রাক এসে অরণ্যর গাড়িটাকে ধাক্কা দেয়। কিন্তু পুলিশ ভুল করে আমাকে গ্রেফতার করে?
অপরিচিত লোকটা ড্রাইভারের কথা শুনে অবাক হয়ে বলে –
“- হোয়াট তুমি এক্সিডেন্ট করা ও নাই অরণ্য ?
“- না ম্যাম “।
অপরিচিত লোকটা রাগে স্বরে বলে –
“- অরণ্য “।
তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪১
অরণ্যর ফোনে একটা কল আসে, অরণ্য সেটা রিসিভ করে সয়তানি হাসি দিয়ে বলে –
“- প্রায় দুইবছর পর তোমার সাথে কথা হলো রামিম?
“- বস আপনার কাছে সয়তান ও হার মানবে। নিজের এক্সিডেন্ট নিজেই করিয়ে, ইচ্ছা করে কোমায় গিয়ে কি মজা পেলেন আপনি?