তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ১৬
অহনা আক্তার
তাজমহল আর ফাইজা মিলে মুসকান কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছে। মুসকান নিজেও আজকে চুপচাপ বসে শাশুড়ি ননদকে সাজানোর সুযোগ দিচ্ছে। আজকে নিজের কোনো রকম কমতি রাখবে না সে। ফারিশের পাশে তাকে পারফেক্ট দেখানোর জন্য যা যা করতে হয় সব করবে। ফাইজা মুসকানকে পুরোপুরি তৈরি করে আয়নার সামনে এনে দাঁড় করালো। নজর উতরিয়ে বলল,
— ওয়াও ভাবি কি প্রিটি লাগছে তোমায়। পুরো মাথা ন*ষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো। আমারই বুকে ব্যাথা করছে না জানি ভাইয়ার কি হয়!
মুসকান লজ্জা পেল। আয়নায় পিটপিটিয়ে তাকালো। নিজেকে দেখে নিজেই অবাক হলো। এতো সুন্দর লাগছে তাকে। ফর্সা গায়ে কালো শাড়িতে যেন তার গায়ের রং আরো ফর্সা হয়ে গেছে। তার সরু লম্বা চুল গুলো ফাইজা কি করে নিচ দিয়ে এমন পেচিয়ে ফেলল। দেখতে মন্দ লাগছে না। বরণ চুলের জন্যে তার লুক টাই চেঞ্জ হয়ে গেছে। নাকে পাথরের নাক ফুলটা কি সুন্দর ঝলমল করছে। সাথে কানে আর গলায় পরা সিম্পল পাথরের অর্নামেন্টস গুলাও। মুসকানের এবার অস্বস্তি হতে লাগল। ফারিশের সামনে এতো সেজেগুজে কিভাবে যাবে সে! ভেবেই কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়েছে।
ফাইজা তাড়া দিল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— ভাবি জলদি যাও। ভাইয়া কখন থেকে তোমার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে।
মুসকান শাড়ির কুঁচি ধরে আস্তে ধীরে বাড়ির বাইরের দিকে এগিয়ে গেল। চলতে নিয়ে কয়েকবার হেলেদুলে পরে যাচ্ছিল। আবার নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়েছে। ফাইজা নিজের থেকে একজোড়া হিল এনে মুসকানকে পরিয়ে দিয়েছে। এই জুতো পরে মুসকান পায়ে যেমন ব্যাথা পাচ্ছে তেমন হাঁটতেও অসুবিধা হচ্ছে। তবুও সে ঠিকঠাক ভাবে নিজের সাথে এডজাস্ট করে নিচ্ছে। এখন থেকে অভ্যেস করতে হবে। এগুলো পরেই হাঁটার অভ্যেস করতে হবে। নাহলে স্বামীর সাথে পারফেক্ট দেখাবে কি করে।
ফারিশ কালো প্যান্টের সঙ্গে ইন করা কালো শার্ট পরেছে। ওপরে ব্লেজার। হাতে কালো রঙের ঘড়ি। প্যান্টের দু’পকেটে হাত ঢুকিয়ে আরামসে বাইকের সাথে স্টাইলে দাঁড়িয়ে আছে। কানে ব্লুটুথ। মনে হচ্ছে কারো সাথে কথা বলছে। মুসকানকে টুকরো পায়ে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে স্পিচলেস হয়ে যায় সে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ফোনের অপর পাশ থেকে কেউ হ্যালো হ্যালো করছে অনবরত। কিন্তু কিছুই ফারিশের কানে ঢুকছে না। সে তো তার সামনে হেঁটে আসা জলজ্যান্ত মুগ্ধকরিকে দেখতে ব্যস্ত। ফারিশের হাত আপনা আপনি নিজের বুকের বা পাশে চলে গেল। অস্ফুট স্বরে উচ্চরণ
করলো…WOW…!!
মুসকান তাঁর ধকধক করা হৃদপিণ্ডটা নিয়ে ফারিশের পাশে দাঁড়াল। হালকা কেশে ফারিশের ধ্যান ভাঙালো। লাজুক কণ্ঠে বলল,
— যাবেন না?
ফারিশের স্তম্ভিত ফেরে। হকচকিয়ে বলে,
— হ্যা, হ্যা ওঠে বসো বাইকে..
মুসকান তড়িঘড়ি করে বাইকে ওঠতে গিয়ে হোটচ খেল। ফারিশ ধরে ফেলায় অল্পের জন্য পরতে নিয়েও বেঁচে গেলো ৷ এতোক্ষণে ফারিশের খেয়াল হলো মুসকান তার গলা পর্যন্ত চলে এসেছে। রাতারাতি মুসকানকে এতোটা লম্বা হয়ে যেতে দেখে ফারিশের ভ্রু কুঁচকে গেল । সে মুসাকনের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে মুসকান নিজের থেকেও বড় মাপের হিল পরে আছে। বিরক্তিতে নাক মুখ কুঁচকে আসে ফারিশের। গলা উঁচিয়ে বলে,
— এগুলো কি পরেছো?
মুসকান নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে আবার ফারিশের মুখের দিকে তাকায়। বোকা হেসে বলে,
— কেন আপনি জুতো চিনেন না? এগুলো কে বলে ‘স্টিলেটো’। ফাইজা দিয়েছে পরতে। এমনিতে তো আপনি আপনার পায়ের নিচ থেকে ‘দু’ ইঞ্চি কা’টতে পারবেন না। তাই আমি নিজের পায়ের নিচ থেকে ‘দু’ ইঞ্চি বাড়িয়ে নিলাম। সুন্দর লাগছে না আমার পায়ে জুতো গুলো?
— এসব উঁচু জুতো পরতে কে বলেছে তোমায়? এগুলো পরে হাঁটতে পারবে?
— কেন আপনার সামনে দিয়েই তো হেঁটে এলাম। চোখ কি ওপরে তুলে রেখেছিলেন।
ফারিশ থতমত খেল। সে মুসকানকে দেখায় এতোটাই ব্যস্ত ছিলো যে মুসকান কখন এসে তার পাশে দাড়িয়েছে টেরই পেল না। ফোনে কল আসায় ফারিশ এবার তাড়াহুড়ো করতে লাগলো। দ্রুত বাইকে ওঠে মুসকানকেও তাকে ধরে বসতে বলল ,,
— শাড়ি সামলিয়ে সাবধানে বসো। তোমার জন্যতো এখন গাড়িও চালাতে পারি না।
মুসকান মুখ ভেঙচিয়ে বলল,
— গাড়ি চালাতে আমি বারণ করেছি নাকি আপনাকে?
ফারিশ স্পিডে বাইক ছেড়ে দিল। মুসকান বিহ্বল হয়ে দ্রুত ফারিশকে জাপটে ধরলো,
— এভাবে কেউ বাইক ছাড়ে। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
ফারিশ শব্দ করে হাসে। রসাত্মক স্বরে বলে,
— ঠিক এই জন্যই গাড়ি চালাই না আমি।
মুসকান হালকা চাপড় বসাল ফারিশের পিঠে। মাথা এলিয়ে দিয়ে বলল,
–‘দুষ্ট লোক’
খুব সুন্দর পরিপাটি একটা রেস্টুরেন্টের ছাঁদ বুক করা হয়েছে গেট টুগেদারের জন্য। মুসকান চারপাশে নজর বুলিয়ে আস্তে ধীরে হেঁটে আসছে ফারিশের পিছু পিছু। হিল পরে ফারিশের বড় বড় পায়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না সে। ফারিশ থামলো। পিছনে ঘুরে দেখলো মুসকান এখনো তার থেকে অনেকটা দূর। কাছাকাছি আসতেই মুসকানের কাঁধ পেঁচিয়ে ধরল সে। মুসকানের নার্ভাস লাগছে। কপাল আর নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। ফারিশ আলতো হাতে টিশু দিয়ে সেই ঘাম মুছে দিল। তাকে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হতে বলল,
— নার্ভাস লাগছে? ওখানে টয়া,শ্যামা,তন্নি সবাই আছে। ওদের কাছে গেলে এমন লাগবে না ।
মুসকান মাথা দোলাল।
ছাদে পা রাখতেই হইহট্টগোলে মুসকানের কান তব্দা লেগে গেল। একপ্রকার লাফিয়ে সে ফারিশের পিছে চলে গেল। পুরো ছাঁদ ভর্তি মানুষ। সকলেই শাড়ি, নানান রকমের পার্টি ড্রেস, স্যুট কোট পরে আছে। একেকজন পুরুষের পাশে একেকটি সুন্দরী রমনী দাঁড়িয়ে। দেখে বুঝাই যাচ্ছে তাদের অর্ধাঙ্গিনী বা প্রেমিকা হবে। পুরো ছাঁদটি নানান রঙের লাইট,সবুজ রঙের আর্টিফিশিয়াল ঘাস, ফুল, পাতা, নানারকম জিনিস দিয়ে ডেকোরেশন করা। ছাঁদের একপাশে বিভিন্ন ডিজাইনিং চেয়ার টেবিল সারিসারি সাজিয়ে রাখা। গিটার, ড্রামসহ আরো অনেক বাধ্য যন্ত্র দিয়ে ছাঁদের এককোনা পুরোটাই গ্রেব করা। সেখানে গান বাজনা চলছে ধুমধামে। অনেকে আবার ডান্সও করছে। কেউ কেউ নিচে পাতা সাদা বিছানায় বালিশ কুশন নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। চারপাশের খোলামেলা পরিবেশ, মৃদু,শীতল বাতাস বইছে। ফারিশকে দেখেই তার বন্ধুবান্ধব সবাই চিল্লিয়ে ওঠলো। ‘এসে গেছে আমাদের হিরো।’
— এই সর, সর। সাইড দে সকলে..!
কেউ কেউ ফাজলামো করে বলছে,
— ধানদূর্বা নিয়ে আয় জলদি। বরণ করতে হবে।
আবার কেউ কেউ মজার ছলে বলছে,
— ফুল ছিটা, ফুল ছিটা। কতো কতো অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আমাদের হ্যান্ডসাম বয় হাজির হয়েছে আমাদের মাঝে।
ফারিশকে নিয়ে ফারিশের বন্ধু বান্ধবিদের এতো এতো চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মুসকান নিজেকে আরো গুটিয়ে নিয়েছে। ভীতু হয়ে সে ফারিশের ব্লেজারের এক অংশ চেপে ধরে রেখেছে। রমিজ সবার আগে মুসকান কে খেয়াল করল। সে গলা চড়িয়ে বলল,
— আরে আমাদের হিরো দেখি আমাদের কথা রেখেছে। সে তার সুন্দরী, কিউট, পিচ্চি বউকে নিয়ে এসেছে।
তন্নি লাফিয়ে ওঠলো,
— সিরিয়াসলি ফারিশ তুই মুসকান কে নিয়ে এসেছিস! কোথায় ওহ?
সুঠাম দেহের ফারিশের পিছনে ছোট্টখাটো গড়নের মুসকান কে কেউই দেখেনি। শ্যামা এসে মুসকানকে ফারিশের পেছন থেকে টেনে সামনে আনলো। টয়া চেঁচাল,
— ওয়াও মুসকান কতো প্রিটি লাগছে তোমায়।
” কিসিকি নাজার না লাগে হায়য় ”
মুসকানের এতোক্ষণে একটু স্বস্তি লাগছে। জড়সড় হয়ে সকলের মাঝে দাড়িয়ে সে। এখানে ফারিশের আরো অন্যান্য বন্ধুবান্ধব ও তাদের বউ আছে। সবার সাথে তন্নি, টয়া,শ্যামা মুসকানকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। মুসকান ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে সকলের সাথে পরিচিত হচ্ছে। ফারিশ মুসকানকে সাথে নিয়ে নিচে পাতা তুলতুলে আসনে ছুঁইছুঁই হয়ে বসলো। একটা ওয়েটারের থেকে ঠান্ডা ড্রিংস নিয়ে মুসকানকে খেতে দিল। মুসকান আস্তে ধীরে সেটা খাচ্ছে। সকলেই গোল হয়ে তাদের ঘিরে বসেছে। ফারিশ বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মজে গেছে। সকলের সাথে হেসে খোলে কথা বলছে। হাসাহাসি করছে। কথার ধুম পরে গেছে। নিহান দুষ্টু সুরে ফারিশকে বলল,
— তুইতো লটারি জিতছস দোস্ত। আমাদের যে কেন এতো সুন্দর, কিউট, মিষ্টি দেখতে চাচাতো বোন নেই। থাকলে আমরাও ভুলিয়ে বালিয়ে বিয়ে করে নিতাম।
নিহানের দিকে তাকিয়ে টয়া কুশন ছুড়ে মারল,
— কয়টা লাগবে তোর?
— বেবি, ডার্লিং, সুইটহার্ট রাগ করছো কেন? পুরুষদের চারটা বিয়ে করার অনুমতি আছে আর আমিতো মাত্র দুইটাই করতে চাইছি। থাক তুমি রাজি না থাকলে করবো না ।
মুসকান ওদের কথা শুনে মুচকি হাসে। চোখ ঘুরিয়ে একপাশে তাকাতেই হিয়া কে দেখে চমকে যায়। হিয়া তাদের থেকে কিছুটা দূরে একটা চেয়ারে বসে চোখ লাল করে মুসকানের দিকে তাকিয়ে আছে। মুসকান চোখ মুখ অন্ধকার করে ফারিশের দিকে তাকাল। ফারিশ জিজ্ঞেস করল,
— খারাপ লাগছে?
মুসকান দুই দিকে মাথা নাড়ালো। ফারিশ হিয়া কে দেখে মুসকানের পিঠে হাত রাখল। একটু পরপর বুলিয়ে দিতে লাগল। যেমন শান্ত করার চেষ্টা করছে ,,
—‘ বি কম্ফোর্টেবল ওকে। খারাপ লাগলে জানিও।’
তন্নি গালে হাত দিয়ে বলল,
— হাও কিউট ইয়ার!
হিয়া যেন এগুলো দেখে আরো জ্বলছে।
কুদ্দুস টানটান কণ্ঠে মুসকানকে ডাকল,
— ভাবিইইই…
মুসকান লজ্জায় হতভম্ব। এই লোকের এমন টিটকারি সুরে ভাবি ডাক সে একদম নিতে পারে না।
কুদ্দুস দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল,
— ভাবি একটা মেয়ে দেন প্রেম করবো।
মুসকান তাজ্জাব বনে গেল, ”সে কি মেয়ের ডিলার নাকি”
ফারিশ উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো। হাসছে বাকিরাও। পরপর সকলের মাঝে আলাপচারিতা শুরু হলো। খাওয়া-দাওয়া, হাসি,মজামাস্তি,গান বাজনায় ভরে ওঠলো পুরোটা সন্ধ্যে।
তুই এতোটা চেঞ্জ কি করে হয়ে গেলি ফারিশ? আমার দিকে একবার তাকালি পর্যন্ত না।
— আমার স্ত্রী আছে। অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়ে কি করব?
হিয়া তাচ্ছিল্য হাসলো,
–‘স্ত্রী’ বাহ। কি সুন্দর ভাবে একটা মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিলি!
— হ্যা মেনে নিয়েছি ‘তো’? তোর সাথে ফালতু ক্যাচাল পারার টাইম নেই আমার। মুসকানকে নিয়ে বাসায় ফিরতে হবে অলরেডি অনেক রাত হয়ে গেছে।
হিয়া ফারিশের রাস্তা আটকে দাঁড়াল। কুটিল কণ্ঠে বলল,
— মুসকান তোকে সেটিসফাইড করতে পারে তো? আমারতো মনে হয় না পারে। ওইটুকু মেয়ে বিয়ে করেছিস। আ’ম সিউর এখনো তকে…
ফারিশ হাত মুষ্ঠি বদ্ধ করে নেয়। শক্ত কণ্ঠে বলে,
— সামনে থেকে সরর!
হিয়া সরে না বরণ আরো কাছে এসে ফারিশের হাত চেপে ধরে,
— ফারিশ বিশ্বাস কর আমি তোকে খুব ভালোবাসি। তোকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না। আমাকে লাস্ট বারের মতো ক্ষমা করে দে। ট্রাস্ট মি আর কোনোদিন অস্ট্রেলিয়া যাব না আমি। তোকে খুব ভালোবাসব। তুই যা চাস আমি তোকে তাই দেবো। যেটা মুসকান এখনো দিতে পারেনি তোকে সেটা আমি দিব। তোকে আমি সেটিসফাইড করব,,, শারীরিক ভাবে, মানসিক ভাবে, সব ভাবে। আমার ভালোবাসা দিয়ে আমি তোর থেকে মুসকান কে ভুলিয়ে দিব। তুই মুসকান কে ডিভোর্স দিয়ে…
ঠা***সসস বাকি কথা আর বলতে পারল না হিয়া। ফারিশ প্রচন্ড বেগে হিয়াকে থা*প্পড় মারল। ক্রুদ্ধে ঝংকার তুলে বলল,
— সাহস কি করে হলো আমার মুসকান কে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলার? জিহভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব একদম! মুখ দিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় রাখবো না ৷
‘ আ’ম এডিক্টেট টু হার।’ প্রতিটা নিশ্বাসে অনুভব করি তাকে। তুই কেন দুনিয়ার কেউই মুসকানকে আমার থেকে ভুলিয়ে দিতে করতে পারবে না। আর সেটিসফাইডের কথা বলছিস… অবশ্যই সেটিসফাইড আমি! মুসকানের প্রতি যথেষ্ট সেটিসফাইড! ওর চেহারা দেখেই আমি সেটিসফাইড। অন্য কিছুর প্রয়োজন হয় না আমার। লাস্ট বারের মতো ওয়ার্নিং দিচ্ছি (তর্জনি তাক করে),,,,,”আমার থেকে দূরে থাক”’
তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ১৫
ফারিশ হনহন করে চলে গেল বাইরের দিকে। গায়ে ড্রিংস পরায় ওয়াশরুমের দিকে এসেছিল সে। ফ্রেশ হয়ে আসার পথে হিয়া এসে সামনে দাঁড়ায়। ফারিশতো চলে গেছে সেই কখনই কিন্তু হিয়া এখনো ফারিশের কথা আর হিংস্র চোখ দেখে ভয়ে কাঁপছে। মুসকানকে ফারিশ কখনোই ছাড়বে এটা সে ভালো করে বুঝে গেছে…