তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ২০
অহনা আক্তার
বয়স কম হলে কি হবে আস্ত সেয়ানা। কিভাবে ছেলে পটাতে হয় পে*ট থেকে বের হয়েই শিখে গেছে। ফারিশ ভাইকে কতো সুন্দর নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে। ধূর্ত মেয়ে মানুষ কোথাকার !!
বিছানায় বসে ফোনে গেম খেলছিল মুসকান। হঠাৎ সোনিয়া তার রুমে এসে উপরোক্ত কথা গুলো বলে। মুসকান মেয়েটার কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো গেমস খেলতে লাগল। সোনিয়া এবার ফুসে উঠল। উঁচু স্বরে বলল,
— এইই মেয়ে আমি তোমার সাথে কথা বলছি! শুনতে পারছো না তুমি?
মুসকান নির্বিকার ভাবে বলল,
— অবশ্যই শুনতে পারছি! হাটকাল নই আমি।
এমনিতেই মুসকানের উপর রেগেছিল সোনিয়া। এখন মুসকানের এহেম কথায় রাগ যেন আরো তুঙ্গে উঠে গেল। দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল,
— বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না? বাবা-মা শিক্ষা দেয় নি তোমায়? বি’য়াদব মেয়ে!
এবার মুসকানও ক্ষেপে গেল। হাতের ফোনটা বিছানার উপর ধপ করে ফেলে বলল,
— একদম বাবা-মা তুলে কথা বলবেন না আপু! কার শিক্ষা কেমন সেটা তার ব্যবহারেই বোঝা যায়। আপনি যে কতো ভালো শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সেটাতে আপনার আচরণেই সুভা পাচ্ছে।
— কি বললে তুমি? আমার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলো ? এতো বড় সাহস তোমর? ক্ষেত মেয়ে একটা!
— দেখুন আপু আমি আপনার সাথে তর্কে জড়াতে চাই না। আপনাকে তো আমি ঠিক করে চিনিই না। আপনি শুধু শুধু কেন আমার সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছেন?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— একদম চু*প থাকবি গেঁয়ো মেয়ে। নেহাতই তোর দাদা ফারিশ ভাইকে জোর করেছিল তোকে বিয়ে করার জন্য। নাহলে ফারিশ ভাইয়ের মতো স্মার্ট, হেন্ডসাম একটা ছেলে তোর মতো ক্ষে*ত কে কখনোই বিয়ে করতো না। বিয়ে করতো আমার মতো সুন্দরী, মডার্ণ একটা মেয়েকে।
মুসকানের চোখ ভিজে যায়। এভাবে অপমান তাকে কেউ কখনো করেনি। সে চোখের পানি মুছে শক্ত কণ্ঠে বলে,
— ভদ্র ভাবে কথা বলুন আপু। আপনি কখন থেকে আমাকে আজেবাজে কথা বলে যাচ্ছেন।
— ওহ তুই এখন আমাকে ভদ্রতা শিখাবি।
সোনিয়ার চিল্লাচিল্লি তে কেয়া আর শিরিন দৌড়ে রুমে আসে। শিরিন বলে,
— কি হয়েছে?
সোনিয়া সাথে সাথে জবাব দিল,
— ফারিশ ভাই এতো বি’য়াদব একটা মেয়েকে কি করে বিয়ে করল? যেই মেয়ে বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তাই জানে না। আমি ওর বড় বোনের মতো আর আমার সাথে কিভাবে তর্ক করছে!
— কিন্তু আমরাতো তোর তর্ক শুনে এখানে ছোটে এসেছি সোনিয়া? মুসকানের গলা তো শুনিনি। (শিরিন)
সোনিয়া নাকি সুরে বলল,
— হ্যা তোরা তো আমার দোষটাই দেখবি। এই বাড়িতে সবাইতো শুধু আমার দোষ টাই দেখে। মা ছাড়া তোরা কেউতো আমাকে সহ্যই করতে পারিস না। কাল সা*প মনে করিস!
— মুসকান কি এমন বলেছে তোমায় যার জন্য তুমি এভাবে নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলছো। ওহতো তোমাকে ঠিক করে চেনেও না? (কেয়া)
— আপনি চুপ করুন।
ঠিক তখনি ফারিশ রুমে ঢুকে। তার সারা শরীর ঘামে ভিজে আছে। সে মুসকানের কাছে গিয়ে তার ওড়নার মাথাটা দিয়ে নিজের মুখের ঘাম টুকু মুছে নেয়। থমথমে স্বরে বলে,
— কি হয়েছে এখানে? এই ঘরে এতো ভিড় কেন?
ফারিশকে মুসকানের ওড়না দিয়ে মুখ মুছতে দেখে সোনিয়া যেন আরো জ্বলে উঠল। খিটখিটিয়ে বলল,
— আপনার বউ আমার সাথে বি’য়াদবি করেছে ফারিশ ভাই।
ফারিশ ভ্রু কুঁচকে তাকায় মুসকানের দিকে। মুসকান সাথে সাথে দুই দিকে মাথা নাড়ায়। যার মানে সে কিছুই করেনি। ফারিশ বুকের উপর হাত ভাজ করে সটান হয়ে দাঁড়ায়। গম্ভীর স্বরে বলে,
— তা কি বি’য়াদবি করেছে আমার বউ?
সোনিয়া ফাঁকা ঢুক গিলে। ফারিশ যে এখন এই রুমে আসবে এটা সে ভাবতে পারেনি। ফারিশকে বাইরে ব্যস্ত দেখেই সোনিয়া এসেছিল মুসকানকে অপমান করতে। কিন্তু কে ডেকে এনেছে ফারিশকে!
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে লতিফা। একটু আগে সেই গিয়ে ফারিশকে ডেকে এনেছে। সোনিয়াকে মুসকানের ঘরে ঢুকতে দেখেই সে পিছু নিয়েছিল। দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে মুসকানকে বলা প্রতিটা কথা শুনেছে। আর সাথে সাথে সেগুলো গিয়ে ফারিশকেও বলেছে। এবার অপমান করুক তার ভাবিমণি কে। দেখুক কিভাবে করে। শ*য়তান মেয়ে।
সোনিয়া কে কিছু বলতে না দেখে ফারিশ আবার প্রশ্ন করল,
— কি হলো কিছু বলছো না কেন? কি করেছে মুসকান?
সোনিয়া আমতাআমতা করে। কি বলবে বুঝতে না পেরে যা মুখে আসে তাই বলে দেয়,
— সে আমাকে বে*য়াদব বলেছে।
— তো ভুল কি বলেছে? তুমিতো বে*য়াদবই!
অপমানে সোনিয়ার মুখ তব্দা লেগে গেল।
মুসকান সাথে সাথে নাকচ করল,
— আমি মোটেও উনাকে বে*য়াদব বলিনি।
সোনিয়া তেতে উঠে বলে,
— এই মেয়ে একদম মিথ্যে বলবে না!
— মিথ্যে আমি নই আপনি বলছেন।
” স্টপপপ ”
ফারিশের গর্জনে দু’জনই চুপ হয়ে গেল। ফারিশ মুসকান কে উদ্দেশ্য করে বলল,
— আমি সাওয়ার নিব। যাও গিয়ে আমার পোশাক বের করে দাও।
— কিন্তু আমিতো কিছু**
ফারিশ আবার ধমকে উঠল,
— তোমাকে কি বলেছি শুনতে পাও নি?
মুসকান টলতে টলতে ব্যাগ খোঁজতে লাগল। অভিমানে তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। দু চোখে পানি টইটম্বুর। আলগোছে সে ব্যাগ থেকে ফারিশের জামাকাপড় বের করতে লাগল।
সোনিয়া তো ভিষণ খুশি। ফারিশ মুসকানকে ধমক দিয়েছে। কিন্তু তার খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। ফারিশের কর্কশ কণ্ঠে সেও কেঁপে উঠল,,,
— এই রুমে কি করছো তুমি? আমার বউকে অপমান করার সাহস কি করে হলো তোমার? তুমি বলে দিবে আমি কাকে বিয়ে করবো আর কাকে করবো না! আমার স্ত্রী কে ক্ষে*ত বলার তুমি কে? এক থা*প্পড়ে নাক মুখ ছিটিয়ে ফেলবো বি’য়াদব মেয়ে। আমার বউয়ের আশেপাশেও যেন তোমাকে না দেখি।
গেট লস্ট !!
সোনিয়া কাঁদতে কাঁদতে রুমের বাইরে চলে গেল। তার পেছন পেছন কেয়া আর শিরিনও চলে গেল। এই বাড়ির সবাই জানে সোনিয়া ফারিশের জন্য কতটা ডেস্পারেট। ফারিশ আসবে শুনে সোনিয়া আগেভাগেই হোস্টেল থেকে ছুটি নিয়ে চলে এসেছে। সোনিয়ার মা শারমিন তাজমহলের সাথে ফারিশ আর সোনিয়ার বিয়ে নিয়েও কথা বলেছিল। সোনিয়ার বাবাকে দিয়েও কথা বলিয়ে ছিল। ভাইয়ের কথায় তাজমহল একটু একটু রাজি হলেও স্বামীর নারাজি তে আর আগাতে সাহস পায়নি। জহির কখনোই তার শশুর বাড়ি থেকে ছেলের জন্য মেয়ে নিতে রাজি না। আর মূল কথা ফারিশ এই মেয়েটির নাম পর্যন্ত শুনতে পারতো না বিয়ে করবে দূরের কথা।
ফারিশ সাওয়ার নিয়ে এসে দেখে মুসকান ওপাশ ফিরে কাত হয়ে শুয়ে আছে। সে চুল মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করে,
— সাওয়ার নিয়েছো?
মুসকান কথা বলে না। ফারিশ আবার বলল,
— কি হলো?
মুসকানকে তাও কিছু বলতে না দেখে সে যেই দিকে কাত হয়ে আছে ওইদিকে গিয়ে দাঁড়ায়।
— তোমাকে কিছু বলছিত আমি!
মুসকান ফারিশ এবং ফারিশের কথা দুটোকেই অগ্রাহ্য করে অপর পাশ ঘুরে শুয়। ফারিশের মেজাজ এবার তুঙ্গে !! মুসকান কে টান দিয়ে নিজের দিকে ঘুরিয়ে তার উপর ঝুকে বলে,
— হোয়াই আর ইউ ইগনোরিং মি?
ফারিশের দুই হাত মুসকানের দুই বাহু শক্ত করে চেপে ধরে আছে। তার ছোট ছোট ভেজা চুল থেকে টুপটাপ পানি মুসকানের মুখে পরছে। মুসকান ভীতু চোখে ফারিশের দিকে তাকায়। ব্যাথাতুর কণ্ঠে বলে,
— আমার হাতে লাগছে…
— লাগোক! আমাকে ইগনোর কেন করছো সেটা বলো?
— আমি ইগনোর করলেই কি! আপনারতো পাত্তা দেওয়ার মানুষ আছেই। প্রত্যেক জায়গায় একটা করে অঙ্গনা রেখে দিয়েছেন। সুযোগ পেলেই আপনার অঙ্গনারা এসে আমাকে তাদের রূপের কীর্তন শুনিয়ে যায়। তাদের প্রেমিক পুরুষকে বিয়ে করার অপরাধে পারে না আমাকে খেয়ে ফেলে! মাঝে মাঝে তো মনে হয়….উমমমম***
আর কিছু বলতে পারে না মুসকান। ফারিশ তাঁর ঠোঁট দ্বারা মুসকানের দুই ঠোঁট আটকে ধরে। মুসকান ছোটার জন্য ছটফট করে কিন্তু ফারিশ শক্তি দিয়ে তার দু’হাত চেপে ধরে রাখে। দীর্ঘ সময় চুম্বনের পর মুসকানের লাল হয়ে যাওয়া ঠোঁটটা মুছে দিতে দিতে বলে,
— যাও গিয়ে সাওয়ার নিয়ে আসো।
— আপনি****
— হুসসস, আর একটা কথা বললে সারাদিনের জন্য তোমার ঠোঁটের অবস্থা র’ফাদ’ফা করে দিব। জলদি যাও।
মুসকান ফারিশ কে নিজের উপর থেকে ঠেলা মে’রে সরিয়ে উঠে বসতে বসতে বলল,
–‘ অসভ্য ‘
ফারিশ বাঁকা হাসে ,,
— বলোতো অ’সভ্যতামি শুরু করি।
মুসকান রাগী এক্সপ্রেশন দেখিয়ে কাপড় নিয়ে সাওয়ারে চলে যায়।
শাড়ি পরেছে মুসকান। সরমিলা বেগম অনেকের সাথে মুসকানকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। প্রিয় নাতির বউ বলে কথা। এমনিতে যতই কথা শুনাক না কেন! প্রতিবেশিদের কাছে মুসকানের বেশ প্রশংসা করছেন তিনি। মুসকানও সকলের সাথে মিষ্টি হেসে কথা বলছে সালাম দিচ্ছে। সরমিলা বেগমের মনটা আজ ভিষণ খারাপ। প্রিয় স্বামীর কথা বড্ড মনে পড়ছে আজকে। মন খারাপ তাজমহল, কাইয়ুম, রাসেলেরও। সকলেই তাদের আব্বার স্মৃতিচারণ করছে।
বিকেলের মধ্যেই সকল মানুষদের খাওয়া-দাওয়ার পার্ট চুকে যায়। সন্ধ্যের দিকে ফারিশ এসে নানিজানের মন ভালো করার জন্য একটা প্ল্যান করে। সেই প্ল্যানে সামিল হয়, ফাইজা, মুসকান, শিরিন, লতিফা,কেয়ার ছোট ভাই কিশোর ও তাদের ছোট মামা রাসেল।
সোনিয়া সেই যে গাল ফুলিয়ে ফারিশের রুম থেকে বেরিয়েছে আর ফারিশের সামনে আসার সাহস করেনি। কালকে নানিজানের জন্মদিন। সরমিলা বেগমের বয়স হওয়ায় আর জন্মদিনের আগের দিন স্বামীর মৃত্যু হওয়ায় এইদিনটিতে একেবারেই বিরক্ত সরমিলা বেগম । যুবতী বয়সে স্বামী এইদিনটি খুব আনন্দের সাথে পালন করলেও এখন জন্মদিনের নামই শুনতে পারেন না তিনি। রাসেল একদিন কেক নিয়ে আসায় সরমিলা বেগম মনের মাধুরি মিশিয়ে ছোট ছেলেকে বকেছেন। কিন্তু এবার ফারিশ একটা ডিফরেন্ট সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছে। তার বিশ্বাস তার নানিজান কখনো তার উপর রাগ করবে না।
সরমিলা বেগম কে এটা সেটা বলে অন্য ঘরে ব্যস্ত রেখে সকলে মিলে উনার ঘরটা সাজাচ্ছে। ফারিশ তার নানজান আর নানিজানের যৌবনকালের একটি সাদাকালো ছবি খুব বড়করে বাঁধাই করেছে। নানিজান নামাজ পরে বলে এই ঘরে ছবি রাখা যাবে না। কিন্তু আপাতত রেখেছে। সরমিলা বেগম কে সারপ্রাইজ দেওয়া হয়ে গেলেই সেটা ড্রয়িং রুমে টানিয়ে রাখবে। সরমিলা বেগমের পুরো ঘর কেন্ডেল, বেলুন আর রঙিন কাগজ দিয়ে সাজিয়েছে ওরা। কেক ওর্ডার করেছে বড়সড়। ঠিক বারোটা বাজার তিন মিনিট আগে ফারিশ তার নানিজানের চোখ ঢেকে ঘরে নিয়ে আসে। ছবিটার সামনে দাঁড় করিয়ে চোখ থেকে হাত সরিয়ে সকলেই সারপ্রাইজ বলে চিল্লিয়ে উঠে। এতোবছর বাঁধে স্বামীর আর নিজের হাসোজ্জল ছবি দেখে কেঁদে দেন সরমিলা বেগম। নিজের বৃদ্ধ হাতটি আলগোছে এগিয়ে নিয়ে যান স্বামীর মুখে। পরপর বারোটা বাজার সাথে সাথে সকলে ‘হ্যাপি বার্থডে নানিজান’ বলে চল্লিয়ে উঠে। এতোক্ষণে সরমিলা বেগম পুরো ঘরটাকে খেয়াল করে। পোলাপাইন গুলো উনার ঘর একদম আগের দিনের বাসর ঘরের মতো সাজিয়ে ফেলেছে। রাগতে গিয়েও রাগেননা তিনি। তবে ঠকঠক আওয়াজে বলেন,
–‘ এইগুলাইন কি করছোস? আমারে কি ছোড মানুষ পাইছোস?’
কাইয়ুম এগিয়ে আসেন। মাকে জড়িয়ে ধরে বলেন,
–‘ শুভ জন্মদিন আম্মাজান। ‘
পরপর রাসেল আর তাজমহলও। সরমিলা বেগম হাসেন। ছেলেমেয়েদের নিজের সাথে জড়িয়ে নেন। নাতিপুতি আর সন্তানরা ইতো উনার সব। তাদের জন্য ইতো বেঁচে আছেন।
ফারিশের দিকে তাকান সরমিলা বেগম। চোখ ছোট করে বলেন,
— এইগুলাইন সব তোর কাম না? আমি আগে ওই বুঝবার পারছি।
ফারিশ মাথা চুলকায়।
— বুঝে যখন গিয়েছো কেকটা কেটে নাও তাহলে।
নানিজান ফারিশের কান টেনে দিয়ে হাসেন। কেক কাটার সময় সোনিয়া আর ওর মাকে বাধে সবাইকে পাশে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন,
— বাড়ির ইন্দুর দুইডা কই? ওগুলাইনরেও লইয়া আইয়ো।
তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ১৯
— ওদের আমি ডেকে এসেছি আম্মাজান। এসে পরবে এক্ষুনি। (কেয়া)
বলতে বলতে শারমিন আর সোনিয়া দরজার কাছে হাজির। সরমিলা বেগম এবার হাসি মুখে কেক কাটতে লাগলেন। ফারিশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে তার মা,নানিজান আর মামাদের দেখছে। সকলের মুখেই এখন কি সুন্দর প্রাণখোলা হাসি। একে অন্যকে কেক খায়িয়ে দিচ্ছে।