তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩৮

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩৮
অহনা আক্তার

কান্না করে চোখ, গাল, মুখ সব লাল করে ফেলেছে ফাইজা। ফারিশের ব*কা, ধ*মক, শা*সানো তে এখনো বুকের ভিতর কাঁপছে। সে ভাবতেও পারে নি তার ভাই এতো তাড়াতাড়ি সব জেনে যাবে! রিশাদ কে ভুলে যাওয়ার কথা বলেছে ফারিশ। আর কোনোদিনও যেন তার সাথে যোগাযোগ না করে! কথা না বলে! দেখা না করে! যদি করে তাহলে হাত পা ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবে……..

রিশাদকে ভুলে থাকার কথা চিন্তাও করতে পারে না ফাইজা। ভাবলেই শ্বাসরোধ হয়ে আসে। বু’ক ফাঁ’টা কষ্ট হয়। বাড়িতে রাহিলা ছিলো বলে ফাইজা কে বেশি কিছু বলতে পারেনি ফারিশ। মুসকান ফারিশকে থামাতে সফল না হলেও রাহিলা হয়েছে। ছোট চাচির কথায় ফারিশ নিজের রাগটাকে দমিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। মুসকান জানে ফারিশকে এতো সহজে থামানো যাবে না। বাড়িতে এসে আবার শুরু করবে। তাই সে তার শ্বশুর কে ফোন দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব বাড়ি আসতে বলে। তারা রাস্তায় আছে। আসতে একটু সময় লাগবে বলেছে। রাহিলার সাথে কথা বলে তাজমহল এতো ইমারজেন্সি তলবের কথা জানতে চাইলে রাহিলা যতটুকু জানানো সম্ভব জানিয়ে দিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রুমের দরজা লক করে কাঁদছে ফাইজা। মুসকান ডেকেছে, রাহিলা ডেকেছে কারো কথা শুনে নি। ফাইজার মাথায় এখন শুধু রিশাদ ঘুরছে। সে রিশাদ কে হারিয়ে ফেলার ভয় পাচ্ছে। ভাইয়া কোনোদিনও তাদের সম্পর্ক মেনে নিবে না। বাবাও না। কি করবে সে! নিজেকে পা’গল পা’গল মনে হচ্ছে। একবার ভাবছে রিশাদের সাথে পালিয়ে যাবে। আবার ভাবছে এই কাজ কখনো করা যাবে না। বাবা, ভাইয়া কষ্ট পাবে।
কি করবে সে,,,,,

কপালের দিকের চুল গুলো টেনে খামচে ধরল ফাইজা। বাবা, ভাইয়া, রিশাদ সবাইকে সে সমান ভালোবাসে। কারো জন্য কাউকে ক’ষ্ট দিতে পারবে না। গাঁ থেকে ওড়না ছুঁড়ে চিৎকার করে কাঁদছে ফাইজা। চোখের গাঢ় কাজল চোখের পানির সাথে লেপ্টে চারপাশ ছড়িয়ে গেছে। ফাইজার চিৎকারে আসপাশ ভারী হয়ে গেছে। মুসকান রুমের বাইরে থেকেও শুনতে পাচ্ছে সেই আর্তনাদ। সে ওতো অসহায়। কিছুই করতে পারছে না।
অস্থির হয়ে রিশাদকে ফোন করল ফাইজা। ফাইজার কান্না ভেজা কণ্ঠ শোনে রিশাদ ঘাবড়ে গেল। উত্তেজিত হয়ে বলল, ” কি হয়েছে ”
ফাইজা কান্নার জন্য কথা বলতে পারছে না। হেঁচকি তুলতে তুলতে বাড়িতে আসার পর যা যা ঘটেছে সব বলল। ফাইজার ঠেকে ঠেকে কথা গুলো খুব কষ্টে বুঝলো রিশাদ। অফিস শেষে বাইক নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল সে। ফাইজার মুখ থেকে সব শুনে বাইক ঘুরিয়ে হন্তদন্ত হয়ে মামার বাড়ি ছুটলো।

বাড়ির ড্রয়িং রুমে দাঁড়িয়ে ফাইজাকে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে ডাকছে রিশাদ। মুসকান সামনে আসতেই তাকে দেখে জিজ্ঞেস করল,
— এইই সমস্যা কি তোর হাসবেন্ডের? শুধু শুধু আমাদের মধ্যে ভিলেন হতে কেন চাইছে?
মুসকান ঘাবড়ানো স্বরে বলল,
— তু তুমি এখানে কেন এসেছো রিশাদ ভাইয়া? প্লিজ চলে যাও। উনি তোমাকে দেখলে আরো রেগে যাবেন।
রিশাদ ক্ষেপে বলল,
— ডাক তোর উনাকে। রাগ কি শুধু তোর উনারই আছে আমাদের নেই??
রিশাদের গলা শোনে রুমের দরজা খোলে ছুটে আসলো ফাইজা। কাঁদতে কাঁদতে রিশাদের সামনে দাঁড়াতেই রিশাদ তার গাল দুটো হাতের তালু দিয়ে আগলে ধরল। নরম স্বরে বলল,

— কি অবস্থা করেছো নিজের? এতো কাঁদতে হয়? আমি আছি না? আমি সব ঠিক করে দিব।
রিশাদের নরম স্বরে ফাইজার কান্নার বেগ যেন আরো বেড়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে রিশাদকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তখনই ভাইকে দেখে আঁতকে উঠল। ফারিশ অগ্নি দৃষ্টিতে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। নিজের পেছনে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে ফারিশ কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মুসকানও চমকে গেল। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়। মুসকান মনে মনে খুব করে চাইছিল যেন ফারিশ কিছুতেই এখন বাড়িতে না আসে। কিন্তু এইলোক কখন বাড়িতে এসেছে তারা কেউ টেরই পায়নি। উত্তেজিত হয়ে রিশাদের বাহু টেনে তাকে ফাইজার থেকে দূরে সরালো ফারিশ। গর্জন ছুড়ে বলল,

— আমার বোন থেকে দূরে থাক।
রিশাদ সোজাসাপটা জবাব দিল,
— থাকব না…
ফারিশের রক্ত টগবগ করে উঠল। আঙুল গুলো মুঠ করে রিশাদ কে ঘুষি মা’রতে গেলে ফাইজা রুখে দাঁড়াল। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে হাত জোর করে বলল,
— প্লিজ ভাইয়া…
ফারিশ থেমে গেল। বোনের দিকে তাকিয়ে অবিশ্বাস্য কণ্ঠে বলল,
— আমি ভাবতে পারছি না তুই রিশাদের মতো একটা ছেলের সাথে,,,,,,,
কথার মাঝ পথে থেমে গিয়ে বলল,
” বড্ড বড় হয়ে গেছিস ”
ফাইজা অপরাধীর মতো মাথা নুইয়ে ফেলল। ফারিশ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল,

— তুই যদি একটা গার্মেন্টসের শ্রমিককেও পছন্দ করতি আমি মেনে নিতাম। কিন্তু এই রিশাদকে কখনোই না?
— কেন আমাকে মেনে নিতে এতো কিসের প্রবলেম তোর? (রিশাদ)
— সেটা তুই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখ?
— আমি নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছি। কোনো উত্তর পাইনি। গার্মেন্টসের শ্রমিক নিয়ে প্রবলেম তো? ঠিক আছে আমি কালই একটা গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে জয়েন করবো। তোর বোনের জন্য সব করতে পারি। তবুও আমায় মেনে নে।
ফাইজাকে সরিয়ে রিশাদের বুকের শার্ট চেপে ধরল ফারিশ,,

— মজা নিচ্ছিস আমার সাথে?
মুসকান আর ফাইজা ভয়ে জমে গেছে। এক ঝড়ের পর আরেক ঝড়। কিভাবে থামবে !! তখনই দপদপ পা ফেলে দরজা দিয়ে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করে জহির আর তাজমহল। জহির আগে ছেলের হাত থেকে রিশাদের শার্ট ছোটায়। উৎকণ্ঠা নিয়ে বলে,
— অন্যের ছেলের গায়ে হাত তুলে কোনো লাভ হবে না। মাথা ঠান্ডা করো। দো’ষ আমাদের। আমরা আমাদের মেয়েকে ঠিক রাখতে পারিনি বিধায় ওহ এমন করেছে।
ফাইজা নিষ্প্রাণ স্বরে ডাকল,

— ‘ বাবা ‘
–‘ চুপপপপ ‘ মেয়ের দিকে কটমট চোখে তাকিয়ে তাকে ধমক দিল জহির। ফাইজা দুই হাতে মুখ চেপে কান্না আটকাচ্ছে। মনে হচ্ছে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। বুক ফেটে চিৎকার আসছে।
রিশাদ মলিন কণ্ঠে বলল,
— ওর কোনো দোষ নেই মামু।
এবার রিশাদের দিকে কঠিন দৃষ্টি তাক করল জহির। অত্যন্ত ভদ্র আর স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,
— চলে যাও এখান থেকে। আমার মেয়ের আশেপাশে এই বাড়ির আসেপাশেও যেন তোমায় আর না দেখি।
হঠাৎই রিশাদের বুক জ্বলে উঠল। সে ধপ করে জহিরের এক হাত নিজের দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে মিনতি ভরা কণ্ঠে বলল,

— কেন এমন করছেন মামু? বিশ্বাস করেন আর কখনো কোনো খারাপ কাজ করবো না। আপনার মেয়েকে আগলে রাখবো। কলিজায় ভরে রাখবো। আপনাদের মতোই ভালোবাসা দিব। আমাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখেন।
জাহির ফট করে নিজের হাত সরিয়ে নিল। রিশাদের দৃষ্টি ঘোলা হয়ে গেল। ফাইজা ঠোঁট কা’মড়ে নিজের কান্না আটকাচ্ছে। ফারিশ ভরাট স্বরে বলল,
— এসব ফিল্মি কথা বলে কোনো লাভ হবে না। তোর বাপ একটা প’শু। তুই আরেকটা প’শু। আমি জেনে বুঝে আমার বোনকে তোদের মতো কোনো প’শুদের ভিড়ে পাঠাবো না।
এবার রিশাদেরও রাগ উঠে গেল। ক্ষেপে গিয়ে বলল,

— আমাদের মতো প’শুদের ভিড়ে তোর ফুপিমণির মতো ভালো মানুষও আছে সেটা ভুলে যাস না?
— না ভুলে যাইনি। আমার ফুপিমণির সাথে তোরা কি কি করেছিস সেটাও ভুলে যাই নি। তাই ভালোয় ভালোয় বলছি চলে যা। তোর গায়ে আ*ঘাত করলে ফুপিমণি ক’ষ্ট পাবে যেটা আমি করতে চাইছি না।
— কর আ’ঘাত তোকে না করেছে কে? আ’ঘাত করতে করতে শরীরের সব র*ক্ত ঝরিয়ে ফেল তবু্ও তোর বোনকে আমায় দে।
— আমি আমার বোনকে কখনোই তোর কাছে দিব না।
— তাহলে আমাকে রেখে দে….
এবার ফারিশ সত্যি সত্যি রিশাদকে আ*ঘাত করে বসল। দ্বিতীয় বার আ’ঘাত করতে গেলে তাজমহল ছেলেকে সামলালো। জহির রাগান্বিত স্বরে বলল,
— এই ছেলে তোমাকে ভালোভাবে বলছি বুঝতে কেন চাইছো না! কি চাইছো তুমি?
— আপনার মেয়েকে চাইছি মামু।

জহির ফাইজার দিকে তাকায়। ফাইজা কান্না করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। জহির শান্ত স্বরে বলে,
— ঠিক আছে। আমার মেয়ে যদি আমাদের ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করে, আমাদের ছোট করে, আমাদের কথা অমান্য করে তোমার সাথে চলে যেতে চায় তাহলে তুমি নিয়ে যাও।
তাজমহল মুখ খুললেন,
— কি বলছেন এসব?
জহির হাতের ইশারায় স্ত্রী কে থামিয়ে দিলেন। ফাইজার দিকে তাকিয়ে বললেন,
— কি তুই যাবি ওর সাথে?
ফাইজা ছলছল চোখে বাবার দিকে তাকালো। অসহায় কণ্ঠে বলল,
— আমি তোমাদের ভালোবাসি বাবা। তোমাদের কখনো অবজ্ঞা করতে পারবো না।
জহির পুনরায় রিশাদের দিকে তাকিয়ে ম্লান হেসে বলল,

— শুনলে তো?
রিশাদ তাচ্ছিল্য সুরে বলল,
— গলায় ছু*রি চালিয়ে বলছেন তুই কিন্তু ম’রবি না ! এটা আদৌও সম্ভব?
— আমি এতোকিছু বুঝি না। আমার মেয়ে যদি আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমার সাথে চলে যেতে চায় তুমি নিয়ে যেতে পারো।
রিশাদ তেঁতে উঠে বলল,
— এটা ঠিক হচ্ছে না। আপনি ভালো করেই জানেন ফাইজা এমনটা কখনোই করবে না?
জহির হেসে বলেন,
— তো! বুঝলেই তো আমি আমার মেয়েকে সামলাতে পারবো। তুমিও নিজেকে সামলে বাড়ি ফিরে যাও। এতোটুকু বলে ফাইজার হাত ধরে টেনে নিয়ে ঘরে চলে গেলেন জহির। ফারিশও চলে গেল। থাকলো শুধু মুসকান, তাজমহল আর রিশাদ। রাহিলাও দূর থেকে দাঁড়িয়ে সবকিছুই দেখল। কিন্তু অতিথি হয়ে এসে ওদের ঘরের ব্যপারে নিজেকে ঢুকালো না।
রিশাদ হাসার ব্যর্থ চেষ্টা করে বলল,
— আমাকে প*শু বলছে। আরে প*শুদেরও হৃদয় আছে। ওদের তো সেটাও নেই। চোখ বেয়ে একফোঁটা জল ফ্লোরে পড়ল রিশাদের। সেটা দেখে মুসকানের খুব খারাপ লাগল। তাজমহলও মায়া ভরা চোখে রিশাদের দিকে তাকালো। কিছু বলার জন্য উদ্ভূত হতেই রিশাদ তাদের অগ্রাহ্য করে চলে গেল।

ঘরে এসে মুসকান রাগ দেখিয়ে প্রতিটি কাজ করতে লাগল। ফারিশের দিকে ভুলেও তাকাচ্ছে না। ফারিশও মুসকানকে পরোয়া করল না। টাওয়াল নিয়ে সরাসরি সুইমিং পুলে চলে গেল। মুসকান সেইদিকে তাকিয়ে বিড়বিড়িয়ে বকতে লাগল, ‘অ’সভ্য, নি’র্দয়, পা’শান লোক। বড় ভাই গিরি দেখাচ্ছে। বোনকে এতো ভালোবেসে থাকলে বোন কিসে সুখী হবে সেটা কেন দেখছে না!’
ওয়ালেট রাখতে এসে মুসকানের বিড়বিড়ানো প্রতিটি কথাই শুনেছে ফারিশ। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওয়ালেট হাতে নিয়েই আবার চলে গেলো। বোনকে ভালোবাসে বলেই মোকলেস শেখের মতো এমন একটা লোকের বাড়িতে নিজের বোনকে পাঠাতে চাইছে না সে। যে লোক টাকার জন্য নিজের মেয়ের ক্ষতি করতে চায় সেই লোক তার বোনের কি না করতে পারবে !! সেই লোকের ছেলেও বা কেমন হবে !! যে যাই বলুক সে কখনো এই সম্পর্ক মেনে নিবে না।

মাঝরাতে পেটের ব্যথায় আর্তনাদ করে ঘুম থেকে উঠে বসল মুসকান। ফারিশ পাশেই শুয়া ছিল। তার চোখে ঘুম নেই। শুয়ে শুয়ে আজকের হয়ে যাওয়া ঘটনা নিয়েই চিন্তা করছিল। মুসকানের আর্তনাদে সেও ধড়ফড় করে উঠে বসল। উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করল,
— কি হ’য়েছে? পে’টে পেইন হচ্ছে?
মুসকান পাত্তা দিল না ফারিশের কথা। নিজের পে’টের দিকে তাকিয়ে বাচ্চাদের উদ্দেশ্য করে বকতে শুরু করল,
— সমস্যা কি তোদের? আমার পে’টটা কে কি ফুটবল মাঠ পেয়েছিস? যে দুটো মিলে একসাথে লা*থি মা’রা শুরু করেছিস? ব্যথা লাগে না আমার! পাপার মতো মানুষ কে কষ্ট দিতে ভালো লাগে খুব তাই না? তোরা বাচ্চা মানুষ পে*টে থাকবি খাবি, দাবি, ঘুমাবি। তোরা কেন এতো নড়াচড়া করবি? শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারিনা তোদের জ্বালায়। সবকটা মিলে আমার জীবনটাকে একদম তেজপাতা বানিয়ে দিচ্ছিস।
ফারিশ হতভম্ব হয়ে কেবল শুনে গেল মুসকানের কথাগুলো। তার এখন কেমন রিয়াকশন দেওয়া উচিৎ সে বুঝতে পারছে না। আজ সন্ধ্যা থেকেই মুসকান ঠিকমতো কথা বলছে না তার সাথে। যেটুকু বলছে হয় খোঁচা মেরে নয়তো খিট খিটিয়ে।
পে’টের ব্যথায় ফুপিয়ে কাঁদছে মুসকান। ফারিশ আদুরে ভাবে মুসকানকে টেনে বুকে জড়াতে চাইলে মুসকান ঠেলা মেরে সরিয়ে দিলো,

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩৭

— ছোঁবেন না আমায়।
ফারিশ শুনলো না। জোর করে মুসকান কে টেনে তার মাথাটা নিজের বুকে আগলে ধরল। মাথায় চুমু দিয়ে বলল,
— কাঁদে না। কাল দিন বাদেই বাচ্চারা তোমার কোলে থাকবে। তখন আর ক’ষ্ট হবে না।
মুসকান জোর করে ফারিশের বুক থেকে ছোটার চেষ্টা করল। জিদ দেখিয়ে বলল,
— ছাঁড়ুন আমায়।
ফারিশ ছাঁড়ল না। আস্তে করে ফিসফিসিয়ে বলল,
— হুসসসস, বি কুল….

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩৯