তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ২

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ২
Raiha Zubair Ripti

পশ্চিমা আকাশে সূর্য ঢলে পড়েছে অনেক আগেই। জানার ধারে থাকা টেবিল টায় বসে আছে আরু। চারিদিকে আঁধার নেমে এসেছে। বাড়ির পেছনে থাকা জঙ্গল থেকে ঝিঁঝি পোকার ডাক ভেসে আসছে। রুমে কয়েল না ধরানো তে মশাও কামড়াচ্ছে। একটু পর পর পা নাড়িয়ে মশা তাড়াচ্ছে তো কখনও বই দিয়ে পায়ে বাতাস করছে। পড়াশোনায় মন বসছে না। এমনিতেই তো বসে না.এখন তো আরেক টেনশন মাথায় বিয়ে নিয়ে। কাল ভার্সিটি গিয়েই একটা বয়ফ্রেন্ড জুটাতে হবে। কপাল ও এমন দূর্ভাগা আরুর একটা প্রেমও দুই দিনের বেশি টিকে না। এবার একটা প্রেম ঠিক করে সেদিনই ঐ ছেলেকে বাবার সামনে এনে হাজির করে বলবে –

-“ বাবা আমরা একে ওপর কে ভালোবাসি। আমি ওকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। প্লিজ বাবা তোমার কাছে নিশ্চয়ই তোমার মেয়ের সুখ টাই সবার উপরে।
নিশ্চয়ই তার বাবা তখন আর আরাধ্যর সাথে তার বিয়ে নিয়ে ভাববে না। রাজি হয়ে বলবে-
-“ আমার মেয়ের সুখই আমার সুখ।
কথাটা মনে মনে ভেবেই খুশিতে হেঁসে উঠলো আরু। এদিকে বাহিরে গাড়ির হর্নের আওয়াজ শুনে আরু বুঝলো তার বাবা এসেছে। একটু পর নিশ্চয়ই তাকে খেতে ডাকবে। আর আরু যাবে না। ঢং দেখিয়ে বলবে খিদে নেই। তখন তার বাবা তার মা কে জিজ্ঞেস করবে ও খেতে আসলো না কেনো। তখন তার মা বলবে আরু বিয়েতে রাজি নয় সেজন্য অনশন করছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কথাটা ভাবতেই আরেক দফা হেঁসে নিলো আরু৷ ভাবনার মতই কিছুক্ষণ পর আরুকে ডাকতে আসলো তার মা। আরু ও এটিটিউড দেখিয়ে বলল খাবে না। অনশন করবে। ব্যস চলে গেলো তার মা। আরু দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কান পাতলো তার বাবা জিজ্ঞেস করে কি না।
তার বাবা জিজ্ঞেস করলো ঠিকই কিন্তু তার মা আরুর ভাবনার মতন কিছুই বললো না। উল্টো বলল— পেট ভরা হয়তো সেজন্য খাবে না।
মূহুর্তে আরুর এক তৃতীয়াংশ কল্পনা ভেস্তে গেলো। রেগে রুমে এসে টেবিলে বসলো। একটু পর আরুর ভাই আয়ুশ ঢেকুর তুলতে তুলতে রুমে আসলো। হাতে তার ফোন। বিছানায় শুয়ে আয়ুশ তার পাত্তা না পাওয়া শখের নারী ওরফে আরশি কে ফোন করলো। আয়ুশের থেকে আড়াই বছরের ছোট আরশি আরাধ্যর বোন। আরশি অবশ্য আয়ুশ কে পাত্তা দেয় না। এ নিয়ে বেচারা আয়ুশ মাঝেমধ্যে ডিপ্রেশনে চলে যায়। মাঝেমধ্যে আরশির ছবির দিকে তাকিয়ে প্রেমিকের ন্যায় ছলছল নয়নে বলে-

-“কি করলে তোমার মন জয় করতে পারবো, বলো প্রিয়তমা? আমি তোমার জন্য সব করতে পারি। তুমি যদি আকাশের চাঁদ চাও, আমি আকাশে উড়ে গিয়ে চাঁদ এনে দেব। যদি সূর্য চাও, তাও ধরে আনব। শুধু বলো একবার বলো ভালোবাসো আমায়। তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শোনার অপেক্ষায় আমার মরণ সন্নিকটে এসে গেছে। আমি তোমার মুখে ভালোবাসি শব্দ টা শুনেই মরন কে বরণ করতে চাই।
আরু হা হয়ে শুনতো আয়ুশের কথা। সিনেমাটিক ডায়লগ শিখে মোবাইল থেকে। ফোনের গ্যালারি টা ভরা আরশির ছবি আর ভালোবাসা উক্তি দিয়ে। বয়স কত হবে এই ছেলের? ১২ বছর বয়স। আর এখনই প্রেম পিরিত নিয়ে কান্না কাটি করে।
আরু দেখতে লাগলো আয়ুশের কাণ্ড। আয়ুশ বিছানায় আয়েশ করে পায়ের উপর পা তুলে আধশোয়া হয়ে ফোন করলো। আরাশির ফোন নেই যার জন্য ফোনটা আয়ুশ আরাধ্য কে করে। ওপাশ থেকে বোধহয় ফোন রিসিভ হলো। আয়ুশ উৎফুল্ল হয়ে বলল-

-“ হেই ব্রো হয়ার ইজ ইউর প্রিটি সিস্টার৷ প্লিজ ইউ টেক হার ইউর ফোন। আই কথা উইথ ইউর সিস্টার।
আরুর পেট ফেটে হাসি বেড়িয়ে আসতে চাইলো ভাইয়ের উল্টাপাল্টা ইংলিশ কথা শুনে। তবে মুখ চেপে আঁটকে রাখলো। লাউড স্পিকার দেওয়া ফোনটা৷ ফোনের ওপাশ থেকে আরাধ্যর হাসির শব্দ শোনা গেলো। আয়ুশ আরাধ্য কে হাসতে দেখে বলল-
-“ হয়াই ইউ আর হাসি ব্রো? প্লিজ টেক ফোন ইউর সিস্টার। আই কথা ভেরি ইম্পরট্যান্ট উইথ আরাধ্যা।
আরাধ্য কোনোরকমে হাসি চেপে বলল-
-“ ওটা টেক হবে না বলদ। ওটা গিভ হবে। আর আরাশি বিজি এখন কথা বলবে না।
-” বিজি! হোয়াট! হোয়াই বিজি ইউর বোন? হোয়াট ডু ইউর বোন?
-“ এ তুই বাংলায় কথা বল শা’লা। তোর ইংলিশ আমি বুঝি না। ঐ তোর বোন কইরে?
-“ ইনফ্রন্ট মাই।
-“ তোর সামনে?
আরু নড়েচড়ে বসলো।

-“ হু।
-“ তোর বোনকে বল তোর ভাষা ট্রান্সলেট করে দিতে।
-“ মাই সিস্টার ইজ স্টাডিং। হার হ্যান্ডস নো টাইম মাই ল্যাঙ্গুয়েস ট্রান্সলেট ইউ।
-“ তোর বোন পড়তেছে! সিরিয়াসলি!
-“ হ্যাঁ। তুমি তোমার বোন কে ফোনটা দাও ব্রো।
-“ তুই আগে তোর বোন কে ফোনটা দে।
-“ ফোন দিয়েছি আমি তোমাকে বিকজ আই টকিং টু আরশি। আর তুমি টকিং করতে চাচ্ছো মাই সিস্টারের সাথে! আপু নট টকিং টু ইউ। সি ইশারায় সেইড মি।
-“ ভিডিও কল দে।
আয়ুশ ফোন কেটে আয়না নিজেকে দেখে চুলটা ঠিক করলো। টেবিল থেকে পাউডার নিয়ে মুখে লাগালো। আরাধ্য ভাই তাকে নিশ্চয়ই আরশি কে দেখাবে। বিছানায় বাবু হয়ে বসে ভিডিও কল দিলো। ওপাশ থেকে আরাধ্য ফোন রিসিভ করলো। মূহুর্তে সামনে ভেসে উঠলো আরশি তার পাশে বাসার সিদ্দিকের সাথে হেঁসে হেসে কথা বলছে। আয়ুশের হাত চলে গেলো বুকে৷ চোখ মুখ কুঁচকে আসলো। বুকে হাত ঘষতে দেখে আরাধ্য জিজ্ঞেস করলো-

-“ কিরে তোর আবার কি হলো?
-“ ব্রো আমার বুঝি হার্ট অ্যাটাক হবে। ইউর সিস্টার হোয়াই সিদ্দিকের সাথে? আমার বুকের ভেতর তোলপাড় হচ্ছে । কি স্যাড ব্যথা।
-“ এজন্যই বলেছিলাম ও বিজি। আসল ভালোবাসা এই দুনিয়া বুঝে না রে আয়ুশ।
-“ ব্রো আমার কান্না পাচ্ছে। আই কান্না নাউ। প্লিজ ইউ কাট ফোন। আই কান্ট সি ইজ দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখার আগে হোয়াই আই মরন হলো না।
-“ বিশ্বাস কর তর আগে আমার মরন হবে তোর এই ভুলভাল জাপানিজ ইংলিশ শুনে। প্লিজ এই ভুলভাল ইংরেজি বলিস না তোর বোনের মতো। তোর এই ভুল ভাল ইংলিশের জন্যই আরশি তোকে এক্সেপ্ট করবে না দেখিস।
আরু তেতে উঠলো। এতক্ষণ আয়ুশ কে বলেছে চুপ ছিলো কিন্তু তাকে নিয়ে কেনো কথা বলবে? সে কি ভুলভাল ইংলিশ বলে হু? সে ঠিকই ইংলিশ বলে আরাধ্য বুঝতে পারে না। সমস্যা আরাধ্যর আরুর নয়। আরু ছুটে এসে আয়ুশের থেকে ফোন টা কেড়ে নিলো। রাগে কপাল কুঁচকে আছে।

-“ হাউ ডেয়ার ইউ মিস্টার আরাধ্য আহমেদ? হোয়াই ইউ ডিসকাসড এবাউট মাই ইংলিশ হু?
আরাধ্য গা ছাড়া ভাব নিয়ে হাই তুলতে তুলতে বলল-
-“ পুরান রেডিও যেতে না যেতেই নতুন রেডিও আবার আমদানি হলো।
-“ হোয়াই ইউ কল মি রেডিও? ইউ লাইক অ্যা ভাঙা রেডিও।
-“ এ্যাই থামা তো তোর ইংলিশ। তোর বাপের টাকা তো কম না। বলতে পারিস না ইংলিশ শেখার একটা কোর্সে ভর্তি করায় দিতে তোদের? ছিঃ ইংলিশ ভাষা টার ধ’র্ষণ করে দিচ্ছিস তোরা দুই ভাই বোন মিলে।
-” ইউ কাটিং ফোন..উপ্স সরি ফোন রাখেন আপনি। এই আয়ুশ কে আপনিই উসকিয়ে দেন তাই না? এই টুকু ছেলের প্রেম ভালোবাসা তো বোঝার কথা না।
আরাধ্য মুখ বাকিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলল-

-“ তোর ভাইয়ের বয়স তো তাও ভালো ১২। তোর বয়স কত ছিলো? সবে ছয় কি সাত। তখনই আমাকে যেতে ধরে ধরে ধ’র্ষণ করে দিতে চাচ্ছিলি৷ ভাগ্যিস আমি চালাক মানুষ সেজন্য বেঁচে ফিরেছি আমার সম্মান নিয়ে। তা না হলে সেদিনই খবরের কাগজে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা হত — আরাধ্য আহমেদ তার ছোট কাজিন আরুর হাতে ধ’র্ষণের শিকার হয়ে ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরকালে চলে গেছে।
আরু রাগ তড়তড় করে বেড়ে উঠলো। একটা মেয়ে কখনও একটা ছেলেকে ধ’র্ষণ করতে পারে?
-“ আপনি কিন্তু বেশি বেশি বলছেন আরাধ্য ভাই।
-“ এই কে তোর ভাই?
ধমকে বলল আরাধ্য।

-“ আশ্রয় আপনি আমার চাচার ছেলে তো ভাই ডাকবো না?
-“ না ভাই ডাকবি না। আমাকে আরাধ্য জান্স,ডার্লিং বেবস বলে ডাকবি।
-“ ছিঃ দিনকে দিন আপনার ভাষার এ কি হাল হচ্ছে?
-“ বেটার দ্যান তোদের দুই ভাই বোনের ইংলিশের থেকে।
আরু ফোন কেটে দিলো। আয়ুশ কে ফোন দেওয়ার জন্য পেছন ফিরতেই দেখে আয়ুশ মাথায় হাত দিয়ে দুঃখী হয়ে বসে আছে। আরু ফোনটা পাশে রেখে বলল-
-“ আবার কি হলো তোর?
আয়ুশ মাথা উঁচু করলো।
-“ আপুরে ঐ সিদ্দিক হালার পুত আরশিরে আমার থেকে কেঁড়ে নিবে। আমার অক্সিজেন আরশি। আরশি কে ছাড়া আমি বাঁচবো না। একটু ওয়াশরুম থেকে পানি এনে দিবে?
-“ কেনো পানি দিয়ে কি হবে?
-“ মাথায় ঢালবো। আমার মাথা টগবগিয়ে গরম হচ্ছে । আই নিড ওয়াটার।
-“ যা ওয়াশরুমে গিয়ে চুবানি দিয়ে আয় ব্রেনলেস মাথাটাকে। তোর কি এসবের বয়স? তুই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা টা কর।

-“ পানি এনে দিবি না ভালো কথা। আমার ভালোবাসা নিয়ে ফালতু কথা বলবি না৷ তুই ভালোবাসার কি বুঝিস? কাউকে ভালোবেসে দেখিস৷ বুঝবি তখন।
-“ আমার হাতে চড় খাওয়ার আগে চুপচাপ মশারী টানাইয়া ঘুমা।
-“ পারমু না। তুই টানা।
-“ লাত্থি দিয়ে আমার রুম থেকে বের করে দিমু না টানাইলে। তখন একা তর রুমে গিয়ে ঘুমাইতে হবে। আর রাত হলে ডা’ইনি এসে তরে ধরে নিয়ে যাবে।
আয়ুশ ফটাফট মশারী টানিয়ে দিলো। একা ঘুমাতে ভয় পায় আয়ুশ সেজন্য আরুর সাথে ঘুমায়। এই আরুই নিজের কার্যসিদ্ধি হাসিল করার জন্য ভুংচুং ডা’ইনির গল্প আয়ুশ কে শুনিয়েছে। বলেছে এরা ধরে নিয়ে যায়।
আয়ুশ এক বুক ব্যথা নিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। আরু আর কিছুক্ষণ পড়ার টেবিলে বসে আকাশকুসুম কিছু ভেবে রুমের লাইট নিভিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো।

রাত তখন বাজে বারো টা কি একটা। হঠাৎ ভাঙা কান্নার আওয়াজ শুনে আরুর ঘুম ভেঙে যায়। কোনোরকমে চোখ খুলে পাশে তাকাতেই দেখলো আয়ুশ ফোন হাতে নিয়ে আছে৷ স্কিনে জ্বলজ্বল করছে আরাধ্যার ছবি। সেই ছবিতে হাত বুলিয়ে আয়ুশ ভাঙা গলায় কেঁদে কেঁদে বলছে-
-“ তুমি কেনো এত নিষ্ঠুর প্রিয়তমা। তোমার কান অব্দি কি পৌঁছায় না এই প্রেমিকের আর্তনাদ? আমার দু-চোখে ঘুম নেই কিন্তু তুমি কি আনন্দে ঘুমাচ্ছ আমার ঘুম কেড়ে নিয়ে। এত পাষাণ হৃদয় কেনো তোমার? আমার এই কষ্টের দায় কি তুমি নিবে?
আরু পাশ থেকে বালিশ টা নিয়ে রেগে আয়ুশের মাথায় বাড়ি মা’রতে মা’রতে বলল-
-“ হা’রামজাদা তোর এই কচুর আর্তনাদের জন্য যে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমার সাধের ঘুমটা যে ভেঙে দিলি তারজন্য তরে এহন ঝা’টা দিয়ে পিটানো উচিত। এ্যাই বিছানার ঝা’ড়ু টা কইরে৷ ফোনের লাইট জ্বালা। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।
আর তখনই বাহির থেকে দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ শোনা গেলো৷ আরুর বাবা দরজা ধাক্কাচ্ছে। রাত আরুর রুমের সামনে দিয়েই যাচ্ছিলো। হঠাৎ রুমের ভেতর থেকে আরুর গলার আওয়াজ শুনে দরজা ধাক্কালো। আরএর হাতের স্পর্শে আসা ঝাড়ু টা আর না নিয়ে আয়ুশ কে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার উপর কম্বল দিয়ে ফিসফিস করে বলল- তুই যদি আর একবার নাটক করছ এই রাইতে। সত্যি বলতাছি বেলকনি থিকা তরে আমি লাত্থি দিয়ে ফালায় দিব।
তারপর সোজা হয়ে নিজেও শুয়ে বলল-

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ১

-“ কিছু বলবা আব্বু?
-“ আওয়াজ শুনলাম তোদের। আবার মারামারি করতেছিস না তো দু’জন?
-“ না আব্বু। আয়ুশ ফোন টিপতেছিলো। তাই ধমক দিয়ে বললাম ফোন রেখে ঘুমাতে।
রাতের কপাল কুঁচকে আসলো চিন্তায়। ছেলেটাকে নিয়ে কি যে করবে। স্কুল থেকে এসেই ফোন নিয়ে পরে থাকে। ছেলেমেয়ে দুটোকে আর পড়াশোনায় ভালো বানাতে পারলো না৷ তাদের ফ্যামিলিতে এরা দুইজনই প্রথম সন্তান যারা পড়াশোনায় এতো দূর্বল। এদিকে তার আষাঢ় ভাইয়ের দুই সন্তান মাশা-আল্লাহ পড়াশোনা তে সব সময় টপ। আচার-আচরণ ও বেশ মার্জিত। আফসোস তার নিজের ছেলেমেয়ে দুটোকে নিয়ে রোজ।

তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৩