তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৩
Raiha Zubair Ripti
সকালের নাস্তার টেবিলে চলছে পিনপিনে নীরবতা। সামনেই মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছে আয়ুশ। পড়নে তার স্কুল ইউনিফর্ম। গত পরশু সেকেন্ড সেমিস্টারে রেজাল্ট দিয়েছে অথচ আয়ুশ বাসার কাউকে জানায় নি। জানাবে কি করে চার সাবজেক্টে ফেল করে এসেছে। ইংলিশ, বাংলা,ম্যাথ আর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় সাবজেক্টে। রাত রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে আছে আয়ুশের দিকে। ইংলিশ, ম্যাথে না হয় ফেল করলে মেনে নিত কিন্তু কে বাংলা সাবজেক্ট আর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় সাবজেক্টে ফেল করে?
রাত দাঁত কিড়মিড় করতে করতে জিজ্ঞেস করলো-
-“ এত গুলো সাবজেক্টে তোর ফেল করার কারন কি? তোকে প্রাইভেট তো কম পড়াই না। তাহলে ফেল কেনো করলি?
আয়ুশ মাথা নত রেখেই বলল-
-“ পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না বাবা। বইয়ের ভাষা অনেক কঠিন। ইংলিশ আমি যা পারি সেভাবে লিখলে মার্ক দেয় না টিচার সেটা কি আমার দোষ বলো? আর ম্যাথের কি সব হাবিজাবি সূত্র। কখনও বীজগণিত কখনও দাঁতের পাটিগণিত তো কখনও আঁকা উকি জ্যামিতি। এই ছোট্ট মাথায় কি এসব ঢুকা সম্ভব? আমার মাথা দরকার তোমার,ব্রো’র, আরশির,চাচ্চুর মাথা কে একত্রে এক মাথায় ট্রান্সলেট করে আমার মাথা ফেলে দিয়ে লাগানো। তাহলে প্রতি মাথা প্রতি সাবজেক্ট কে নিয়ে ভাববে।
আরু জুশ খাচ্ছিলো। আয়ুশের লাস্টের কথা গুলো শুনে মুখ ফস্কে জুশ পড়ে যায় হাসির ঠেলায়। রাত রাগী চোখে তাকায়। আরু ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে মিনমিনিয়ে সরি বলে।
রাত ফের জিজ্ঞেস করলো-
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-“ তা বাংলা আর সমাজে ফেল করলি কেনো? এখন আবার বলিস না তুই বাংলা বলতে পারিস না।
-“ না আব্বু আমি তো বাংলা বলতে পারি কিন্তু সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর তো আর আমি বানিয়ে লিখতে পারি না। আমি যদি সৃজনশীলতা সম্পূর্ণ মানুষ হতাম তাহলে কি আর স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতাম? আমি তো মহাকাশে গিয়ে চাকরি করতাম।
রাতের আর ধৈর্য কুলালো না।
-“ সমাজ কি দোষ করলো?
-“ তুমি সেদিন ডালিম কাক্কুর লাইভ দেখো নি? সমাজ বইয়ে তো সব ইতিহাস ভুল দেওয়া। আমি কেনো যেচে ভুল শিখবো বলো? সেজন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর ই আর লিখি নি। বইয়ে মানুষ কখনও মিথ্যা লিখে তুমিই বলো? বইয়ে লেখা কখনও মিথ্যা বলো না। অন্যকেও শিখিও না। অথচ বই নিজেই এতদিন ধরে আমাদের মিথ্যা শিখাচ্ছে।
রাত এবার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। আয়ুশের কাছে এসে কান টেনে ধরতেই কনা আয়ুশ কে ছাড়িয়ে বলল-
-” আরে কি করছেন। ঠিকই তো বলেছে আমার ছেলে৷ ভুল জিনিস কেনো পড়বে আর কেনো লিখবে?
রাত তপ্ত শ্বাস ফেললো। ছেলেমেয়ে দুটো উচ্ছনে গেছে একমাত্র কনার জন্য। রাতকে শাসন করতে দিবে না আবার নিজেও করবে না। আবার মাঝেমধ্যে ছেলেমেয়ে কনার কথা না শুনলে। রাত তখন চুপ থাকলে কনা বলে উঠবে— শাসন করতে পারেন না ছেলে মেয়েকে? কেমন বেয়াদব তৈরি হচ্ছে।
-” তুমি আমি সহ ১৬ কোটি মানুষ এই ভুল ইতিহাসই পড়ে এসেছি কনা ভুলে যেও না সেটা।
-“ তখন তো দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলো শেখ হাসিনা। আর শিক্ষক রাও বইয়ের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে কি মার্ক দিত? এখন তো আর হাসু আপা নেই। তাই এখন তাদের বইয়ের মতো লিখলে তো আমার ছেলেকে সৈরাচার বলে বসবে দেশবাসী।
-“ তোমার ছেলে তো খালি খাতা জমা দিয়ে এসেছে। কিছু লিখে সৈরাচারের খাতায় নাম দিলে তবুও তো বলতে পারতাম কিছুতো লিখেছে।
-“ এবার না হয় পাশ করে নি। পরের বার ঠিকই পাশ করবে। কোন কবি যেনো বলেছেন একবার না পারিলে দেখো শতবার।
-“ দেশদ্রোহী বানাচ্ছ ছেলেকে এভাবে।
-” সৈরাচারের নাম থেকে ভীষণ স্ট্যান্ডার্ড নাম দেশদ্রোহী।
রাত তপ্ত শ্বাস ফেলে চলে গেলো। কনার সাথে কথায় পেরে উঠবে না।
কনা ছেলেকে নিজ হাতে দুধ ডিম খাইয়ে স্কুলে পাঠালো আরুর সাথে। আরুর ভার্সিটি যাবার পথে আয়ুশের স্কুল। প্রতিদিন স্কুলে দিয়ে তারপর ভার্সিটিতে যায়।
ভার্সিটি স্কুল বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয়। প্রায় সময় গাড়ি থাকা স্বত্তেও হেঁটে যায়। স্কুলে যাওয়া কিছুটা আগে আবার আরাধ্য দের বাসা। আয়ুশ হেঁটে যায় যদি সে আরশি কে এক নজর দেখতে পায় সেজন্য। এমনিতেই তো পাত্তা দেয় না এখন আরো দিবে না এত সাবজেক্টে ফেল করায়। কিন্তু কি করার আয়ুশ তো আর আরশির মতন ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট না৷ মাঝেমধ্যে ব্রিলিয়ান্ট কে আয়ুশ ভুলে বিলিপয়েন্ট বলে উচ্চারণ করে। ব্রিলিয়ান্ট নাম টা নাকি মনে থাকে না। তাহলে ভাবুন এই ছেলে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করবে?
আরাধ্য দের বাসা ক্রশ করলো আয়ুশ আর আরু। আয়ুশ তাকিয়ে ছিলো বাসার দিকে। কিন্তু আরশির দেখা মিলে নি। মনের ভেতরটা খালি খালি করতে লাগলো৷ ভালোবাসায় এত কষ্ট কেনো পেতে হয় খোদা? কথাটা মনে মনে বলল আয়ুশ। কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই হঠাৎ পেছন থেকে আরাধ্য ব্রো’এর গলার আওয়াজ শুনতে পেলো আয়ুশ। আরাধ্য ব্রো গান গাইছে—
— চুমকি চলেছে রাস্তা দিয়ে।
সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে।
আরু দাঁড়া বলছি৷ আমি দৌড় দিছি।
তর সাথে আমার অনেক কথা আছে…
আরাধ্য দৌড়ে আরুর পাশে এসে দাঁড়ালো। আরু ঘাড় বেঁকিয়ে তাকালো। সাদা শার্ট.. গলায় একটা ভি এর মতো পাইপ আরু ভাষ্যমতে । যেটার নাম আরু জানে না। কয়েকবার বলেছে আরাধঢ় এটার নাম তবে গাধা আরু অল্প বয়সে ভুলে যায়।
আরাধ্য মেডিকেলে পড়ছে। আষাঢ়ের মতই হার্ট সার্জন হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়ে। যেদিন আরাধ্য মেডিকেলে চান্স পেলো সেদিন আষাঢ় দেড় মণ মিষ্টি তার হসপিটালে বিলিয়েছিলো। সকল রোগী, ডক্টর স্টাফ সকলকে। আর আরু পাবলিকে পেলো না চান্স। ন্যাশনাল হলো সম্বল। সে নিয়ে আরাধ্য অনেক খোঁটা দেয় আরুকে। আরাধ্য নিজেকে বসুন্ধরা বলে আর আরুকে গুলিস্তানের হকার মার্কেট বলে।
-“ কোথায় যাচ্ছিস রে?
আরু বিরক্ত হয়ে শুধালো-
-“ দেখছেন না চোখে কাঁধে আমার ব্যাগ।
-“ গুলিস্তানে যাচ্ছিস তাহলে।
-“ হু..পরক্ষণেই আরাধ্যর কথার মানে বুঝতে পেরে রাগী চোখে তাকালো।
আরাধ্য ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল-
-“ তোর ঐ চোখ গরমকে আমি ভয় পাই নাকি হু? তোর চোখ গরমে তর ভাইও ভয় পায় না। সেখানে আমাকে দেখানো হাস্যকর। কিরে আয়ুশ ব্যাটা মন খারাপ কেনো? শুনলাম টপার হয়েছিস ক্লাসে খাতায় ডিম পেয়ে।
আয়ুশ আরাধ্যর পাশে এসে হাঁটতে হাঁটতে বলল-
-“ ডিম পাই নি তো।
-“ তাহলে কি বাতাসা পাইছিস?
-“ না লাড্ডু পাইছি।
-“ গুড। এভাবেই বংশের নাম উজ্জ্বল করবি।
-“ বংশের নাম উজ্জ্বল করে আমি কি করবো। আমার মনের ঘরই তো অমাবস্যায় আঁধার হয়ে আছে।
-“ প্লিজ এখন আবার আরশি কে নিয়ে মহা প্রেমিকের মত রচনা বলিস না।
-“ আমি কারে দেখাবো মনে দুঃখ গো বুক চিড়িয়া। অন্তরে তুষের ই আগুন। জ্বলে রইয়া রইয়া। এই পৃথিবীতে কেউই বুঝে না আমাকে।
-“ তুই আগে বড় হ।
-“ আমি তো বড় হয়েছিই। তোমার বোনের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেখো। মাথায় তুলে রাখবো।
-“ যা তোর স্কুল চলে আসছে। আরশি আছে গিয়ে দেখ।
আয়ুশ দৌড়ে চলে গেলো। আরাধ্য আরুর দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ তুই তো তোর ভাইয়ের মতো হলেও পারতি।
-“ মানে?
-“ মানে তোর ভাই যেমন আরশি আরশি করে তেমন যদি তুই আরাধ্য আরাধ্য করতি। আহ কতই না ভালো হতো।
-“ জীবনেও না।
-“ আসলেই। বাঁদরের গলায় তো মুক্তার মালা সোভা পায় না।
-“ এ্যাই কাকে বাঁদর বলছেন?
-“ আমার শালার বোন।
-” সাহস হয় কি করে আমাকে বাঁদর বলার?
আরাধ্য ভাবুক হয়ে বলল-
-” আমার শালার বোন তুই নাকি? তোর গায়ে লাগছে কেনো? তুই বাঁদর?
আরুর ভার্সিটি চলে আসায় আরাধ্যর সাথে তর্কে না গিয়ে চলে গেলো। আরাধ্য একটা রিকশা ডেকে কলেজে চলে আসলো। কলেজে পা রাখতেই দৌড়ে সামনে এসে দাঁড়ালো একটি মেয়ে। ধবধবে ফর্সা গায়ের রঙ। লম্বা চুল। হাতে তার লাল টুকটুকে গোলাপ ফুল। আরাধ্য বিরক্ত হলো। কতবার বলেছে তার লাল গোলাপ পছন্দ না তবুও এই মেয়ে বারবার লাল গোলাপ নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। মেয়েটার নাম নীরা। আরাধ্যর জুনিয়র। আরো এক সম্পর্ক আছে৷ নীরা আরাধ্যর রিলেটিভ। তবে কখনও নীরা দের বাসায় যায় নি। আসলে ও ছোট থেকে একমাত্র তার চাচার বাসাতেই যাতায়াত করতো। তাছাড়া তার মা সন্ধ্যা তেমন একটা আরাধ্যর নানা বাড়ির দিকে যেত না। যেদিন থেকে মেয়েটা জেনেছি আরাধ্য তার রিলেটিভ সেদিন থেকেই আঠার মতো লেগে আছে। কতবার যে ধমক দিয়েছে আরাধ্য তার হিসেব নেই। তবুও এই মেয়ে ফুল নিয়ে আসবেই।
আরাধ্য আজ আর কোনো কথা বললো না। রোজ এক কথা বলতে বলতে আজ তার সেই সেম কথাটা রিপিট করতে ইচ্ছে করছে না। তাই পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। নীরা তাকিয়ে রইলো আরাধ্যর যাওয়ার পানে।
দুপুরে টিফিন টাইম দিয়েছে স্কুলে। আয়ুশ ক্লাস থেকে বের হতেই দেখলো তার মামনি মানে সন্ধ্যা এসেছে। সন্ধ্যা আয়ুশ কে দেখা মাত্রই ডাক দিলো। পাশেই আছে আরশি। সে চুপচাপ মায়ের আনা টিফিন খাচ্ছে। আয়ুশ এগিয়ে আসলো। মুখে হাসি নেই দেখে সন্ধ্যা টেনে পাশে বসিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলল-
-“ কি হয়েছে আয়ুশ বাবা টার? মন খারাপ কেনো?
আয়ুশ একবার আরশির দিকে তাকালো। তারপর বলতে শুরু করলো—
-“ মাদার ইন লো..হোয়াই ইউ ডিড নট ম্যরি ইউর ডটার উইথ মি? মাই এভরি ডে ভেরি স্যাড কাটে উইদাউট ইউর মেয়ে। আই ক্যান নট প্রোপার্লি অক্সিজেন। মাই হার্ট ইজ অলওয়েজ গোয়িং টু ফাস্ট। মাই স্লিপ হয় না। সি মাই আই আন্ডার ব্লাক হয়ে গেছে না ঘুমানোর ফলে। প্রোপার্লি তিন বেলা নট ইটিং আই। মর্নিং টাইমে আই জাস্ট টু এগস ওয়ান গ্লাস জুশ থ্রি রুটি খেয়ে কামিং টু স্কুল। অথচ দেখো তোমার মেয়ে হ্যাপিলি ইটিং লাঞ্চ। হার্টলেস মেয়ে..একবার আস্কও করলো না।
সন্ধ্যা মনোযোগ দিয়ে শুনলো আয়ুশের অভিযোগ। ছেলেটা আরশি বলতে পাগল বললেই চলে। আজ অব্দি কখনও আরশি কে একটা চিমটি অব্দি দেয় নি। উল্টো কখনও আরশি ব্যথা পেলে আর সেটা আয়ুশের কানে গেলে সে অস্থির হয়ে যেত আরশি কে নিয়ে। আরশি আয়ুশের বিপরীত। প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবে না কারো সাথে। শান্ত শিষ্ট একটা মেয়ে। সারাদিন পড়াশোনা টুকটাক খেলা.. বাবার সাথে সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হওয়া এই তার দৈনিক রুটিন। সে কখনও বয়না ধরবে না আমাকে এটা কিনে দাও। শুধু চুপিসারে বলবে এটা লাগবে। আর সাথে সাথেই আষাঢ় সেটা সামনে এনে হাজির করে। আষাঢ় আবার মেয়েটাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। আষাঢ় সন্ধ্যা যা বলবে আরশি বিনাবাক্যে তা মেনে নিবে। পাল্টা বলবে না মানবো না। আরাধ্য কেও তাই বলেই জানে আষাঢ় সন্ধ্যা। তবে আরাধ্য দুই সত্তা। যাকে বলে দু মুখো সাপ। এক পরিবারের সামনে ভদ্র..সভ্য বাধ্য মার্জিত সুশীল ছেলে। আর আরুর সামনে চরম লেভেলের বেয়াদব অভদ্র। এটা শুধু আরুর ক্ষেত্রেই আর কারো কাছে নয়।
সন্ধ্যা একবার মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আরশি কে বিয়ে করতে চাও?
আয়ুশ উপর নিচ মাথা ঝাকালো।
-“ তাহলে তো আরশির যোগ্য হতে হবে তোমাকে। আরশি কত ভালো স্টুডেন্ট জানো তো? আরশির বাবা কিন্তু তোমার মত পঁচা স্টুডেন্ট এর কাছে মেয়ে বিয়ে দিবে না।
-“ কেনো আমার মতো পঁচা স্টুডেন্ট এর কাছে মেয়ে বিয়ে দিলে কি হবে?
-“ মানসম্মান চলে যাবে। হেসে বলল সন্ধ্যা।
-“ একটু না হয় গেলই আমার জন্য তোমাদের মানসম্মান। আমি তো হেডে রাখবো তোমার মেয়েকে।
-“ আচ্ছা বড় হও আগে।
-“ আমি তো বড়ই।
তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ২
-“ তোমার আরাধ্য ভাইয়ার সমান হও। তারপর।
-“ সত্যি? খুশিতে জ্বলজ্বল করে উঠলো আয়ুশের চোখ মুখ।
-“ হুম।
-“ ওক্কে আমি আজই বাবা কে বলবো লম্বা হবার ঔষধ এনে দিতে। ওটা খেলে তাড়াতাড়ি আমি ব্রো এর সমান হয়ে যাব। তারপর আরশি আমার।
কথাটা বলেই নাচতে নাচতে আয়ুশ চলে গেলো। সন্ধ্যার হাত কপালে। এই ছেলেকে কি বুঝালো আর এই ছেলে কি বুঝলো এটা?
