তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৫
Raiha Zubair Ripti
আজ কে আর আরু ভার্সিটি যায় নি। আরাধ্য বলেছে আজ সে মামনি কে পাঠাবে বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে। তো আজ দুপুর অব্দি আরু বিয়ে ভাঙার জন্য প্ল্যান করেছে। খুশি মনে অপেক্ষা করলো তার মামনির আসার। কিন্তু অবাক করা কান্ড তারা আসলো না। আরু বিশ্ব জয়ীর একটা হাসি দিলো। বিছানা থেকে ফোন টা নিয়ে আরাধ কে ফোন করলো। এদিকে আরাধ্য নিজের রুমে বিরক্ত হয়ে বসে আছে। বসার ঘরেরই নীরা আর তার মা এসেছে। সেই থেকে তার নিজের মা গল্প করছে। আরাধ্য তার মাকে না দেখলে জানতেই পারতো না একটা মানুষ এভাবে এক্সের বউ বাচ্চা কে আপ্যায়ন করতে পারে। আর ওদেরও বলি হারি..আসার আর সময় পেলো না? আসার আগে ফোন করে তো আসবে যে আমরা ফ্রী আছি কি না। তা না করে দুম করে চলে আসে ম্যানারলেস মানুষ কথাকার। হটাৎ টেবিলে থাকা ফোন টা বেজে উঠায় আরাধ্য ফোনের দিকে তাকালো। আরুর নম্বর দেখে ভ্রু কুঁচকালো। ফোন রা রিসিভ করে কানে নিতেই ওপাশ থেকে আরুর হাসির শব্দ পাওয়া গেলো। আরাধ্য বিরক্ত হয়ে বলল-
-” পাগলের মতন হাসছিস কেনো?
-“ আজকে যেনো কি ছিলো?
-“ কি ছিলো?
-“ কাল তো খুব বড় বড় কথা বলেছিলেন আজ মামনি কে পাঠাবেন। বিয়ের তারিখ ঠিক করবেন। আমি তো বিয়ে ভাঙার সব প্ল্যান রেডি করে বসে ছিলাম। আফসোস আপনি আসলেন না।
-“ কেনো না আসাতে কি তুই গলা আঁটকে ম’রে যাচ্ছিস?
-“ বালাই শাট। আমি কেনো মরতে যাব।
-“ আমাকে বিয়ে করতে না পারার আফসোসে।
-“ নাইস জোক্স। আমি নিজেই ম’রে যাব ছাঁ’দ থেকে লাফ দিয়ে তবুও আপনাকে বিয়ে করার জন্য ম’রবো না।
-“ ভেবে বলছিস তো?
-“ হ্যাঁ।
আরাধ্য দরজার দিকে তাকাতেই দেখলো তার মা এগিয়ে আসছে। আরাধ ভলিউম টা এবার লাউড স্পিকারে দিলো। তারপর বলল-
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-“ কি যেনো বললি সেটা আবার রিপিট কর তো।
-” বলেছি আপনাকে বিয়ে করার চেয়ে নিজে ম’রে যাওয়া অনেক ভালো।
আরাধ্য স্পিকারের ভলিউম কমালো। তারপর বলল-
-” দেখ আরু প্লিজ এমন টা করিস না। মানলাম আজ আম্মুকে পাঠাতে পারি নি বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা বলার জন্য। তাই বলে এভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলবি! নিজের কথা ভাব। আত্মহ’ত্যা করলে এ জীবনে তো আমাকে বিয়ে করতে পারবিই না উল্টা পরকালে কনফার্ম জাহান্নাম তোর কপালে।
আরু ভ্রু কুঁচকালো। হঠাৎ করে আরাধ্যর কথার টোন বদলে গেলো কেনো?
-“ ও হ্যালো মিস্টার আপনাকে বিয়ে করার জন্য আমি মনে হয় বসে আছি।
-“ হ্যাঁ জানি এখন আর বসে থাকবি না। একটা সমস্যা হওয়ায় মাকে পাঠাতে পারি নি। প্লিজ নিজের কোনো ক্ষতি করিস না। তাহলে সারাজীবন আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। মা তুমি একটু আরুকে বুঝাও। মেয়েটার মাথার সব তার ছিঁড়ে গেছে। আত্মহ’ত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন কোন দিকে যাব তুমিই বলো। ওর মৃ’ত্যুর জন্য তো পুলিশ আমাকে জেলে নিবে।তারপর আমার ডক্টর হওয়া স্বপ্ন স্বপ্ন ই থেকে যাবে। প্লিজ কিছু বলো এই বেয়াদব কে। ভাইয়ের মতই হয়েছে বেয়াদব টা।
কথাটা বলে আরাধ্য ফোন এগিয়ে দেওয়ার সময় সন্ধ্যার অগোচরে নিজেই ফোন কেটে দিয়ে বলল-
-“ যাক বাবা ফোন কেটে দিলো এই মেয়ে। এখন কি হবে?
সন্ধ্যা এগিয়ে আসলো।
-“ ফোন দে।
আরাধ্য ফোন টা সাইলেন্ট মুডে অন করে আরু কে ফোন দেওয়ার নাটক করে ফোন টা কানে নেয়। অথচ আরাধ্য আরুকে ফোনই দেয় নি। এদিকে আরু ফোন দিচ্ছে বারবার আরাধ্য কে আর আরাধ্য কেটে দিয়ে সন্ধ্যা কে বলছে আরু ফোন ধরছে না। সন্ধ্যা নিজের রুমে গিয়ে কনাকে ফোন করলো। জিজ্ঞেস করলো আরু কি করছে। কনা বলল আরু সোফায় বসে ফোন টিপছে। শুনে স্বস্তি পেলো। তারপর কাল আসবে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে সেটা জানিয়ে ফোন কেটে দিলো।
মাগরিবের আজান ভেসে আসছে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা মসজিদের মাইক থেকে। আরশি ড্রয়িং রুমে বসে মনোযোগ সহকারে স্কুলের পড়া কমপ্লিট করছে। পাশেই সন্ধ্যা পুরো টা মনোযোগ দিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে দেখছে। মেয়েটার তার হাসে না তেমন। লাস্ট কবে প্রাণ খুলে হাসতে দেখেছে সেটাও বোধহয় সন্ধ্যা ভুলে গেছে। গাড়ির হর্ণের আওয়াজ শোনা গেলো। আরশি বই থেকে মুখ সরিয়ে সদর দরজার দিকে তাকালো। মূহুর্তে দেখতে পেলো বাবা কে। ক্লান্ত শরীরে.. হাতে এপ্রন আর গলায় স্টেথোস্কোপ টা গলায় ঝুলিয়ে হেঁটে আসছে। আরশি চেয়ে থাকলো বাবার দিকে। আষাঢ়ের সারা দিনের ক্লান্ত যেনো এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো বউ আর মেয়েটাকে দেখে। এগিয়ে এসে পাশে বসলো মেয়ের। মেয়েকে সোফা থেকে উঠিয়ে নিজের কোলে বসালো৷ গালে চুমু খেয়ে বলল-
-“ কি করে আমার বাচ্চা টা?
আরশি টেবিল থেকে বই তুলে নিয়ে বলল-
-“ অ্যা’ম স্টাডিং বাবা।
-“ খেয়েছো?
-“ না।
-“ হাঁটতে বের হবে?
আরশি উপর নিচ মাথা ঝাঁকিয়ে ছোট্ট করে হুমম বললো। সন্ধ্যার রাগ হলো। কেবলই তো এলো লোকটা হসপিটাল থেকে। এখনই কেনো মেয়েকে নিয়ে বাহিরে যেতে হবে।
-“ কেবলই তো আসলেন আপনি। ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ফ্রেশ হন। রেস্ট নিন কিছুক্ষণ।
-“ সব ক্লান্তি বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে শেষ সন্ধ্যা। এখন সময় আমার মেয়েকে সময় দেবার।
-“ হ্যাঁ শুধু মেয়েকে সময় দিলে কি হবে বাবা? ছেলেকেও একটু পাত্তা দাও।
কথাটা বলতে বলতে আরাধ্য রুম থেকে বেরিয়ে আসে। আষাঢ় ছেলের পানে তাকায়।
-“ তুই আরশির মতন বাচ্চা নাকি যে সময় দিব?
-“ আরশির মতন বয়স না আমার তাতে কি? বয়স টা না হয় বউ নিয়ে হাঁটার। কিন্তু আমার তো বউ নেই। বাবার সাথে তো হেঁটে মন কে স্বান্তনা দিতেই পারি।
কথাটা বলেই আরাধ্য বাবা মায়ের দিকে তাকালো। আষাঢ় ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ বিয়ে করবি তুই?
-“ বিয়ে তো আমি করতে চাই নি বাবা। কিন্তু আমার মাইন্ড টা হেট করে দিয়েছে তোমার ভাইয়ের মেয়ে। সে আজকাল রাস্তা ঘাটে জড়িয়ে ধরে জামাই জামাই বলে লোকজনকে শুনিয়ে শুনিয়ে আমাকে ডাকে। আমার তো একটা মানসম্মান আছে। অবিবাহিত হয়েও বিবাহিত দের মতন ফিলিংস নিতে হয় তোমার ভাইয়ের মেয়ের জন্য। আবার আমাকে থ্রেট ও দিছে।
-“ কিসের থ্রেট?
-“ কাল যদি তোমরা বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে না যাও তাহলে নাকি রনির সাথে ভেগে যাবে। আর তা না হলে সুইসাইড করবে।
-“ রনি টা কে?
-“ মা তুমিই বোঝাও বাবা কে রনি টা কে। আমার পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে তোমাদের আরুর জন্য। প্লিজ ওকে আমার ঘাড়ে ঝুলিয়ে এই টর্চার থেকে মুক্ত করো।
আরাধ্য চলে গেলো। সন্ধ্যা বুঝালো কাল ও আজ বিকেলে আরাধ্য তাকে যা বুঝিয়েছে তাই। আষাঢ় তপ্ত শ্বাস ফেলে রাজি হলো কাল যাওয়ার জন্য। মেয়ের দিকে তাকিয়ে স্টেথোস্কোপ আর এপ্রন টা সোফায় রেখে মেয়ের হাত ধরে বেরিয়ে গেলো।
পড়ার টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছে আয়ুশ। পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর অসহ্যকর স্থান হচ্ছে এই পড়ার টেবিল। কোন বেয়াদব এই পড়াশোনা বের করেছে তাকে সামনে পেলে আয়ুশ থাপ’ড়িয়ে থা’পড়িয়ে পড়াশোনা টা পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দিত। এত কষ্ট এত স্ট্রাগল করে পড়াশোনা করে কি লাভ? সে কি চাকরি করবে নাকি? সে তো শুধু আরশি কে নিয়ে সংসার করবে। অথচ সংসার করতে যে প্রতি মূহুর্তে টাকার প্রয়োজন হয় তা এই গর্দভ আয়ুশের মাথায় নেই। সে তার বাবা চাচার টাকায় চলবে৷ ক’দিন এ বাড়ি তো ক’দিন তার মামনির বাড়িতে গিয়ে থাকবে।
চোখটা টান টান করে মেললো আয়ুশ। সামনেই রয়েছে ইংলিশ রচনা। পহেলা বৈশাখ। একবার রিভিশন দিলো। নাহ্ কঠিন শব্দ। তাই খাতা বের করে লিখতে শুরু করলো-
-“ দ্যা পহেলা বৈশাখ ইজ এ্যা ভেরি ইম্পরট্যান্ট ফেস্টিভ্যাল ইন আওয়ার কান্ট্রি। এভ্রি ইয়ার উই আর সেলিব্রেট দিস ওকেশন। আওয়ার ফাস্ট ডে স্টার্ট উইথ নিউ ড্রেস। ইন দ্য মর্নিং, আই ওয়েক আপ আর্লি, দেন উই আর ইটিং ওয়াটার রাইস উইথ হিলশা ফ্রাই। মাই মাদার প্রিপেয়ার দিস ফুড এভরি ইয়ার। আই রিয়েলি লাভ দিস।
আফ্টারনুন টাইম মাই কাজিন আরশি এন্ড হার ব্রাদার কামস টু মাই হাউজ। আরশি লুকস ভেরি বিউটিফুল ইন এভ্রি টাইম। বাট দ্যিস ডে সি ইজ মোর বিউটিফুল ফর রেড শাড়ি। হার মমস অলওয়েজ ব্রিংস সাম মিষ্টি ফ্রম হার হাউজ। দিস ইয়ার উই ওয়াচড পহেলা বৈশাখ প্রোগ্রাম অন টিভি টুগেদার। এন্ড আফ্টার দ্যা ইভনিং উই আর গোয়িং টু মেলা। আরশি নেভার স্মাইল ইনফ্রন্ট মাই। শি অলওয়েজ ইগনোর মি৷ এন্ড শি গিভ পাত্তা সিদ্দিক। মাই হার্ট গোয়িং টু ব্রোকেন। আই লাইক আরশি, বাট শি ডিড নট লাইক মি।
এরজন্য আই ডিড নট মন খারাপ। আই ফিল ভেরি হ্যাপি স্টে উইথ হার। আই টেক সাম টাকা নেয়ার মাই ফাদার। এন্ড আই বায়েড সাম চুড়ি এন্ড সাম আইসক্রিম ফর আরশি। আরশি ইটিং এন্ড কিপিং। আই স্মাইল। এন্ড ফর দিস ডে ওয়াজ রিয়েলি হ্যাপি ফর মি।
প্যারাগ্রাফ টা আর একবার রিভিশন দিয়ে আয়ুশ বিছানায় চলে আসলো। এখন সে ঘুম দিবে। তারপর সকালে স্কুলে গিয়ে প্যারাগ্রাফ টা স্যার ধরলে বলবে।
সকালে আয়ুশ একাই চলে গেছে স্কুলে। কনা আজ আরু কে যেতে মানা করেছে ভার্সিটি। কেনো সেটা বলে নি। শুধু বলেছে কাজ আছে। বাসায় কোনো কাজও নেই৷ ওয়াইফাই তে নেট ও নেই। সেজন্য টেবিল থেকে ছুরিটা হাতে নিয়েছে আপেল কাটবে বলে।
সবেই সন্ধ্যা আর আরাধ্য আরুদের বাড়িতে ঢুকেছে। আর ওমনেই চোখ চলে যায় ডাইনিং টেবিলে। আরুর হাতে ছুরি। আরাধ্য গতকাল মাকে পই পই করে বলেছে চলো ও বাড়ি তে। বিয়ে নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু না তার এক্সের মেয়ে আসায় আর আসতে পারলো। এখন যে মেয়েটা সুইসাইড করতে যাচ্ছে এর দায়ভার কে নিবে?
আরাধ্য দৌড়ে আসলো আরুর কাছে ছুটে। আরুর হাত থেকে ছুরি টা ফেলে দিয়ে অস্থির কন্ঠে বলল-
-“ পাগল হয়ে গেছিস? গতকাল আসি নি সেজন্য সোজা ছুরি নিয়ে সুইসাইড করবি?
আরু হতবিহ্বল হয়ে গেলো আরাধ্যর কথা শুনে। ও সুইসাইড করবে কেনো? ও তো ছুরি হাতে নিয়েছিলো ফল কাটতে। সন্ধ্যাও এগিয়ে আসলো।
-“ এভাবে কেউ ছুরি নেয় সুইসাইড করারা জন্য? তাও এই সামান্য বিষয় নিয়ে।
-” মামনি তোমাদের কোথাও ভুল…
-“ হ্যাঁ আমাদের ভুল হয়েছে আরু। আমার কালই মাকে নিয়ে আসা উচিত ছিলো। বুঝতে পারি নি ফোনে বলা কথাটা তুই সত্যি সত্যি করে বসবি। মা প্লিজ আমি আর আরুর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দিব না। প্লিজ তুমি আজই ডেট ফিক্সড করবে। আজ না হয় আমরা সময় মতন এসেছি বলে আরুকে বাঁচাতে পেরেছি। সবসময় তো আর টাইম মতো আসতে পারবো না।
ভেতর থেকে সন্ধ্যা আর আরাধ্যর কন্ঠ শুনে কনা বাহিরে আসলো। আরাধ্যর হাতে ছুরি দেখে বলল-
-” কি হয়েছে?
আষাঢ় মেয়েকো নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। সবাইকে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল-
-“ কি হচ্ছে?
আরাধ্য কনার হাতে ছুরি টা দিয়ে বলল-
-“ চাচা আছে বাসায়?
-“ হ্যাঁ রুমে।
-“ ডাকো। তোমার মেয়ে ছু’রি নিয়েছে সুইসাইড করার জন্য।
আরু মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল-
-” মিথ্যা কথা বলছে আরাধ্য ভাই।
আরাধ্য রেগে গেলো।
-“ আমি মিথ্যা বলছি? মা তুমি দেখেছো না আরুর হাতে ছুরি ছিলো বলো?
-“ হ্যাঁ..
-“ তাহলে আর কি শুনলে তো কাকিয়া।
রাত বেরিয়ে আসলো রুম থেকে। ভাইকে দেখে হাসি মুখে ভাইয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
-“ কি হয়েছে?
কনা মেয়ের হাত চেপে ধরে বলল-
-“ আপনার মেয়ে সুইসাইড করতে গিয়েছিল।
-“ কেনো?
-“ আমি বলছি চাচা। গতকাল আসার কথা ছিলো মায়ের৷ কোনো এক কারন বসত মা আসতে পারে নি। আপনার মেয়ে রাতে আমাকে ফোন করে ম’রার হুমকি দিচ্ছে। বলছে আমি নাকি ইচ্ছে করে তাকে বিয়ে করবো না বলে মা কে পাঠাই নি। মানুষের সমস্যা তো থাকতেই পারে। আপনার মেয়ে যে এমন বিয়ে পাগল তা আমি সত্যি ভাবতে পারি নি চাচা। সেজন্য দেখুন আমি স্টুডেন্ট হওয়া স্বত্বেও আরুকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।
রাত রাগী চোখে মেয়ের দিকে তাকালো। তার মেয়ে বিয়ে করার জন্য এত উতলা ছি! কনা টেনে নিয়ে গেলো মেয়েকে। যেতে যেতে বলল-
তোর প্রেমে উন্মাদ আমি পর্ব ৪
-“ বেয়াদব মেয়ে একটা। এতই বিয়ে পাগল যখন তখন সেদিন ঢং করে বারবার বিয়ে করবি না বলে আমার মাথা খেলি কেনো? অসভ্য মেয়ে একটা। তোকে তো দিব বিয়ে। তারপর এমন বেহায়াপনা ছি।
আরুর মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারছে না। আরাধ্য টা তাকে এভাবে ফাঁসিয়ে দিলো! কি দরকার ছিলো ধূর ছু’রি দিয়ে ঢং করে ফল কাটার। এখন তো সব ঘেঁটে ঘ হয়ে গেলো।