দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২৬

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২৬
আফরোজা আশা

‘ বাইরে আয় ’
কান থেকে ফোন নামিয়ে ঘুমন্ত চোখজোড়া মৃদ্যু খুলে ফোনের স্ক্রিনের দিকে রাখল দিগন্ত। রাত ৩:৪৭ বাজে। ফোনটা আবার কানে চেপে ক্যাড়ক্যাড় গলায় বলল,
‘ ঘুমাচ্ছি। এখন কোথাও যাবো না। ’
অপর পাশ থেকে রায়হানের অস্থিরচিত্তের স্বর ভেসে এলো,
‘ তোর বাড়ির সামনে আছি শালা। মশা কামড়াচ্ছে। দ্রুত আয়। ’
শুনল দিগন্ত। লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আরেকটু আয়েশ করে চোখ বুজে পড়ে রইল সেভাবেই। কিছুক্ষন আগেই দুচোখের পাতা এক করেছিল। কাঁচা ঘুম ভাঙায় চোখের শিরা-উপশিরা টনটন করছে। চোখ আবারো লেগে আসতে চাইছে।

‘ চল! চট্টগ্রাম যাবো। ’
মাত্র এসে দাঁড়িয়েছে দিগন্ত। এতো রাতে ওকে ঘুম থেকে ডেকে এনে মস্করা করছে রায়হান। ওর কথা শুনে চোখ কুঁচকে বলে উঠল,
‘ ফাইজলামো লাগাইছিস। রাতে কি কিছু গিলেছিস? ’
রায়হান তড়িঘড়ি করে বলল, ‘ আগে চল। যেতে যেতে বলছি সব। ’
বেজায় বিরক্ত হলো দিগন্ত। খিটখিটেটখিটে মেজাজ নিয়ে চড়াও হলো রায়হানের উপর,
‘ এতো রাতে এসবের মানে কি রায়হান? চট্টগ্রাম কি করতে যাবি? আর ইউ ম্যাড! শালা! ঘুম ভাঙিয়ে ডেকেছিস এসব নাটক শোনার জন্য। ’
অসহায় হলো রায়হান। মন ছটফট করছে। দিগন্তকে সব বলতে চায় কিন্তু কিভাবে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। সব শোনার পর দিগন্তের রিয়েকশন-ই বা কি হবে এসব ভাবলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ওর। একটা চাপা ঢোক গিলে দুরদুর মনে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে একটা অচেনা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল। ’
রায়হানের পুরো কথাটা দিগন্তের কানে পৌঁছানো মাত্র ঠোঁট এলিয়ে হাসল কিঞ্চিৎ। যা রায়হানের দৃষ্টিগোচড় রয়ে গেল। দিগন্ত কিছুটা অবাক হওয়ার ভান ধরে গমগমে গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
‘ কি বলছিস? ’
রায়হান জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে মিনমিনে গলায় সেদিনের সবকিছু একে একে খুলে বলতে শুরু করল। দিগন্ত দুহাত বুকে চেপে একটা গাছে সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মনযোগ দিয়ে শুনল সব। রায়হান নিজের কথা শেষ করে এক বিশাল শ্বাস ফেলল। বড় যুদ্ধে এসে জয়ী হয়েছে ও। এতো কথা বলল অথচ দিগন্ত টু শব্দটিও করে নি। ভ্রুঁ কুঁঞ্চিত করে ওর মুখের দিকে তাকালো রায়হান। দিগন্ত একদম শান্ত চোখে তাকিয়ে আছে কালো মেঘে ঢাকা আকাশের দিকে। রায়হান ওর ঘাড়ে মৃদ্যু ধাক্কা দিয়ে বলল,

‘ কি রে শুনলি কিছু? এতোক্ষন থেকে কত কিছু বকবক করলাম কিছু বলছিস না যে? চল! এখনি বের হবো। ’
দিগন্ত আরো কিছুক্ষন সেভাবেই আকাশের দিকে চেয়ে রইল। অতঃপর নিরবতা ভেঙে ঠান্ডা স্বরে বলল,
‘ এ কথাগুলো সেদিন বলিস নি কেনো? ’
আচানাক রায়হান নিজের ছটফটে মনোভাব দমিয়ে নিল। একইভাবে আকাশপানে চেয়ে বিরস গলায় বলল,
‘ আমাকে ভুল বুঝিস না। ’
‘ সেদিন বারবার জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিছু বলিস নি তুই। ’
‘ আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। ’
দিগন্ত তাচ্ছিল্য একটা হাসি দিয়ে বলল,

‘ আমার জীবনের সব কথা তুই আর মনি জানিস। তোর উপর আমার ট্রাস্ট লেভেল কতটা হাই তা তো তুই জানিস রায়হান! অথচ তোর জীবনের এতোবড় ঘটনা আমার থেকে চেপে গেলি। বিশ্বাস করিস না আমায়, তাই না! ’
রায়হান ঝট করে ঘাড় ফিরিয়ে দিগন্তের দিকে তাকালো। তড়ঘড়ি করে ওর কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘ এভাবে বলিস না। তোর আমার সম্পর্ক এতোটা ঠুনকো না দিগন্ত। আমি জানি, আমার কথাগুলা শুনে তুই আমাকে সার্থপর ভাবছিস। হয়তো ভাবছিস দিশার জন্য আমি তোর কাছে এগুলা গোপন করে গিয়েছি। কিন্তু বিশ্বাস কর ভাই, সে মুহূর্তে আমার মাথা পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতির শিকার হবো তা আমি কখনো ভাবি নি। কি থেকে কি করেছি নিজেও বুঝতে পারি নি। আর রইল তোকে বিশ্বাস করার কথা, তাহলে দেখ এ কথাগুলো কিন্তু দেরীতে হলেও সবার আগে তোকেই জানিয়েছি। ’
দিগন্ত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

‘ তোর একবারো মনে হয় নি তুই না বললেও খবর আমার কাছে ঠিক চলে আসবে? এটা তো তোর ভালো করেই জানা আছে রায়াহান! যে কথাগুলো তোর কাছ থেকে জানার কথা ছিল সেগুলো অন্য কেউ জানালে আমি কতটা হার্ট হতে পারি এটাও আসে নি তোর মাথায়? ’
নিজের বোকামিতে স্তব্ধ হয়ে বসে রইল রায়হান। অপরাধীর মতো মুখ বানিয়ে বলল,
‘ আমাকে ভুল বুঝিস না দোস্ত। আমি সত্যিই ট্রমাটাইজ হয়ে গিয়েছিলাম। সেই মেয়েটার সাথে অন্যায় করেছি। মেয়েটাকে সেভাবে ফেলে… ’
কথার মাঝেই কিছু একটা মনে পড়তেই চোখ বড় বড় করে দিগন্তের দিকে চাইল রায়াহান। কণ্ঠে মাত্রাতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা ঢেলে জিজ্ঞেস করল,

‘ তারমানে তুই আগে থেকেই জানতিস? ’
দিগন্ত রেশপূর্ণ গলায় বলল, ‘ হারামজাদা! শালা ; আবার প্রশ্ন করছিস! ’
রায়হান চোখজোড়া চকচক করে উঠল। দিগন্তের একহাত টেনে ধরে আমোদিত গলায় বলল,
‘ চল তাহলে চট্টগ্রাম যাই। ’
ঝটকা মেরে রায়হানের হাত সরিয়ে দিল দিগন্ত। বিরক্তিমাখা কণ্ঠে বলল, ‘ সেখানে গিয়ে কি করবি? ’
‘ ওই মেয়েটাকে খুঁজব। ’
‘ কোন মেয়ে? ’

‘ আরে আমার ব.. ’ বউ বলতে গিয়েও আটকে গেল রায়হান। বউ তো মানে নি। বিয়েটাও মানে নি। জোর করে বিয়ে দিলেই বিয়ে হয়ে যায় নাকি! তাছাড়া ও তো মন দিয়েছিল এক শ্যাম নারীতে। দিশাকে পছন্দ করেছিল। কিন্তু এতোসবের মাঝে ওর খেয়ালে একবারো দিশা আসেনি। খারাপ লাগেনি দিশার জন্য। মনের কোথাও কষ্ট পায় নি।
বরং সেদিনের পর থেকে প্রতিটা মুহূর্তে ভেতরে ভেতরে অনুভব করে ও একটা মেয়ের সাথে অন্যায় করেছে। সেই অচেনা মেয়েটার জন্য চিন্তিত হয়, মেয়েটার সেসময়ের পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিলে ওর অন্তরের কোথায় যেন চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করে। নিজের কাছে নিজেই লজ্জিত হয় নিজের কাজের জন্য।
রায়হানের দিক থেকে চোখ ঘুরিয়ে চুলে হাত চালালো দিগন্ত। ভারী স্বরে বলল,

‘ কথা শেষ না করে থেমে গেলি কেন? ’
রায়হান ভার হয়ে আসা গলায় বলে,
‘ কি করা উচিত আমার? স্টিল নাও, আই লাভ দিশা। কিন্তু আমার ঘাড়ে অন্য আরেকজনের দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
দিগন্ত একটা বড় শ্বাস ফেলে বলতে শুরু করল,
‘ জানিস! যখন থেকে বুঝলাম বেলা নামের ওই ছোট মেয়েটার কাছে আমার মন বাঁধা পড়ে গিয়েছে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত একটা মূহুর্ত ওকে আমি আমার মন-মস্তিষ্ক থেকে বের করতে পারি নি। প্রথম দিকে খুব চেষ্টা করেছিলাম এসবে না জড়ানোর। তার জন্য যা যা করেছি তার সাক্ষী তুই নিজেই। ’

রায়হান মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। ও জানে সব। জানবে নাই বা কেনো? বেলার জন্য করা দিগন্তের প্রত্যেকটা পাগলোমো নিজ চোখে দেখে রায়হান। ওর বয়সের তুলনায় দ্বিগুণ কম বয়সী বেলার প্রতি দূর্বল না হওয়ার জন্য নিজেকে কতশত আঘাত করেছে। ওর থেকে দূরে থাকার জন্য সারাদিন আড্ডা, গুন্ডাবাজি,বখাটেদের মতো ঘুরেফিরে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছে। একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিজ হাতে অন্ধকারে তলিয়ে দিয়েছে। তাও পারেনি বেলার প্রতি নিজের অনুভূতি কমাতে। বরং দিনকে দিন পাগলামো বেড়েছে। সে সাথে বেড়েছে বেলার প্রতি দিগন্তের না বলা ভালোবাসা। বেলাকে একপলক দেখার জন্য হলেও কোনো কাজের টালবাহানায় রোজ ওর স্কুলের দিকে গিয়েছে দিগন্ত। এতোসবের একমাত্র সাক্ষী রায়হান নিজেই।
দিগন্ত মেঘে ঢাকা কালো আকাশের দিকে চেয়ে পুনরায় বলতে থাকে,

‘ না দেখেও ওকে সর্বক্ষন অনুভব করি। এই যে এখানে তোর সাথে কথা বলছি অথচ চোখের সামনে ভাসছে ওর স্নিগ্ধপরীর ন্যায় চেহারা। সারা মস্তিষ্ক জুড়ে ওর খেয়াল। মনসাপেটের পুরোটা জুড়ে ওর বিচরণ। ওর কণ্ঠস্বর আমার কানে বাজে সর্বদা। পুরো বেলাটাই আমার মাঝে বসবাস করছে। ও আমার কাছে নেই, ওকে স্পর্শ করিনি, ছুঁইনি কিন্তু এসবের জন্য আমার অন্তর একদম জ্বলে না। না ওকে আমার মনের দুটো কথা বলেছি আর নাই-বা খুব একটা ওর কাছাকাছি গিয়েছি তবুও আমার সর্বত্রে ওর অস্বিত্ব বিরাজ করছে ভয়ংকরভাবে। খুব করে অনুভব করি ওকে। যখন অনুভব করি তখন পুরো হৃদয়ে এক পশলা ঠান্ডা বৃষ্টির মতো প্রশান্তি পায়। মনে রাগ আসে না, হৃদয় পুরে না। শুধু ওকে নিয়ে ভাবতেই ভালো লাগে। ওর চোখের চাহনি দেখলেই বুঝে যাই ওর মন-মানসিকতা কেমন চলছে।ও না বললেও কিভাবে যেন বুঝে যাই এখন এটাই বলতে পারে। এটাই বলতে চায়। অন্য কারো জন্য ওর চোখে একটু পানি এলে আমার অন্তর জ্বলে। জ্বলে পুড়ে ছাই হই। কিন্তু আমার জন্য ওর চোখে পানি দেখলে প্রশান্তি পাই। ও ব্যাথা পেলে আমার নিজেকে পাগল পাগল লাগে। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ভেতরে কেমন যে একটা অস্থিরতা কাজ করে। এগুলোকে কি নামে ডাকে জানি না। জানতে চাইও না। যার যা ইচ্ছা তাই বলুক কিন্তু দিগন্ত তালকুদার যে নারীকে এতো অনুভব করেছে, সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা পর্যন্ত সে নারী যেন অন্য কারো হতে না পারে তার সম্ভাব্য সব চেষ্টা করবে। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা! ’

সেই আকাশপানে চেয়েই এতোটা কথা একবারে বলে থামল দিগন্ত। বলা শেষ করে রায়হানের দিকে চোখ ঘুরিয়ে আচানাক প্রশ্ন করল,
‘ এর একটাও আজ পর্যন্ত তুই দিশার জন্য করেছিস? ’
রায়হান চূড়ান্ত বিস্ময় নিয়ে দিগন্তের বলা একেকটা কথা শুনছিল। একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিল ও। দিগন্তের প্রশ্নে ধ্যান ভাঙলো। দুপাশে মাথা নাড়িয়ে সহসা না জানালো।
তা দেখে ম্লান হাসল দিগন্ত। পুনরায় বলল,
‘ দিশাকে ভালোবাসিস বললি! তাহলে;তোর কাছে ভালোবাসার সজ্ঞা কি? ’
রায়হান কিছুটা ভেবে জবাব দিল, ‘ ভালো লাগে দিশাকে। ওকে সামনে দেখলে মুগ্ধ হই। কিন্তু ওকে তো কখনো অনুভব করি নি। সামনে থাকলে দেখতে ভালো লাগে। কথা বলতে ভালো লাগে কিন্তু না থাকলে ওর কথা স্মরণে আসে না কখনোই। ’

-‘ ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক না রায়হান। ’
-‘ কি বলতে চাইছিস? আমি দিশাকে ভালোবাসি না? ’
-‘ হুম। ভালোবাসলেই সবসময় ভালোবাসার মানুষের উপস্থিতি লাগে না। তুই কোনোকালেই দিশাকে ভালোবাসিস নি। দিশার জন্য আজ পর্যন্ত তোর কোনো পাগলামী আমি দেখিনি। ওর প্রতি তোর কোনো উইকনেস আমার চোখে লাগেনি। শুধু দিশাকে সামনে দেখেছিস আর মুখে বলেছিস ভালোবাসি। আদোতে কি এটা ভালোবাসা! এটা তোর মোহো। পছন্দ করিস দিশাকে। তবে ভালোবাসা না। ’
ফ্যালফ্যাল করে দিগন্তের কথা শুনছে রায়হান। মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে হাজারো প্রশ্ন। নিজের মুখ থেকে বের হওয়া কথা নিয়ে দ্বন্দ চলছে মনে। সেই সাথে চলছে অচেনা সেই মেয়েটার জন্য চিন্তা। মাথায় হাত রেখে গভীর ভাবনা ডুবেছে ও।

আকাশটা আজ একটু বেশিই কালো। চাঁদ নেই, তারা নেই। চারদিক নিঝুম। চারিদিকে ঢেউ খাচ্ছে নিঃশব্দ এক বুনো নির্জনতা। মাটির কাঁচা রাস্তার পাশে একটা কালো মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে।দু’হাত পেছনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে একটু হেলান দিয়ে গাড়ির ছাদে আরামে বসে আছে ফাহাদ। গাঢ় নীল টি-শার্ট, ধূসর ট্রাউজার পরিহিত ফাহাদের দৃষ্টি তাক করা এক দিকেই। কিছুটা দূরে উঁচু বাড়িটার একটা রুমের দিকে। বাড়ির পেছনের দিকে থাকায় এতো রাতে মানুষ ওকে দেখতে পাবে না খুব একটা। আঁধার রাতের মাঝে একাকি গাড়ির উপরে বসে এক ধ্যানে রুমের খোলা জানালাটার দিকে তাকিয়ে আছে ও। একবার চাইছে গিয়ে জানালার ধারে দাঁড়াবে। মেয়েটাকে চোখ জুড়িয়ে খানিকক্ষন দেখে চলে আসবে। পরক্ষনেই নিজের অবাঞ্চিত চাওয়াকে সংযত করছে। এখন একটা মেয়ের জন্য ফাহাদ দেওয়ান বেলকনি টপকাবে নাকি!

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২৫

পকেট হাতড়িয়ে একটা ছবি বের করল। জ্বলজ্বলে হাসৌজ্জ্বল্য একটা মিষ্টি চেহেরা চোখের সামনে ভেসে উঠল। সেটা দেখে ফাহাদের ওষ্ঠপুটে মুচকি হাসির ছড়াছড়ি হলো। ছবি থেকে চোখ সরিয়ে পুনরায় দৃষ্টি ফেলল বেলকনির ওপারে খোলা রাখা জানালায়। বিড়বিড়িয়ে বলল,
‘ আমাদের খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে চাঁদ। ইউ ইউল বি মাই কুইন, বেলা পাটোয়ারী। অ্যান্ড আই’ম ডেসপারেটলি ওয়েটিং ফর দ্যাট ডে।’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২৭