দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩৮ (২)   

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩৮ (২)   
আফরোজা আশা

মাইশার মুখ শক্ত করে চেপে ধরে হিসহিসিয়ে বললো,
‘ আমি তোকে দেখিনি। তুই তো দেখেছিলি আমাকে। এতোদিন ধরে সামনে ঘুরছিস,একবারো কিছু বলার প্রয়োজন মনে হয়নি না? এদিকে,তোকে কোথায় খুঁজে পাবো না পাবো সে চিন্তায় পাগল আমি। আর তুই বিন্দাস জীবন কাটাচ্ছিস। হ্যাঁ? সিরিয়াল এটা? তোর সো কলড ভাই আর তুই সিরিয়াল পেয়েছিস? আমি রাগের মাথায় কি উল্টাপাল্টা বলেছি সেটা নিয়ে পড়ে থাকবি? ইডিয়েট! জাস্ট থাপ্রাইতে ইচ্ছা করতেছে। ’

কথা শেষ করতে না করতেই রায়হানের শক্ত খসখসে গালে নরম হাতের থাপ্পড় পড়লো। শব্দ হয়েছে অনেকটাই। রায়হান থমকে গেল। চোখ বড় বড় করে তাকালো মাইশার দিকে।
মাইশা ডুকরে কেঁদে উঠলো। পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারলো না। কোমড়ের অংশটুকু অবশ হয়ে এসেছে। তড়িঘড়ি করে পাশ হাতড়ালো ও। বালিশের পাশে রাখা ওড়না তুলে শরীরে জোড়ালো। ক্ষোভমিশ্রিত গলায় চেঁচিয়ে উঠলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ কা-পুরুষের মতো পালিয়ে গিয়ে জবাবদিহিতা চাইতে লজ্জা লাগে না? চলে যান চোখের সামনে থেকে। ’
একে তো মাইশা ওর গায়ে হাত তুলেছে। তারপর আবার কা-পুরুষ বলাতে আঁতে ঘা লাগলো রায়হানের। অপমানে মাথার শিরা-উপশিরা দপদপ করে জ্বলে উঠলো। রাগে হেচকা টান মেরে মাইশাকে নিজের সাথে চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত পিষে গর্জে উঠে বললো,

‘ হাত-মুখ দুটোই খুব চলছে। আরেকবার এ সাহস দেখালে আগুন লাগিয়ে দিবো হাতে। কা-পুরুষ আমি? হ্যাঁ! আমাকে কা-পুরুষ বলিস! ইডিয়েট। তোর- আমার বিয়ে সানাই বাজিয়ে হয়েছিল? পরিবেশ-পরিস্থিতি, মানসিকতা একদম কাপড় খুলে নাচার মতো ছিল,হ্যাঁ? নাচতে নাচতে বউ এনে বাসর করতাম তাই না? ’
রায়হানের একহাত মাইশার কোমড়ে। হালকাভাবেই ধরছে। কিন্তু পুরনো ব্যাথার জায়গায় নতুন করে রায়হানের হাত পড়ায় জান বেড়িয়ে আসতে চাইছে মাইশার। ব্যাথায় চোখমুখ খিঁচিয়ে নিয়েছে। সহ্য করতে না পেরে মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ব্যাথাতুর আওয়াজ, ‘ আহহ! ’ পরক্ষনেই কিভাবে যেন আপনা-আপনি হাত উঠে গেল রায়হানের উপর। মারার পরে নিজেই চমকে উঠলো মাইশা। মুখে হাত চেপে দুপাশে না ভঙ্গিতে মাথা নাড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে দিল।

মাথা ব্যাথার মধ্যে মাইশার কাজ দেখে রাগ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে রায়হানের। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করলো। একবার রেগে উল্টাপাল্টা বকে বউ হারিয়েছে। আবার একি কাজ করে চড়ের উপর চড় খেলো। রাগ ওর কপালের বিপরীতে চলে।
ঝট করে চোখ খুলে মাইশাকে ছেড়ে উল্টো দিকে হাঁটা ধরলো রায়হান। ওকে যেতে দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচলো মাইশা। কোমড়ে হাত চেপে ধরে বেডের সাথে হেলান দেওয়ার আগেই খট করে শব্দ হলো। চোখ সামনের দিকে ফেরাতেই দেখলো দরজার সিটকিন তুলে ওর দিকে এগিয়ে আসছে রায়হান। মাইশা চরম বিস্ময় নিয়ে ভয়ার্ত গলায় বললো,

‘ দ..দরজা লাগালেন কেনো? চলে য..যান প্লিজ। ’
রায়হান সোজা এসে মাইশার পাশে শুয়ে পড়লো। চোখ বুঝে কিছুক্ষন নীরবে শুয়ে থাকলো। মাইশা বড় বড় দম ফেলে বারবার বলছে ওকে চলে যেতে। তাতে বিন্দুমাত্র পাত্তা নেই রায়হানের। একপর্যায়ে মাইশাকে ছোঁ মেরে দুহাতে পেঁচিয়ে ধরে বুকের মাঝে নিল রায়হান। ছটফটিয়ে উঠলো মাইশা। দুহাত দিয়ে রায়হানকে দূরে সরাতে চাইলে পারলো না। রায়হানের পুরুষালি শক্তির কাছে ও নিতান্তই চুনোপুটি। ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
‘ ছাড়েন। ছাড়েন বলছি। কিসের জোর দেখাচ্ছেন? কোনো সম্পর্ক নাই আমাদের। প্লিজ ছাড়েন। কেউ দেখলে.. ’
রায়হান মাইশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। নড়াচড়া করার স্পেস দিল না। শরীর শক্ত হয়ে গেল মাইশার। এতো কাছ থেকে পুরুষালি স্পর্শে দম আটকে এলো। কাউকে ডাকবে কিন্তু শরীরের যন্ত্রনায় গলা দিয়ে আওয়াজও আসছে না। নাজেহাল হয়ে পড়লো ও। না পারছে নড়ানড়ি করতে আর না পারছে ছুটে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে। কোমড়-পা দুটোই অচল। ফুঁপিয়ে উঠে আটকে আসা গলায় বললো,

‘ প..প্লিজ চলে য..যান। ছেড়ে দ..দেন আমাকে। আমি ম..মানি না..’
‘ হুশসস!’
বলে মাইশার কোমড়ে আলতো হাতে মালিশ করতে করতে বললো,
‘ ব্যাথা না? ঘুমাও। পুরো দুনিয়া আন্দোলন করে মরে গেলেও, ছোটখাটো নাদুসনুদুস অসুস্থ বউ ছেড়ে আমি এখন কোথাও যাবো না। কেঁদে লাভ নাই। চুপচাপ ঘুমাও। ’
বাকহারা হয়ে পড়লো মাইশা। কোমড়ে পুরুষালি হাতের বিচরণে শরীর কাঁটা দিয়ে উঠলো। নিশ্বাস ভারী হয়ে এসেছে। এদিকে ওষুধের সাথে ঘুমের ওষুধ থাকার কারণে শরীর অসাড় হয়ে আসছে। মাথা ভার হয়ে আছে, টেনেও চোখ খুলে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে মাত্রাতিরিক্ত অসহায় হয়ে শরীরের ভর ছেড়ে দিল মাইশা।
বাঁকা হেসে মাইশাকে ভালোভাবে আগলে নিল রায়হান। মাথা বুকের সাথে চেপে ধরে প্রশান্তির ঘুম দিল।

সারাদিন রায়হানের দেখা না পেয়ে চিন্তায় পড়লো দিগন্ত। ফোনও বন্ধ। একজন গিয়েছিল ওর বাড়িতে সেখানেও নেই। না ক্লাবে এসেছে, না টং এ। সকাল থেকে হাওয়া। ফোন বের করে আবারো রায়হানকে ফোন দিতে চাইলো দিগন্ত। কাজীর নাম্বার থেকে মিসড কল দেখে ভ্রুঁ গুটালো। ফোন ব্যাক করতেই কাজী রিসিভ করে বলা ধরলো,
‘ সাংঘাতিক ছেলে! ও আল্লাহ গো! পাগলের পাল্লায় পড়ছিলাম। মারে ফেলছে আমাকে। ’
কাজীর চিল্লানি শুনে দিগন্ত কান থেকে একটু দূরে সরিয়ে নিল ফোন। গম্ভীর স্বরে বললো,
‘ কি সমস্যা? ’
একদমে সব ঘটনা বলে থামলো কাজী। ভয়ার্ত গলায় বললো,

‘ না পালিয়ে এলে আজ গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেই ফেলতো। লুঙ্গি তুলে জান হাতে করে নিয়ে এসেছি বাবা। ’
সব শুনে দিগন্তের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। দাঁত দাঁত চেপে কাজীকে ধমকে বলে উঠলো,
‘ ও ভয় দেখালো আর আপনি বলে দিলেন। শালা, কোনো কাজের না। রাখেন। ’
বলে ফোন কেটে দিল দিগন্ত। পরপরই আমেনার নাম্বার থেকে ফোন এলো ওর কাছে।
সন্ধ্যা থেকে নাগাড়ে ফোন দিয়েছে বেলাকে। পায়নি, ব্লক করে রেখেছিল। এখন, এমন সময় ফোন দিল যেসময় দিগন্তের মেজাজ ভালো নেই। ধরতে না চেয়েও ধরলো ও। কানে ঠেকিয়ে বললো,
‘ কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। কাজ আছে। ’

অপরপাশ থেকে কিছু না বলে খট করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলো বেলা। সরু চোখে ফোনের দিকে তাকালো দিগন্ত। আবারো কল দিল। নাম্বার বন্ধ। এভাবে কয়েকবার দেওয়ার পর বুঝলো ব্লক করেছে আবার। ব্যস, দিগন্তের সব রাগ এখন বেলার উপর গিয়ে পড়লো।
বাইকের চাকায় জোরে লাথি মেরে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো,
‘ কত বড় বেয়াদব! আমাকে, এই দিগন্ত তালুকদারকে ব্লকে রাখে। নাদানের বাচ্চা! সাহস দেখায় আমাকে। থাপড়াইলেও মনের রাগ মিটে না। অসভ্য মেয়ে মানুষ! ’

সোজা বাড়িতে চলে এলো দিগন্ত। মাইশার রুমে এসে দেখলো ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। মিতালী বললো দিশা লাগিয়ে দিয়ে ঘুমিয়েছে হয়তো। দিশা আছে শুনে দিগন্তও বেশি গভীরে ভাবলো না। রুমে এসে ফ্রেশ না হয়েই শুয়ে পড়লো। গতরাতে ঘুম হয়নি, আবার সারাদিন ক্লাবে কাজ করতে হয়েছে। শরীর কুলাচ্ছে না আর।
এদিকে দিশা রুমে এসে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টের পায়নি। মিতালী মাইশার দেখার জন্য কয়েকবার ডাকলো। সারা না পেয়ে ভাবলো দুজনে ঘুমিয়ে গিয়েছে৷ তাই বাণীকে রুমে যেতে বলে নিজেও চলে গেল।

সকাল হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। ফোন স্ক্রল করতে করতে রুম থেকে বের হচ্ছে দিগন্ত। দিশার রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো। রুমের ভেতর চোখ যেতেই ভ্রুঁ জোড়ায় গাঢ় ভাজ পড়লো।
মাত্র ঘুম ভেঙ্গেছে দিশার। উঠে বসে এলোমেলো চুলে বড় বড় হাই টানছে। চোখ খুলছে আবার বন্ধ করছে। দিগন্ত ওর সামনে এসে দাঁড়ালো। ভারী গলায় বললো,
‘ এখানে কখন এসেছিস? মাইশা উঠেছে? ’

দিশা হালকা চোখ খুলে দিগন্তকে দেখে হাসলো একটু। মুখের সামনের চুলগুলো সরাতে সরাতে বললো,
‘ জানি না। ফোন নিতে এসে কখন যেন ঘুমিয়ে গেলাম টের পাই নি। মাইশার সাথে মনে হয় আম্মু আছে। ’
খটকা লাগলো দিগন্তের। বড় বড় পা ফেলে মাইশার রুমের সামনে এলো। দরজা ভেতর থেকে লাগানো। গলা উঁচিয়ে দরজায় ডাকলো দিগন্ত। কিছুক্ষণ পর খুলে গেল দরজা। সামনের মানুষকে দেখে চোখমুখে আঁধার নেমে এলো দিগন্তের। থমথমে গলায় বললো,
‘ ছাদে আয়। ’
বলে চলে গেল ও। দিগন্তের চেহারা দেখে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো রায়হান। তারপর দরজা চাপিয়ে দিয়ে দিগন্তের পিছু পিছু হাঁটা ধরলো।

ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে দুজনে। রায়হান চোখ কোচলিয়ে বললো, ‘ শালা! এতো তাড়াতাড়ি কেউ ডাকে? ’
থাবা মেরে রায়হানের বুকের কাছে মুঠো করে ধরল দিগন্ত। রাগী গলায় বললো,
‘ কি করছিস এখানে? ওর রুমে কিভাবে এলি? ’
বিস্তর হাসলো রায়হান। ঝটকা মেরে দিগন্তের হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,
‘ কচি খোকা তুমি? জামাইরে কও বউয়ের ঘরে কি করে? রুমে চল। দেখাই কি করতেছিলাম। ’
রায়হানের মুখ বরাবর পড়লো এক ঘুষি। হিসহিসিয়ে বললো দিগন্ত, ‘ কিসের বউ জামাই? হারামজাদা। কোনো বউ নাই তোর। ’

রায়হান কিছুটা ভাব নিয়ে বললো,‘ আহারে জ্বলে? দেখছো না মামাহ! বউ এখনো ঘুমায়। বিয়ে করে কামও সাইরালাইছি। কত ফাস্ট আমি। আবার বলে বউ নাই। হেহ! ’
ত্যাড়া গলায় গর্জে উঠলো দিগন্ত, ‘ ছোট ও। মারে ফেলবো কিন্তু। কি করছিস? ’
দাঁত কপাটি বের করে রায়হান বললো,‘ আবার জিগায়। তুই না ওর ভাই লাগোস? আচ্ছা ছাড়। আয় দোস্ত কানে কানে বলতেছি। আমার আবার সরম বেশি জানিস তো। ’
বলে দিগন্তের কাছে এগিয়ে এলো রায়হান। রায়হানকে ধাক্কা মেরে দুকদম পিছিয়ে গিয়ে চেঁচালো দিগন্ত, ‘ এই সর। বেসরমের মতো দাঁত কেলাবি না। বিরক্ত লাগে। ফালতু না বকে আগে কামাই কর। ততোদিন দূরে থাকবি মাইশার থেকে। ’

‘ এহহ! শালা ইতর। সব জানেও ইচ্ছা করে এতোদিন চুপ ছিলি। বেশি হিংসা করিস যে। এজন্যই এখনো কপালে বউ জুটে নাই। কোলবালিশ নিয়ে ঘুমাও শালা। ’
ভাবগম্ভীর গলায় দিগন্ত বললো, ‘ রায়হান, আমি সিরিয়াস। মাইশার লাইফস্টাইল আলাদা। দুই মা-মেয়ের নিজের বলতে কিছু নেই। সাফার করেছে অনেক। টেক মী সিরিয়াস। ’
রেলিং এ দুহাতের ভর দিয়ে দাঁড়ালো রায়হান। দিগন্তের থেকে চোখ ফিরিয়ে বাহিরের দিকে তাকালো। শান্ত স্বরে বললো,
‘ শুন একটা জরুরি কথা ছিল। ’
‘ কি? ’
‘ আমি বাইক নিয়ে আসছি। ততোক্ষনে তুই মিষ্টি নিয়ে আয়। পি.জে স্যারকে সুখবর দিতে যাবো। খুব জরুরি। ’
শক্ত হয়ে এলো দিগন্তের চোয়াল। পা উঁচিয়ে এক লাথি বসালো রায়হানের পেছনে। পিঞ্চ করে বললো,
‘ মিষ্টি কেনার মুরাদ নাই। আসছে বউ নিতে। ’
রায়হান সরু চোখ করে বললো, ‘ বুঝলি না। না বুঝেই লাথি দিলি। দাম দে শালা! দাম দে। এখন থেকে ভাই ভাই করে সম্মান দিয়ে চলবি। ’

রায়হানের কথা শেষ হতে না হতেই আরেক লাথি পড়লো। দিগন্ত ত্যাদড় গলায় বললো,
‘ দু আনার হলো, কি হলো না দশ আনার ফুটানি! বা* দিবো তোমাকে। ’
চোখমুখ কুঁচকে নিল রায়হান। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ মন ফুরফুরা। ভেজাল করিস না। মিষ্টি নিয়ে আয়। ভার্সিটি যাবো। ’
‘ পারব না। ’
বাঁকা হাসলো রায়হান। ঠোঁট চোখা করে দিগন্তের দিকে শব্দ করে একটা চুমু ছুড়ে দিয়ে বললো,
‘ পারবি, পারবি। শুভ কাজ করতে যাচ্ছি। প্রেমও করবো। কামাইও করবো। তোকে মামাও বানাবো। যাহ! ভালো মিষ্টি নিবি। ’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩৮

বলে আর দাঁড়ালো না। ঝটপট পা ফেলে চলে গেল।
দিগন্ত দুপাশে না ভঙ্গিতে মাথা নাড়িয়ে ত্যক্ত গলায় বললো,
‘ সুবিধাবাদী শালা। ’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩৯