দীঘির জলে কার ছায়া পর্ব ৭
অবন্তিকা তৃপ্তি
অনিরূপ গাড়ি থেকে নামার পরপর থানা গেইটের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল অফিসারের অগোচরে ফিসফিস করে সালাম করলো তাকে। অনিরূপ এসব দেখেও না, সে শার্টের সামনের দুটো বোতাম খুলে হেঁটে এসে আশার দিকের দরজা খুলে দেয়। আশা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়, অনিরূপ আশার দিকে ডান হাত বাড়িয়ে দিয়ে মৃদ্যু হেসে শোধায়-‘হোল্ড মাই হ্যান্ড, ম্যাই লেডি।’
আশা কিছুক্ষণ অনিরূপের দিকে চেয়ে থাকে, তারপর অনিরূপকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ছটফট পায়ে এগিয়ে যায় থানার গেইটের দিকে। অনিরূপ বাড়িয়ে দেওয়া হাত মুষ্টিবদ্ধ করে, চোখ বুজে মাথা নিচু করে অপমানটুকু হজম করে ফেলে জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস নিলো। তারপর আশার পিছু পিছু এগিয়ে যায়।
আশা সরাসরি ইমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়, হাঁপাতে হাঁপাতে বলে-‘আমি আব্বার সঙ্গে দেখা করবো।’
ইমাদ হাতের ফাইল বেহুদা দেখতে দেখতে গা ছাড়া ভাবে বললো-‘টাকা আনো আগে, যাও।’
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আশা কিছু বলবে, তার আগেই পেছন থেকে অনিরূপ রাজকীয়ভাবে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো-‘ এই যে টাকা।’
ইমাদ আশাকে পাশ কাটিয়ে সামনে তাকায়, অনিরূপকে দেখে ইমাদ চোখ বড়বড় করে চায়, মাথায় যেন বাজ পড়ে। সঙ্গেসঙ্গে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্যালুট করে অনিরূপকে-‘স্যার আপনি আমার থানায়?’
অনিরূপ হালকা হাসে। ইমাদের সামনে এসে দাঁড়ালে ইমাদ কনস্টেবলের দিকে ইশারা করে। একজন কনস্টেবল এসে চেয়ার এগিয়ে দেয় অনিরূপের দিকে। অনিরূপ এবারেও হালকা হেসে, তারপর পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে বসে। ইমাদ এখনো দাঁড়িয়ে। অনিরূপ বললো-‘বসো।’
ইমাদের কপালে ঘাম জমে গেছে ভয়ে-আতঙ্কে। অনিরূপ এখানে কেনো? অনিরূপ শেখ জয়? কী দরকার তার থানায়? অনিরূপের বসার কথা শুনে ইমাদ বসতে চইল চেয়ারে। বসতে যাবে, তার আগেই অনিরূপ বলে উঠে-‘তুমি না। আমার বৌকে বসতে বলেছি।’
ইমাদ অপমানিত হয়ে আবারও সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।’বউ’? কে বৌ? ইমাদ আশেপাশে তাকিয়ে অনিরূপের বৌকে খুঁজে। তার মাথাতেও আসেনি, আশার মতো সাধারণ কেউ দ্য গ্রেট অনিরূপ শেখ জয়ের বৌ হতে পারে। অনিরূপার কথা শুনে আশা চেয়ারে বসলো। সঙ্গেসঙ্গে ইমাদের ভ্রু কুঁচকে গেল। আশা চেয়ারে বসে ভ্রু নাড়িয়ে ইমাদের দিকে চেয়ে রইলো। ইমাদ এবার বুঝে, আশা আর কেউ না, অনিরূপ স্যারের বৌ। ইমাদ নিচু আওয়াজে গলা কেশে না চাইতেও বলে-‘আসলামুয়ায়কুম ম্যাডাম।’
ইমাদ ভয়ে মরা মাছের ন্যায় ভেতরে ভেতরে ছটফট করছে। আশাকে সে কুপ্রস্তাব দিয়েছে? অনিরুপ যদি কোনভাবে সেটা জেনে যায়? না, না। জানবে কেন?সেসময় তো শুধু আশা ও ইমাদের মধ্যে কথা চলছিল। আশেপাশে তো কেউই ছিলো না। কথা লিক হওয়ার চান্স নেই। অনিরুপ স্যার জানবেই না কিছু। ইমাদ নিজেই নিজেকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে বারবার। ইমাদ দাঁড়িয়ে থেকেই বললো-‘স্যার, ম্যাডাম। কী খাবেন বলুন। আমি এক্ষুনি আনাচ্ছি। প্রথমবার আমার থানায় এলেন।’
অনিরুপ হালকা হাসল।সহসা স্বাভাবিক ভাবেই বললো-‘চা আনাও। শ্বশুর মশাইয়ের সঙ্গে আজ একসঙ্গে চা খাওয়া যাক। কী বলো বৌ?’
অনিরূপ বারবার আশাকে ‘বৌ’ বলে ডাকছে, আদর-আহ্লাদ উপচে পড়ছে আজ। আশা মহা বিরক্ত অনিরূপের উপর। তবে আশা কী জানে? অনিরূপ আজ ভীষণ খুশি? ‘বৌ’ কথাটা বলার সময় অনিরুপের ভীষণ মজা লাগছে আজ? শান্তি অনুভব করছে সে ভীষণ?এই যে আশা অনিরূপের উপর চূড়ান্ত বিরক্ত- এই বিরক্তিবতি আশাকে দেখে অনিরূপের বুকের ধারকান বেড়ে যায়, লোভ লাগে পাশে থাকা ‘বৌ আশাকে’ ছুয়ে দিতে। এসব তো পোউর আশা জানলোই না।
অনিরূপের আকাশ-কুসুম ভাবনায় মত্ত। তবে- আশার চোখে মুখে বিষণ্ণতা। আশা মিহি স্বরে ‘হ্যা’ বলেছিল। শ্বশুর মশাইর সঙ্গে চা খাবে? আহা, কী মায়া? এই মায়া আগে কোথায় ছিল? যখন মিথ্যা মামলায় আশার বাবাকে ফাঁসিয়েছিল অনিরূপ। আশার এত ভোগান্তির পেছনে তো অনিরূপই দায়ি। আশা কী এসব কিছু কখনোই জানবে না?
অনিরুপ হাসলো, অবশ্যই জানবে। অনিরূপ নিজের কৃতকর্ম আশাকে নিজের জবানে বলব একদিন।
ইমাদ একসঙ্গে তিনকাপ চা পাঠাতে বললো। তারপর অনিরূপের দিকে চেয়ে বললো-‘স্যার, ম্যাডামের বাবার জামিন করা লাগবে। তাহলে উনি ছাড়া পাবেন।’
অনিরুপ কথাটা শোনার সংহেসঙ্গে আগুন চোখে তাকালো ইমাদের দিকে। ইমাদ ওই তাকানো দেখে ভয়ে দু কদম পিছিয়ে গিয়ে বললো-‘স্যার এটা রু ল স।’
অনিরূপ কিছু বলবে, তার আগে আশা হালকা আওয়াজে বলে উঠে-‘টাকাগুলো দিয়ে দিন উনাকে। আমি কোনো ঝামেলা বাড়াতে চাইনা।’
আশার কথা শুনে ইমাদ রুমাল দিয়ে ঘাম মুছে কপালের। অনিরূপ আশার দিকে চায়, তারপর আশার কাবিনের টাকার চেক ছিঁড়ে ইমাদের হাতে দিল। বললো-‘মোড়লের হাতে পৌঁছে যেন টাকাটা।’
ইমাদ সঙ্গেসঙ্গে কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বললো- ‘‘অবশ্যই স্যার। আমি এক্ষুনি পৌঁছে দিচ্ছি।’
টাকাগুলো এখন ইমাদের হাতে। আশা ওই টাকাগুলোর দিকে চেয়ে কড়া কণ্ঠে বললো-‘আব্বাকে কয়েদমুক্ত করুণ , এক্ষুনি।’.
আশার গলার ধ্বনি তীব্র, কন্ঠে তেজ। ইমাদ সঙ্গেসঙ্গে নিজে গেলো রহমান সাহেবকে লকআপ থেকে ছাড়াতে।
রহমান সাহেব ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে এলেন লকাপ থেকে। আশা এতদিন পর আব্বাকে দেখে দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে তাকে। জড়িয়ে ধরেই শক্ত মানুষিকতার আশা নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলো না, ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে-‘আব্বা, তুমি আর কক্ষণো টাকা সুদ নিবে না। এবারেই শেষ। বুঝো না কেন তুমি, আমাদের দু বোনের জীবনে তুমি ছাড়া আর কেউই নেই আব্বা, কেউই নেই।’
রহমান সাহেবও ক্লান্ত হেসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে রাখেন। আশা বাবার পিঠের ফতুয়া খামছে ধরে ইমাদের দিকে চায়। ও হাপাচ্ছে ভীষণ। ইমাদের চোখে অসহায়ত্ব-বিষণ্ণতা। রহমান শাহবেব আশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ক্লান্তি গলায় শোধালেন-‘কাঁদে না আম্মা। থামো এখন।আমি আসছি না? আসছি তো ফিরে।’
রহমান সাহেব হঠাৎ এবার অনিরূপের দিকে চান। অনিরূপকে এখানে দেখে তিনি অবাক হয়েছেন, আশার সঙ্গে অনিরূপ কী করছে?রহমান অনিরূপকে দেখে এবার আশার দিকে তাকান। আশা বাবার প্রশ্নবোধক চোখের দৃষ্টি বুঝে, ঠোঁট জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে গিলে জানাল-‘ওনার সাহায্যে পুলিশ তোমাকে ছেড়েছে।’
রহমান সাহেব আর কিছু বললেন না। আশা বাবার বুক থেকে সরে দাঁড়ায়। রহমাম সাহেবার ময়লাযুক্ত ফতুয়ায় হাত বুলিয়ে, আবার মুখের খোঁচা দাঁড়ি ছুয়ে কান্নামাখা গলায় বলে-‘ময়লা লেগে আছে পুরো গায়ে। বাড়ি গিয়েই গোসল করবে আব্বা।’
‘করবো আম্মা।’
অনিরূপ আশা-রহমান সাহেবার দিকে চেয়ে থাকে অপলক। বাবা-মেয়ের দৃশ্য দেখে অনিরূপ হালকা হাসে। তার আর আশার মেয়ে বাচ্চা হলে অনিরূপও নিশ্চয়ই এভাবেই আদর করবে নিজের মেয়েকে। তবে এটাতে পার্থক্য আছে। তবে অনিরুপ রহমান সাহেবের মতো কখনোই এতটা অসহায় হবে না।
অনিরুপ এবার ইমাদের দিকে চায়। ইমাদও ফাঁকা ঢোক গিলে অনিরূপের দিকে চায়। অনিরুপ ধীর পায়ে ইমাদের দিকে দু কদম এগিয়ে এসে, একটা বিকট থা প্পড় বসায় ইমাদের গালে। থা প্পড় মারার শব্দে আশা চমকে উঠে পেছনে তাকাল। ইমাদ গালে হাত দিয়ে থম হয়ে বসে আছে। অনিরূপের চোখে-মুখে হিংস্রতা। অদ্ভুত এক প্রতিশোধ। ইমাদের থাপ্পরের আওয়াজ শুনে কনস্টেবলরা সবাই ভয়ে সেটিয়ে গিয়ে দূরে সরে যায়। ইমাদ অনিরূপের দিকে শান্ত চোখে চেয়ে জিজ্ঞেস করে-‘থাপ্পরটা কিসের জন্যে?’
আশা এগিয়ে যায় অনিরুপের দিকে। অনিরূপ আশাকে পাশ কাটিয়ে দু কদম এগিয়ে আসে। ইমাদের কলার খামছে ধরে আঙুলের ফাঁকে, কানের কাছে ফিসফিস করে শোধায়-‘এত কেবল শুরু। বাকিটা এখনও তোমার কপাল নাচছে। আমার বৌ ওটা, অনিরূপের বৌ। আমার বৌর দিকে আঙুল বা চোখ তোলা মানুষকে অনিরূপ ছেড়ে দেয় না কখনোই। শুরুটা থা প্পড় দিয়েই করলাম ই মা দ।’
থাপ্পড়টা কেবল শুরু? ইমাদ সবার সামনে এমন ঘোর অপমানে রেগে চোখ লাল করে অনিরূপের দিকে তাকাল। আশার সঙ্গে তার যে গোপন কথা হয়েছে, সেগুলো কে পাচার করেছে? সর্ষের মধ্যে যেমন ভূত থাকে, তাহলে নিশ্চয় থানার মধ্যেই মেইন কালপ্রিট আছে। সে তো দেখে নিবে সবাইকে। ইমাদ চুপ করে অনিরূপের সামনে থেকে বেরিয়ে থানার বাইরে চলে গেলো।
আশা চুপচাপ এতোক্ষণ অনিরূপকে দেখছিল। অনিরূপ তার হাত টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে মৃদু হেসে আশার দিকে চেয়ে বললো-‘চেয়ার্স অ্যাপ তো করলেই না বৌ, উল্টো আটকাতে এলে। ভেরি ব্যাড।’
আশা অনিরূপের দিকে চেয়ে বললো-‘পুলিশের গায়ে হাত তোলা অনুচিত। ওরা আইনের রক্ষক।’
অনিরূপ আশার দিকে চেয়ে হালকা হেসে বললো-‘সাথে আইনের ভক্ষকও। তোমার দেখি খুব মায়া জন্মেছে ওই ইমাদের বাচ্চার জন্যে। শোনো, যত মায়া আছে আমাকে দেখাও। আর কাউকে না।মায়া দেখানোর জন্যে আস্ত বরকে কী কখনও চোখে পড়ে না তোমার?’
আশা মুখ ঝাঁমটি দিলো। ন্যাকামি শুরু হয়েছে তার? অসহ্যকর একটা পুরুষ! অনিরূপ বুকে হাত চেপে আশার দিকে চেয়ে থাকল।
রহমান সাহবকে বাড়ি আনা হয়েছে আজ প্রায় দুদিন। রহমান সাহেব এখন বেশ সুস্থ। ধানের কাজ আবার শুরু করেছেন। আশার টাকা ছিনতাই হওয়ার বিষয়ে উনি এখনো জানেন না। তাই আসার পর থেকে আশাকে গালাগালি করছেন- বিয়ের জন্যে জমানো এতোগুলো টাকা কেন দিয়ে দিল। আশা-নিধি চুপ করে এসব শুনছে। মূলত, এসব রহমানের মুখের কথা, ভেতরে ভেতরে মেয়েদের প্রতি তিনি দারুণ সন্তষ্ট।
মেয়েরা তার মুক্তির জন্যে এত কস্ট করেছে, যা একজন ছেলে হয়েও কেউ করবে না। তার মেয়েরাই তার ছেলের অভাব পূরণ করেছে।
আশা-অনিরুপের বিয়ের কথা একমাত্র নিধি জানে। নিধি প্রথমে এটা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলেও পরবর্তীতে বুঝতে পারে, আশা তার জায়গায় ঠিক। এমন একটা পরিস্থিতিতে আশা বিপাকে ছিল।তাই আর কথা বাড়ায় না সে।
আশার ফোন নেই। তাই দেখা যায়, অনিরুপ নিধির ফোনে কল করে আশাকে চায়। আপাতত, আশা তার ছোট বেডরুমের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কলে অনিরূপ। অনিরূপ আজ ভীষণ রেগে। দুদিন হয়ে গেলো। তাদের ঝাঁকঝমক করে বিয়ের কথা আশা প্রায় ভুলতে বসেছে। অনিরূপ রেগে চিৎকার করছে ভীষণ।আশা মিছামিছি শান্ত করার চেষ্টা করছে অনিরূপকে। তার মাথায় চলছে আরেকটা পরিকল্পনা। যেসব সে অনিরূপকে বলতে চায়না। অনিরূপ একপর্যায় রেগে বলে উঠলো- ‘তুমি এবার বাড়াবাড়ি করছো বৌ। আমাকে বাধ্য করো না, শ্বশুর মশাইকে সব বলে দেওয়ার জন্য। কালকের মধ্যে আমার ‘হ্যাঁ’ চাই উত্তর।’
-‘বলে দিন। আমাকে সবার চোখে মেইন কালপ্রিট করে যদি আপনার খুশি মেলে তবে তাই করুন।’
আশা তারপর নিজে আর কিছু না বলে কল কেটে দেয়। অতঃপর অনিরূপের কল আসে, একটার পর একটা। সারারাত ধরে। আশা ফোন পাশে রেখে চুপচাপ জানালার দিকে চেয়ে থাকে। একটা সময়, এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরে চোখ থেকে। জীবন তাকে এই কোন পরিস্থিতিতে এনে ফেলেছে? ধিক্কার!
—‘আশা…’
রহমান ডাকতে ডাকতে আশার রুমে ঢুকলেন। আশা সঙ্গেসঙ্গে চোখের জল মুছে পেছন ফিরলো। রহমান সাহেব আজ অস্থির-অশান্ত। তিনি ঘরে ঢুকেই শুরুতেই প্রশ্ন করে বসলেন-‘ তুমি নাকি অনুরূপকে বিয়ে করতে চাও।’
আশা থমথমে মুখে রহমানের দিকে চেয়ে থাকে। রহমান সাহেব উত্তর না পেয়ে প্রায় ধমকে উঠেন-‘উত্তর দিচ্ছো না কেন?’
দীঘির জলে কার ছায়া পর্ব ৬
আশা শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো-‘তোমাকে কে বলেছে এ কথা?’
রহমান উত্তর দিলেন-‘অনিরুপ কল করেছে আমায়।’
আশা কিছুক্ষণ সময় নিলো। আশপাশ ভেবে, সবকিছু বুঝেশুনে দেখে ও। তারপর বুদ্ধিমান আশা বাঁকা হেসে মাথা নড়লো-‘হ্যাঁ, আমি চাইছি।’