দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৬৫

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৬৫
তাসফিয়া হাসান তুরফা

হাসি-গল্প ও খাওয়াদাওয়ার মধ্য দিয়ে রেস্টুরেন্টে বসেই তালুকদার ফ্যামিলি রাত বাজে সাড়ে ১১টা বাজিয়ে দিলো। সবার খাওয়া শেষ হওয়ায় নিশীথ হাতঘড়িতে সময় দেখে নিলো। ভালোই রাত হয়েছে। গুলশান থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে ১২টা পার হয়ে যাবে নিশ্চিত। তার মধ্যে ওর সাথে দোলা থাকায় স্বাভাবিকভাবেই নিশীথ আগেভাগেই উঠে গেলো। বাসায় যাওয়ার জন্য তাড়া দিলো দোলাকে, যে কিনা ওর শাশুড়ীর সাথে গল্প করতে ব্যস্ত ছিলো।

—এসব গল্প পরেও করতে পারবে, দোলনচাঁপা। এখন উঠো, অনেক রাত হয়ে গেছে!
কিন্তু দোলার এখনি উঠতে মন চাচ্ছেনা। শাশুড়ির সাথে ওর গল্পটা এখন একদম মাখো মাখো পর্যায়ে চলে গেছে। ও কাচুমাচু করে বললো,
—আর দশটা মিনিট থাকি প্লিজ? সবার সাথেই না হয় বের হবোনি আমরা!
—সবাই গাড়িতে যাবে। ওদের টেনশন নেই, আমাদের আছে। উ’বার পাচ্ছিনা এমনিতেই। এখন বাইরে যেয়ে দেখছি কোনো সিএনজি পাই কিনা!
—সেকি নিশীথ? তুই এই রাতের বেলা নাতবৌ কে নিয়ে সিএনজিতে যাবি? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
ইউনুস সাহেব বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন করলেন। নিশীথ গোমড়া মুখে বললো,
—গাড়িতেই যেতে চাচ্ছিলাম, দাদু। কিছুক্ষণ থেকেই ট্রাই করছি পাচ্ছিনা একটাও। এজন্যই সিএনজির কথা ভাবছিলাম।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

—যা মন চায় তা ভাবলেই তো আর চলবেনা। চারপাশের পরিস্থিতিও বিবেচনা করতে হবে। এখন দেশের পরিস্থিতি কত খারাপ, তার মধ্যে তুমি কোন আক্কেলে দোলনচাঁপাকে নিয়ে সিএনজিতে যেতে চাইছো আমি বুঝলাম না! একটা সেফটির ব্যাপার আছে!
আয়মান সাহেব বলে উঠলেন মাঝখান দিয়ে। দোলা চমকে উঠলো তার কথায়। শশুড়মশাই ওকে নিয়ে চিন্তা করছেন? ও কি ঠিক শুনলো কানে? তবে মনে মনে খুশিও হলো বটে! এদিকে আয়মান সাহেবের কথায় দোলা অবাক হলেও নিশীথ খানিকটা বিরক্ত হয়। সবার কথা শুনে মনে হলো,মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি প্রবাদ যে লিখেছে একদম ঠিকই লিখেছে! ওর বউকে নিয়ে ওর চেয়ে বাকি সবার চিন্তাই যেন বেশি মনে হচ্ছে!
নিশীথ আর ভনিতা না করে সরাসরি বললো,

—আমি দোলনচাঁপাকে নিয়ে আপনাদের চিন্তাকে সম্মান করি। বাট ট্রাস্ট মি, নিশীথ থাকতে ওর বউকে কেউ হাত লাগানো তো দূরের কথা, ফুলের টোকাও দিতে পারবেনা।
নিশীথ থেমে হঠাৎ কি মনে করে আয়মান সাহেবের দিকে ঘুরে বললো,
—আর অন্যকেউ না বুঝলেও এটুকু তো এতদিনে আপনার এটলিস্ট বুঝে যাওয়ার কথা?
ছেলে কি বুঝাতে চাইছে বুঝে আয়মান সাহেব কড়া চোখে তাকালেন নিশীথের দিকে। নিশীথ গাছাড়া ভাবে তাকিয়ে চলে গেলো সিএনজি আনতে। আয়মান সাহেবও ড্রাইভারকে কল করে গাড়ি সামনে এগোতে বললেন। মিনিট দশেক পড়ে নিশীথ সিএনজি ঠিক করে ফিরে এলে আসমা বেগম বললেন,

—নিশীথ, তুই চলে যা। দোলা আমাদের সাথে গাড়িতে যাবে!
—গাড়িতে কিভাবে, মা? জায়গাই হবেনা তো ওর!
—হবে। যেভাবেই হোক আমি কিছুতেই দোলাকে এ সময় সিএনজিতে যেতে দেবোনা!
নিশান পাশ থেকে বলে ওঠে।
—আমি তোর সাথে সিএনজিতে যাচ্ছি। দোলা গাড়িতে যাক। এ সময় অন্তত ওকে নিয়ে সিএনজিতে যাস না!
এতক্ষণ সবার কথা ফেললেও এবার ভাইয়ের কথা নিশীথ আর ফেলতে পারলোনা। এরা সবাই পালাক্রমে যুক্তিবিদ্যা নিয়ে বসেছে। ও কিছু বলতেই উল্টোদিক থেকে জবাব প্রস্তুত ভেসে আসছে। অবশ্য একদিক থেকে নিশীথ খুশিই হলো বটে। ওর দোলার প্রতি ওর পরিবারের চিন্তা দেখে! বিশেষ করে বাবার থেকে এটা সে আশা করেনি। তাই খুশির পাশাপাশি অনেকটাই অবাক হয়েছে।

অগত্যা দোলাকে গাড়িতে যেতে দিয়ে ও আর নিশান সিএনজি করে রওনা হলো।
দোলা বহুদিন পর শশুড়বাড়ি এসেছে। বাড়িতে প্রবেশ করতেই বিয়ের পরমুহূর্তের কিছু স্মৃতি ওর গা চাড়া দিয়ে উঠলো। সেই যে নতুন বিয়ে করে এসেছিলো এ বাসায়। তখনো ভাবেনি এত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বিদায় নিতে হবে! আর আজ এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ে বাসায় এসে আরও অদ্ভুত লাগছে ওর! আসমা বেগম দোলার মনের অবস্থা বুঝলেন। ওর হাতে হাত রেখে প্রশ্ন করলেন,
—কি হয়েছে? খারাপ লাগছে?
দোলা মাথা নেড়ে বললো,

—খারাপ লাগছেনা, মা। তবে সত্যি বলতে একটু অদ্ভুত লাগছে। মাসখানেকের পর এ বাসায় এলাম..
—এ বাসা আবার কি? তোর বাসা এটা! নিজের বাসায় এসে অদ্ভুত লাগার কিছুই নেই, দোলা।
দোলার কথা কে’টে আসমা বেগম বললেন। শাশুড়ীর কথায় দোলা মৃদু হাসলো শুধু। নিচু স্বরে বললো,
—উনি যেখানে আমার বাসা সেখানেই, মা!
দোলার কথাটা আসমা বেগমের খুব মনে ধরলো। উনি মনে মনে পুত্রবধূর উপর বেশ প্রসন্ন হলেন! মুচকি হেসে ওর গালে হালকা চাপড় মেরে বললেন,
—বাব্বাহ! এত ভালোবাসা আমার ছেলের প্রতি?

—নিশীথ যত ভালোবাসেন তার তুলনায় আমার ভালোবাসা কম পড়ে যায়!
দোলা “না-সূচক” মাথা নেড়ে জবাব দেয়। আসমা বেগম হেসে বললেন,
—দুই পক্ষ থেকে ভালোবাসা এলে তা কখনোই কম পড়েনা রে, মা। অবশ্য শুধু এক পক্ষ থেকে হলে আলাদা কথা!
দোলা মনোযোগ দিয়ে শাশুড়ীর কথা শুনছিলো। উনার শেষের কথাটা বুঝতে না পারায় শুধালো,
—বুঝলাম না, মা

আসমা বেগম মুখ খুলবেন তার আগেই ইউনুস সাহেব এলেন ওখানে। চিন্তিত মুখে ঘড়ি দেখে বললেন,
—আমার নাতিরা এখনো আসেনি? একটা কল দাও ওদের। রাত তো অনেক হয়ে গেলো, টেনশন হচ্ছে তো!
—ফোন দিয়েছিলাম, আব্বা। কিছুক্ষণের মাঝেই এসে পড়বে ওরা!
আসমা বেগম বললেন এবং দেখা গেলো উনার কথা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কলিংবেলের আওয়াজ এলো। তিনি হেসে দরজা খুলে দিতেই দুই ছেলে বাসায় ঢুকলো। আসমা বেগম দেখলেন তার ছেলেরা কাকভেজা হয়ে এসেছে। উদ্বিগ্ন তিনি বললেন,
—কিরে! তোরা এমন ভিজে গেলি কিভাবে? বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে নাকি?
আসমা বেগমের চিৎকারে কাজের মেয়ে দৌড়ে এসে দুই ভাইকে টাওয়াল এগিয়ে দিতেই নিশান মাথা মুছতে মুছতে বললো,

—শুধু বৃষ্টি না, মা। ঝড় হচ্ছে রীতিমতো। দরজা জানলা লাগানো থাকায় তোমরা টের পাচ্ছোনা বাইরে কি অবস্থা হচ্ছে!
—কি বলছেন ভাইয়া! আমরা বাসায় ঢোকার সময় তো আকাশ ডাকছিলো শুধু।
—সত্যি বলছি, দোলা। বিশ্বাস না হলে তোমার বরকে জিজ্ঞেস করো!
দোলা লজ্জিত হয়ে বললো,
—না না অবিশ্বাস করবো কেন? আমি তো এমনিই বলছিলাম!
এমন সময় আয়মান সাহেব আসলেন ওখানে। তাকে লক্ষ্য করে নিশীথ বললো,
—আকাশ হচ্ছে মানুষের মনের মতো বুঝলে, দোলনচাঁপা? এই ভালো তো এই কালো!
নিশীথের কথা শুনে পাশ থেকে নিশান অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। আয়মান সাহেব গম্ভীর মুখে বললেন,
—বাইরে এত ঝড়-বৃষ্টি, তার সাথে পাল্লা দিয়ে চমকাচ্ছে বিদ্যুৎ! এর মধ্যে মানুষ বের হবে কিভাবে?
তিনি স্বাভাবিক ভাবে কথা বল্লেও তিনি আদৌ কোন কারণে এ কথাটা বললেন তা আর কেউ না বুঝলেও নিশান ঠিকি বুঝলো। ও মাথা নেড়ে বললো,

—বাবার কথায় পয়েন্ট আছে! প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে, নিশীথ। ভোরের আগে থামবে বলে মনে হচ্ছেনা। তুই কিভাবে যাবি এর মধ্যে? তোরা আজ থেকে যা এখানে!
নিশানের সাথে তাল মিলিয়ে গদগদ স্বরে আসমা বেগমও সায় দিলেন।
—হ্যাঁ, নিশান একদম ঠিক বলেছে। আজ রাতে তোদের যাওয়াটা কোনোভাবেই উচিত হবেনা। তোরা এখানেই থাক। আমি এক্ষুনি রুমাকে বলে তোদের রুম গুছিয়ে দিচ্ছি!
—মা, ভাইয়া তোমরা থামো। এত প্যারা নেওয়ার কিছু নাই। একটুপরেই ঝড় থেমে যাবে। আমাদের বাসা এতটাও দূরে নয়। রাত হলেও ইজিলি যেতে পারবো এখান থেকে ওখানে।

আয়মান সাহেব বড্ড বিরক্ত হলেন নিশীথের কথায়। সেই সন্ধ্যা থেকে ছেলেটা এমন করছে। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সময় নিশান বলেছিলো দুইটা গাড়ি নিয়ে বের হবে তাহলে সবাই যেতে পারবে গাড়িতে। নিশীথ রাজি হয়নি, দোলাকে নিয়ে উবারে চলে গেছে একাই। আবার রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোনোর টাইমেও কেমন ঘাড়ত্যাড়ামো করলো। অতদূর পর্যন্ত তো তাও মানা যায়। কিন্তু এবার ও বড্ড বেশি বেশি করছে। এই রাত ১টার সময় ঝড়-বৃষ্টির মাঝে নিজের বাসা ছেড়ে কেন ওই বাসায় যেতে হবে? আয়মান সাহেব কিছু বলেন না দেখে ফাইজলামি পেয়েছে নাকি সবকিছু? আয়মান সাহেব আশা করলেন তার বাবা কিছু বলবে। দাদুর কথা নির্ঘাত নিশীথ ফেলতে পারবেনা। অতএব উনি আশার সহিত ইউনুস সাহেবের দিকে চেয়ে রইলেন। অথচ তাকে অবাক করে দিয়ে ইউনুস সাহেব নিশীথকে কিচ্ছুটি বললেন না!

রাত ২টা বেজে ২০ মিনিট হয়েছে। অথচ বাসার সবাই জেগে রয়েছে। নিশীথ ও নিশান ফ্রেশ হয়ে ড্রেস পালটে কফি খেতে ব্যস্ত। দোলা একপাশে গালে হাত দিয়ে বসে আছে। বেচারির ঘুম ধরেছে, ঘুমে ঢলে পড়বে পড়বে ভাব। এমন সময় মাথায় কারও হাতের স্পর্শে চমকে উঠলো সে। পাশ ফিরে দোলা দেখলো নিশীথ তাকিয়ে আছে ওর দিকেই। নিশীথকে দেখে ও মুচকি হাসতেই নিশীথ নরম কণ্ঠে শুধালো,
—ঘুম ধরেছে খুব? টায়ার্ড লাগছে?
—একটু!

দোলা ক্লান্ত স্বরে বললো। নিশীথ হাসলো ওকে দেখে। বললো,
—বিছানায় শুয়ে দিলে এখনি ঘুমে তলিয়ে যাবে আবার বলছে একটু!
দোলাও হাসলো নিশীথের কথা শুনে। নিশীথ আচমকা ক্ষিপ্ত মুখে বললো,
—তখন মাতবরি করে সবার কথা শুনে আমার সাথে গেলেই এতক্ষণে আমরা বাসায় পৌছে যেতাম, তুমিও ঘুমোতে পারতে!
হুট করে নিশীথের রেগে যাওয়া দোলা আশা করেনি। ও সোজা হয়ে উঠে বসে বললো,
—রে’গে যাচ্ছেন কেন? সবাই এত করে বললো তখন তাদের সাথে না গেলে বেয়াদবি হতো।
—আর যখন নিজের শরীর খারাপ করবে তখন খুব ভালো হবে।
—কিচ্ছু হবেনা, নিশীথ। আপনি অযথাই ভাবছেন।

দোলার কথার মাঝেই নিশীথ উঠে গেলো। জানলার কাছে গিয়ে পর্দা সরিয়ে দেখলো বাইরের অবস্থা। এতক্ষণে আসমা বেগম ওদের রুম গুছিয়ে নিয়ে চলে এসেছেন ড্রয়িংরুমে। তিনি আসতেই নিশীথ বললো,
—মা, বৃষ্টি কমে গেছে। আমরা বের হয়ে যাই। এমনিতেই ভীষণ রাত হয়ে গেছে। আর ওয়েট করা ঠিক হবেনা!
—অযথা জিদ করলে একদম থাপ্পড় মারবো, নিশীথ। আমায় রাগাবি না!
—তুমি মারতে চাইলে মারো। তবুও আমি থাকতে পারবোনা, মা। আমার দিকটাও একটু বুঝার চেষ্টা করো, প্লিজ?
আসমা বেগম ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলেন। মনে মনে ফোসফাস করলেন। নিশান চুপচাপ সবকিছু লক্ষ্য করলো। নিশীথ দোলার কাছে গিয়ে বললো,
—ভালো করে গায়ে মাথায় কাপড় পেচিয়ে নাও। আমরা বের হচ্ছি এখনি।
দোলা উঠে নিজেকে ঠিকঠাক কর‍তেই নিশীথ ওর হাত ধরে বের হতে নিতেই পেছন থেকে আয়মান সাহেব গর্জে উঠলেন,

—সবকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি মানায়না, নিশীথ। কি এমন সমস্যা তোমার এ বাসায় থাকতে আমি বুঝছিনা। একটা রাতও থাকতে পারবেনা এগুলো কেমন গোড়ামি?
নিশীথ থেমে গেলো। পেছন ফিরে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,
—এটা আপনি জিজ্ঞেস করছেন?

—হ্যা, আমিই জিজ্ঞেস করছি। একটা রাতেরই তো ব্যাপার। সারাদিন টায়ার্ড থেকে ওখানে যেয়ে দুজন কখন কি করবে। তার চেয়ে এখানে সব রেডি আছে, এখানে থেকে গেলেই হয়। তাছাড়াও তোমার মা কত আশা নিয়ে রুম গুছিয়ে নিলো এ রাতের বেলা, তুমি চলে গেলে ও কষ্ট পাবে। প্লিজ আজ রাত তোমরা থেকে যাও এখানে!
নিশীথের পাশাপাশি আসমা বেগমও বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকালেন আয়মান সাহেবের দিকে। তা খেয়াল করে আয়মান সাহেব খানিকটা বিব্রত হলেন বটে। নিশীথ এতটাই অবাক হলো যে নিজ হতেই দোলার হাত ছেড়ে দিলো বিস্ময়ে। আয়মান সাহেব ইতস্ততবোধ করে চলে গেলেন রুমে। আসমা বেগম নিশীথের পানে চেয়ে রইলেন ওর জবাবের আশায়। নিশীথ মিনিট পাঁচেক শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো। নিশান এসে ওর কাধ পেচিয়ে বললো,

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৬৪

—যার থেকে শুনতে চাইছিলি সে-ই তোকে যেতে মানা করেছে। এবার তো থেকে যা!
দোলাও আগ্রহ ভরে তাকিয়ে রইলো নিশীথের দিকে। নিশীথ ধীরগতিতে মাথা ঘুরালো দোলার দিকে। ফিসফিসিয়ে বললো,
—রুমে চলো!

দোলনচাঁপার সুবাস পর্ব ৬৬