ধূসর রংধনু পর্ব ৫১ (২)

ধূসর রংধনু পর্ব ৫১ (২)
মাহিরা ইসলাম

সুজনের কল্পনায় ওও ছিলনা এই মুহুর্তে আশাকে সে এই অবস্থায় দেখতে পাবে।
সুজনের বুকের মাঝে খানিকটা নড়ে উঠলো।
বধূ সাজে কান্না মিশ্রিত মায়াবী মুখে নববধূর চেহারার জ্যোতিতে যেন ঝলসাচ্ছে।
মেয়েটাকে কি আগেও থেকেও অধিক সুন্দর লাগছে?
কই সুজন তো আগে কখনো এভাবে খেয়াল করে দেখেনি।নাকি সে দেখতেই চায় নি?
চোখের পানি শুকিয়ে গালে লেপ্টে আছে।
নাকে নলক,গলায় হাড়, কানে দুল।সুজনের কেমন অস্থির লাগলো।
অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করলো ,

“তুমি?”
আশা কোনো জবাব দিলো না শুধু ফ্যালফ্যাল নয়নে তাকিয়েই রইলো।
সুজন কাঁপা হাতে আশার ঘোমটা খানা নামিয়ে দিলো। তার পক্ষে আর ওই মুখ দেখে শান্ত থাকা সম্ভব নয়।নিশ্চিত সে জ্ঞান হারাবে।
আশা পূর্বের ন্যায় মাথা নিচু করে বসে রইলো।
চাঁচা আক্রোশের সঙ্গে বলে উঠলো,
-” কি শুরু করেছো? কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান।”
সুজন এগিয়ে গিয়ে কাজির হাত থেকে খাতাটা নিয়ে নিলো।ওয়ার্নিং দিয়ে বলল,
-” বললাম তো কোনো বিয়ে হবে না। কথা কানে যায় না আপনার। ”
কাজী বলল

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” কিন্তু বিয়েটা তো ওনার আপনার কথা কেন শুনবো?”
সুজন চোখ গরম করে কাজীর দিকে চাইলো। ফিসফিস করে বলল,
-” কাজী সাহেব আপনি বেশি কথা বলেন।চুপচাপ বসে থাকুন। উনি যে টাকা দেবে তার থেকে দিগুণ দেব। বেশি ফটরফটর ভালো নয় কেমন।”
দিগুণ টাকার কথা শুনতেই কাজীর চোখ চকচক করে উঠলো।
” কি হলো বসুনন।”
সুজনের ধমকে কাজী মুখ কাচুমাচু করে বসে পরলো।
চাঁচা রেগে গেল। সুজনের সঙ্গে তর্কে জড়ালো।
হাঙ্গামা শুনে আশার চাঁচি এগিয়ে এলো।
সুজনের উদ্দেশ্যে বলল,

-” এই ছেলে তুমি কে? এখানে এসে এসব কেন করছো।”
সুজন রাগী দৃষ্টিতে চাঁচির দিকে চাইলো।
চাঁচি থতমত খেল সুজনের এমন দৃষ্টিতে।
সুজন কৌতুক করে বলল,
-” চাঁচাকে তার মেয়ের বয়সী একজনের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছেন চাঁচি এটা তো একদমি ঠিক নয়।
বরং আপনার আর চাঁচার বয়সটা একদম পার্ফেক্ট কম্বিনেশন। চাঁচা প্লাস চাঁচি দেখেছেন কি মিল আপনাদের একদম পার্ফেক্ট যুগলবন্দী।
চাঁচা কে আপনিই নাহয় পুনরায় বিয়ে করে নিন কেমন।”
চাঁচি বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে চাইলো।
সুজনের কথা বলার ভঙ্গিমায় ঘরে উপস্থিত সবাই
হেঁসে দিলো।
চাঁচি তেঁতে উঠে বলল,

-” ফাজলামো শুরু করেছ ছেলে। ”
সুজন দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-” ফাজলামো তো আপনারা শুরু করেছেন অবলা একটা মেয়েকে নিয়ে।”
চাঁচা তার লোকজন নিয়ে একটা বড়সড় হাঙ্গামা বাঁধিয়ে দিলেন।
সুজন তার মাঝেই একবার ইশারায় জসিমের কাছে কিছু জানতে চাইলো,
-” জসিম ইশারায় মাথা নাড়লো। ”
একপর্যায়ে চাঁচা সুজনের গালে ঘুসি মারলো।
বাহ চাঁচার হাতে তো ভালোই জোড় আছে দেখছি।
চাঁচা রেগে আবারো ঘুসি মারলো।
নাকে আসা হালকা রক্তটুকু মুছে সুজন শয়তানি হাঁসলো।
পুলিশের সাইরেন শুনে চাঁচা সতর্ক হলো।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো পালানোর পথ খুঁজতে।
সুজন তাকে পেছন থেকে জাপ্টে ধরে বলল,

-” আরে চাঁচা যে যাচ্ছেন কোথায়। আর একটু কোলাকুলি হয়ে যাক। তারপর তো শ্বশুর বাড়িই যাবেন।বিয়ের স্বাদ আপনার আজিবনের জন্য ঘুচে যাবে।ব্যস আর কিছুক্ষণ।”
চাঁচা ধস্তাধস্তি করেও ছুটতে পারলো না।
সুজন ফিসফিস করে বলল,
-” অযথা নিজের বল প্রয়োগ করবেন না চাঁচা।
জোয়ান পুরুষ মানুষের সামনে কি আর আপনার বল খাটে। একটু খাটাতে দিয়েছি বলেই খাটিয়েছেন।আর পারবেন না।সুযোগই দেব না।”
পুলিশ অফিসার সেই মুহুর্তে বাকিদের নিয়ে ঘরের ভেতরে চলে এলো।
সুজন চাঁচাকে টানতে টানতে নিয়ে এসে বলল,

-” অফিসার এই লোক… ”
সুজন বাকিটা বলার আগেই অফসার নিজে থেকে বলতে লাগলো,
-” এই লোক কে আমরা অনেকদিন যাবত খুঁজছি।৷ এদের দল কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে করে হয় তাদের জোড় করে পতিতা পল্লীতে পাঠাতো নয়তো বিদেশে পাচার করতো।”
আশার বিদ্ধস্ত মুখটা কল্পনায় ভাসতেই সুজন রাগে চাঁচার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।
এই মুহুর্তে লোকটাকে সে কয়েক ঘাঁ দিতে পারলে তবে শান্তি পেত।
সুজন ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো লোকটাকে।
বলল,
-” রাস্কেলটাকে নিয়ে যান অফিসার। ”

চাঁচা ফ্লোটে মুখ ছাবা দিয়ে পড়লো।
নাকে মুখে খানিকটা আঘাত ওও পেলো।
অফিসার কনস্টেবল দের আদেশ দিলেন ওনাকে সহ বাকিদের তুলে নিয়ে যেতে।
চাঁচা যাওয়ার সময় চিল্লিয়ে বলে গেল,
-” কমলি আমার সব টাকা পেরত দিবি তুই। তোকে আমি ছাড়বো না।আর এই যে হিরো সাহেব আপনাকেও দেখে নিবো।জসিম তুই আমার আপন মানুষ হয়েও বেইমানি করলি। সবগুলোকে দেখে নেবো।”
অফিসার সুজন আর জসিমের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে বলল,
-” দুঃখিত আমাদের খানিকটা বিড়ম্বনার জন্য আপনাকে আঘাত পেতে হলো সুজন সাহেব। ”
” ইট’স ওকে অফিসার। কোনে ব্যাপার নয়।”
অফিসার চলে যেতেই চাঁচি হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।

যদি তার নামটাও ছেলেটা বলে দিত তাহলে তো কেলেংকারী ঘটে যেত।
সুজন চাঁচির ছেলের হাঁত ধরে নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
-” আপনার নাম বলিনি মানে এই নয় আপনার সম্পর্কে কিছু জানিনা। ছেলেটাকে দেখছেন। মা হয়েও ছেলের বিশ্বাস যোগ্য হতে পারেন নি।
ছেলেটার জন্য আপনাকে এবারে কিছু বললাম না।
ওকে দেখে রাখবেন। ”

চাঁচি দুঃখিত হওয়ার ভান করে বলল,
-” বিয়েটা যে তুমি ভেঙে দিলে,না মানে, হলো না এবারে মেয়েটার কি হবে বাবা। ওকে কে বিয়ে করবে বলো?”
সুজন স্পষ্ট বুঝতে পারলো চাঁচির ইংঙ্গিত।মেয়েটাকে আর সংসারে রাখতে চাইছে না সে
পরিচিত হবার সময়ই সে বলেছিল কনের মা বাবা নেই। সে আর তার স্বামীই এখন মেয়েটার মা বাবা।
অথচ এখন সব ফুস। ফুস হবে নাই বা কেন সব তো ছিল নাটক।
সুজন কাজীর দিকে তাকাতেই কাজী নড়েচড়ে বলসো।
সুজন খানিকটা সময় নিয়ে কপাল চুলকে সুধালো,
-” কাজী সাহেব বিয়ে পড়াতে শুরু করুন।”
-” কিন্তু ওনাকে তো পুলিশ নিয়ে গেল।”
সুজন বিরক্তির স্বরে বলল,
-” বারবার বুড়োটাকে টানছেন কেন বলুন তো আমার মতো শক্ত সামর্থবান পুরুষকে দেখতে পাচ্ছেন না।”
কাজী অবাক কন্ঠে বলল,

-” আপনি আর উনি?”
সুজন মাথা নাড়লো।
চাঁচি আশ্চর্যান্নিত কন্ঠে বলল,
-” তুমি বিয়ে করবে ওই পোড়ামুখী মেয়েটাকে?”
-” হ্যাঁ কোনো সমস্যা। আর নিজের ভাষা ঠিক করুন।”
আশা চমকে তাকালো।
সেই মুহুর্তে সুজনের চোখে চোখ পরলো।
সিজন গিয়ে ঠাস করে আশার পাশে বসে পড়লো।
আশা উদ্ধিগ্ন স্বরে বলে উঠলো,
-” কিন্তু স্যার?”
-” কথা বলবে না। কবুল বলতে বললে তবেই বলবে।”
সুজন কাজীর দিকে নিজের আইডি কার্ড টা বাড়িয়ে দিতে দিতে বলল,
“কি কাজী সাহেব এদিকে কি শুনছেন?
বিয়ে পড়ান দ্রুত নতুন বউ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার তাড়া আছে।বোঝেনই তো। নিশ্চয়ই আপনারো বাড়িতে বউ অপেক্ষা করছে।”

কাজী সাহেব মনে মনে আসতাগফিরুল্লাহ পরলো।নির্লজ্জ ছেলে।
আশা তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল,
-” দয়া করছেন স্যার?এমন দয়া তো আমি চাই না।”
সুজন রেগে গেল।
আশার এক হাত চেপে ধরে হিসহিসিয়ে সুধালো,
-” ডোন্ট টক।আই রিপিট। এক থাপ্পড় মারলে সব গুলো দাঁত পড়ে যাবে।”
সুজনের হঠাৎ স্পর্শে আশা খানিকটা শিউরে উঠলো।
খানিকটা সাহস দেখালেও আশা সুজনের ধমকে
মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো।
আশা মনে মনে বলে,

-” এখন আর সাহস দেখিয়ে কি করবি আশা, দুদিন আগে তো এই সাহস টা পাস নি। কি করে পাবো।
যাকে নিজের ভাইয়ের মত স্নেহ দিয়ে বর করলো তাকে যদি খাবার না দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাহলে মন কি আর মানে। আশা বুঝে পায় না নিজের ছেলের সঙ্গে কে এমন করতে পারে।আজও এমন মানুষ জন বেঁচে আছে। আছেই তো তার চাঁচি তার প্রমাণ।”
আশা পুলুর দিকে চায়। ভাগ্যিস ভাইটা তার সঙ্গে ছিলো। তার স্নেহ করার ঋণ ভাইটা শোধ করে দিলো বুঝি।
কাজী সাহেব আড়চোঁখে চেয়ে বলল,
-” দেনমোহর কত ধার্য করিবো?”
সুজন গম্ভীর কন্ঠে বলল,
-” দশ লক্ষ সঙ্গে আমাকেও ধার্য করুন।”
কাজী হতবাক হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন। ছেলেটা এসেছে থেকে শুরু করে একের পর এক চমক দিয়েই যাচ্ছে।

আশা সুজনের এমন কথায় আশ্চর্য হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না।
বিয়েটা আরো কিছুদিন আগে হলে তার চেয়ে খুশি বোধহয় আর কেউই হতো না। তবে সে এই মুহুর্তে খুশি হতে পারছে না। নিশ্চয়ই সুজন স্যার তাকে দয়া করে বিয়ে করছে।তাছাড়া তো আর কোনো কারণ নেই।কারণ আশা তো সেদিন স্পষ্ট শুনেছিল নিস্তব্ধ তার সিজনের কথা বলার সময় সুজন অন্য কাউকে ভালোবাসে।
কাজী কবুল বলতে বললে আশা চুপ করে রইলো।
সুজন তার হাতে চাপ প্রয়োগ করে ফিসফিস করে বলল,
-” কবুল বলো। কি হলো বলো।”
সুজন চাপ বাড়ালো
আশা ব্যাথা সহ্য না পেরে একপর্যায়ে কবুল বলে দিলো।
বিয়ের শুরুটাই লোকটা ব্যাথা দিয়ে করলো।বাকিটা জনম কি হবে কে জানে।

সন্ধ্যা বেলা। ফুফু বসে আছে ড্রয়িংরুমের সোফায়।
তাসফি এসে জিজ্ঞেস করলো
“ফুপি আপনার কিছু লাগবে?
ঝাড়বাতি গুলো কি খুলে ফেলব?”
ফুফু মাথা নেড়ে বললেন,
-” না থাকুক দেখতে ভালো লাগছে।আর শোনো অনুভব কে বলো আমার রুমের ফ্যানের ব্যবস্থা করে দিতে। এসির ঠান্ডা বাতাসে আমার ঠান্ডা লেগে যায়। ”
তাসফি মাথা নাড়লো।
-” আর ওদের ফোন দিয়েছিলে? আমি এলাম আর ওদের গ্রামে যেতে হলো। আমার বাপটার সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। এত আদিক্ষেতা করার কি আছে শুধু কার্ড পাঠালেই তো হতো।”
-” আসলে গ্রামের মানুষের চিন্তা চেতনা কিছুটা ভিন্ন ধরনের তো ফুপি। তাছাড়া আপনার ভাতিজার রিসিপশন তো একবারই হবে তাই না বলুন?”
” হ্যাঁ তাতো তো বটেই আমার অনুভবের কোনো কিছুতে কমতি হলে একদম চলবে না। ওদের বলো কাজ শেষ করে দ্রুত আসতে।”

তাসফি মাথা নাড়লো।
-” মেজ বউ এখন বাপের বাড়ি কেন গিয়েছে।এখুনি কল করো ওটাকে। আমায় ধরিয়ে দাও দেখি। মেয়েটা বড্ড বেত্তুমিজ। বড়দের সম্মানই করতে জানে না। সেদিন আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় একটা সালাম পর্যন্ত দিলো না। অভদ্র মেয়ে মানুষ।”
তাসফি হাই ছাড়তে ছাড়তে ফুফুর অহেতুক কথার সঙ্গে তাল মেলাতে লাগলো।
ইচ্ছে হচ্ছে তার মহিলার চুল গুলো ধরে টেনে দেয়। এত কথা বলার কি দরকার ভাই। একটু চুপ করনা।
এই মহিলা তার পাখির বাসার থেকেও বেশি কথা বলে।
উফফ অসহ্য।

তাসফি কি যেন নিতে রুমে এসেছিস এতটুকুর মাঝেই ভুলে বসেছে।
হঠাৎ কি হলো তার।খানিকক্ষণ আগে সব জায়গায় তন্নতন্ন করে তার রান্না করা তরকারি গুলো খুঁজলো। পেলনা।
অথচ তার কেবল মনে পড়লো সেগুলো তো সে ঝটপট ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছেছিলো।
মনটার যে হঠাৎ কি হলো।
নিস্তব্ধ ল্যাপটপে রেস্টুরেন্টের হিসাব গুলো দেখছিলো। আর আড় চোখে তাসফিকে পরখ করছিলো।
তাসফি আবারো দ্রুত বেরিয়ে যেতে নিতেই নিস্তব্ধ ঝটপট উঠে এসে তাসফির হাত টেনে ধরলো।
দরজা চাপিয়ে দিলো।
তাসফির কোমর আঁকড়ে ধরে সুধালো,
” কি ব্যাপার বলো তো তোমার।ফুপি আসার পর থেকে দেখছি সারাক্ষণ ফুপির সঙ্গে লেগে থাকছো।
এই অবলা মানবকে তো পাত্তায় দিচ্ছো না। তারও তো একটু পাত্তা পাওয়া উচিত।রাতে ঠিকঠাক ছুঁতে পারলাম, না এখন।”
তাসফি মোচড়ামুচড়ি করে বলল,

-” ছাড়ুন। আমার নিচে কাজ আছে।”
নিস্তব্ধ তাকে আরো খানিকটা চেঁপে ধরে বলল,
-” কিসের এত কাজ তোমার? বউয়ের সব কাজ থাকবে শুধু তার স্বামীর খেদমতে।বাহিরে কিসের কাজ শুনি।”
-” কচু।তবে খাবার পেটে যাবে কেমন করে শুনি?”
নিস্তব্ধ বোকা হেঁসে মাথা চুলকালো।
” বউ?”
” বলুন।”
” আজ..”
বাকি টুকু বলার আগেই তাসফি তাকে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেল,
” অসভ্য লোক।”

যাহ বাবা অসভ্যের কি হলো। বলতে চাইছিলাম আজ রাতের খাবারর মেনু কি।
তাসফি যেতে যেতে ভেঙছি কাটলো।
নিস্তব্ধ কটমট করে চেয়ে বলল,
” রুমে আসো তোমার ভেঙচির আমি তেরোটা যদি না বানিয়েছি।”
নিস্তব্ধ’র হিসাব নিকাশের কাজ করতে করতে সময় গড়ালো অনেকটা।তার ফোন বেঁজে উঠলো।
নিস্তব্ধ রিসিভ করে এয়ারপড কানে গুজলো।
-” বল?”
” চাঁচার দোকানে আয়।এখুনি। ”
নিস্তব্ধ ভ্রু কুঁচকে বলল,
-” হোয়াট হ্যাপেন্ড?”

ধূসর রংধনু পর্ব ৫১

-” আসতে বলেছি আয় না ভাই। এত প্রশ্ন করিস না তো।”
নিস্তব্ধ কঁপাল কুঁচকে ল্যাপটপ বন্ধ করলো।
-” আসছি। জীবনে তোরা একফোটা শান্তি দিলিনা।”
সুজন দাঁত কেলিয়ে বলল,
” নিজে আছি অশান্তিতে। তোরা আর শান্তি করে কি করবি বল। একজন বলির পাঠা হওয়ার থেকে সবাই একসঙ্গেই বনবাসে চলে যাই।”
” হ্যাঁ সেই। আসছি রাখ।”

ধূসর রংধনু পর্ব ৫২