ধূসর রংধনু সারপ্রাইজ পর্ব
মাহিরা ইসলাম
সন্ধ্যার পরমুহূর্ত।সূর্যিমামা পশ্চিম আকাশে ঢলে পরেছে ঘন্টাখানেক আগেই।তারপরেও চারপাশে ভ্যাবসা গরমের আস্তরণ।
নিস্তব্ধ ঘামে ভিজে জুবুথুবু হয়ে ওসমান ভিলায় প্রবেশ করলো।
রুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়ানো রমনীকে দেখে থমকে দাঁড়ালো।মুগ্ধ চোখে চেয়ে রইলো ক্ষণপল।ক্লান্ত শরীরটা প্রিয়তমা স্ত্রীর মুখদর্শনে শান্ত হলো।
তাসফি একপলক পেছনে তাকালো।
নিস্তব্ধকে দেখে ব্যস্ত কন্ঠে সুধালো,
“ও আপনি এসে গেছেন? “
নিস্তব্ধ অস্ফটস্বরে জবাব দিলো,
” হু,কি করছিলে?”
“আশ্চর্য দেখতে পাচ্ছেন না রেডি হচ্ছি।আপনি তো বললেন রেডি হয়ে থাকতে, মার্কেটে যাবেন নাকি?”
নিস্তব্ধ মেকি হেঁসে বলল,
“ওও হ্যাঁ হ্যাঁ তাই তো।”
তাসফি তীর্যক কন্ঠে বলল,
“ দিন দিন বুড়ো হচ্ছেন আর সব ভুলে যাচ্ছেন।”
নিস্তব্ধ বিরক্তি নিয়ে সুধালো,
“ তোমায় কে বললো আমি বুড়ো হচ্ছি হুম।ছেলে মেয়ের বয়স দশ, এগারো বছর হলেই বুঝি বাবা মা বুড়ো হয়ে যায়? তুমি জানো এখনও কত কচি কচি মেয়েরা ডাক্তার নিস্তব্ধ ইয়াসারের চেম্বারে এসে লাইন লাগায়। “
তাসফি ভেঙচি কাটলো।
নিস্তব্ধ খেঁকিয়ে উঠলো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ শুনো মেয়ে একদম মুখ ভেঙাবে না, ঠোঁট কেটে হাতে ধরিয়ে দেব।”
তাসফি আবারো ভেঙচি কাটলো।
নিস্তব্ধ বিরক্তিতে ঠাস করে হাতের ব্যাগটা সোফায় ফেলল।
বলে কিনা সে বুড়ো?তার বয়স চল্লিশ প্লাস হয়েছে বলেই কি সে বুড়ো হয়ে যাবে নাকি আশ্চর্য। এখনো ডজন খানেক ছেলে মেয়ে পয়দা করার মুরোদ আছে তার।
রাগে রাগে হাতের ঘড়ি খুলে টেবিলে রাখলো।
তাসফি আলগোছে জামার চেইন লাগাতে লাগাতে শুধালো,
“ ডাক্তার সাহেব শুনুন না, একটু এদিকে আসুন তো।”
নিস্তব্ধ এগিয়ে গেল,
“ কি সমস্যা? “
“ আরে দেখুন তো কি হলো হঠাৎ। জমার চেইন টা উপরে উঠছে না কেন।কোথাও আটকে গেল নাকি।”
নিস্তব্ধ দুষ্টু হাঁসলো।
তাসফিকে পেছন থেকে আলতো জরিয়ে ধরে ফিসফিস করে সুধালো,
“ এসব জামা পড়ার কি দরকার বলো তো?
সেদিনের মত প্রতিদিন শাড়ি পড়লেই তো পারো।আমার ও সুবিধা হয়।”
তাসফি চোখ বড় বড় করে বলল,
“ অসভ্য পুরুষ মানুষ । পুরোনো অভ্যাস গেল না আপনার তাই না? ছেলে মেয়ে কত বড় হয়েছে সে খেয়াল আছে? দেখি সরুন তো আমি লাগিয়ে নিতে পারবো।কেন যে আপনাকে ডাকতে গেলাম।”
নিস্তব্ধ সরলো না ফিসফিস করে বলল,
“ ছেলে মেয়ে বড় হলেই বুঝি আমরা বদলে যাবো? ভালোবাসা কমিয়ে ফেলতে হবে?”
নিস্তব্ধ তাসফি গলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চুলগুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিলো।
জামার চেইনটা এক হাতে লাগাতে লাগাতে আলতো চুমু খেল পিঠে।
তাসফি কুঁকড়ে গেল।আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
এতগুলো বছর এক সঙ্গে থাকার পরেও এখনও তার ডাক্তার সাহেবের ছুয়ে দেওয়া প্রতিটি স্পর্শের লেশ তার কাছে নতুন মনে হয়।মনে হয় সব যেন শুধু নতুনত্বে মোড়া।
নিস্তব্ধ এবারে প্রেয়সীর গলায় মুখ গুঁজে দিলো।
তাসফি তীব্র আর্তনাদ করে উঠলো,
“ কি করছেন দরজা খোলা,ছেলে মেয়ে যখন তখন চলে আসবে। পাগল হয়েছেন।”
নিস্তব্ধ সে কথায় পাত্তা না দিয়ে আরো গভীরে যাওয়ার বার্তা দেওয়ার আগেই নিস্তব্ধতা দু ভ্রু কুঁচকে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
“ বাবা তুমি নাকি বলেছ মার্কেটে যাবে।আমি কিন্তু এই গরমে কোথাও যাবো না।তুমি আদৃত ভাইদের সঙ্গে নিয়ে যাও।”
মেয়ের কন্ঠ পেতেই মুহুর্তের মাঝে নিস্তব্ধ আর তাসফি দুজনে ছিটকে দূরে সরে গেল।দুজনেরই বেশ অপ্রস্তুত হলো।
তাসফি চোখ লালা করে নিস্তব্ধ দিকে তাকালো।
নিস্তব্ধ শুষ্ক ঢোক গিলে গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
“ কেন মামনী, সবাই তো যাবে।তোমার সুজন আঙ্কেল, মাহিন আঙ্কেল, ফুপি সবাই আসবে তো।”
নিস্তব্ধতার চোখ দুটো মুহুর্তেই চক চক করে উঠলো,
“ সজনেডাঁটা আসবে নাকি বাবা।”
তাসফি মেয়ের দিকে চোখ গরম করে তাকালো।
নিস্তব্ধতা মায়ের ভয়ে মেকি হেঁসে মাথা চুলকে বলল,
“ ওই আরকি, আশা আন্টি, সাদাফ, কাশফি ওরা সবাই ও যাবে নাকি।”
নিস্তব্ধ মাথা নাড়লো।
নিস্তব্ধতা গড়িমসি করে বলল,
“ ঠিকআছে তবে তোমরা দু মিনিট ওয়েট করো আমি পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে আসছি।”
মেয়ে চলে যেতেই তাসফি নিস্তব্ধ’র দিকে কটমটে চোখে চেয়ে বলল,
“ একদম বাপের মত হয়েছে।”
নিস্তব্ধ দাঁত কেলিয়ে হেঁসে বলল,
“ তো বাপের মেয়ে তো বাপের মতোই হবে।”
সেই মুহুর্তে আদৃত এসে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“ আম্মু আমি রেডি তোমাদের হলো?”
তাসফি তীর্যক হেঁসে ফিসফিস করে বলল,
“ হ্যাঁ তাইতো আর মায়ের ছেলে মায়ের মতোই হয়েছে তাইনা।”
নিস্তব্ধ চোখ ছোট ছোট করে চাইলো।
আশা ছেলের পিঠে কয়েক ঘাঁ বসিয়ে দিলো।
বিরক্তি নিয়ে সুজনের দিকে চেয়ে বলল,
“ কি হলো আপনি ওখানে সংয়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছেন শুনি?
ছেলেকে বোঝান।সে কেন যাবে না।গতবারের কথা আমার মনে নেই ভেবেছেন।আপনার ছেলে সেবার শপিংয়ে না গিয়ে বলল আমরা যা আনবো সে সেটাই পছন্দ করবে কিন্তু এরপর কি হলো।ছেলেকে পুনরায় তো শপিংয়ে আমার নিয়ে যেতে হয়েছিল।আপনি তো বেঁচে গিয়েছেন তাইনা।অসংখ্য রুগী আপনার। আমার তো আর রুগী নেই? আমার রুগী তো আপনারাই তাইনা।”
সুজন মেকি হেঁসে ছেলের পাশে এসে বসে সুধালো,
“ আব্বা মা এত করে বলছে চলো না।”
সাদাফ ফোনে গেম খেলতে খেলতে দায়সারা ভাবে বলল,
“ বাবা এতগরমে শপিংমল ঘুরতে ভালো লাগে না।
তারওপর মা, সারা শপিং মল ঘুরে বেড়ায় এমাথা থেকে ও মাথা। আমার পা ব্যাথা হয়ে যায় মায়ের পিছে ঘুরতে ঘুরতে। “
সুজন ফিসফিস করে বলল,
“ এতদিনে একটা সঠিক কথা বলেছিস বেটা।”
আশা বাপ ব্যাটার কথায় চোখ বড় বড় করে চেয়ে বলল,
“এই কি বললে তোমরা। আমি পুরো শপিংমল ঘুড়ে বেড়াই?”
দুজনেই আশার দিকে চেয়ে মেকি হাঁসলো।
কাশফি নিজের ছোট্ট হাতে লাল রংয়ের জামাটা ঝুলাতে ঝুলাতে এসে বলল,
“ বাপা আমি এবারে সবুত জামা কিনবো বুঝেছো?
নিস্তব্ধতা আপু ভাইয়ার গালে সেদিন যেরকম করে সবুত আবির মাখিয়ে দিয়েছিল ঠিক সেই নকম করে। ওই যে আমাদের মতুন স্কুলের বাহিরে পতাকার মতন সবুত।”
সাদাফ ধমক দিলো,
“ তুই চুপ থাক।গাধা।”
“বাপা ভাইয়া গাতা।”
আশা দুটোকেই ধমক দিয়ে সুজনের দিকে চেয়ে বলল,
“ উফফ দুটোতে মাথা খেয়ে ফেলল।এই আপনি কি ওকে একটু বোঝাবেন নাকি আমি।”
“ আহা রাগ করছো কেন আমি বুঝাচ্ছি তো।কথায় কথায় এত তেলের মতো ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে উঠলে হয় বলো।”
সুজন ছেলের দিকে চেয়ে দুষ্টু হেঁসে বলল,
“ সাদাফ তুমি যাবে না কেন।আমরা লোকাল মলে যাবো না তো আব্বা। এসি থাকবো তো।তাছাড়া তোমার নিস্তব্ধ, মাহীন আঙ্কেল সবাই আসবে।তাছাড়া স্পেশালি নিরিবিলি তো আসবে আব্বা আমার।”
সাদাফ কথার মোড় ঘুরিয়ে বলল,
“ ঠিক আছে এত করে যখন বলছো যাচ্ছি। তবে মোটেও ভেব না ওও আসবে বলে আমি যাচ্ছি।আর সে নিরিবিলি কোথায়,আস্ত ফটফটানি।হুহ।“
সুজন ছেলের কথায় মুচকি হাঁসলো।
শপিংমলে একটা টি-শার্ট নিয়ে সাদাফ আর নিস্তব্ধতা এক প্রকারের চুল টানাটানি শুরু করে দিলো।
নিস্তব্ধতা সাদাফের ছোট চুল গুলো ধরতে সুবিধা করতে না পেরে বলল,
“চুল গুলো আর একটু বড় করতে পারিস নারে সজনেডাঁটা। নাপিত কে বলবি চুল বর রেখে পাশ ছাঁটিয়ে দিতে। আর তোর তো বাসায় এত্ত গুলো টি-শার্ট এটা আমায় দে, ছাড়। ছাড় বলছি।”
সাদাফ নিস্তব্ধতার লম্বা চুলগুলো টানতে টানতে বলল,
“ আমি কাল টাকু হবো তাতে তোর কি।নাপিতকে বলবো সবকটা ছুট ছেঁটে দিতে আর ছেলেদের টি-শার্ট দিয়ে তুই কি করবি রে নিরিবিলি। ছাড় বলছি।”
তাসফি এসে নিস্তব্ধতাকে দিলো এক ধমক।
“ সাদাফ তুমি না আমার ভালো ছেলে।ঝগড়া করতে নেই বাবা।এসো আমি তোমায় আরো টি-শার্ট দেব। ওটা ওকে দিয়ে দাও।”
সাদাফ ভদ্র বাচ্চার ন্যায় মাথা নেড়ে তাসফির সঙ্গে সামনে আগালো।
পেছন তাকিয়ে নিস্তব্ধতাকে ভেঙচি কাটলো।
নিস্তব্ধতা চোখ লাল করে চাইলো।
কাশফি দোকানের পাশে নিচে রাখা সাইনবোর্ড ধরে সমানে টানছে।
নীবিড় এসে এক দমক দিয়ে বলল,
“ ওটা ধরে টানছিস কেন।দেখতে পাচ্ছিস না সাইনবোর্ডে ধরা নিষিদ্ধ লেখা আছে।”
কাশফি ঠোঁট গোল গোল করে বলল,
“ আমি তো পত্ততে পাডি না নিবিত ভাইয়া।”
নিজের নামের এমন বিকৃতি শুনে নীবিড় প্রচন্ড বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে নিলো।
“ তেঁতুইলার বাচ্চা তেঁতুইলা তুই চুপ করে থাকবি। আমার নাম একদম নিজের মুখে উচ্চারণ করবি তো খবর করে ছাঁড়বো।আমার নামের বারোটা বাঁজিয়ে দিলি।বল নীবিড় ভাইয়া বল।”
কাশফি আবারো বলল,
“ নিবিত ভাইয়া।”
“ বল নীবিড়।”
“নিবিত ভাইয়া। “
নীবিড় ঠাস করে কাশফির গালে চর বসিয়ে দিলো।
“ আর একবার যদি আমার নাম ধরে ডেকেছিস তো থাপড়ে থাপড়ে তোর গাল লাল করে দেব। আর পাডি না কি হ্যাঁ বল পারি না।”
কাশফি চোখ ভর্তি জল নিয়ে বলল,
“ পাডি না।”
নীবিড় কাশফির অপর গালে আরেকটা চর বসিয়ে বলল,
“ এরপর থেকে যতবার পাডি না বলবি ততবার এক একটা করে চর খাবি।বল রাজি? আর বলবি?”
কাশফি দুই হাতে দুই গাল ধরে কাঁদো কাঁদো মুখে ঠোঁট কামড়ে কোনো রকমে মাথা নাড়লো।
“ তো এখনও দাঁড়িয়ে আছিস কেন? মার খেতে।”
কাশফি নিজের ছোট হাতে চোখ মুছতে মুছতে দৌড়ে গেল মাহীনের কাছে নালিশ জানাতে।
পরদিন বিকাল বেলা নিলয় সাহেব কুরবানির গরু নিয়ে হাজির হলেন,
আদৃত,সাদাফ, নিস্তব্ধতা, মাহরিসা,নীবিড়, কাশফি ছুটে গেল তাদের নতুন গরু দেখতে।
ছোট মাহরিসা হাততালি দিয়ে আদৃত এর উদ্দেশ্যে বলল,
” আদু ভাইয়া হাম্বা। ”
আদৃত প্রচন্ড বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে নিলো,
” হোয়াট দ্যা।আদু ভাই মানে কি হ্যাঁ? আদু ভাই কি, দিস ইজ নট আদু, আদৃত।তোর কি আমাকে ক্লাস সেভেনে পড়া আদু ভাইয়ের মতন মনে হয়? ইডিয়েট কোনো কমনসেন্স নেই।আর হাম্বা কি হ্যাঁ বল দিস ইজ কাউ,কাউ।
আবার খাও খাঔ বলিস না।”
মাহরিসা কাঁদো কাঁদো মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
আদৃত ভাই কেন তাকে শুধু শুধু ধমকায়।সে তার কি ক্ষতি করেছে। সে তো ভালোবেসেই আদু ডাকে তাই না।আদৃত ভাই কেন তার ভালোবাসার ডাক বুঝতে পারে না।
আদৃত সে দিকে তাকিয়ে মাহরিসাকে হুশিয়ারি করে বলল,
” এই একদম তোর ফ্যাঁচফ্যাচানি শুরু করবি না।”
এত বড় অস্ট্রেলিয়ান গরু আনতে দেখে পাশের বিল্ডিংয়ের আদৃতের বয়সি সাফারাত এলো দেখতে।
তাকে দেখেই আদৃত ভ্রু কুঁচকে নিলো।
সাফারাত এসে মাহরিসাকে গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” কি ব্যাপার বলোতো মাদু, তোমাদের এত্ত বড় কাউ, আমাদেরটা তোমাদের থেকে ছোট।”
ইশশ কি সুন্দর করে সাফারাত ভাই তাকে মাদু বলে ডাকে,আদৃত ভাই ও যদি তার মতো করে একটু মাদু বলে ডাকতো কি এমন ক্ষতি হতো।
সারাক্ষণ তাকে ইডিয়েট বলে গালি দেয়।
মাহরিসা ও গদগদ হয়ে হাত ছড়িয়ে দেখিয়ে বলল,
” হ্যাঁ রাত ভাইয়া ইয়া বড়, দেখ দেখ।”
আদৃত ধমকে উঠলো সাফারাত কে।
” ও কি তোর থেকে বয়সে বড়? নাকি ছোট?
ছোট হলে তুমি কেন বলিস? তুই ওকে চিনিস না? এতদিন পরেও তোর ওকে তুমি বলা লাগে কেন?”
সাফারাত অবাক হয়ে চেয়ে রইলো।
আদৃত এবারে মাহরিসার দিকে চেয়ে ধমকে বলল,
“তুই এখনো এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস।গরু দেখা হয় নি তোর।তোর ইয়া বড় হাম্বা তার ইয়া বর শিং দিয়ে গুতো দিলে একজটকায় তোর ওইটুকু পেট এফোঁড় ওফোঁড়
হয়ে যাবে।তারপর ঈদের দিন গরু জবাই না দেখে শুধু গরুর গুতো খেয়েই বিছানায় পরে থাকিস।
যা বাড়ির ভেতরে যা।যা বলছি।”
ধূসর রংধনু শেষ পর্ব
আদৃতের ধমকে কেঁপে উঠে মাহরিসা কাঁদতে কাঁদতে
বাড়ির ভেতরে চলে গেল।
আদু ভাই সব সময় তাকে শুধু ধমকায়।একটুও ভালোবাসে না তাকে।
সেও বড় হয়ে আদু ভাইকে আর একটুও ভালোবাসবে না।হুহ!
season 2 chai