ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ১৫
মাহিরা ইসলাম মাহী
আজ সূর্যিমামা বোধহয় নিজের সকল আক্রোশ একবারে ঢেলে দিচ্ছে ধরণীর বুকে।
আহাঃ কি নিষ্ঠুর তার অভিব্যাপ্তি।
এই কাঠফাঁটা রৌদ্দুরে ভার্সিটির মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা একদল যুবক-যুবতীর উপরে প্রফেসর জাওয়াদ পাটোয়ারী’র কি একফোঁটা ও মায়া হচ্ছে না?
উহু হচ্ছে না তো একদমই হচ্ছে না, তাইতো সকাল এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত যে, নীলাদ্র, তিয়াশা, সাফওয়ান সকলে দাঁড়িয়ে আছে সে কি দেখতে পাচ্ছে না?পাচ্ছে তো। কিন্তু ইচ্ছে করে মায়া দেখাচ্ছে না।
সূর্যিমামার সঙ্গে সঙ্গে জাওয়াদ সকলকে দিচ্ছে নিরব শাস্তি।
নিলাদ্র সাফওয়ানের উদ্দেশ্যে বলল,
“ জাওরাটা কালকে যে বলল বারোটায় সকলকে আসতে।কই সে আসছে না কেন এখন নিজে।”
সাফওয়ান মুখ লটকে বলল জানিনা।
তিয়াশা বারংবার বোতল থেকে পানি নিয়ে মুখ দিচ্ছে সমানে।
সাফওয়ান তার মাথায় চাটি মেরে বলল,
“ আবালের মতন মুখে পানি ছিটাচ্ছিস কেন না খেয়ে।বোতল টা একটু দে পানি খাই।গরমে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। রোদে কয়লা হয়ে যাচ্ছি।
তোর মুখে না মেরে আমাদের পেটে পানি বাবাজী গেলেও তোর সওয়াব হবে।মানুষকে পানি খাওয়ালে সওয়াব হয় বিশ্বাস কর।”
তিয়াশা রাগি চোখে তাকালো সাফওয়ানের পানে।
সাফওয়ান দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ ওমন করে তাকাস কেন ভয় পাই তো।”
“ আমি আমার পানি মুখে ঢালবো না গলায় ঢালবো সেটা তুই বলার কে সাফওয়ান? তোর বিশ্বাসের খ্যাতায় আগুন।”
নীলাদ্র দিলো এক ধমক,
“ যাস্ট শাটআপ।তোদের মুখগুলো কি একটু বন্ধ করবি? দেখতে পাচ্ছিস শুধুমাত্র তোদের করণে আজ আমায় এই রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কি দরকার তোদের প্রতিদিন মেয়ে মানুষ ধরে ধরে র্যাগ দেওয়ার?”
তিয়াশা মেজাজ খারাপ করে বলল,
“ এখন যত দোষ নন্দঘোষ তাই না? তুই তো সেদিন বলেছিলি কাশফিকে..।”
“ চুপপপ।”
নীলাদ্র’র ধমকে তিয়াশা অন্যদিকে গিয়ে দাঁড়ালো। তার ধমকে সে ভয় না মোটেও। বরং নীলাদ্র’র প্রতি রাগ হচ্ছে ভীষণ রাগ।
নীলাদ্র বিরবির করে বলল,
“ জাওরাটা আসছে না কেন। আসুক একবার।কাল ওকে দেখাবো মজা।
আমাদের দাঁড় করিয়ে রেখে হুমকি দিয়ে যায়।সাহস কত ব্যাটার।”
সেই মুহুর্তে সাদাফ আর নীবিড় দুই পান্ডা ওদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে শয়তানি হাসলো।
সাদাফ হেসে বলল,
“ আসবে না। আসবে না।কারণ সময় একঘন্টা বাড়ানো হয়েছে নীলাদ্র।নিজের চারপাশে একটু তাকিয়ে দেখ। কেউ এখনো এসে উপস্থিত হয়নি।”
নীলাদ্র রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে রইলো।
আধা ঘণ্টা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকার পরে নীবিড় সাদাফের কানে ফিসফিস করে বলল,
“ ভাই চল না বটগাছের নিচে গিয়ে একটু বসি।জাওয়াদ ভাই তো দেখবে না।
এই দেখ না আমার হাতের চামড়া একদিনে রোদে পুড়ে কয়লা হয়ে যাচ্ছে।কেমন কুঁচকে কুঁচকে যাচ্ছে।
এমন হলে মেয়েরা তো আমায় পছন্দ করা বন্ধ করে দেবে ভাই ।চেহারায় কালশিটে পরে যাবে।
সাদাফ দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
“ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক মহিষের বাচ্চা।জাওয়াদ ভাই নয় স্যার বল।ভাই কী বলল শুনিস নি? তোর কি মনে হয় সে ভার্সিটি তে এসে আমাদের ভাই পরিচয় দেব? ম্যাড ম্যান।”
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একে একে স্টুডেন্ট এসে হাজির হতে লাগলো।
একসময় নাওমী, অদিতি, কাশফির ও দেখা মিললো।
নাওমী নীবিড়ের থেকে খানিকটা দুরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে তার পানে চেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসলো।
নীবিড় কটমট করে চাইলো।
ফিসফিস করে বলল,
“ একবার শুধু এই গ্যাড়াকল থেকে বের হই।তোমায় মজা দেখাবো নাউডুবা চশমিশ। “
“ তো আপনাকে কি আমি ছেড়ে দেব? কচু করবেন আপনি আমার। ‘ক’ চ উ-কার চু কচু বুঝলেন।”
সাদাফ নীবিড়ের কানে কানে ফিসফিস করে হেসে বলল,
“ মেয়েটা কিন্তু সুইট আছে বল।কি মিষ্টি মুখ করে তাকিয়ে আছে দেখ।”
নীবিড় মুখ বাঁকালো।
নাওমী চোখ বড় বড় করে বলল,
“ কি আশ্চর্য! বাঁদর দেখি মেয়েদের মতন মুখ ও বাঁকায়। আয়হায়।”
নীবিড়ের ইচ্ছে হলো এই মুহুর্তে নাউডুবা চশমিশের গালে একটা থাপ্পড় বসাতে।
কত্তবড় সাহস তাকে বলে কিনা বাঁদর।
কাশফি নীলাদ্র’র রোদে পোড়া চেহারা অবলোকন করে মুখ দিপে হাসলো।
নীলাদ্র চোখ ছোট ছোট করে একপলক কাশফির পানে চাইলো তো আরেকবার অদিতির পানে।
সকল স্টুডেন্ট এর চোখ আজ ভার্সিটিতে রাজত্ব করা দুই দলের পানে নিবদ্ধ। কেউ ওদের করুণ মুখ অবলোকন করে হাসছে ঠিক নাওমী কিংবা অদিতি,কাশফির ন্যায়।
কেউ বা দুঃখ পাচ্ছে নিজেদের ক্রাশদের করুণ মুখ অবলোকন করে।
জাওয়াদ সহ সকল প্রফেসর এসে হাজির হলো সঠিক টাইমে।
তখন সূর্যিমামা ঠিক মাথার উপরে।
জাওয়াদ এসে উচ্চ কন্ঠে ঘোষণা দিলো,
“ আজ থেকে ভার্সিটিতে কোনো রকমের র্যাগিং কার্যক্রম থাকবে না।এ্যাজ এ্যা প্রফেসর আমি করছি এই নিয়ম সকলের অনুমতিতে।
কেউ কথার অবাধ্য হলে এর মাশুল তাকে দিতে হবে চরম মূল্যে। কেউ এসব ফাঁকা আওয়াজ ভেবে পাওয়ার খাটানোর চেষ্টা করলে তাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। আই রিপিট।
ডিয়ার স্টুডেন্ট কেউ তোমাদের হ্যারাজ করার চেষ্টা করলে ততক্ষণাৎ আমায় জানাবে।অথরিটি কে জানাবে।
আনরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
প্রফেসর শোয়েব লিষ্টের কাগজটা আমায় দিন।”
প্রফেসর শোয়েব কিছু উল্লেখিত নাম সহ কাগজটি জাওয়াদের হাতে দিলো,
জাওয়াদ উচ্চ কন্ঠে বলতে লাগলো এগে একে সকলের নাম।তার কন্ঠে তেজশ্রী আদেশ,
“ নীলাদ্র, তিয়াশা, সাদাফ, নিস্তব্ধতা, সাফওয়ান,
অদিতি, কাশফি, নাওমী, নীবিড়।
সকলে আগামীকাল নিজেদের গার্জিয়ানদের সঙ্গে করে নিয়ে আসবে এট এনি কস্ট, আন্ডারস্ট্যান্ড?”
জাওয়াদ ওদের উত্তর শোনার অপেক্ষা করলো না।
হনহন করে হেঁটে চলে হেল নিজ গন্তব্যে।
নীবিড় বিরবির করে বলল,
“দিলো বারোটা বাজিয়ে দিলো। আমাদের হ্যাপি লাইফের তেরো টা বাজিয়ে দিলো ।শিট, শিট, বুল শিট। “
রাত তখন নয়টা কিংবা দশটা।
নীলাদ্র’র ঠিক খেয়াল নেই।কষ্ট করে হাতের ঘড়িটার দিকে চাইতেও তার ইচ্ছে করছে না। কি দরকার এত কষ্ট করার। টাইম না জানলে কি ক্ষতি হবে তার? কিছুই না।
সময় তো পার হবেই।সে তো আটকে রাখতে পারবে না। যেমন করে পার হয়ে গেল তার জীবনের ছাব্বিশটি বসন্ত। উহু বসন্ত নয় কালান্ত।
কালো যোগ অন্ত।কালান্ত।
তার জীবনের এক একটি কালো অধ্যায় গুলো।
রঙিন তো এই পর্যন্ত তার জীবনে কিছু নেই। ওই ছোট বেলার মুহুর্তটুকু বাদে।
আকাশে আজ চাঁদ মামা আলো ছড়াচ্ছে নিজের ইচ্ছে মতন।সেই আলোয় ধরণীর সকল কিছু আবছা স্পষ্ট।
বেলকনিতে থাকা গাছের চারা গুলো মৃদু বাতাসের ঝাপটায় ছন্দ তুলে নড়ছে। নৃত্য করছে আপন গতিতে।
ওই দূরে নারিকেল গাছটায় হুতুম প্যাঁচা ডাকছে কি? হয়তো ডাকছে।বোঝা যাচ্ছে না।সব কিছুই যে অস্পষ্ট। ঠিক তার জীবনের ন্যায়।আবছা অন্ধকার। আলো ছায়ার, আধারিতে মিলেছে নানান মেলা। সেথায় শুধু বিষাদের ছোঁয়া।
নীলাদ্র পকেট হাতরে সিগারেটের হদিস করলো।
পেয়েও গেল।
লাইটার খুঁজে মুখে রাখা সিগারেটের মাথায় আগুন দিলো নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দক্ষ হাতে।
শ্বাস নিয়ে সুখ টান দিলো।
জ্বালাময়ী দূষিত ধোঁয়া নির্দিধায় ছেড়ে দিলো আকাশ পানে মুখ করে।
ছেলের পেছনে এসে নিঃশব্দে দাঁড়ালো আরাধ্য।
হ্যাঁ নীলাদ্র তারই সন্তান।কিন্তু সে বাবার দায়িত্ব কতটুলু পালন করেতে পেরেছে বলা মুশকিল।
“ বেয়াদবের মতন বাপের সামনে সিগারেট ফুঁকছো লজ্জা করছে না তোমার?”
নিলাদ্র পিছু ফিরে তাকানোর প্রয়োজন মনে করলো না।আজকাল কেন জানিনা তার লোকটার চেহারার দিকে তাকালে বড্ড মায়া হয়।তাচ্ছিল্যের মায়া।উহু, করুণ মায়া নয়।মোটেও নয়।প্রশ্নই উঠে না।
নীলাদ্র নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল,
“ বিশ্বাস করুণ মিস্টার আরাধ্য একটু লজ্জাও করছে না। যেমন করে আপনার লজ্জা করে নি মমকে ডিভোর্স দিতে।যেমন করে আপনার লজ্জা করেনি মানুষের কথায় একজন কে বিয়ে করে নিজের সঙ্গে জড়াতে।যেমন করে আপনার লজ্জা করেনি যারতার কথায় অপরের ক্ষতি করতে উদ্যত হতে।আবার ভুল বুঝে মাথা মত করতে।
ঠিক তেমন করে আমারো লজ্জা করছে না। একটুও না।”
আরাধ্য নিলাদ্র’র কাঁধে হাত দিয়ে তাকে আদুরে স্বরে বোঝানোর তাগিদে সুধালো,
“ নীলাদ্র তুমি কিন্তু সব সময় আমায় ভুল বুঝো মাই সান।”
নীলাদ্র একঝটকায় আরাধ্য’র হাত নিজের কাঁধ থেকে সরিয়ে দিয়ে উচ্চ স্বরে বলে উঠলো,
“ খবরদার একদম ভালো বাবা হওয়ার চেষ্টা করতে আসবেন না। আপনি সেটা চাইলেও পারবেন না মিস্টার আরাধ্য। সো ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট।”
আরাধ্য হতভম্ব বদনে ছেলের পানে চেয়ে রইলো।
জীবনে কি করতে পেরেছে সে।না পারলো ভালো বাবা হতে আর না পারলো ভালো স্বামী হতে। কিচ্ছু না।কিচ্ছুটি না।
নীলাদ্র রুমের ভেতর গিয়ে ব্যাগ গোছাতে লাগলো।
আরাধ্য অবাক স্বরে বলল,
“ কি করছো তুমি নীলাদ্র ব্যাগ গোছাচ্ছ কেন?”
সে ব্যাগ গোছাতে গোছাতে নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল,
“ কারণ আমি আর আপনার সঙ্গে থাকছি না। আর পসিবল নয়। নিজের লাইফটাকে তো হেল করেছেনই আপনি এখন চাইছেন আমার লাইফ টাকে যাযাবর বানাতে। রাইট? বাট আমি আপনার সেই অভিসন্ধিতে সামিল হচ্ছি না।”
“ নীলাদ্র এমনটা করো না আমার কথা শুনো..”
নীলাদ্র ব্যাগ কাঁধে তুলে নিয়েছে ততক্ষণে। বাইকের চাবিটা খুঁজতে আরম্ভ করলো।
“ এত রাতে তুমি যাবে কোথায়? থাকবে কোথায়?”
নীলাদ্র বাইকের চাবি হাতে নিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল,
“ আমার থাকার জায়গা আমি ঠিক খুঁজে নেব। আপনাকে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আমাদের ভাই বোনকে নিয়ে ভেবে আপনাদের আনঅফিসিয়াল স্বামী-স্ত্রীর লোভ দেখানো সো কল্ড চিন্তার ভান না করলেও হবে।আপনি বরং আপনার ব্যবসার কথা ভাবুন কাজে লাগবে।
আর আর হ্যাঁ আপনার সো কল্ড ব্যবসা ফেলে যদি সময় করতে পারেন তবে কাল একবার আমার ভার্সিটিতে যাবেন আপনাকে তলব করা হয়েছে।আর যদি প্রতিদিনের ন্যায় কালও সময় না পান।তো থাক কোনো দরকার নেই যাওয়া। আই হ্যান্ডেল ইট।আমি একাই যথেষ্ট। “
নিলাদ্র বেরিয়ে গেল।
আরাধ্য শূন্য মস্তিষ্কে দাঁড়িয়ে রইলো। ফাঁকা ফ্লাট মানুষের অভাবে হা হা কার করে উঠলো নিরবে, নিভৃতে, নিঃশব্দে।
আরাধ্য দ্রুত তার পিএ মনসুর কে কল করলো।
“ ও কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কোথায় থাকবে আমায় ইনডিটেইন্স জানাবে। বেরিয়ে গেল মাত্র।”
ফোনের ওপাশে থাকা মনসুর জবাব দিলো,
“ ওকে স্যার।”
আরাধ্য হাটু গেড়ে বসে পরলো ফ্লোরে।
যার সঙ্গে জেদ করে আজ তার এই অট্টালিকা আজ সেও নেই।কেউই নেই। কেউ না। কি হলো এত জেদ করে।কি পেলাম জীবনে।
শুধুই শূন্যতা? হ্যাঁ তাই তো।শুধুই শূন্যতা।কিছু অপরাধ,কিছু না পাওয়ার বেদনা,কিছু হতাশা।
জীবন যে সবাইকে সব দেয় না।উহু মোটেও দেয় না।জীবন? সে যে বড্ড কৃপণ।ভীষণ।
সময়টা তখন ঠিক সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত।তবে ততটাও রাত্রী নয়।
ওসমান ভিলার ড্রয়িংরুমে হুলস্থুল কান্ড।
তাসফি একবার রান্না ঘরে যাচ্ছে তো একবার আসছে।একবার সরবত আনছে তো মিষ্টি। একবার নাস্তা।
নিস্তব্ধতা আজ জোড় করে হসপিটাল থেকে বাসায় এসেছে। ওমন অসুস্থ পরিবেশে অসুস্থ মানুষ তো আরো অসুস্থ হবে।ওখানে থাকা যায় নাকি দিনের পর দিন।মানুষ তো থাকে দায় ঠেকে।
নিস্তব্ধকে বারবার বলার পর সে রাজি হয়েছে মেয়েকে বাড়িতে আনতে রাজী হতে।
তারপরেও শর্ত দিয়েছে নিস্তব্ধতা যেন সাবধানে থাকে। পুনরায় এমন করলে একদম তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হবে।
ড্রয়িংরুমের মুখোমুখি সোফায় বসে আছে সাদাফ আর নিস্তব্ধতা।
তাদের হুট করে কেন এতরাতে এভাবে বসিয়ে রাখা হয়েছে তারা জানেনা।
দুজনের মুখে শত প্রশ্নের সমাহার।
কিন্তু উত্তর নিখোঁজ।
তাদের চারপাশে ঘিরে বসে আছে সুজন, আশা।
ওপর পাশে নিস্তব্ধ ও তাসফি।
নিস্তব্ধ বিরক্তি নিয়ে বসে আছে।
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ১৪
সবটাই তাসফি আর সুজনের কারসাজি।
তার বউ আর বন্ধু দুজনে মিলে যে কি করতে চাইছে তা সে নিজেও বুঝতে পারছেনা।
অবশেষে তাসফি সকল কাজ পাশ কাটিয়ে আটঘাট হয়ে বসলো কিছু বলার উদ্দেশ্যে।
তার মুখচোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে সে সিরিয়াস কিছু বলবে.. কি বলবে?