ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ১৮
মাহিরা ইসলাম মাহী
রাস্তায় যানবাহনের চলাচল সর্বাধিক।
নাওমী আর মান্সা পাশাপাশি হাটছে।
“ আমার সঙ্গে চলো নাওমী,বাসায় চলো।”
নাওমীর কন্ঠে তেজ,
“ আপনি কি করে ভাবলেন, আমি আপনার হাসবেন্ডের বাসায় যাবো?”
“ সবসময় জেদ করবে না। বাসায় চলো নাওমী, তোমার হস্টেলে থাকতে হবে না।”
“ কেন? আমার হস্টেলে থাকা নিয়ে আপনাদের সমস্যা কোথায়? আপনার ভ্যানিটিব্যাগ থেকে টাকা খসছে নাকি আপনার হাসবেন্ডের পকেট থেকে টাকা খসছে কোনটা? নাকি হাসবেন্ডের সঙ্গে মিলে আগাছা ভাবা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছেন?”
“ তুমি কিন্তু বেশি বুঝতে শুরু করেছ ইদানিং। “
“ উহু মোটেও না। বেশি আপনারা বুঝেন সবসময়। নয়তো আপনাদের মতন অকৃতজ্ঞ বাবা-মায়ের কাছে থাকতে আমাদের গায়ে লাগতো না। ঘেন্না লাগে বলেই হস্টেলে উঠেছি কথাটা মনে রাখবেন।
শুধুমাত্র জন্ম দিয়েছেন বলে আজ মায়ের আসনে পরিচয় দিতে হচ্ছে। নয়তো শুধু জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায় না। তাহলে তো রাস্তায় ফেলে যাওয়া সদ্য জন্ম নেওয়া নিষ্পাপ শিশুটির বে*শ্যা মা ও মা হতে পারতো। মা নামক মিষ্টি পরিচয় পেত। হয় কি?
হয় না।সমাজের চোখে তারা বে*শ্যাই থেকে যায় আজীবন। “
নাওমীর কন্ঠে ক্ষোভ, রাগ, অভিমানের লেশ, না পাওয়ার বেদনা।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ নাওমী। “
চিৎকার করে রাগে হিসহিস করতে করতে মান্সা মেয়ের গায়ে হাত তুলতে গিয়েও থেমে যায়।
“ হুঁশ, রাস্তার মাঝে একদম সিনক্রিয়েট করবেন না দয়া করে।এটা ভদ্রলোকের রাস্তা। “
“ আমায় কি তোমার অভদ্র মনে হয়?”
“ মনে হওয়ার তো কারণ নেই।আপনি তাই।”
“ আমি ভাবতেই পারছি না তুমি এতটা বেপরোয়া হয়েছ।তোমার ভাই আমার সঙ্গে টু শব্দটি করে দেখলো না।সামান্য কথা টুকু বললো না। আর তুমি সমানে তর্ক করে যাচ্ছো। বাবার শিক্ষা পেয়ে ভাই-বোন দুজনেই বকে গিয়েছ তোমরা।”
“ ভুল বললেন। আমরা আপনাদের থেকে কোনো শিক্ষা পাইনি। আর না পেতে চাই।পেয়েছি শুধুই অবহেলা। আপনাদের আমাদের শিক্ষা দেওয়ার সময় ছিল নাকি? কি যে বলেন না ভুলভাল। যাহ, লজ্জা পেলাম তো। ভারী মজা পেলাম আপনার কথায় বুঝলেন।
আপনারা যেমন করেছেন আর বলতে নিতেই লাগে? এতই যদি লাগবে তবে করেছিলেন কেন নষ্টামি? তখন মাথায় ছিল না। পুরো ভবিষ্যৎ পরে আছে, শুনতে হবে শত জনের হাজারো কথা।”
নাওমী তাচ্ছিল্যের হাসে।
মান্সা কে ফেলে সে আগে হাঁটে।
কেউ বিশ্বাস না করলেও তার দুনিয়া কে বিশ্বাস করাতে বড্ড ইচ্ছে হয়। দুনিয়াটা স্বার্থপর, সঙ্গে তাতে বাস করা কিছু সংখ্যাক বাদে সকল জীব,বড্ড স্বার্থপর। নিজ নিজ স্বার্থিসিদ্ধি করতে ব্যস্ত মানুষ্যজাতি।কে কি বললো,করলো তাতে কার কি যায় আসে।
একটা কুকুর ও বোঝে তার ভাগের খাবার কাউকে দেওয়া যাবে না। তবে সে অভুক্ত থাকবে।
নিজের স্বার্থ সেও বুঝে।খুব ভালো বুঝে।
নীবিড় যাচ্ছিলো বাসায়। বাইকের গতি ধীর করে মা-মেয়ের কান্ড দেকে সে অবাক চোখে চেয়ে।
নাওমীর সঙ্গে চোখে চোখ পরতেই সে রিক্সা ডেকে ঝটপট তাতে উঠে পরে।
নীবিড়ের মনে কৌতূহল জাগে। ভীষণ কৌতুহল।মেয়েটার মাঝে রহস্য জানার কৌতুহল। এই প্রথম তার কোনো মেয়ের জীবনের রহস্য উদঘাটন করতে ইচ্ছা করছে ভীষণ করে।
সত্যিই ইচ্ছা করছে।
দিনগরিয়ে রাত নামে ধরনীর বুকে।
এখনকার রাত গুলো বড্ড ছোট।হওয়ারই কথা।
জুলাই- আগষ্টের রাত গুলো এমনিতেই ছোট থাকে।
শীতের প্রকোপ যত বাড়তে থাকে দিন তত ছোট হতে তাকে।এটাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নিময়।
তাই তো মাহরিসার ইদানীং ঘুম পোড়ে না।
সর্বক্ষণ থাকে চোখে ঘুম জড়ানো।
নিঃসন্দেহে তা তার রাতে দেরিতে বিছানায় যাওয়ার ফল।
কলেজে থাকতে সেই যে ফোনটা বন্ধ করেছিল আর তা খোলার নাম নেয় নি।
ফোনটা হাতে নিয়ে সে বেলকনিতে যায়।
বাইরে প্রবোল বাতাস বৈছে, এই রে ঝড় উঠবে নাকি? কি আশ্চর্য খানিক আগেই তো সে, আকাশ পরিষ্কার দেখতে পেল।
হঠাৎ কি মনে হতেই ফোন অন করতেই আদ্রিতের কল ভেসে উঠলো,
বেলকনি দিয়ে নিচে তাকাতেই ভূত দেখার মতন চমকে উঠলো সে।আদ্রিতের গাড়ি খানা নিচে পার্ক করে রাখা দেখতেই তার বুক কাঁপে অজানা উত্তেজনায়।
কিন্তু ততক্ষণে সে বুঝতে পারে কাহিনী ঘটে গিয়েছে।বড্ড দেরি করে ফেলেছে সে।মনের আশঙ্কা সত্যি হয় তার।
ড্রয়িংরুম থেকে পুরুষালী তীক্ষ্ণ স্বর ভেসে আসে তার কানে।
মাহরিসার ডাক পরে ড্রয়িংরুমে।
মাহরিসা দৌঁড়ে যায়। হ্যাঁ তার অনুমানই সঠিক।
স্বয়ং আদ্রিত শেখ নিজে এসে হাজির হয়েছে৷ কিন্তু কেন এসেছে।
বাসন্তী মেয়ের দিকে চেয়ে তাড়া দেয়।
“ এই যা তো ওর জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা সরবত নিয়ে আয়। কতখানি পথ ড্রাইভ করে এসেছে ছেলে টা। “
মাহরিসার তিরস্কার করে।
“তোমার আদ্রিত আজ তো প্রথম আসে নি মা। এর আগেও এসেছে সে কয়েকবার। কই তখন তো সরবত লাগে নি তবে এখন কেন লাগবে। “
মনের কথা তার মনেই থাকে।বাহিরে প্রকাশপর সাহস কই।
আদ্রিত মাহরিসার পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে।
চোখ দিয়ে ঝলসানোর পায়তারা তার।নির্ঘাত সে কোনো ড্রাগন নয়। তো মাহরিসাকে নিজের ভেতরে থাকা আগুন দিয়েই পুরিয়ে দিতো ততক্ষণাৎ।
বাসন্তী মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাড়া দেয়,
“ কি হলো খাম্বার মত দাঁড়িয়ে কি দেখছিস?
যা। তুই আমায় একটু জানিয়ে আসবি না আদ্রিত? আগে জানালে তোর পছন্দের পায়েসটুকু রান্না করে রাখতে পারতাম। আহারে।”
“ রিল্যাক্স ফুপি।কোনো সমস্যা নেই। আমি আবার আসবো তো। দরকার পরলে বারবার আসবো সমস্যা নেই তো।”
মাহরিসার চোখে চোখ রেখে সুধায় মানব।
মাহরিসা মুখ কাচুমাচু করে কেটে পরে ওখান থেকে।
সরবত বানানোর মাঝে সে স্পষ্ট শুনতে পায় ড্রয়িংরুম থেকে হাসির শব্দ।
কয়েকমিনিট বাদেই মাহরিসা সরবত নিয়ে এসে আদ্রিতের হাতে দেয়।
আদ্রিত তা চিলের ন্যায় ছোঁ মেরে নিয়ে নেয়।
একনিশ্বাসে শেষ করে তা।
গ্লাসটা পুনরায় মাহরিসার হাতে দিয়ে বাসন্তী’র দিকে চায়,
“ তো যা বলছিলাম ফুপি, মেয়েকে এখন বিয়ে দেবে না তাইতো?”
বাসন্তী’র গলায় চিন্তার লেশ,
“ না রে। তো ফুফুজান বলল, বিয়ের যখন সময় হবে ছেলে এসে তার মেয়েকে চিলের মতন ছোঁ মেরে কখন নিয়ে যাবে টের ও পাবে না।
ওও পড়াশোনা করছে করুক।”
বিয়ের আলোচনায় মাহীন না বলেছে শুনে মাহরিসা খুশি হয়।
তার চিত্ত চঞ্চল হয়।
আদ্রিত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সে দৃশ্যটুকু অবলোকন করে চোয়াল শক্ত করে নেয়।
কেন খুশি হবে মেয়েটা বিয়ে না বসার এত শখ তার?
“ আর ইউ শিওর ফুপি? চিল তোমার মেয়েকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলে পরে কিন্তু কিছু বলতে পারবে না।”
বাসন্তী হেসে মাথা নাড়ায়।
সে রান্না ঘরের দিকে এগুতেই
আদ্রিত মাহরিসার পানে এগিয়ে যায়।
সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিসহিসিয়ে সুধায়,
“ ফোন পিক করিসনি কেন?”
“ দেখিনি। “
“ ওহ রিয়েলি তুই দেখিস নি?”
মাহরিসা মাথা নাড়ায়।
রাগের পারদ তরতর করে বাড়ে আদ্রিতের।
মাহরিসার হাতে থাকা গ্লাসটা কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে ফ্লোরে।
কাচের গ্লাস ঝনঝন শব্দ তুলে টুকরো টুকরো হয় মুহুর্তে। খণ্ডবিখণ্ড।
মাহরিসা ভয়ে দু পা পিছিয়ে যায়।
লোকটা এতটা উম্মাদ কেন।কি চায় আসলে সে?
কেন কখনো কিছু স্পষ্ট করে না।
নয়তো মানবের অযথা রাগের মানে মাহরিসার বোধগম্য হবে কেমন করে।
শব্দ শুনে বাসন্তী ছুটে আসে রান্না ঘর হতে,
“ কি হলো রে আদ্রিত?”
“ কিছুনা ফুপি, যাস্ট হাত ফস্কে পরে গেল।”
মাহরিসা, ড্যাবড্যাব করে চেয়ে কতবড় মিথ্যুক লোক।এই পর্যন্ত আর কতগুলো মিথ্যা বলেছে সে খোদা মালুম।
“ ওমা সেকি, হাতে কোথাও লাগেনি তো।”
“ নো।আমি আসছি ফুপি।রাতে ডিউটি আছে।”
আদ্রিত যেমন করে ঝড়ের বেগে এসেছিল তেমনি করে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে যায়।
দু’মিনিট যেতেই মাহরিসার ফোনে মেসেজ আসে,
“ আমি দাঁড়াচ্ছি, যাস্ট আঁধা ঘন্টা পরে নিচে আসবি। কি করে আসবি আমি জানিনা।আসবি দ্যাট’স ইট।”
রাত তখন দশটা প্রায়।
ওসমান ভিলার ঠিক পিছনে দিকে নিস্তব্ধতা’র রুমের সামনে দাঁড়িয়ে সাদাফ। উহু দাঁড়িয়ে নয় ক্রমাগত পায়চারি করছে সে।
হাতে তার ফোন।নিস্তব্ধতা কে ফোন করে যাচ্ছে ক্রমাগত।
পুরো কটাদিন নিস্তব্ধতা’র সঙ্গে কথা না বলে তার পাগল পাগল অবস্থা।
নিস্তব্ধতা ফোন রিসিভ করে সময় নিয়ে।
“ কি সমস্যা তোর? ফোন দিচ্ছিস কেন আমায়।”
“ এই নিরু তুই কি বাথরুমে গিয়েছিলি?ফোন রিসিভ করতে দেরি হলো যে। পেট পরিষ্কার হয়েছে তো তোর? না হলে আমায় বল আমি ঔষুধ নিয়ে আসছি এক্ষুনি। “
“ বাজে কথা বন্ধ কর।ফোন করেছিস কেন তুই আমাকে? সজনেডাঁটার বাচ্চা তোকে আমি চিবিয়ে খাবো।”
“ রাগ করিস কেন।এই শোন না একটু বেলকনিতে আসবি?”
“ অসম্ভব। আমি ঘুমাবো।ফালতু টাইম ওয়েস্ট করার আমার কোনো সময় নেই।”
“ একটা বার আয় নিরু একটা ঝলক প্লিজ।
এখানে প্রচন্ড মশা।কামড়ে রক্ত চুষে নিচ্ছে সব। তুই আমায় চিবিয়ে খাওয়ার আগে তো মশা আমার রক্ত খেয়ে রক্ত শূন্য করে দিচ্ছে। “
“ মানে টা কি তুই…”
নিস্তব্ধতার রুমের লাইট অফ।সে খুরিয়ে খুরিয়ে হেঁটে যায় জানালার ধারে।থাইগ্লাস দিয়ে নিচে তাকায়।
দু’পায়ে দু ধরনের জুতো, গায়ে উল্টো টিশার্ট, উষ্কখুষ্ক চুল দেখে নিস্তব্ধতা হতভম্ব হয়ে চেয়ে রয় সাদাফের পানে।
করেছে টা কি ছেলেটা।
“ আসবি না নিরু?”
নিস্তব্ধতা বেলকনি তে যায় না।
বরং সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করে হাতে তিনটে ডিম নিয়ে সে খুরিয়ে খুরিয়ে হেঁটে পেছনের দরজা দিয়ে বাহিরে বের হয়।
সাদাফ তখন হাঁটুতে ভর করে দাঁড়িয়ে,
“ আসবি না নিরু। এই শুনতে পাচ্ছিস?”
“ পেছনে ঘোর হাঁদারাম।ইডিয়েট।”
সাদাফ চমকে পেছনে তাকায়।
এতটাও সে আশা করেনি, নিস্তব্ধতাকে এখানে তো মোটেই না।
একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা সাদাফের বাইকে’র সঙ্গে হেলান দিয়ে আয়েশ করে দাঁড়ায় নিস্তব্ধতা।
সাদাফ বুঝে উঠার আগে নিস্তব্ধতা সাদাফের বাম পায়ে ডিম ছুঁড়ে মারে, পরপর ডান পায়ে।
“ কিরে হাঁদারাম? দুটো দু রকম কেন? চোখে কম দেখতে শুরু করেছিস?”
সাদাফের কেন জানিনা মেয়ে মানুষের মতন লজ্জা করছে। ভীষণ লজ্জা।
নিস্তব্ধতা এবারে সাদাফের বুক বরাবর তিন নম্বর ডিমটা ছুঁড়ে মারলো।
ভাগ্যক্রমে ডিমটা পঁচা ছিলো। ফট করে ফেলে গা মাখিয়ে পুরো একাকার।
আঁশটে গন্ধে বমি পেয়ে গেল নিস্তব্ধতার নিজেরই।
সাদাফের এবারে ইচ্ছে করছে মেয়ে মানুষের ন্যায় হাত পা ছড়িয়ে কান্না জুড়তে।
এই ছিলো বুঝি তার কপালে।
ঘন্টা পেরোয়, সকলে শুতেই মাহরিসা টিপটিপ পায়ে বের হয়।আঁধা ঘন্টা পেরিয়েছে অনেক আগে। কিন্তু মাহরিসার কিছু করার ছিল না। সকলের সামনে বের হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার।
আদ্রিতের সামনে এসে দাঁড়াতেই তীব্র ঝাড়িতে ভয়ে কলিজা এতটুকু হয় তার।
“ এরপর থেকে ফোন রিসিভ করতে দেরি হলে , আমার যদি পুনরায় বাসায় যেতে হয় যাস্ট তান্ডব হবে বলে দিলাম।আই রিপিট।কথাটা মাথায় রাখিস। আমি কি করতে পারি তুই ভাবতেও পারবি না।দাঁতের পাটি একটাও থাকবে না তোর।
আমার সামনে আমার ফোন কেটে দিয়ে ঠাস করে ফোনটা বন্ধ করে ছেলেদের সঙ্গে মাস্তি করিস, আর আমায় বলিস তুই কল দেখিস নি।
কি মনে হয় তোর আমাকে? আমি বোকা?
পালাতে চাস আমার থেকে? ছোট থেকে তো পালিয়েই বেড়াচ্ছিস। আর কত পালাবি? এবারে ষোলোকলা পূর্ণ হয়েছে।তুই আর চাইলেও পারবি না পালাতে।”
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ১৭
মাহরিসা ভয়ে থরথর করে কাঁপে।
দুই গালে হাত দেয় সে সঙ্গে সঙ্গে।
আজ সে শেষ।
“ গাল থেকে হাত সরা। হাত সরা বলছি।চটকানা খেয়েছিস কখনো?”