ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ২৩
মাহিরা ইসলাম মাহী
জাওয়াদ এর মাঝে নিস্তব্ধতাকে রহস্যময় ভঙ্গিতে হেসে প্রশ্ন করে,
“ সাদাফ কে বিয়েটা কেন করলে না নিস্তব্ধতা? পছন্দ করো না ওকে? অন্য কাউকে ভালোবাসো?”
নিস্তব্ধতা বাইরে তাকিয়ে মাঝ রাতের নির্জনতায় ছেয়ে যাওয়া প্রকৃতি উপলব্ধি করছিলো।
হঠাৎ জাওয়াদের প্রশ্নে চমকে উঠে তার পানে চাইলো।
“ এমনি।”
জাওয়াদ তাচ্ছিল্যের হেসে বলল,
“ তোমার থেকে আজ জানতে পারলাম একটা বিয়েতেও না বলা যায় এমনিতে।”
নিস্তব্ধতার রাগ হলো, ভীষণ রাগ।
“ তো? এমনিতে হতে পারে না? আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি।আপনাকে আমি কোনো কৈফিয়ত দিচ্ছি না প্রফেসর। তাছাড়া অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে এতটা কৌতূহল দেখানো ও আপনার সোভা পায় না।”
“ যাস্ট রিলাক্স নীরু আমি শুধু..।
“ খবরদার ওই একই সম্মোধনে আপনি আমায় আর কখনো ডাকবেন না।রিমাইন্ডার। “
অবাক হওয়ার বদলে জাওয়াদ এবার শব্দ করে
হাসলো।
নিস্তব্ধতা ভ্রু কুঁচকালো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ কি আশ্চর্য আপনি এভাবে হাসছেন কেন?”
“ তুমি ভাবতে পারছো নিস্তব্ধতা একই ডাক তুমি অন্যের থেকে শুনতে পারছো না সেখানে অন্যের নিকট নিজের অস্তিত্ব কে বিলিয়ে দেবে কি করে?”
নিস্তব্ধতা হাসলো।ফিসফিস করে বলল,
“ দেব না প্রফেসর।অন্যকে দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।”
“ তাই বুঝি?”
“ অবশ্যই। “
গাড়ি চলে আরো খানিকটা। সঙ্গে বাড়ে রাতের নির্জনতা।সেই নির্জনায় একজন বহু প্রতিক্ষায় দাঁড়িয়ে ওসমান ভিলার সামনে।
ভয় কিংবা, মশার কামড়, ঝিঁঝি পোকার ডাক তাকে ছুতে পারে না। পারেনা নয় তা সে তোয়াক্কাই করে না।
ওসমান ভিলার সামনে গাড়ি থামে।
গাড়ি থেকে হাসি মুখে বের হয় নিস্তব্ধতা।
জাওয়াদ ওও বের হয়।
নিস্তব্ধতা বায় জানায়।
অন্ধকার নির্জনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই যুবকের চোয়াল শক্ত হয়।রাগে ফেটে পরে মস্তিষ্ক।
অতি প্রিয় কিছু হারানোর ভয়ে কেঁপে উঠে হৃদযন্ত্র।
প্রচন্ড রাগে ক্ষীপ্ত হয়ে পাশে থাকা সরু কিছুতে হাত চেপে ধরে যুবক মুহুর্তে লাল রঙা রক্তে জর্জরিত হয় মসৃণ হাতখানা।সেই ব্যাথা অনুভব হয় না মানবের।
জাওয়াদ অদ্ভুত ভঙ্গিতে সামনে চায়।
তার গোলাপি রঙা ঠোঁটে ঝুলে রহস্যময় হাসি।
দূরে দাঁড়ানো যুবক তার চোখে আদৌও দৃশ্যমান কি না তাকে দেখে বোঝা দায়।
জাওয়াদের কাছের দু’জন মানুষ তাকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দুটো কাজ দিয়েছে।
দুটোই প্রায় শেষের পথে। এবং শেষ সে করেই ছাড়বে।
এত এনি কস্ট।
জীবনের কোনো সমীকরণ তার নিকট সহজ নয়।সবই জটিল।কিন্তু সেই জটিল জটিল সমীকরণ গুলোকেও সে নিজের আয়ত্তে করে নিয়েছে খুব সহজে।
গাড়িতে চরে বসে জাওয়াদ, দুরন্ত ভঙ্গিতে ছুটিয়ে যায় তা। ধীরে ধীরে বিলীন হয় তার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব।
গাড়িতে উঠার আগে আদ্রিত ফিসফিস করে কাজী সাহেবের কানে কানে বলে,
“ থ্যাংকিউ সো মাচ কাজী সাহেব।এবারে আপনার বউয়ের কাছে যেতে পারেন।আপনার কাজ শেষ।বউকে বেশি অপেক্ষা করিয়ে রাখা নেহাতই বোকামী।আমার মতো এই ভুলটা মোটেও করবেন না মশাই।”
কাজী সাহেবের চোখে বিস্ময়।
তবে আর ততটা চমকিত হলো না।বরং মনে মনে সে আড়ি কাটে আদ্রিতের সঙ্গে।
রাত থেকে কম ভেলকি দেখে আসছেনা ডাক্তার সাহেবের।
এবারে তার ধৈর্য্য ওও কমে এসেছে।
বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে বসে মাহরিসা কান্নার ঢল নামায়।
জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পদার্পন করবে সে তাও বাবা-মা ব্যতীত সেটা ছিলো তার ধারণার বাহিরে।
লোকটার ছড়া ভোলানো কথায় সে সাইন টা করে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এখন ভীষণ আফসোস হচ্ছে।
বাসন্তী জানতে পারলে ভীষণ কষ্ট পাবে।
কেমন করে বলবে সে এই কথা নিজের মুখে।তার দ্বারা অসম্ভব।
মাহরিসার এমন কেঁদে কুটে সমুদ্র বানানোর এক পর্যায়ে আদ্রিত দাঁতে দাঁত চেপে সুধালো,
“ কাঁদছিস কেন? আর কত নাটক বাকি আছে তোর? দ্রুত কর।”
মাহরিসা কান্নার মাঝে অগ্নি দৃষ্টিতে চায় আদ্রিতের পানে।
কি বলে লোকটা সে নাটক করে?
আশ্চর্য, কত্তবড় অসভ্য লোক।তাছাড়া তার মনের কষ্ট পাষান্ড লোকটা বুঝবেনই বা কেমন করে।
সে তো পারে শুধু অধিকারের দোহাই দিয়ে কর্তৃত্ব ফলাতে।
“ বিয়ের পর সাহস দেখছি দ্বিগুণ বেড়েছে তোর।আমায় চোখ রাঙাস।সাহস কমাতে আমায় কিছু করতে হবে, নাকি নিজে থেকেই আগাবি?”
মাহরিসা জবাব দেয় না।
আদ্রিত ঠাস করে ব্রেক কষে।
“ মুখে কুলুপ এটেছিস? থাপড়ে তোর মুখ ছোটাবো।”
মাহরিসা মনে মনে চোখ রাঙায় বেয়াদব লোকটাকে।সে আর পারে কি ওই ঘোড়ার ডিমের থাপ্পড় মারা ব্যতীত।হুহ।
মাহরিসার কান্নার বেগ থামার বদলে দ্বিগুন বাড়ে।
আদ্রিত নিজের সিটবেল্ট খুলে, পাশ মুড়ে মাহরিসার দিকে দু ধাপ আগায়।
“ কি সমস্যা তোর? বুঝতে পারছিস না আমার কনসেনট্রেশান নষ্ট হচ্ছে? চরম সোভাগ্য তোর বাপের বাড়িই তো দিয়ে আসছি।শ্বশুর বাড়ি তো আর নিচ্ছি না।
কান্না করে কি বুঝাতে চাইছিস বাপের বাড়ি নয় শ্বশুর বাড়ি যেতে চাইছিস? “
মাহরিসা অশ্রুসিক্ত বদনে ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে।
বলে কি অভদ্র ডাক্তার।
“ এত ভনিতা না করে সোজাসাপ্টা কথা বল, তোকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। “
মাহরিসা নাক টেনে সুধায়,
“ একদম বাজে কথা বলবেন না আদ্রিত ভাই।আমি বলেছি আপনাকে একবারো সে কথা?”
আদ্রিত হতাশ শ্বাস ছাড়ে।
হাত এগিয়ে নিজের দুহাতের আঁজলায় মাহরিসার মুখখানি উঁচু করে ধরে,
“ যা বলবি সেটাও তো বলছিস না।আমি বুঝবো কেমন করে মেরিগোল্ড। “
মাহরিসা আদ্রিতের ঠান্ডা হাতের ছোঁয়ায় শিউরে উঠে। আবেগে ভাসে।আদুরে ডাকে হৃদয় গলিত হয় তার।
“ সবাই কে না জানিয়ে এমনটা কেন করলে আদু ভাইয়া।আঙ্কেল আন্টি ভীষণ কষ্ট পাবেন।আমাকে ভুল বুঝবে তারা।আমি কি করে বাড়িতে জানাবো বলুন?”
“ কেন করেছি তার জবাব তোকে দিয়েছি।
আর আমি কি তোকে জানাতে বলেছি বাড়িতে? যা জানানোর আমি জানাবো।তোর সমস্যা কোথায়?
তুই শুধু স্বামী সেবা করবি।মাথামোটা।”
আদরে গলে নিজের নাকের পানি মোছে মাহরিসা আদ্রিতের বুকের কাছটায়।
আদ্রিত চোখ বন্ধ করে শ্বাস নেয়।
“নিয়ম অনুযায়ী আজ বাসর রাত।তুই কি চাইছিস বাসরটা আজ এখানে গাড়িতেই সেরে ফেলি?”
মাহরিসা আঁতকে উঠে।চোখ বড়সড় করে হতভম্ব বদনে আদ্রিতের পানে চায়।
লজ্জায় কান গরম হয় তার।
হুশ ফিরতেই যতটুকু সম্ভব সে ছিটকে সিটের সঙ্গে একদম মিশে যায়।
“আসতাগফিরুল্লাহ। এমন অসভ্য মার্কা কথা বার্তাও বুঝি তার আদু ভাই বলতে পারে।ছিঃ।”
আদ্রিত রহস্যময় ভঙ্গিতে হাসে।
মাহরিসার কপালে দু আঙুলের সহিত টোকা দেয়।
“ বোকা মেরিগোল্ড। “
মাহরিসা চোখ পিটপিট করে চায়।
আদ্রিত নিজের মুখখানি আরো একটু এগিয়ে ফিসফিস করে সুধায়,
“ সবসময় ছাড় পাবি না কিন্তু মেরিগোল্ড।
এবারে লুকিয়ে থাকিস যেখানে খুশি।”
আদ্রিত গাড়ি স্টার্ট করে পুনরায়।
মাহরিসার চোখে বিস্ময়।
স্তব্ধ বনে বসে রয় সে।
তখনকার তার দেওয়া প্রশ্নের জবাবগুলো তার কানে বাজে স্পষ্ট ধ্বনিতে।
মাহীনদের বাড়ির সামনে এসে আদ্রিত গাড়ি থামায়।আদ্রিতের চোয়াল ঠিক পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক। কে বলবে লোকটা খানিকক্ষণ আগে কি কি কান্ড ঘটিয়েছে।
গাড়ি থামতেই মাহরিসার হৃদয়ে বিয়ের ভয়ের সঙ্গে বাঁসা বাঁধে আরো কিছু ভয়।
মা যদি জেগে গিয়ে তাকে না পায়।কি হবে তবে?নির্ঘাত কেলেংকারী ঘটে যাবে।
মাহরিসা কোনো রকমে ওড়নার পৃষ্টদিয়ে চোখের জল, গাল মোছার চেষ্টা চালায়।
দ্রুত কদমে গাড়ি থেকে নামে সে।
দু’পা এগিয়ে ও আবার পিছায়।
গাড়ির জানালার কাচে টোকা দেয়।
আদ্রিত কাচ খুলে প্রশ্নবোধক চাউনি দেয়।
ডাক্তার সাহেবের ভাবগতি বোঝা দায়।
মাহরিসা মুখ কাচুমাচু ভঙ্গিতে সুধায়,
“ বিয়ের বিষয়টা এখনি কাউকে জানাবে না আদু ভাইয়া।প্লিজ ”
আদ্রিত ভ্রু কুঁচকায়।না জানার ভান ধরে সুধায়,
“ কারণ কি?”
মাহরিসা মনে মনে লোকটাকে আচ্ছা রকম বকে।
অসহ্য ডাক্তার, সব জেনে বুঝেও নাটক করে।
সে মিনমিন কন্ঠে বলে,
“ আমার সময় লাগবে।”
“ কতদিন? মাস? বছর?”
আদ্রিত পরপর প্রশ্ন ছুঁড়ে।
মাহরিসা জবাব দেয় না। হনহন করে হেঁটে ঢুকে বাসার ভেতর।
সকলকে ঘুম দেখে বুকে হাত দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
নিঃচিন্তে ঘুমন্ত বাবা-মা কি জানে রাতের আঁধারে তাদের একমাত্র মেয়ে কি কান্ড ঘটিয়ে এসেছে? উহু জানে না তো? যখন জানবে কি অনুভূতি হবে তাদের? ছোট থেকে আগলে বড় করে অবশেষে জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ ধাপে মেয়ে তার একা একাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল।
কান্নারা গলা পাকিয়ে ধরে মাহরিসার।
এতকিছু বুঝেও কি হলো শেষ পর্যন্ত।কিচ্ছুটা।নিয়তির লিখন কেই বা করতে পারে খন্ডন।উহু কেউ না।
মাহরিসার রুমের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদ্রিত।
রুমের সাদা রঙা আলো পরে তার চোখে।
থাইগ্লাসের পর্দা টানা না থাকায় স্পষ্টই সে আলো দৃশ্যমান।
সে আলোয় রুমের মাঝে মাহরিসার উপস্থিতি লক্ষ্য করতেই গাড়ি স্টার্ট দেয় সে।
“ দাঁড়াও।রাত তিনটার ঘর পার করেছে বহু আগে।এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে তুমি?”
ওসমান ভিলায় আদ্রিতের প্রবেশ ঘটতেই পেছন থেকে নিস্তব্ধ’র ছুঁড়ে দেওয়া বাক্যে তাকে থামতে হয়।
মাহরিসার বাড়ি তার বাবা- মা ঘুমিয়ে থাকলেও
ওসমান ভিলায় নিস্তব্ধ জাগ্রত।
কারণ ডিউটি শেষ করে বাসায় এসেছে সে রাত দুটোর সময়।
“ কি হলো জবাব দাও।”
“ বিয়ে সেড়ে এলাম বাবা। হ্যাপি?”
নিস্তব্ধ থমকায়।এতগুলো বছর পর ছেলে তার বাবা বলে ডেকেছে।কি কারণে এই মিরাক্কেল ঘটলো?এত দ্রুত?
সঙ্গে ছেলে জবাবে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে নেয় নিস্তব্ধ ।
“ আশ্চর্য, রসিকতা করছো তুমি আমার সঙ্গে? “
“ রসিকতা তো আমি নয় আপনি করছেন।”
“ বা..বাহ আমার এত সাহস কোথায় বলো তোমার সঙ্গে রসিকতা করবো।”
“ দেখতেই পাচ্ছেন গায়ে এপ্রোন। এপ্রোন পরে মানুষ কোথা থেকে আসে? আপনার রাত চারটা পর্যন্ত ডিউটি থাকতে পারলে আপনার ডাক্তার ছেলের থাকতে পারে না?”
“ সেটা সুন্দর ভাবে বললেই হয়।তোমার মা চিন্তা করছিলো তোমার জন্য। তার ফোন রিসিভ করো নি কেন?”
“ প্রয়োজন মনে করিনি।”
আদ্রিতের নির্লিপ্ত স্বর।
“ বেয়াদব। ডাক্তারী পরেছ তুমি কি করতে? শুধু মানুষের কলিজা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভুনা করে খেতে?”
আদ্রিত বাঁকা হেসে বলে,
“ এক্সাক্টলি। ঠিক যেমন করে আপনি ভুনা করে খেতেন যৌবনে দাদাভাই আর মায়ের। তাইনা বাবা?”
“ অসভ্য ছেলে। “
নিস্তব্ধ আর কথা না বাড়িয়ে হনহন করে হেঁটে উপরে উঠে আসে।
ছেলেটা দিনদিন তাকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কই সে তো যৌবনে এতটাও নির্লজ্জ ছিল না।
আশ্চর্য, আশ্চর্য। পুরাই আশ্চর্য ব্যাপার স্যাপার।
এমন ছেলে তার হলো কেমন করে।
আজ ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢোকার পথেই কাশফি এদিক ওদিক চায়। তার নীল সমুদ্র কে খোঁজার বৃথা চেষ্টা চালায়।
মনের মাঝে তার কৌতুহল। হাজারো কৌতুহল।
কালকে বলা নীলাদ্র’র সেই রাজকুমারের পুরো স্টোরি শুনতে সে ভীষণ আগ্রহী।ভীষণ।
কাল সারারাত এপাশ ওপাশ করেও তার ঘুম হয়নি।
বেখেয়ালিতে ধাক্কা খেল সে প্রচন্ড জোরে কারো সঙ্গে। ছিটকে পরলো বিল্ডিংয়ের বারান্দার ফ্লোরে।
তিয়াশা রাগে কটমট করে কাশফির দিকে চেয়ে সুধায়,
“ চোখ দুটো কি হাতে নিয়ে হাঁটো? তোতলার সঙ্গে সঙ্গে কি এবারে চোখেও কম দেখতে শুরু করেছ নাকি? ধাক্কা দিয়ে শরীর নাড়িয়ে দিলো পুরো। বেয়াদব মেয়ে একটা।উফফ।”
কাশফি গায়ের ধুলো ঝেরে উঠে দাঁড়ায়।
মনে মনে ভেঙচি কাটে।
“ বেশ হয়েছে। ডাইনী একটা।সারাদিন তো মনে হয় বাপের বাড়ি পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকিস। এবারে না হয় তোর আমার দয়ায় নিজের শরীরটাও একটু নড়লো।কোথায় ধন্যবাদ দিবি তা না শাসাচ্ছে দেখ।হুহ। ডাইনী কোথাকার।
তিয়াশার হাতের নখের দিকে চোখ যেতেই কাশফির গা গুলিয়ে আসে।
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ২২
ইশশ দেখ দেখ কেমন ডাইনীদের মতন বড় বড় নখ রেখেছে।পিচাশ একটা।”
তিয়াশার ধমকা ধমকির মাঝেই নীলাদ্র এসে হাজির হয় সেখানে।
মানব নিঃশব্দে প্যান্টের দুপকেটে হাত রেখে কাশফির পেছনে এসে দাঁড়ায়।
“ কাঁশি কি এখানে সার্কাস দেখাচ্ছে তিয়াশা?”