ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ২৫
মাহিরা ইসলাম মাহী
গাড়ির সামনে গিয়ে মাহরিসা দাঁড়াতে দেরী ঝড়ের বেগে কেউ তার হাত টেনে ভেতর নেয়।
চমকে উঠে মাহরিসা নিজেকে আদ্রিতের বক্ষমাঝে আবিষ্কার করে।
বুকের মাঝে হৃদপিণ্ড বিট করছে তার প্রচন্ড গতিতে।
তার আদু ভাইয়ের উত্তপ্ত নিঃশ্বাস আঁচড়ে পরছে তার ঘাড়ে।
আদ্রিত ফিসফিস করে সুধায়,
“ মেরিগোল্ড… “
“হুউউউম…”
মাহরিসা অস্ফুট স্বরে আওড়ায়।
“ তোকে আমার বাড়ি নিয়ে যাবো বউ।”
“ নাআাআা.”
“ কেন? কি সমস্যা তোর?”
আদ্রিত বিরক্ত হয়।
“ এখনি নয় আদু ভাইয়া, আগে সবাই জানবে তারপর…”
“ তো সবাইকে বলি?”
“ এখনি নয়।”
“ কি বা** এখনি নয় এখনি নয় করছিস।এখনি নয় তো কবে? বুড়ো হলে জানবে সব?”
মাহরিসা চুপসে যায়।
“ আসলে আদু ভা..”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ চুপপ, একদম চুপ। আর একবার যদি তোর ওই গোলাপি ঠোঁট দিয়ে আমায় ভাইয়া ডাকতে শুনেছি, তোর ওই ঠোঁট আজিবনের জন্য সুপার গ্লু লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।ইডিয়েট। “
আদ্রিত মেজাজ হারিয়ে ধমকে উঠে।
“ আর আদু কি হ্যাঁ? বল আদ্রিত।বল? এখনো ছয় বছরের বাচ্চা তুই?
বালিকা থেকে কিশোরী,কিশোরী থেকে যুবতী, যুবতী থেকে আমার বউ হলি তবুও তোর ওই অসভ্য, অভদ্র আচরণ বদলাতে পারলি না? কত্ত বড় অসভ্য হলে দিনের পর দিন হাসবেন্ডের নামের বিকৃতি করে ডাকতে পারে মেয়ে মানুষ, বেয়াদব।
আর একবার যদি দেখেছি চাপকে সোজা করে দেব।”
আদ্রিতের এত এত ধমকে মাহরিসা ব্যথিত হয়।
এমন ধমক খাওয়ানোর জন্য বুঝি তাকে ডাকা হয়েছে। থাকবেনা সে।সে কি ইচ্ছে করে ডাকে নাকি।এত বছরের পুষে রাখা হৃদয়ের নামখানা কি করে মুছে ফেলা যায়? পারে না তো সে।
কষ্টে চক্ষু হতে অশ্রু ঝরে তার।
সেই মোতাবেক বার বার নাক টানে সে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আদ্রিতের বক্ষে নাক মুছে।
কারণ হাত দুটো তো তার বাঁধা ওই অসভ্য ডাক্তার মহাশয়ের হাতে।
লোকটা আটক করতে কায়দা জানে ভারী।
মাহরিসা জেদ মোতাবেক উঠে চলে যেতে উদ্যত হয়।
পারেনা। বরং তার কোমরে থাকা আদ্রিতের হাতের বাঁধন আরো শক্ত হয়।
মানবের ঠোঁটে ঝোলে রহস্যময় হাসি।
“ কোথায় পালাচ্ছিস?”
“ ক..ই পালাচ্ছি না তো আদু ভা…”
থতমত স্বরে এবারে পূর্বের হুশিয়ারীতে নিজেই থামে সে।
“ পূর্বের কাজটা রিপিট কর।”
“ মানে?”
আদ্রিত গভীর দৃষ্টিতে মাহরিসার পানে চায়।
একমুহূর্ত দেরি করে না।
মাহরিসার কোমর ছেড়ে ঝটপট বুকের কাছে থাকা শার্টের দুটো বোতাম খুলে দেয়।মুহুর্তেই সাদা ধবধবে ফর্সা কামুকে বক্ষ তার উন্মুক্ত হয়।
“ আগের ন্যায় চুমু খা, কাম বউ।”
মাহরিসা হতভম্ব। ড্যাবড্যাব করে চেয়ে সে আদ্রিতের খাঁজকাটা বক্ষে। সে কখন আগে চুমু খেল।কিসব অসভ্য কথা বলছে লোকটা।
লজ্জায় দু গাল অদৃশ্য লাল হয় তার।
নাক মোছার তাগিদে সে যে আদ্রিতের বক্ষে ঠোঁট ঘসেছে সে খবর কি মাহরিসা রেখেছে আদৌও।
মাহরিসার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। সবই তার মানবকে চুমু না খাওয়ার ধান্ধা।
“ আপনাকে কেন চুমু খেতে যাবো আদ্রিত ভাই? আপনি কি আমায় ভালোবাসেন বলুন? যে আমায় ভালোবাসে না আমি তাকে আদর করি না।”
আদ্রিত তার জবাব দেয় না।
গভীর চোখে চায়।
মাহরিসার মন খুব করে চায় আদ্রিত তাকে প্রশ্ন করুক, গভীর প্রশ্ন,
“ আর তুই যাকে ভালোবাসিস তাকে আদর করবি না?”
মাহরিসার ইচ্ছা সম্পূর্ণ হয় না।
বরং আদ্রিত ঝটপট অন্য প্রসঙ্গে, টপিক চেঞ্জ করে।
কথা ঘোরাতে লোকটা দারুণ পটু।
“ নাকের ফোঁটা কই তোর?”
“ আ..আছে?”
সে কি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো আর অসভ্য ডাক্তার তার প্রশ্নের বিপরীতে কি ঘোড়ার ডিমের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো ।
ভালোবাসি’র কথা জিজ্ঞেস করলে কেউ নাকের ফুটা আছে কি নেই সে প্রশ্ন করে কেউ আদৌও? মাহরিসার জানা ছিল না।আশ্চর্য লোক।
মানুষ হ্যাঁ বা না বলে। আর এই লোক…
আদ্রিতের মনোযোগ অন্য দিকে।
সে মাহরিসার নাকের ফুটো খুঁজতে ব্যস্ত।
পেয়েও গেল।
ঘটনা ঘটল দ্রুত খুব দ্রুত।আদ্রিত পকেট থেকে ছোট্ট বাক্স বের করে তা থেকে নোজপিনটা নিয়ে মাহরিসার নাকে ঢুকিয়ে দিলো।
“ আউউচ।”
এতদিন নাকে কিছু না থাকায় হঠাৎ কিছু দিতেই সামান্য ব্যাথা পেল পেল সে।
“ আশ্চর্য ডাকাত নাকি আপনি।”
আদ্রিত মাহরিসার কথায় কান দেয় না বরং তার হাতে থাকা তলসি টা মাহরিসার হাতে দিয়ে সুধায়,
“ এটা নাকি নিচে লাগাতে হয়।সালার কিসব ঝামেলা। এই অদ্ভুত জিনিস ডিজাইনার দের বানাতে বলে কে।সব কটা পাগল।”
“ নিচে মানে?”
আদ্রিত দাঁতে দাঁতে দাঁত চেপে সুধায়।
“ নিচে মানে আমার মাথায় ইডিয়েট।”
“ ওও সেটা আগে বলবেন না দিন লাগিয়ে দিচ্ছি।”
“ সাটআপ ইডিয়েট।”
মাহরিসা থতমত খায়।
“ নোজপিনের নিচে লাগা এটা।বেয়াদব। সব সময় বেশি বুঝিস। “
মাহরিসা ড্যাবড্যাব করে চায়।নিজের নিম্ন ভাবনার মস্তিষ্ক কে চরম ভাবে ধিক্কার জানায়।
কাম অন মাহরিসা।
এতটা হাইপার হোস না তোকে মানায় না।কুউউল।
তলসি লাগানো শেষ হতেই আদ্রিত এবারে গভীর চোখে চায় মাহরিসার মুখশ্রীতে।
তার মেরিগোল্ড কে আসলেই ভীষণ সুন্দর লাগছে।
ডায়মন্ডের নোজপিনটা কেমন চমক দিচ্ছে। মাহরিসার মুখের উজ্জ্বলতা আরো দৃঢ় করে তুলেছে।
নিজেকে আদ্রিতের কন্ট্রোল করা দায়।
আদ্রিত মাহরিসার কানে ঠোঁট ছোয়ায়।
মাহরিসা আবেশে চোখ বুঁজে আদ্রিত ফিসফিস করে সুধায়,
“ সরি মাই মেরিগোল্ড। যাস্ট ফিল ইট সোনা।”
বলতে দেরী কার্য সাধনে দেরি নেই মানবের।
মাহরিসার কোমর আঁকড়ে ধরে পুনরায়
নিজের সিগারেটে পোড়া ঠোঁট ছোঁয়ায় সে মাহরিসার নাকের ডগায়।
দীর্ঘ হয় সে চুমুর সময়।
ঘটনা উপলব্ধি করে মাহরিসা চোখ বড় বড় করে চায়।
আদ্রিতের চোখ বন্ধ।
“ বা..বাসায় যাবো আদু ভাইয়া।”
নিজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটায় আদ্রিতের চোখে মুখে ফুটে ওঠে বিরক্তি।
“ আমার কাজে ডিস্টার্ব করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তোর তাইনা?”
মাহরিসা গাল ফুলায়।
সব দোষ এখন তার।আর কোনো কথা বলবে না সে। কে বলেছে এমন অদ্ভুত জায়গায় চুমু খেতে লোকটাকে।
মাহরিসার গাল ফোলানোতে আদ্রিত মনে মনে হাসে।সে অদৃশ্য হাসি মাহরিসা দেখতে পায় না।দেখতে পেলে বুঝি সে সব থেকে খুশি হতো।
কিন্তু মাহরিসার কিপ্টুস আদু ভাইয়া তা দেখাতে বোধহয় বড্ড নারাজ।
মাহরিসার বুঝে উঠার আগেই পুনরায় চুমু খায় সে মাহরিসার টোম ফোলানো গালে।
বিস্মিত হতেই ফুঁস করে টোম পাঠায় মাহরিসা।
গাল দু’খানা চুপসে যায় তার।
এত অসভ্য লোকটা।
আদ্রিত কিছু না জানার ভঙিতে সুধায়,
“ যা বাসায় যা।আটকে রেখেছে কে তোকে।”
মাহরিসা জেদ করে গাড়ির ডোর খুলে বের হয়।
সঙ্গে সঙ্গে আদ্রিত তাকে পুনরায় ভেতরে টেনে আনে।
“ কি সমস্যা আপনার, আবার কি, বাসায় যাবো।!
“ হুউউশ।ডোন্ট টক।সামনে তাকা।”
হেয়ালী ভঙ্গিতে সামনে চেয়েই আঁতকে উঠে মাহরিসা।স্বয়ং নীবিড় বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছে।
মুহুর্তের মাঝে সে গেট দিয়ে বাইক নিয়ে ঢুকেও যায়।মাহরিসা তো ভাইয়ের ঘরের দরজা চাপানো দেখে ভেবেছিলো ভেতরে।তার ভাই যে বাহিরে তা কে জানতো।
সর্বনাশ এখন যদি দরজা আটকে নীবিড় শুয়ে পড়ে বাসায় যাবে কেমন করে সে। ভেতরে ঢুকবে কেমন করে।
করুণ চোখে মাহরিসা আদ্রিতের পানে চায়
মানবের মুখ একদম নরমাল যেন কিছু ঘটেই নি।
“ কি সমস্যা টালুমালু করছিস কে?”
“ তো কি করবো।দেখতে পাচ্ছেন না ভাইয়া এতক্ষণে বোধহয় দরজা আঁটকে দিয়েছে। আমি বাসায় যাবো কি করে। সব হলো আপনার কারণে।”
“ সেই টেনশন কি তোর?”
“ আমার না তো কার?”
“ আমি আছি কি করতে তবে ঘোড়ার ঘাস কাটতে?”
মাহরিসা টিপটিপ করে চোখ মেলে চায়।
“ কান খুলে শুনে রাখ। কবুল বলার সঙ্গে সঙ্গে তুই আমার হয়েছিস মেরিগোল্ড পুরোটাই আমার।একমাত্র আমার।তোর সকল প্রবলেম ও আমার, তোর সকল সুখ ও আমার। গট ইট।যে কোনো বিষয়ে সমস্যায় পরলে সর্বপ্রথম আমায় জানাবি।আমি বেঁচে থাকতে একটা আঁচ ও তোর গায়ে লাগতে দেব না বউ।গড প্রমিস।”
মাহরিসা অবাক দৃষ্টিতে তার আদু ভাইয়ের পানে চেয়ে।
এতটা গভীর ভাবেও তার আদ্রিত ভাই ভাবতে পারে বুঝি।
কই আদ্রিতের এই রুপ তো সে আগে দেখতে পায় নি।নাকি সে খেয়াল করে নি?মাহরিসার সকল সমস্যা আদ্রিতের?
উহু।মাহরিসার একমাত্র অর্ধাঙ্গের।
“ ভাইয়া দরজা লাগিয়ে দিলে আমি যাবো কেমন করে।”
“বের হ। ওখানে গিয়ে দাঁড়া। আমি ইশারা দিলে বাসায় ঢুকবি”
আদ্রিত হাতের ইশারায় সামনে থাকা অন্ধকারে মোড়া স্থানটা দেখিয়ে দিলো।
“ কিন্তু… “
“ তুই যাবি?”
মাহররিসা কথা বাড়ালো না।অন্ধকার স্থানটাতে গিয়ে দাঁড়ালো।
এখান থেকে তাকে কারো লক্ষ করা দূর্বিষহ ব্যাপার।
নীবিড় দরজায় নক করতে গিয়ে কি মনে করে দরজায় সামান্য টাস করতেই তা হাট করে খুলে গেল।
অবাক হলো সে।আজ কি দরজা খোলা রেখে বাবা ঘুমিয়ে পরলো নাকি?
খুলে রাখুক আর যাই করুক তার জন্য সুবিধাই হয়েছে।রাত বারোটায় বাসায় ফিরেছে মাহীন শুনলে তাকে আস্ত রাখবেনা।কোনো রকমে দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকলো সে।
রুমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বসতেই ফোনটা বেঁজে উঠলো তার।
এত রাতে আদ্রিতের ফোন দেখে খানিকটা অবাকই হলো নীবিড়।কারো কোনো বিপদ হলো না তো আবার।
দ্রুত রিসিভ করলো সে,
“ হ্যাঁ ব্রো বলো?”
“ দ্রুত নিচে আয়।নিচে আয় আমি দাঁড়িয়ে আছি।ফাস্ট।“
“ নিচে মানে?”
নীবিড়ের কন্ঠে বিস্ময়।
আদ্রিত বিরবির করে।
দুটো ভাই বোন এক কোয়ালিটির তাঁর ছেঁড়া মেন্টাল।
কেন? নিচে বলতে শুনলে এদের এত সমস্যা কোথায়?
“ নিচে মানে নিচে।তোদের বাসার সামনে আমি।”
নীবিড় সেই অবস্থায় পুনরায় নিচে নামে।
নীবিড় নিচে নামতেই আদ্রিত গাড়ি থেকে বের হয়ে নীবিড় কে নিয়ে কয়েক কদম সামনে হাঁটে।
মাহরিসা ইশারা বুঝে এক দৌঁড়ে বাসায় ঢুকে হাফ ছেড়ে বাঁচে একটুর জন্য বেঁচে গেছে সে আজ।
মাহরিসা বাসার ভেতরে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আদ্রিত বেঁকে বসে।
নীবিড়কে সুধায়,
“ বাসায় যা।তোকে দেখতে ইচ্ছে করছিলো ভীষণ। তাই ছুঁটে এলাম যাহ রাতে আর বাহিরে থাকিস না।”
নীবিড়ের চোখে বিস্ময়। সঙ্গে তার আদ্রিত ভাই যে তাকে যে এত ভালোবাসে অন্ধকারে তাকে দেখতে বাসা পর্যন্ত এসেছে এতেই তার চোখ ছলছল করে উঠে।
আবেগে জরিয়ে ধরে সে আদ্রিত কে।
“ ইউ আর দ্যা রিয়েল ব্রো। তোমারকে আমিও খুব মিস করছিলাম। “
আদ্রিত কোনো রকমে নীবিড় কে পুনরায় বাসায় পাঠায়।
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে মাহরিসা আদ্রিতের ছলচাতুরী কার্যক্রম চোখ বড় বড় করে পর্যবেক্ষণ করে।
অসভ্য ডাক্তার যে এতটা নাটুকে হতে পারে তা তার আগে জানা ছিলো না।
নাটকের একেক টা ধাপ যেন তার নিকট সাজানো।আর তাতে স্বয়ং ডাঃ আদ্রিত শেখ নিভৃত দারুণ পারফরম্যান্স করে।একদম প্রফেশনাল লেভেলের।
ডাক্তার না হয়ে লোকটার অভিনয়ের জগতে নাম লেখালেই বুঝি আরো ভালো হতো।
রোশনীর ধাক্কায় মাহরিসার ভাবনার ছেদ ঘটে।
ওদের উত্তর না দিয়ে কোনো রকমে কথা কাটিয়ে ভাগে মাহরিসা। নাকফুলের লোকেশন বলা তার পক্ষে অসম্ভব।
মায়ের কাছে থেকে শুনে জানাবে বলে জানায় ওদের।
মায়ের থেকে নয় বরং তার এখন তার আদু ভাইয়ের থেকে শুনে দুটোকে জানাতে হবে।নাহলে সাদা খরগোশ দুটো আস্ত রাখবে না তাঁকে।
কাশফি আজ রিক্সায় করে বাসায় ফেরার পথে লক্ষ করে নীলাদ্র নিজের বাইক থামিয়ে একটা নয় তলা বিল্ডিংয়ের সেকেন্ড ফ্লোরের একটা ফ্লাটে ঢুকে যাচ্ছে।
আচ্ছা এখানে কি নীল সমুদ্র একা একা তাকে? সে শুনেছে নীলাদ্র বাবা মায়ের সঙ্গে থাকে না।
কেন থাকেনা? কি সমস্যা?
সেদিন তো হলরুমে নীলাদ্র’র বাবাকে সে দেখেছিলো।বড্ড ভালো মানুষ মনে হলো কাশফির।ভদ্রলোকটার নামটা সম্ভবত আরাধ্য হবে।
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ২৪
পরদিন সে পুনরায় একই দৃশ্য দেখে রিক্সা ওয়ালা মামা কে থামায়।
নীলাদ্র একি ভঙ্গিতে সেই অ্যাপার্টমেন্টের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে।
ছেলেটার হাতে বাইকের চাবি ক্রমাগত ঘুরিয়ে যাচ্ছে।
নীল সমুদ্রের সব খানে বাঁদরামি।হুহ।
কাশফি ভেঙচি কাটে।