ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৬০
মাহিরা ইসলাম মাহী
নিস্তব্ধতার জ্ঞান ফিরতেই সাদাফের এক্সিডেন্টের কথা সকলকে জানিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটলো সে হসপিটালে।
তার পিছু পিছু আর সকলে।
হঠাৎ অঘটনের ঘটনায় সকলে স্তব্ধ।
এমনটা তো হবার কথা ছিল না।
কেবিনে ঢুকেই নিস্তব্ধতা থমকে গেল।
সাদাফের একটা পা উপরে ঝোলানো।মাথায় ব্যান্ডেজ, বাম হাতে ব্যান্ডেজ,কপাল ফাঁটা।
নিস্তব্ধতা কে দেখতেই সাদাফ চিৎকার করে উঠলো,
“ আহহহ ব্যথা।”
সাদাফের অতিরিক্ত ঢংয়ে নিস্তব্ধতার এতক্ষণের চিন্তিত মুখশ্রী বিরক্তি তে রুপান্তর হলো।
সেথায় নীলাদ্রকে দেখে নিস্তব্ধতা আরো ভ্রু কুঁচকে চাইলো।
নীলাদ্র দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল,
“ ভালো আছেন ভাবী?”
নীলাদ্র’র মুখে ভাবী ডাক শুনে নিস্তব্ধতার চোখ কপালে।খুকখুক করে কেঁশে উঠলো সে।
কি আশ্চর্য কান্ড। এ ও কি সম্ভব হবার ছিল।
নিস্তব্ধতা কাঠকাঠ কন্ঠে বলল,
“ সত্যি করে বলো তো নীলাদ্র ওও কি আসলেই এক্সিডেন্ট করেছে?”
“ খোদার কসম ভাবী।ব্রো সত্যিই হাত পা ভেঙে বসে আছে আপনার অপেক্ষায়।”
“ আমার অপেক্ষায়?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদাফ খুকখুক করে কেশে উঠলো ততক্ষণাৎ।
কেবিনে নীলাদ্র আর নিস্তব্ধতা ব্যতীত এই মুহুর্তে কেউ নেই।
নীলাদ্র কি বুঝলো কে জানে, রহস্যময় হেসে সে চট করে বেরিয়ে গেল কেবিন ছেড়ে।
নীলাদ্র’র কথা নিস্তব্ধতার বিশ্বাস হয়নি।
সে নিজে চেক করবে।
নিস্তব্ধতা এগুলো, আরো কাছাকাছি হলো অর্ধাঙ্গের।সাদাফের অপলক দৃষ্টি তখন তার বধূর পানেই চেয়ে। মেয়েটা আজও শাড়ী পরেছে।আহহ কি চমৎকার লাগছে।একদম খেয়ে ফেলা টাইপ সুন্দর।
নিস্তব্ধতা সাদাফের পায়ে চাপ দিয়ে ব্যথা বুঝতে নিতেই সাদাফ চট করে ডান হাত দিয়ে টেনে এক ঝটকায় নিস্তব্ধতা কে নিজের বুকের উপর এনে ফেলল।
নিস্তব্ধতা কিছু বুঝে উঠার আগেই তৃষ্ণার্থ দুজন প্রেমিক যুগলের ওষ্ঠদ্বয় পরস্পর কে স্পর্শ করে গভীর আলিঙ্গনে লিপ্ত হলো।শুষে নিতে চাইলো প্রিয়তমার ঠোঁটের ভাঁজে লুকানো সবটুকু সুখ।
নিস্তব্ধতা বাকরুদ্ধ হয়ে এভাবেই পরে রইলো সাদাফের বুকে।উঠে বসার শক্তি পাচ্ছে না্ পা দিটো কেমন নিশ্চল মনে হচ্ছে।
সাদাফ ফিসফিস করে বলল,
“ নীরুরেএএএ বলেছিলাম না শেষ ইচ্ছে আমার পূরণ করেই ছাড়বো।সব সময় জিতেও আজ তুই হেরে গেলি নীরু রেএএ। গো হারা হেরে গেলি।”
নিস্তব্ধতা ঠোঁট মুছতে মুছতে ফিসফিস করে বলল,
“ তার মানে সব তোর নাটক ছিল? সজনেডাঁটার বাচ্চা। তোকে আমি কাঁচা চিবিয়ে খাবো।“
নিস্তব্ধতা সাদাফের বুকে কিল বসাতেই সাদাফ চিৎকার করে উঠলো।
নীরু ঘাবড়ে গেল।
“ বিশ্বাস কর নিরু ভীষণ ব্যথা পাচ্ছি। সত্যিই এক্সিডেন্ট করেছি জান।বিলিভ মি। “
নিস্তব্ধতা এবারে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল,
“সত্যিই??”
যুবতীর প্রশয়ে সাদাফের প্রমিক হৃদয় আরো আরো সাহসী হয়ে উঠলো।
একদম যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করার ন্যায় সাহসী।
যুবক পুনরায় ওষ্ঠ ছোঁয়ালো তার প্রেয়সীর ঠোঁটে।
ডান হাত দিয়ে চেপে ধরলো কোমর।
ফিসফিস করে বলল,
“ তিন সত্যিই জান।বিশ্বাস কর ভালো থাকলে তোকে ছেড়ে দিতাম বুঝি? সবকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে তোকে জাপ্টে ধরে বাসর টা এখানেই সেরে ফেলতাম বুঝলি।”
সাদাফের অসভ্য কথায় লজ্জায় রমণীর গাল রক্তিম হয়ে উঠলো। পুনরায় বুকে আদুরে কিল বসাতে নিতেই থেমে গেল।তার বর সত্যিই অসুস্থ কিনা। এখন তো মারা ঠিক হবে না তাইনা।
“ অসভ্য। ছাড়তে বলেছি। ছাড় সাদাফ!”
সাদাফ নিস্তব্ধতার গলায় মুখ গুঁজলো।মাদকীয় কন্ঠে ফিসফিস করে বলল,
“ ছাড়বো না কি করবি? অসভ্যতা তো শুরুই করিনি।শুরু করলে তুই টিকতে পারবি না প্রমিস।ভাগ্যিস ওপর ওয়ালা টেকনিক খাটিয়ে ডান হাতটা সুস্থ রেখেছিলো। তাই তো তোকে এই অসভ্য আদরটুকু করতে সক্ষম হলাম। নয়তো কি হতো বলতো।”
নিস্তব্ধতা শিউরে উঠলো।সে চোখ বন্ধ করে আছে।
হয়তো নিজেকে সামলে নেওয়ার বৃথা প্রচেষ্টা।
তার দু’চোখে জল।তার দু-চোখ ভিজে আসে।
ভেতরটা হু হু করে উঠে।
ভালোবাসা,অভিমান,খুনসুটি, অভিযোগ সব কিছুর ভীড়ে চাপা পরে ছিল সাদাফের এই আদুরে প্রেমিক হৃদয়।
আঠাশ-উনত্রিশ বছরের একটা মেয়ের পক্ষে সমাজে অবিবাহিত অবস্থায় সুস্থ মস্তিষ্কে থাকা অসম্ভব প্রায়।চারপাশের কটু কথা শুনতেই হয়।
আমরা মানুষকে যতটুকু বলি মানুষ ততটুকুই জানে।
ঝগড়া, খুনসুটি আর অভিমানের গল্প।
কিন্তু এতগুলো দিন চারপাশের সমাজের যে তিক্ত কথাগুলো নিস্তব্ধতা কে শুনতে হয়েছে সামনে কিংবা অগোচরে।
তা তো কেউ জানে না।কারণ সে জানায়নি কাউকে।
হয়তো তার ফ্যামিলি সাপোর্টিভ তাই তারা কখনো তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দেয় নি। বরং সে যাকে ভালোবাসে না বলতেও তার পরিবার বুঝে সেই মানুষটার সঙ্গেই নিস্তব্ধতা কে মেলাতে শত ফন্দি এঁটেছে।
কিন্তু সমাজের আর পাঁচটা মেয়ে এভাবে কখনো নিস্তব্ধতার মত ছাড় পায়নি।
তারা পায়নি ফ্যামিলির সাপোর্ট তাই তো আজ তারা পরের সংসার নিজ পছন্দের বাহিরে গিয়ে মানিয়ে নেওয়ার মত সর্বোচ্চতম যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
একটা ছেলের ত্রিশ বছর কিছুই নই।কিন্তু একটা মেয়ের জন্য তা অনেক কিছু।
এই সমাজের জন্য অনেক কিছু।
আজকাল সকলে কচি মেয়ে খোঁজে।সেখানে আশা যে নিজের ছেলের জন্য কচি মেয়ে না খুঁজে সাচ্ছন্দ্যে নিস্তব্ধতা কে বেঁছে নেবে সে স্বপ্নেও ভাবেনি।
এ জন্য আশাকে তার হাজার বার ধন্যবাদ দিলেও বোধহয় কম হবে।
মানুষটা আসলেই ভীষণ ভালোমনের।
আজকাল এত ভালো মানুষিকতার শ্বশুর শাশুড়ী পাওয়া দূর্লভ-ই প্রায়।
বরং সব সংসারে থাকে খোঁচাখুঁচি আর ঝগড়াঝাঁটি।
সে তো চায়নি সাদাফের জীবনটা নষ্ট করতে।
সে হালকা হলেও বুঝতো সাদাফের মনের গহীনে থাকা অনুভুতি।
কিন্তু তবুও কখনো সে সাদাফকে প্রশ্রয় দেয়নি।
আজ সাদাফ ভুল করেছে বুঝে কদিন পর নিস্তব্ধতা কে নিয়ে যদি সে আফসোস করে। যদি ভাবে নিস্তব্ধতার চাইতে সুন্দরী তরুণী কোনো মেয়েকে সে ডিজার্ভ করতো।
তখন নিস্তব্ধতা কি করতো?
কি করে সইতো সে দুঃখ সে?
তার পক্ষে সম্ভব হতো না সহ্য করা।
সেদিন বিয়ের রাতে নিস্তব্ধতা বাড়ি ফিরে কান্নায় মেতেছে সমস্ত রাত।
বিয়ের পরেও তখনও সে সাদাফের থেকে দূরে দূরে থাকছিলো শুধু একটা কারণেই।
সাদাফ যদি তখনও নিজের ভুল বুঝে নিস্তব্ধতা কে ছাড়তে চায় সে ছেড়ে দেবে।
নিস্তব্ধতা চায় তার ভালোবাসার মানুষটা যা কিছুর বিনিময়ে হোক ভালো থাক।
নিস্তব্ধতা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“ আমার বয়স নিয়ে তোর কোনো আফসোস নেই রে সজনেডাঁটা? “
সাদাফ হতবাক চোখে চাইলো,
“ বয়স নিয়ে মানে?”
“ এই যে তুই কিন্তু আমার থেকে আরো বেটার,সুন্দরী তরুনী মেয়ে পেতি।লাইফটাকে দ্বিগুন ভাবে ইনজয় করতে পারতি।”
সাদাফ ততক্ষণাৎ রেগে গেল।চোয়াল শক্ত হয়ে উঠলো তার। কোমর ছেড়ে নিস্তব্ধতার চোয়াল চেপে ধরলো সে।
“ আহ, ব্যথা পাচ্ছি সাদাফ।”
“ চুপপ। এসব ফালতু কথা কে বলেছে তোকে।বয়স কাকে বলে হুম? বয়স কাকে বলে?”
“ দেখ তোর আমার বয়স নিয়ে গিল্টি থাকতেই পারে।”
অকস্মাৎ সাদাফ নিস্তব্ধতার ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে জোড়ে কামড়ে ধরলো।
“ উউ।”
“ গিল্টি মাই ফুট।
তোকে এসব বুঝিয়েছে কে? তোর মাথা যে এত মোটা সেটা তো আগে বুঝিনি রে নীরু।
সেই ছোট্ট বেলা থেকে ভালোবাসি আর এখন তুই বয়স মারাতে আসছিস? একশোা মেয়ে আমার সামনে এসে বসে থাকুক তাতে আমার বা*ল ছেড়া।ওদের দিকে এই সাদাফের চোখ ওও মাড়ায় না। ফাজলামো আমার সঙ্গে।ফালতু মেয়ে মানুষ। সর আমার চোখের সামনে থেকে সর তুই। দুর হয়ে যা।”
নিস্তব্ধতা সরলো না বরং কান্না ভুলে হেসে ফেলে সে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো সাদাফ কে।এই শেষবার আজীবনের জন্য আঁকড়ে ধরলো নিজস্ব মানুষটাকে। ছাড়বে না, আর একদমি ছাড়বে না কখনো।প্রশ্নই উঠে না।
“ উহু,ছাড়বো না।”
“ বিশ্বাস কর জান ওসব বয়স ফয়স আমি কখনো হিসাবই করিনি। আমার নিজের বয়স কত তাইতো জানিনা।ভালোবাসায় ওসব বয়স কিসের রে…”
সাদাফের বাকি কথা শেষ করতে দিলো না।
নিস্তব্ধতা নিজে থেকে এগুলো। চুষে নিলো প্রিয়তমের ওষ্ঠসুধা।
সাদাফ হেসে দিলো।একহাত দিয়ে যতটুকু সম্ভব প্রেয়সীকে নিজের মাঝে যেন ঢুকিয়ে নেবার চেষ্টা।
নিস্তব্ধতা ফিসফিস করে বলল,
“ ভালোবাসি।”
সাদাফের মনে হলো এই মুহুর্তে তার চাইতে পৃথিবীতে সুখী বোধহয় আর কেউ হতেই পারেনা।
“ আবার বল নীরুরেএএএ বল প্লিজ জান আর একবার।”
বলা হলো না।
কেবিনের বাইরে থেকে সোরগোল ভেসে আসছে।
নীলাদ্র কোনো রকমে সকলকে আটকে রেখেছে।
নিস্তব্ধ লজ্জা মিশ্রিত মুখশ্রী নিয়ে সাদাফকে ছাড়িয়ে কোনো রকমে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল হসপিটাল ছেড়ে।
পরিবারের মানুষ পিছু ডাকলেও সে দাঁড়ালো না। সাদাফের করা ঠোঁটের এই ক্ষত নিয়ে সকলের সামনে তার দাঁড়ানো সম্ভব না। অসম্ভব।
নীলাদ্র কাশফিকে দেখেই চোখ টিপ দিলো।
কাশফি নীলাদ্রকে দেখতেই ঘাবড়ে গেল।
কাশফি এতটাও বোকা নয় যে সে নীল সমুদ্রের বেকায়দায় করা প্রপোজালের মানে সে বুঝেনি।
সে ঠিক বুঝেছে।
তারওপর তার বাবা সুজন এসে যদি এই মুহুর্তে
নীলাদ্রকে এখানে দেখে কেলেংকারী বেঁধে যাবে।
আর ঠিক তাই হলো।কাশফির ধারণাই সত্য হলো।
সুজন এসে কেবিনে নীলাদ্রকে দেখতেই চিৎকার করে উঠলো,
“ এই যে এই অসভ্য ছেলে তুমি এখানে কি করছো। আমার ছেলের পাশে তুমি কি করছো।”
“ রিলাক্স শ..সরি আঙ্কেল এত উত্তেজিত হবেন না।আপনার হার্টে প্রবলেম হবে।”
সাদাফ বলল,
“ বাবা ওও আমাকে হসপিটালে এনেছে।”
“ তুমি চুপ থাকো।সারাদিন বাঁদরামো করে অঘটন ঘটিয়ে এখন হসপিটালের বেডে শুয়ে আছো। এখন ভালো লাগছে।”
“ যদি বড় কিছু হয়ে যেত।”
সকলে সাদাফকে একচোট ঝেড়ে তবেই শান্ত হলো।
সাদাফ জানে সকলের এই রাগের পেছনে শুধু ভালোবাসা আর স্নেহ-ই লুকিয়ে আছে।
আশা বলল,
“ বউমা যে ওভাবে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল কেন।
সত্যি করে বলতো আমার পান্ডা, নীরু মায়ের সঙ্গে কি করেছিস তুই? “
সাদাফ শুষ্ক ঢোক গিলে চাইলো মায়ের পানে,
“ এখন মাকে সে কি করে বলে, মা গো তোমার বউমাকে শুধু কয়েকটা চুমুই খেয়েছি আর কিছু করিনি।তাতেই তোমার বউমা লজ্জায় কপোকাত হয়ে আবার পালিয়েছে।তোমার বউমা তো সারাক্ষণ আমার থেকে পালানোর ধান্ধায় থাকে।
আবার আজ এসেছে বয়সের অজুহাত নিয়ে।
চাপকে সোজা করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু পারলাম আর কই। তোমার ওমন সুন্দরী বউমা’র ঠোঁট দুটো দেখেই তো কপোকাত হলাম। ব্যস।”
সাদাফের ভাবনার ভাটল ধরালো নিলাদ্র।
নীলাদ্র আহত কন্ঠে বলল,
“ ব্রো। সে ভাবীর সঙ্গে তুমি যাই করো না কেন।কিন্তু কথা সেটা নয়।কথা হচ্ছে, তোমায় তো ভাবীর এটেনশন পাবার জন্য মিথ্যা নাটক করতে বলেছিলাম বাইক এক্সিডেন্টের ।সত্যি সত্যিই তো ঘটাতে বলিনি।কি থেকে কি করলে বলো তো।”
সাদাফ নিজেও বুঝতে পারছেনা কিছু।সব তো নীলাদ্র’র প্লান মাফিক’ই হচ্ছিলো।
সে ফাঁকা রাস্তায় বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
নীলাদ্র তার পাশে দাঁড়িয়ে এ্যাম্বুলেন্স কে ফোন করছিলো মিথ্যা এক্সিডেন্টের নাটক করে।
কিন্তু তার মাঝে হুট করে যে কোথা থেকে একটা বাইক এসে তাকে প্রচন্ড বেগে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেল কে জানে।
হেলমেট পড়া থাকায় বাইক আরোহীর মুখশ্রী দেখতে পায়নি সাদাফ নিজেও।
ভাগ্যিস অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেছে।
কিন্তু কে ছিল সেই বাইক আরোহী? ঘটনা কি ইচ্ছাকৃত ঘটিয়েছিল সে? মানবতা বোধ থেকেও তো মানুষ পিছু ঘরে দেখে কাকে মারলো।
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৫৯
সাদাপের চলন্ত বাইক ছিলোনা যে অনিচ্ছাকৃত হবে।
তবে কি এক্সিডেন্ট টা কারো ইচ্ছাকৃত ছিল?
মিথ্যা বলে ডেকে আনা এ্যাম্বুলেন্সটাই তখন কাজে লেগেছিল।
সাদাফ তো ছিটকে পরেছিল রাস্তায়।
ভাগ্যিস তখন নীলাদ্র সঙ্গে ছিল।
শত্রু থেকে কি করে এক লহমায় মিত্র হওয়া যায় এই ছেলেটাকে না দেখলে সাদাফ বুঝতেই পারতো না।