নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ১৯

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ১৯
ঝিলিক মল্লিক

জীম তখন দুশ্চিন্তায় পুরোপুরি কাবু হয়ে গেছে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে ওর৷ বারবার ফোনকল, মেসেজের পরেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। কারো সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাজরীন তো লাগাতার তার ভাইকে কল করেই যাচ্ছে। জীম বেশ কয়েকবার রায়ান আর শোয়েবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওরা উঠে পায়চারি করছিল উঠোনের এক কোণে অন্ধকার দিকটায়। জীম এবার সেদিকে তাকিয়ে বললো,
“ভাইয়া, তোমরা সত্যি করে বলো তো, উনারা কোথায় গেছে?”
রায়ান বরাবরের মতোই জবাব দিলো,
“আমরা তো জানি না সিস্টার।”
“না তোমরা জানো। সত্যি কথা বলো।”

“সত্যি বলছি, আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। জানলে তো অবশ্যই বলতাম। তবে এখন জানার চেষ্টা করছি।”
রায়ান আর শোয়েব এতোক্ষণ এমনি-ই পায়চারি করছিল। এবার জীমদের দেখিয়ে ওরা সেলফোন হাতে ধরে বেশ চিন্তিতভাবে একের পর এক কল করতে লাগলো। জেসি, তহুরা আর রিক্তিও বসে নেই। জীমের শরীর ঘামছে অতিরিক্ত। প্রেশার লো হয়ে গেছে সম্ভবত। মাথা ঘুরছে ওর। এতো রাতে এই মেজবান বাড়ি থেকে কতগুলো মানুষ কোথায় গেল! নিশ্চয়ই বেড়াতে এসে তারা এলাকার পাড়ার মোড়ে যেভাবে আড্ডা দেয়, সেভাবে রাত-বিরেতে আড্ডা দিতে যায়নি! আর এটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জীমের মনে হলো না, এরকম কিছু হয়েছে। তাছাড়াও হাসান আর আফিম যেভাবে তাড়াহুড়োয় বের হয়ে গেল, তাতে মনে হলো, যেন কোনো বিপদ হয়েছে। এই ভাবনাটাই জীমকে এতোক্ষণ যাবত তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রেশার লো হয়ে যাওয়ার কারণে মাথা ঘুরছে ওর। জীমকে অসুস্থ হয়ে পরতে দেখে রিমিলি দ্রুত ওকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল নিজের ছোট কক্ষে। ওর ঘরে কোনো ইলেকট্রিক বাতি নেই। তাই ফ্যান চালিয়ে দিয়ে কুপি জ্বালিয়ে দিলো। জীম খাটের মাথার অংশের সাথে লাগোয়া টিনের বেড়ায় লম্বালম্বিভাবে বালিশ রেখে হেলান দিয়ে বসে রইলো। ও এতো বেশি পরিমাণ ঘামছে যে শীতকালে ফ্যান চালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। রিমিলি চিন্তায় পরলো। দ্রুত বের হয়ে তাজরীনকে ডাক দিলো। তাজরীন আর জেসি উঠে এলো। ওদেরকে বললো ভেতরে গিয়ে জীমের হাত-পা সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করে দিতে। তাজরীন আর জেসি কথাটা শোনামাত্র রিমিলির ঘরে গেল। রিমিলি তখন ছুটলো রান্নাঘরে। এক কোয়া তেঁতুল নিয়ে ঝটপট জীমের মুখে তুলতে হবে।

জীমের শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক মাত্রা ধারণ করেছে। ঘন হয়ে আসছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার দেখছে যেন। দিদা এসেছিলেন। রসুন তেল গরম করে জীমের হাতে-পায়ে মালিশ করে দিয়ে যাওয়ার সময় বলে গেছেন,
“ওই ছ্যাড়া আইলে আগে আমার কক্ষে পাঠাই দেস। ওইটারে আজকে উড়াং ধুলাই দিয়ে আগে কৈফিয়ত চামু, ঘরে কচি বউরে টেনশনে রাইখা হুটহাট কই চইলা গেছিলো! এই মাইয়া ছেড়ি, তোর সাথে কী আগেও এরকম করতো নাকি?”
ছোট দিদা খুব মেজাজে আছেন। জীমকে প্রশ্ন করতেই জীম মাথা নাড়ালো তৎক্ষনাৎ। অর্থাৎ, এর আগেও শাহবীর তার সাথে এমন করেছে। সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়লো না জীম। ছোট দিদা উঠে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে রিমিলিকে বললেন,

“ও রিমিলি, আমার ঘরে আয়। হাত পাঙ্খা কই? হেইডা আইনে বাতাস কর আমারে। আর ছ্যাড়াগুলো আসার সাথে সাথে কেউ খবর দিও। ওরা আসুক। ওরা না আসলে মুখে খাওন উঠবো না।”
ছোট দিদা যেতেই জীম কাত হলো। মাথা আরো বেশি ঘুরছে ওর। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে। জীমের গায়ের ওপর একটা মোটা কাঁথা টেনে দিয়ে ওর পাশে হেলান দিয়ে বসে রইলো তাজরীন। রিক্তি, তহুরা আর জেসি টেনশনে শুকনো মুখ করে অসহায়ভাবে ছোট ঘরটার মধ্যে অন্ধকারেই বসে থাকলো। দুশ্চিন্তা কাবু করে ফেলেছে সবাইকে। রিক্তি, তহুরা আর জেসি ঘটনা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে বলেই বোধহয় আরো বেশি দুশ্চিন্তা করছে।
তাজরীন জীমের কপালে হাত রাখলো কি মনে করে যেন। শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা এমনিতেও ঠান্ডা থাকে। কিন্তু জীমের শরীর মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা। বরফের মতো ধারালো ঠান্ডা যাকে বলে! তাজরীনের সন্দেহ হলো। জ্বর এসেছে নাকি বৌমণির! ও তড়িঘড়িতে উঠে বসে বললো,

“পানি খাবে বৌমণি? নিয়ে আসছি।”
“না না। পানি খাবো না আমি। এক বোতল বিষ এনে দাও। তাই খেয়ে মরি। এভাবে পানি খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে চাওয়ার মতো দয়া আমাকে আর কোরো না তাজ। নিত্যদিন মরার চেয়ে একদিনে বিষ খেয়ে মরে যাওয়া ভালো।”
রিক্তি, তহুরা তখন জীমের কাছ ঘেঁষে বসেছে। ওর মাথায় ম্যাসাজ করে দিচ্ছে। বুঝলো, জ্বর এসেছে। তারওপর অতিরিক্ত প্রেশার আর টেনশন। এজন্য আবোলতাবোল বকছে।
রাত তখন আড়াইটা। একটানা দুশ্চিন্তার মধ্যে কতগুলো মেয়েমানুষের দমবন্ধকর সময় কাটতে লাগলো।

শাহবীর, রুবায়েত, আফিম আর হাসান অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ছোট দিদার সামনে। ছোট দিদা খাটের সামনের দিকে পা ঝুলিয়ে বসে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দেখছেন ওদেরকে। নিরবতা অনেকক্ষণ চললো। ছোট দিদা হয়তো জবাবের আশা করছিলেন ওদের কাছ থেকে। কোনো জবাব না পেয়ে এবার সে নিরবতা ভেঙে বললেন,
“তারমানে তোমরা বলবা না, কই গেছিলা তোমরা? এতো সময় কই ছিলা? ওদিকে মাইয়াগুলো টেনশন করে মরতেছে। সেদিকে কোনো হুঁশজ্ঞার আছে তোমাদের? আর এই-যে বাজান তুমি, তোমার বউ তো টেনশনের চোটে অসুস্থ হয়ে পইরা আছে বিছানায়। গায়েব হওনের সময় একবারও তার কথা মাথায় আইছিল? নাকি না? আমি আরো রান্ধন-বাড়ন করলাম তোমাদের জন্য। চলো এখন খাইতে চলো।”

শেষোক্ত কথাগুলো রুস্তমকে বলে ছোট দিদা উঠে গেলেন বিছানা থেকে। ভেতর ঘরের দরজা পেরিয়ে সদর দরজার বাইরে এসে উঠোনে নামলেন। মাদুর ঠিকঠাক করে খাবারের ব্যবস্থা করতে লাগলেন। বাকিরা সবাই এসে বসতে লাগলো। রুস্তম ভাবলো, খেতে বসার আগে অবশ্যই একবার সিলভির সাথে দেখা করা দরকার। সেজন্য রুবায়েতকে নিয়ে বারান্দার কোনায় অবস্থিত রিমিলির ঘরের ভেতরে গেল। অন্ধকারে ঘরের ভেতরের পরিবেশ তেমন বোঝা যায় না। জেসি, রিক্তি আর তহুরা রুস্তমদের ভেতরে আসতে দেখে বাইরের উঠোনে চলে গেল। তাজরীন তখনও ওঠেনি। দীর্ঘ ঘন্টাখানেক বৌমণির পাশে একটানা একইভাবে বসে থেকে পিঠ লেগে গেছে ওর। তবু ওঠার কোনো নাম নেই। স্থির বসে আছে ও। চোখ-মুখ শক্ত করে নিস্তেজভাবে বসে আছে। কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে তাজরীনকে। রুস্তম এবার এগিয়ে আসতেই তাজরীন উঠে আসলো বিছানা থেকে। সোজা ভাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে খড়খড়ে গলায় জিজ্ঞাসা করলো,

“ভাইয়া, ফোন কোথায় তোমার?”
“এই -তো পকেটে..”
অপ্রস্তুত হয়ে কথাটা বলে প্যান্টের পকেট হাতড়ে ফোন বের করলো রুস্তম। তাজরীন এবার শক্ত গলায় জিজ্ঞাসা করলো,
“কোথায় গিয়েছিলে তোমরা?”
“বাইরে গিয়েছিলাম। দরকারি কাজ ছিল।”
রুস্তমের সহজ-সাবলীল জবাব। তাজরীন এবার উচ্চ কন্ঠে বললো,
“এমন কী রাজকার্য উদ্ধার করতে গিয়েছিলে তোমরা, যে, সবার ফোন নামক জিনিসটা এতোটা গুরুত্বহীন হয়ে পরলো! কী? বলো আমাকে! মানুষের কোনো গুরুত্ব আছে তোমাদের কাছে? নাকি ওই সো কল্ড রাজকার্য-ই বেশি ইম্পর্ট্যান্ট?!”
রুস্তমের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে উঁকি দিয়ে ভাইয়ের পেছনে দাঁড়ানো রুবায়েতকে উদ্দেশ্য করে তাজরীন আবারও কঠোরভাবে জিজ্ঞাসা করলো,

“এই, আপনার ফোন কোথায়?”
রুবায়েত কোনো জবাব দিলো না। ভ্রু কুঁচকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তাজরীনের দিকে। তাজরীন তখন দ্রুত সরে পেছনে গিয়ে রুবায়েতের হাত ধরে টেনে বাইরের দিকে যেতে যেতে বললো,
“আপনি চলুন আমার সাথে। কথা আছে।”
রুবায়েতও বাধ্য ছেলের মতো তাজরীনের সঙ্গে যেতে লাগলো। অন্যদিন হলে হয়তো বাঁধা দিতো। রুস্তমও ওর এমন আচরণের জন্য শাসন করতো৷ কিন্তু আজ করলো না। পরিস্থিতি আজ একটু বেগতিক আছে। সবার মাথা গরম। আপাতত পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে হবে।

সবাই বের হয়ে যেতেই শাহবীর অন্ধকারে হাতড়ে এগিয়ে গিয়ে বসলো বিছনার ওপর। মখমলের চাদর হাতে ছোট্ট নরম শরীরটার অবস্থান বুঝতে পারলো। কুপি ততক্ষণে নিভে এসেছে। অগ্নিশিখা মলিন হয়ে গেছে। আলো ততোটা বোঝায় না। আঁধারে-ই ঢাকা পড়ে গেছে। শাহবীর সেই ছোট্ট নারী দেহটির কাঁধে হাত রাখতেই একটা চিকন হাত মুহূর্তের মধ্যে সেটা ছিটকে সরিয়ে দিলো। প্রথম ধাক্কাটা সামলে নিলো শাহবীর। কারণ বোধহয় ওর জানা ছিল, এমনটা হবেই। হওয়ার-ই ছিল। বরং, না হওয়াটা আরো অস্বাভাবিক। শাহবীর এবার আরো কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বসে আলতো স্বরে ডাকলো,
“সিলভি।”

ডাকটজ দেওয়া মাত্রই একটা ঝাঁঝালো চিকন কন্ঠস্বর শোনা গেল সঙ্গে সঙ্গে,
“কোনো সিলভি নেই। সিলভি মরে গেছে। আই থিংক, আজকের পর থেকে তোর জীবনে কোনো সিলভি নেই!”
শাহবীর থমকালো কয়েক মুহূর্তের জন্য। পরপরই কি মনে করে যেন উঠে গিয়ে দুই পাল্লার কাঠের দরজাটা আঁটকে খিল টেনে দিয়ে এসে আবারও বসলো। জীম তখনও উপুড় হয়ে শুয়ে আছে বিছানার ওপর। মুখের নিজে ছোটোখাটো বালিশটা অবস্থান করছে। পিঠের কাছে আনারকলির ওড়নাটা সরে গিয়ে বড় গলার ফিতা দেখা যাচ্ছে। শাহবীর ভাবলো, জীমের শীত লাগছে। তাই পাশে পড়ে থাকা কাঁথাটা টেনে নিয়ে ওর কাঁধের কাছে খোলা পিঠে উঠিয়ে দিতে যাবে, সেই মুহূর্তে জীম ওর হাতের বাহুতে নিজের হাতের মুঠি দ্বারা ধাক্কা মেরে কঠোর গলায় বললো,
“ছুঁবি না আমাকে! একদম ছুঁবি না। হারামজাদা! টেনশনে আধমরা ফেলে রেখে আবার পিরীত মারাতে আসছে!”
শাহবীর হতভম্ব হয়ে বসে রইলো কিছু মুহূর্তের জন্য। তারপর-ই পা উঠিয়ে বসে জীমের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর বাহু ধরে টেনে তুলে নিজের কোলের ওপর বসিয়ে মুখ চেপে ধরে বললো,

“ছিহ! এসব কেমন কথাবার্তা সিলভি? মুখের ভাষা ঠিক করো। এটা তোমার নিজের বাড়ি নয়, আর না-তো তোমার শ্বশুরবাড়ি। আত্মীয় বাড়িতে মেহমান হিসেবে এসেছে। মুখের ভাষা সংযত করো।”
“তোর মুখের ভাষা রাখ তুই তোর কাছে। শালা হারামজা..”
জীম পারলে এখনই গলা টিপে মেরে ফেলে শাহবীরকে। খুব দুর্বল লাগছে শরীর। রাগের মাথায় জ্বর শরীরে যে কিসব বলছে, তা নিজের ঠাহর করে উঠতে পারছে না। শুধু জানে, শাহবীরকে আজ সে দূরে সরাবে। শাস্তি দেবে। যদিও সেই ব্যক্তির কাছে ব্যাপারটা শাস্তিস্বরূপ হবে কিনা জানা নেই। লোকটা বরং খুশি-ই হবে বোধহয়! জীমের গা পুড়ছে যেন। শাহবীর ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। ওর নিজেরও শরীর উত্তপ্ত হয়ে আসছে। জীমের মুখ তখনো চেপে ধরে আছে। মুখ খুললেই যেন গোলাবারুদ ছুটছে! শাহবীর এবার হালকা অভিযোগের সুরে বললো,
“স্বামীর সাথে কেউ এভাবে কথা বলে না সিলভি। লোকে শুনলে মন্দ বলবে।”
“লোকে মন্দ বললে বলুক। লোকেরও তো জানা দরকার, তুই কেমন মানুষ, যে তোর বউ তোকে গালিগালাজ করছে।”

জীম চোখ খুলে রাখতে পারছে না। শাহবীরের কাঁধের ওপরেই আলতোভাবে মাথা রাখলো৷ ওর থুঁতনি গিয়ে ঠেকলো লোকটার পোলো শার্টের কলারের কাছটায় উন্মুক্ত স্থানে। চুলগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শাহবীরের গলায়, মুখে পরলো। উন্মুক্ত কাঁধেই ঠোঁট চেপে ধরে জীম এলোমেলো ভঙ্গিতে অস্পষ্ট সুরে বলতে লাগলো,
“তোকে আমি ডিভোর্স দেবো। পণ করছি, এবার ফিরে গিয়েই ডিভোর্স পেপারে সাইন করবো। একথার কোনো নড়চড় হবে না। আই হেইট ইউ। আই হেউট ইউ সো মাচ…”

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ১৮

জীমের কথাগুলো অভিমানের সুরে বলা কিনা বোঝা গেল না। তবে শাহবীর চমকে উঠলো। কোথাও গিয়ে যেন বুকের বাঁপাশে ধাক্কা লাগলো। শক্তভাবে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে রাখলো সিলভিকে। “স্যরি” শব্দটা কন্ঠনালী অবধি এসেই আঁটকে রইলো। গলা থেকে জিহ্বার আগায় এসে আর পৌঁছালো না। জীমও পণ করতে লাগলো। রাত যত গাঢ় হচ্ছিল, ততই রাগ-জেদ বাড়তে লাগলো ওর। তবু দু’জন দু’জনকে ছাড়লো না।

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ২০