নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ২১

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ২১
ঝিলিক মল্লিক

তাজরীন পুকুরে নেমেছে। সাঁতার জানে না ও। ভয়ে ভয়ে পা ঠেলছে পানিতে। জীম সাঁতার জানে। ও দূরে দাঁড়িয়ে তাজরীনের কান্ড দেখছে কোমরে হাত গুঁজে। কুট্টুস পুকুরঘাটের সিঁড়ির ওপর বসে তাজরীনের দিকে তাকিয়ে চেঁচাচ্ছে। এদিকটাতে আর কেউ নেই। রিক্তি, জেসি আর তহুরা গোসল সেরে উঠেছে কিছুক্ষণ হলো। বিয়েবাড়ির আমেজ চলছে। ওপাশে কুঠিবাড়িতে আয়োজন হচ্ছে। গানবাজনা চলছে সবসময়। থামাথামির কোনো নাম নেই। শহর থেকে নাকি ডিজে পার্টি ধরে আনা হয়েছে।

তা-ও যে-সে ডিজে পার্টি নয়। খালামণির ছোট ননদের ছেলে সায়নের বন্ধুরা-ই ডিজে পার্টির লোক। ওরা এক হিসেবে বিয়ের অতিথি হয়ে আসলেও ডিজে’র দায়িত্বটা ওদের-ই দেওয়া হয়েছে। আর নিগাগুলো র‍্যাপ গান বেশি পছন্দ করে বোধহয়। এতো জোরে সাউন্ড দিয়ে এমন ধরনের গান বাজিয়েছে, যে মনে হচ্ছে— বিয়েবাড়ি সুদ্ধ উড়ে যাবে। বিশাল বর্গাকার উঠোনটা নাচানাচি করছে। যেখানেই মানুষ দাঁড়াচ্ছে; মনে হচ্ছে, সেখানে ভূমিকম্প চলছে। জীমের মন-মেজাজ এখন ফুরফুরে। বিয়েবাড়ির এতো সুন্দর আমেজ। মন খারাপ করে থাকার কোনো মানেই হয় না। কোনো শাহবীরকে গোনার টাইম নেই— এমন একটা ভাবভঙ্গিমা নিয়ে চলছে জীম। কুট্টুস তাজরীনের বিশাল ভক্ত হয়ে গেছে অল্প সময়ের মধ্যেই। তাজরীনকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে চাইছে না। গালে হাত রেখে ও জিজ্ঞাসা করলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তাজ বাবু, তোমার গোছন হইচে?”
তাজরীন পুকুরের পানিতে নাকানিচুবানি খেতে খেতে জবাব দিলো,
“না কুট্টুস বাবু সোনা। আমার গোসল শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। তুমি বরং ভেতরে যাও। আঙ্কেলরা আছে, তাদের সাথে গিয়ে বসো।”
কুট্টুস গাল ফুলিয়ে বললো,
“না! আমি এখানেই বছে তাতবো। তুমি তাত্তাড়ি উঠে আতো।”
“তোমার মাম্মা কোথায়? তোমাকে খুঁজছে হয়তো। দেখে আসো তো।”
“মাম্মাহ উপলে আতে। আমি যাবো না।”
কুট্টুস উঠলো না। সেখানেই তাজরীনের জন্য বসে রইলো।

কাঠের দোতলায় বড় খাটের ওপর নয়টা মাথা এক জায়গায়। মাঝখানে একটা ম্যাপ। তহুরাকে চিন্তিত দেখালো। ও সতর্ক করতে বললো,
“কাজটা রিস্কের হয়ে যাবে ক্যাপ্টেন। আই থিংক, আমাদের আরো একটু ভাবনাচিন্তা করা উচিত।”
রুস্তম জবাব দেওয়ার আগেই আফিম বলে উঠলো,
“কোনো রিস্ক হবে নাহ। তুই অলওয়েজ এক্সেস বুঝবি না তহু। বহুবার বলেছি এর আগে!”
“তোমার কথা শুনতে হবে এখন আমাকে? আমি নিজের মতামতও জানাতে পারবো না? কি আশ্চর্য!”
“এখানে কোনো গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন চলছে না, যে তুই মতামত জানাবি। মতামত জানালেও রেজাল্ট জিরো আসবে। নাম্বার বাড়ানো-কমানোর সুযোগ নেই। ইচ্ছামাফিক কিছু হবে না। ডিসিশন ফাইনাল মানে ফাইনাল। আমরা সবাই মিলে ডিসিশন নিয়েছি যেহেতু, আমার মনে হয় না রিস্ক-এর জন্য নিয়েছি। আর রিস্ক না নিলে কাজটা কমপ্লিট হবেও বা কী করে?”

আফিমকে বেশ ক্ষিপ্ত দেখালো। এমনিতেই ওর মন-মেজাজ ভালো নেই। রাতে ভালো ঘুম হয়নি। গার্লফ্রেন্ডের প্যারা। বিয়েবাড়ির আমেজ। আবার এক্সট্রা কাজের প্রেশার। এবার যেন প্রেশারটা ওর ওপর একটু বেশিই পরছে। তাই মন-মেজাজ বিগড়ে আছে সেই সকাল থেকেই। দুপুর বারোটা বাজে, অথচ এখনো ওর মেজাজ ঠিকঠাক হওয়ার নাম নেই। অর্ধেক রাগটা তাই তহুরার ওপর ঝেড়ে ফেললো। তহুরা রেগে গিয়ে পাল্টা জবাবে চড়াও হয়ে বললো,
“সবার ডিসিশন, সবার ডিসিশন করছো বারবার। আমি কি এই ‘সবার’ বাইরের কেউ? যেখানে ক্যাপ্টেন, সিনিয়র রুবায়েত ভাই আমার কথা মনোযোগ সহকারে শুনছে, সেখানে তোমার এতো আপত্তি কীসে? সবসময় কেন আমাকে নিয়ে পড়ে থাকো? নিজের কাজ করো না।”
আফিম এমনভাবে তহুরার দিকে তাকালো, যেন এখনই পারলে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলে ওটাকে। বেশি বাড় বেড়েছে! সিনিয়রদের সামনে মুখে মুখে তর্কও করছে! এমন দিনও আসলো! ফেমিনিজম। সব-ই ফেমিনিজমের ফল। আফিম এবার হাত উঠিয়ে তহুরাকে ধমক দিয়ে বললো,

“হাটট!”
তহুরা সরলো না। ঠোঁট কামড়ে অবাক চোখে ভ্রু কুঁচকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আফিমের দিকে। আফিম চোখ গরম করে তাকাতেও ভড়কালো না। একইভাবে ঘাড়ত্যাড়ার মতো তাকিয়ে রইলো। শাহবীরের এমনিতেও মেজাজ খারাপ। আজকের দিনটাই জঘন্যরকম। রুবায়েত তখন একপাশে বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে টি-শার্টের হাতা গুটিয়ে কাঁটা জায়গায় মলম দিতে ব্যস্ত। সব-ই শুনছে ও, দেখছেও চোখের সামনে। তবে আগ বাড়িয়ে কিছু বলছে না। কখনো এসবে কিছু বলেও না রুবায়েত। এদের দু’টোর স্বভাব জানা আছে ওর। সাপে-নেউলে সম্পর্ক হলেও ঠিকই একে-অপরের সাথে লেগে থাকে।

শাহবীর এবার বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো হঠাৎ। তারপর কড়া ভাষায় আফিম ও তহুরার উদ্দেশ্যে বললো,
“তোমাদের আমি এসব শিখাইনি কখনো। ট্রেনিংয়ের দিনগুলো মনে আছে? একদিন ক্যাম্পে একটা কথা বলেছিলাম। সেটা মনে আছে? ম্যাটি স্টেপানেক বলেছেন— ‘ইউনিটি ইজ স্ট্রেংথ; হোয়েন দেয়ার ইজ টিমওয়ার্ক অ্যান্ড কোলাবোরেশন, ওয়ান্ডারফুল থিংস ক্যান বি অ্যাচিভড।’ — কথাটা মনে রেখো তোমরা।”
শাহবীর উঠলো। রুবায়েতও ওর সাথে উঠে হঠাৎ পেছনের দিকে ঝুঁকে ওদের উদ্দেশ্য করে বললো,
“একটা গান আছে না আফিম? ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে”— গানটা শুনেছিস নিশ্চয়ই? ওটা আমাদের খুব সুন গাইতে হবে। গানের গলা ভালো তো তোর৷ বি রেডি!”

আফিম বুঝে সামান্য হাসলো। শাহবীর নিচে নামার আগে কড়া গলায় বলে গেল,
“প্ল্যান ক্যান্সেল হবে না। আমাদের হাতে টাইম খুব বেশি নেই। এমনিতেও অথোরিটি থেকে প্রেশার আসছে। কোনোকিছু হলে সর্বপ্রথম আমাদের দিকেই আঙুল তোলা হবে। তাই, ডিসিশন চেঞ্জ করা হবে না। যাকে যা দায়িত্ব দিয়েছি, সব যেন ঠিকমতো কমপ্লিট হয়। সবাই আপডেট জানাবে।”
শাহবীর আর রুবায়েত বেরিয়ে গেল। জেসি আর রিক্তিও নেমে গেল ওদের পেছনেই। হাসানও উঠলো। ওকে উঠতে দেখে আফিম উঠতেই হাসান ওকে জোরপূর্বক বসিয়ে দিয়ে দিয়ে বললো,
“দ্যাখ আফিম, তোদের নিজেদের মধ্যকার ঝামেলা মিটমাট করে নেওয়া উচিত। আমার মনে হয়, তোদের বন্ডিং আগের চাইতে খারাপ হয়ে গেছে। এটা খুব বাজে একটা ব্যাপার। আমরা কেউ-ই চাই না, টিমের মধ্যে এমন ভাঙাচোরা বন্ডিং থাকুক। তারচেয়ে বরং এক জায়গায় দু’জন মুখোমুখি বস, কথা বল। দ্যান, প্রবলেম সলভ করে নে। খুব ভালো বন্ধু তো তোরা। এরকম তোদেরকে মানায় না।”
হাসান চলে গেলে। ওকে যেতে দেখে তহুরা বিরবির করে বললো,

“বন্ধু না ছাই!”
আফিম শোনেনি। ও তহুরার মুখোমুখি আসন মুড়ে বসতেই তহুরা উঠতে চাইলো। আফিম ওর হাত টেনে ধরে কড়া গলায় বললো,
“কথা আছে।”
তহুরা কি বুঝলো কে জানে। বাধ্যগতদের মতো বসে পরলো আফিমের সামনে। আফিম ওর দিকে তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করলো,
“সামহাউ, তুই কি আমাকে ইগনোর করছিস?”

তহুরা আফিমের চোখে চোখ রাখতে পারে না। যেন ওই চোখে চোখ পরলেও ওর লুকোচুরি সব ধরা পড়ে যাবে। দৃষ্টি চঞ্চল হয় ওর। অযুহাত দেখাতে চায়। এজন্য শাল চাদরের আড়াল হতে সরু হাত বের করে খোলা চুলগুলো বাঁধার চেষ্টা করে। বছর তিনেক আগে একাডেমিতে আসার আগে ট্রেনিংয়ের সময়ে চুল কেটেছিল। সেই চুল এখন পিঠ ছাড়িয়েছে। খুব লম্বা না হলেও সোনালি একটা আভার কারণে দারুণ দেখায়। মুগ্ধ করার মতো। কিন্তু সামনের পুরুষটি মোটেও মুগ্ধ হচ্ছে না। বরং, ভ্রু কুঁচকে বিরক্তি সহকারে দেখে চলেছে গর্দভটার কাজকর্ম। তহুরা দেখেও দেখলো না। তোয়াক্কা করলো না আফিমের বিরক্তির। বিরক্ত হতে থাকুক। সীমা পার করুক তহুরা। দেখা যাক, কতোটা সহ্য করতে পারে। তবেই না অপজিটের কাছে নিজের গুরুত্ব কতটুকু, তা বুঝতে পারবে ও। তহুরা ফোনের লক খুলে মেসেঞ্জারে প্রবেশ করে দিব্যি টেক্সট করতে ব্যস্ত হলো। তা-ও আবার অর্ণবের সাথে! অর্ণবকে তহুরা বলেছে, বন্ধু হয়ে থাকতে। ছেলেটা ভালো বন্ধু হয়েছেও। কিন্তু আফিম জানে, অর্ণব তহুরার বয়ফ্রেন্ড। তহুরা আফিমকে দেখিয়ে দেখিয়ে অর্ণবকে কল করে জিজ্ঞাসা করলো,

“হ্যাঁ, খেয়েছো তুমি?”
ওপাশ থেকে অর্ণব জবাব দিলো,
“আমি তো অনেকক্ষণ হলো খেয়েছি। তুমি খেয়েছো সুইট লিলি?”
তহুরা মুচকি হেসে জবাব দিলো,
“হ্যাঁ ডিয়ার। আমি সকালের নাস্তা করেছি। এবার ছুটিতে ফিরে তোমার সাথে দেখা করবো ভাবছি। তোমার আবদার রাখবো। পাঞ্জাবি পড়ে আসবে কিন্তু। নীল পাঞ্জাবি। আর আমি লাল শাড়ি। একটা ডেট হয়ে যাবে, নাহ?”
তহুরা মুচকি হেসে কথাগুলো বলছে। দু’জনের সব কথা শুনতে পাচ্ছে আফিম। ওর আর সহ্য হচ্ছে না। একটানে তহুরার কান থেকে ফোনটা টেনে নিয়ে আছড়ে ফেললো কাঠের মেঝের ওপরে। আচনক ঘটনায় তহুরা হতভম্ব হলো। মেঝেতে একবার ফোনটা দেখে এবার সরাসরি আফিমের চোখের দিকে তাকাতেই প্রথমবারের মতো এই উদভ্রান্ত ছেলেটাকে দেখে বুক কেঁপে উঠলো ওর।

রুবায়েত কুট্টুসকে জোরপূর্বক সিঁড়ির ওপর থেকে টেনে উঠিয়ে কোলে করে নিয়ে এসেছে ওপরে। বাজারের দিকে দোকানে গিয়েছিল ওরা। কুট্টুসের জন্য চকলেট এনেছে রুবায়েত। পকেট হাতড়ে সেটা বের করে কুট্টুসের হাতে দিলো। কুট্টুস তো ভীষণ খুশি। চকলেট সে অনেক পছন্দ করে। আর যে তাকে চকলেট দেয়, তাকেও অনেক পছন্দ করে। কুট্টুস এবার আনন্দে রুবায়েতের গালে একটা চুমু বসালো। রুবায়েতের নিজের মুখেও চকলেট। গাল ডানপাশে হালকা ফুলে আছে। কুট্টুস রুবায়েতের মুখের কাছে মুখ টেনে নিয়েই ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো,
“রুবাই আঙ্কেল, তুমার মুখে চক্কেট কেন? আর কীসের স্মেল আছতে? তুমি কি খেয়েচো?”
রুবায়েত চমকে উঠলো। এখনও স্মেলটা কাটেনি পুরোপুরি! ভারী জ্বালা তো। তবে কুট্টুসকে বোঝাতে ও বললো,

“এটা চকলেটের স্মেল সোনা।”
কুট্টুস মানলো না। তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, সে জানে এটা কিসের স্মেল। ও দৃঢ়তার সাথেই বললো,
“না। আমি জানি, এতা তিগারেটের স্মেল। তুমি কুউব পতা। মাম্মা বলে, তিগারেট পতা লোকেরা খায়।”
কুট্টুস দ্রুত তরতর করে বেয়ে রুবায়েতের কোল থেকে নেমে দৌড়াতে দৌড়াতে চেঁচিয়ে বললো,
”রুবাই আঙ্কেল, তুমি খুব পতা। আমি তবাইকে বলি দিবু, তুমি তিগারেট খাও। তুমি পতা, পতা।”
রুবায়েত সেখানে কোমরে হাত গুঁজে বেক্কল বনে দাঁড়িয়ে রইলো। ঠোঁট কামড়ে বিরবির করে বললো,
“এটুকু বাচ্চা সিগারেটের ধোঁয়াও চেনে! বাপরেহ! এবার হাঁটে হাড়ি ভেঙে ছাড়বে। মহা মুশকিল তো!”

জীম তখনও পুকুরের পানিতে। ওর ভালোই লাগছে এখানে। উঠতে ইচ্ছা করছে না। অদূরে পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে শাহবীর জোরে জোরে চেঁচিয়ে টিটকারি মারছে ওকে। সরাসরি নয়। তবে ইশারায়, আকারে-ইঙ্গিতে। জীম আড়চোখে বিরক্তি সহকারে দেখছে লোকটাকে। ভারী ভাদাইম্মা তো! আর কোনো কামকাজ নেই বোধহয়। ব্যাটা লোকের এই এক সমস্যা। বেকার বসে থাকলে মেয়েমানুষকে বিনা কারণে খোঁচাতে থাকে। শাহবীর একেবারে পুকুরের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়ানো। এবার ও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে জীমকে শুনিয়ে বলতে লাগলো,
“একজন বদ ডাইনী জীবনে পুকুর দেখেনি বোধহয়। তাই পুকুর দেখেই এমন ঝাঁপ মারা মেরেছে, এখন রাত কাটলেও উঠে আসবেনা মনে হয়।”

কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ধুপ! জীম সাবান মাখছিল জালে। পাশে ঘুরে তাকিয়ে দেখলো শাহবীর পুকুরের পানিতে। একটু আগে না ওপরে ছিল? পা স্লিপ করে পড়ে গেছে বোধহয়। জীম এবার জাল হাতে ডলতে ডলতে জোরে জোরে শাহবীরকে শুনিয়ে বলতে লাগলো,
“এজন্যই মহাকবি বলিয়াছেন, “মেয়েদের নিয়ে করিও না ঠাট্টা। যদি না সেই ঠাট্টা তোমার নিজের ওপরে বদদোয়া হইয়া ঝাঁপাইয়া পড়ে!”

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ২০

শাহবীর কোমরে হাত গুঁজে দূর থেকেই প্রশ্ন ছোঁড়ে,
“কোন মহাকবি বলিয়াছেন হে?”
জীম চেঁচিয়ে জবাব দিলো,
“আমার আব্বা!”

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ২২