নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ৭

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ৭
ঝিলিক মল্লিক

“জীবন কত সুন্দর জানেন? আপনি যদি আপনার চোখে জীবনকে সুন্দর করে দেখেন; তাহলেই আনন্দ পাবেন, শান্তিতে বাঁচতে পারবেন। আপনি হাসবেন, আনন্দিত হবেন, নিজেকে ভালোবাসবেন— এটুকুই আপনার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। শুধু খেয়াল রাখবেন, অন্যের কারণে অযথা যেন আপনি নিজেকে কষ্ট দিয়ে না ফেলেন। আত্মবাদিতার মানে বোঝেন? নিজেকে সর্বোচ্চ ভালোবেসে, অন্যের জন্য অযথা নিজেকে কষ্ট না দিয়ে সুখে থাকার নাম-ই হলো আত্মবাদিতা। মনুষ্যজাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো— আমরা নিজেকে বাদে সবাইকে, সবকিছুকে ভালোবাসি।

ভাবি, এতে বোধহয় ভালো থাকতে পারবো আমরা। অথচ ভালো থাকার অপর নাম-ই হলো, নিজেকে ভালোবাসা। লোকে বলে, অপরকে ভালোবাসলে তুমি ভালো থাকতে পারবে। কিন্তু আমি বলি, নিজেকে ভালোবাসতে পারার মধ্যেই সকল ভালো থাকা নিহিত। তাই, সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে নিজেকে ভালোবাসুন। ভালো রাখতে শিখুন।”
তাজরীন আজ বহুদিন পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটা মোটামুটি মধ্যম আকৃতির পোস্ট করলো। ওর অ্যাকাউন্টে বেশিরভাগই ওর ভার্সিটির ফ্রেন্ড, আর আত্মীয়-স্বজন এবং পুরোনো সব বন্ধু-বান্ধব। সবার সাথে বেশ ভালো সখ্যতা তাজরীনের। বরাবরই মিশুকে স্বভাবের মেয়ে ও। ঝুট-ঝামেলা এড়িয়ে চলে। কিন্তু ওকে কেউ ইগনোর করলে সহ্য করতে পারে না। এটাকে নিজের বাজে অভ্যাস বলে আখ্যা দেয় তাজরীন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এই যেমন এখন ওকে বিপরীত পাশের সিটে বসা লম্বা-চওড়া, নাকউঁচু লোকটা মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না— এটুকুই তাজরীনের ট্যুর মাটি করার জন্য যথেষ্ট। পাশের সিটে বসে তহুরা সাইড ব্যাগ থেকে একের পর এক চকলেট বের করছে। সেগুলো চিবোতে চিবোতে আড়চোখে কয়েকবার লোকটাকে দেখে ফোন স্ক্রল করে যাচ্ছে তাজরীন। স্ট্যাটাসটা দিয়েই নিউজিফিডে ঘুরছিল ও৷ হঠাৎই ফ্রেন্ড সাজেশনে একটা আইডির নাম দেখে কিঞ্চিৎ মিশ্র অনুভূতি হলো ওর। এর আগে সময়ে-অসময়ে বহুবার আইডিটা তাজরীনের চোখের সামনে পরেছে। মিউচুয়াল দেখেছিল ওর বড়ভাইয়ের সাথে। কিন্তু তখন তো লোকটাকে চিনতো না। এজন্য বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু এখন চেনে। আইডির প্রোফাইল পিকচারে সুদর্শন লোকটা দাঁড়িয়ে। হ্যাঁ দারুণ সুন্দর পোজ দিয়েছে।

দেখতে মারাত্মক লাগছে বাস্তবের মতোই— এটা অস্বীকার করার জো নেই। কিন্তু মুখে তার একরত্তিও হাসি নেই। প্রোফাইল পাবলিক করা। তাজরীন বসে বসে বিরক্ত-ই হচ্ছিল বলা যায়। তাই লোকটার আইডির ভেতরে ঢুকে সবকিছু খতিয়ে দেখতে লাগলো। ব্যাটা পোস্ট করে খুবই কম। সপ্তাহে একটা হবে। মাসে তিনটা-চারটা। প্রোফাইল আর কভার ফটো পরিবর্তন করেছে বছরে গুনে সাত-আট বার। এমনি বেশকিছু ফটো রয়েছে। সবগুলো ফটো ভালোভাবে ঘেঁটে দেখলো তাজরীন। নাহ, একটা ফটোতেও একটুও হাসি নেই। তাজরীনের আরো বেশি অস্বস্তি হলো। মানুষ না হেসে বাঁচে কীভাবে? ও তো বোধহয় একদিন না হাসতে পারলে নিঃশ্বাস আঁটকে মরেই যাবে। আবার এমনও হতে পারতো, লোকটা ছবিতে হাসে না; কিন্তু বাস্তবিক জীবনে ঠিকই হাসে। কিন্তু ব্যাপারটা তেমনও নয়। গতকাল থেকেই তাজরীন খেয়াল করেছে, রুবায়েত মোটেও হাসে না। সম্ভবত মানুষের ভীড়ও তেমন পছন্দ নয় তার। তাহলে কথা হচ্ছে, এসেছে কেন এখানে? এতো মানুষের ভীড়ে?

তাজরীনের একবার মনে হলো, প্রশ্নটা করবে। কিন্তু পরে আবার ভাবলো, অভদ্রতা হয়ে যেতে পারে। থাক দরকার নেই। তাছাড়াও যতদূর শুনেছে, ওর বড়ভাই আর মেজর রুবায়েতের মধ্যে বেশ ভালো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তারা একসময় ব্যাচমেট ছিল। চাকরির বাইরে দু’জনের খুব ভাব।
তাজরীন নিজের মস্তিষ্ককে বোঝাতে চাইলো, “মেজর রুবায়েত নওয়াজের চ্যাপ্টার ক্লোজড। এতোটা বাড়াবাড়ি করিস না তাজ।”
নাহ, তবুও নিজেকে বোঝাতে পারলো না তাজরীন। ডিরেক্ট রুবায়েতের আইডির মেসেজ অপশনে ক্লিক করে মেসেজ লিখে বসলো,

“বড়ভাই, আপনি কি হাসেন না কখনো? জন্মের সময় মুখে মধু পরেনি?”
ওহ শিট! সেই বেয়াদবি করেই ফেললো ও। মেসেজটা দেওয়ার এক মিনিটের মাথায় হুঁশ আসলো তাজরীনের৷ নিজের মাথাটা ধরে বাসের সাথে ঠুকতে মন চাইলো সেই মুহূর্তে। এমন ঠোঁটকাটা স্বভাব বারবার চেয়েও পরিবর্তন করতে পারছে না। মানুষ অভ্যাসের দাস— একথা সঠিক। হলফ করে বলা যায়, সহস্রবার সঠিক। আর তাজরীন পারলে নিজের বদ অভ্যাসগুলোকে নিকাহ করে নেয়। দ্রুত মেসেঞ্জারে গেল ও। যেভাবেই হোক সিন করার আগেই সব মেসেজ ডিলিট করতে হবে।
“হায় আল্লাহ! এ কি হলো!”

মনে মনে কথাটা বিরবির করে মাথায় হাত ফেললো তাজরীন। সর্বনাশ! এ-তো মহাবিপদ। আজ তাজরীনের সাথে সবকিছু উল্টাপাল্টা হচ্ছে, সবকিছু! অসহ্য! চরম অসহ্য লাগছে ওর। মেসেজ সেন্ট করার মিনিটখানেকের মধ্যেই রুবায়েত নামক উদ্ভট মিলিটারি ম্যান মেসেজ সিন করে ফেলেছে। কোনো রিপ্লাই করছে বলে মনে হচ্ছে না। তাজরীন বিপরীত দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারলো, লোকটা ফোনের দিকে একদৃষ্টিতে ভ্রুক্ষেপহীনভাবে তাকিয়ে আছে। তবে তাজরীনকে ঘুরেও দেখছে না। তাজরীনের প্রোফাইলে নিজের কোনো ফটে নেই। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের “অপেক্ষা” বইয়ের সুন্দর একখানা ফটো অবস্থান করছে সেখানে। কভারেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতগুলো বই একসাথে রেখে ক্লিক করা ফটো দেওয়া। এসব তাজরীনের নিজস্ব বুকশেলফের বই। অগণিত বই ওর। ছোটবেলা থেকে ভীষণ বইপ্রেমী হওয়ার দরুণ বই সংগ্রহের শখটা বরাবরই ছিল।

প্রোফাইল আর কভার ফটো দেখে তাজরীনকে চেনা না গেলেও আইডির নাম দেখে যে-কেউ অবলীলায় চিনে নিতে পারবে। ইংরেজি অক্ষরে — “তাজরীন তাসনিয়া” নাম আইডিটার। তাজরীনের মনে হলো, এই মুহূর্তে পারলে বাসের জানালা থেকে ঝাঁপ দেবে। কিন্তু না, তা আর সম্ভব হলো না। একটা মেসেজ নোটিফিকেশন দেখে কিছু মুহূর্তের জন্য থমকে গেল ও। গলা শুকিয়ে এলো, ঢোক গিললো৷ রুবায়েত নওয়াজ টেক্সটের রিপ্লাইতে লিখেছে, “তো?”
তো মানে কী? তাজরীন ভাবনায় পরলো। সে জিজ্ঞাসা করেছে, লোকটা হাসে না কেন? জবাবে আবার লোকটাই তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে বসে আছে! কি আশ্চর্য! চরম আশ্চর্যের ব্যাপার হলেও তাজরীন আপাতত আশ্চর্য হতেও ভুলে গেছে। সেকেন্ডের মধ্যে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো ও। চলন্ত বাস। মহাসড়কে আছে। সেদিকে খেয়াল নেই ওর। সামনেই কোনাকুনি দিকে ওর বড়ভাই-বৌমণির সিট। তার সামনে যদিও পর্দা টাঙানো। প্রতিটা সিটেই পর্দা আছে। কিন্তু সবাই টাঙায়নি, একমাত্র তার ভাই-ভাবী বাদে। তাজরীন এবার চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ডাকলো,

“ভাইয়া, ও ভাইয়া শোনোওও।”
“হ্যাঁ, এইতো বল।”
রুস্তম সিটের সামনের পর্দা সরিয়ে পেছনে ঘুরে ডাক শুনলো। তাজরীন দেখলো, ওর ভাইয়ের কাঁধে মাথা রেখে বৌমণি ঘুমিয়ে আছে। তাই গলার স্বর হালকা নিচু করে বললো,
“পানির বোতল, ফ্রুটিকার বোতল, মোজোর বোতল, চিপসের প্যাকেট, পাকোড়া সব এদিকে দাও; কুইক! খিদে পেয়েছে আমার।”

খাবার-দাবার আরো আছে। নাম মনে করতে না পারায় এই কয়টার কথা-ই বললো তাজরীন। রুস্তম উঠলো না। সিটের সামনেই পায়ের কাছে একটা ব্যাগ রাখা ছিল। খুব সাবধানে নিচু হলো ও, যাতে সিলভির ঘুম না ভাঙে। তারপর ব্যাগের চেইন খুলে তাজরীনের বলা খাবারগুলো একে একে বের করে পেছনের সিটে দিলো। সেখান থেকে রায়ান আর শোয়েব হাত বাড়িয়ে তাজরীনের হাতে দিতে লাগলো। সবকিছু নেওয়ার পরে শোয়েব আর রায়ানের দিকে দু’টো চিপসের প্যাকেট এগিয়ে দিলো তাজরীন। এই দুইজ রসিক আর মজার স্বভাবের ছেলের সাথে খুব ভাব তাজরীনের। বয়সে ওর চেয়ে পাঁচ-ছয় বছরের বড়। এতগুলো পুরুষ অফিসারের মধ্যে এরা-ই সবার জুনিয়র হলেও নেহাত বয়স কম নয়। ওর বড়ভাই আর রুবায়েত নওয়াজ সম্ভবত কাছাকাছি বয়সের। তাজরীন এবার আড়চোখে রুবায়েতকে দেখলো। লোকটার নূন্যতম হেলদোল নেই। হঠাৎ আরেকটা টেক্সট আসলো। মেসেজটা এমন—
“আড়চোখে না দেখে সরাসরি দেখুন। আড়চোখে দেখা পছন্দ করি না। এভাবে দেখে বখাটেরা। আপনি কী বখাটে মেয়েমানুষ?”
মেসেজটা দেখে তাজরীন রাগে-ক্ষোভে নড়েচড়ে বসলো। রুবায়েতের কথামতো সরাসরিও দেখলো না। বরং, সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুঁজে শুয়ে রইলো। কিছুক্ষণ আগেও খিদে পেয়েছিল ওর। এখন সব গায়েব। লোকটার তিক্ত কথাবার্তায় খিদে ম’রে গেছে।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটার নাম — “ব্যাটালিয়ন ফায়ারফক্স।”
বাসের নয়জন বাদে সকল যাত্রী এখন ঘুমে বিভোর। নয়জন যারা জেগে আছে, তারা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। গুরুতর আলোচনা বসেছে সেখানে। শোয়েব রুস্তমকে ট্যাগ করে লিখেছে,
“স্যার, এখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক।”
রুস্তম রিপ্লাই করলো,
“আর ইউ শিওর? অল ওকে?”
“ইয়েস স্যার। কোনো ইনফরমেশন সাপ্লাই হয়নি।”
রুবায়েত টেক্সট করলো,
“ইজ এভ্রিওয়ান রেডি ফর দ্য প্লে?”
রায়ান, তারপর আফিম লিখলো,
“ইয়েস বস! উই আর রেডি। বাট, একটা মজার কথা শোনেন। এসবের চক্করে এ জীবনে এই ফার্স্ট আমাকে লুঙ্গি পরতে হবে।”
হাসান রিপ্লাই করলো,
“পরবি রে ভাই। তোর লুঙ্গি কী খুলে আকাশে উড়ে যাবে নাকি? আর সেফটির জন্য আন্ডারওয়্যার তো পরবিই। না থাকলে আমার থেকে ধার নিস।”
হাসান অত্যন্ত সিরিয়াস টাইপের লোক। ওর এমন মেসেজে হাহা রিয়্যাক্ট পরলো আটটা। জেসি, তহুরা আর রিক্তিও হাহা রিয়্যাক্ট মেরেছে। মেয়েগুলো গ্রুপে যে আছে, তা কেউ ভোলেনি। আসলে এই গ্রুপে সব-ই চলে। গুরুতর কথাবার্তাকে মজাদার করে তোলা একমাত্র এই গ্রুপের সদস্যদের দ্বারা-ই সম্ভব।
এবার আফিম টেক্সট করলো,

“ভাই বিয়েবাড়িতে যাচ্ছি—এই ভাব নিয়ে কথা বলো। রুস্তম স্যারের “খালাতো বোনের বিয়ে”, ভুলে যেও না।”
“ওকে, সবাই শান্ত! সব ইনফরমেশন কনফার্ম করতে হবে। কারা আমাদের জন্য ওয়েট করবে চট্টগ্রামে?”
“দুইজন লোক থাকবে বাস স্ট্যান্ডের বাইরে। ওরা দেখা করবে আমাদের সাথে। কোড হবে, “মাছের রাজা ইলিশ।” ওরা জবাব দেবে, “কিন্তু পুঁটি খেতে মজা।” ওকে? বোঝা গেল?”
টেক্সটের রিপ্লাইটা দিলো রুস্তম। মেয়েরা এতোক্ষণ চুপ ছিল। জেসি এবার জিজ্ঞাসা করলো,
“মেজর, এগুলোর মিনিং?”
“ওদের নাম।”
“বাট, কীভাবে পসিবল?”

“সব খোলাসা করা সমীচীন নয়। দুই মিনিট ঠান্ডা মাথায় ব্রেন খাটাও, বুঝে যাবে।”
হাসান এবার বলে বসলো,
“ওর ব্রেন ওর ভবিষ্যৎ শ্বশুরবাড়িতে। তুলে এনে সেটআপ করতে হবে।”
হাসানের মেসেজে চারটা হাহা পরলো। মেয়েগুলো কোনো রিয়্যাক্ট দেয়নি। জেসি অ্যাংরি রিয়্যাক্ট ফেলে রাখলো।
আফিম লিখলো,
“এ সবাই প্ল্যানিংয়ের মাঝে ড্রামা কমাও। বাস থেকে নামার আগে ফাইনাল চেক করব। কালাকুত্তাগুলো সেফ হোল্ডে আছে তো?”
“ইয়েস ব্রো, আছে।”
রায়ান রিপ্লাই করতেই তহুরা জিজ্ঞাসা করলো,
“লোকাল পালংশাকগুলো জানে তো কিছু?”
রুস্তম জবাব দিলো,

“না। এই মাছ আমাদের হাতে। কোনো আলাদা টিম ইনভলভ হবে না। একদম বোবা টর্চলাইট জ্বলবে।”
“বিয়েবাড়ির নাটকের জন্য একটু রিহার্সাল দরকার ছিল। আমি যদি বলে ফেলি, “সন্তোষবাবু দমন শুরু করো!”
শোয়েব বরাবরই এমন। গুরুতর আলোচনায় ব্যাগড়া দিতে ওস্তাদ। তা ওর মেসেজগুলোই প্রমাণ করে। মেসেজের সাথে আবার হাহাযুক্ত ইমোজি।
আফিম রিপ্লাই করলো,
“তাহলে খবর আছে। সন্দেহ করবে যে-কেউ। চারিদিকে সন্তোষেরা ওঁত পেতে থাকে সবসময়। এরিয়া এমনিতেও ডেঞ্জারাস।”

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ৬

রুবায়েত এমনিতেও কম কথা বলে। এবার ও লিখলো,
“সন্দেহ করবে কেন? আমরা তো সত্যিকারের অতিথি!”
“আচ্ছা, সিরিয়াস হও। চট্টগ্রামে পৌঁছেই প্ল্যানের নেক্সট স্টেপ শুরু হবে। সবাই সজাগ থাকবে।”
রুস্তমের মেসেজের পর এবার সবাই একে একে রিপ্লাই করলো, “ওকে মেজর।”

নক্ষত্রের যাত্রাপথে পর্ব ৮