না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২০
মাইশা জান্নাত নূরা
নির্ঝর ইলমাকে শান্ত করতে বললো….
—”আপনি প্লিজ কাঁদবেন না। আমার ভু*ল হয়ে গিয়েছে। আপনাকে খানিকটা প্রেসার দিয়ে এসব শোনাটা একদম ঠিক হয় নি। প্লিজ, প্লিজ। কান্না থামান আপনি।”
ইলমা কান্না থামিয়ে দু’হাতে নিজের চোখ বেয়ে পড়া শেষ পানিটুকু মুছে নাক টেনে টেনে বললো….
—”নাক মুছবো।”
নির্ঝর অবাক স্বরে বললো….
—”এহহ!”
ইলমা নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বললো….
—”আরে নাক মুছবো। রুমাল-টুমাল কিছু নেই আপনার কাছে? না থাকলে নিজের টি-শার্ট টাই খুলে দিন নাক মোছার জন্য!”
নির্ঝর জোর পূর্বক হাসার চেষ্টা করে নিজের প্যন্টের পকেট থেকে রুমালটা বের করে ইলমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো…..
—”না না, এইযে রুমাল। নিন, নাক পরিষ্কার করে নিন।”
নির্ঝরের কথা শেষ হওয়ার দেড়ি ইলমা ওর হাত থেকে রুমালটা নিয়ে শব্দ করে নাক পরিষ্কার করতে শুরু করলো। নির্ঝর চোখ-মুখ কিছুটা কুঁচকে নিয়ে ইলমার দিকে তাকিয়ে আছে। পরক্ষণেই ইলমা নাক পরিষ্কার করার কাজ শেষ করে রুমালটা পুনরায় নির্ঝরের দিকে বাড়িয়ে দিলে নির্ঝর দ্রুততার সাথে ইলমার থেকে আরো খানিকটা দূরে সরে বসতে নিলে সোফার কিনারা পেডিয়ে একেবারে মেঝের উপর গিয়ে ধ*পা*স করে পরে গেলো। নির্ঝর খেয়াল করে নি এই সোফাটার সাইড দিয়ে কোনো পাটিশন মতো কিছু উঠানো নেই আর সে সোফাটার প্রায় কিনারাতেই বসে ছিলো এতোসময়। আকস্মিক ভাবে নিচে পরা মাত্র নির্ঝর ওর কোমর দু’হাতে চেপো ধরে ব্য*থা*য় ‘ও মা গোওও’ বলে চি*ল্লি*য়ে উঠলো। ইলমা নির্ঝরের এমন অবস্থা দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরপরই শব্দ করে হেসে উঠলো। নির্ঝর ওভাবে থেকে চোখ-মুখের আকৃতি অসহায়ের মতো করে ইলমার দিকে তাকিয়ে ধীরশব্দে মুখ দিয়ে ব্যথা দায়ক কিছু শব্দ বের করতে করতে বললো…..
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
—”নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে এই অতিঝর খানের সাথে যার যারই পরিচয় হয়েছে তার তারই জন্য উঠতে বসতে ওকে বাঁ*শ খেতে হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এই অ*ধ*মকে মানসিক ভাবে ব*ল*দ বানিয়েছিলেন আর আজ শারিরীক ভাবে ক্ষ*ত করছেন!”
ইলমা হাসি থামিয়ে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো….
—”মানছি গতকাল আপনার উপকারের বদলে যা করেছিলাম তা ঠিক করি নি। কিন্তু এখন! এখন আমার কি দো*ষ ছিলো বলুন তো! আমি কি আপনাকে কাতুকুতু দিয়েছিলাম যে, ওভাবে ব্য*ঙ এর মতো লাফ দিয়ে পিছনের দিকে খেয়াল না করেই সরে গেলেন!”
—”আপনি ঐ নাক পরিষ্কার করা রুমালটা আমার দিকে আবারও কেন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন? আপনার কি মনে হয়েছিলো ঐ রুমাল আবারও আমার ব্যবহারের উপযুক্ত ছিলো!”
ইলমা মুখ বাঁ*কি*য়ে বললো….
—”ওও এই ব্যপার! আমি মানুষ দুঃখের জ্বালায় নাকের পানি, চোখের পানি এক করে ফেলেছিলাম। আর ঐ সময় আমার এটা ভাবতে হতো ঐ ব্যবহৃত রুমাল আর আপনাকে ফেরত দেওয়া ঠিক হবে না! আর বাই দ্যা রাস্তা, আমি কিন্তু আপনাকে রুমালটা নেওয়ার সময় এটা জিজ্ঞেস করি নি ঐ রুমাল আপনি কি কি মোছার কাজে ব্যবহার করেছিলেন! আপনার মতো এমন অতি ঘে*ন্না মন নিয়ে আমি ঘুরি না। হুহ।”
নির্ঝর বিরবিরিয়ে বললো….
—”যে রুমাল আমি পকেটে করে নিয়ে ঘুরি সেই রুমালেরও চরিত্রের উপর স*ন্দে*হ ছোঁ*ড়া হলো! ষ্যাহ। এসব কি সহ্য করা যায়!”
ইলমা বললো….
—”কি বিরবির করছেন?”
—”আপনি যেভাবে আমার রুমালের চরিত্রের উপর স*ন্দে*হে*র তীর ছুঁ*ড়*লে*ন, এতে মনে হচ্ছে পকেটে করে ঘোরা এই রুমাল দিয়ে আমি কেবল মুখ বা হাত-ই মুছি না দুই নাম্বার সাড়ার পর পশ্চাৎদেশও মুছি!”
ইলমা নাক ছিঁ*ট*কে বললো….
—”ইসস ছি্:…!”
নির্ঝর এমন ভাবে তাকালো ইলমার দিকে মনে হচ্ছে আরো জ*ঘ*ন্য কিছু বলে ফেলবে ও এই মূহূর্তে।
পিহু সারফারাজের বুকের উপর প্রেসার দিয়ে বললো….
—”সরুন, কখন থেকে দরজায় কে যেনো কড়া নাড়ছে শুনছেন না! এখন কি বাড়ির সবার সামনেও আমাকে লজ্জায় ফেলার চিন্তা-ভাবনা করেছেন আপনি?”
সারফারাজ পিহুর উপর থেকে সরে বললো….
—”শরীরের বহির্ভাগ অংশে এমন কোনো স্ট্যম্প বসিয়ে দেই নি এখনও তোমার যে বাহিরে কারোর সামনে লজ্জায় পড়তে হবে। তবে লজ্জার প্রসঙ্গ যখন উঠিয়েছোই তখন দেই কয়েকটা স্ট্যম্প বসিয়ে? দেই?”
পিহু সঙ্গে সঙ্গে বিছানার অন্যপাশে নেমে দাঁড়ালো। নাক ছিঁ*ট*কে বললো….
—”অ*সভ্য, ব্রেকলেস পুরুষ কোথাকার।”
এই বলে পিহু ছুটে দরজার কাছে গেলো। ছিটকিনিতে হাত রাখতেই পিছন থেকে সারফারাজ পিহুর দিকে ওর ওড়নাটা এগিয়ে দিয়ে বললো…..
—”এই যে নতুন বউ দরজা খোলার আগে মাথায় ঘোমটা টানার জন্য ওড়নাটা তো নাও!”
সারফারাজের এরূপ কথা শোনা মাত্র পিহু ছিটকিনি থেকে হাত সরিয়ে নিজের দিকে তাকালো। জিহ্বায় হালকা কাঁ*ম*ড় বসিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো….
—”এতোসময় আমি নির্লজ্জের মতো ওড়না ছাড়াই ছিলাম ঐ লোকটার সামনে! ইসসস, কি লজ্জা।”
সারফারাজ পিহুর হালকা কুঁ*ক*ড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দেখে ঠোঁট চেপে নিজের হাসি নিয়ন্ত্রণ করে ওড়নাটা নিজেই পিছন থেকে ওর শরীরে জড়িয়ে দিলো। পিহু সঙ্গে সঙ্গে উল্টোপিঠ অবস্থাতেই একপার্শে সরে দাঁড়ালো। সারফারাজ দরজার কপাট খুলতেই চোখে পড়লো অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণীর উপর। বয়স ২০ এর এপাশ-ওপাশ হবে। গায়ের রংটা ভিষণ রকম ফর্সা। পরণে সাদা রঙের ছোট হাতাওয়ালা গোল টপস রয়েছে যা হাঁটুর খানিকটা উপর পর্যন্ত আর নিচে কালো একটা প্লাজু রয়েছে। পরিপাটি সাজে প্রাণখোলা হাসি নিয়ে উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে মেয়েটা বললো…..
—”বড় ভাইয়া! শুনলাম তুমি নাকি বিয়ে করে নিয়েছো? আমাদের দেশে ফেরার জন্য এতোটুকু অপেক্ষা করতেও পারো নি! ভাবী কই? সরো তুমি দরজা থেকে। ভাবীকে একটু দেখতে দাও আমায়।”
তরুণীটি পা বাড়িয়ে ভিতরে ঢুকতে উদ্যত হলে সারফারাজ দরজার দু’পার্শ্বে হাত রেখে বাঁধা প্রয়োগ করলো। দু’চোখে চাপা রাগের ঝলক ও মুখশ্রী জুড়ে গম্ভীরতার ছাপ ফুটিয়ে বললো…..
—”দু’টো বছর কেটে গিয়েছে নীরা। নিজের দেশ, জন্মস্থান, নিজের জন্মদায়িনী মা, পরিবার-পরিজন সবাইকে ভুলে একলা কাটিয়ে দিয়েছিস। কতোবার কতোভাবে তোকে দেশে ফিরতে বলেছিলো সবাই, বিশেষ করে চাচা-চাচী তবুও তুই ফিরিস নি। উল্টে ছোট চাচীর সঙ্গে যা-তা ব্যবহার করেছিলি। তুই সবকিছু ভুলে গেলেও আমি কিছুই ভুলি নি। সব কিছু ভুলে যাওয়া এতো সহজ না।”
সারফরাজের বলা কথাগুলো শুনে নীরার উচ্ছ্বাসভরা মুখটা মূহূর্তেই নিস্তেজ হয়ে গেলো। সেই প্রাণখোলা হাসি মুহূর্তেই হারিয়ে গেলো, শূন্যতারা ভর করলো। নীরার গলা শুকিয়ে এলো। বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে বললো….
—”বড় ভা…”
কিন্তু বাকিটুকু শেষ করতে পারলো না। সারফারাজ হাত তুলে ওকে থামিয়ে দিয়ে মুখ বরাবর আঙুল স্থির করে কঠিন কণ্ঠে বললো….
—”চুপ। ভুলেও আমাকে আর বড় ভাইয়া বলে ডাকবি না। তুই খান বংশের মেয়ে, ছোট চাচা-চাচীর একমাত্র সন্তান। শুধুমাত্র তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বিয়েতে তোর উপস্থিতি সহ্য করছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মনে রাখিস, তোর জন্য আমার কাছে কোনো ক্ষমা নেই।”
কথাগুলো যেনো নীরার বুকের ভেতর ধাঁ*রা*লো ছুঁ*ড়ি*র মতো বিঁ*ধলো। নীরা কেঁপে উঠলো। ২য় বার কিছু বলার সাহস সে পেলো না। তৎক্ষণাৎ সারফারাজ শব্দ করে দরজাটা নীরার মুখের উপরেই বন্ধ করে দিলো। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা নীরার দু’চোখ থেকে টুপটাপ করে অশ্রুরা ঝরে পড়তে লাগলো। প্রতিটি অশ্রুবিন্দু যেনো বলছে ওকে…..
‘তুমি শুধু তোমার আপনজনদের স্নেহ-ভালোবাসাই হারাও নি কেবল, তুমি হারিয়েছো তাদের থেকে ক্ষমা পাওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনাটুকুও।’
ইলমা নির্ঝরের দিকে নিজের ডান হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো….
—”হাতটা ধরুন আর উঠে দাঁড়ান।”
নির্ঝর বললো….
—”না, বাবা। আপনার হাত ধরা যাবে না। পরে আবার শুনতে হতে পারে, নির্ঝর খানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে সে তার সুযোগ নিয়ে মেয়েটির সাথে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করেছে।”
—”এতো বেশি বকবক না করে হাতটা ধরে উঠুন ওখান থেকে। যেভাবে পরে গিয়েছেন তাতে একলা যে উঠতে পারবেন না তা আমার বুঝতে বাকি নেই।”
—”আমি তো এখনও উঠার চেষ্টাই করি নি তাহলে আপনি কিভাবে বুঝলেন যে আমি একা উঠতে পারবো না!”
ইলমা হাত গুটিয়ে নিজের বুকের সাথে ভাঁজ করে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বললো….
—”বেশ তো, উঠুন তবে একাই।”
নির্ঝর একহাত কোমরে রেখে অন্যহাতে মেঝের উপর ভর দিয়ে উঠার চেষ্টা করতেই আবারও ধপ করে বসে পড়লো। ফলস্বরূপ দ্বিতীয় দফায় আবারও ব্যথা পেলো সে। দাঁত দ্বারা ঠোঁ*ট কাঁ*ম*ড়ে এই ব্যথা সহ্য করে নেওয়ার চেষ্টা করলো নির্ঝর। ইলমা বললো…
—”পাকনামির ফল কেমন? মিষ্টি না তিতা?”
—”জা*ঘা*ন্নিয়া।”
ইলমা ঠোঁট চেপে হাসছে। অতঃপর নির্ঝর ইলমার সাহায্য নিয়ে উঠে সোফায় এসে বসলো পুনরায়। ইলমা বললো….
—”খুব বেশি ব্যথা করছে কি? ডাক্তার দেখাতে হবে?”
নির্ঝর বললো….
—”না, এতো সিরিয়াস কিছু না। ব্যথার দু’টো ট্যবলেট দু’বেলায় খেলে এমনিই সেরে যাবে।”
ওদের কথার মাঝেই আড়মোড়া ভা*ঙ*তে ভা*ঙ*তে তেজ নিজরুম থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বললো….
—”নিজ্ঝরিয়া, কই রে তুই?”
তেজের কন্ঠ কর্ণপাত হতেই ওদের দৃষ্টি গেলো সিঁড়ির দিকে। ইলমা মুখ হা হয়ে গেলো তেজের এই অবস্থা দেখে। সঙ্গে সঙ্গে ইলমা দু’হাতে নিজের মুখ দেখে ‘আআআআ’ বলে চিল্লিয়ে উঠলো। সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠে গোসল করে উদাম বুকে কেবল একটা তোয়ালে কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত পেঁ*চি*য়ে নির্দ্বিধায় নিচে আসছিলো তেজ। সেইসময় এমন চিৎকারে তেজ ‘এই আআআ কেএএ’ বলে একহাতে নিজের উদাম বুক আরেকহাতে নিম্নাংশে পেঁ*চানো তোয়ালেটা চেপে ধরে হালকা কুঁ*জোর মতো হলো। নির্ঝর কি করবে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। তেজ সিঁড়ির উপর বসে পরলো। সিঁড়ির একপাশ দিয়ে থাকা স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসটি ওকে আড়াল করতে ব্যর্থ হলো। তেজ বললো….
—”শ্রদ্ধেয় ছোট চাচীর একমাত্র নাদান বাচ্চা আমার নেশায় ডুবে থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে মেয়ে আনা শুরু করেছিস তুইও! ষ্যা*হ। তোকে অন্তত সৎ চরিত্রের মনে করছিলাম। এখন দেখছি আমার সাথে থেকে থেকে আমার চরিত্রের বাতাস ভালোই লোগেছে তোর শরীরেও।”
নির্ঝর বললো….
—”তেজ ভাই, এসব উল্টা-পাল্টা কথা বলো না। আমার শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মন-প্রাণ-চরিত্র সবকিছুই এখনও ফুলের মতো পবিত্র আছে। আর ইলমার এখানে আসার পিছনে লম্বা কাহিনী আছে। তুমি নিচে আসো আমি বলছি তোমায়।”
ইলমা মুখ ঢেকে রাখা অবস্থাতেই দ্রুততার সাথে বললো….
—”এই না, একদম ওভাবে ঐ লোকটাকে নিচে আসতে বলবেন না। আগে রুমে গিয়ে পোশাক পড়তো বলুন তারপর আসবেন নিচে।”
তেজ ভ্রু উঁচিয়ে বিরবিরিয়ে বললো….
—”মূল অঙ্গ তো ঢেকেই আছি। আর শরীরের উপরিঅংশে তো নেটওয়ার্ক নেই যে ঢেকে রাখা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে! তাহলে এতো লজ্জার কি আছে এখানে!”
নির্ঝর বললো….
না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১৯
—”তেজ ভাই, যাও গিয়ে চেইঞ্জ করে আসো তুমি।”
তেজ কিছুটা বি*র*ক্তি নিয়ে উঠে উপরে আবারও নিজের রুমে চলে গেলো। নির্ঝর বললো….
—”মুখের উপর থেকে হাতটা সরাতে পারেন এখন আপনি। তেজ ভাই চলে গিয়েছেন।”
ইলমা তৎক্ষনাৎ ওর মুখের উপর থেকে হাত সরালো।