নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ১৯

নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ১৯
ঝিলিক মল্লিক

ঘড়ির কাটায় রাত এখন তিনটা। রিদির চোখে ঘুম নেই। পাশে আরবিন বালিশে হেলান দিয়ে বসে ফোনে গেইম খেলছে।
আগামীকাল সকালের পরেই আরবিন ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। রিদির ভাবলেই কেমন দম বন্ধ হয়ে আসছে। অনেকটা সময় উল্টোদিকে ঘুরে শুয়ে থেকে ওর মাথায় নানান চিন্তাভাবনা এসেছে। যার একটারও জট খুলতে পারেনি ও।

জীবন ওকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসেছে! নিজেকে নিজে দেখলে এখন ভীষণ অবাক হয় ও। কতটা পরিবর্তন! হ্যাঁ, আশ্চর্য হওয়ার মতোই ব্যাপার। কারণ রিদি বিয়ের আগে এমন ছিল না। কথা খু্ব কম বলতো, যদিও এখনও তেমনই আছে৷ তবে কথায় কথায় তেজ দেখানোর একটা বাজে স্বভাব ওর মধ্যে চলে এসেছে৷ আর এটা শুধুমাত্র আরবিনের ক্ষেত্রেই হয় বেশি। পরিস্থিতি ওকে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে।
আরবিনকে বুঝে উঠতে পারে না রিদি। কেমন যেন ভিন্ন অনুভূতির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চায় ওকে। তবু দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। এলোমেলো অবস্থান হয়ে দাঁড়ায়।
আরবিনের আচরণ একেক সময় একেক রকম। চূড়ান্ত কথার আ’ঘাত করতে করতেও কাছে টেনে নেয়, আদর-আহ্লাদ করে; আবার সময়সাপেক্ষে দূরে সরিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সাইফা বলেছিল— ডিফেন্সের লোকেরা আসলে এমনই হয়। সময় সুযোগ খুঁজতে স্ত্রী’কে ভালো ভালো কথাবার্তা বলে কাছে টেনে নেবে, আবার কাজ শেষ হলেই দূরে সরিয়ে দেবে। এদেরকে এককথায় সুযোগসন্ধানী বলা যায়। শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার জন্যই বউকে প্রয়োজন হয় এদের, নয়তো ঘরের বউকে গুনেও দেখে না এরা।
আচ্ছা, আরবিনও কি এই পর্যায়ের? কথাটা মনে আসতেই বুক কেঁপে ওঠে রিদির। ও নিজেও তো কম ভুল করেনি। আরবিন যতোবার কাছে টেনে নিয়েছে, চাইলেও দূরে সরিয়ে দিতে পারেনি৷ প্রতিবার শরীর কেমন অবশ, অসাড় হয়ে আসে। মনে হয়, ধ্বংস যেন সন্নিকটে। দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পতিত হয়ে নিজেকে লাজুকলতা বৃক্ষের ন্যায় অবলোকিত হয়।

রিদি এবার ঘুরে শোয়। আরবিনের মনোযোগ তখনও ফোনের দিকে। রিদি এবার ওর মনোযোগ সরাতে পা ঠেলে এগিয়ে দেয় আরবিনের পায়ের দিকে। এক পা আরবিনের পায়ের ওপর উঠিয়ে দিতেই আরবিন সপাটে দ্রুত ফোন থেকে মনোযোগ সরিয়ে রিদির দিকে তাকায়। রিদি ওর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে। আরবিন চোখের ইশারায় প্রশ্ন করে, “কী হয়েছে?”
জবাবে রিদি বলে,
“ঘুমাবেন না? রাত তো অনেক হলো। কাল আবার সারাদিন জার্নি করতে হবে না?”
“এইতো এখনই ঘুমাবো৷ তুমি ঘুমাওনি যে?”
কথাটা বলে আরবিন ফোনটাকে মিনি ওয়ারড্রবের ওপর রেখে বালিশে মাথা রেখে শুয়ে রিদিকে দিকে ঘুরে তাকায়। রিদি জবাব দেয়,

“ঘুম আসছে না।”
“কেন?”
রিদি কিছুক্ষণ ঠোঁটে ঠোঁট চেপে চুপ করে থাকে। তারপর আরবিনের চোখে চোখ রেখে অনুরোধের সুরে বলে,
“আপনি এই জবটা ছেড়ে দেন না। আমার পছন্দ না এই জব। দরকার হয় আমি আব্বুর সাথে কথা বলে আপনার বিজনেসের জন্য যত টাকা দরকার, সেটার ব্যবস্থা করে দেবো। আপনি বিজনেস করবেন নাহয়। তবু এই জবটা ছেড়ে দিন।”
রিদির কথা শেষ হওয়া মাত্রই আরবিন দ্রুত উঠে বসে তড়াক করে৷ রিদির দুই পাশে হাত রেখে ভর দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
“এই মেয়ে, সমস্যা কী তোমার? কী মনে হয় আমাকে?”

আরবিনের মেজাজ আবারও বিগড়ে গেছে। এতোক্ষণ, এমনকি আজ সারাটা দিন বেশ ভালোই কেটেছে। বিকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই ছাঁদে বসে একসাথে আড্ডা দিয়েছি। রাতে একসাথে বসে খাবার খেয়েছে। কত সুন্দরভাবে এগোচ্ছিল সবকিছু। রাতটাও বোধহয় এভাবেই পার হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু রিদির জন্য তা আর হলো না। রিদি ভ্রু কুঁচকে তাকায় আরবিনের দিকে। ওর মনে হলো, ও এমন কোনো কথা বলেনি, যাতে আরবিন এমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে৷ স্বাভাবিক একটা কথাই তো বলেছে! আর স্ত্রী হিসেবে এইটুকু অধিকার আছে বলে ওর মনে হয়। তাহলে কেন আরবিন পাল্টা এমন ব্যবহার করবে! রিদির রাগ হলো খুব। তবে সেটাকে অপ্রকাশিত রেখে আরবিনের চোখে চোখ রেখে কঠোরভাবে আবারও বললো,

“আমার একটাই সমস্যা — আপনার এই জব। কেন দুনিয়াতে এর বাইরে কি কিছু নেই? কাজের অভাব আছে? আমি বললাম, আপনি বিজনেস করবেন। দরকার হয়, আব্বুকে বলে টাকা ম্যানেজ করে দেবো আমি। তবুও এমন বিহেভ করছেন কেন?”
আরবিন হঠাৎ হিংস্র হয়ে উঠলো মারাত্মক। রিদির হাতের কব্জি বালিশের সাথে শক্তভাবে চেপে ধরে বললো,
“হু আর ইউ? তুমি আমার লাইফের ডিসিশন নেওয়ার কে?”
রিদি তবুও দমে গেল না। আরবিনের চোখে চোখ রেখে একইভাবে স্পষ্ট গলায় জবাব দিলো,
“আপনার ওয়াইফ।”

“আই ডোন্ট কেয়ার। তোমার কতবড় সাহস তুমি তোমার বাপের টাকার ফুটানি দেখাচ্ছো আমাকে! টাকাপয়সা আমাদের কম আছে? তোমার কী মনে হয়? এই জব আমি টাকার জন্য করছি? আর কতবার বলতে হবে তোমাকে? শিক্ষিত হয়েও এমন নির্বোধের মতো কথা বলো কেন বারবার?”
“আমার সমস্যার কথা আমি আপনাকে জানিয়েছি। একবার না, বহুবার। আপনি কখনো বুঝতে চেষ্টা করেছেন আমার কথা? আমার পরিস্থিতি? আমার কোনোকিছুর গুরুত্ব আছে আপনার কাছে?”
প্রশ্নটা করে আরবিনের দিকে জিজ্ঞাসাসূচক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে রিদি। আরবিন দাঁতে দাঁত চেপে এককথায় জবাব দেয়,

“না নেই। থাকার কোনো কারণও দেখছি না। তুমি এই একটা কথা নিয়ে পড়ে আছো কেন? আর আমি কেন তোমার বাপের টাকায় বিজনেস করবো? তাও আবার নিজের শখের জব ছেড়ে? কৈফিয়ত দাও আমাকে।”
আরবিন যথেষ্ট শান্ত থাকার চেষ্টা করে রিদিকে শেষ প্রশ্নটা করে। রিদি নিশ্চুপ হয়ে সরু চোখে আরবিনকে দেখতে থাকে। আরবিন ওর দিকে তাকিয়ে আছে জবাবের আশায়। রিদি তবু কিছু বলে না। যেন জেদ ধরে আছে, ও মুখ খুলবেই না।
“কি হলো? বলো!”
আরবিন ওর পাশে বালিশের ওপরে জোরে একটা ঘুষি মে’রে চেঁচিয়ে উঠতেই রিদির চোখের পাতা কেঁপে ওঠে। ও আরবিনের বুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বললো,
“সামনে থেকে সরুন। দমবন্ধ লাগছে আমার৷”

আরবিন সরলো না। ভ্রু কুঁচকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভার মতো উত্তপ্ত চাহনিতে রিদির দিকে চেয়ে রইলো চোয়াল শক্ত করে। রিদি ওর নূন্যতম কোনো হেরফের না দেখে পুনরায় বলে,
“আপনি আমাকে সহ্য করতে পারেন না, তাহলে আমার কাছে আসেন কেন বারবার? আপনাদের মতো ডিফেন্সের লোকদের স্বভাব-চরিত্র খুব ভালো মতো চেনা হয়ে গেছে আমার। আমাকে টাচ করবেন না একদম। দূরে সরুন!”
রিদি চেঁচিয়ে উঠলো। আরবিন তবু সরলো না। কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখালো না। আস্তেধীরে জবাব দিলো,
“তোমাকে আমি টাচ করেছি কখনো? ওই আগ্রহও আমার নেই।”
রিদি আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইলো আরবিনের দিকে। এতোকিছু করার পরেও বলে টাচ করেনি! মানে কতবড় পল্টিবাজ হলে এমন হয়! রিদি এবার রাগের মাথায় জোরে ধাক্কা দিলো আরবিনকে। আরবিন সামান্য একটু সরতেই রিদির হাত চেপে ধরে বললো,

“বাড়াবাড়ি করবে না রিদি। আমাকে শান্ত দেখতে ভালো লাগে না তোমার। যখন উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলবো, তখন আবার খারাপের তকমা লাগিয়ে দেবে৷ যদিও আমি মানুষ খুব একটা ভালো নই৷ যে যেমন, তার সাথে তেমন। তুমি না এইতো গতকাল-ই অ্যাক্সিডেন্ট করলে? হাতে সেলাই লাগলো না? এই শরীর নিয়েও এতো তেজ আসছে কোথা থেকে তোমার?”
রিদি এবার ক্ষেপে গিয়ে বললো,
“আমাকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন না? কবে দেবেন ডিভোর্স? আমি আর এই সম্পর্কে থাকতে পারছি না। অসহ্য লাগছে। যথেষ্ট চেষ্টা করেছি সম্পর্কটা সহজ করার। আপনি যখন এই রিলেশনটার জন্য সামান্য একটা জব ছেড়ে দেওয়ার মতো সেক্রিফাইস করতে পারবেন না, তাহলে আমিও আপনার জন্য কোনোরকম সেক্রিফাইস করতে পারবো না।”

“জবটা তোমার কাছে সামান্য মনে হলেও আমার কাছে মোটেও নয় রিদি। আর ডিভোর্স তো তোমাকে আমি দেবো না। খুব অসহ্য লাগছে না আমাকে? এই অসহ্যকে নিয়েই সারাজীবন থাকতে হবে বুঝেছো? তাছাড়াও এতোকিছু হওয়ার পরে তোমাকে আমি ডিভোর্স দিচ্ছিও না।”
“ডিভোর্স দেবেন না মানে? এটা কোন ধরনের ফাজলামো?”
“ডিভোর্স দেবো না মানে দেবো না। তোমার এক্সামের পরে আমার সাথে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাবো তোমাকে। সেখানে নিয়ে গিয়ে মানুষ বানাবো। আর যদি না বানাতে পারি, তখন নাহয় দেখা যাবে।”
“যে আমার জন্য সামান্য একটা জব সেক্রিফাইস করতে পারে না, তার কাছে আমার গুরুত্ব কেমন তা বোঝা হয়ে গেছে। ওই জব নিয়েই থাকুন আপনি। জবের সাথে খান, গল্প করেন, জবকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকুন। আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবেন।”

রিদি সরে গেলো। মাঝখানে একটা কোলবালিশ টেনে পাটিশন দিয়ে গায়ে কাঁথা টেনে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পরলো। আরবিন কিছুক্ষণ ওর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বালিশে মাথা রেখে বললো,
“সকালে আমার এখান থেকে দ্রুত বেরোতে হবে। বাসায় যাবো। সেখান থেকে বাসস্ট্যান্ড। ডেকে দিও জলদি।”
রিদি ওপাশ থেকে ত্যাড়াভাবে জবাব দিলো,
“পারবো না!”
আরবিন চোখ বুঁজে বললো,
“সকালে যদি উঠতে দেরি হয় আমার, তারজন্য দায়ী থাকবে তুমি। থাপ্পড় মারবো দুই গালে চারটা। একটা থাপ্পড়ও কম জোরের হবে না কিন্তু।”

রিদি সকালে ঘুম থেকে উঠে বসা মাত্রই মাথা ঝিম মেরে ধরলো ওর। মাথায় হাত চেপে রেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলো রিদি৷ জানালার বাইরের আলো দেখে মনে হচ্ছে, সকাল অনেকটা হয়েছে। রাতে তো থাই আঁটকে ঘুমিয়েছিল ও। তাহলে সকালে খুললো কে? ঘরে কে এসেছিল?
কথাটা মনে হতেই আরবিনের কথা মনে পরলো রিদির। ক্লান্তি আর কড়া ডোজের মেডিসিনের জন্য অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছে রিদি। তাই হঠাৎ ঘুম ভাঙার পরে মস্তিষ্ক ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ওর। আরবিন কোথায় গেল? ঘরে কোথাও দেখতে না পেয়ে তড়িঘড়ি করে উঠে গেল রিদি। দরজা খোলা-ই ছিল। ঘরের বাইরে বেরোতেই দেখতে পেল, ওর আম্মা ড্রয়িংরুমের সেন্টার টেবিল পরিষ্কার করছেন। রিদি দ্রুত ওর আম্মার কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলো,

“আম্মা, আরবিন কোথায়?”
“ও তো চলে গেছে।”
“চলে গেছে মানে? কোথায় গেছে?”
“ওর বাসায় গেছে। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে বাস ধরে সিলেট যাবে বিকালের দিকে।”
“আমাকে কিছু না বলে চলে গেলো!”
“তুই তো ঘুমে বেহুঁশ হয়ে ছিলি। আমি আরো তোকে ডেকে তুলতে চেয়েছিলাম। আরবিন নিষেধ করে বললো, তুই ক্লান্ত ছিলি অনেক। তাই ভালোভাবে ঘুমাতে দিতে। এখন যেন না উঠাই ঘুম থেকে। এজন্য আরো ডাকিনি আমি।”
“উনাকে সকালের নাস্তা করিয়েছো আম্মা? মুখটা শুকনো দেখাচ্ছিল রাতের দিকে। খুব খিদে পেয়েছিল হয়তো।”
“তা আবার বলতে? আমি নিজে হাতে সবকিছু বেড়ে খাইয়েছি ওকে। একমাত্র মেয়েজামাই আমার৷ ওর যত্নআত্তি আমরা করবো না তো কে করবে? নাস্তা করানোর পরে ও বেরিয়ে গেল। আর এটা দিয়েছে তোমার জন্য। তোমার এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে ওর তরফ থেকে একটা গিফট। দেখো তো কি। আমি খুলে দেখিনি।”

তানিয়া বেগম পাশের ড্রয়ারের ভেতর থেকে ছোট্ট একটা প্যাকেট হাতে নিয়ে রিদির হাতে দিলো৷ রিদি সেটা হাতে নিয়ে সোফায় বসলো। সাদা মিনি ব্যাগটা খুলে দেখলো ভেতরে একটা লাল রঙের জুয়েলারি বক্স। কৌতূহলী রিদি চটপটে হাতে বক্সটা খুলতেই বক্সের ভেতরে একটা সোনালি রঙের চিকন চেইন চিকচিক করতে লাগলো। স্বর্ণের চেইন এটা। রিদি লকেটা বক্স থেকে উঠিয়ে তুলে ধরতেই খেয়াল করলো, চেইনের সাথে ইংরেজিতে “A” অক্ষরের একটা ছোট্ট লকেট ঝুলানো। জুয়েলারি বক্সের সাথেই একটা চিরকুট পেল রিদি। সেখানে গুটি গুটি বাংলা অক্ষরে লেখা রয়েছে—

“তোমার সমস্ত কিছু হোক আমার নামে। এই চেইনটা সবসময় গলায় পরে থাকবে। এটা পড়ে ফটো তুলে ব্লক খুলে হোয়াটসঅ্যাপে ফটো দিও। অপেক্ষায় থাকবো। পরীক্ষার জন্য শুভকামনা। মাথা থেকে সব আজগুবি চিন্তা বাদ দিয়ে পরীক্ষার প্রিপারেশন নাও ভালোভাবে৷ জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে৷”
রিদি চিরকুটের শুরুর লেখাটুকু মনে মনে পড়ে শেষের তিন লাইন জোরে জোরে পড়লো। ওর আম্মা কি বুঝলো কে জানে, তিনি সানন্দে বলে উঠলেন,

নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ১৮

“জামাইটা আমার খুব ভালো ছেলে। দেখেছিস? এরকম স্বামী পেতেও কপাল লাগে।”
রিদি মায়ের কথায় সামনাসামনি মুচকি হেসে সায় দিয়ে অপরদিকে মনে মনে বিরবির করে বললো,
“হ্যাঁ, আসলেই কপাল লাগে। কি কপাল আমার!”

নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ২০