নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ২০
ঝিলিক মল্লিক
বাংলা বর্ষপঞ্জিকার পাতায় এখন আষাঢ় মাস। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলমান।
রিদির এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে তেরোদিন হতে চললো। আজ বিকালে রিদি বাইরে বেরিয়েছিল সাইফার সাথে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় খোলা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে রিদি। সাথে জুটিয়েছে সাইফাকে। আপাতত ওর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। খাওয়া, ঘুমসহ যাবতীয় দৈনন্দিন সকল কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো রুটিনও নেই। যখন যা খুশি করতে পারছে ও। ইচ্ছে হলে যখন খুশি খাচ্ছে-দাচ্ছে, আবার ইচ্ছা মোতাবেক রাতে সময় করে ঘুমাচ্ছে। এমনও দিন গেছে, রাত তিনটা-চারটা; এমনকি ভোর নাগাদ মুভি সিরিজ দেখা, উপন্যাসের বই পড়ার কাজে ব্যয় করায় চলে যাচ্ছে ওর। বেশিরভাগ দিন ঘুম থেকে ওঠা হয় দুপুর বারোটা কি একটায়। তারপর কিছুক্ষণ জিরিয়ে, ঝিমিয়ে কেটে যায়। ঝিমোতে, ঝিমোতে গোসল করতে যায় দুপুর একটার পরে। গোসল সেরে বেরিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েই রিদি ছুট লাগায় বাইরে। এই কদিনে একটা দিনও দুপুরের পরবর্তী সময়ে ওকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
তানিয়া বেগম মাঝেমধ্যে চোখ গরম করে বকাঝকা করলেও তা মোটেও গায়ে মাখছে না রিদি। এদিকে সোহরাব হোসেনও স্ত্রীকে উপদেশ দিয়েছেন, মেয়েকে এতো প্রেশার না দিতে। এতো বাঁধাধারা নিয়মে না বাঁধতে। টানা কয়েকটা মাস একনাগাড়ে পড়াশোনা করার কারণে মস্তিষ্ক জট পাকিয়ে আছে ওর। এই জটটা খুলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। তারপর নাহয় আবার পড়াশোনায় ফিরবে।
স্বামীর পরামর্শে মেয়েকে আর কিছু বলেননি তানিয়া বেগম। তবে সবদিকেই খেয়াল রাখছেন তিনি। মেয়ে কখন কি করছে, কখন খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে — সবকিছু। কড়া হুঁশিয়ারিতে রিদির রুটিন নিয়ে কথা বললেও রিদি তা মানছে না। ওকে দেখে মনে হয়, পরীক্ষার পেরেশানি থেকে বেরিয়ে ভীষণ আনন্দিত। নিজের ইচ্ছা স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে খুব খুশি।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অবশ্য এটা স্বাভাবিক। এই বয়সের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা মুক্ত পাখির ন্যায়। এরা শুধু আকাশে-বাতাসে ছুটে বেড়াতে চায়। খাঁচায় বন্দী করে এদেরকে রাখা যায় না। আর যদি আসে পড়াশোনার আলাপ! সেখানেই তো কেল্লাফতে। সুযোগ পেলে পড়াশোনার বিপরীত দিকটাই সবসময় খুঁজে নেয় ছেলেপেলেরা। এই যেমন রিদিও নিয়েছে। এখন যেহেতু পড়াশোনা অতোটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না; সেহেতু ছোটাছুটি করে বেড়ানোটাই শ্রেষ্ঠ কার্যক্রম।
আজও রিদি দুপুরের পরপরই বেরিয়েছে। ওর আম্মাকে বলে গেছে, ফিরবে মাগরিবের আজানের আগে। আজ পাশের এরিয়ায় একটা নতুন রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে; সেখানেই যাবে ও আর সাইফা।
সাইফা বসে আছে টিস্যু হাতে নিয়ে। রেস্টুরেন্টটার ইনডোর, আউটডোর — সব-ই সুন্দর। তবে আউটডোরটা একটু বেশিই মনোরম। রিদি আর সাইফা বসেছে আউটডোরে একটা কর্ণারের টেবিলে। খাবার এখনো সার্ভ করা হয়নি। রিদি ফোনে নিজের চুড়ি পরিহিত চিকনচাকন হাতটার ফটো তোলায় ব্যস্ত। সাইফা কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে রিদির দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
“দুলাভাই তোর সাথে আর যোগাযোগ করলোই না?!”
“উহুঁ।”
রিদি ফটো তুলতে তুলতেই মাথা নাড়িয়ে জবাবটা দিলো৷ সাইফা হতাশার সুরে বললো,
“ব্যাটামানুষ! এদেরকে চিনেছিস তো?”
“হু।”
“আমি আরো ভাবলাম, এতোদিনে হয়তো দুলাভাই তোর সাথে যোগাযোগ করবে।”
রিদি এবার ফোন হতে মনোযোগ সরিয়ে সাইফার দিকে তাকিয়ে বললো,
“যোগাযোগ করবে কীভাবে? আমি তো কনট্যাক্ট করার কোনো ওয়্যে-ই রাখিনি। যাওয়ার দিন ব্লক খুলতে বলেছিল চিরকুটে লিখে। কিন্তু ব্লক আমি খুলিনি।”
রিদির কথা শুনে সাইফা এবার অতি উৎসাহী হয়ে মুখটা এগিয়ে এনে বললো,
“তুই আসলেই এখনো পর্যন্ত একটা বোকার হদ্দ রয়ে গেলি রে রিদি। তোকে নিয়ে আমার বড্ড আফসোস হয়। এসব ব্যাটা মানুষদের চিনিস তুই? এরা তো আরো বেশি আনন্দে থাকে বউ দূরে থাকলে, বউয়ের সাথে যোগাযোগ না হলে। তোর সাথে দুলাভাইয়ের যোগাযোগ করার ওয়্যে অবশ্যই ছিল। তুই ব্লক করে রেখেছিস, কিন্তু তোর আব্বু-আম্মু কী ব্লক করেছেন তাকে? না তো! তাহলে এই দীর্ঘ আড়াই মাসেও তোর কোনো খোঁজ নেয়নি কেন? কারণ কী? অনুসন্ধান করে দ্যাখ কি করে বেড়ায়!”
সাইফার কথা শুনে রিদির কপালে ভাঁজ পড়লো। অন্যমনস্ক হয়ে চিন্তায় মগ্ন হলো ও। সাইফা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
“লকেটটা কিন্তু সুন্দর ছিল। তুই একদিনও পরিসনি। বুঝলাম না! লকেটের সাথে কীসের শত্রুতা?
“লকেটে আমার নামের অক্ষর না, উনার নামের অক্ষর রয়েছে। আর উনার অস্তিত্ব নিয়ে আমি ঘুরতে পারবো না।”
রিদির এই কথার জবাব সাইফা দিতে পারলো না। ও পার্স ব্যাগ থেকে নিজের সেলফোনটা বের করে দুই মিনিটে রিদির সামনে ফোনটা তুলে ধরে বললো,
“এই দ্যাখ!”
রিদি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো শুধু। কিছু বললো না। সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত ও। যেন কিছুই যায়-আসে না এসবে। ওর কি! যা খুশি করে বেড়াক। ওর তো কোনো অধিকার নেই। শুরু হতে আজ পর্যন্ত কোনো অধিকার আরবিনের তরফ থেকে পায়নি রিদি। ওকে সবসময় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে— অতি দেশপ্রেমী, দেশভক্ত লেফটেন্যান্ট আরবিন আল তৈমুরের জীবনে ওর কোনো শক্তপোক্ত অবস্থান নেই। কখনোই ছিল না, আর না তো ভবিষ্যতে কখনো হবে! আরবিন ওকে না বলেই যেন বুঝিয়ে দিয়েছে, রিদির আর তার সম্পর্কের কোনো মাপকাঠি নেই। কোনো অপরিহার্যতা নেই। এটা শুধুই ফর্মালিটি। ফর্মালিটির কথা মনে আসলেই বিয়ের প্রথম রাতে কপালে প্রথম স্পর্শের কথাটা মনে পরে যায় রিদির৷ সব-ই আসলে ফর্মালিটি। কিছু মানুষ সবকিছু করেই ফর্মালিটি অথবা চাহিদার খাতিরে।
কি আর করার! রিদি এবার মুখ খুলে সাইফাকে বলে,
“আমার জীবনে যার কোনো গুরুত্ব নেই, তার কোনোকিছুতেই আমার কিছু যায়-আসে না। আমাকে এখন জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা ভালোভাবেই দিয়েছি। এবার শুধু রেজাল্টের অপেক্ষা। এরমধ্যে অ্যাডমিশন কোচিং-এ ভর্তি হয়ে যাব। তারপর আবার ব্যস্ত জীবন। সেখানে এসব দেখার সময় আমার হবে না বৈকি!”
সাইফার ফোন স্ক্রিনে ফেসবুকে আরবিনের আইডির নামটা ভাসছে জ্বলজ্বল করে। ভেতরে প্রবেশ করে নিচে স্ক্রল করলেই দেখা যাচ্ছে, আরবিনসহ আরো কয়েকজনকে ট্যাগ করে ফারিয়া জাহান নামক আইডিটা থেকে বেশকিছু ফটো আপলোড করা হয়েছে। ফটোতে যথারীতি কয়েকজন খাকি ইউনিফর্ম পরিহিত অফিসারগণ৷ সকলেই উচ্চশিক্ষিত, সুদর্শন আর স্মার্ট। নারী অফিসাররা খুব সুন্দরী। ফারিয়া মেয়েটার চেহারার মধ্যে দারুণ একটা গ্লেস আছে৷ চেহারার দিকে তাকালেই বোঝা যায় — নিয়মিত রূপচর্চা করে।
সকল অফিসাররা একফ্রেমে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেছেন। হয়তো কোনো অকেশন ছিল। ফারিয়ার পাশে আরেকজন পুরুষ অফিসার, তারপাশেই আরবিন প্যান্টের পকেটে হাত রেখে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। চুল ছেঁটে কিছুটা ছোটো করা। দেখে মনে হচ্ছে, খুব আনন্দেই আছে।
রিদির গা জ্বলে গেল। সাইফার ফোনটাকে ধাক্কা মেরে একপাশে সরিয়ে দিয়ে টেবিলের সাথে নিজের মাথা চেপে ধরলো দুই হাতে। মুখে বললো,
“সাইফা, একটা পানির বোতল দিতে বল তো। মাথা ফেটে যাচ্ছে যন্ত্রণায়।”
রিদির কথা শুনে সাইফা ব্যস্ত হয়ে বললো,
“শরীর খারাপ লাগছে নাকি? বাসায় চলে যাবি?”
“খাবার অর্ডার করা হয়ে গেছে না?”
“সমস্যা নেই। পার্সেল করে দিতে বলছি।”
শেষমেশ অর্ডার করা খাবার তৎক্ষণাৎ সেখানে বসে না খেয়ে পার্সেল করে নিয়েই রেস্টুরেন্টে থেকে বেরিয়ে পরলো রিদি আর সাইফা। সাইফার গন্তব্য উল্টোদিকে। সাইফাকে একটা রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে রিদিও আরেকটা রিকশায় উঠে বসলো৷ ওর যাত্রা নিজ বাসার দিকে।
রিদি খাবারের পার্সেল সামনের সেন্টার টেবিলে রেখে সোফায় ক্লান্ত শরীরে ধপাস করে বসেছে সবে। মাথাটা এলিয়ে দিয়েছে সোফার ওপরে। চোখ বুঁজে নিরবে শুয়ে আছে ও। তখনই তানিয়া বেগমের গলা শোনা গেল। তানিয়া বেগম ভেতরের ঘর থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন,
“ও রিদি। তোর ফোনে টাকা আছে?”
“হ্যাঁ আম্মা। ব্যালেন্স তো আছে। কিন্তু কেন? কী হয়েছে?”
“তোর আব্বার সাথে এই মুহূর্তে কথা বলা জরুরি। কেন? তুই কিছু জানিস না? তোকে কল করেনি?”
“কী জানি না? কে কল করবে? হয়েছেটা কী? সব মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো বলো তো আম্মা। এমনিতেও ভালো লাগছে না শরীরটা।”
“শরীর ভালো লাগছে না মানে? এসময়ে শরীর ভালো না লাগলে ঝামেলা! কী হয়েছে? জ্বরজারি লাগছে? নাকি মাথা ব্যাথা? যা আমার ঘরে গিয়ে ওষুধের বক্স থেকে একটা নাপা বের করে খেয়ে নে। যাওয়ার আগে ফোনটা দিয়ে যা।”
রিদি এবার হেলান দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে। মায়ের দিকে তাকিয়ে ধীরেসুস্থে বলে,
“আরে আম্মা থামো! একটু জিরিয়ে তো নাও। নিঃশ্বাস ছাড়ো ঠিকমতো।”
তানিয়া বেগম আরো ব্যস্ত হয়ে বললেন,
“নিঃশ্বাস ছাড়ারও সময় নেই। বাসায় আহামরি বাজার-সদাই নেই। যা আছে, সাধারণ মাছ-তরকারি। আমি একা মানুষ, একা হাতে যে কি করবো; ভেবে কুল পাচ্ছি না। তোর বাপটাও না! আজ এখনও যে কেন ফিরলো না বাড়িতে, বুঝতে পারছি না।”
রিদি এবার বেশ তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে বললো,
“আম্মা! হয়েছেটা কী বলবে তো!”
“আরবিনের আম্মা কল দিয়েছিল কিছুক্ষণ আগে। আরবিন বাসায় ফিরেছে সকালের দিকে। আজ রাতে তারা সবাই আসছে এখানে। একবারে তোমাকে নিয়ে যাবে তাদের বাড়িতে। আর সময় নষ্ট করবে না। তাছাড়াও আরবিনের এবারের ছুটির পরে আর সুযোগও হয়ে উঠবে না। তোমার আব্বাকে নাকি কল দিয়েছিলেন আরবিনের আব্বা। তখন ফোনে না পেয়ে আমাকে কল করে জানালেন।”
“আমি বুঝলাম না আম্মা, এতো তাড়াহুড়ো করার কী আছে? আজ এসেছে ছুটি পেয়ে বাড়িতে, আর আজকেই আমাকে নিয়ে যাওয়া লাগবে? কেন দু’দিন পরে নিতে আসলে কী দুনিয়া উদ্ধার হয়ে যেতো?”
“বেয়াইন আমাকে কোনো কারণ জানায়নি, তবে মনে হচ্ছে এই তাড়াহুড়োটা তারা সময় নষ্ট না করার জন্যই করতে চাইছেন। সে যাকগে! এখন গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, তোমার আব্বুকে যে ফোন দেবো; আমার ফোনে টাকা শেষ হঠাৎ করে। ভাড়াটিয়াও বাড়িতে নেই। এখন আমি পরেছি মহা জ্বালায়। ফ্রিজে দেখলাম, গরুর মাংস আর মুরগীর মাংস আছে অল্পকিছু। কিছু চুঁচড়ো মাছ আছে। ওসবে কিছু হবে না। আর এতো অল্প সময়ে আমি সব আয়োজন করে পারবো কিনা, তা নিয়েও আশংকা হচ্ছে। তবে এতো বছর সংসার পার করার পরে নিজের প্রতি একটা ভালো আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। এখন এই বিকালেই যদি কোনোভাবে বাজার-সদাইয়ের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে রাতের মধ্যে মোটামুটি সব আয়োজন করে ফেলতে পারবো; আশা করা যায়। তুমি জলদি তোমার আব্বুকে কল করো।”
আম্মার কথা মোতাবেক আব্বুকে কল দিলো রিদি। সোহরাব হোসেন কল রিসিভ করা মাত্রই তানিয়া বেগম গড়গড় করে সবকিছু খুলে বললেন, আর সমস্যার কথাও। সোহরাব হোসেন ফোনের ওপাশ থেকে আশ্বাস দিয়ে জানালেন, নিশ্চিন্ত থাকতে। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তিনি ফিরছেন বাজার করে নিয়ে। তানিয়া বেগম যেন অন্যান্য কাজ শুরু করে দেয়।
স্বামীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে রান্নাঘরে ছুটলেন তানিয়া বেগম। যাওয়ার আগে রিদিকে বলে গেলেন, ঘর গুছিয়ে রাখতে আর কাকিমণিকে কল করতে।
রিদি ওর মায়ের ফোন নিয়ে ঘরে গেল। কললিস্টে নাম্বার খুঁজে বের করার মুহূর্তেই তানিয়া বেগমের ফোনে একটা কল আসলো। মায়ের ফোনে কল দেওয়া নাম্বারটা দেখে কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো রিদি। ওদিকে ওর আম্মা কাজে ব্যস্ত। একপ্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে কল রিসিভ করলো রিদি। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ওপাশ থেকে একটা রাশভারী আওয়াজ শোনা গেল—
“আসসালামু আলাইকুম, আম্মু।”
“আপনার শাশুড়ি নেই কলে, শাশুড়ির মেয়ে বলছি। ওয়ালাইকুম আসসালাম।”
ফোনের অপর পাশ থেকে আরবিন বলে উঠলো,
“ওহহ তুমি! যাক ভালোই হয়েছে। কল দিয়ে তোমাকেই চাইতাম। রাতে আসছি; শুনেছো নিশ্চয়ই?”
“হুঁ।”
নিষিদ্ধ শব্দের দিনলিপি পর্ব ১৯
“গাঢ় লাল খয়েরী রঙের একটা শাড়ি পরবে আজ। তবে জামদানী বা জর্জেট শাড়ি নয়। সুতির মধ্যে পরবে৷ ঠোঁটে লিপস্টিক যেন না দেখি এসে। আর ব্লাউজও সুতি কাপড়ের পরবে। জামদানি ভুলেও পরবে না। মুখে কোনো প্রসাধনীও ব্যবহার করবে না। ওকে রাখছি এখন! আল্লাহ হাফেজ।”
