নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ১৪

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ১৪
লেখিকা-নামীরা অন্তিকা

“তোমায় বিয়ে করার কথা বলেছি বলে অতগুলো লোকজনের মাঝে একটা অপরিচিত মেয়েকে কোলে তুলে তাকে বিব্রত করবে?”(রাগান্নিত স্বরে)
কানন দেবীর রাগান্নিত স্বরের বাক্যবচন শুনে মৃদু হাসলো উৎস, কানন দেবী রাগান্নিত ভাব দেখালেও ছেলের এমন স্নিগ্ধ হাসি দেখে চিত্ত খুশি হয়ে উঠলো ওনার। উৎস মৃদু হেসে বলে উঠলো,,
“নাতি নাতনির মাম্মাকে তো খুঁজে দিলাম, এখন তোমার নাতি নাতনির মাম্মাকে আমার বউ বানানোর ব্যবস্থা করো। আমার বউ ও তোমার নাতি নাতনির মাম্মা যদি কেউ হয় তাহলে এই মেয়েটাই হবে।”(মৃদু হেসে)
কানন দেবী কপট রাগ দেখালেন। নাক মুখ ফুলিয়ে বলে উঠলেন,,

“চেনা নাই জানা নেই, হুট করে একটা অচেনা মেয়েকে বিয়ে করবে, আমার নাতি নাতনির মাম্মা বানাবে বলছো! লজ্জা শরম কি সব সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কর্পূরের ন্যায় উবে গেছে নাকি তোমার?”(নাক মুখ ফুলিয়ে)
উৎস ভাবলেশহীন হলো, কিয়ক্ষন কি যেন একটা ভাবলো। গম্ভীর স্বরে বলে উঠলো,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“অচেনা? উহু। তোমার স্বামী আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে যে মহিলার জন্য তোমাকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলো সমাজের কাছ থেকে দুশ্চরিত্রা উপাধি পাওয়ার জন্য, সে স্বামী ও ওই মহিলার দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে আছে। ইলা ওর নাম, তোমার স্বামীকে ঘৃণা করলেও ওই মেয়েটাকে কেনো জানি ঘৃণা করতে পারিনা। আফটার অল আমার চরিত্রহীন “বা-বা”রই তো মেয়ে। মেয়েটার মুখ দেখলে কেনো জানি ঘৃণা করতে মন চায়না। ইলা এক ছেলেকে ভালোবাসে, আদিত রায়। ঢাকার বর্তমান জনপ্রিয় উকিল কল্যাণী রায় ও বিপুল রায়ের ছেলে, যদিও কল্যাণী রায়ের সৎ ছেলে। আদিত রায়ের একটা হিডেন পরিচয় রয়েছে, হিটম্যান। টাকার জন্য মানুষকে খু’ন করা ওর শখের মধ্যে একটা। এছাড়া ওর পরিচয় হচ্ছে লন্ডনের একটা কলেজের টিচার। যেই মেয়েটাকে বউ বানানোর কথা বলছি সেই মেয়ে হচ্ছে আদিত রায়ের সৎ বোন, স্নিগ্ধা। যাকে প্রায় দু মাস আগে রে’ই’প করা হয়েছে।”(গম্ভীর কণ্ঠস্বরে)

কানন দেবী বাকরুদ্ধ হয়ে বিস্ফোরিত চক্ষুতে চেয়ে রইলেন উৎসের দিকে। নিঃশ্বাসটুকু নিতে ভুলে গেলেন কানন দেবী। প্রথমত তিনি বাকরুদ্ধ হয়েছেন এটা ভেবে উৎস তার বাবার খোঁজ কিভাবে পেলো? পেলেও সেটা ওনাকে কেনো বলেনি উৎস! দ্বিতীয়ত, যার ভাই একজন হিটম্যান, যে কিনা রে’ই’পের শিকার হয়েছে সেই মেয়েকে নিজের স্ত্রী বানানোর কথা বলছে উৎস! ভাবতেই শিউরে উঠলেন কানন দেবী। বিস্ফোরিত কণ্ঠে বলে উঠলেন,,
“তোমার বাবার কথা তুমি জানতে? উনি কোথায় আছেন, খুঁজে কিভাবে পেলে?”(বিস্ফোরিত কণ্ঠে)

“তিনমাস আগে একটা পেসেন্টের হার্ট সার্জারি করেছিলাম, সেই পেসেন্ট হচ্ছে তোমার অযোগ্য স্বামী। ভাবছো ওনাকে কিভাবে চিনেছি, এতটা বছর যে প্রতিরাতে অযোগ্য স্বামীর বেঈমানির জন্য কাঁদো ওনার ছবি দেখে তা কি আমি জানিনা? যেখানে ওই লোকটার ছবি লুকিয়ে রাখো সেখান থেকেই কৌতূহলে অনেকবারই দেখেছিলাম। সামনাসামনি না হোক, ছবিকে আঁকড়ে ধরে অন্তত “বাবা” শব্দটা উচ্চারণ করার অধিকার পেয়েছি। যদিও ওনার মতো লোককে বাবা ডাকতে আমার বিবেকে বাধে কিন্তু কি করবো বলো, কতকাল সরাসরি বাবা ডাকতে পারিনা তাই ওভাবেই ডেকেছিলাম।

সেদিন যদি আমার পরিচয় ওনার ছেলে ভাবতাম তাহলে হার্ট সার্জারিটা করতাম না, আমি তখন নিজেকে একজন দায়িত্ববান কার্ডিওলজিস্ট ভেবেছিলাম তাই হার্ট সার্জারিটা করেছিলাম।”(কঠোর কণ্ঠস্বর)
কানন দেবী আগের মতোই বিস্ফোরিত আঁখিতে চেয়ে রইলেন উৎসর দিকে। ছেলেটার জন্য ভারী খারাপ লাগে কানন দেবীর, সেই সাত বছর বয়সের পর ছেলেটা আজ অব্দি বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারেনি। কানন দেবীর চোখের কার্নিশ ভিজে উঠলো, কাঁদো কাঁদো হয়ে উঠতেই উৎস কানন দেবীর গালে হাত রেখে হালকা হেসে বলে উঠলো,,

“ওহ মাই সুইটি, ডোন্ট ক্রাই। অযোগ্য লোকটার কথা বাদ দাও, আমার বউ আর তোমার নাতি নাতনির মাম্মার কথা ভাবো। আমি বিয়ে করলে ওকেই করব আই মিন স্নিগ্ধাকেই করবো।”(হালকা হেসে)
কানন দেবীর হঠাৎ কি হলো, হুট্ করে ভ্রু কুঁচকে বলে উঠলেন,,
“রে’ই’প হয়েছে মেয়েটার! তুমি কিভাবে ওকে বিয়ে করার কথা বলো? হিতাহিত জ্ঞান ঠিক আছে তোমার?”(ভ্রু কুঁচকে)
উৎস মায়ের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে কিয়ক্ষন তাকিয়ে রইলো। গম্ভীর কণ্ঠস্বরে বলো উঠলো,,

“তুমি ভুলে গেছো মা, কোনো মেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের মান সম্মান জলাঞ্জলি দেয়না। অনিচ্ছাকৃত ভাবে জোরজবরদস্তি করে মেয়েটার সম্মানহানি করা হয়েছে। এতে মেয়েটার তো হাত নেই, এটা জাস্ট একটা অপ্রত্যাশীত ইনসিডেন্ট ছিল। মেয়েটা মানসিক ভাবে ঠিক নেই, দেখলে না আমি ওকে স্পর্শ করেছি বলে ভয়ার্ত মুখে কান্না করে দিয়েছে। ওর পাস্ট নিয়ে আমার কোনো প্রব্লেম নেই মা, সবচে বড় কথা হচ্ছে আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। উৎস চৌধুরীকে আজ অব্দি এতবার বিয়ের কথা বলেও বিয়ে দিতে পারলেনা সেখানে একটা মেয়েকে নিজ থেকে বিয়ে করার কথা বলছি, ভেবে দেখো কতটা ভালোবাসলে নিজ থেকে ওকে বিয়ে করার কথা তোমাকে বলছি। ভালো যখন বেসেছি বিয়ে আমি ওকেই করবো, বয়স বিবেচনা করে যদি ওর পরিবার নাকচ করে দেয় তাহলে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো। যত যাই হোক, বিয়ে তো আমি স্নিগ্ধাকেই করবো।”(গম্ভীর কণ্ঠস্বরে)

কানন দেবী অবাক চোখে উৎসকে দেখছেন, আসলেই তো মেয়েটা তো নিজ ইচ্ছেতে রে’ই’প হয়নি। কানন দেবী এটা ভেবে আরও অবাক হচ্ছেন এতো বছর উৎসকে এতো করে বলেও কখনো বিয়ের কথা বলেনি, সে উৎস নিজ থেকে একটা মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলছে। কানন দেবী উৎসকে চেনেন ভালো করে, বাবা বিহীন ছেলেটা বড় হয়েছে। কাউকে ভালোবাসতে বা বিশ্বাস করতে হাজারবার ভেবেছে।

সবসময় গম্ভীর ও কঠোর হয়ে থেকেছে। নারীলোক থেকে যে ছেলে সর্বদা দূরত্ব বজায় ছিল সে আজ নিজ থেকে একটা মেয়েকে বিয়ের কথা মুখ ফুটে বলছে, সেহেতু নিশ্চয়ই উৎসর মতো গম্ভীর ও কঠোর স্বভাবের ছেলেটি ভালোবেসে ফেলেছে সেই মেয়েকে। কানন দেবী ছেলে সম্পর্কে অবগত। ছেলে একবার যা বলে তাই করে দেখায়। তিনি ভাবছেন যদি স্নিগ্ধার সাথে উৎসর বিয়ে দিতে স্নিগ্ধার পরিবার নাকচ করে তাহলে উৎস নির্ঘাত স্নিগ্ধাকে তুলে নিয়ে এসে বিয়ে করবে।

“এখন এতকিছু না, আমার বউ ও তোমার নাতি নাতনির মাম্মা স্নিগ্ধাই হবে। দ্যাট’স ফাইনাল।”(গম্ভীর কণ্ঠস্বরে)
কানন দেবী মাথা দুপাশে নাড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এই ছেলে এতো গম্ভীর, কঠোর ও এতো জিদ্দি কিভাবে হলো ভেবে পাচ্ছেন না কানন দেবী।

“আপনার জন্য কি আমি শান্তিতে থাকতে পারবোনা? বিরক্তিকর, এই সারাদিন এতো কিসের প্রেম প্রেম করেন! আপনার লজ্জা শরম হয়না একটা বাচ্চা মেয়েকে প্রেমের কথা বলতে? (রাগান্নিত স্বরে)
সারুর চিৎকার দিয়ে রাগান্নিত স্বরে বলা বাক্যবচনে ভড়কে গেলো শেরহাম। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে শেরহাম কক্ষের কোথাও দেখতে পেলোনা শেরহাম। কোমরে টাওয়াল পেঁচিয়ে বেলকনিতে গেলো। দেখলো সারু বেলকনির রেলিং ধরে সমুদ্রের দিকে চেয়ে আছে। চারদিকে কত মানুষজন আনন্দ উল্লাস করছে আপনজনদের নিয়ে। খুব মনোযোগ দিয়ে তা দেখছিলো সারু, মুখে তার মৃদু হাসি লেপ্টে ছিল। শেরহামের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো। পেছন থেকে শক্ত করে সারুকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,,

“তোমায় দেখলেই খালি খালি প্রেমনেশা পায় আমার, উফ কি যে করি! আমি তো নোবেল আশা করি, বিয়ের তিন বছরেও নিজেকে কিভাবে তুমি নামক প্রেমনেশা থেকে দূরে ছিলাম! ভাবতেই অবাক লাগে ম্যাডাম।”
ব্যাস হয়েছে, বিরক্তিতে চিৎকার করে সারু উপরোক্ত কথাটা বলেছে। শেরহাম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তব্দা মে’রে দাঁড়িয়ে রইলো স্থির আঁখিতে সারুর দিকে চেয়ে। এদিকে সারু নাক মুখ ফুলিয়ে শেরহামের দিকে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে।
শেরহামও ভ্রু কুঁচকালো, চোখ দিয়ে সারুকে শাসানোর ভঙ্গিতে বলে উঠলো,,
“আমার বউ আমার প্রেম, তোমার কি তাতে? আমি বউকে আমি প্রেমের কথা বলবো নাকি কিসের কথা বলবো সেটা নিয়ে কথা বলার তুমি কে? আমার বউকি আজীবন বাচ্চা থাকবে নাকি? তাই প্রেমের কথা বলে আমার বউকে বড় করে চেষ্টা করছি এতে তুমি কথা বলার কে হও?”(গম্ভীর কণ্ঠে)

সারু হতভম্ব হলো, রাগন্নিত স্বরে বললো কি আর শেরহাম সেই কথার প্রতি উত্তরে বললো টা কি! সারু শকড হয়ে হা করে চেয়ে রইলো শেরহামের দিকে। শেরহাম টুপ করে সারুর গালে চু’মু খেয়ে বেলকনি থেকে রুমে চলে আসলো। এদিকে সারু গালে আঙ্গুল স্পর্শ করে হা হয়ে শেরহামের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো। কিয়ক্ষন পর বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলো “অসভ্য”।

“তোমার থেকে পিছু ছাড়াতে বিরক্ত হয়ে কক্সবাজার চলে এসেছি আর সেই তুমি আমায় পিছু করতে করতে কক্সবাজার অব্দি এসে উঠলে!”(ধমকের স্বরে)
আদিতের ধমকের সাথে ইলা ভ্রু কুঁচকে দ্বিগুন ধমকানোর স্বরে বলে উঠলো,,
“একদম গলা নামিয়ে কথা বলুন, দুই বছর আমাকে আপনার বউ, আপনার বেবির মাম্মি বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে প্রেম করে এখন আমাকে ঢং দেখাচ্ছেন? মজা মনে হচ্ছে সবটা? গত দু মাস কতভাবে আপনার সাথে দেখা করতে চেয়েছি এমনকি আপনার বাড়ি অব্দি গেছি, ফলস্বরূপ অতগুলো মানুষের মাঝে আমায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এই অপমানের বদৌলতে আমি কিচ্ছু বলিনি, ভেবেছি বাচ্চা মানুষ ভুল করে করে ফেলেছেন। কিন্তু না আপনিতো তো আস্ত একটা ধা’ম’রা, তা প্রমাণ করেই ছাড়লেন! এতদিন চুপচাপ থাকলেও এখন চুপচাপ থাকবোনা, এই আমি যাচ্ছি শাশুড়ি মাকে আপনার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য বলতে। একেবারে বিয়ে করে হানিমুন করে তবেই কক্সবাজার থেকে যাব।”(দ্বিগুন রেগে)

আদিত ইলার কথা শুনে হতভম্ব হয়েও প্রকাশ করলোনা তা, দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠলো,,
“এক থা’প্প’ড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবো অসভ্য মেয়ে মানুষ। তোমার কি নূন্যতম সেন্স নেই? বেহায়ার মতো আচরণ করো। সবসময় তো ভালোবাসি ভালোবাসি বলো, তোমার এই ভালোবাসা কোথায় ছিল তখন? স্বার্থপরের মতো আমাকে ভাঙিয়ে তুমি বিয়ের পিঁড়িতে বসে গিয়েছিলে যখন জানতে পেরেছিলে আমি ড্রাগস্ স্মাগলিন চক্রের সাথে জড়িত বলে আখ্যায়িত হয়ে জেলে গিয়েছি, তবে সত্যটা হচ্ছে এটাই যে আমি কোনো ড্রাগস্ স্মাগলিনের সাথে জড়িত ছিলাম না, ফাঁসানো হয়েছিল আমাকে।”(রাগান্নিত স্বরে)

আদিতের কথা শুনে অবাকের শেষ চূড়ায় পৌঁছালো ইলা! ইলা জানে আদিত ড্রাগস্ স্মাগলিন চক্রের সাথে জড়িত বলে তাকে জেলে নেওয়া হয়েছিল যদিও পরবর্তীতে পুলিশ অফিসার প্রেস কনফারেন্সে সত্যটা প্রমাণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন আদিত এই চক্রের সাথে জড়িত নেই। ইলা তখন আদিতের জন্য খুব কান্না করেছিল, বাবাকে বলেছিলো সে আদিতকে ভালোবাসে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। বাবা নিরুত্তর থাকলেও আঁখির চাহনি দিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন উনি এটাতে মোটেও খুশি হননি।
“বিয়ে? আপনার কি মাথার তার ছিঁ’ড়ে গেছে? ভালো যখন আপনাকে বাসি তাহলে আরেকজনকে বিয়ে করার জন্য কেনো পিঁড়িতে বসে যাবো?”(অবাক স্বরে)

আদিতের রাগ আউট অফ কন্ট্রোল হচ্ছে, বহু কষ্টে নিজেকে দাবিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে উঠলো,,
“নাটক একদম করবেনা আমার সামনে, জেল থেকে বেরোনোর পর তোমার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম। তোমার বাবা সরাসরি আমার সাথে দেখা করে বলেছেন আমি টাকার জোরে বেরিয়ে এসেছি জেল থেকে, তোমার লাইফ থেকে সরে যেতে বলেছিলেন।

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ১৩

সেদিন নাকি তোমার বিয়ে ছিল, আর বিয়েটা তোমার ইচ্ছেতেই হচ্ছে। তুমি নাকি বুঝতে পেরেছিলে আমার মতো একটা ড্রাগস স্মাগলার তোমার লাইফে কখনো শোভা পায়না। তোমায় আমি ভালোবাসতাম, তোমার বিশ্বাসঘাতকতা আমায় এতটাই আঘাত করেছিল তোমার জীবন থেকে সরে গিয়েছি। এখন, এখন কি হয়েছে? তোমার স কল্ড হাসব্যান্ড ছেড়ে গিয়েছে তোমায়? বেহায়ার মতো আমার পিছনে কেনো পরে আছো?”(চিবিয়ে চিবিয়ে)

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ১৫