নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ২৫
লেখিকা-নামীরা অন্তিকা
রাত প্রায় দুটোর কাছাকাছি, স্নিগ্ধার চিত্তে কেনো জানি ভীষণ অস্থিরতা কাজ করছে। এপাশ ওপাশ করেও কিছুতেই নিদ্রা আসছেনা স্নিগ্ধার।
উঠে এক গ্লাস পানি খেলো ঢোক ঢোক, কিয়ৎক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরেও চিত্তকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছেনা স্নিগ্ধা।
পরিবারের কথা বারবার মনে পড়ছে। মায়ের কণ্ঠস্বর শুনতে ভীষণ ইচ্ছে করছে স্নিগ্ধার। উৎস বেহুদাই তাকে এখানে আটকে রেখেছে। স্নিগ্ধা কাউকে কখনো ভালোবাসতে পারবেনা, অন্তত অপবিত্র হওয়ার পর তো না-ই।
চিত্তে চাপা রাগের সৃষ্টি হলো স্নিগ্ধার। দরজা খুলে উৎসের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়ালো।
একরাশ অস্বস্তি ও চাপা রাগ নিয়ে বার কয়েক টোকা দিলো দরজায়। উৎস দরজা খুলছেনা, হয়তো ঘুমে। স্নিগ্ধা কণ্ঠে রাগ মিশ্রিত করে উৎসকে ডাকলো,,
“দরজা খুলুন।”
স্নিগ্ধার বলার সেকেন্ড দুয়েকের মধ্যেই উৎস দরজা খুললো। স্নিগ্ধা উৎসের চোখের দিকে তাকালো, চোখ লাল হয়ে আছে, চুল উস্কোখুস্ক দেখাচ্ছে। স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে এখনো অব্দি উৎস ঘুমায়নি। রাশভারী স্বরে উৎস বললো,,
“কি হয়েছে? কিছু লাগবে?”(রাশভারী স্বরে)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমি.. আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে। মায়ের সাথে কথা বলব।”(নিচু স্বরে)
স্নিগ্ধা কথাটা নিচু স্বরে বললেও উৎসের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। উৎসের চোখ দুটো লাল হলেও শান্ত দেখাচ্ছে। তবুও এই শান্ত চোখদ্বয় দেখে স্নিগ্ধার শরীরে কাঁ’টা দিচ্ছে। উৎস নিশ্চুপ হয়ে স্নিগ্ধার মুখশ্রী পানে তাকিয়ে আছে। মিনিট দুয়েক এভাবে যেতেই উৎস বিছানার পাশের টেবিল থেকে নিজের ফোন এনে স্নিগ্ধার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,,
“কথা বলো।”
দুইটা শব্দই বললো উৎস, সেই দুইটা শব্দ বেশ করুন ও অদ্ভুত শোনালো। স্নিগ্ধা চেয়ে আছে উৎসের মুখশ্রী পানে। উৎসের বাড়িয়ে দেওয়া ফোন হাত বাড়িয়ে নিলো। উৎস ফিরে গেলো, দেয়ালের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিছানার প্রান্তে বসে রইলো।
স্নিগ্ধার অদ্ভুত লাগলো, ভীষণ অদ্ভুত লাগলো উৎসকে। কিয়ৎক্ষণ নির্লিপ্ত, নিশ্চুপ হয়ে উৎসের দিকে চেয়ে রইলো। হাতে থাকা ফোনের দিকে তাকালো। মায়ের সাথে কথা বলতে পারবে ভেবে ফোন অন করলো। সাথে স্নিগ্ধার নজরে আসলো ওয়ালপেপারে তার ছবি সেট করা। অবাক হলো স্নিগ্ধা, কক্সবাজার পৌঁছানোর পরদিন সকালে স্নিগ্ধা যখন সূর্যোদয় দেখছিলো মৃদু হেসে তখনই ছবিটা তোলা হয়েছে।
অবাক আঁখিতে চেয়ে রইলো ওয়ালপেপারের নিজের মৃদু হেসে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা ছবিটার দিকে।
উৎসের ফোনে লক দেওয়া নেই, স্নিগ্ধা সব উপেক্ষা করে মায়ের নাম্বার ডায়াল করলো। দু একবার ঢুকতেই পরক্ষণে সুইচড অফ দেখালো।
স্নিগ্ধা অস্থির হয়ে বার কয়েক চেষ্টা করলো। কিন্তু নাম্বার বন্ধ। স্নিগ্ধা এবার কি করবে বুঝতে পারলোনা। স্নিগ্ধা ভাবলো শেরহামকে কল দিবে, কিন্তু এই মুহূর্তে হয়তো ঘুমাচ্ছে তারা। এখন ডির্স্টাব না করাই না ভালো। স্নিগ্ধা ভেবে পাচ্ছেনা মায়ের নাম্বার কেন বন্ধ বলছে, হতে পারে ফোনে চার্জ শেষ উনি ঘুমাচ্ছেন।
স্নিগ্ধা কল করা বাদ দিলো, চিত্তকে বোঝানোর পরেও স্নিগ্ধার চিত্তে অস্থিরতা বিরাজমান। নিঃশ্বাস আটকে যাবে যাবে অবস্থা। ঢোক দিলে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে স্নিগ্ধা থেমে থেমে উৎসের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,,
“আ.. আপনার ফোন।”
উৎস তৎক্ষণাৎ তাকালোনা। কিয়ৎক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর নিশ্চুপভাবে উঠে এগিয়ে আসলো স্নিগ্ধার দিকে। হাত বাড়িয়ে স্নিগ্ধার হাত থেকে নিজের ফোনটা নিলো। স্নিগ্ধা উৎসের মুখশ্রী পানে তাকাতে খানিক চমকালো। উৎসের কার্নিশ ভেজা! উৎস কাঁদছে!
স্নিগ্ধা হতভম্ব হয়ে উৎসের দিকে তাকিয়ে আছে। উৎস স্নিগ্ধার দিকে তাকালোনা চক্ষু নিচু করে রাখলো। স্নিগ্ধার থেকে ফোন নিয়ে উৎস ফিরে গেলো বিছানার দিকে। দরজা অব্দি আটকালোনা, ওভাবেই শুয়ে পড়লো ওপাশ ফিরে। এদিকে স্নিগ্ধা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আজ অব্দি স্নিগ্ধা কোনোদিন পুরুষ মানুষকে কান্না করতে দেখেনি। এই প্রথম দেখলো তাও আবার উৎসকে। ভাবতেই স্নিগ্ধার মাথায় আকাশ মিনিটে মিনিটে ঠাস ঠাস করে ভেঙে পড়ছে!
স্নিগ্ধার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছেনা উৎসের মতো পুরুষ মানুষ কান্না করছে! কিন্তু কেনো কান্না করছে? কি হয়েছে? স্নিগ্ধা জিজ্ঞাসা করবে কি করবেনা করতে করতে এগিয়ে গেলো উৎসের বিছানার দিকে।
মৃদু কাঁপা স্বরে থেমে থেমে জিজ্ঞাসা করলো,,
“শ.. শুনছেন! কাঁদছেন কেনো? কি হয়েছে?”(থেমে থেমে)
উৎস নিরুত্তর। স্নিগ্ধার জিজ্ঞাসা করার পরেও উৎসের নিরুত্তর ভাবটায় স্নিগ্ধা কি বলবে খুঁজে পেলোনা। তবুও বললো,,
“কাঁদছেন কেনো? কিছু হয়েছে?”(থেমে থেমে)
উৎস নিরুত্তর থাকলেও উঠে বসলো। স্নিগ্ধার দিকে না তাকিয়ে স্নিগ্ধার হাতের দিকে তাকিয়ে থেমে থেমে ছোট স্বরে বললো,,
“তোমার হাত দুটো একটু দিবে।”(থেমে থেমে)
বলেই উৎস হাত বাড়ালো স্নিগ্ধার দিকে এই আশায় তার হাতের উপর স্নিগ্ধা তার হাত রাখবে। স্নিগ্ধা এদিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে উৎসের দিকে। উৎসের কান্না, এখন হাত চাওয়া সবটাতেই অবাক হচ্ছে স্নিগ্ধা। কি হয়েছে উৎসের! হুট করে এমন আচরণ কেনো করছে কিছুই বুঝে আসছেনা স্নিগ্ধার।
স্নিগ্ধার ভাবনার মাঝেই উৎস আবারো বলে উঠলো।
“একটু হাত রাখবে আমার হাতে? একটু, ব্যথা পাবেনা আই প্রমিস।”
এবার যেন উৎসের কণ্ঠস্বর অনেক করুন শোনালো, উৎস যেন নিজেকে সামলানোর জন্য ভরসার হাত খুঁজছে। সে হাত স্পর্শ করলে উৎস নিজেকে দমাতে পারবে, সামলে নিতে পারবে। স্নিগ্ধার কিঞ্চিৎ খারাপ লাগলো, স্নিগ্ধার হাত এগিয়ে দিতে ইচ্ছে করলোনা কিন্তু স্নিগ্ধার চিত্ত বলল “একটু হাতই তো দিবি, দে না, দেখ তোর হাত একটু স্পর্শ করার জন্য কতটা করুন স্বরে অনুরোধ করছে!”
অগত্যা স্নিগ্ধা নিজেকে হারিয়ে চিত্তের কথা শুনলো। দুহাত বাড়িয়ে রাখলো উৎসের বাড়িয়ে দেওয়া হাতের উপর। উৎস স্নিগ্ধার দুহাত আলতো করে জড়িয়ে ধরলো নিজের হাতের বাঁধনে। স্নিগ্ধার দুহাত উৎস তার চোখের সাথে আলতো করে স্পর্শ করালো। মুহূর্তেই দিশেহারা ভাবে কান্না করা শুরু করলো উৎস। হুট্ করে উৎসের এহেন কান্নায় স্নিগ্ধার বুকে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হলো। চিত্ত অশান্ত হয়ে উঠলো, সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠলো।
“এ.. একি আপনি.. আপনি কাঁদছেন কেনো? কাঁদবেন না, আ..আমার অস্থির লাগছে। উৎস.. কা.. কাঁদবেন না। কি হয়েছে বলুন না?”(কাঁপা কাঁপা অস্থির কণ্ঠে)
উৎস নিরুত্তর, শুধু কাঁদতেই লাগলো। উৎসের চোখের মৃদু গরম জল স্নিগ্ধার হাত স্পর্শ করতেই স্নিগ্ধা বারবার কেঁপে উঠছে, অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিয়ৎক্ষণ এভাবে যেতেই উৎস কিছুটা শান্ত হলো। বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো, এলোমেলো স্বরে বলল,,
“আমি যতবার সবটা ঠিক করতে চাই ততবার কেনো সবটা বিচ্ছিন্ন, এলোমেলো হয়ে যায়? ভালোবাসা কি আমার প্রাপ্য নয়?”(এলোমেলো স্বরে)
উৎসের এলোমেলো স্বরের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝলোনা স্নিগ্ধা। সে শুধু হতভম্ব দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো উৎসের দিকে। উৎস উঠে দাঁড়ালো, ব্যস্ত ভঙ্গিতে বিছানার পাশে থাকা টেবিলের ড্রয়ার থেকে কি যেন একটা খুঁজলো। ওষুধের পাতা, দুটো টেবলেট মুখে নিয়ে উৎস পানি খেলো।
বিছানায় গিয়ে উল্টো হয়ে শুয়ে পড়লো নীরবে।
উৎসের কাজে প্রচুর হতভম্ব হলো স্নিগ্ধা। কি থেকে কি হলো? বোধগম্য হলোনা তার। অবাক নয়নে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো উৎসের দিকে চেয়ে।
“আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি শেরহাম রায়। যদি আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান না ফেরে তাহলে কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাটা ঠিক আছে, মাথা ফেটে যাওয়া আর বিভিন্ন জায়গাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি ওনার দ্রুতই জ্ঞান ফিরবে। তবে মেয়েটা আর লোকটা রিস্কে আছে। প্রে করুন।”(মৃদু স্বরে)
ডাক্তারের কথা শুনে শেরহাম মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলো। পাশে চেয়ারে কল্যাণী আর নেহাল রায় নীরব হয়ে বসে আছেন। কল্যাণী ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করলেন ডাক্তারের কথা শুনে। নেহাল রায় পাথরের মতো বসে রইলেন মেঝের দিকে চেয়ে।
ঘন্টা দুয়েক আগে,,
আদিতকে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিয়ে দু পরিবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। পথিমধ্যে শেরহামদের গাড়ির ডিজেল শেষ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি থেমে গেলো। ইলাদের গাড়িটা শেরহামদের সামনে থাকায় তারা লক্ষ্য করলোনা শেরহমদের গাড়িটা পিছে থেকে গিয়েছে। এদিকে শেরহামদের গাড়িতে পর্যাপ্ত ডিজেল ছিল বিধায় কোনো ঝামেলা পোহাতে হলোনা শেরহামকে। গাড়ি থেকে নেমে গাড়িতে ডিজেল ভরলো শেরহাম। অতঃপর গাড়ি পুনরায় স্টার্ট দিলো। ততক্ষনে ইলাদের গাড়ি অনেক দূরে চলে গিয়েছে। শেরহাম দ্রুত গালি চালিয়ে বেশ দূরে এসে ব্রেক কষলো।
সামনে সাদা রঙের একটা গাড়ি ভেঙে চুঁড়ে পড়ে আছে আর কিছু দূরত্বে একটা ড্রাইভারবিহীন ট্রাক দাঁড় করানো। শেরহাম দ্রুত গাড়ি থেকে বেরোলো সেই সাথে কল্যাণী আর নেহাল রায়। শেরহাম দৌড়ে সেই গাড়ির কাছে গিয়ে দেখতে পেলো সেটা ইলাদের গাড়ি। শেরহাম হতভম্ব হয়ে ভাঙা জানালায় দেখলো ড্রাইভিং সিটে কৌশিক চৌধুরী ও পাশে ইলা র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পিছের সিটে প্রমীলা চৌধুরী নেই, শেরহাম আশেপাশে চোখ বুলালো, তাদের গাড়ির আলোয় রাস্তার পাশে দেখতে পেলো প্রমীলা চৌধুরী উল্টে পড়ে আছে। শেরহাম দৌড়ে ওনার কাছে গিয়ে দেখলো ওনার মাথা ফেটে র’ক্ত গড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। কল্যাণী আর নেহাল রায় ইলাদের এমন অবস্থা দেখে হতভম্ব হলেন। এইতো কিছুক্ষন আগেও তো ইলারা ঠিক ছিল, মুহূর্তেই ট্রাক একসিডেন্ট ঘটে গেলো!
শেরহাম দ্রুততার সহিত প্রমীলা চৌধুরী উঠিয়ে তাদের গাড়িতে বসালো। নেহাল রায়ের সাহায্যে বহু কষ্টে ভাঙা গাড়িটা থেকে ইলা আর কৌশিক চৌধুরীকে বের করে গাড়িতে উঠালো। কল্যাণী কান্না করে একাকার অবস্থার সৃষ্টি করে ফেলেছেন। শেরহামের মাথা শূন্য হয়ে গেলো, বারবার ইলাদের র’ক্তা’ক্ত দৃশ্য চোখে ভাসতে লাগলো তার।
সম্ভবত প্রমীলা চৌধুরী গাড়ির সাথে ট্রাকের সংঘর্ষ হতেই ছিটকে বাহিরে পড়ে গিয়েছেন তাই ওনার শুধু মাথা আর হাত পায়ের কিছু অংশ ছিলে গিয়েছে। কিন্তু ইলা আর কৌশিক চৌধুরী সামনে থাকায় মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
শেরহাম মনোবল শক্ত রেখে গাড়ি স্টার্ট দিলো। যতই দ্রুত পারা যায় হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
ভাবনা থেকে বেরোলো শেরহাম। হাত পা শীতল হয়ে আসছে তার। পকেটে থাকা ফোনটা বারবার বেজে উঠছে। শেরহাম ধীর গতিতে ফোন বের করে দেখলো সারুর নাম্বার। একদৃষ্টিতে শেরহাম সারুর নাম্বারের দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো সারু তাদের বাড়ি না ফেরা নিয়ে টেনশন করছে কিন্তু এদিকে যে ইলা আর কৌশিক চৌধুরীর জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা! চক্ষু ঘোলাটে হয়ে উঠলো শেরহামের।
নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ২৪
ঘোলাটে চোখে চেয়ে দেখলো বাবা হাঁটুর উপর হাত ঠেকিয়ে হাতের উপর মাথা ঠেকিয়ে মেঝের দিকে চেয়ে আছেন। কল্যাণী ফুঁপিয়ে কান্না করছেন। এইতো কয়েক ঘন্টা আগের ব্যাপার। দু পরিবার আদিত ইলার বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা বলছিলেন সুস্থ সবল ভাবে। আর এখন! এখন তাদের জীবন বিপন্ন প্রায়। প্রমীলা চৌধুরীর জ্ঞান ফেরার ও সুস্থতার আশঙ্কা থাকলেও ইলা আর কৌশিক চৌধুরীর লাইফ রিস্কে রয়েছে। জ্ঞান না ফিরলে