নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩২

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩২
লেখিকা-নামীরা অন্তিকা

প্রতিবারের মতো এবারও সত্যের জয় হয় কল্যাণী এটা বুঝিয়েছেন নিজের বিজয় দিয়ে। বিজয়ের স্বাদে মৃদু হাসি ঠোঁটের কোনে ফুটিয়ে তিনি মেয়ের দিকে তাকালেন। স্নিগ্ধা উৎফুল্ল চোখে, মুখে অদ্ভুত হাসি নিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কল্যাণী যার বিরুদ্ধে কেস লড়েছে ডান পাশের সারিতে থাকা তার দিকে তাকালেন। দেখতে পেলেন যুবকটি একরাশ ক্রোধ চোখে মুখে ফুটিয়ে তার দিকে চেয়ে আছে। সেই ক্রোধান্নিত চক্ষু পরোক্ষ করে সপ্তাহ তিনেক আগের কথা স্মৃতিচারণ করলেন। স্নান সেরে পূজা দিয়ে সবেমাত্র রান্না ঘরে প্রবেশ করেছিলেন কল্যাণী। মিতালি সবেমাত্র ভাত বসিয়েছেন চুলোয়। কল্যাণী এগিয়ে গিয়ে সবজি কাটার জন্য উদ্যোত হলেন। এমন সময় শুনতে পেলেন বাড়ির কলিংবেল বরংবার বেজেই চলছে। ভ্রু কুঁচকে তিনি দরজা খুলতে গেলেন, মিতালি রান্না ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। কল্যাণী দরজা খুলতেই দেখলেন চার থেকে পাঁচজন লোক দরজার সামনে মুখশ্রীতে বিরক্তি ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কল্যাণী ভ্রুটা আরও কুঁচকালেন। তন্মধ্যে ওনার বরাবর দাঁড়িয়ে থাকা যুবকটি একরাশ বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো,,

“ভেতরে আসতে বলবেন নাকি এভাবেই ভ্রু কুঁচকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন?”(একরাশ বিরক্তি নিয়ে)
কল্যাণী খানিক অপমানবোধ করলেন। যুবকটার কথার ধরণ ওনার পছন্দ হলোনা। তবুও তিনি জায়গা দিলেন তাঁদের ভেতরে ঢুকে বসার জন্য। তাড়া ভেতরে ঢুকলো। রাজকীয় একটা ভাব নিয়ে বসার ঘরে সোফায় বসলো সবাই। কল্যাণী সেখানে উপস্থিত হতেই যুবকটি ফের বলে উঠলো,,
“আমি ইফাজ তালুকদার। আপনি নিশ্চয়ই এডভোকেট কল্যাণী রায়। আপনার কাছে একটা প্রয়োজনের এসেছি।”
কল্যাণী মাথা নাড়লেন। রান্না ঘরের সামনে থাকা মিতালিকে ঈশারা দিলেন কিছু খাবার জন্য আনতে। মিতালি মাথা নাড়িয়ে ভেতরে গেলেন খাওয়ার জন্য নাস্তা আনতে।
কল্যাণী একটা সিঙ্গেল সোফায় বসলেন। এমন সময় বিপুল রায় নিচে নেমে এলেন। বসার ঘরে এতো মানুষ দেখে তিনি ভ্রু কুঁচকে কল্যাণীর দিকে তাকালেন। কল্যাণী একনজর বিপুল রায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,,
“কি প্রয়োজন?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আপনাকে আমার হয়ে কেস লড়তে হবে। আমি আমার চাচাতো বোনকে রে’ই’প করেছি। এখন আমার চাচা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওনার পক্ষের উকিলকে যদিও আমি টাকা দিয়ে কেস লড়তে নিষেধ করেছি তবুও আমি নির্দোষ এটা প্রমান করার জন্য আমার পক্ষের উকিল তো দরকার। ফর্মালিটি আরকি। যাহোক, যেভাবে পারুন, যত ফেক ঘটনা ক্রিয়েট করুন না কেন আমাকে নির্দোষ প্রমান করবেন। আমি শুনেছি আপনি নাকি প্রতিটা কেস জিতে যান। সবাইকে ন্যায় পাইয়ে দেন। তাই আপনার কাছে আসা, আশা করি বুঝতে পেরেছেন।”(কর্কশ কণ্ঠে)
কল্যাণীর কপালের ভাজ দৃঢ় হলো। একটা মেয়েকে রে’ই’প করেছে, তার পক্ষের উকিলকে সরিয়ে দিয়েছে, এখন নিজের দোষকে মিথ্যে আবরণে ঢেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য তার কাছে এসেছে। রাগ হলো কল্যাণীর। ইফাজ তালুকদার যে চরম লেভেলের বেয়াদপ বেশ বুঝতে পারলেন তিনি। এতো বড় অপরাধ, পাপ করে সে এসেছে ন্যায়ের কথা বলতে। কল্যাণী কঠোর স্বরে বললেন,,

“আপনার চাচার কন্টাক্ট নাম্বার দিন।”
“ডিল আমার সাথে এর মাঝে আবার ওই শালীর বাপকে দিয়ে কি কাজ?”(অভদ্রর মতো)
কল্যাণীর রাগ আরও বৃদ্ধি পেলো। তবুও কণ্ঠ কিছুটা ঠান্ডা রেখে বলে উঠলেন,,
“ওনাকে সাবধান করবো। আপনি কন্টাক্ট নাম্বার দিন।”
“সাবধান করুন আর যাই করুন, কোর্টে আমাকে নির্দোষ প্রমান করবেন এটাই ফাইনাল কথা। আমার কথা মেনে চললে ভালো না মানলে ভালোর “ভ” ও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”(কর্কশ স্বরে)
ইফাজ তালুকদার কল্যাণীকে তার চাচা মতিন তালুকদারের কন্টাক্ট নাম্বার দিলো ভ্রু কুঁচকে। কল্যাণী নাম্বার নিজের মোবাইল টুকে কল দিলেন মতিন তালুকদারের ফোনে। সেকেন্ড ছয়েকের মাঝে কল রিসিভ হলো, কল্যাণী শুনতে পেলেন একজন লোকের কান্নাভেজা কণ্ঠস্বরে বলা “হ্যালো”।
তিনি বলে উঠলেন,,

“আপনি মতিন তালুকদার বলছেন?”
“জি! কিন্তু কে আপনি?”
“শুনলাম আপনার মেয়ের পক্ষে কেস লড়ার উকিল নাকচ করে দিয়েছে আপনার মেয়ের কেস লড়া থেকে। টেনশন নিবেন না, আপনার মেয়ের কেস আমি লড়বো। আপনার মেয়ের সাথে করা অন্যায়ের শাস্তি অপরাধী নিশ্চয়ই পাবে। মনোবল শক্ত রাখুন, রাখি।”(শান্ত স্বরে)
কল কাটতেই ইফাজ তালুকদারের মুখশ্রী ভঙ্গি দেখে মৃদু হাসলেন তিনি। বললেন,,

“জয় সত্যের, সৎয়ের হয়। আপনার মতো অসভ্য, অসৎ, অন্যায়কারীর জয় হয়না, হয় শাস্তি। কোর্টে দেখা হচ্ছে। বিজয় আমার, সেই মেয়েটির আর পরাজয় ও শাস্তি আপনার। এখন ভদ্র ভাবে জায়গা বেরিয়ে যান।”(মৃদু হেসে)
“আপনি এইরকম ব্যবহার না করলেও পারতেন। সেটা যাইহোক জয় আমারই হবে, আমি যতই খারাপ হই। আগে এই ঝামেলা শেষ হোক, আপনাকে পরে দেখা যাবে।”
বেশ অপমানের সহিত সাথের লোকজন নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো ইফাজ তালুকাদার। কল্যাণী নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন মেয়েটিকে ন্যায় পাইয়ে দিতে। একটা অপরাধীকে আইনের শাস্তি দিতে। তিনি সফলও হয়েছেন এতে। পূর্বের কথা ভেবে ছোট একটা শ্বাস ফেললেন তিনি। গায়ের আইনি পোশাক খুলে হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলেন মেয়ের দিকে। মেয়ের কাছে গিয়ে মাথায় চুমু খেয়ে বললেন,,

“আমাদের সবসময় সত্যের পাশে থাকা উচিত। সবটা দেখে তবে নির্ণয় করা উচিত কে সত্য আর কে মিথ্যা। আজকাল সবাই নিজেকে সত্যবাদী দাবি করে তবে সবাই-ই সত্যবাদী নয়। মানুষ কেমন তা তার আচরণ, কথাবার্তা আর কাজ কর্মে প্রকাশ পায়। তাই সবসময় মার্জিত হয়ে সত্যের পথে চলা উচিত।”(মৃদু হেসে)
স্নিগ্ধা মন দিয়ে মায়ের কথা শুনলো। মা তাকে ভালোই একটা উপদেশ দিয়েছে। এই উপদেশ মাফিক চললে জীবনে সব সত্যদের আনাগোনা থাকবে, যারা তাকে মানসিক শান্তি দিবে। শুধু স্নিগ্ধা কেন, যেকোনো মানুষই মানসিক শান্তি লাভ করতে পারে এই পন্থায়। স্নিগ্ধা বরাবরের মতো মায়ের উপর মুগ্ধ হলো। আজ অব্দি মা সবসময় সত্যের পাশে থেকেছেন। ভুল সিদ্ধান্ত খুব কমই নিয়েছেন। মানুষ মাত্রই ভুল, তবে সবসময় ভুল করলে হয়না।
কল্যাণী খুব কম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভেবে মৃদু হাসলো স্নিগ্ধা। কল্যাণী মতিন তালুকদারের সাথে বিজয় ও তাঁদের ন্যায়ের কথা নিয়ে মিনিট পাঁচেক কথা বললেন। অতঃপর স্নিগ্ধাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
প্রায় আধাঘন্টায় বাড়ি পৌঁছে তিনি বসার ঘরে কৌশিক চৌধুরী আর প্রমীলা চৌধুরীকে দেখে অবাক হলেন। প্রমীলা চৌধুরী ওনাকে দেখতেই খুশিতে আটখানা হয়ে বলে উঠলেন,,

“অবশেষে আমার ইলার জ্ঞান ফিরেছে বেয়াইন। এই অব্দি আপনারা আমার মেয়ের অনেক খেয়াল রেখেছেন যার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আপনার কাছে।”(খুশি হয়ে)
কল্যাণী অবাক হলেন। অবাক চাহনিতে মিতালির দিকে তাকালেন তিনি। মিতালি হাসি মুখে মাথা নাড়ালেন। কল্যাণী খুশি হলেন। আজকের দিনটা আসলেই খুব শুভ ওনার জন্য। সত্যের জয় করতে পেরেছেন এরপর ইলার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি কৌশিক চৌধুরী আর প্রমীলা চৌধুরীকে আজকের রাত এখানেই থেকে যাওয়ার জন্য বলে নিজের ঘরের দিকে যাওয়ার জন্য উদ্যোত হলেন।

ঘরে ঢুকে দেখতে পেলেন বিপুল রায় কল্যাণীর স্নানের পর পড়ার জন্য শাড়ি, তোয়ালে গুছিয়ে রাখছেন। বিপুল রায় কল্যাণীর দিকে তাকাতেই কল্যাণী বিপুল রায়ের চোখে অন্যরকম ভালোবাসা, সম্মান দেখতে পেলেন। ইশ, চার চারটা বছর এই মুখশ্রী, এই চোখের অধিকারী মানুষটি অনেক দুরুত্বে ছিলেন। কল্যাণীর মনে পড়লো দুমাস আগে যখন এতগুলো বছর পর বিপুল রায়কে দেখেছিলেন।

সকালের নাস্তা ডাইনিং টেবিলে সার্ভ করছিলেন কল্যাণী আর মিতালি। ডাইনিং টেবিলে শেরহাম, স্নিগ্ধা, নেহাল রায় বসেছিলেন। কলিংবেলের শব্দে তিনি মিতালির দিকে তাকিয়েছিলেন। মিতালি কাজে ব্যস্ত ছিলেন বিধায় তিনি দরজা খুলতে গিয়েছিলেন। দরজা খুলে তিনি আদিত, বিপুল রায় আর একটা অচেনা ছেলেকে দেখে বেশ চমকিয়েছিলেন। এতগুল বছর পর বিপুল রায়কে দেখে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিনি শুধু অনুভব করছিলেন ওনার শরীর অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছিলো, ওনার কাছে মনে হচ্ছিলো ওনার শরীরের র ক্ত ঠান্ডা পানিতে পরিণত হয়েছিল।
আদিত আর সেই অচেনা ছেলেটি বিপুল রায়কে সাবধানের ধরে কল্যাণীর কক্ষে নিয়ে গিয়েছিলো। সবাই তখন ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে আদিতের পিছু পিছু সেই কক্ষে গিয়েছিলো। একমাত্র কল্যাণী যাওয়ার সাহস পাননি। মূর্তির মতো বসে ছিলেন প্রায় মিনিট দশেকের মতো। এরপর সবাই সেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। স্নিগ্ধা কল্যাণীকে জড়িয়ে কান্না করা শুরু করেছিলো। কল্যাণী তখনো পাথরের মতো ছিল। আদিত কল্যাণীর সামনে এসে কল্যাণীকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল,,

“এতগুল দিন পর তোমায় দেখতে পেলাম মা। কেমন আছো? আমি জানি আমার চিন্তায় নিশ্চয়ই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলে। তবে দেখো আমি এসে পড়েছি চিরতরের জন্য তোমার কাছে। আর কখনো তোমার থেকে দূরে যাবোনা। দেখো এবার আমার সাথে করে বাবাকেও এনেছি। বাবা তোমায় ডাকছে, যাও।”
কল্যাণী নির্জীব চক্ষুতে আদিতকে দেখেছিলেন। তিনি কি বলবেন খুঁজে পাননি। এতগুলো বছর পর সেই কাঙ্খিত মানুষটাকে দেখতে পেয়েছেন, যেই মানুষটার জন্য প্রতিটা রাতে কান্না করতেন তিনি, আফসোস করতেন তিনি সেই মানুষটা ওনার আশেপাশেই আছেন ভেবেই কল্যাণীর শিরা উপশিরা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো।
ধীর পায়ে তিনি নিজের ঘরে গিয়েছিলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে খাটের সাথে হেলান দিয়ে কপালে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখা ব্যাক্তিটাকে দেখছিলেন মিনিট দুয়েকের মতো। অতঃপর ঘরে প্রবেশ করে বিপুল রায়ের থেকে দুহাত দূরত্ব রেখে বলেছিলেন,,

“ডেকেছিলেন?”
বিপুল রায় কপাল থেকে হাত সরিয়ে চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলেন বিপুল রায়। ইশারা করেছিলেন তার পাশে গিয়ে বসতে। কল্যাণী অভিমান, অস্বস্তি নিয়ে বিপুল রায়ের পাশে গিয়ে বসেছিলেন নির্বাক হয়ে।
বিপুল রায় কল্যাণীর হাত ধরে অপরাধী গলায় বলেছিলেন,,
“জীবনে তোমায় অনেক ভুল বুঝেছি। আঘাত ও কষ্ট দিয়েছি তার জন্য আমায় ক্ষমা করে দিও কল্যাণী। আমি তোমায় বুঝিনি কখনই, বুঝার চেষ্টাও করিনি। আমার মেয়েটাকেও কষ্ট দিয়েছি। এরজন্য আমি খুবই দুঃখিত ও অনুতপ্তবোধ করছি। আমি আমার কর্মের ফল পেয়েছি। তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও। এই অপরাধবোধ আমি আর অনুভব করতে চাইনা। দয়া করে ক্ষমা করে আমায় এর থেকে মুক্তি দাও।”(করুন স্বরে)

কথা গুলো বলার সময় একপ্রকার কান্না করে দিয়েছিলেন বিপুল রায়। বিপুল রায়ের কান্না আর এহেন কথা শুনে কল্যাণী নিজেও কান্না করে দিয়েছিলেন। প্রতিবারের কান্নায় মন ভারী থাকলেও এইবারের কান্নায় কল্যাণী অনেক হালকা বোধ করেছিলেন। নিজেকে পূর্ণ পূর্ণ ভেবেছিলেন। মান অভিমানের বিশাল একটা পর্ব সেদিন জুড়ে চলমান ছিল। সবশেষে পরিবার পূর্ণতায় সবার খুশিতে দিনটি শেষ হয়েছিল। খুশিমাখা দিন সেদিন শেষ হলেও তার রেশ এই অব্দি বিরাজমান।

ভাবনা থেকে বের হলেন কল্যাণী। বিপুল রায় সৌজন্যের হাসি হেসে বললেন,,
“আমার পূর্ণ বিশ্বাস আজকের কেস তুমি জিতেছো। কি তাইনা?”(সৌজন্যর হাসিতে)
কল্যাণী মৃদু হেসে মাথা ঝাকালো। বিপুল রায় হেসে বললেন,,

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩১

“জানতাম আমি। আজকে একসাথে এতগুলো খুশি, আহা শান্তি। তুমি কেস জিতেছো, সত্যের পাশে থেকে। ইলা মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। চারদিকে খুশি আর খুশি। তোমার ছেলের মুখ দেখার মতো হয়েছে। খুশিতে সে পারেনা পুরো শহর জুড়ে মিষ্টি খাওয়াতে। এখন যাহোক, মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে কদিন যাক সুস্থ হোক। এরপর ওদের বিয়ের আয়োজন শুরু করবো।”

নীরদ ক্লেশের অন্ত পর্ব ৩৩