নীলচে তারার আলো পর্ব ১৩

নীলচে তারার আলো পর্ব ১৩
নবনী নীলা

হিয়া শাড়ির আঁচলটা কাঁধ থেকে সরিয়ে নিচে ফেলে পিছনে ঘুরতেই দেখলো শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বুকের কাছে দু হাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছে। হিয়া হকচকিয়ে উঠলো, মারাত্মক ভয় পেয়েছে সে। চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু গলা দিয়ে তার এক বিন্দু আওয়াজ বের হচ্ছে না। হিয়া দু পা পিছিয়ে এসে দুকাধে হাত দিয়ে নিজেকে ঢেকে ফেললো। হিয়া স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে। হার্ট বিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে তার। শুভ্র কি করে তার ঘরে আসবে? তাহলে সামনে কে? নাকি সে কি সে ভুল দেখছে কিংবা হেলোসিনেট করছে। কিন্তু দু সেকেন্ডের মধ্যেই হিয়ার সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো।

হিয়াকে এমন স্তম্ভিত হয়ে থাকতে দেখে শুভ্র অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,” আঁচলটা কি নিজে তুলবে নাকি এসে তুলে দিয়ে হবে?”
হিয়ার সাড়াশব্দ নেই, সে এখনও নিশ্চুপ। এতক্ষণ নিশ্চুপ থাকার মেয়ে তো সে না। শুভ্র উপায় না পেয়ে নিজেই এগিয়ে এসে বললো,” এতো স্তম্ভিত হওয়ার কিছু হয় নি।”, তারপর আঁচলটা নিচে থেকে তুলে হিয়াকে মুড়িয়ে দিতেই হিয়া এক পলক শুভ্রের দিকে তাকিয়েই অজ্ঞান হয়ে গেলো। অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতেই শুভ্র চটজলদি ধরে ফেললো হিয়াকে। তারপর হিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে হতভম্ব হয়ে বললো,” হোয়াট দা হেল!”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

✨ হিয়া আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো। তার ঘরের বাতি জ্বলছে। চোখ খুলে প্রথমেই সে নিজের দিকে তাকালো শাড়িটা ঠিক আছে কিনা দেখতে। তারপর বাম পাশে তাকাতেই দেখলো রুপা তার মাথার কাছে বসে আছে। উহ! তাহলে কি ঐটা দুঃস্বপ্ন ছিলো। হিয়া মাথায় হাত দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসলো। রুপা হিয়াকে ধরে বসিয়ে বলল,” ঠিক আছিস? এমন হটাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলি কিভাবে?”
হিয়া কিছু বলার আগেই দেখলো শুভ্র রূমে ঢুকছে। চোখ বড় বড় করে হিয়া তাকিয়ে আছে। তারপর শুভ্রের দিকে তাকিয়ে থেকে রুপাকে জিজ্ঞেস করলো,” এই ঘরে তুই কয়জনকে দেখতে পাচ্ছিস?
রুপা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,” কয়জনকে দেখতে পাচ্ছি মানে?”

হিয়ার এখনও মনে হচ্ছে সে হেলোসিনেট করছে। শুভ্র ভ্রু কুঁচকে হিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। নীল শাড়ি, হাতে চুড়ি, চোখে কাজল দিয়ে কোথা থেকে ফিরেছে? হিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। এতক্ষণে সে বুঝতে পারছে। এটা শুভ্র, কোনো দুঃস্বপ্ন কিংবা হেলোসিনেশন নয়। লোকটা এইখানে কি করছে? এসে একেবারে তার ঘরে ঘাপটি মেরে বসেছে। সে ভুল করে একবার রূমে গিয়ে ছিলো তাতে তো পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছিলো।
রূপা প্রায় হতভম্ব হয়ে দুজনকে দেখছে। এমন ভাবে এরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে কেনো? রুপা আমতা আমতা করে বলল,” আমি যাই। বাবাকে বলি যে তোর জ্ঞান ফিরেছে।” বলেই সে কেটে পড়লো।
রুপা চলে যেতেই হিয়া রেগে বললো,” আপনি এইখানে কি করছেন?”

শুভ্র কোনো কথা বললো না। স্বাভাবিক ভাবে হিয়ার বিছানার একপাশে বসে পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখতে লাগলো। হিয়ার রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।তাকে তো রুমেও ঢুকতে দেয় না আর এইখানে এসে একেবারে বিছানায় বসে আছে।
শুভ্র ফোনটা কিছুক্ষণ স্ক্রোল করে হিয়ার দিকে তাকালো। তারপর বললো,” এতক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছো তাও মন ভরেনি আমাকে দেখে। আর কতক্ষন তাকিয়ে থাকবে?”
” হ্যা আমাকে তো ভুতে ধরেছে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে যাবো।”, চট করে জবাব দিল হিয়া। দিয়েই অন্যদিকে তাকালো সে। শুভ্র আড় চোখে তাকিয়ে বললো,” তাহলে তো তোমার চোখে সমস্যা।”
তারপর এগিয়ে এসে হাত বাড়াতেই হিয়া একদম খাটের সাথে মিশে গেলো। শুভ্র হাত বাড়িয়েছিল পানির গ্লাসটা নিতে, হিয়াকে জড়সড় হতে দেখে পানির গ্লাসটা হিয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

” নাও, এইটা আমার থেকে বেশি তোমার প্রয়োজন।”
হিয়া কাপা কাপা হাতে গ্লাসটা ধরলো, সত্যি তার তৃষ্ণা পেয়েছে। এক চুমুকে পুরোটা শেষ করতেই শুভ্র বললো,” আমার দিকে তাকিয়ে থেকে একেবারে গলাও শুকিয়ে ফেলেছ।”
হিয়া গ্লাসটা নামিয়ে বললো,” ফালতু কথা একদম বলবেন না। বলছি না আপনার দিকে তাকাই নি।”
শুভ্র হিয়ার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে রাখলো। তারপর স্থির দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। হিয়া না চাইতেও চোখ নামিয়ে ফেললো।
” তুমি আমাকে এতো ভয় পাও কেনো? ভয়ের চটে অজ্ঞানই হয়ে গেলে।”, হটাৎ শুভ্রের এমন শান্ত স্বরে কেমন একটা শিহরণ জেগে উঠলো হিয়ার মনে।
হিয়া আড় চোখে তাকিয়ে বললো,” মোটেও আমি ভয় পাই নি। ওটাতো এমনেই। মানে…. জানি না কেনো হয়েছে। কিন্তু ভয় পাই নি আমি।”

” তাহলে তো ভালোই। উঠে নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখো, কাল সকালে যেতে হবে।”, হিয়া মুখ ফ্যাকাশে করে বললো,” কাল যাবো মানে? সবে তো এক সপ্তাহ হলো আমি এসেছি আর আমার পরীক্ষার তো অনেক দেরী আছে। আর আপনি এসেছেন কেনো আমাকে নিতে?”
” মা পাঠিয়েছে তোমায় নিয়ে যেতে। তোমার যেতে ইচ্ছে না হলে যাবে না।”,স্বাভাবিক ভাবেই বললো শুভ্র।
হিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হনুমানটা এতো ভালো হলো কবে? এটা কি স্বপ্ন? কি যন্ত্রণা! সব কিছু স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে কেনো তার কাছে? হিয়া পরক্ষনেই হেসে বললো,” ঠিক আছে তাহলে আমি যাবো না।”
শুভ্র ফোনটা বের করে মায়ের নাম্বারটা হিয়ার সামনে ধরতেই হিয়া চোখ বড় বড় করে তাকালো। শুভ্র বললো,” নাও, ফোন করে বলো যে তুমি আসতে চাও না। আমিও তাহলে রাতেই ফিরে যাচ্ছি, শুধু শুধু কালকের ক্লাস মিস দেওয়ার কোনো মানে হয় না।”

শুভ্রের চালাকি ধরতে পেরে হিয়া রাগী গলায় বললো,” আপনি ইচ্ছে করে এমন করছেন, তাই না? আমি কিভাবে ওনাকে না বলবো? আর আপনাকে বললেই আপনার চলে আসা লাগবে? এসেছেন কেনো আপনি? আপনার না সময়ের অনেক দাম। নষ্ট করছেন কেনো আপনার সময়?”
” বক বক তো ভালোই করতে পারো। সাহস দেখানোর বেলায় শুধু ভিজে বিড়াল।”,বলেই ফোনটা পকেটে ভরে উঠে পড়তেই হিয়ার মামী এক গ্লাস দুধ নিয়ে হাজির। হিয়া চোখ বড় বড় করে তাকালো। মামী এগিয়ে এসে হিয়ার মুখের সামনে ধরে বলল,” নে এক ঢোকে শেষ করবি।”
হিয়া ভয়ে ভয়ে মামীকে জিজ্ঞেস করলো,” হটাৎ দুধ।” মামী কঠিন গলায় বলল,” কথা কম। জলদি শেষ কর। চুলায় তরকারি বসাইয়া আসছি।”
হিয়া নাক মুখ কুঁচকে গ্লাসটা হাতে নিলো। তারপর তার মামীর দিকে তাকালো। সে ধমকের সুরে বললো,” তাকিয়ে আছিস কেনো? শেষ কর।”

দুধ হিয়ার একদম পছন্দ না। কিন্তু মামী তো এমনই, না খেলে ঠাস করে একটা লাগাইয়া দিবে। তাই আর কিছু না বলে দুধটা অনেক কষ্ট করে শেষ করে গ্লাসটা মামীর হাতে দিলো। তিনি গ্লাসটা হাতে নিয়ে হিয়াকে বললেন,” চুপ করে বসে থাকবি। খাট থেকে নামবি তো তোর খবর আছে।” হিয়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
শুভ্র হিয়ার মামীকে অবাক হয়ে দেখছে। তিনি যেতে যেতে শুভ্রের উদ্দেশ্যে বলেন,” ঢাকা গিয়েই টেস্ট করে ফেলবা, বুঝসো কি বললাম?”
শুভ্র অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে হ্যা সূচক হালকা ঘাড় কাত করলো। মামী চলে যেতেই হিয়া অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,” টেস্ট? কিসের টেস্ট?”
শুভ্র ভ্রূ কুচকে হিয়ার দিকে তাকালো। তারপর বললো,” তুমি কয় বক্স আচার খেয়েছো?”
হিয়া অবাক হয়ে বললো,” মানে? আমি কয় বক্স আচার খেয়েছি তা দিয়ে আপনার কি? আর আপনি জানলেন কি করে?”

” তোমার মামী বলল তুমি নাকি অনেক আচার খেয়েছো। তোমার মাথাও নাকি একটু ঘুরিয়েছে।”, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো শুভ্র।
” হ্যা, তাতে আপনার কি?”,রেগে বললো হিয়া। আরে আজব! আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি খেয়েছি। আর আমার মাথা ঘুরিয়েছে ঘুরাক, তাতে এই লোকের কি?
শুভ্র নিশব্দে হাসলো অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে হিয়ার মাথাটা ঘুরিয়েছে আর এতে হিয়ার মামী কি কি চিন্তা করে বসে আছে। শুভ্র হাসি ঠোঁটের কোন রেখে বললো,” আমার কিছু না তবে তোমার মামীর ধারণা তুমি প্রেগনেন্ট। তাই টেস্ট করাতে বললো।”

হিয়া হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। এইসব কি শুনছে? কি দেখছে সে? সে পাগল হয়ে গেছে নাকি এই লোকটা পাগল হয়ে গেছে। আর এই বদমাইশ লোকটা দেখো হাসছে। হিয়া বিছানা থেকে একটা বালিশ শুভ্রের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বললো,” হাসছেন কেনো আপনি? আর উল্টা পাল্টা এইসব কি বলছেন। মাথা খারাপ হয়ে গেছে আপনার?”
শুভ্র হাত বাড়িয়ে বালিশটা ধরে বললো,” তোমাদের পুরো ফ্যামেলি কি এমন? একজন ভয়ে অজ্ঞান হচ্ছে তো আরেকজন ভাবছে সেটা প্রেগনেন্সির জন্য হচ্ছে।”
হিয়া রাগে কিরমির করছে। এতো কথা বলা শিখেছে কবে এই লোকটা? শুভ্র হাতের বালিশটার দিকে তাকালো তারপর বললো,” আর বালিশ ছুড়ে মেরেছো কেনো? তোমাকে ছুঁড়ে মারবো? পড়ে তো আবার অজ্ঞান হয়ে যাবা।” শেষের টা উপহাস করে বললো শুভ্র।

হিয়া শুভ্রকে যত দেখছে তত অবাক হচ্ছে। এমন শুভ্রকে সে এর আগে দেখেনি। এমনভাবে সে এতদিনে প্রথম দেখছে শুভ্রকে। হিয়া আর কোনো কথা বললো না। চুপ করে বসে আড় চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে রইল। হিয়ার নিজের কাছেই আজব লাগছে। হটাৎ অজ্ঞান হওয়ার কি ছিলো? আর এই অজ্ঞান হওয়া নিয়ে কতকিছু হয়ে গেলো।
✨ হিয়া শাড়ী বদলেছে। এখন বিছানায় বসে আছে।হিয়া আগে থেকে এসেই নিজের খাটের অর্ধেকের বেশি জায়গা নিয়ে বসে আছে। হিয়া চিন্তায় শেষ। এই লোকটার সাথে তাকে এক ঘরে থাকতে হবে। কি ভয়ানক! হিয়া রূপার রূমে থাকতে গিয়েছিল মামী এক ধমক দিয়ে রূমে পাঠিয়ে দিয়েছে। উফফ সবাই খালি তাকে ধমকের উপর রাখে। একটু ভালো করে কথা বলা যায় তার সাথে। হিয়ার বুকটা ধুক ধুক করছে।

শুভ্র ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে আসলো। তারপর স্বাভাবিক ভাবেই হিয়ার পাশে এসে শুয়ে পড়লো। হিয়া কিছুটা সরে এসে আড় চোখে শুভ্রের দিকে তাকিয়ে রইল। শুভ্রের আলোতে ঘুম আসে না তাই সে চোখ খুলে হিয়ার দিকে তাকাতেই দেখলো হিয়া আড় চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে ফেলতেই হিয়া কড়া গলায় বললো,” আমি কিন্তু নীচে ঘুমাবো না। এটাবাংলা সিনেমা না। আপনি ভুলেও আমাকে নিচে শুতে বলবেন না। আপনার এতো সমস্যা হলে আপনি নীচে শুয়ে পড়ুন।”
” নাহ্ আমার কোনো সমস্যা নেই। আর এইটা তোমার ঘর তাই তোমার বিছানায় তুমি শুতেই পারো। কিন্তু ঘুমানোর আগে লাইটটা অফ করে দিও।”,বলেই অন্যদিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো শুভ্র।

হিয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হটাৎ এতো ভদ্র হয়ে গেলো কিভাবে? হিয়া উঠে গিয়ে সুইচটা বন্ধ করে তার ঘরের নীল তারা গুলো জ্বেলে দিলো। হিয়া একদম অন্ধকারে ঘুমাতে পারে না। তারপর নিজেকে পাতলা চাদর দিয়ে মুড়িয়ে একপাশে গুটি মেরে শুয়ে পড়লো। ভালোয় ভালোয় আজ রাত পার হলেই সে বাঁচে। শুভ্র কিছুক্ষণ পর চোখ মেলতেই দেখলো। হিয়ার রুমে ছোটো ছোটো তারা ঝুলছে। অন্ধকারে সেই তারা গুলোর হালকা নীল অবয়ব রুমটায় ছড়িয়ে পড়েছে।

শুভ্র ভ্রূ কুচকে বললো,” তোমাকে লাইট বন্ধ করতে বলেছিলাম এতগুলো আলো জ্বেলে দিতে বলিনি।”
হিয়া মুখ ঘুরিয়ে শুভ্রের দিকে তাকালো তারপর বললো,” আমি অন্ধকারে ঘুমাতে পারি না।”
শুভ্র হিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,” আমি আলোতে ঘুমাতে পারি না।”
” তাহলে একদিন না ঘুমিয়ে থাকুন,কিচ্ছু হবে না আপনারা।” ,বলেই হিয়া মুখ ফিরিয়ে শুয়ে পড়লো।
শুভ্র উঠে গিয়ে একটা তারা বাদে বাকি সবগুলো তারার আলো বন্ধ করে দিয়ে এসে শুয়ে পড়লো। হিয়া তাকিয়ে দেখলো শুধু তার মাথার উপরের বড় তারাটা জ্বলছে। হিয়া রেগে গিয়ে বললো,” কি করলেন আপনি এইটা?”

নীলচে তারার আলো পর্ব ১২

” চুপ চাপ ঘুমাও। আর উঠে গিয়ে যদি একটা এক্সট্রা তারা জ্বেলে দিয়েছো। তাহলে তো আমাকে চিনো।”, ধমকের সুরে বললো শুভ্র।
হিয়া মুখ বাকালো, এইতো হনুমানটা আসল রূপ দেখাচ্ছে। রুমটা তার, কিন্তু হুকুম দিচ্ছে এই লোকটা। হনুমান কোথাগার!

নীলচে তারার আলো পর্ব ১৪