নীলের হুরপাখি পর্ব ১৭
কারিমা ইসলাম কেয়া
হুর ঃ নীল আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে চলে এসো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের দৃষ্টি এখন হুরের দিকে।
হুরের মতো সহজ সাধাসিধে মেয়ের এমন কথায় উপস্থিত সকলের চাহনি এমন যেন তারা স্পেস ছাড়াই মহাকাশে পৌঁছে গেছে।
কিন্তু নীল, তার ঠোঁটে হাসিঁ ফুটে উঠলো।
উপস্থিত সকলের মাঝে গুঞ্জন শুরু হলো।
তুবা ঃ এইসব কোন ধরনের কথাবার্তা হুর, নীল ভাই থেকে সোজা নীল আর তোমার ঘুম পেলে তুমি গিয়ে ঘুমাও, তুমি কিহ বাচ্ছা বুজতে পারছো
না এখানে আমাদের ইংগেজমেন্ট চলছে।
নীল হুরের কাছে যেতে লাগলো। তুবা নীলের হাত ধরে ফেললো।
তুবা ঃ নীল তুমি কোথায় যাচ্ছ?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নীল ঃ বউ ডাকলে যেতে হয়। (নীল বাচ্ছাদের মতো ফেইস করে বলল)
তুবা ঃ নীল তুমি তুমি পা,,পাগল হয়ে গেছো নাকী,বউ মানে, তাহলে আমি কে?
নীল ঃ সেটা নাহিদ সরকার, হায়দার সরকার কে জিজ্ঞেস করো।
নীল ঝটকা দিয়ে তুবার হাত ছাড়িয়ে নিল।
উফ আমি একটা বিবাহিত পুরুষ, আমার সাথে এমন কুত্তা জড়াজড়ি কর কেন, দূরে থাকবে আমার থেকে।
নীল হুরকে কোলে তুলে নিল। হুরকে নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে পিছন ফিরে তাকালো
নীল ঃ মিস্টার নাহিদ সরকার, হায়দার সরকার আপনারা আজ হেরে গিয়েছেন। আমার চেলেঞ্জ আমি রেখেছি। মনে রাখবেন, হুর শুধুমাত্র এই @নীলের হুরপাখি।
নীল হুরকে নিয়ে তার রুমে চলে গেল।
হুরকে সোফায় বসালো নীল। নীল হুরকে জড়িয়ে ধরল।
নীল ঃ হুরপাখি তুই পেরেছিস, তুই পেরেছিস এই নীলাদ্র সরকারকে কেড়ে নিতে।
শুধু তাই নয়, আজ তুই স্ব ইচ্ছায় আমাকে বেছে নিয়েছিস। তাই আজ থেকে তুই চাইলেও আমার বাধঁণ থেকে মুক্ত হতে পারবি না। যতো চেষ্টা করবি, ততই দ্বিগুণভাবে জড়িয়ে যাবি। (নীল কথাগুলো দৃঢ়ভাবে মুখে শক্ত ভাব এনে বলল)
বেইমানী আমার একদম পোষায় না হুরপাখি, কখনো আমার সাথে বেইমানী করো না। (নীল আলতো আদর মিশিয়ে বলল)
নীল হুরের কপালে চুমু খেল।
হুর ঃ কিন্তু নীল ভাই, তুমি তহ জানো আমার আজকের পদক্ষেপ তোমার আমার কারর জন্যই সহজ হবে না।
নীল হুরের ঠোঁটে হাত রাখলো।
নীল ঃ হুশশশ। এইসব ভাবা তোর কাজ নয়, তোর একটাই কাজ ব্যাস আমায় ভালোবাসবি আর আমি তকে অনেক অনেক আদর দিব।
হুরের মুখটা নববধূর মতো লজ্জায় রাঙ্গা হলো।
নীল হাটুঁ মোড়া অবস্থায়ই হুরকে জড়িয়ে ধরলো।
অন্যদিকে
তাকরিম ঃ মিস্টার নাহিদ সরকার, আপনার এতো বড় সাহস কীভাবে হয়, আমার মেয়েটাকে ঠকানোর।
এভাবে আমাকে অপমাণ করার। আপনি আজ যে কাজটা করলেন, এর ফলাফল ভয়ংকর হবে, সরকার বাড়ির প্রতিটা সদস্যের জীবন আমি তছনচ করে দিব।
হায়দার ঃ আপনি শান্ত হোন। আমরা বসে কথা বলি।
তাকরিম ঃ জুতা মেরে আবার গুরুদান করছেন। বসে কথা বলব। এটাঁ একটা নিউস হবে, তাকরিম খন্দকারের একমাত্র মেয়েকে ইংগেজমেন্টের সময়
ভরা সবাই রিজেক্ট করে চাচাতো বোনের কাছে চলে গেল নীলাদ্র সরকার।
নাহিদ ঃ আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। আপনার মেয়ের জীবন নষ্ট করা বা আপনার সম্মানে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না তাকরিম।
তবে আপনার বা আমার সম্মান কোনটাই কিন্তু এখন ওহ হাতের বাইরে যাই নি।
আমি আপনার মেয়েকে আমার ছেলে রক্তিমের জন্য চাইছি।
তাকরিম ঃ বিয়েটাকে কিহ আপনি ছেলে খেলা পেয়েছেন নাকী, এটাঁর আমার মেয়ের জীবন কোনো সিনেমা নয়।
আজ থেকে আপনার সাথে আমার সকল সম্পর্ক এখানেই শেষ। আজ থেকে আমি আর আপনাদের সাথে কোন কাজ করবো না।
তাকরিম ঃ চল মা, এদের আমি দেখে নিব।
তুবা ঃ না বাবা আমি রক্তিমকে বিয়ে করবো, আর সেটাঁ আজই। কাজি ডাকো।
তাকরিম ঃ মা, একবার ভেবে দেখ, আমি এই প্রতারক ফ্যামিলির থেকে অনেক ভালো একটা ছেলে তর জন্য নিয়ে আসবো।
তুবা ঃ না বাবা আমি রক্তিমকে বিয়ে করব, আর সেটাঁ আজই।
রক্তিম ঃ বাবা আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
নাহিদ ঃ বিয়েটা আগে শেষ হোক তারপর।
রক্তিম ঃ বাবা। (অসহায় গলায়)
নীলের হুরপাখি পর্ব ১৬
রাত 2 টো
নীল আর হুর দুজনে শূয়ে আছে একই বেডে পাশাপাশি কাছাকাছি।দুজনেই
নীল ঃ কিহ হলো এখনও ঘুমাচ্ছিস না কেন।
হুর ঃ দুষ্টুমি করতে ইচ্ছা করছে তাই। (হুর আস্তে আস্তে বিরবির করে কথাটা বললো)
