নীলের হুরপাখি পর্ব ১৯
কারিমা ইসলাম কেয়া
সকালের আলো ফোটাঁ সত্ত্বেও চারিদিকে অন্ধকারে ছেয়ে আছে। আলোর রশ্নি যেনো এখানে প্রবেশ নিষেধ এই বার্তা জানান দিচ্ছে। চারিদিকে ভ্যাপ্সা গাঁ গুলানো দূর্গন্ধ, এই গন্ধে পেটের নাড়ি – ভূড়ি বের হওয়ার উপক্রম। গাঁ ছমছমে এই বাড়িটা এক ভয়ের রাজ্যকে জানান দিচ্ছে। এরই মাঝে শুরু হলো এক যন্ত্রনাদায়ক গগণবিদারী চিৎকার।
একজন লোক মাটিতে দেয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে প্রাণহীন অবস্থায় বসে আছে। তার হাতের তিনটি নোখ এই মাত্র কাটাঁ হয়েছে ব্লেট দিয়ে, নখের অংশগুলো আলাদা হয়ে হাতের সামনেই পড়ে আছে।
লোকটির সারা শরীরে ক্ষতের দাগ, এক চোঁখ বেয়ে তরল তাজা রক্ত বের হয়ে আসছে। লোকটি তবুও সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটির নিকট প্রাণ দানের আকুতি করছে ব্যাথাতুর গলায়
আমায় মারবেন না দাদাভাই আমি আর কখনো আপনার কোনো কাজে বাধাঁ হয়ে দাড়াঁবো না।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ব্যক্তিটি এবার উম্মাদের মতো হেসেঁ উঠলো যেন অসহায় লোকটির অসহায়ত্ব ভরা আকুতির জন্যই এতো আয়োজন।
লোকটি কাঠের চেয়ারে এক পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ের রং তামাটে, চোঁখের মনি বাদামি, তার ওই চোঁখের দিকে একবার তাকালে দ্বীতিয়বার তাকানোর সাহস হয় না। কারণ তার চোঁখে একরাশ ভয় আর নৃশংসতা খেলা করছে। ঠোটঁ জোড়া কালসিটে দাগ পড়ে গেছে। কপালের ডান পাশের ভ্রুর নিচে কাটাঁ দাগ। তার বডি গঠণ পারফেক্ট। তামাটে হলেও দেখতে বেশ। হাতে পিস্তল।
জান দেওয়া নেওয়ার খেলায় আমি বরাবরই পাকা। বাইন**চোদ তর কলিজায় এতো সাহস কয় থেইকা আসলো তুই আমায় লগেই খেলতে চাস।
লোকটি ভারি গলায় শান্ত ভাবে বললো। তারপর লোকটার কলিজা বরাবর পরপর 2 দুটি গুলি মারলো।
লোকটি মৃত্যর সাথে সাক্ষাৎ হয়ে গেছে তবুও সে হার মানতে চাইছে না, সুন্দর পৃথিবি ছেড়ে যেতে চাইছে না, তাই নিভু নিভু চোঁখে আবারও উচ্চারণ করলো
দাদাভাই,,
লোকটি এবার নিষ্ঠুর হাসঁলো
আমি মাফিয়া কিং রানবির রনব।
বেইমানির অপর নামই আমি। আমাকে বিশ্বাস করা আর মা*রা খাওয়া দুটোই এক। তবে সেই একই সিনেমা যখন কেউ আমার সাথে করে তখন
সেটার উপহার হিসেবে তাকে আমি দিইইই বিনা রকেটে চাঁদে যাওয়ার টিকিট।
তার পাশে দাড়ানো মাহিদ স্বভাব বসত বললো
“হ ভাই ঠিক ঠিক ”
রনব ঃ জীবনে একটা জিনিসেই আমার মরণ “আগুণ”।
আগুণের স্পর্শে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে, নিঃশ্বেস এক কণা অংশ হলেও আমি তার আবার আগমণ চাই।
নীলের রুমে হুর থাকায়। নিলাসা আর কলি ও হুরের সাথে দেখা করতে চলে এসেছে। যদিও বাড়ির আর কেউ ই এখন পর্যন্ত হুরের কাছে আসে নি। লামীম ওহ এক বারের জন্য বোনের কাছে আসে নি।
তাদের আড্ডার মাঝেই কোথা থেকে যেন তুবা চলে আসলো।
তুবা ঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে কী কর?
হুর ঃ গোসল করি।
হুরের উত্তর তুবার গাঁয়ে কাটার মতো বিধঁলো।
তুবা ঃ অসভ্য মেয়ে আমি তোকে বলেছি সকালে ঘুম থেকে উঠে কিহ এমন রাজকার্য করিস যে রান্নাঘরে যেতে পারিস না। আজ তহ আমার এই বাড়িতে প্রথম দিন তবুও আমি নিজের দায়িত্ব পালন করেছি।
হুর ঃ আমি তহ সেটাঁয় বললাম, ছোট জা সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করি, বিলিভ মি আমার চুল এখনো ভিজা।
তুবা রাগে রুম থেকে চলে গেলো।
নিলাসা হাসঁলো আর কলি হাসার মতো কোনো কারণ খুজে পেল না।
নিলাসা ঃ তুই জানিস তুবা ভাবি এমন, তকেও এখন এমন কথা বার্তা বলতে হবে।
হুর ঃ হুম বলতে হবে।
নিলাসা ঃ ইদানীং বোকা হুর খুব সাহস হয়েছে, লজ্জা শরম তহ কমছেই সাথে খুব পাকা পাকা কথাও বলছিস। বলি কারা শিখিয়ে দিয়ে যায় এগুলো।
হুর ঃ তকে যে পারার মানুষ গুলো এসে এগুলো শিখাই তারাই শিখিয়ে দিয়ে গেছে।
এবার নিলাসা, হুর আর কলি তিনজনেই হাসঁতে লাগলো।
নীল রুমে আসলো। হুরকে মনটা কিছুটা ফুরফুরে হতে দেখে নীলের আত্নাাটাও যেন শীতল হতে লাগলো। নীল দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো,,
নীল ঃ তরা দেখছি আড্ডা মহল খুলে নিয়েছিস। এটাঁ আমার রুম কোনো সভাকক্ষ নয় বেড়ো এখান থেকে।
নিলাসা ঃ বেড়োবো না কি করবি, এটাঁ শুধু তর রুম না হুরের ওহ রুম।
নীল ঃ তেমন কিছু না, তকে কোলে তুলে নিয়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিব। এখন বল তুই কিহ করবি?
নিলাসা ঃ আমি এখনই বিষয়টা মাকে বলছি,দ্বারা দেখাচ্ছি মজা।
ও মাগো তোমার ছেলে আমায় মেরে কানের পট্টি লাল করে দিয়েছে
এই বলে নিলাসা চলে গেল সাথে কলি ও।
ছোট্ট বোনটার এমন কাণ্ডে নীলের ঠোঁটে হাসিঁ ফুটে উঠলো।
হুর ওহ চলে যেতে লাগলো পিছু পিছু নীল আটঁকে দিল।
নীল ঃ কোথায় যাওয়া হচ্ছে ম্যাম
হুরের মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে আছে বিষয়টা নীল আন্দাস করতে পেরে আর একটু উস্কে দিল।
নীল ঃ ম্যাম আপনার কিহ আজ আবার ওয়াটার রোমান্স পাচ্ছে, আপনি চাইলে আমি আবার পুঃনাবৃওি করতে পারি।
হুর ঃ বাজে লোক যেতে দিন আমায়।
নীল তার হাত সরিয়ে নিল দেয়াল থেকে।
নীল ঃওকে।
ওকে বলে নীল হুরকে কোলে তুলে নিয়ে দরজা আটঁকে দিল।
হুর ঃ আরে আরে কিহ করছেন।
নীল হুরকে ওয়াসরুমে নিয়ে সাওয়ার ছেড়ে দিল। পানির ফোটাঁয় ফোটাঁয় তাদের পুরো শরীর ভিজিয়ে দিল।
নীল হুরকে সোজা করে দাঁড় করালো।
হুরের পরণে সাদা শার্ট ও হলুদ রাঙ্গা সার্ট পানির স্পর্শে শরীরের ভাজে ভাজে লেপ্টে গেলো। শরীরের অংশ দৃশ্যমান। ভেজা শরীরে বুকের অংশের ব্ল্যাক ই*না*রটা স্পর্শ এক আকর্ষণ ।
নীল হুরের গার্ডার দিয়ে বাধাঁ চুলগুলো নীল ছেড়ে দিল।
চুলগুলো ছাড়তেই কমোর পর্যন্ত চুল গুলো ছেয়ে গেল।
হুর নীলের দিকে তাকিয়ে তার দৃষ্টি বুজতে পারলো।
নীলের শরীরের সাদা শার্ট ওহ পানিতে ল্পেটে গেছে। এতে তার জিম করা সিক্স প্যাক গুলো দৃশ্যমান। যা চোঁখ এড়াবার মতো নয়। কমলা ঠোঁট জোড়া পানির স্পর্শে আরও গাঢ়ো হতে লাগলো।
নীলের নীলচে কালো চোঁখে আকর্ষণ আর নিলজ্জ চাহনি স্পষ্ট খেলা করছে।
হুর তার চুলগুলো সামনে আনলো। হুরের গোলাপি ঠোঁট জোড়া হীমে কাপঁছে।
নীল অবাধ্য হাতে হুরের শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো।
হুর নীলের হাত ধরে ফেললো।
হুর ঃ কী করছেন এসব, আমার ভয় লাগছে।
নীল ঃ হুশশশ পাখি। আমার সামনে তর এসব পড়ার ধরকার নেই।
তুই চাইলে রুমে ভিতর কিছু না পড়েও থাকতে।
নীলের এমন নিলজ্জ কথায় হুরের অন্তর আত্না কেপেঁ উঠলো।
নীল হুরের শার্টটা ছুড়ে ফেলে দিল। এখন হুরের পরণে শুধু সার্ট আর ই*না*র।
নীল ঃ পাখি আমার না খুব গরম লাগছে।
নীল হুরের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল। হুরের মুখের থুথু যেন নীল শুষে নিচ্ছে। হুরের কানের লতিতে নীল আলতো চুমুর স্পর্শ দিচ্ছে। নীল হুরের শার্ট খামছে ধরছে।
নীলের অবাধ্য হাত হুরের শরীরে খেলা করছে।
নীল হুরকে খাটে বসিয়ে হুরের চুল মুছে দিতে লাগলো আর হুর আপেল খাচ্ছে। হুর নীলের দিকে এগিয়ে দিল। নীল হুরের হাত ধরে আপেলে কামড় বসালো।
তখনই বাইরে থেকে দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ আসলো।
নীল গিয়ে ধরজা খুললো
নীল ঃ তুমি এখানে।
তুবা ঃ হ্যাঁ নীল এই নাও তুমার জন্য কফি। কফিটা খেয়ে জানাও কেমন হয়েছে।
হুর তুবার হাত থেকে কফিটা নিয়ে নিল
হুর মুখটা বিকৃত করে বললো,
হুর ঃ ইয়াক খুব বাজে হয়েছে।
তুবা ঃ হুর কফিটা তুমার জন্য ছিল না, আর আমি তুমার মন্তব্য ওহ জানতে চাই নি।
নীল আমি আবার বানিয়ে নিয়ে আসবো।
নীল ঃ তার কোনো প্রয়োজন নেই। তুমি আমার ছোট ভাইয়ের বউ, তুমি বরং রক্তিমের খেয়াল রাখো।
তুবা খেয়াল করলো দুজনেরই চুল ভেজা।
তুবা ঃ তুমরা দুজন এক সাথে সাওয়ার নিয়েছো।
নীলের হুরের কাধেঁ হাত রাখলো।
নীল ঃ তুবা তুমি আমার ছোট ভাইয়ের বউ, তাই বলে তুমায় আমি ছাড় দিব না, নিজের লিমিটে থাকো।
নীল রুমের দরজা অফ করে দিল।
তুবা বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে ফুসতে থাকলো,
তুবা পিছন ফিরে যাওয়ার সময় দেখলো রক্তিম খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
তুবা ঢোক গিললো সাথে খানিকটা লজ্জিত ওহ হলো। তুবা রক্তিমকে সাইট করে চলে গেল।
নীলের হুরপাখি পর্ব ১৮
সন্ধ্যা 5 টা
হুর ছাদে যাচ্ছে প্রতিদিনের মতো আজও সন্ধ্যেটা উপভোগ করতে।
হঠাৎ কেউ তার হাত ধরে টেনে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
