নীলের হুরপাখি পর্ব ৩
কারিমা ইসলাম কেয়া
ভয় আর উত্তেজনায় হুরের শ্বাস -প্রশ্বাস অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে লাগল।
হুর আরও একবার নীলকে পরখ করে নিল।নীলের হটনেস আর হুরের চোঁখে সইল না,হুর চোঁখ নামিয়ে ঢোক গিলল।
নীল হুরের থুতনি হালকা চেপে উপরে তুলল,
হেই silli gril look at me.
হুর চাইল তবে তার চোঁখে অদ্ভুত উম্নাদনা।
স,,রি নীল ভাই আর হবে না।(হুর)
বলেই হুর ছোটার চেষ্টা করল কিন্তু হুর বেশি দূর যেতে পারল না কারণ তার হাত এখনো নীলের হাতের মুঠোয়।হুর পিছন দিক তাকালো তাই হুর আর নীলের আরও একবার সরাসরি চোঁখা – চোঁখি হলো।
নীল ভাই প্লিজ যেতে দিন অনেক রাত হয়েছে ঘুমোবো। (হুর)
কেন নয়,তবে শর্ত একটাই কাল সকালের মধ্যেই তর সব লিপস্টিক আমার কাছে জমা দিতে হবে।আর আমার অনুমতি ছাড়া তর এই ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়া যাবে না।(নীল)
মানেহহহ কিহ কিন্তু কেন? (হুর কাদোঁ কাদোঁ মুখে)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
উহুম Don’t ask.(নীল)
নাহ,,,,হুরের সোজা উত্তর কোনো রকম ভনিতা ছাড়াই।
ঠিক আছে তাহলে আর তাহলে যাওয়ার জন্য বায়না ধরিস না এখানেই থেকে যাহ,,,,(নীল)
ঠিক আছে।(হুর)
হুরের উত্তরে নীল এক ভ্রু উচালো মানে সে হ্যা নাকি না কোন উত্তর টা দিল বুজার চেষ্টা।
আমার সব লিপস্টিক দিয়ে দিব কিন্তু আমায় ছেড়ে দিন নীল ভাই,,,,,(হুর)
নীল হুরের হাতটা ছেড়ে দিল,,,হুর ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে দৌঁড়ে দরজা খুলে চলে গেল।
পা,,খি আমার। (নীল)
হুর দৌঁড়ে নিজের রুমে যাওয়ার পথে দেখা হলো রক্তিমের সাথে,,,
রক্তিমকে দেখে থেমে গেল।
কিরে হুর এভাবে দৌঁড়াছিস কেন?(রক্তিম)
কয় নাতো আমি,,তহ নীল ভাইকে কফি দিতে গেছিলাম।বলেই হুর রক্তিমের উওরের অপেক্ষা না করে চলে গেল।(হুর আমতা আমতা করে বলল)
হুর প্রতিদিন রাতেই নীলকে কফি দিতে যায় তাই সেটাই না ভাবলেও হুরের ব্যবহার রক্তিমকে ভাবালো।
রক্তিম নিজের হাত শক্ত করে নিল।
গভীর এক রাত্রিকে পাড়ি দিয়ে ধরণীতে আজ আরো একটা শুভ সকালের সূচনা।
সরকার বাড়িতে প্রতিদিনের সকাল বেলা এক তোলপাড় আমেজ নিলাসা হুরের কলেজ।কলির স্কুল। রক্তিমের ভার্সিটি আর বাড়ির বাকি ছেলেদের অফিস।
তাদের নিজস্ব পারিবারিক ব্যবসা।
তাইতো তিন গিন্নি তাদের সহকারীদের এত ব্যস্ততা।
খাবার টেবিলে নাস্তার জন্য সবাই বসে আছে।
কিগো বউরা তারাতারি করো আমার ছেলে নাতিরা বের হবে।
জ্বী মা আসছি এইতো আমাদের হয়ে গেছে।(রুহানি)
খাবার টেবিল নাস্তা সাজানো হচ্ছে।সকলে খাওয়া শুরু করেছে।কিন্তু নীল আর লামীম এখনো নিচে নামেনি।
আসমা,,,যাহ তহ আমার নাতিদের ডেকে নিয়ে আয় চারুলতা বলল।(আসমা তাদের মেইড)
এইতো আমরা হাজির,,,দাদি,,,,,(লামিম)
নীল কিছুটা গম্ভীর ভাব নিয়ে টেবিলে গিয়ে বসল।আর লামীম হাস্যজ্বল।
হুরের দিকে একটু তাকালো ওহ যেন হুরকে চিনেই না। হুর ভেংচি কাটল।ডেবিল একটা।
কিরে হুরজান নিলা তদের কত বার বলব খাওয়ার টেবিলে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করবি না চুপচাপ খাবি।এখনই গলায় খাবার আটঁকে যাবে।
হুরজান 2 দিন পর কিন্তু তুই আর আমি নানি বাড়ি যাব।নানি কল দিয়েছিল।
ইয়েহ,,,ওকে।(হুর)
বাহ,,,,হুরকে আর তোমাকে যেতে বলেছে কিন্তু আমি তহ নিজের নাতনি নয় তাই আমাকে যেতে বলে নি।(নিলাসা)
নারে ভুতনি তকে আর কলিকে ও নিয়ে যেতে বলেছে।
আমি ভুতনি তাহলে তুমি কিহ আস্ত একটা পেঁচা ভুত।
তাদের কথোপকথেন বাড়ির বড়রা শুনছে আর চুপচাপ খাচ্ছে কেউ কোন কথা বলছে না।তারা তিন ভাই ই কিছুটা গম্ভীর। আর বাড়ির গিন্নিরা পড়ে খায় বাড়ির পুরুষেরা খাওয়ার পর।
দুপুরের তপ্ত গরমে নিলাসা আর হুর বাড়ি ফিরল।
হুর বাড়ি ফিরেই সাওয়ারে ডুকল। হুর লম্বা একটা সাওয়ার নিয়ে বের হলো।
তার গায়ে শুধু একটা টাওয়াল।সাউণ্ড বক্সে গাণ চালিয়ে তার সেই বিখ্যাত টাওয়াল ড্যান্স শুরু করল।
নেতা থেকে অভিনেতা,
আমার স্টাইলে সবাই ফিদা।
কবে আসবে আমার সেই হিরো
কবে আসবে আমার সেই হিরো।
করবো যখন হিরোর গালে কিস,
ঠোঁটে লাগাবো লাল লিবিস্টিক।
নাচতে নাচতে হুরের খেয়ালই নেই তার রুমে সোফার উপর এক জ্বলজ্যান্ত মানব পুরুষ বসে আছে।
এবার সে মানবটি একদম হুরের কাছাকাছি চলে আসলো।
বাহ,,,অনেক বছর পর আবার তর সেই বিখ্যাত টাওয়াল ড্যান্স দেখার সুযোগ পেলাম।(নীল)
জ্বী নীল ভাই মাঝে মাঝেই আমার ঘরে এভাবেই চলে আসবেন তাহলেই দেখতে পারবেন।
হুর নাচের মাঝেই বেখেয়ালি ভাবে উত্তর দিল।
ওয়েট,,,নীল ভাই। পিছন ফিরে নীলকে দেখে হুর দিল এক চিৎকার।
আহহহহহহহহহহহহহহহ
নীলের হুরপাখি পর্ব ২
চিৎকার করার সময় হুরের খেয়ালে নেই তার হাত আলগা হয়ে গেছে।
কিন্তু টাওয়ালটা বুক থেকে নামার আগেই নীল চেপে ধরে ফেলল,,,
এখন হুরের দুই হাত উপরে তোলা।আর বেচারা নীলের হাত আষ্টেপিষ্ঠে টাওয়ালটা জড়িয়ে ধরে আছে।