নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩৩
সিনথিয়া
মিডটাউন ম্যানহাটন..
গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল আয়ানের হাতের মুঠোয়। আঙুলগুলো ছাড়া শুধু তালুটুকু আবৃত ট্যাকটিকাল গ্লাভস দ্বারা। হেম চোখের দৃষ্টি সতর্ক।
মিসেস লরেন কে বিদায় জানিয়ে বের হতে হতেই বিকেল গড়িয়েছে ওদের। এর মধ্যেই শহরের আকাশজুড়ে ধূসর মেঘের আনাগোনা শুরু। বরফও পড়তে শুরু করেছে অল্প। এমন সময় সাবধান হয়ে গাড়ি চালানো জরুরী।
তবে জারার হাবভাবে মনোযোগ হারাচ্ছে অফিসার।
সে যে খেই হারিয়ে চেয়ে আছে ওর দিকে। নীলাভ অক্ষিযুগলের সবটুকু ধ্যান তার আয়ানের উপর।
আঁড়চোখে চেয়ে না দেখলেও বুঝতে পারলো মানুষটা। গাঁট হলো বলিষ্ঠ শরীর। শুকনো ঢোক গিললো পরপর। গলার শ্লেষাটুকু উড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“আমরা তো প্রায় চলে এসেছি! তোমার কি কিছু কেনাকাটা করতে হবে?
আফটার অল কাল তুমি নতুন জয়েন করছো স্কু–?”
“ভালোবাসি আপনাকে!”
থমকালো আয়ান। আচমকা মাঝরাস্তাতেই হার্ড ব্রেক কষতে হলো ওকে। চোখের দৃষ্টি প্রকট। যেনো বিস্ময়ে ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইলো তারা। পুরোপুরি হজম হলো না কথাটা। বিভ্রমে শুধোলো ফের,
“ক-কীহ্?
জারার চোখমুখ নিরেট। সিল্টবেল্ট সহ ঝুঁকে এলো কাছাকাছি। কিন্তু আচমকাই অফিসারের ডিউটি বেল্ট হতে রিভলবারটা বের করে আনলো একটানে। ট্রিগারে আঙুল বাঁকিয়ে ব্যারেল ঠেকালো ইউনিফর্মে আবৃত পাঁজরের পাশে। পরপর সোজাসুজি ঐ বিস্ফোরিত নেত্রদ্বয়ে তাকিয়ে বললো,
“ভালোবাসি আপনাকে! বিয়ে করবেন আমায়?”
কি হচ্ছে বুঝতে সময় নিলো না পুলিশের মস্তিষ্ক। নিম্নাষ্ঠ দাঁতের ফাঁকে ফেলে হাসলো আয়ান।
প্রহসনের সুরে চেয়ে দেখলো ওর বাটারফ্লাইকে। মনে মনে আওড়ালো,
“দ্যাটস মাই গার্ল!”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমি কিন্তু দু’বার সুযোগ দেবো না! প্রথমবার জিজ্ঞেস করবো! আর উত্তর না পেলে দ্বিতীয়বার সোজা–”
বলিষ্ঠ এক হাত শূন্যে উঠলো অফিসারের। রিভলবারের অগ্রভাগ চেপে ধরলো চোখের পলকে। কিন্তু না সরিয়ে তুলে আনলো বুক বরাবর! মেয়েটাকে অবাক করে দিয়ে বলে বসলো,
“যদি তোমাকে উত্তর না দেয়ার স্পর্ধা করি কখনো, জাস্ট শ্যুট মি বাটারফ্লাই! দ্বিতীয়বার ভেবো না তখন!”
থমথমে গালদুটো গোধূলির সাথে পাল্লা দিয়ে রঙ মাখলো সহসা! হাতটা অল্পবিস্তর কাঁপলো জারার। রিভলবারের অগ্রভাগ আয়ানের বুকের সাথে দাবিয়ে বললো,
“কোনো কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ নয় কিন্তু! সত্যি সত্যি বিয়ে!”
“ইয়েস ম্যাডাম! সত্যি সত্যি বিয়ে!”
উত্তর পেয়েই ট্রিগার থেকে আঙুল সরালো মেয়েটা। স্পন্দনহীন আননে ভেসে উঠলো জড়তা। রিভলবার ছেড়ে দিয়ে বিমূঢ় নেত্রে সামনে তাকালো। কি থেকে কি করেছে ও নিজেও জানে না!
অফিসার নিজের রিভলবারটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে টুরিয়ে দেখলো। ভাগ্যিস চেম্বারে কোনো গুলি ছিল না! নয়তো বিয়ে করার আগেই বিয়ের ফার্স্ট নাইট জমের সাথে গিয়ে কাটাতে হতো ওকে!
অপ্রস্তুতে হাসলো মানুষটা। জারার দিকে তাকিয়ে বললো,
“রিভলবার ঠেকিয়ে প্রপোজ করার বিষয়টা কিন্তু ইউনিক হলেও কাজে দেয়! ইশশ! মানুষজন জানে না বিধেয় দিন দিন রিজেকশনের হার এতো বাড়ছে!”
মেয়েটা হাসলো না। কুন্ঠায় হাঁসফাঁস করলো ভিতর ভিতর। ত্রস্ত ফিরলো আয়ানের দিকে।
“শুনুন! আমি আসলে ওভাবে–!”
কথা পুরোটা শেষ করার আগেই অধরযুগল অনুভব করলো ঠোঁটের উষ্ণতা। ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্ফোরিত ঐ নীল গহ্বর।অফিসারের সম্পূর্ণ আয়ত্তে ওর ওষ্ঠপুটে।
তাকানোর ধরনে মাদকতা। তীব্র আসক্তি।
জারা অটল থাকার চেষ্টায় অক্ষম হলো এবার। নরম হলো প্রকট অক্ষিযুগল।প্রকম্পিত ঠোঁটদ্বয় নিজে থেকেই প্রশ্রয় দিতে চাইলো অফিসারকে।
আর ঠিক সেই মূহুর্তে তারস্বরে বেজে উঠলো আয়ানের ফোনটা। কানে শব্দ যেতেই ছিটকে সরে আসলো ক্ষীণ গতর।
ঠোঁট কামড়ে মাথা নিচু করলো। ছোট ছোট চুলে ঢেকে গেলো ইতস্তত আনন।
অফিসার হাসলো নিঃশব্দে।
তবে পকেট থেকে ফোনটা বের করতেই কপালে ভাজ পড়লো ওর। হাসান ভিলার ল্যান্ডলাইন নাম্বার থেকে কল? কে করলো ওকে?
বিলম্বহীন রিসিভ হলো কলটা। অপরপাশে ক্ষীণ মেয়েলি স্বর।
“আপনি মিস্টার আয়ান? আমি আরশি বলছি!এক্ষুনি একটু দেখা করা যাবে? আমার হাতে খুব বেশি সময় নেই!”
ভিলার সামনে থেকেই আয়ানের গাড়িতে উঠলো মেয়েটা। বসলো পিছনের সিটে। জারাকে দেখে প্রথমটায় অবাক হলেও জিজ্ঞেস করলো না কিছু।
আপতত শেহজাদের বিষয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জারা আহত চোখে তাকিয়ে ওর দিকে!
“এতো কিছু হয়ে গেলো! অথচ আমি কিছু জানি না?”
বিমর্ষ আনন আরশির। কন্ঠে মলিন।
“প্লিজ রাগ করিস না? আসলে ফোনটাই তো নেই হাতে। তারউপর সবগুলো ঘটনা এতো তাড়াতাড়ি ঘটলো, যে জানানোর মতো সুযোগও–”
“আচ্ছা আচ্ছা! ওসব পরেও বলা যাবে! এখন আমরা কি করবো! প্রফেসরকে কিভাবে বাঁচাবো ঐ মাস্কম্যানের হাত থেকে?”
আরশি থামলো! বুঝলো এতক্ষণে যা বলার আয়ান হয়তো সবটাই বলেছে জারাকে।
অফিসার গাড়ি স্টার্ট দিলো সহসা। থতথমে আনন। বন্ধুর চিন্তায় শুকিয়েছে কণ্ঠনালী। তবুও গম্ভীর স্বরে আওড়ালো,
“আপতত তুমি ভাবিকে নিয়ে বাসায় চলে যাও! আমি টিম নিয়ে যাচ্ছি সেভেন্থ এভিনিউতে! একা সবটা হেন্ডেল করবে? বললেই হোলো নাকি? ও জানে? ঐ লোকটা কতটা সাংঘাতিক?”
ত্রস্ত দুপাশে মাথা নাড়লো আরশি। ও তো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। ব্যাগপ্যাকে দড়ি, কাঁচি; ওভারকোটের পকেটে পেপার স্প্রে! সাথে পিঠে হারনেস পরানো স্নোবল।
বলে উঠলো,
“উহু! আমরাও যাবো আপনার সাথে!”
থতমত খেলো আয়ান। ঘুরে না তাকিয়েই শুধোলো,
“আমরা মানে?”
“আমি আর স্নোবল!”
জারাও সমস্বরে মাথা নাড়লো! তাগাদা দিয়ে আওড়ালো,
“আমিও কিন্তু যাবো তোমাদের সাথে!”
হতাশ শ্বাস ফেললো অফিসার! তবে নাছোড়বান্দা এরা সবাই! মাথা খারাপ করে দিলো ওর। যাবে যখন বলেছে, তখন যাবেই!
গাড়ি ইউটার্ন নিয়ে স্থুল স্বরে বললো,
“ফাইন! যদি যেতে চাও, তাহলে আমার কথাও শুনতে হবে তোমাদের! আর ভাবি–”
নড়েচড়ে বসলো আরশি।
“তোমাকে যেতে দিতে রাজি হয়েছি শুনলে যে তোমার বর আমার দফারফা বানাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই! তবুও দিচ্ছি কারণ–”
থামলো অফিসার। শ্বাস ফেললো অনিশ্চয়তার।
“আই হ্যাভ অ্য প্ল্যান!”
মিডটাউন সেভেন্থ এভিনিউ…
কাঁচ ও ধাতব কাঠামোয় আবৃত একটি আকাশচুম্বী ভবনের সামনে এসে দাঁড়ালো শেহজাদ। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সম্মুখের নীলাভ স্ফটিক। সুনসান বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টে ঢোকার মুখ।
তবুও দৃঢ় কদমে ভিতরে ঢুকলো প্রফেসর।শূণ্য গ্যারেজ এবং ম্যাকানিকাল ইউটিলিটির একটি নিস্তব্ধ রুম ছাড়া চোখে পড়লো না কিছুই। যেনো জনমানুষহীন গোটা
টাওয়ারটা!
অথচ কপালের চিন্তার ভাজের বদলে অধর বাঁকলো শেহজাদের। থমথমে গড়নে উপহাসের স্বর। থেমে থেমে আওড়ালো,
“হোয়াট অ্য প্যাথেটিক লুজার!”
হিডেন ক্যামেরায় ওর গতিবিধি নখদর্পনে ছিল একজনের। আদির। কথাটা শোনামাত্রই মুষ্টিবদ্ধ হাতটা সজোরে ফেললো ল্যাপটপের পাশে। পীবর কন্ঠে আওড়ালো,
“প্রফেসর! ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া! হোয়াট দিস প্যাথিটিক লুজার ক্যান ডু টু ইউ এন্ড ইয়র ফ্যামিলি!”
আনত মুখে দাঁড়ানো লোকগুলো কাঁপলো ত্রাশে। গতরগুলো টথস্ত পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায়। হুঙ্কার আসলো তখনই!
“লবিতে এসে লিফটে ওঠা মাত্রই বের হওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করবি তোরা! আজকের সন্ধ্যায় যেকোনো একজন বাঁচবে। হয় আমি; নয় তো শেহজাদ!”
ঠিক সেই সময় কেউ একজন পাশ হতে বলে উঠলো,
“বস! পেছন পেছন তো একটা মেয়েও এসেছে!”
দুহাত একত্র করে থুতনির নিচে আনলো আদি। ঠোঁটের বাঁকে ফুটলো সূক্ষ্ম হাসি।
মাস্কের আড়ালে ভ্রু নাচিয়ে বললো,
“দ্যায়ার কামস মাই ফিউচার ওয়াইফ!”
তেরো তলার পুরোটা জুড়েই রুফটপ। লিফটের যন্ত্রঘর আর ভেন্টিলেশন সিস্টেম ছাড়া তেমন কিছু নেই সেখানে। প্রফেসরের প্রতিটি কদম সতর্ক। চৌকস দৃষ্টি বহাল তবিয়তে রাজত্ব করলো মানুষ বিহীন ছাঁদের আনাচে-কানাচে। ছাঁদের ঠান্ডা বাতাসে এলোমেলো উড়লো ওর ঘন চুল।
“ওয়েলকাম প্রফেসর!”
পেছন থেকে আসা যান্ত্রিক শব্দে ঘুরে দাঁড়ালো শেহজাদ। ভ্রু বেঁকে এলো অমনি।
দ্য মাস্কম্যান…
কালো টি-শার্ট আর জিন্স পরিহিত একটা লোক। স্কেলিটন ট্যাটু করা বাইসেপস। আর সেই স্কেলিটন মাস্কের আড়ালে লুকোনো তার আসল মুখ।
যান্ত্রিক কন্ঠটা শুধোলো ইংরেজিতে,
“আরশি কোথায় প্রফেসর! আই গেইস, আমি তো তাকেও ইনভাইট করেছিলাম তোমার সা–”
‘সাথে’ আর বলা হলো না আদির। তার আগেই শেহজাদের এলোপাথাড়ি ঘুষিতে উড়ে গিয়ে পড়লো পিছনটায়।
প্রফেসর এগিয়ে এসে থাবা বসালো বুকে। টেনে তুলে ফের ছুড়ে মারলো ফ্লোরে। মাথার পিছন গিয়ে লাগলো পাইপের সাথে। ব্যথায় অচেতন অবস্থা। তবুও হাসলো আদি।
ঘনঘন শ্বাস ফেললো শেহজাদ। মুষ্টিবদ্ধ আঙুলের গাঁট ফ্যাকাসে হলো রক্ত সরে।
ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে আসলো ফের। মাথার চুল ধরে টেনে তুললো আদিকে। ধারালো চোয়াল মটমট শব্দ তুললো সহসা। হিসহিসিয়ে বললো,
“আমার ওয়াইফ এখানে আসবে, সেটা তুই ভাবলি কি করে?”
“ইজ দ্যাট সো?”
তৎক্ষনাৎ হাত দিয়ে কাউকে ইশারা করলো আদি। পিছনে ফিরলো প্রফেসর। কাকে ইশারা করেছে বুঝে ওঠার আগেই চক্ষু প্রকট ওর।
অবিশ্বাসের তোপে রুদ্ধ গলবিল।
শঙ্কায় শুকিয়ে এলো বুকের ভিতর।
অস্পষ্টে আওড়ালো,
“আরশি?”
মেয়েটার চোখ বাঁধা কালো কাপর দিয়ে। ছাঁদে ওঠার সিড়ির গেট থেকে ওকে ঠেলে নিয়ে আসলো দুজন লোক। মুখে স্কেলিটন মাস্ক। বিনম্র তাদের অবয়ব।
আরশির ঠোঁটের উপর স্কচটেপ। হাতদুটো বেঁধে রাখা হয়েছে পিছনে মুড়িয়ে। মোটা রশির দাগ পড়ে গেছে হয়তো সেখানে। কতক্ষণ ওরা আঁটকে রেখেছে ওকে?
কি করে হলো এসব?
ঝাঁপসা কন্ঠস্বর শেহজাদের। অসহায় হলো ক্রুদ্ধ চোখদুটো। সেই সুযোগে উঠে দাঁড়ালো আদি। আরশির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
“ওয়েল ওয়েল ওয়েল! প্রফেসর! তুমি না বললে তোমার ওয়াইফ আসবে না এখানে? কিন্তু দেখো! পাখি নিজে থেকেই এসে ধরা দিয়েছে আমার খাঁচায়!”
প্রফেসরের গলার রগগুলো দপদপ করলো রোষানলে। বিমূঢ় পা জোড়া এগিয়ে আসতে নিলেই চা*পাতি বের করলো আদি।
আরশির গলার নিচে ইস্পাতের ধারালো অংশটা লাগিয়ে বললো,
“উহু! একদম না! তুমি যে কয় পা আগাবে; সে কয়বার আমার চা*পাতি চলবে তোমার আরশির গলায়!”
থমকালো শেহজাদ। ততক্ষণে ওকেও ঘিরে ধরেছে আদির লোকগুলো। হুট করে পিছন থেকে হকি স্টিকের আঘাতও বসালো কেউ একজন। এসে লাগলো পিঠ বরাবর। কংক্রিটের ফ্লোরে মুখ থুবড়ে পড়লো মানুষটা।
তখনই চোখ থেকে কাপড়ের বাঁধনটা খুলে দেয়া হলো আরশির। দৃষ্টির সামনেটা অন্ধকার থেকে পরিষ্কার হতেই দেখলো
শেহজাদকে। উবু হয়ে পড়ে ওর সম্মুখে। মূহুর্তেই রক্তশূণ্য হলো মুখখানা।
ছটফট করলো ছুটে যেতে। কিন্তু পারলো না!
পাশে দাঁড়িয়ে আদি। হেসে উঠলো উৎকট শব্দে। প্রফেসর ঠিক যেভাবে ওর চুলগুলো টেনে ধরে ছিল, ঠিক সেইভাবে হাতটা উঠে এলো আরশির চুলগুলো টেনে ধরতে।
কিন্তু ছুঁতে পারার আগেই উঠে দাঁড়ালো শেহজাদ। ঠোঁট কেটে গেছে। র*ক্ত ঝরছে অনবরত সেখান থেকে। তবুও পরিশ্রান্ত চোখে চেয়ে থেমে থেমে আওড়ালো,
“ডু…নট…টাচ…মাই ওয়াইফ!”
“দ্যান বেগ ফর ইট! হাঁটু গেড়ে বসে ভিক্ষে চাও! ভিক্ষে চাও তোমার আরশিকে! কাম অন! ইউ ক্যান ডু ইট প্রফেসর!”
নে আদরে জড়িয়ে মন পর্ব ৩২ (২)
দাঁতে দাঁত পিষলো শেহজাদ। তার কঠোর অবয়ব। অটল সত্তা! নত হলো আদির সামনে। হাঁটু ভেঙে বসতেই
অলস পায়ে এগিয়ে এলো লোকটা। ধূর্ত হাসলো প্রফেসরকে দেখে।
পরপর সরিয়ে ফেললো নিজের স্কেলিটন মাস্ক। দাঁতের সাথে লাগানে ভয়েস মডিউলেটারটা টেনে খুলে নিজের আসল কন্ঠে বলে উঠলো,
“দ্যাটস্ লাইক মাই ব্রাদার-ইন-ল!
তোমার খেলা শেষ প্রফেসর! একবার শেষবারের মতো নিজের আদরের ওয়াইফকে দেখে নাও!”