পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৪৮

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৪৮
মম সাহা

কিছু তিক্ত অনুভূতি, রিক্ততা নিয়ে সপ্তাহ পেরুলো। মানুষ ব্যস্ত হয়ে গেলো নিজ নিজ বাস্তবতায়, ভুলে গেলো শোক। কেবল একজন সেই শোক নিজের অন্তঃস্থলে জিইয়ে রেখেছে। রোজ নিয়ম করে সে, সেই শোকে নিমজ্জিত হয়ে অশ্রু বিসর্জন দেয়। বাঁচিয়ে রাখে শোক নিজের আর্তনাদে।

ধরণীর বুকে এখন সময়টা প্রায় বিষন্ন বিকেল। দর্শিনী স্কুলের চাকরিটাতে জয়েন করেছে। আজ তিনদিন যাবত স্কুলে যাচ্ছে। সারাটা দিন সেখানেই পার হচ্ছে। আজও যথারীতি স্কুল শেষ হতেই সে বাড়ির দিকে পথ ধরলো। খুব ধীরে ধীরে পা চালালো। আর তো কয়েকটা দিন, তারপর তার সমস্ত অপ্রাপ্তিকে পূর্ণতা দিতে তার কোল জুড়ে নতুনের আবির্ভাব ঘটবে। এরপর আর দীর্ঘশ্বাসের পাল্লা তত ভারী হবে না। ভাবতে ভাবতেই মুচকি হাসলো দর্শিনী। তারও একটা নিজের কেউ হবে, যাকে আঁকড়ে ধরে নির্দ্বিধায় পাড় করা যাবে বাকি জীবন টা। হুট করেই দর্শিনীর মাথায় মায়ার ভাবনা খেলে গেলো। সেদিন মেয়েটার অপারেশন হওয়ার কথা ছিলো, এরপর তো আর কোনো খোঁজই নেওয়া হলো না মেয়েটার! ভীষণ বোকামি করে ফেলেছে ভেবে আফসোসের শ্বাস ফেললো দর্শিনী। ব্যাগ থেকে নিজের মুঠোফোন টা বের করলো। ডায়াল করলো কাঙ্খিত নাম্বারটি। দুই একবার রিং হতেই অপর পাশ থেকে ফোনটা রিসিভ হলো। দর্শিনী উৎকণ্ঠিত গলায় জিজ্ঞেস করলো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“কেমন আছো, মায়া?”
প্রশ্নের বিপরীতে অপর পাশ থেকে গমগমে পুরুষালী কণ্ঠ ভেসে এলো,
“দিদি,আমি হৈমন্ত। ভালো আছেন?”
আকষ্মিক হৈমন্তের কণ্ঠে থতমত খেয়ে গেলো দর্শিনী। মনের কোণায় জেগে উঠলো অনাকাঙ্খিত ভয়। মায়ার ফোন তো সবসময় মায়াই রিসিভ করে, তবে আজ কেনো নয়! মেয়েটার কি তাহলে কোনো বিপদ হলো! ভয়ে দর্শিনীর শরীর থেকে যেন উষ্ণ ভাব বের হচ্ছে। বিন্দু বিন্দু ঘাম উঁকি দিলো গলদেশে। কোনো মতে নিজেকে ধাতস্থ করে মিইয়ে যাওয়া স্বরে বললো,

“আমি ভালো আছি। মায়া কোথায়? সুস্থ আছে তো মেয়েটা? ওর অপারেশন কেমন হলো? সাকসেসফুলি হয়েছে তো?”
“হ্যাঁ, মায়ার অপারেশন ঠিকঠাক ভাবে হয়েছিলো। এখন ও সুস্থ। ঘুমাচ্ছে।”
হৈমন্তের উত্তরে শীতল হলো দর্শিনীর মস্তিষ্ক। স্বস্তির শ্বাস ফেলতেই হুট করে বিহুর কথা মনে পড়লো। কেমন আছে ওরা? মেয়েটা তো একটাবারও খোঁজ নিলো না! হৈমন্তের কাছে জিজ্ঞেস করবে কি করবে না ভাবতে ভাবতেই হৈমন্তের কথা ভেসে এলো,
“দিদি,আপনাকে একটা কথা বলার আছে।”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, বলো না।”

দর্শিনীর সাথে সাথে জবাব দেওয়ার পর অপর পাশে পিনপতন নীরবতা। হয়তো ছেলেটা গুছিয়ে নিচ্ছে যা বলবে সেটা। দর্শিনীও সময় দিলো তাকে। মিনিট দুয়েক পেরুতেই হৈমন্ত বললো,
“আমি মায়াকে নিয়ে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবো।”
সামান্য একটা বাক্য, কিন্তু দর্শিনীর কাছে ভীষণ অদ্ভুত শুনালো। বিষ্মিত কণ্ঠে সে বললো,
“কোথায় যাবে! আর কেনই বা চলে যাবে!”

“দিদি, আমার পরিবারের সবাই এ দেশ ছেড়ে অনেক আগেই চলে গেছে। মায়ার পরিবারের কেউ নেই। ওর দিদি মারা যাওয়ার পর পরই ওর মা মারা গেছে আর ওর বাবা ওর জন্মের আগেই মারা গেছেন। এই শহরে মায়া একা হয়ে যাবে বলেই আমি থেকে গেছি। আর এতদিন সে প্রতিশোধের নে*শায় ছিলো। আজ এ শহরে তার কিছুই অবশিষ্ট নেই যার টানে সে থাকবে। তাই, আমি ওকে নিয়ে চলে যাবো। সুন্দর একটা জীবন দিবো ওরে।”

হৈমন্তের কথা থামলো। বেরিয়ে এলো এক দীর্ঘশ্বাস। দর্শিনীও গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ঠিকই তো, মায়ার বয়সই বা কত? এতটুকু বয়সে মেয়েটা জীবনের যে নিষ্ঠুর বাস্তবতা সইয়েছে তা-ই বা কম কিসে? গোটা একটা জীবন ই মেয়েটার পরে আছে।
দর্শিনী ধীর কণ্ঠে শুধালো,

“বিহু আর মৈত্র ভাইয়ার কী হবে তাহলে? ওদের জানিয়েছো? ওদের জন্য তো তাহলে কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।”
দর্শিনীর কথা শুনে বেশ অবাক হলো হৈমন্ত। বিষ্মিত হয়েই সে বললো,
“বিহঙ্গিনী দিদি আর মৈত্রদা তো গত পরশুই শহর ছেড়েছেন। মৈত্রদাকে নিয়ে খুব দূরে কোথাও চলে যাবে সে। এই শহরে তার কেউ নেই, কি জন্য পড়ে থাকবে এখানে। সে জন্য ই তো চলে গেলো। আপনাকে বলে নি?”
হৈমন্তের কথায় অবাকের মাত্রা ছাড়ালো দর্শিনী। কণ্ঠের কথা কণ্ঠেই আটকে রইলো। বিহু শহর ছেড়ে চলে গেছে? কোথায় গেলো? দর্শিনীকেও জানালো না!

দর্শিনীকে নির্বাক থাকতে দেখে হৈমন্ত আবার প্রশ্ন ছুঁড়লো,
“বলে নি আপনাকে, তাই না?”
দর্শিনী অস্ফুটস্বরে জবাব দিলো,
“নাহ্!”
“হয়তো সেও অতীত পিছে ফেলে নতুন ভাবে জীবন কাটাতে চাচ্ছে। অতীতটা তো তার কাছে কেবল ঘৃণিত তাই না? দিদি, আপনাকে আরেকটা কথা বলার ছিলো।”
দর্শিনী যেন বিহুর ঘটনাটা মানতেই পারলো না। কেমন ঘোরে চলে গেলো সে। আনমনেই বললো,
“হ্যাঁ, বলো।”

হৈমন্ত আবারও নিরব রইলো। সময় নিয়ে বললো,
“এখান থেকে যেহেতু মায়াকে নিয়ে চলেই যাবো তাই এখানে মায়ার সব সম্পর্ক আমি শেষ করে দিয়ে যেতে চাই। আপনার সাথে আর মায়া যেন যোগাযোগ না করে বা আপনিও যেন না করেন সেটাই চাইবো।”
হৈমন্তের কথায় ধ্যান ভাঙলো দর্শিনীর। ঘোর কেটে গেলো হুড়মুড় করে। হৈমন্ত কি বুঝাতে চেয়েছে তার বুঝতে বাকি রইলো না। এমন কঠিন মুহূর্তেও দর্শিনীর হাসি এলো। খিলখিল করে হেসে বললো,

“মায়ার সাথে আমার এমন কোনো সম্পর্ক নেই যেটা তোমাকে শেষ করতে হবে। তবে তথাকথিত ভাবে, সমাজের মতে মায়া আমার সতীন। আর বর্তমানে সতীন সম্পর্কটাও নেই, তাহলে কোন সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলছো? যতটুকু আছে সম্পর্ক সেটা আত্মার, সে সম্পর্ক তো ছিন্ন করা যায়না। তবে হ্যাঁ আমি আর কখনোই মায়ার সাথে যোগাযোগ করবো না, অতীতকে পিছে ফেলে আমিও চলতে চাই। মায়া আমার অতীতের কালো অধ্যায়, সেটা নিয়ে আমিও হাঁটবো না। তবে ঐ শহরে মায়ার একটা সংসার আছে, ছিন্ন করার হলে সেটা ছিন্ন করো।”

দর্শিনীর হাসি হাসি কথার মাঝেও যে ঠাট্টার একটা করুণ সুর রয়েছে তা বুঝতে বাকি রইলো না হৈমন্ত। নিজেই লজ্জিত বোধ করলো এমন কথা বলার জন্য। নিজের অনুভূতি সামলে নিয়ে স্থির কণ্ঠে বললো,
“মায়ার এই সংসারের কোনো মূল্য নেই। স্ত্রী থাকা স্বত্তেও আরেকটা বিয়ের আইন সনাতনী ধর্মালম্বীদের আইনে নেই। সেই মতে এই বিয়েটা নিছকই ছেলেখেলা। আমি মায়ার সব পিছুটান পিছে ফেলেই যাবো।”
“আমি তবে আশীর্বাদ করলাম। চির জীবন এমন করে তুমি ভালোবেসে যাও।”

কথা শেষ করেই কলটা কেটে দিলো দর্শিনী। তপ্ত শ্বাসে ভারী হলো তার চারপাশ। মায়া মেয়েটাকে না চাইতেও সে কত কথাই বলেছে, অথচ মেয়েটার দোষ নেই। হয়তো মনের গোপনে মায়ার জন্য সে অভিশাপও পুষে ছিলো কিন্তু আজ আর কোনো অভিশাপ নেই। মেয়েটাকে আর দেখতে পাবে না ভেবেই বুক ভার হচ্ছে। মায়ার প্রতি অদৃষ্ট মায়া জন্মেছিলো হয়তো। সম্পর্ক গুলো কেমন ঘেটে ঘ হয়ে গেলো। এক কালের আত্মার সই বিহুকেও হারিয়ে ফেললো কেমন করে! হারিয়ে গেলো কত মানুষ, কত সুন্দর সন্ধ্যা! এখন তো কেবল মন ভার করা বিষাদ আর বিষন্নতা। জীবনের এই রঙ্গমঞ্চে কতই না পর আপন হয়, আপন থেকে হুট করে তারা অদৃশ্যে মিলিয়ে যায়। শুধু থেকে যায় স্মৃতিদের কলরব।

প্রকৃতি ধীরে ধীরে আঁধারে নিমজ্জিত হচ্ছে। দর্শিরীর হুট করেই মনে হলো তৃণা আর দৃষ্টান্তকে একটু দেখে যাওয়া যাক। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। হাঁটতে হাঁটতে শ্মশানের সামনে এসে পা থামালো দর্শিনী। চোখ দুটো তার বিষ্ময়ে বড় হলো। শ্মশানে আগরবাতি, মোমবাতি দেখাচ্ছে ছোট বৌদি। পড়নে তার লাল টুকটুকে সুতির কাপড়। পায়ে দেখি আলতাও দিয়েছে! নূপুরের রিমঝিম শব্দ কেমন গা কাঁপিয়ে দিলো!

দর্শিনী তাকিয়ে রইলো সে দিকে কেবল। নিপা মোমবাতি টা হাত থেকে নামিয়ে বসে পড়লো। কতক্ষণ মাটির মাঝে হাত বুলালো। ক্ষণে ক্ষণে মেয়েটার শরীরও কেঁপে উঠলো। মেয়েটা কি কাঁদছে! গুনগুনিয়ে কবিতা তো রটছে। কাঁপা কাঁপা ভেজা কণ্ঠে মনের সকল বিষাদ উজাড় করে দিয়ে বললো,
“কাফনের কাপড় গায়ে, মোর প্রেম নিলো বিদায়
প্রেমিক মোর বিচ্ছেদ বিরহে পড়িয়া রইলো হায়,
ওহে প্রেম কি অনল তোমার!
মৃ*ত্যু দেও দু’হাতে
তবুও কোনো মানুষ তোমায় নিয়ে
এমন উন্মাদনায় মাতে?”

ইদানীং গ্রামে কারেন্ট থাকে না। রাত হলেই দুনিয়া আঁধার করে বিদায় নেয় এই কৃত্রিম আলো। এইতো, এখনো বিদ্যুৎ নেই। মানুষ হাতপাখা নিয়ে যার যার উঠোনে বসে আছে। দর্শিনীর বাড়ির সবাইও উঠোনে বসা। ধৃষ্ট পাড়ার ছেলেমেয়েদের সাথে ছুটোছুটি করছে। নিধি বার কয়েক ধমক দিয়ে চুপ করে আছে। সুমন অবশ্য এখনো বাজারে। প্রদীপ উঠোনের মাচার উপর শুয়ে আছে। নিপা বারান্দার উপর জলচৌকিতে বসে আছে। দর্শিনী নিজের বাবার সাথে উঠোনে মাদুর পেতে বসেছে। সরলা রান্নাঘরে টুকটাক কাজ সেরে নিচ্ছে। ওদের অবশ্য হারিকেন ঘরেই জ্বলছে। বাহিরে বেশ জোৎস্নার আলো আছে বিধায় হারিকেন বাহিরে আনা হয় নি।

ইদানীং প্রতাপ সাহা বেশ চুপচাপ থাকে। কি যেন মনে মনে ভাবে কেবল। দর্শিনী নিজের বাবাকে বেশ কয়েকদিন খেয়াল করছে। লোকটা কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে। হুট করে এমন বদলের কারণ কি! আজ যেহেতু বাবা-মেয়ে একসাথে বসেছে তাই সুযোগ বুঝেই দর্শিনী প্রশ্ন ছুঁড়লো,
“বাবা, তুমি কী কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত?”
প্রতাপ সাহা এখনো ধ্যানে মগ্ন ছিলো। মেয়ের কথায় ধ্যানে বিঘ্ন ঘটলো। কতক্ষণ মেয়ের দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে বললো,

“না মা, আমার আবার কিসের চিন্তা! ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেলে, বাবা-মায়ের চিন্তা ফুরোয়।”
দর্শিনী হাসলো। বাবার ডান হাতটা জড়িয়ে ধরে বললো,
“তাহলে তুমি এমন চুপচাপ থাকো কেনো বাবা?”
প্রতাপ সাহা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। সবার দিকে তাকিয়ে গলা পরিষ্কার করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হুট করেই বলে উঠে,

“আমার জায়গা জমি আমি তোমাদের মাঝে ভাগ করে দিতে চাই। জায়গাজমির অর্ধেক ভাগ আমার দুই ছেলে পাবে আর অর্ধেকটা আমি আমার মেয়ের ঘরের নাতিকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।”
এই নিস্তব্ধ পরিবেশে প্রতাপ সাহার কথা যেন বেশ গম্ভীর শুনালো। হুট করে এমন একটা প্রস্তাব যেন কেউই আশা করে নি। যেই না দর্শিনী কিছু বলতে যাবে, তখনই হুড়মুড় করে তাদের বাড়ির উঠোনো মৃত্যুঞ্জয় হাজির হয়। কেমন উসকোখুসকো লাগছে লোকটাকে!

মৃত্যুঞ্জয় বাড়িতে ঢুকেই সবার দিকে একবার তাকালো। প্রতাপ সাহা অবাক কণ্ঠে বললো,
“শহরে না গিয়েছিলে? কখন আসলে বাবা?”
“এইতো একটু আগে।”
দর্শিনী মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। লোকটাকে কেমন উদ্ভট লাগছে। কিছু কি হলো!
দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে হুট করেই মৃত্যুঞ্জয় বললো,
“আগামীকাল বিকেলে আমার ফ্লাইট, দর্শিনী।”

দর্শিনী এমন একটা কথা যেন এখনই আশা করে নি। হুট করে মৃত্যুঞ্জয় এ খবরটাই দিতে এলো! দর্শিনীর হাসি এলো, তাচ্ছিল্যের হাসি। প্রথম প্রথম সে সবার কাছে প্রিয়-দর্শিনী থাকে, কিন্তু যখন তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় হয় মানুষের, তখন প্রিয় দর্শিনী থেকে কেবল দর্শিনী হয়ে যায়। কি অদ্ভুত! ছেড়েই যদি যেতে হয় তবে জীবনে আসার কি দরকার!
দখিণা বাতাসে বাতাবি লেবুর ঘ্রাণ ভেসে আসে রাতের বৈরী বাতাসে। টিনের চালে এক নাগাড়ে ডাকতে থাকা কানাকুয়ো। অকল্যাণের সুর। তবে কী আরেকটা বিচ্ছেদের গল্প লিখলো এই রজনী?

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৪৭

[গতপর্বের তৃণা আর দৃষ্টান্তের মৃ*ত্যুর ঘটনাকে অনেকেই বলছে আমি নাকি আত্ম*হত্যাকে প্রমোট করেছি। এটা নিত্যান্তই আপনাদের ভুল ধারণা। যেহেতু উপন্যাস টা সামজিক ক্যাটাগরির তাই বাস্তবে কি ঘটে তাই প্রকাশ করেছি। আত্ম*হত্যা কখনোই সঠিক পথ নয়। তাই এমন একটা জিনিসকে আমি কখনো সাপোর্ট করবো না।ধন্যবাদ।]

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৪৯