পাতা বাহার পর্ব ৩৪

পাতা বাহার পর্ব ৩৪
বেলা শেখ 

সকাল বেলা। সূর্যিমামা উঁকি দিয়ে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করতে ব্যস্ত। ভোররাতে ধুমছে বৃষ্টি হয়েছে। একেবারে মুষলধারায় ঝমঝমিয়ে। রাস্তাঘাট, গাছপালা সব বৃষ্টির পানিতে ভিজে আছে। জায়গা জায়গায় পানি জমে আছে। সূর্যের আলোয় সেই পানি ঝলকে উঠছে। গাছের পাতার উপর বৃষ্টির ছিটেফোঁটায় সেই আলো পড়ে যেন রামধনুর দ্যুতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাখির কিচিরমিচির কলতানে মুখরিত বৃষ্টি ভেজা সকাল। সাথে ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক। সরকার বাড়ির পুকুর থেকে ভেসে আসছে সেই ব্যাঙের ডাক। পাতা ঘুম টা ভেঙে যায়। আস্তে ধীরে চোখ খুলে হামি তোলে। তারপর শান্ত হয়ে শূন্যে চেয়ে থাকে। ব্যাপারটা কি!

আজ নাক উঁচু ম্যানারলেস লোকটা ডাকার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো? লোকটি কি এখনো ফেরেনি? ভাবনার মাঝেই খেয়াল হয় তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে একটু একটু! কেন? পেটের উপর ভারি কিছু অনুভব হয়। ভাবনাতেই গা কেঁপে ওঠে। মন মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে কিছু। বক্ষস্থল ধ্বক করে ওঠে। লোকটা তার পাশেই ঘুমিয়ে আছে। আর তার একটা হাত পাতার উদরে ; বৃদ্ধাঙ্গুল নাভিকুন্ডে! বাকি আঙ্গুল!! পাতার কান ও কপোল জোড়া গরম হয়ে ওঠে। এসি রূমের ঠান্ডা পরিবেশেও পাতার মরুভূমির রূপ গরম লাগে। পাতা আস্তে ধীরে হাতটা ধরে সরিয়ে দিলো। কম্ফোর্ট সরিয়ে ঝটপট উঠে দৌড়ে ওয়াশরুম চলে যায়। গিয়েই হাঁপাতে থাকে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

লোকটা তো আচ্ছা বজ্জাত! পাতা ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। গায়ে এলোমেলো শাড়ি সাথে এলোমেলো চুল। সে প্রত্যেকবার চুল ঝুটি করে ঘুমায় অথচ সকালে উঠে চুল খোলা থাকে। পাতা জানে এটা ওই নাক উঁচু ম্যানারলেস বজ্জাত লোকটার কাজ! পাতার অধর জুড়ে লজ্জালু হাসি। কপোল জোড়া গরম হয়ে লালিমায় ছেয়ে আছে। আশ্চর্য! পাতু তুই ব্লাশ করছিস? বলেই ঢং করে দু হাতে মুখ ঢাকে। আঙুলের ফাঁকে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে। হাত সরিয়ে আঁচল ফেলে দিয়ে নিজেকে দেখতে থাকে। হঠাৎ নজরে আসে গলার বেশ খানিকটা নিচে কিছু দাগ। পাতা ব্লাউজের গলাটা টেনে আরেকটু নিচে নামায়।বেশ কিছু জায়গায় নীলচে কালসিটে দাগ।‌আগে তো ছিলো না? পাতা আঙ্গুল দিয়ে ছুঁয়ে দেয়। হালকা ব্যাথাও করছে। মনে হচ্ছে কামড়ের দাগ! কে কামড় দিলো? পাতার আঁখি যুগলের আকার বড় হয় ধীরে ধীরে।

ভোর পিটপিট করে চোখ খুলে। দুই হাতে চোখ ডলতে থাকে, হঠাৎ বাবার কথা মনে পড়ায় আশে পাশে তাকায়। আব্বু কোথায়? আসে নি রাতে? ভাবতেই কান্না পায়। সে উঠে বসলে দেখতে পায় বাবা ঘুমিয়ে আছে। ভোরের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। সে বাবাকে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে পেটের উপর বসলো। গালে হাত বুলিয়ে মিষ্টি করে ডাকলো! অরুণ ঘুমের ঘোরেই হুম বলে। ভোর হেসে বাবার ঠোঁটে চুমু খায়। গালে, কপালে চুমু দিয়ে নাকে শক্ত করে কামড় বসিয়ে দেয়। অরুণ মুখশ্রী বিকৃতি করে চোখ খুলে। ভোর খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। সেই প্রাণখোলা মিষ্টি হাসির ফোয়ারা অরুণ শান্ত চোখে দেখে। ইশ! আজকের সকালটা এতো মিষ্টি কেন? অরুণ ভোরকে বুকে টেনে গালে মুখে আদর করে পেটে দাড়িযুক্ত মুখ ঘঁষে দেয়। ভোর কুঁকড়ে যায়, সাথে হেসে কুটিকুটি। অরুণ থামে, বালিশে মাথা এলিয়ে দিল। মাথাটা বেশ ধরেছে। যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাবার উপক্রম। সে ফজর ওয়াক্তে উঠেছিল কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছিল দেখে বাড়িতেই নামাজ পড়ে গা এলিয়ে দিয়েছিল! ভোর বাবার মুখের সামনে মুখ এনে জিজ্ঞেস করলো,

-” আব্বু তুমি কখন এসেছ?”
-” রাতেই কলিজা! কাজ ছিল অনেক তাই দেড়ি হয়েছে!”
-” আব্বু তোমার কি মাথা ব্যাথা করছে?”
বাবার কপালে হাত রেখে বলল ভোর। বাবা রাতে দেড়ি করে ফিরলেই তার মাথা ব্যাথা করে। চোখ মুখ ফুলে যায়। অরুণ মাথা নাড়ল। ভোর বাবার কপালে বেশ কয়েকটা চুমু দিলো। বিছানা থেকে নেমে ড্রেসিন টেবিলের উপর রাখা মুভ এনে হাতের আঙ্গুলে অল্প নিল। অরুণের কপালে ভালোভাবে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে শুরু করলো ছোট হাতজোড়ার সাহায্যে। অরুণের চোখ ছলছল করলো কি খানিকটা?
অরুণ চোখ বুজে ছেলের আদরমাখা যত্নটা লুফে নিলো প্রতিবারের মতো। ভোর চিন্তিত মুখে কপালে ম্যাসাজ করে। আব্বুর নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হচ্ছে! ভোর হুজুরের শেখানো সূরা ফাতিহা পাঠ করে অরুণের কপালে ফুঁ দিয়ে বিড়বিড় করে বলল,

-“আল্লাহ তুমি আব্বুর মাথা ব্যাথা জলদি সারিয়ে দাও!”
অরুণের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। চোখ খুললেই কার্নিশ বেয়ে একফোঁটা নোনাজল গড়িয়ে পড়ে। ভোর সেটা দেখে কাঁদো কাঁদো গলায় বাবার বাহু টেনে বলল,
-” আব্বু অনেক কষ্ট হচ্ছে? তুমি এখনি ডাক্তার দাদুর কাছে চলো? চলো?”
বলেই নাক টানে। এক্ষুনি কেঁদে দেবে। অরুণ উঠে বসে। ছোট হাতজোড়ায় বেশ কয়েকটা চুমু খায়! ছেলেকে কোলে বসিয়ে গালে ঠোঁট চেপে বলল,
-” আমার কলিজা! মানিক সোনা! ম্যাসাজ করে দিলো, সূরা পড়ে দোয়া করলো এখনো ব্যাথা থাকবে? একদম গায়েব হয়ে গেছে!!”

-” মিথ্যে বলছো না তো?”
-” একদম না মানিক!”
এরইমধ্যে পাতা বেরিয়ে আসে ওয়াশ রুম থেকে।‌ অরুণকে দেখে গলাটা শুকিয়ে গেলো যেন! কান ও গাল দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে মনে হয়! অরুণের হাতের দিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে ‌। তবে বাবা ছেলেকে ওভাবে বসে থাকতে দেখে আমতা আমতা করে বলল,
-” কি হয়েছে?”
ভোর কিছু বলে না। বাবার গলা জড়িয়ে চুপটি করে থাকে। অরুণ গম্ভীর গলায় বলল,
-” কি হবে?”

পাতার আচ্ছা ভালো মুড টাই টুস করে ফ্লোরে পড়ে গড়াগড়ি খায়। শালার জামাই! মুখে একটুও রসকস নেই। এভাবে কেউ কথা বলে? মনে হয় ঝাড়ি দিচ্ছে! পাতা গাল ফুলিয়ে ভোরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-” ভোর? আসো ব্রাশ করিয়ে দিই! স্কুলে যেতে হবে তো! সারে আটটা বাজে!”
অরুণ ভোরকে নামিয়ে দিলো। সারে আটটা বেজে গেছে!! সে তড়িঘড়ি করে টি শার্ট গায়ে জড়িয়ে রুমের বাইরে পা বাড়ায়। আরিয়ানের সাথে কথা বলতে হবে! সাথে অফিসেও যেতে হবে জলদি! ভোর পাতার কাছে যায়। আর পাতার ফুলো গাল আরেকটু ফুলে যায়।

ড্রয়িং রুমে বসে খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছেন আসমা বেগম। আরিয়ান ছেলের মুখে ফিটার দিয়ে নিজেও চোখ বুলাচ্ছে খবরের কাগজে। রুবি ঘরে আনিকাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকছে। মিনু সকালের রান্নায় ব্যস্ত। আভারি বাগানে। আজ মালি এসেছে বাগান পরিচর্যা করতে। তাকেই সাহায্য করছে। অরুণ ড্রয়িং রুমে এসেই আরিয়ানের পাশে বসে রূপকে কোলে নিলো। আরিয়ানে হাত থেকে ফিটার নিয়ে ভালোভাবে মুখে পুরে দিলো। রূপ ফোকলা দাঁতে ফেসে ফিটার টানতে লাগলো। আরিয়ান যেন মুক্ত স্বাধীন! আহা! বাচ্চা বউ লালন পালন করা এতোটা কষ্টের আগে জানলে চির কুমার থেকে যেতো! কোনো কিছুতেই শান্তি নেই। অরুণ সময় নেয় না। আরিয়ানকে বলল,
-” একটা ঝামেলায় পড়েছি! তোর ফেভার চাই!”
আরিয়ান ভ্রু উঁচিয়ে চায়।

-” ওহ্! তাই তো বলি তুই আজ হঠাৎ সকাল সকাল আমাদের আড্ডায়!”
-” এমনভাবে বলছিস যেন বসি না তোদের সাথে! সে বাদ দে সময় নেই আমার! ঝামেলায় আছি! সাহায্য করবি করবি কিনা বল? নইলে আমারো অ্যাডভোকেটের অভাব নেই!”
আরিয়ান গম্ভীর মুখে বলল,
-” তুই সৎ ভাবতে পারিস! আমি আপনই ভাবি!”
অরুণ গম্ভীর মুখে বলল,
-” সৎ? সেটা তো কথায় কথায় তুই ই মনে করিয়ে দিস! এখনও সেটাই করলি!”
-” ঝামেলা কি সেটা বল? মারামারি?”

-” নাহ্! নতুন ক্লায়েন্ট! নাম আশরাফুল আলম। উত্তরায় বড় শো রুম আছে জুয়েলারির। বেশ কিছু কালেকশন অর্ডার করেছিলো! আমি সব কিছু পরখ করেই ডেলিভারী করেছি তামিমকে দিয়ে। কাল দুপুরে ডেলিভারী দিয়েছে! সব ঠিকঠাক! বিকেলে হঠাৎ ফোন করে বলল চার জোড়া এয়ারিং নকল! এই নিয়ে অনেক কাহিনী! আমি গিয়ে দেখেছি রিং গুলোর ডিজাইন একই শুধু ওগুলো নকল! সবাই তামিমের দিকে আঙুল তুলছে। বেচারা কেঁদে অস্থির; বলছে সে এসবের কিছুই জানে না।‌যেমন আমি দিয়েছি তেমনি ডেলিভারী করেছে। আর আজ কি সে নতুন ডেলিভারি দিচ্ছে? দশবছর হবে কাজ করছে। বিশ্বস্তই! আমি দেখলাম যা হবার হয়েছে মি. আলমের সঙ্গে কথা বলে এক্সচেঞ্জ করে মিটমিট করে নি। লস গেলে কি করার! কিন্তু লোকটা আরেক জোচ্চর! সে মিটমাটে আসবে না। তার কোন শালা নাকি কমিশনার! কেস করবে কম্পানির নামে! হুমকিও দিয়েছে!! ওর হুমকিতে আমি অরুণ সরকার ভয় পাই না! বাট ইমেজের একটা ব্যাপার আছে। এতো বছরের ব্যবসা! সবাই চোরের তকমা না লাগায়!”

আরিয়ান সব মনোযোগ দিয়ে শোনে। আসমা বেগম খবরের কাগজ রেখে ওদের দিকেই চেয়ে চিন্তিত ভঙ্গিতে! ততক্ষণে রুবিও আলোচনায় হাজির! আরিয়ান কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,
-” আই থিংক! তামিম ইনোসেন্ট! এতো বছর ধরে কাজ করে কখনো এদিক সেদিক হয় নি!আর যেখানে এটা নরমাল ব্যাপার যে কোনো এদিক সেদিক হলেই তামিমের উপর আঙুল উঠবে! সো সে এরকম বোকামি করবে না! আর নকল গয়না বানানোর জন্য ডিজাইন জানতে হবে! মনে হচ্ছে সামথিং ইজ ফিসি ! মি. আলম ফাঁসানোর জন্য এমন করে নিতো? হতেও পারে! ওর সাথে আমাদের কম্পানির কোনো লিঙ্ক?”
অরুণ চিন্তায় পড়ে।

-” আপাদত মনে হচ্ছে না। তবে খোঁজ লাগাই! তুই আজ কোর্টে যাচ্ছিস না! আমার সাথে যাচ্ছিস! জলদি রেডি হয়ে নে!”
আরিয়ানের কপালে ভাঁজ পড়লো!
-” কোথায় যাচ্ছি?”
-” গেলেই দেখতে পাবি! ফাস্ট রেডি হয়ে নি!”

বলে রূপকে রুবির কাছে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। ঘরে ঢুকে দেখল পাতা ভোরের হাত মুখে লোশন মাখিয়ে দিচ্ছে। অরুণ কিছু বলল না। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল। পাতা আড়চোখে দেখলো সবটা! এর আবার কি হলো? রাত থেকেই কেমন অদ্ভুত বিহেব করছে! পাতা ভোরকে স্কুল ড্রেস পড়িয়ে দিলো! সম্পূর্ণই রেডি শুধু টাই বাঁধা বাকি! পাতা কয়েকবার চেষ্টা করে পারেনা। মিনিট পাঁচেক বাদে অরুণ বেড়িয়ে আসে। গোসল করেনি শুধু চেঞ্জ করেছে। এসে চুপচাপ গম্ভীর মুখে ছেলের টাই বেঁধে দিলো!

নিজেও সাদা শার্টটা গায়ে জড়িয়ে, কালো শু পড়ে! আয়নার সামনে দাঁড়ালো! তারপর বেল্ট পড়ে শার্ট ইন করে চুল সেট করলো! পারফিউমও লাগিয়ে নিলো। পাতা হা করে তাকিয়ে অরুণের দিকে। এরকম হিরো বেশে কোথায় যাবে? সাদা শার্ট ও কালো জিন্সে পুরাই জোস লাগছে লোকটাকে; যদিও কানের পিঠের কিছু কিছু পাকা চুল উঁকি দিচ্ছে! তবুও লোকটাকে হেব্বি লাগছে! টপাটপ কয়েকটা চুমু খেতে ইচ্ছে করছে। পাতা কয়েকদফা ক্রাশ খেয়ে ফেললো! কিন্তু এভাবে রাস্তায় বেরোলে তো সবাই পাতার জামাইকে চোখ দিয়েই গিলে খাবে! পাতার আরেকটা ইচ্ছে হয়! রূপের মতো লোকটার কপালের এক পাশে কালো নজরকাড়া টিপ পড়িয়ে দিতে। যেন কোন বদ মেয়েদের নজর না লাগে!
অরুণ হাতে ঘড়ি পড়ে ছেলের সামনে যায়! কোলে তুলে আদর করে বলল,

-” কলিজা রঞ্জু তোমাদের নিয়ে যাবে স্কুলে! আমার একটা দরকারি কাজ আছে।‌ব্যস্ত থাকবো সারাদিন! ফিরতেও দেড়ি হতে পারে! সাবধানে থাকবে। আব্বু! মোটেও ছোটাছুটি করবে না। দুষ্টুমি তো নয়ই! আম্মুর সাথে সাথে থাকবে। তার কথার অবাধ্য হবে না। ঠিকাছে মানিক সোনা?”

ভোরের মন খারাপ হলেও মাথা নাড়ে। অরুণ আবার ছেলেকে আদরে ভরিয়ে তোলে। কপালে চুমু দিয়ে বিছানায় নামিয়ে দিলো! পাতার মনটা খারাপ হয়ে যায়। লোকটা কোথায় ব্যস্ত থাকবে? কখন আসবে? গত দিনের মতো রাত করে আসবে? অরুণ পাতার দিকে তাকিয়ে ড্রেসিন টেবিল থেকে মোবাইল পকেটে পুরে পাতার গাল জোড়ায় হাত রেখে কপালে চুমু খায় ঠোঁট চেপে! পাতার গোমড়া মুখে হাসি ফুটে উঠলো সাথে সাথেই! অরুণ সরে আসে কালো ফ্রেমের চশমাটা চোখে দিয়ে বলল,

পাতা বাহার পর্ব ৩৩

-” সাবধানে থাকবে!আসছি পাতাবাহার! আসছি আব্বু!”
বলেই চলে যায় অরুণ! পাতা ভোর গোমড়া মুখে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

পাতা বাহার পর্ব ৩৪(২)