পারমিতা পর্ব ৫৭

পারমিতা পর্ব ৫৭
Nabila Ahmed

ফাহমিদা ভেবেছিলো আবরার রাগের বশে সেদিনের কথাগুলো বলেছিলো। কিন্তু ফাহমিদার ভুল ভাঙ্গলো পরের দিন বিকালে। আবরার সত্যি সত্যি ফাহমিদার বাসায় গিয়ে হাজির হয়। বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে ফাহমিদার কোনো এনগেজমেন্ট হয়নি। সবটাই মিথ্যে বলেছিলো ফাহমিদা। আবরারের সাথে কথা বার্তা বলে ফাহমিদার পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ার কোনো কারণ খুজে পায়নি।
শিক্ষিত, দেখতে সুদর্শন, বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করা এবং মেয়ের পছন্দ ভেবে রাজি হয়ে যায় ফাহমিদার পরিবার। আবরার তার পরিবার নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই হাজির হবে জানিয়েছে। কিন্তু আর দশটা বাঙালি পরিবারের মতোই ফাহমিদার পরিবারও মেয়ের প্রেমটা ভালোভাবে নেয়নি। আবরার বাসা থেকে বেরিয়ে যেতেই ফাহমিদার মা মেয়ের গালে দুটো চড় বসায়। আবরারের প্রতি ফাহমিদার রাগ যেন আরও হাজারগুন বেড়ে যায়।

মিতাকে নিয়ে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিয়ে এসেছে অরিয়ন। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে কোনোরকম ঘাটতি রাখতে চায় না অরিয়ন।
–আবরার আর তোর বান্ধুবীর ঘটনাটা জানতি তুই?
পিছন থেকে মিতাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করে অরিয়ন।
–কখনোই না। আমি তো কল্পনাও করতে পারি নি ওদের মধ্যে এসব হবে।
–নাটের গুরু তো তুই নিজেই।
–এঁ্যাহ? আমি কীভাবে? আমি কী বলেছিলাম তোরা প্রেম কর?
মুখ ভেংচি কেটে বলে মিতা।
–বলতে হবে কেন! একটা ছেলে মেয়ে একান্তে সময় কাটালে তাদের মধ্যে অনুভূতি আসবেই। এটা তো স্বাভাবিক। ওহ, তুই কীভাবে জানবি তুই তো ছোট বাচ্চা।
ব্যঙ্গ করে বলে অরিয়ন।
–কীহ? আমি ছোট বাচ্চা?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অরিয়নকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে দাঁড়ায় মিতা। নিজের কোমরে দুই হাত রাতে।
অরিয়ন মিতার প্রশ্নে শুধু মাথা নাড়ালো। এতে যেন মিতার রাগ আরও বেড়ে গেল।
–আমি… আমি ছোট বাচ্চা হলে…তোমাকে জেলে দেওয়া উচিৎ । ছোট বাচ্চা বিয়ে করেছো তাই।
রাগ করে বলে মিতা।
–আহারেএ, বাচ্চাটা রেগে গেছে।
মিতাকে আবারও জড়িয়ে ধরে অরিয়ন।
–বাচ্চাটার রাগ ভাঙ্গাতে হবে এখন। আসো রাগ ভাঙ্গাই।
মিতার ঠোঁটে হঠাৎ করেই চুমু দিয়ে বলে অরিয়ন।
মিতা মুখ ভেংচি কেটে অন্যদিকে মুখ সরায়।

আবরার দু দিনের মধ্যেই তার পরিবারকে সব জানিয়েছে। ছেলের পছন্দ ভেবে হাবিব চৌধুরী ও আনিকা চৌধুরীও রাজি হয়ে গিয়েছে। আগামী কালই ফাহমিদার পরিবারের সাথে দেখা করতে যাবে সবাই। সব ঠিক থাকলে একটা দিনক্ষণ দিয়ে আসবে।
এদিয়ে মায়া চৌধুরী আর ওয়াহিদ চৌধুরী চৌধুরী মেনশনের সবাইকে আজ দাওয়াত করেছে। রাতের খাবার আজ সেখানেই খেতে হবে। সকলেই রেডি হয়ে নিয়েছে। একটু পরেই বের হয়ে যাবে।
রাতের খাবার শেষ করে সবাই এক সাথে ড্রয়িং রুমে বসে আছে। কাজের লোক একটু পরেই সবার জন্য চা নিয়ে আসে। মায়া চৌধুরী সবার হাতে চায়ের কাপ তুলে দেয়।
–আপনাদের একটা কথা বলতেই আজ এখানে আনা।
নিজের জায়গায় বসে বলে মায়া চৌধুরী।
–কি কথা?
প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
–আফরিনের জন্য একটা ছেলে দেখেছি।
বলে ওয়াহিদ চৌধুরী।

ওয়াহিদ চৌধুরীর কথা শুনতেই অবাক হয় মিতা। আফরিনের দিকে কৌতুহল নিয়ে তাকায়। আফরিন আহামরি উৎসুক নয় তবে বিয়ের জন্য রেডি নয় তেমন ও না। সবটা ধীরে ধীরে মেনে নিচ্ছে আফরিন তা বুঝাই যাচ্ছে।
আফরিন আর মিতার চোখাচোখি হতেই দুজনে আলতো এক হাসি দেয়।
–ছেলে?
প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
–হ্যাঁ। ওয়াহিদের ব্যবসায় পার্টনারের ছেলে। ছেলে খুবি ভালো, দেখতে শুনতেও সুন্দর। আর…
–কিন্তু? আফরিনের…
মায়া চৌধুরী কথা শেষ করার আগেই বলে উঠে আনিকা চৌধুরী। আনিকা চৌধুরীর কণ্ঠে আফরিনের জন্য স্নেহ প্রকাশ পাচ্ছে।
–আফরিন সম্পর্কে সবটাই জানে। আর ছেলের এতে কোনো সমস্যা নেই। ছেলে বিশ্বাস করে সবটাই একটা দুর্ঘটনা। এখানে কাউকে দোষারোপ করার মতো কিছু নেই।
মৃদু এক হাসি দিয়ে বলে মায়া চৌধুরী।
–আমাকে ছেলে আর ছেলের বাবার নাম বলো। আমি আবারও খোঁজ নিয়ে দেখবো।
বলে অরিয়ন।

–আচ্ছা বলবো। তবে ছেলেদের এতো তাড়াহুড়ো নেই। ওদের সম্পর্কে সব খোঁজ খবর নিয়েই আগাতে বলেছে।
ওয়াহিদ চৌধুরী বলে।
–তোমার কি মতামত আফরিন? তুমি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? আমরা চাই না তুমি ভাবো যে, আমরা তোমাকে বোঝা হিসেবে দেখছি।
আফরিনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে হাবিব চৌধুরী।
সকলেই অধীর আগ্রহ নিয়ে আফরিনের উত্তরের আশায় অপেক্ষা করতে লাগলো।
–আমার কোনো সমস্যা নেই। তোমরা যা ভালো ভাবো তাই করতে পারো।
উত্তর দেয় আফরিন।
আফরিনের জবাবে সবাই খুশি হয়।
–তাহলে আমরা খোজ খবর নেওয়া শুরু করি।
বলে হাবিব চৌধুরী।
–হ্যাঁ।
হাসি দিয়ে বলে ওয়াহিদ চৌধুরী।

–আফরিন ভালো কাউকে ডির্সাভ করে। আশা করি ওর কপালে ভালোটাই থাকবে।
বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় বলে অরিয়ন।
মিতা কাউচে বসে নিজের শরীরে লোশন লাগাচ্ছে।
–হ্যাঁ। সব থেকে ভালোটা ডির্সাভ করে আমার আপু। যার কপালে যাবে তার জীবনটা পালটে যাবে।
অরিয়নের সাথে সায় মিলায় মিতা।
–আফরিনের জন্য সব সময় একটা সম্মানবোধ কাজ করে। আবার আমার সব থেকে কাছের বন্ধুও বলতে পারিস। তাই নিজে থেকেই ছেলের খোঁজ নেওয়ার কথাটা বলেছি।
সিলিংয়ের দিয়ে তাকিয়ে বলে অরিয়ন।
মিতা কিছু বললো না।
–তুই আবার ভাবিস না যে,ওর জন্য আমার কোনো অনুভূতি অবশিষ্ট আছে এখনো।
হুট করেই বলে অরিয়ন।
অরিয়নের কথা শুনে মিতা কাউচ থেকে উঠে অরিয়নের পাশে গিয়ে বসে।

–আমি তোমাকে আর আমার আপুকে ভালো করেই চিনি। তোমরা কেমন তা আমার থেকে কেউ ভালো জানেনা, রিয়ন। তাই এমনটা ভাবাও আমার জন্য পাপ।
অরিয়নের হাতের উপর নিজের হাত রেখে বলে মিতা।
মিতার কথা শুনে অরিয়নের ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটে। শোয়া থেকে উঠে বসে অরিয়ন।
–আমি জানিনা কি ভালো কাজের বিনিময়ে উনি আমাকে তোকে দিয়েছে। তবে এতোটুকু মনে রাখ, আমি কখনোই তোকে কষ্ট দিবো না। কখনোই তোকে ধোঁকা দিবো না।
নিজের হাত দিয়ে মিতার গাল স্পর্শ করে বলে অরিয়ন।
–আই নো।

হাসি দিয়ে বলে মিতা।
অরিয়ন মিতার দিকে তাকিয়ে থেকেই ধীরে ধীরে নিজের মুখ মিতার দিকে এগিয়ে নেয়। মিতার কাছাকাছি মুখ আসতেই চোখ বন্ধ করে নেয় অরিয়ন। মিতার নিশ্বাস এখন অরিয়নও অনুভব করতে পারছে। অরিয়নের ঠোঁট মিতার ঠোঁট স্পর্শ করার আগেই অরিয়নকে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় মিতা। চোখ খুলে তাকায় অরিয়ন।
–ছোট বাচ্চাদের সাথে এসব করতে নেই তা জানেনা না? দাদা।
হাসতে হাসতে বলে মিতা।
–তোকে তো…
কথাটা বলেই মিতাকে জাপটে ধরে অরিয়ন।
কাতুকুতু দিতে থাকে অনবরত। অন্যদিকে মিতা হাসতে হাসতে মনে হচ্ছে এই বাড়ি মাথায় তুলে নিয়েছে।
–সরি সরি সরি, আর বলবো না। সরি..কাতু…কাতুকুতু লাগে।
হাসতে হাসতে বলে মিতা।
অরিয়ন তাও কাতুকুতু দেওয়া বন্ধ করলো না। কাতুকুতু সহ্য করতে না পেরে মিতা অরিয়নের গলা ধরে নিজের ঠোঁট বসায় অরিয়নের ঠোঁটে। অরিয়ন ও কাতুকুতু দেওয়া বন্ধ করে মিতাকে চুমু খেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

ফাহমিদার পরিবারের সাথে দেখা করেছে চৌধুরী পরিবার। ফাহমিদার পরিবারের সব কিছু দেখে পছন্দ হয়েছে হাবিব চৌধুরীর। অবশেষে ঠিক করেছে ২ মাস পরে এনগেজমেন্ট ও ৬ মাস পরে আবরার আর ফাহমিদার বিয়ে। দুই পরিবারের ফাইনাল কথা শুনে আকাশে ভাসছে আবরার। অন্যদিকে ফাহমিদা এখনো আবরারের সাথে ভালো করে কথা বলছে না। বিয়ে হবে জেনেও যেন ফাহমিদার রাগ একটুও কমছে না।
–এখন তো সব ঠিক তাও কেন আরিয়ান ভাইয়ার সাথে রাগ তুই?
প্রশ্ন করে মিতা।
মিতা আর ফাহমিদা একই সাথে কোচিং সেন্টারে বসে আছে। এখনো স্যার ক্লাসে আসেনি তাই কথাগুলো উঠায় মিতা। গতকাল রাতে আবরার মিতার কাছে এসেছিলো। মিতা যেন ফাহমিদাকে একটু বুঝায় সেই কথা বলে গেছে।
–তোর আরিয়ান ভাইয়া যা করেছে তা আমি চাইলেও ভুলতে পারছি না।
রাগ হয়ে বলে ফাহমিদা।
–মিদা, মানুষ মাত্রই ভুল। আরিয়ান ভাইয়াও একটা ভুল করেছে। তার জন্য কী ক্ষমা পাবে না সে?
ফাহমিদার কাধে হাত রেখে বলে মিতা।
–ঠিক, মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু পারু, ভুল মানুষ না জেনে করে। যেটা জেনে করা হয় সেটা ভুল নয়,অপরাধ। আর তোর আরিয়ান ভাইয়া সেটাই করেছে।
বলে ফাহমিদা।
–কি…
মিতা নিজের কথা শেষ করার আগেই ক্লাসে টিচার চলে আসে। দুজনেই স্যারের দিকে মন দেয়।

২ মাস পর।
গতকালই আনুষ্ঠানিক ভাবে আবরার আর ফাহমিদার এনগেজমেন্ট করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে মিতার উপর দিয়ে ঝড় গেছে। পরিবারের বড় বউ হওয়ার দায়িত্ব এখন হারে হারে টের পাচ্ছে মিতা।
আনিকা চৌধুরী এখন আর মিতার সাথে খারাপ আচরণ করে না। তবে মিতাকে যে একদম মেনে নিয়েছে তেমন ও না। তাও ভালো, খারাপ আচরণ করে না সেটা ভেবেই সন্তুষ্ট মিতা।

আরও ১৫ দিন পর।
গত সপ্তাহে মিতার ভার্সিটি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। মিতা আর ফাহমিদা দুজনেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে চ্যান্স পেয়েছে। অরিয়ন আর বাকি সবাই মিতার চান্স পাওয়ার কথা শুনে আত্নহারা হয়ে পড়ে। তাই বিশাল এক পার্টি আয়োজন করেছিলো সবাই।
পার্টিতে সবাই আনন্দ করলেও মিতা আনন্দ করতে পারছে না। ইদানীং মিতার বমি বমি ভাব দেখা যাচ্ছে তার উপর মাথাও ঘুড়ায়। এসব নিয়ে এতো চিন্তার কিছু ছিলো না যদি না মিতার পিরিয়ড মিস হতো। গতমাসে মিতার পিরিয়ড মিস গিয়েছে। তাই টেনশনে পড়েছে মিতা।
প্রেগন্যান্সি কীট নিয়ে দ্রুত রুমে প্রবেশ করে মিতা। বাড়ির কাজের লোককে দিয়ে কীট আনিয়েছে মিতা।
কীট হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছে মিতা। এখনো কোনো দাগ উঠেনি। আচ্ছা মিতা কী মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত? মিতা তা জানেনা। যত সময় যাচ্ছে মিতার হার্টবিট ততোই বেড়ে চলেছে।
মিতার শ্বাস আটকে আসলো যখন কীটের দিকে তাকালো। স্পষ্ট দুটো লাল দাগ দেখা যাচ্ছে। দাগ দুটো দেখতেই মিতার চোখে যেন পানি ছলছল করতে লাগলো।

“এ কেমন আনন্দ? ” মনে মনে ভাবে মিতা। মা হওয়ার কথাটা জানতে পেরেই মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব সুখ পেয়ে গেছে মিতা। নিজের অজান্তেই হাত চলে যায় পেটের উপর।
–আমাদের সন্তান।
পেটের উপর হাত রেখে কথাটা বলতেই চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে থাকে।
–অরিয়ন, অরিয়ন জানলে খুশিতে পাগল হয়ে যাবে।
আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজে নিজে বলে মিতা।
তাড়াতাড়ি করে ঘড়ির দিকে তাকায় মিতা। কিছুক্ষণ পরেই অরিয়ন চলে আসবে। অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে মিতা। একবার তো মোবাইল হাতেই তুলে নিয়েছিলো ফোন দেওয়ার জন্য। তাও সামনা সামনি অরিয়নের চেহারা দেখার আশায় কল করেনি মিতা।

অরিয়ন রুমে ঢুকতেই মিতা দৌড়ে গিয়ে অরিয়নের সামনে দাঁড়ায়।
–কি হয়েছে আজ এমন খুশি খুশি লাগছে কেন তোকে?
মিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে অরিয়ন।
মিতা কিছু বললো না। শুধু মুচকি মুচকি হাসলো। অরিয়ন মিতার থেকে সরে গিয়ে নিজের কোর্ট খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
–যদি বলি কী জন্য তাহলে কী উপহার দিবে আমাকে?
আবারও অরিয়নের সামনে এগিয়ে গিয়ে বলে মিতা।
–যা চাই তোর তাই।
জবাব দেয় অরিয়ন।
–সত্যি?
বলে মিতা।
–সত্যি সত্যি সত্যি। তিন সত্যি।
হাসতে হাসতে বলে অরিয়ন।

মিতা কোনো কিছু না ভেবেই নিজের হাতে থাকা প্রেগন্যান্সি কীট এগিয়ে দেয় অরিয়নের দিকে। অরিয়ন কিছু না বুঝতে পেরেই কীট নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ কীটের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিমিষেই যেন মুখ থেকে হাসি সরে গেল অরিয়নের। মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এই খবরে একটুও খুশি হয় নি অরিয়ন। অরিয়নের ভাব-ভঙ্গি মিতার নজর এড়াতে পারলো না। মিতার হাসি ধীরে ধীরে চলে যায়।
–কীভাবে সম্ভব?
মিতার দিকে তাকিয়ে বলে অরিয়ন।
অরিয়নের কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছে না মিতা। শুধু এতোটুকু বুঝতে পারছে অরিয়ন খুশি নয়।

পারমিতা পর্ব ৫৬

–তুমি….তুমি হ্যাপি না?
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে মিতা।
–না।
কথাটা বলেই মিতাকে পিছ করে দাঁড়ায় অরিয়ন।

পারমিতা শেষ পর্ব