পূর্ণতা পর্ব ৩৭
নন্দিনী নীলা
বিয়েই সাজে নিজের পছন্দে লেহেঙ্গা পরে সাজগোজ করে বসে আছে হৈমী। ওর মুখে প্রফুল্ল হাঁসি ফুটে উঠেছে। এখন ঘড়িতে বাজে চারটা। হৈমীর বাবা ও আত্নীয় বলতে, ফুপিরা, চাচারা এসে উপস্থিত হয়েছে দুপুরে। হৈমী সেজে গুঁজে রুমে বসে আছে। বসে থাকতে ওর মোটেও ভালো লাগছে না। কখন বিয়ে শুরু হবে সেই ভেবেই পুলকিত হয়ে উঠছে। ওর গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে কত কাহিনী না করল স্মরণ শেষে তো ওকেই বিয়ে করতে হচ্ছে।
স্মরণ কে সকালে না পেয়ে যে কান্না জুড়ে দিয়েছিল তার আধঘন্টা পর বাসায় আসে স্মরণ। ট্রাউজার ও গেঞ্জি পরেই বাইরে কোথাও গিয়েছিল হয়ত। বাসার এমন হট্টগোল দেখে কপাল কুঁচকে পেলে স্মরণের।
ওকে দেখেই হৈমী কান্না থামিয়ে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে জিজ্ঞেস করে,“ তুমি পালিয়ে যাও নি?”
স্মরণ বলল,“ আমি পালিয়ে যাব কেন?”
হৈমী অপ্রস্তুত হয়ে উঠল। ঢোক গিলে দুহাতে চোখ মুছে উঠে দাঁড়াল। উৎফুল্ল কন্ঠে সুধাল,“ উফফ খুব বাঁচা বেঁচে গেছি আমার বর পালায় নাই।”
স্মরণ দুর্বোধ্য হাসলো ওর হাসির মাঝে লুকিয়ে আছে রহস্য।
হৈমী থেমে জহুরি নজরে তাকাল স্মরণের দিকে তারপর জিজ্ঞেস করল,“ শাড়িটা তুমি নিয়েছ তাই না?”
স্মরণ ভাবলেশহীন কন্ঠে বলল,“ হুম।”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“ কেন তুমি ওটা নিলে?”
“ বিয়ের পর পাবি। বিয়ের তো বেশি সময় নেই এতো অধৈর্য হলে হবে?”
হালিমা স্মরণের কথা শুনে খুশি হলে। তার মনে হতে লাগলেন স্মরণ বিয়েটা মেনে নিচ্ছে। তার জেদি মেয়েকে শান্ত হতে এগিয়ে আসলেন।
হৈমী কিছু বলতে মুখ খুলবে হালিমা বেগম মেয়ের হাত ধরে টেনে বলল,“ জেদ করছিস কেন? স্মরণ যা বলছে তাই হবে। বিয়ে পর সব তো তোরই।”
হৈমী মায়ের ধমক খেয়ে থমকে গেল।
স্মরণ রুমে চলে গেল। তারপর বাসায় ঘনিষ্ঠ আত্নীয় আসতে শুরু করল। হৈমীর ফুপা, চাচা ও বাবা।
দুপুরে আয়োজন করা হলো তাদের জন্য ভুঁড়ি বুজের। সবাই খাওয়া-দাওয়া করে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। আজকে নরমালি বাসায় কাবিন হবে। অনুষ্ঠান হবে দুই মাস পর। হৈমী রুমে বসে সাজগোজে ব্যস্ত। সুযোগ পেয়ে স্মরণ পালায় নি এজন্য ওকে আর কেউ তেমন নজরে রাখছে না।
সবাই রেডি হয়ে বসে আছে। হৈমীর তর সইছে না। ছটফট করছে শুধু কখন ওকে ডাকবে। অধৈর্য হয়ে বাইরে এসে দেখল সবাই স্মরণ কে নিয়েই কথা বলছে।
হৈমীর বাবা বলছেন,“ স্মরণ এখনো এলো না?”
তার কথায় উত্তর দিলেন সোমা বেগম,“ চলে আসবে চিন্তা করবেন না।”
হৈমীর মা হালিমা বেগম বললেন,“ এতো সময় লাগছে কেন কাজী নিয়ে আসতে? স্মরণ আবার কাজী আনতে গিয়ে পালিয়ে গেল না তো?”
বলতে বলতে তিনি আঁতকে উঠলেন। তার কথায় হৈমীর নিঃশ্বাস আটকে এলো। বুকের ভেতর ভয় ঢুকে গেল। ভয়ে হৈমীর হার্টবিট বেড়ে গেল।
সবাই স্মরণ কে নিয়ে টেনশন করছে। স্মরণ হঠাৎ করেই সবাইকে অফার করে কাজী আনতে সে যেতে চায়। স্মরণ সকালে সুযোগ পেয়ে ও পালিয়ে যায়নি এই ভরসায় রাজি হয়।
প্রথমে রাজি হয় স্মরণের বাবা। তারপর সবাই মিলেই তাকে অনুমতি দেয়। স্মরণ গিয়েছি ঘন্টার উপরে চলে গিয়েছে এখনো ফিরে আসেনি অথচ কাজী অফিস এখানে থেকে পনেরো মিনিটের রাস্তা। সবাই শান্ত হলো সোমা বেগমের কথায়।
তিনি বললেন,“ সবাই শান্ত হোন। আমি কল দিচ্ছি স্মরণ কে!”
বলেই তিনি স্মরণ কে কল দিলেন। কল না ঢুকে নাম্বার বন্ধ আছে বলতেই তার কপাল কুঁচকে এলো দুশ্চিন্তায়। সবার দিকে তাকালেন এক নজর। হৈমী গোলাপী লেহেঙ্গা পরে দাঁড়িয়ে আছে উৎসুক হয়ে।
সোমা বেগম হালকা ঢোক গিলে আবার দিলেন।
হৈমী জিজ্ঞেস করল,“ মামি কি হয়েছে? ফোন রিসিভ করছে না?”
সোমা বেগম হতবুদ্ধি কন্ঠে বললেন,“ ফোন বন্ধ বলছে।”
হৈমী চিৎকার করে উঠল।
“ তোমরা কী করে এই ভুলটা করলে সবাই? তোমরা জানো না সে আমায় বিয়ে করতে চায় না? তাকে কিনা পালানোর সুযোগ করে দিলে? এখন আমার বিয়ে কার সাথে হবে?”
হৈমীর বাবা বললেন,“ থাম হয়ত কাজী বিজি তাই সময় লাগছে আমরাও গিয়ে দেখি।”
হৈমীর বাবা স্মরণের বাবাকে নিয়ে কাজী অফিসে গেল। এদিকে হৈমী সোফায় বসে কেঁদেকেটে সাজগোজ নষ্ট করে দিচ্ছে। কেউ ওকে থামাতে পারছে না। ও জানে স্মরণ কে আর পাওয়া যাবে না।
সবাই শূন্য হাতে ফিরে এলো। স্মরণ কাজী অফিসে যায়ই নাই। তারিন চোরের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। স্মরণ চলে যাওয়ার আগে ওকে একমাত্র বলে গিয়েছে।
থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে বাসায়। সবাই গম্ভীর মুখ করে বসে আছে।
হৈমীর বাবা স্ত্রীর দিকে চেয়ে রাগী কন্ঠে বললেন,“তোমার জন্য আমার মেয়েটার এই হাল হলো। তোমার বাড়াবাড়ির জন্য এখন লজ্জায় পরতে হলো আমাকে। নিজের ভাইয়ের ছেলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কম কাহিনী তো করলে না? আমার মেয়েটাকে তুমি একদম সস্তা বানিয়ে দিয়েছ।”
লেগে গেল ঝগড়া হালিমা বেগম স্বামীর ধমক খেয়ে
ভাই আর ভাবির সাথে ঝগড়ায় নামল। তার সাথে ধোঁকাবাজি?
তিনি রাগী চোখে তাকাল সোমা বেগমের দিকে।
“ ভাবি তুমি ইচ্ছে করে এটা করেছ তাই না? আমি তোমার সাথে এই বিয়ে নিয়ে অনেক লেগেছিলাম। তাই তুমি ইচ্ছে করে এই নাটক করলে তাই না? তাই তো বলি হঠাৎ তুমি আমার মেয়েকে ছেলের বউ হিসাবে মেনে নিলে কেন? এখন তোমার অভিমত ব্যক্ত করার কারণ আমি স্পষ্ট বুজতে পারছি। তুমি এভাবে নিজের ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমাকে আমার মেয়েকে ঠকানোর জন্য রাজি হবার নাটক করেছিলে তাই না।”
সোমা বেগম হতবুদ্ধি হয়ে গেল সোমা বেগমের কথা শুনে। তিনি হৈমী কে পছন্দ না করলেও এই বিয়েটা নিয়ে কোন নাটক করেনি।
দুজনের মাঝে লেগে গেল ঝগড়া। স্মরণের বাবা ইব্রাহিম হোসেন বোন আর স্ত্রী কে থামানোর চেষ্টায় নামল।
দুজনেই কেউ কারো থেকে কম না। কেউই থামছে না। চিৎকার করে উঠল হৈমী।
“ আমি বিয়ের শোকে কেঁদে মরছি আর তোমরা নিজেরা ঝগড়া করছো? কেউ আমার দিকটা বুঝার চেষ্টা করছ না। আম্মু আমার স্মরণ কে এনে দাও না।”
হৈমীর কথায় দুজনেই থেমে গেল। হালিমা বেগম মেয়েকে স্বান্তনা দিতে লাগল।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠল। সবাই চমকে উঠল।হৈমী ও চমকে তাকাল। স্মরণ ফিরে এলো নাকি?
তারিনকে দরজা খুলতে পাঠাল সোমা বেগম।
তারিন দৌড়ে গেল দরজা খুলতে। ভাইয়া ফিরে আসবে এ তো অসম্ভব । তাহলে কে এলো?
সবাই মুখিয়ে আছে স্মরণ বাসায় ফিরে এসেছে ভেবে।
তারিন দরজা খুলতেই চমকে উঠল। বিষ্ময় এ ওর চোখ দুটো আকারে বড়ো বড়ো হয়ে গেল। তারিন থমকাল, চমকাল সামনে পূর্ণতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে।
পূর্ণতা কে ভাইয়ার ফোনে দেখেছে তারিন। ভাইয়া বলেছে একে ভাবি বলতে।
ওর মুখ থেকে ফস করেই বেরিয়ে এলো,“ ভাবি…”
অপরিচিত একটা মেয়ের মুখে ভাবি ডাক শুনে থমকাল পূর্ণতা। কিংকিতৃব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রইল তারিনের মুখের দিকে।
পূর্ণতা হতবিহ্বল সুরে জিজ্ঞেস করল,“ কে তোমায় ভাবি?”
তারিন থমকে গেল। বেফাঁস কথা বলে ফেলেছে। ও ঢোক গিলে বলল,“ তুমি এখানে কি করছ? ভাইয়া তো তোমার কাছে গিয়েছে!”
তারিনের কোন কথাই পূর্ণতা বুঝতে পারছে না। পূর্ণতা রাগে রনমূর্তী ধারণ করে এসেছে ঢাকা থেকে রাজশাহী। ওর সাথে শাহিন আলম ও এসেছেন। বাসা থেকে স্মরণ চলে আসার পরই ওর ব্যক্তিগত ডাইরি মিসিং। এক মিনিট ও লাগেনি ডাইরি কে নিয়েছে বুঝতে। রাগে তখনি পূর্ণতার চোখ টকটকে লাল হয়ে উঠে। এতো বড়ো স্পর্ধা লোকটার ওর পারমিশন ছাড়া ওর ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দেয়? শুধু ধরেই ক্ষান্ত হয়নি নিয়ে গেছে।
স্মরণের নাম্বারে অসংখ্য কল দেয় কিন্তু রিসিভ হয়না। বেটা বদমাইশ ওর কল ধরে না! রাগে ও ফুলে ফেঁপে উঠে।
পূর্ণতা স্মরণের কীর্তিকলাপ জানায় ওর বাবা ও মাকে তারা স্তব্ধ হয়। মায়ার কাছে ফোন দিয়ে স্মরণের এড্রেস নেয়। এবং তারপর রাজশাহী আসার প্রতিজ্ঞা ভেঙে বাসে উঠে বসে।
পূর্ণতা কে একা পাঠাবে না শাহিন আলম মেয়ের সাথে একপ্রকার জোর করেই এসেছে রাজশাহী।
তারিন থ মেরে দাঁড়িয়ে আছে সদর দরজায়। তাই সোমা বেগম এগিয়ে আসে। পূর্ণতা কে দরজায় মুখে রাগে গজগজ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে উঠেন। সাথে ছেলের সমস্ত রাগ গিয়ে পরে পূর্ণতার উপর। এই মেয়ের জন্যেই তো এতো কিছুই হচ্ছে! স্মরণের সব বাড়াবাড়ি এই মেয়েটার জন্য ছেলেটার জীবনে কাল হয়ে প্রবেশ করেছে।
তিনি এগিয়ে এসে পূর্ণতার হাত ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে বললেন,“ আমার ছেলে কোথায় বলো? কোথায় ছেলেটাকে বাগিয়ে নিয়েছ?”
পূর্ণতা তার কথায় আকাশ থেকে পরে।
শাহিন আলম ভেতরে ঢুকতেই তিনি কপাল কুঁচকে নেয়।
পূর্ণতা বলল,“ আপনার ছেলের খবর আমি কীভাবে জানব?”
” একদম মিথ্যা কথা বলবে না। তোমার জন্য ছেলেটা বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গিয়েছে আর তুমি কিছুই জানো না? বোকা পেয়েছ আমাদের?” রাগে ফেটে পড়লেন তিনি।
পূর্ণতার বিমূঢ় হয়ে বলল,“ কি সব বলছেন? আমি সত্যি কিছুই জানি না। আপনার ছেলে আমার ব্যক্তিগত জিনিস চুরি করে এনেছে এজন্য এসেছি। কেমন ছেলে আপনার? কারো জিনিসে অনুমতি ব্যতিত হাত দিতে নেই সে কি জানে না?”
হৈমী ছুটে এলো। ড্যাবড্যাব করে তাকাল পূর্ণতার দিকে। এই মেয়ের জন্য স্মরণ ওকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে? রাগে দপ করে চোখ জ্বলে উঠল হৈমীর। দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠল বক্ষকুলে।
পূর্ণতা তাকাল গাঢ় গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরা সুন্দরী এক মেয়ের দিকে। কেঁদেকেটে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলেছে মেয়েটি..
অল্পবয়সী এই সুন্দরী মেয়ের সামনে পূর্ণতার কিছুই নয়। একসময় এমন লাবন্যময়ী চেহারায় সেও ছিল। প্রভাতের জন্য সেও সেজেছিল। সেদিন নিজের আমিকে আজকের এই অপরিচিত মেয়েকে এক জায়গায় দেখতে পেল। রাগ বাড়ল পূর্ণতার। মেয়ের প্রত্যেক ফোঁটা অশ্রুর জন্যে দায়ী স্মরণ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এই মেয়েকে উপেক্ষা করেছে স্মরণ ওর জন্য?
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো পূর্ণতার ভেতর থেকে। চাপা যন্ত্রণা বক্ষগহরে ছড়িয়ে পড়ল নিমিষেই।
হৈমী অভিমানে শিউরে উঠল পূর্ণতা। মেয়েটার চোখে নিজের জন্য ক্ষোভ দেখতে পাচ্ছে। মেয়েটার চোখে সে অপরাধী। কি নিদারুন কষ্ট। টলমল চোখে মেয়েটি সুধাল,“ তোমার নাম পূর্ণতা?”
পূর্ণতা নামের মেয়ের জন্য বদ উন্মাদ হয়েছে স্মরণ এটা এই বাড়ির কারোর অজানা নয়। কিন্তু দেখার সৌভাগ্য হবে হৈমী জানত না। কত টান এদের বিয়ের খবর পেতেই ছুটে এসেছে, আরেকজন পালিয়ে গিয়েছে। বাহ্ …..
পূর্ণতা বলল,“ হুম আমি পূর্ণতা।”
আমি পূর্ণতা বলতেই বাঘিনীর রূপ এ দৌড়ে এলো হালিমা বেগম। চোখ দিয়েই বষ্স করে দিবে পূর্ণতা কে এমন চোখে তাকাল। পূর্ণতা নিজের জিনিস নিতে এসেছিল রাগে আগুন হয়ে। ওর ভেতরে আগুন জ্বলছিল এই বাসায় এসে একটা লঙ্কা কান্ড ঘটিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাসার প্রত্যেকটা মানুষের রাগ, আক্রোশের সামনে নিজের রাগ চুনোপুঁটির মতো লাগছে। শুকনো ঢোক গিলে পূর্ণতা বাবার সাথে মিশে গেল। আর সবাই ওকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে পরোক্ষ করছে। সবার চোখে ওই সবচেয়ে অপরাধী। এতো গুলো মানুষের হিংস্রতার সামনে দাঁড়িয়ে পূর্ণতা আতঙ্কে ডুবে গেল। মুখটা ভয়ে ভীত হয়ে গেছে। ও তাকাল বাবার দিকে।
পূর্ণতা পর্ব ৩৬
শাহিন আলম নিজেও হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
পূর্ণতা তার দিকে নিচু স্বরে বলল,“ আব্বু কোথায় এসে ফেঁসে গেলাম?”
শাহিন আলম তাকাল মেয়ের শঙ্কিত মুখের দিকে।