প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ৪১
Writer Mahfuza Akter
হাসপাতালের কেবিনের স্নিগ্ধ আলোয় নরম হয়ে আছে চারপাশ। জানালার ফাঁক দিয়ে বিকেলের শেষ আলো ঢুকে পড়েছে বিছানার সাদা চাদরে। একপাশে রাখা টেবিলে ফুলদানি, সেখানে কয়েকটি শুকনো রজনীগন্ধা ফুল মাথা নিচু করে আছে—ঠিক যেন ক্লান্ত কোনো প্রহর। মুগ্ধ বিছানায় নিঃশব্দে শুয়ে আছে, চোখদুটো বন্ধ, মুখে দুর্বলতার ছাপ। ডেঙ্গুর প্রাথমিক ভয়াবহতা কাটলেও শরীর তার কাছে যেন এক গ্লানিময় ভার।
কেবিনের দরজাটা ধীরে ধীরে খুলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করল অরুণী। ধূসর রঙা সালোয়ার-কামিজ, খোলা চুল, চোখে চশমা, ঠোঁটে চাপা উদ্বেগ। কাঁধে একটা পাতলা শাল। অনেকটা সময় সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে মুগ্ধর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। ছেলেটা এভাবে শুয়ে আছে, নিস্তব্ধ, নিঃসাড়—তাকে ঘিরে থাকা অক্সিজেন আর স্যালাইনের যন্ত্রপাতি যেন আরও বেশিকরে বুঝিয়ে দিচ্ছে, কতটা ঝুঁকির মধ্যে চলে গিয়েছিল সে।
এক পা, দু’ পা করে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল অরুণী। চেয়ারের বাঁ পাশে বসে পড়ে ধীর কণ্ঠে বলল,
“তুমি জানো, আমি তোমাকে এমন অবস্থায় দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।”
মুগ্ধর চোখ ধীরে ধীরে নড়ে উঠল। চোখের পাতার কাঁপন অনুভব করা যায়। সেই চোখের চারপাশে গাঢ় রেড-সার্কেল পড়েছে। কিছু সময় পর সেই চোখজোড়া ফাঁকা অথচ ভেজা চাহনিতে খুলে গেল। ক্লান্ত হাসি ফুটল ঠোঁটে, “আপনি… এসেছেন?”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
অরুণী কাঁপা গলায় উত্তর দিল, “হ্যাঁ, আমি এসেছি। অনেক দেরি করে ফেলেছি, তাই না?”
মুগ্ধ হাসি হাসি চোখে তাকিয়ে বলল, “আমি জানতাম আপনি আসবেন। দেখুন এক মশার কামড়ে কী অবস্থা হয়েছে আমার! মনে হচ্ছিল মরেই যাবো। কিন্তু আপনাকে দেখার তৃষ্ণায় মরেও শান্তি পেতাম না।”
চোখের নিচে জমে থাকা পানি হাতের আঙুল দিয়ে মুছে নিল অরুণী। তারপর ধীর কণ্ঠে বলল,
“আমি দুঃখিত, মুগ্ধ। সত্যিই খুব দুঃখিত।
তোমার সঙ্গে আমি অসম্ভব রূঢ় ব্যবহার করেছি।
যেদিন তুমি বলেছিলে তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমি সে কথার গুরুত্ব দিইনি।
ভাবতাম, তুমি হয়তো আবেগে ভেসে যাচ্ছো।
আমার ভেতরটা তখন প্রেমে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল।
তার উপর তুমি বয়সে আমার থেকে ছোট—
ভাবতাম, সমাজ এই সম্পর্ক মেনে নেবে না,
তোমার পরিবার কীভাবে দেখবে, সেই ভাবনাও গ্রাস করত আমায়।
এইসব হিসাব-নিকাশের জটিলতায় আমি তোমার আবেগটাকেই অস্বীকার করেছিলাম।
কিন্তু আজ আমি বুঝেছি, আমি তখন বড্ড ভুল করেছি।
যেদিন তুমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলে না,
আমি বাইরের করিডোরে দাঁড়িয়ে কাঁপছিলাম ভেতরে ভেতরে।
একটাই কথা মনে হচ্ছিল—
তুমি যদি সত্যিই চলে যাও,
আমার জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
আমি জানি না, তুমি কীভাবে এভাবে
আমার জীবনের এতখানি জায়গা দখল করে নিয়েছো,
কিন্তু আজ আমি নিঃসন্দেহে জানি—
তুমি আমার অস্তিত্বের এক অপরিহার্য অংশ।”
মুগ্ধর চোখে এক ঝলক দুরন্ত হাসি ফুটে উঠল। বিছানায় শুয়ে থাকা ক্লান্ত মুখে সে একচিলতে দুষ্টুমি মেশানো হাসির রেখা টেনে বলল,
“এতগুলো কথা বলে দিলেন?
তাহলে এখন নিয়ম মাফিক একটা চুমু দিয়েই প্রমাণ করুন— আপনি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন।
তবেই না সরিটা গ্রহণযোগ্য হবে!”
অরুণী হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল মুগ্ধর দিকে। এই ছেলেটা একদমই বদলায়নি! হাসপাতালের বেডে শুয়ে থেকেও কী নিঃসংকোচে এমন কথা বলে! তবু ঠোঁটের কোণে একটুখানি হাসির রেখা ফুটিয়ে সে ধীরে ধীরে বলল,
“ভালোবাসি কিনা জানি না, মুগ্ধ।
কিন্তু আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।
মনে হয়েছিল তুমি আমার চোখের সামনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছো—
একবার যদি সত্যি চলে যেতে, তাহলে হয়তো কোনোদিন আর দেখা হতো না।
তোমার সেই অকপট প্রেম-স্বীকারোক্তি,
যেটা আমি এক সময় অবহেলা করেছিলাম,
তুমি হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে সেটাকেই আঁকড়ে ধরেছিলাম আমার সবটুকু শক্তি দিয়ে। এক অকপট প্রেম-স্বীকারোক্তি দেওয়া প্রেমিককে হারানোর ভয়ে আমি অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছিলাম।”
অরুণীর গাল ভিজে গেল চোখের অশ্রুতে। মুগ্ধ দুর্বল শরীর সত্ত্বেও উঠে বসে পড়ল, এক ঝটকায়। কাঁপতে থাকা হাতে অরুণীকে জড়িয়ে ধরল,
“উফ্, এতো কান্না করতে পারেন আপনি! আপনার মুখে রাগ আর বকাঝকাই মানায়। এখন যেহেতু কাছে এসেছেন, মাঝে মাঝে একটু আদর ও করতে পারেন!”
অরুণী হাসলো। জীবনেই এই প্রথম একটা শান্তির আশ্রয় পেয়েছে সে। ওদের আলিঙ্গনের মধ্যে দিয়ে যেন পুরো কেবিনটা আরও নিঃশব্দ হয়ে গেল। বাইরের উষ্ণ আলো ও ঈষৎ হাওয়ায় নিঃশব্দে কাঁপছে জানালার পর্দা। এমনই এক সুন্দর সকালে তাদের প্রণয়কাব্যের সূচনা হলো।
প্রহর ক্লাস শেষে ডিপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসছিল। তার চোখে ঘুমহীনতার ছাপ, হাতে একগোছা কাগজ। নিচের সিঁড়ির ধাপে দেখা হলো মধুর সঙ্গে। মধুর চোখে বিরক্তি, একটা স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ। প্রহর তাকে যা-ই বলুক, সে সেটার উল্টো কাজ করতে চাইছে।
“তোমার ভাই বলেছে, তোমাকে আর তরীকে আমি বাসায় পৌঁছে দেবো। ভার্সিটিতে গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে ,” বলল প্রহর, কণ্ঠে এক ধরণের আদেশের স্বর।
মধু চোখ ছোট করে তাকাল, “আপনার চেয়ে বড় গন্ডগোল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে নাকি? আমি আপনার সঙ্গে যাব না। ”
প্রহর বিরক্ত হলো। মেয়েটা প্রচন্ড জেদি। এমনিতেই তার মন মেজাজ ভালো নেই। সে এগিয়ে গিয়ে মধুর হাত চেপে নিজের সাথে নিয়ে যেতে যেতে বললো,
“তুমি আজ একটু কম কথা বলো।”
মধু নিজের হাত ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পার্কিং এরিয়াতে পৌঁছাতেই প্রহর মধুর হাত ছেড়ে দিল,
“গাড়িতে ওঠো। এখনই।”
মধু চেঁচিয়ে উঠল, “আপনি কি জানেন আপনি কী করছেন?”
“হ্যাঁ, জানি,” ঠাণ্ডা কণ্ঠে বলল প্রহর। “তোমার ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে, একজন শিক্ষক হিসেবে, এখানে তোমার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। এই পরিস্থিতিতে তোমার জেদ সহ্য করার মতো সময় আমার হাতে নেই।”
মধু রাগী গলায় বলল , “আপনাকে আমি প্রচন্ড অপছন্দ করি।”
প্রহর ভ্রু কুঁচকে তাকালো। মধুর এই কথাটা তার পছন্দ হয়নি। কিন্তু সে কিছু বলল না। চুপচাপ গাড়ির দরজা খুলে দিল। মধু প্রবল বিরক্তি নিয়ে বসে পড়ল।
গাড়ির ভেতরে তরী আগে থেকেই বসে ছিল।
এই পুরো নাটকীয়তা সে দেখে ফেলেছে জানালা দিয়ে।
চোখে দুষ্টু হাসি, ঠোঁটে চাপা কৌতুক। সে মৃদু গলায় বলল,
“তোমাদের কেমিস্ট্রি দেখলে মনে হচ্ছে, সামনে অনেক কিছু হতে চলেছে!”
মধু রেগে ছিল বলে তরীর কথাটা তেমনটা খেয়াল করে শুনেনি। কিন্তু প্রহরের কানে কথাটা তীরের মত বিঁধলো। লুকিং গ্লাসে মধুর দিকে একবার তাকিয়ে সে চোখ সরিয়ে ফেলল। এসব কি ভাবছে সে? অসম্ভব! যে যাই বলুক, তার জীবনে আবেগ অনুভূতির কোন জায়গা নেই।
আর তরী জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলেও ঠোঁটে চেপে রাখা সেই অদ্ভুত হাসিটা মিলিয়ে যায়নি।
অনেক বছর পর অর্থীর বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষাটা শেষ হলেই সামনের মাসে সে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে। কিন্তু সে জেদ ধরেছে অর্ণবকে সাথে নিয়ে যাবে। ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে তারা। অর্ণব চুপচাপ, চোখে ক্লান্তি, মুখে নির্লিপ্তি। অর্থী প্রাণবন্ত, আত্মবিশ্বাসী, আর প্রবল জেদি। তার হাতে কফির কাপ, অন্যদিকে অর্ণব মৃদু কাঁপা হাতে একেক চুমুক নিচ্ছে।
“তুমি জানো তো, আমি বাংলাদেশ যাচ্ছি সামনের মাসে,” হঠাৎ বলল অর্থী।
অর্ণব অবাক হয়নি, “গুড। শুভ যাত্রা।”
“তুমি যাবে না?”
“না। আগেও বলেছি, আর সেখানে ফিরবো না।”
অর্থী চোখ টিপে বলল, “তুমি ভয় পাচ্ছো, তাই না?”
“কোনো ভয় নেই,” সংক্ষিপ্ত উত্তর অর্ণবের।
অর্থী ভ্রু নাচিয়ে মজার ছলে বলে, “কেন? যদি তরীর সাথে দেখা হয়ে যায় আর ও তোমাকে কষে দু’টো চড় লাগিয়ে দেয়, এই ভয়ে? নাকি তরীর সাথে দেখা করতে গিয়ে একবার প্রাণ হারাতে বসেছিলে, এই ভয়ে যেতে চাইছো না?”
অর্থীর কথায় অর্ণব প্রচন্ড বিরক্ত হয়। মেয়েটা বরাবরই তাকে খোঁচা দিয়ে কথা শোনায়। অর্ণব কাপ নামিয়ে বলল, “তোর এই কৌতুকের স্বাদ আমার ভালো লাগে না।”
অর্থী নিজেও জানে যে, অর্ণব তরীকে ধোঁকা দিয়ে অনুতপ্ত, এজন্যই বাংলাদেশে যেতে চাইছে না। কিন্তু সে নাছোরবান্দা! অর্ণবকে সাথে না নিয়ে সে যাবে না। অর্ণবের মাস্টার্সও তার সাথেই শেষ হচ্ছে। সুতরাং দুজন একইসাথে বাংলাদেশ যাবে, এটাই অর্থী চাইছে। অর্থী হেসে বলল, “তুমি জানো, আমি তোমার পাশে আছি বলেই ইউ আর লিডিং আ পিসফুল লাইফ। আমি থাকবোই। কিন্তু আমার দেশের মাটি, আমার শহর, আমার মানুষ—সব কিছু তোর থেকে আলাদা না।”
শেষে অনেক জোরাজুরির পর অর্ণব রাজি হয়ে গেল আর অর্থীর মুখে ফুটে উঠল বিশ্বজয়ের হাসি।
এইদিকে বিকেলের দিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি শেষে সৌহার্দ্য নিজের চেম্বারে বসেছে। রোগীর অবস্থা বেশ জটিল।তাই কয়েকজন সিনিয়র সার্জনের সাথে একটা মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে সে নিজেই। সেই মিটিংয়ে ড. আরমানও উপস্থিত হলেন। তাঁকে দেখে সৌহার্দ্য প্রচন্ড বিরক্ত হলো। লোকটাকে তো সে ডাকেনি! তাহলে এখানে এসেছে কেন? কিন্তু সিনিয়রদের সামনে তেমন কিছু বললো না। মিটিং শেষে সকলে উঠে চলে গেলেন। কিন্তু ড. আরমান গেলেন না। সৌহার্দ্য নিজের এপ্রোন খুলতে খুলতে বললো,
” আপনাকে কি আলাদাভাবে সসম্মানে বিদায় জানাতে হবে? আপনি যাচ্ছেন না কেন এখনো?”
ড. আরমান সরু চোখে সৌহার্দ্য শার্টের কলারের নিচের দিকে বুকের পাশটায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। একটা লালাভ দাগ সেখানটায়! তাঁর এতো বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা স্পষ্ট জানান দিচ্ছে যে, এটা রক্তের দাগ নয়। ড. আরমানের দৃষ্টি অনুসরণ করে সৌহার্দ্য নিজেও নিজের বুকের পাশটায় তাকালো। তরী সকালে বিপজ্জনক কান্ডটা ঘটিয়ে সেটার চিহ্নও এঁকে রেখে গেছে! সৌহার্দ্য বিব্রত হয়ে আবার এপ্রোনটা পরে নিলো।
ড. আরমানের দৃষ্টিতে ক্রোধ ও বিরক্তির মিশ্রণ। রাগী চোখে তাকিয়ে তিনি সৌহার্দ্যকে বললেন, “তোমার চোখ, তোমার চাহনি, তোমার শরীর সব বলে—তুমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছো। দূরত্ব রাখতে বলেছিলাম তোমাকে? কিন্তু তুমি তো দেখছি সকল সীমা অতিক্রম করায় তৎপর হয়ে উঠেছো! কেন মেয়েটার প্রাণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছো?”
সৌহার্দ্য ঠান্ডা চোখে ড. আরমানের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তার ভেতরে যে দাবানল চলছে, সেটায় এই লোকটাকে এই মুহুর্তে ভস্ম করে দিতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন ধরে সহ্য করছে সে! লোকটা নিজের সীমা পেরিয়ে এখন তার ব্যক্তিগত জীবনেও নাক গলাতে চাইছে। শত ক্রোধের মাঝেও সৌহার্দ্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলো। আইন নিজের হাতে নেওয়া যাবে না। ড. আরমানের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণও তার কাছে নেই। যা করার দ্রুত করতে হবে।
সৌহার্দ্যের নীরবতায় বিরক্ত হয়ে ড. আরমান বললেন, “মুখে কুলুপ এঁটে বসে দাঁড়িয়ে আছো কেন? লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি। মেয়েটার থেকে দূরে থাকো।”
প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ৪০
সৌহার্দ্য তাঁর চোখে চোখ রেখে বললো, “আপনার কথা আর রাখতে পারছি না। তরীর সাথে আমার দূরত্ব ততদিন ছিল, যতদিন ও আমার থেকে দূরে ছিল। কিন্তু ও যদি আমার দিকে এক পা এগোয়, আমি ওর দিকে শত পা এগোবো। ও আমার কাছে এলে আমি ওকে এমনভাবে কাছে টেনে নেবো যেন মৃত্যুও আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে না পারে। নিজের প্রাণ নিয়ে ভাবুন, চাচা সাহেব। আপনার সময় যে ফুরিয়ে আসছে!”
চেম্বারের বাতি ঝিমিয়ে ওঠে। এক মুহূর্তে যেন একটা যুদ্ধের ঘণ্টা বেজে ওঠে নিঃশব্দে। প্রতিশোধ, প্রেম, আর ন্যায়—সব একসাথে মিলেমিশে গেছে এই যুদ্ধক্ষেত্রে।