প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ২

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ২
অনন্যা

কুহু শেখ..বাবা-মা নেই।তার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার বাবা-মা মারা যায় একটা গাড়ি এক্সিডেন্টে।তখন তার দাদি তার দায়িত্ব নেয়।কিন্তু তার যখন চৌদ্দ বছর বয়স তখন সেই দাদিও তাকে একা করে চলে যায়।দাদি মারা যাওয়ার পর তার এক মামা তার দায়িত্ব নেয়।
আদিত বলে উঠলো
-‘এ দেখি দায়িত্বের রেলগাড়ি! তা এরপর কে নিল?না মানে মামা কি আছে নাকি সেও….
লোকটা বলে উঠলো
-‘না স্যার, মামা আছে।আর..
আরকিছু বলার আগেই হাত উঠিয়ে লোকটাকে থামিয়ে দিল আহনাফ।সে বললো
-‘এসব ছাড়ো..এটা বলো যে.. সে কি সিঙ্গেল..?

আহনাফের এই কথা শুনে আদিত,আরিফ আর নাতাশা হা হয়ে গেল।হচ্ছেটা কি আসলে?এটা কি সত্যিই তাদের আহনাফ? যে আহনাফ কিনা মেয়েদের দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করে না সেই আহনাফ এটা?সকালে ভরা মাঠে একটা মেয়েকে চুমু খেল আবার এখন জিজ্ঞাসা করছে যে মেয়েটা সিঙ্গেল নাকি! আদিত আর মুখ বন্ধ করে থাকতে পারলো না।সে বলেই উঠলো
-‘আহনাফরে জ্বিনে ধরছে মামা…তোরা দোয়া-দরূদ পড় ভাই…এটা আমাদের আহনাফ না..
আহনাফ বিরক্তিতে ‘চ’ সূচক শব্দ করলো।আদিত কোথায় যেন চলে গেল।সবাই বর্তমানে আহনাফের ফ্ল্যাটে রয়েছে।আহনাফ এবার ফাইনাল ইয়ারে।আহনাফের একটা কোচিং সেন্টার আছে।এছাড়া তার একটা ক্যাফে আছে। ভার্সিটির পাশে হওয়াতে ক্যাফেটাও বেশ ভালো চলে।আহনাফের এতেই হয়ে যায়।বাবার টাকায় নিজের খরচ চালানোটা তার সবচেয়ে অপছন্দের বিষয়।এমনিতেই বাবার সাথে তার যে সম্পর্ক!
এদিকে আদিত কোথা থেকে একটা ঝাড়ু নিয়ে এসে বলতে লাগলো

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘বন্ধুগণ…তুলে নেও নিজের হাতিয়ার আর মুক্ত করো আমাদের আহনাফকে।আহনাফ বন্ধু আমি আসছি…
আদিতকে ঝাড়ু নিয়ে দৌঁড়ে আসতে দেখে আহনাফ দাঁড়িয়ে পড়লো।পায়ে থাকা স্যান্ডেলটা খুলে আদিতের দিকে ছুঁড়ে মারলো।আদিত সরে গেল তাৎক্ষণাৎ।নাতাশা আর আরিফ হো হো করে হাসতে লাগলো।আহনাফ তীক্ষ্ণ নয়নে ওদের দিকে তাকালো।ওরা চুপ হয়ে গেল।আহনাফ বলে উঠলো
-‘আর একটা শব্দও যদি বের হয় কারোর মুখ থেকে তাহলে দেখিস…
সবাই চুপসে গেল।আদিত দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরলো।তার যে একটা ননস্টপ মুখ! দুই হাত দিয়ে চেপে রেখেও যদি আটকানো যায়! আহনাফ কালো স্যুট পড়া লোকটার দিকে তাকালো।এরপর বললো

-‘আপনি বলুন..
সে বললো
-‘জ্বি স্যার..কুহু..
আহনাফ তার দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকালো।লোকটা একটু থতমত খেল।সে ভুল সুধরে বললো
-‘নাহ মানে..হ্যাঁ, ম্যাডাম অবিবাহিত।বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি তা সঠিক বল..
আহনাফ কথার মাঝেই বলে উঠলো
-‘আপনি আসতে পারেন।
লোকটা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল।লোকটা যেতেই আরিফ বলে উঠলো
-‘তুই আসলে চাইছিসটা কি,আহনাফ?
আহনাফ ঠোঁটের কোণে কেমন একটা হাসি ফুটে উঠলো।হঠাৎ সে বলে উঠলো
-‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমি বিয়ে করছি ।দাওয়াত রইলো তোদের।এখন ভাগ..
সবাই একসাথে বলে উঠলো—“অ্যাঁ!!!!”
আহনাফ ওদের হাত ধরে বের করে দিয়ে বললো—“হ্যাঁ।”

-‘কিসের হ্যাঁ? হ্যাঁ মানে কি?একটা দিব তোকে কানের নিচে! কালকে যেন ভার্সিটিতে দেখতে পাই আপনাকে।বুঝছেন না অন্যভাবে বুঝাবো?
কুহু কিছুক্ষণ চুপ হয়ে বসে রইলো।ঐ ভার্সিটিতে আবার যাবে সে! মান-সম্মান তো অলরেডি টাটা বলে দিয়েছে তাকে।কুহুর থেকে উত্তর না পেয়ে ফোনের উপাশ থেকে রোদেলা চেঁচাতে লাগলো
-‘হ্যালো…শুনতে পাচ্ছিস?
কুহু বললো
-‘ ভেবে জানাচ্ছি।বাই..
কুহু কল কেটে দিল।রোদেলা আবার কল করবে সে জানে তাই ফোনটা অফ করে দিল ।এরপরেই ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিল।চোখটা বন্ধ করতেই আহনাফের চুমু খাওয়ার বিষয়টা তার মানসপটে ভেসে উঠলো।কুহু তাৎক্ষণাৎ চোখ মেলে তাকালো।উঠে বসলো তাৎক্ষণাৎ।ডান গালে হাত রাখলো সে।এই গালেই তো চুমু খেয়েছিল! কুহুর মস্তিষ্কে কিছু একটা ভেসে উঠলো।সে আবার শুয়ে পড়লো।হঠাৎ তার চোখের কোণা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।সে আস্তে করে আওড়ালো

-‘যাদের বাবা-মা নেই তাদের জীবন এতো কঠিন কেন হয়?
তখন’ই দরজায় কারো কড়াঘাতের শব্দ শোনা গেল।মনে হচ্ছে যেন কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা ধাক্কাচ্ছে।কুহু চোখ মুছে উঠে বসলো।উড়নাটা মাথায় দিয়ে দরজা খুললো সে।দরজা খুলতেই আনোয়ারা বেগম ওর চুলের মুঠি ধরে ক্ষিপ্ত স্বরে বলে উঠলেন
-‘রান্নাঘরের এঁটো বাসনগুলো কি তোর ম/রা মা এসে ধুয়ে দিবে?নাকি তোর মরা দাদি ধুয়ে দিবে?সন্ধ্যা হয়ে গেল এখনো নবাবজাদির মতো ঘরে বসে আছিস যে!
কুহু বলে উঠলো
-‘মামি, তুমি আমাকে যা খুশি বলো।ওদেরকে কেন টানছো মাঝে?
আনোয়ারা বেগম বলে উঠলেন

-‘ওমাগো মা! মেয়ের মুখে বুলি ফুটেছে দেখি! তা কি করবি ওদেরকে টানলে?কলঙ্কিনী মেয়ে একটা!মান সম্মান এমনিতেই ডুবিয়েছিস.. এখন আবার কথা বলিস তুই..
কুহু কিছু বললো না।আনোয়ারা বেগম ওর চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিলেন।কুহু ছিটকে পড়ে গেল।
-‘দশ মিনিটের মাঝে যেন বাসনগুলো পরিষ্কার দেখি আমি। আসছে আমার নবাবজাদি..!
আনোয়ারা বেগম চলে গেলেন।কুহু একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।এগুলো নতুন না তার জীবনে।তবে সে আফসোস করে না।এরা যে তাকে থাকতে দিয়েছে আবার পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে এটাই অনেক।তাছাড়া মামিও তো এমন ছিলেন না।কোথাও না কোথাও সবকিছুর জন্য সে’ই দ্বায়ী। কুহু তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো।

-‘মা, তুমি আবার কুহুর সাথে এমন করেছো..! ট্রাস্ট মি আমি আর বাড়িই আসবো না।
হঠাৎ কারো কণ্ঠস্বরে খানিকটা চমকে উঠলো কুহু।দরজার দিকে তাকাতেই ভেসে উঠলো এক পরিচিত মুখ।কুহু একবার তাকিয়েই চোখ ঘুরিয়ে নিল।মাথার উড়নাটা ঠিক করলো।কোনোমতে উঠে দাঁড়ালো সে।এরপর বলে উঠলো
-‘আয়ান ভাইয়া, আপনি আপনার রুমে যান।মামি আপনাকে এখানে দেখলেই রেগে যাবে।
আয়ান কুহুর কথার বিপরীত কাজ করলো।সে উল্টো রুমের ভেতর এসে বিছানায় বসলো। এরপর বললো
-‘এতোদিন পর আসলাম..কেমন আছি কোথায় সেটা জিজ্ঞাসা করবি তা না…”আপনি রুমে যান,ভাইয়া..”
আয়ান ব্যঙ্গ করে বললো শেষের লাইনটা।কুহু হালকা হাসলো।আয়ান তাকিয়ে রইলো সেইদিকে।এই হাসিটাকে যে কত মিস করেছে সে! হোস্টেল থাকলেও মনটা সবসময় তার এখানেই পড়ে থাকতো।এই মেয়ের চিন্তায় দিন পার হয়ে যেত তার।এদিকে আয়ানকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কুহু বলে উঠলো

-‘আ’আমি আসছি।মামি বকবে আবার…
আয়ানের খুব করে মন চাইলো বলতে—“যাস না, সুহাসিনী।প্লিজ আমার সামনে এসে বস।কতগুলো মাস দেখিনি তোকে।আমার চোখগুলো যে বড্ড তৃষ্ণার্ত হয়ে রয়েছে!” কিন্তু বলতে পারলো না সে।কুহু ততক্ষণে চলে গেছে।কুহু বড্ড বিরক্ত।বিরবির করে বললো
-‘অসুন্দর হয়েও শান্তি নেই।ছেলে মানুষ এমন কেন? মেয়ে দেখলেই হা করে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের! বা/লের জীবন আমার!

সময়..ভোর পাঁচটা।কুহু ফজরের নামাজ শেষ করে উঠে দাঁড়ালো।সে জানে আজ ঠিক কি হতে পারে তার সাথে।মামি নিশ্চই আজ তার কাঁধে হাজারটা কাজ চাপিয়ে দিবে।গতকালকেও তো তাই করেছিল।কোনোমতে কাজ শেষ করে ভার্সিটি গিয়েছিল সে।এখন মনে হচ্ছে না গেলেই ভালো হতো।তবে আজকে সে ভার্সিটি যাবে।গতকাল ফোন অন করার পর রোদেলা পইপই করে বলেছে তাকে।কুহু দরজা খুলে বেরোতে যাবে তখন’ই হঠাৎ কারো বুকের সাথে ধাক্কা খায়।মাথা উঁচু করে তাকাতেই দেখে আয়ান দাঁড়িয়ে।কুহু বলে উঠলো
-‘এই সাত সকালে আমার রুমের সামনে কিয়ের চুল ফালাচ্ছেন?উফফ! বাবাগো!
আয়ান কপাল কুচকে বললো

-‘ছিঃ! কিসব বলিস তুই?আর এমন অশ্লীল আওয়াজ দিচ্ছিস কেন? কট ম্যারেজ করতে চাস নাকি?
আয়ান ঝুঁকে এসে ফিসফিস করে বললো।কুহু এটা শুনে মাথা উঁচু করতেই আয়ানের মাথার সাথে ধাক্কা খায়।অভ্যাসবসত মেয়েটা বলেই বসলো
-‘বা/লের মাথা!.. উফফ! মরে গেলাম!
আয়ান ঠোঁট চেপে হেসে বললো
-‘এখনো তো কিছু করলাম’ই না।এখন’ই মরে গেলি!
কুহু বললো

-‘ফালতু কথা বলবেন না।এখানে কি করছেন?
আয়ান দেয়ালে হেলান দিয়ে বললো
-‘দেখতে আসছিলাম যে উঠেছিস নাকি।
-‘আপনি জানতেন আমি এখন উঠবো?
আয়ান মাথা নাড়িয়ে বললো
-‘বাড়ি ছেড়েছি তবে ভুলিনি কিছু।
কুহু কিছু বললো না।আয়ান হঠাৎ বলে উঠলো
-‘আয় আজ আমি তোকে কাজে হেল্প করবো।
কুহু বলে উঠলো
-‘সাত সকালে আমাকে মার খাওয়াতে চাইছেন?সরুন..
কুহু আয়ানকে ঠেলে চলে গেল।আয়ান মুচকি হাসলো।এদিকে কুহু মনে মনে বললো
-‘পারবে না ঘোড়ার আন্ডাটাও উল্টো কাজ বাড়াবে! যত্তসব গোলামের ছাঁও!

-‘একখান বিড়ি চাইলাম বিড়ি দিলা না..!
তোমার সঙ্গে কিসের পিরিতি..!
আদিত গানটা গাইতে গাইতে সিগারেটে আগুন জ্বালালো।নাতাশা বলে উঠলো
-‘দে না আমিও একটু খাই..!
নাতাশার কথাটা শেষ হতেই তার মাথায় তিনটা গাট্টা মারা হলো।আহনাফ,আদিত আর আরিফ তিনজন একসাথে মেরেছে।নাতাশা মুখ কুচকালো।আহনাফ বললো
-‘ভবিষ্যতে যেন আর না শুনি।
নাতাশা মুখ কুচকে বললো
-‘তোরা তো ঠিক’ই খাস।ইনফ্যাক্ট এখনো খাচ্ছিস! তোদের ক্যান্সার না হলেও আমার ঠিক’ই হয়ে যাবে এই ধোঁয়াতে।এর চেয়ে খেয়ে ক্যান্সার হলে মানসিক শান্তি পাবো।
আরিফ বললো

-‘তোর মুখের সামনে তো আর ধোঁয়া ছাড়ি না।
নাতাশা বললো
-‘তো? ধোঁয়াটা বাতাসে ছড়াচ্ছে না? এই বাতাসে অক্সিজেন মিশে রয়েছে আর আমি তো সেই অক্সিজেন’ই গ্রহণ করছি।মানে ইনডায়রেক্টলি আমি সিগারেট খাচ্ছি।
আদিত বলে উঠলো
-‘ভাভাগো ভাভা! মাইয়া তো না যেন আস্ত এক যুক্তির ফ্যাক্টরি!
নাতাশা চুল উড়িয়ে একটু ভাব নিলো।আদিত তখন ওর চুল ধরে দিল এক টান।নাতাশাও আদিতের চুল টেনে ধরলো।আদিত বলে উঠলো
-‘আহনাফ ভাই বাঁচা! ঐ ডায়নি চুল ছাড় আমার!
আহনাফ বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো
-‘চুপ করবি তোরা? কি শুরু করেছিস বাচ্চাদের মতো?
হঠাৎ একটা ছেলে এসে হাজির হলো তখন।আহনাফকে লম্বা করে একটা সালাম দিল সে।সবাই তার দিকে তাকালো।ঢিলাঢালা একটা টি-শার্ট পরণে তার।আহনাফ মুচকি হেসে সালামের জবাব দিল।বাকিরা অদ্ভুদভাবে তাকিয়ে রয়েছে তার দিকে।কারণ ছেলেটা টি-শার্টের সাথে হাফ প্যান্ট পড়ে এসেছে তাও উল্টো।আর পায়ে মস্ত বড় এক স্যান্ডেল।আহনাফ বললো

-‘কেমন আছিস?এই অবস্থা কেন?
রাফি কপাল কুচকে বললো–“এই অবস্থা মানে?”
আহনাফ ওকে নিচের দিকে তাকাতে বললো।রাফি নিচের দিকে তাকাতেই হা হয়ে গেল।তাড়াহুড়োতে প্যান্ট চেইন্জ করতে ভুলে গেছে।তাও ভাব বজায় রাখতে বললো
-‘এইটাতো নিউ স্টাইল।হেহে..
আহনাফ বললো
-‘উল্টো প্যান্ট পড়াটাও স্টাইল?
-‘ওই আরকি..
রাফি মেকি হাসলো।আহনাফ ওসব কথায় আর গেল না।ও বললো
-‘তোকে একজনের উপর নজর রাখতে হবে।একটা মেয়ের উপর।তোদের এলাকার মেয়ে।
রাফি বললো

-‘কোন মেয়ে, ভাই?
-‘কুহু শেখ..কোথায় যাচ্ছে.. কি করছে..সব ইনফরমেশন চাই।
রাফি বললো—“আচ্ছা ভাই..আর..”
রাফির হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো।সে মেকি হাসলো।আহনাফ ইশারায় রিসিভ করতে বললো।রাফি ফোনটা রিসিভ করেই চেঁচিয়ে উঠলো
-‘কিহহ্!!! কো’কোথায়? আচ্ছা..
আহনাফ বললো
-‘এনিথিং রং?
রাফি বললো

-‘আর বলবেন না ভাই! কালকে চায়ের দোকানটাতে বসে চা-বিস্কুট খাচ্ছিলাম।হঠাৎ এক মেয়ে আমার বিস্কুট নিয়ে ভেগে গেল! ওমাহ! আই’ম তো অবাক! গতকাল দুই মাইল পেছনে ছুটেছি তাও ধরতে পারলাম না।আমার সাথের লোকজন বললো পুলিশকে জানাতে।আমিও কেইস করে এলাম।
সবাই হাবার মতো তাকিয়ে রইলো তার দিকে।নাতাশা বললো
-‘বিস্কুটের জন্য মামলা করে ফেলেছেন!
রাফি উপর নিচ মাথা ঝাঁকালো।

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ১

-‘পুলিশ তাদের ধরেও ফেলেছে।আমি গেলাম, ভাই..
আহনাফ নিজেও হা করে তাকিয়ে।আদিত আরিফের কাঁধে হাত রেখে বলে উঠলো
-‘বড়লোকি ব্যাপার স্যাপার! এতো বড় বড় লোকের মাঝে আমরা হলাম ফকিরন্ননাথ গরিব…

প্রণয়ের অন্তিমক্ষণ পর্ব ৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here